আপনাতেই আমি পর্ব ৫৫

আপনাতেই আমি পর্ব ৫৫
ইশিকা ইসলাম ইশা

রিদির ঙ্গান ফিরে ঘটনার ১২ ঘন্টা পর।রুপ রিদিকে চোখ খুলতে দেখে চেঁচিয়ে উঠলো।
তীরর রিদির ঙ্গান ফিরেছে!এই রিদু তুই ঠিক আছিস!!খুব কষ্ট হচ্ছে কি!
রিদি শরীর নাড়াতেই বুঝতে পারলো শরীরে অসহ্য ব্যাথা।পেটে মারাত্বক চিনচিনে ব্যথা। যার ফলে পুরো শরীর নাড়ানো কষ্টকর।রিদি দূবল হাত পেটে রাখতেই বুঝল তার বাবু পেটে নেই। মস্তিষ্ক সকালের ঘটনা স্মরন করতেই রিদি ছটফট করে উঠলো।মুখ দিয়ে খুব কষ্টে উচ্চারণ করল,
বাবু আর তীব্র কোথায়??

রুপের হাসিখুশি মুখটা শুকিয়ে গেল।রিদির ঙ্গান ফেরাই যতটা খুশি হয়েছিল। কিন্তু রিদের প্রশ্নে হাসিটা গায়েব হয়ে গেল।অজান্তেই চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল।রুপ চেয়েও নিজেকে সামলাতে পারছে না ।সত্যি জানার পর সব কিভাবে মেনে নিবে রিদি।যে বাচ্চার জন্য এতো লড়াই সে নেই এটা মেনে নিবে!!কিভাবে বলবো আমি!কিভাবে বাঁচবে এটা শুনার পর!রুপের হাত পা হিম হয়ে এলো ভয়ে।রুপ কে কিছু বলতে না দেখে রিদির ভয় গাঢ হয়।
আপু বাবু কোথায়???বলনা আপু বাবু কোথায়!আমার বাবুটা কোথায় আপু বলনা!!
রুপ রিদিকে উত্তেজিত হতে দেখে ভয় পেল।সদ্য সেলাই করা হয়েছে পেটে। ১২ ঘন্টা পর ঙ্গান ফিরেছে।মাথায় আঘাতের ফলে অনেক রক্ত পড়ছে।৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে।রিদি উত্তেজিত হয়ে জোরে কথা বলার কারনে সেলাই করা জায়গায় চাপ পড়তেই ব্যাথায় ককিয়ে উঠে। তবুও বলেই চলছে আমার বাবু কোথায়??
এবার অতিরিক্ত ব্যাথায় খিঁচুনি উঠে গেল।রুপ রিদিকে এভাবে দেখে চিৎকার করে উঠল
রিদু !!!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তীর ডক্টর নিয়ে আসছিল।রুপের চিৎকার শুনে দৌড়ে রুমে ঢুকে।রিদিকে এভাবে কাঁপতে দেখে হতবাক হয়ে যায়। ডাক্তার দ্রুত এসে রিদিকে একটা ইনজেকশন পুশ করে।ধীরে ধীরে রিদি শান্ত হয়ে আসে।না চাইতেই চোখ বন্ধ হয়ে আসে।তবুও রিদির একটাই প্রশ্ন,
আমার বাবু আর তীব্র কোথায়??? আমার বাবু…..
রুপ নিজেকে আর সামলাতে পারল না।এই পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যাবে বোনটাকে।কেন তার জীবনে সুখ স্থায়ী হয় না।রুপ কেঁদে উঠলো।তীর রুপ কে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসে।
রুপ!!তুমি ভেঙ্গে পড়লে রিদিকে কে সামলাবে??
রুপ তীরকে জরিয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো।আর কতো সহ্য করবে মেয়েটা!! সত্য ওকে কিভাবে জানাবো!!মরে যাবে মেয়েটা তীর।
তীর রুপের মাথায় হাত রেখে বলে,
জীবন মৃত্যুতে আমাদের কোন হাত নেই রুপ।সব আল্লাহর হাতে।

