আপনাতেই আমি পর্ব ৮৩
ইশিকা ইসলাম ইশা
পরপর কয়েকবার চকচকে ছুড়ি একদম বুক বরাবর ঢুকিয়ে দিতেই চিৎকারের শব্দে দেওয়ালের প্রতিটি কোনায় তার প্রতিধ্বনি তুলছে।এমন আর্তচিৎকার শুনেও ভাবলেস হীন আছে ব্যাক্তিটি।
চকচকে ছুড়ি বুক থেকে বের করে চোখ বরাবর আঘাত করতেই লোকটি আবারো চিৎকার করে উঠে।এরপর হাতের কাছে এসে ঘ্যাচ করে হাতের তালুতে সেই চকচকে ছুড়ি ঢুকিয়ে দিতেই আবারো লোকটির বুকফাটা আর্তনাদ শুনতে পাওয়া গেল।
বিকট এতো শব্দ শুনে লাবিব এগিয়ে এসে মুখটা বন্ধ করতে চাইলে তীব্র বলে,
ওর চিৎকার শুনতে চাই আমি!!
আঘাত করা ব্যাক্তিটির কাতরানো দেখেও কোন মায়া হলো না তীব্রর।খুব ঠান্ডা কন্ঠে বলল,
তোর কি মনে হয়??তীব্র চৌধুরীর দয়ার শরীর?? একবার, দুবার তোকে গুনে গুনে তিনবার ছাড় দিয়েছি আমি। কিন্তু তুই তো আমার ছাড় দেওয়াকে আমার দূর্বলতা ভেবে নিয়েছিস।
এ্যাই এ্যাই!!!তোর কি আমার ভালো মানুষি সহ্য হচ্ছিল না।শশুর হিসেবে তোকে অনেক ছাড় দিয়েছি।অনেক!!! কিন্তূ তুই!!!হা আমি ভালো কি হয়েছি তুই তো আমাকে দয়াবান ভাবতে শুরু করছিস।
এ্যাই এ্যাই!!আমি তীব্র চৌধুরী!!ডোন্ট ফরগেট দ্যাট হু আই এ্যাম?বৌ বাচ্চা ছাড়া আমার দয়া কাজ করে কারো প্রতি!!সেই তুই তাদের দিকেই হাত বাড়াস!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বলেই মুখ বরাবর রক্তাক্ত ছুড়ি ঢুকিয়ে দিতেই ছটফট করে উঠলো রুপেশ। তীব্র কথাটুকু শেষ করে ভদ্র বাচ্চার মতো চেয়ারে বসে লাস্ট মোমেন্ট ইনজয় করছে।
এই লাবিব পপকন দিব নাকি??
লাবিব হচকচিয়ে তাকাল তীব্রর দিকে।তীব্র ক্ষিপ্ত মেজাজে বলে,
এটাকে সরা তো!!দেখতে ইচ্ছে করছে না!!আর শোন একটা হট সাওয়ার এর ব্যবস্থা কর।
ওকে বস!!!!
তীব্র ক্ষিপ্ত মেজাজে ফোনটা বের করে ওয়াল পেপারে মা মেয়ের ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।বিরবির করে বলল,
আমি আপনারদের প্রতি দুর্বল। ভীষণ ভালোবাসি আপাদের।আপাদের এক বিন্দু পরিমাণ ক্ষতি করবে কেউ তাকে দুনিয়াতে বাঁচিয়ে রাখব না আমি।আমি স্বার্থপর ভীষণ স্বার্থপর! শুধু আপনাদের জন্য!
