আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ১২ (২)
ইশিকা ইসলাম ইশা
সকাল তখন ৮ টা বেজে ১৬ মিনিট।নাজমা চৌধুরী সবে মাত্র এসেছে বাগান থেকে। সকাল সকাল বাগানে হাঁটতে বের হন তিনি। আজকেও বাগান পরিদর্শন করে এসেছে। তখন নাস্তার টেবিলে প্রায় সবাই এসে বসেছে খাবার পরিবেশন করছে স্টাফরা। খাওয়া শুরু করবে ঠিক তখনি ভেসে আসে তীব্রর কন্ঠস্বর!!
বৌ কোথায় আপনি?
গায়ের এলোমেলো শার্ট , মাথায় মোটা সাদা ব্যান্ডেজ এ আবৃত তীব্র কে দেখে সবাই আতকে উঠল।তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছে হুট করেই” বৌ”শব্দটা শুনে।রুপ তো স্তব্ধ হয়ে আছে।”বৌ” শব্দটাই কি আছে কে জানে হৃদয়ে গিয়ে ছুরির মতো বিধল।নরচর করতেও ভুলে গেলো।কানে বাজতে লাগলো “বৌ কোথায় আপনি??”বৌ !!বৌ মানে তো রিদিতা!!রুপ চমকে উঠলো!!রিদিতা!!বৌ!! রিদিতা বৌ সবটা বুঝতেই মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়লো যেন রুপের। দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি আর পেল না বসে পড়ল চেয়ারে!!
সাদা শার্টটায় রক্তের দাগ স্পষ্ট।সামনের কয়েকটা বোতাম খোলা।এক হাত গুটানো অন্য শার্টের হাতা এলোমেলো ভাবে ঝুলছে কব্জি বরাবর! খুব অগোছালো লাগল তীব্র কে!যেন খুনখারাবি করে ফিরেছে। যদিও এমন রক্তাক্ত অবস্থায় এর আগেও একবার দেখেছে।তবে তার আগে কখনোই তীব্র কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেনি।দেখেনি বলতে তীব্র কখনো তাঁদের কে সেই সুযোগ দেয় নি।মাসে একবার বাড়িতে আসত কি না সন্দেহ!দেশের বাইরেই বেশি থাকে সে!আর এখানে আসলেও কখনো চৌধুরী বাড়িতে আসত না। তীব্র নিবাসেই তার থাকা।আর তার থাকা সত্ত্বেও কখনো কখনো জানতেও কেউ পারত না তীব্র এসেছে।যদিও লাবিবের কাছে থেকে শুনে তিরা,রুপ,দাদি যেত তীব্র থাকত ভাবলেসহীন!! বিশেষ করে তিরা চৌধুরীর সাথে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নাজমা চৌধুরী নাতির এমন অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে আছে।আজ পর্যন্ত তীব্র কে এতোটা এলোমেলো তো সে কোনদিন দেখেনি।আবার সকাল সকাল বউ বউ করছে!! ভাবটা এমন যেন বৌয়ের সাথে তার সুমধুর সম্পর্ক।সেদিন ভোরের পর আজ দুদিন বাদে দেখা তীব্রর সাথে তার।দুদিন ছিল না তীব্র।আর দুদিন পর আজ আবার এই অবস্থায় রিদির খোঁজ করছে!!নাজমা কিছু বলার আগেই তীব্র বিরক্ত কন্ঠে বলল,
বউ!! বউ ও বউ!!!!!
দিদুন আমার বউ কোথায়???
নাজমা চৌধুরী চিন্তিত হয়ে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে রুপ কে দেখে নিল মেয়েটা একদম স্তব্ধ হয়ে বসে আছে।নাজমা ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বৌ কথাটা ইগনোর করে বলল,
কি হয়েছে তোমার তীব্র? আঘাত পেলে কিভাবে? ততক্ষণে সবাই টেবিল ছেড়ে উঠে এসেছে।তবে রুপ নিজের জায়গায় বসে আছে চুপচাপ।
তীব্র উওর করল না।বরং প্রশ্ন করল,
বৌ টা কোথায়??
কে তোমাকে আঘাত করেছে?? আর তখন থেকেই কি বৌ বৌ করছ??কে তোমার বৌ??তিরা চৌধুরী চিন্তিত কন্ঠস্বর!!
তীব্র যেন শুনলো না কিছু এমন ভান ধরে বলল,
দাদি আমার ব্যাক্তিগত বৌ!সে কোথায়?
নাজমা চৌধুরী চিন্তিত স্বরে বলল,
তোমার সাথে আমার কথা আছে।
তীব্র বিরক্ত হয়ে সোফায় বসতে বসতে বলল,
যা বলার বলো।আগে বৌ কে ডেকে দাও!!
তিরা চৌধুরী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠার মতো করেই ছেৎ করে উঠলেন,
তুমি কি ঐ মেয়েটাকে বৌ বলছ তীব্র!!