চারদিকে তখন সন্ধ্যার আজান দিচ্ছে।পিটপিট করে চোখ খুলে আশেপাশে তাকায় রিদি। প্রথমবার ঙ্গান ফিরার পর আরো দুবার রিদির ঙ্গান ফিরলেও উওেজিত হওয়াই আবারো ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়।উওেজিত হওয়াই কারনে পেটে সেলাই করা জায়গায় চাপ পড়ছে।যার ফলে রিদির জীবনের ঝুকি থাকবে।তাই বাধ্য হয়েই ঘুমের ওষুধ দিয়ে রেখেছে।
রুমে কর্নারের সোফায় সাদা পাঞ্জাবি পড়ে বসে আছে তীব্র।চোখ দুটি রক্ত লাল।সাদা পাঞ্জাবির মাঝে চোখ দুটো যেন সাদা কাপড়ে লাল রক্তের ফোঁটা।সমসময় সেট করা চুলগুলো এলোমেলো।মুখের ভঙ্গী শান্ত।তবে চোখ দুটি বড্ডো আশান্ত।এই চাহনি যেন ভয়ংকর।সেই ভয়ংকর চাহনিতে তাকিয়ে আছে বেডে শুয়ে থাকা মেয়েটার দিকে।রিদি তীব্র কে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ছটফট করে উঠলো।শরীর নাড়াতেই বুঝল প্রতিটি অঙ্গ যেন অবশ হয়ে আছে। শক্তি হচ্ছে না নড়াচড়া করার।তবুও একটা কথায় বলছে!
আমার বাবু কোথায় তীব্র??

কথাটা তীব্র পর্যন্ত পৌছাল কি না।সে এখনো একই দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিদির দিকে।
রিদি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও পারছে না উঠতে।চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনাজল।রিদির সামান্য কষ্টে যে সবার আগে ছুটে আসে আজ নিশ্চুপ।
আমার বাবু কোথায়!!
তীব্র সেভাবেই বসে থেকে খুব শান্ত কন্ঠে বলে,
“এইতো কয়েক ঘণ্টা আগে মাটির নিচে রেখে আসলাম।এখন সে ঘুমাচ্ছে ”
তীব্রর কথা রিদিরর কান পর্যন্ত পৌছাতেই রিদির নড়চড় থেমে গেল।উঠার চেষ্টা আর করছে না।তবে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।রিদির অবস্থা দেখেই তীব্রর কোন হেলদুল নাই।সে স্থির বসে আছে। যেন কিছুই হয়নি।সব স্বাভাবিক।ঠিক সেই সময়ই রুমে ঢুকে রুপ।রিদিকে এভাবে শ্বাস নিতে দেখে ছুটে বোনের কাছে আসে।
এই রিদু!!এই!!কি হয়েছে??এই?? কষ্ট হচ্ছে?তীব্র?!দেখছো না ওর কষ্ট হচ্ছে??তীব্র???কিছু করছো না কেন তুমি??রিদু!!!

তীব্র রোবটের মত ধীর পায়ে উঠে অক্সিজেন মাস্ক রিদিকে পড়িয়ে বের হয়ে যায় কেবিন থেকে।এদিকে রিদি অক্সিজেন দ্বারা কোন মতে শ্বাস নিতে পারলেও মনে হচ্ছে ওর গলা এখনো চেপে ধরে আছে কেউ।ধীরে ধীরে মনে হল সে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। আশেপাশে চেঁচামেচির মাঝেও রিদির কানে বাজছে একটা কথা,
“”এইতো কয়েক ঘণ্টা আগেই মাটির নিচে রেখে আসলাম।এখন সে ঘুমাচ্ছে ।””

সময় নাকি সকল ঘা ভরে দেয়।সকল আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা দিলেও সে কোনকিছুর জন্য থেমে থাকে না।কেটে গেছে ১৭ টা দিন।বলতে গেলে দ সপ্তাহের বেশি সময়,
হসপিটালের কেবিনে শুয়ে আছে রিদি। দৃষ্টি তার ছাদের দিকে।সেখানে গোল গোল ঘুরছে সিলিং ফ্যান। রায়ান রুমে ঢুকে রিদিকে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো।রিদি রায়ান কে দেখেই প্রথম প্রশ্ন করে,
ভাইয়া তীব্র কি এসেছিল??
রায়ান প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে এই প্রশ্নের একটাই জবাব দিচ্ছে,
না আসেনি!!
না আসেনি শুনে প্রথমে কান্না করলেও রিদি আর কাঁদল না।তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে বললো।
মিথ্যে বলছ তাই না!আমি জানি তীব্র এসেছে।
রায়ান কিছু বলল না।
রায়ানকে কিছু বলতে না দেখে রিদি বলে,
আমাকে ওনার কাছে নিয়ে যাবে??