সূর্যের আলো মুখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেল রিদির। আড়মোড়া ভেঙে পাশে তাকাতেই নজরে এলো তীব্র কে। রোজ কে একহাতে আগলে উবুর হয়ে শুয়ে আছে। ফর্সা উদাম শরীরে মাংসপেশী ফুলে উঠেছে। রিদি একধ্যানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে কিছুটা লজ্জা পেল।কম্বল টেনে দিল বুক পর্যন্ত।তবে কাল রাতে তীব্রর অনেক দেরি করে ফিরেছে।যদিও রিদি জানে না কখন??তবে গভীর রাতে তীব্রর ঠোঁটের ছোয়া পেয়েছে তার মুখ জুড়ে।সাথে বিরবির করে কিছু কথাও বলেছে ঘুমের কারনে বোধগম্য হয় নি।
রিদি মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে একটু ঝুঁকে কপালে চুমু এঁকে দিল। এরপর তীব্রর দিকে ঘুরে তীব্রর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে সরতেই তীব্র পিটপিট করে একটু চোখ খুলে বলে,
জান!!কাল রাতের চুমু বাকি আছে!দিন!
রিদি কথা বাড়ালো না। মুচকি হেসে পুরো মুখে ঠোঁটের ছোয়া দিয়ে উঠতেই তীব্র বলে,
জান!!ঘুমাবো!!
তো ঘুমান!!
উহু বালিশ লাগবে তো!!
কতো গুলো আছে নিন!
একটাই আছে!তাও আপনার কাছে!
একদম ফালতু কথা বলবেন না।আমার কাজ আছে।তাছাড়া রাতে আপনি কোথায় ছিলেন?
জানি না!!
অসহ্য ছাড়ুন!!রোজ উঠে যাবে ! কিন্তু তীব্র তো তীব্র!
রিদি বিরক্ত হয়ে বলল,
তীব্র প্লিজ!!
উহু….
বলে নিজে একটু সরে রিদিকে সুইয়ে ওর বুকে মাথা রেখে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।আপাতত তার এই বৌটাকে দরকার। অশান্ত মস্তিষ্ক শান্ত করতে কিছুক্ষণ রেস্ট দরকার।
2 বছর পর,
চারদিকে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে।আজ রায়ান আর নীরের গায়ে হলুদ।সেই সকাল থেকেই ব্যস্ত রিদি। তীব্র একটা অপারেশন শেষ করে সবেই এসেছে মিজা বাড়িতে।তার এসব হৈচৈ ভালো লাগে না।নিহাৎ বৌ বাচ্চা আছে তাই।
তীব্র গাড়ি থেকে নেমে দাড়াতেই গাড এগিয়ে আসতে চাইলে তীব্র থামিয়ে দিয়ে বলে,
আমি ভেতরে কোন গাড চাই না।
ওকে স্যার!!
তীব্র মুখে মাস্ক পরে বিরক্ত মুখে বাসায় ঢুকতেই নজরে আসল তার কলিজাকে।যে আপাতত বাবার মতোই বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আবারো টুকটুকে লাল গাউন ফ্রগে অসম্ভব সুন্দর লাগছে রোজ কে।রোজের এক হাত তৃপ্তির হাতে অন্য হাতে ধরে আছে একটা বড় চকলেট। তৃপ্তি রোজ কে নিয়ে গুটি গুটি পায়ে হেটে যাচ্ছে মায়ের কাছে যাচ্ছিল কিন্তু পথের মাঝে তাঁদের বেশ কয়েকবার থামতে হয়েছে।তার কারন হচ্ছে সবাই একটু পর পর রোজ কে থামিয়ে তার গুলুমুলু গাল টেনে আদর করে দিচ্ছে। কিন্তু এতো আদরে রোজ বিরক্ত হচ্ছে। ছলছল চোখে তৃপ্তির দিকে তাকালো রোজ।যার অর্থ হচ্ছে আমাকে সবাই কেন থামাচ্ছে। তৃপ্তিও অসহায় চোখে বোনের দিকে তাকিয়ে আবারো হাঁটতেই রোজ তৃপ্তির হাত ছেড়ে দৌড় দিল। তৃপ্তি রোজ কে দৌড়াতে দেখে নিজেও ওকে থামানোর জন্য দৌড় দিল। গাউন পরিহিত রোজ কে নিজের দিকে দৌড়ে আসতে দেখে তীব্র নিজেই বড় বড় কদমে এগিয়ে এসে কোলে তুলে নিল! তীব্র কোলে নিতেই সেখানে ছুঠে তৃপ্তি।চাচু কে দেখে খুশি হয়ে বলল,
চাচু তীবু ছোটআম্মুর কাছে যাবে!!