রায়ান অসহায় চোখে তাকাল রিদির দিকে।এমন না যে সে তীব্র কে অনুরোধ করে নি একবার হলেও রিদিকে দেখে আসার জন্য। সপ্তাহ খানেক আগে রিদির অবস্থা যখন খুব খারাপ তখন হাত পা পর্যন্ত ধরেছে।একে তো সন্তান হারানোর কষ্ট।আবার তীব্রর অবহেলা। আজ ১৭ দিনেও রিদি সুস্থ হতে পারেনি। তবুও!! তীব্র আসেনি!
১৭টা দিন হতে চলল তবুও রিদি সুস্থ না।একবার অপারেশন এর পর আবারো অপারেশন করা হয়েছে রিদির। অতিরিক্ত চাপ আর উত্তেজনায় সেলাই করা জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে তাই আবারো সেটা অপারেশন করা হয়েছে।না হলে যে কোন সময় অঘটন ঘটতে পারতো।দু দু বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে রিদি।
রায়ান এবারো নিশ্চুপ তাই রিদি আবারো বলে,

প্লিজ একবার নিয়ে যাবে?
রায়ান বোনের দিকে তাকিয়ে সম্মতি দিল। এছাড়া কোন উপায় নেই তার কাছে। প্রতিদিন রিদির শুকনো মুখটা তাকে পিরা দেয়।যদিও সে জানে না তীব্র রিদির সাথে দেখা করবে কি না।
মেঘ, আয়ান,রুপ,তীর,আমির,দাদী সবাই রিদিকে দেখতে আসলেও তীব্র আসেনি। তীব্রর কথা জিজ্ঞেস করলেও কোন উত্তর মিলেনি কারো কাছে। সবাই শুধু শান্তনা দিয়েছে।তীব্র কাজে আটকে গেছে,আসবে, ব্যাস্ত।রিদির থেকে জরুরি তীব্রর কাছে কাজ হতে পারেনা এটা জানে রিদি।
তীব্রের তার কাছে না আসার কারণ ও জানে।তীব্রর রাগ করা হয়তো উচিত ই।তবে সে রাগ করূক,মারুক,কাটুক, যাই করুক। অন্তত একবার কথা তো বলবে।আবারো সন্তান হারানোর কষ্ট তাকে মৃত্যুর চেয়ে বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে।রিদি জানে তীব্রও ভীষণ কষ্টে আছে।হয়তো তার চেয়ে বেশী যন্ত্রণা সহ্য করছে। কিন্তু রিদি তো ইচ্ছে করে কিছু করেনি।সে তো বুঝতে পারেনি এটা একটা ট্রাপ ছিল।একটা জাল বিছানো ছিল।তীব্রর বার বার মানা করার পরেও বাসা থেকে বের হয়েছে।সব ভেবে রিদি আবারো ফ্যানের দিকে তাকাই।যদি সেও তার সন্তানের সাথে চলে যেত। মা কে একা ফেলে সে চলে গেল।

তীব্রর কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে রিদি।যে কেবিনে ঢুকতে নক করতেও হয়নি।সেই কেবিনের সামনে প্রায় ২০মিনিট ধরে বসে আছে রিদি।লাবিব মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সে বাধ্য বসের কথা শুনতে!তীব্রর কড়া আদেশ,
“কেউ যেন এখন তাকে ডিস্টার্ব না করে।ভেতরে যেন কেউ না ঢুকে।কেউ না মানে কেউ না। এমনকি তোর ভাবি ও না।যদি ঢুকে তোর বুকে কথা ছাড়াই একটা বুলেট ঢুকে যাবে”
রিদি লাবিবের বলা তীব্রর কথা শুনে একটাই কথা বলেছে,
আমি ওয়েট করছি ভাইয়া।আমার জন্য আপনার ক্ষতি হবে না।
লাবিব রিদির দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিল।১৬দিন আগের রিদি আর এখনকার রিদির মাঝে যেন বিশাল পার্থক্য।গগুমলু মায়াবী মেয়েটা শুকিয়ে গেছে অনেক।
ভাবি!!রিদি চোখ তুলে তাকালো লাবিবের দিকে।লাবিব মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে আবারো চোখ নামিয়ে অসহায়ের মত বলল,

আপনি অসুস্থ।প্লিজ রুমে যান।আমি ….
আমি অপেক্ষা করছি ভাইয়া!!
লাবিব অসহায় চোখে একবার ফোন তো একবার রিদিকে দেখল।যেখানে তীব্র কল এখনো কাটে নি।তবে রিদির উওর শুনতে পেয়ে কেটে গেল।
ঠিক আরো ১৪ মিনিট পর উজ্জ্বল মুখে রিদির সামনে দাঁড়ায় লাবিব,
বস আপনাকে যেতে বলেছে ভাবি।আসুন।রিদির মুখে ও এক চিলতি হাসি ফুটে উঠল।বসা থেকে উঠে দাড়াতেই বুঝতে পারল শরীরের চিনচিনে ব্যথা।চোখ মুখ খিচে ব্যাথা সহ্য করে ধীর পায়ে কেবিনে ঢুকে রিদি।ঢুকতেই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল তীব্রর হাতের দিকে,
রিদিকে ঢুকতে দেখে হাত সরিয়ে নিল পাশে বসে থাকা মেয়েটি।মোনা!রিদি অবাক হলেও দুকদম এগিয়ে আসলো। একবার তীব্র তো একবার মোনাকে দেখে বলল,

আপনি নাকি ব্যস্ত ছিলেন??
তীব্র খুব স্বাভাবিক ভাবেই জবাব দিলো।
হ্যা ছিলাম।একটা কেস নিয়ে কথা বলছিলাম।
তীব্র অভিমানে রিদির চোখে পানি টলমল করছে। শুধু কথা বলাটা কি রিদির সাথে দেখা করার চেয়েও বেশি জরুরি?কথাটা বলতে গিয়েও বলতে পারল না।
আপনার সাথে কথা ছিল!!
তীব্র রিদির দিকে না তাকিয়ে ফাইল দেখতে দেখতে বলল,
বলুন!!