ছোটআম্মু কোথায় মামনি?
খুজে পাচ্ছি না তো!
ঠিক আছে।তুমি যাও! সাবধানে!
তৃপ্তি খুশি হয়ে ভৌ দৌড় দিল।
তীব্র মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
কি হয়ছে আমার কলিজা??
আম্মু যাবো!!! কিন্তু ওরা আমাকে বার বার থামাচ্ছে আমার গাল টানছে!
মুখ ফুলিয়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলতেই মনে হল রিদি বলছে। তীব্র মাস্কের আড়ালে হাসল।মা মেয়ে কাঁদার দিকে সেম সেম।তবে মেয়ের কান্নার কারন জেনে ছোট্ট একটা শ্বাস ছাড়লো। আশেপাশে তাকিয়ে রিদিকে না দেখে রাগ হল।একা মেয়েকে ছেড়ে কোথায় আছে?? তীব্র মেয়েকে বুকে মিশিয়ে নিতেই রোজ বাবার বুকের সাথে মিশে গেল। তীব্র রোজের শান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা শ্বাস ছাড়লো।দুদিনের জ্বরে মেয়েটা একদম শান্ত হয়ে গেছে। তীব্র পকেট থেকে ফোন বের করে রিদির নাম্বারে কল দিতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো রিদির ব্যস্ত কন্ঠস্বর।
তীব্র র রোজ কোথায়?ওকে পাচ্ছি না!!!
তীব্র একটু থেমে বলে,
রিল্যাক্স রোজ আমার কাছে বাইরে আসুন!!
তীব্রর কল করার মিনিট কয়েকের মধ্যেই ছুটে এলো রিদি।
তীব্র রাগী গলায় বলে,
ভাইয়ের বিয়ের জন্য কি মেয়েকে ভুলে গেছেন!
রিদি কিছু না বলে রোজ সহ তীব্র কে জরিয়ে ধরলো।অনেক ভয় পেয়েছিল রোজ কে না পেয়ে।
তীব্র আশেপাশে তাকিয়ে দেখল মানুষজন সবাই ওদের দেখছে। তীব্র বিরক্ত!!! সবার তাকানো দেখে!!তবে বিরক্ত হলেও সামলে নিল।
জান রিল্যাক্স!! রোজ ঠিক আছে!!
রিদি রোজ কে কোলে নিয়ে সারা মুখে চুমু দিয়ে জরিয়ে ধরলো। তীব্র রিদিকে অলরেডি ভয়ে দেখে আর কিছু বলল না।
হলুদের ফাংশন শুরু হয়েছে। যেহেতু বিয়ে গ্রাম্য স্টাইলে হচ্ছে।তাই ক্ষির খাওয়ার জন্য বসানো হয়েছে রায়ান কে।যদিও সেটা আগের দিন করা হয় তবে রায়ান আগের দিন ব্যস্ত থাকায় সকাল সকাল ই করা হয়েছে!! এদিকে রায়ান চোখ মুখ কুঁচকে তাকাল খাবারের দিকে।সবাই একে একে এসে খাইয়ে যাচ্ছে এতেই চরম বিরক্ত রায়ান।রোজ, তৃপ্তি মামার সাথে বসেছে খেতে। সাথে আরো কয়েকটা বাচ্চা বসেছে।রোজের পড়নে আজ হলুদ লেহেঙ্গা। হলুদ পরি লাগছে। তৃপ্তি ও সেম ল্যাহেঙ্গা পড়েছে ফসা শরীরে ফুটে উঠেছে বেশ।তীব্র কিছুটা দূরে দাড়িয়ে মেয়েকে দেখছে।মেয়ে তার খুশিতেই আছে। তাছাড়া রায়ানের কোলেই বসে আছে।
আশেপাশে তাকিয়ে বৌ কে খোঁজার চেষ্টা করে দেখল। হলুদ একটা শাড়ি পড়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। তীব্র বিরক্তকর নিঃশ্বাস ফেলল।বৌকে সে কাছেই পাচ্ছে না। কোথায় একটু জরিয়ে ধরে বসে থাকবে না তো!!তীব্র আজ হলুদ রঙের শাট আর সাদা পায়জামা পড়েছে।তাতেই নজর কারা সুদর্শন পুরুষ লাগছে।যদিও এসব পড়া তার কাছে বিরক্তিকর। কিন্তু বৌয়ের মন রাখতে পড়েছে সে।
সব পুরুষই কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকলেও তীব্র ফাংশন থেকে কিছুটা দূরে একটা চেয়ারে বসে আছে।যেখানে থেকে মেয়েকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আপাতত তার কাজ মেয়েকে পাহাড়া দেওয়া।
হুট করেই একটা মেয়ে এসে তীব্রর পাশে চেয়ার টেনে বসল। কিন্তু তীব্র ঘুরেও তাকালো না।বেশ অনেকক্ষণ ধরে মেয়েটা তীব্রর দিকে বারবার তাকাচ্ছে।
একসকিউস মি!!
……….
হ্যালো মি:
……….
হ্যালো মিস্টার হ্যান্ডসাম
……….
তীব্র কে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকতে দেখে মেয়েটা এবার তীব্রর হাতে হাত রাখতেই তীব্র এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে বলে,
হোয়াটস ইউর প্রবলেম??হাউ ডেয়ার ইউ টু টাচ মি!!
মেয়েটি হুট করে তীব্রর এমন হুংকারে ভয় পেয়ে গেল! কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
আমি মানে আম………
সাট আপ!!!
নো ওয়ান কান্ট টাচ মি!!ডু ইউ গেট ইট!!!
বলেই তীব্র হনহন করে টেবিল থেকে একটা পানির বোতল নিয়ে পুরো হাতে ঢেলে নিল।
লামিয়া ছেলেট কি তোর ছোয়ার জন্য এভাবে হাত ধুলো!!!
লামিয়া বান্ধবীর কথায় রাগী গলায় বলল,
চুপ করবি!!কে এই সুদর্শন পুরুষ!
জানি না!তবে শহর থেকে এসেছে!!ইসস কি বডি মাইরি!উফফফ হটী চকলেট বয়!!যাই বল এটিটিউড মাশাআল্লাহ!! তোকে একবার তাকিয়ে দেখল না!!ওহ মাই গড!!!তোকে দেখ সবাই লাট্টু হয়ে যায়। আর সে!!
উফফ চুপ কর!!কে এই ছেলে!!
মোনা (রিদির চোট চাচার মেয়ে) বেশ কিছুক্ষণ ধরে লামিয়া কে খুঁজে চলছে!! লামিয়া হল মোনার খালাতো বোন।মোনা ছোট ছেলেটাকে নিয়ে এদিকে আসতেই লামিয়া বলে,
মোনা ঐ ছেলেটা কে রে???
মোনা এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল,
কোন ছেলে??
আরে ঐ যে সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ঐ যে!!!
মোনা এদিক ওদিক তাকিয়ে চোখ গেল তীব্রর দিকে।ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে বলল,
ভুলেও ওটার দিকে আগাস না। জানিস না ওনি কে??ওনি হল তীব্র চৌধুরী!
বড়লোক মনে হয়!!!
তুই পাগল!!বড়লোক মানে!!একদিকে ডক্টর অন্যদিকে বিজনেস ম্যান চৌধুরী গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির মালিক।গ্রামে যে হসপিটাল হচ্ছে এটাও ওনি করছেন আবার……
আবার..আবার কি???
কিছু না!!ভালো চাইলে তীব্র চৌধুরীর থেকে দূরে থাক!!বলেই মোনা চলে গেল।
মোনা যেতেই লামিয়া বাঁকা হেসে বুকের আঁচলটা একটু নামিয়ে নাভির দিকটা বের করে তীব্রর আশেপাশে ঘুরঘুর করতে লাগল। কিন্তু তীব্র!!সে একবার আলসেমো করেও চোখ তুলে দেখল না। শুধু যে লামিয়া তা নয় আরো কিছু সুন্দরি মেয়ে তীব্রর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েও সক্ষম না।
এদিকে রিদি এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করে সবেই এসে দাড়ালো মেয়ের খোঁজে।রোজ দিন দিন বড় হচ্ছে আর দুষ্টু হচ্ছে।এক জায়গায় স্থির থাকে না।
ভাইয়া!!রোজ কোথায়!!