আমার আপনার সাথে একান্তে কিছু কথা ছিল!কিছু মনে না করলে আপু একটু বাইরে যাবেন??
মোনা বিরস মুখে একবার তীব্র তো একবার রিদির দিকে তাকালো।তীব্র কে নিশ্চুপ দেখে বেরিয়ে যেতে চাইলে তীব্র বলে,
মোনা পর কেউ না।বললে ওর সামনে বলেন।ও কোথাও যাবে না।
রিদির রাগ হলো,
অবশ্যই যাবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ওনি তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে নিশ্চয় থাকবে না।
তীব্র প্রতিবাদের স্বরে বলে,
দেখুন আপনি!!
পরে দেখছি।আপু প্লিজ বাইরে যান।
তীব্র রিদির দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলল না।রিদির চোখ বেয়ে পানি পড়লেও মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে।তীব্র রিদির থেকে চোখ নামিয়ে আবারো ফাইলে দিল।মোনা বের হতেই দুইজনেই নিশ্চুপ থেকে হুট করেই রিদি তীব্রর কোলে বসে তীব্রর গলা দু’হাতে জড়িয়ে কান্না করে দেয়।

আমাকে বকেন,মারেন, শাস্তি দেন।যাই করেন কিন্তু আমাকে দূরে সরিয়ে দিবেন না তীব্র।আমি জানি আমি আপনার কথা না শুনে ভুল করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি তখন…….
তীব্রর হাতের লাগামহীন স্পর্শে থেমে যায় রিদি।তীব্র রিদির কামিজ তুলে কোমরে হাত রাখতেই ঝট করে সরেই আসে তীব্রর থেকে।এই স্পর্শে কোন ভালবাসা,টান নেই।আছে শুধু রাগ,জেদ,ক্ষোভ।
তীব্র চেয়ারে বসে থেকেই বিরক্তকর মুখে বলে,
কি হল সরে গেলেন কেন?আসুন!!
আপনি!!!

আমি!কি আমি!!আপনি তো বললেন আপনাকে দূরে সরিয়ে না রাখতে। কাছেই তো টানছি।কাছে আসুন। আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখার কোন উদ্দেশ্য নেই আমার। আসলে কি বলেন তো। বাচ্চাটা গর্ভে আসার পর থেকেই আপনার সাথে তেমন কিছুই করিনি।এখন যখন বাচ্চাই নাই তো সমস্যা কোথায়?আসুন প্লিজ!!অনেক দিন তো আপনাকে ছুই নি।হাজার হলেও আমি পুরুষ!কতোদিন এভাবে শুকনো মুখে থাকি বলুন।এখানে সমস্যা হলে বিছানায়………
রিদির আর সহ্য হল না এসব কথা। রেগে তীব্রর কলার চেপে ধরল।
কি?আমাকে বোকা পেয়েছেন? এসব বললে আমি আপনাকে ছেড়ে দিব।ভুলেও ভাববেন না আমি আপনাকে ছেড়ে দিব।আমি…..

আপনাতেই আমি পর্ব ৫৪

রিদি আগে কিছু বলার আগেই পেটের ব্যাথা তীব্র হলো।একটু চেঁচামেচি করার কারনে ব্যাথায় শরীর ঝিমঝিম করছে।চারদিক ঘুরছে।ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ল তীব্রর বুকে।জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে আকরে ধরল তীব্রর শার্ট।ধীরে ধীরে সবসময় এর মতো চারদিকে অন্ধকার নেমে এলো।
তীব্র দীর্ঘশ্বাস ফেলে একহাতে রিদির কোমর ধরে সেভাবেই বসে রইল।একটু পর মুখটা চেপে ধরে রেগে বলল,
ওষুধ ঠিক মতো না খেলে মরার দিন কাছেই আপনার!দু দুবার একটা পেট পরপর কাটা পড়েছে। বাঁচতে চান না নাকি! হা……আল্লাহ আমার ধৈর্য বাড়িয়ে দাও!! বলে রিদির দিকে তাকালো। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। মায়াবতী!

আপনাতেই আমি পর্ব ৫৬