রায়ান মুচকি হেসে বলল,
তোর মেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড লোকের মেয়ে তো তাই আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গেছে।
মানে!!!
মানে ঐ যে ঐ টেবিলের নিচে দেখ।রিদি হচকচিয়ে তাকাল স্টেজ এর টেবিলের দিকে!সেখানে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে লাবিব!!রিদি সেখানে যেতেই লাবিব হচকচিয়ে তাকাল রিদির দিকে।
ভভভ ভাবি আপনি???
রোজ কোথায়??
রোজ মানে!!রোজ!!
রিদি বিরক্ত হয়ে টেবিলের কাপড় তুললেই হা হয়ে গেল।
রোজ জজ!!!!!! আপনারা এসব কি করছেন??
তীব্র আমতা আমতা করে বলল,
কোই কিছু না!!!
রিদি কটমট করে বলল,
কিছু না!!তো এসব কি!!!
কেন দেখতে পাচ্ছেন না ক কেট!!!
রিদি থপ করে বসে কপাল হাত চাপরে বলল,
কি অবস্থা করেছেন ওর!!
আমি আমি কিছু করি নি!!
কিছু করেন নি!!সব নষ্টের গোড়া আপনি!!! ওকে কেন কেক এনে দিয়েছেন!!!ও কেক খাচ্ছে!! আল্লাহ!!ও কেক খাচ্ছে নাকি কেক দিয়ে গোসল করছে!! কি অবস্থা দেখেছেন!
রোজ মায়ের রাগী মুখ দেখে ঠেলে ঠেলে বাবার পিছনে লুকাতেই রিদি চট করে রোজের হাত ধরে বলে,
এই মেয়ে তুই কোথায় যাচ্ছিস!! বাবার আদরে খুব সাহস হয়েছে তাই না।এদিকে আয়!!
রোজ ক্রিম আলা দুহাত দিয়ে বাবাকে জরিয়ে ধরলো।যার ফলে পুরো ক্রিম লেগে গেল তীব্রর পাঞ্জাবিতে।আবারো ক্রিম আলা মুখ গুঁজে দিল বাবার বুকে।যার ফলে পুরো ক্রিম লেগে গেল তীব্রর পাঞ্জাবিতে।
আল্লাহ!!এই এই আপনি না এসব খান না তাহলে আজ এসব কি করছেন ওর সাথে!!
তীব্র রোজ কে দুহাতে আগলে নিয়ে বলে,
ঐ আর কি!!আমার জান খাইয়ে দিচ্ছিল তাই!!
আরো দেন আদর!!ওকে বাদর ই তৈরি করুন!!
তখনি রোজ বাবার বুক থেকে মুখ তুলে বলে,
পাপা মানকি মানে বানর!! আম্মু মানকি মানে বানর!!
মেয়ের কথা শুনে রিদি তাজ্জব বনে গেল। তীব্র ফিক করে হেসে দিতেই রিদি রাগী গলায় বলল,
দুইজনে বের হন।উফফফ !! শান্তি নেই!!৫মিনিট তুই চোখের আড়ালে হলেই তোদের দুষ্টুমি শুরু হয়ে যাই তাই না!!আর আপনাকে তো পরে দেখছি।বের হন জলদি।একটু পরেই নীর রা সবাই চলে আসবে।আর আমার মেয়ে!! আল্লাহ!!
আপনাতেই আমি পর্ব ৮২
তীব্র লাবিব কে ইশারা করতেই এপাশের লাইট অফ হয়ে গেল।দিনের সময় হলেও ডোরেশনের জন্য বড় লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।সেই সুযোগে তীব্র মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে এলো।মেয়ের কাছে সে বাবা হলেও।বাকি সবার কাছে সে তীব্র চৌধুরী!এটিটিউডের বস তীব্র চৌধুরী!!