তীব্র তিরা চৌধুরীর কথা এবারো সম্পন্ন ইগনোর করে বলল,
৫ মিনিট!!৫ মিনিট এর মধ্যে আমার বৌ আমার সামনে চাই!নয়তো……
কথাটা বলেই তীব্র আশেপাশে তাকিয়ে পরিপাটি ভাবে গোছানো বিশাল ড্রয়িং রুম টা দেখল।
রাইফা তীব্রর তাকানো দেখে আমতা আমতা করে বলল,
তুমি কি রিদিতাকে বৌ মেনে নিয়েছো তীব্র!
২মিনিট শেষ!
রাইফা তীব্রর কথায় আর কিছু বলল না। তীব্রর রাগ সম্পর্কে ধারনা আছে তার। আপাতত তার চুপ থাকায় ভালো।
নাজমা চৌধুরী একবার রিদির ঘরের দিকে তাকালো।মেয়েটা এমনিতেই দুদিন ভয়ে ভয়ে থেকেছে। খুব একটা বের হয়নি। জোৎস্না খালা কয়েকবার ডাকার পরেও ওপাশ থেকে দরজা খুলল না রিদি। এবার না পেরে নাজমা চৌধুরী রিদিকে অনেকবার ডাকার পর দরজা খুলে দিল রিদি। নাজমা রিদির ভয়ার্ত শুকানো মুখটা দেখে অবাক হলেন।মেয়েটা কি এতোক্ষণ কাঁদছিল!! কিন্তু কেন??নাজমা চৌধুরী সন্দিহান চোখে চাইল!!তবে কিছু বলার আগেই ভেসে এলো ভাংচুর এর আওয়াজ। নাজমা চৌধুরী রিদিকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে এ আসতেই থেমে গেল শব্দ।ততখনো তীব্র দুটো ফুলদানি আর ট্রি টেবিলের কাঁচ ভেঙেছে। নাজমা চৌধুরী রিদিকে একহাতে ধরে আছে আর রিদিতো ভয়ে নাজমা চৌধুরীর পিছনে লুকিয়ে আছে।বাকি সবার মুখ তীব্রর পরবর্তী কথায় বিষ্ময়ে হা হয়ে গেছে….
কি করতে চাইছ তুমি তীব্র এস…..
নাজমা চৌধুরীর কথায় তীব্র তিরিক্ষি মেজাজে বলল,
রোমান্স!বউ এর সাথে রোমান্স করতে চাইছি!!দিবে?করব।
নাজমা চৌধুরী হতভম্ব হলেও প্রকাশ করল না। তিনি আবারো কিছু বলার আগেই তীব্র হিসহিসিয়ে বলল,
আমার বউ কিন্তু তোমার সাথে এমন চিপকে থাকে কেন ?এটা আমার পছন্দ হচ্ছে না ।তুমি কি আমার বৌয়ের উপর ভাগ বসাতে চাইছ দাদি!! আমার আবার কিন্তু এসব ভাগাভাগিতে পুষায় না!
নাজমা চৌধুরীর চোয়াল ঝুলে পড়ল। মানে তীব্র কি তাকে ইনডাইরেক্টলি তার বৌয়ের বয়ফ্রেন্ড মনে করে হিংসা করছে!!আস্তাফিরুল্লাহ!! তীব্র দাদির হতভম্ব হওয়া মুখের দিকে চেয়ে কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল,
ছোট একটা বৌ আমার!একটু বড় কি করেছো ওমনি ভাগ বসাতে চলে এসেছো!!শোন বৌ আমার!! তাই বৌটা পুরোটাই আমার লাগবে।এখন বৌ কে আমার কাছে দাও একটা চুমু খাব!!
তীব্রর কথা শেষ হতেই ধপ করে কিছু পড়ার আওয়াজ শোনা গেল। জোৎস্না খালা নিচে সুয়ে আছে। মানে বেচারি তীব্রর কথা মেনে নিতে না পেরে সুসাইড করেছে।এতো ভালুবাসা তাও তীব্র!!এটা তো এমন যেন তপ্ত গরমের মৌসুমে শীত বস্ত্র বিতরণ আর সেই শীত বস্ত্র পরিধান করে ঙ্গান হারিয়ে ফেলেছে জোৎস্না খালা।
নাজমা চৌধুরী রিদির হাত ছেড়ে নিজেও সোফায় বসলেন।এসব কথা ইহজন্মে তাকে শোনা লাগবে এটা তিনি স্বপ্নেও ভাবেনি।সবচেয়ে বড় কথা এতো সিরিয়াস মোমেন্টে তীব্রর বলা কথাগুলো আদো সবাই ঠিক শুনেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ! তীব্র কি সিরিয়াস মোমেন্ট এ মজা করছে!রাইফা হতবাক হয়ে বলল,
আমি যা শুনলাম সবাই কি তাই শুনল!!বলে নিজেও মাথা ঘুরিয়ে পড়ল আরফিন এর গায়ে। আরফিন নিজেও তীব্রর কথায় হতবাক হলেও আড়চোখে মেয়ের দিকে তাকালো।রুপ স্তব্ধ হয়ে একধ্যানে তাকিয়ে আছে তীব্রর দিকে।
এতো কিছু আশেপাশে ঘটছে তবুও তীব্রর মাঝে বিন্দুমাত্র ভাবাবেগ নেই।ফিরেও দেখছে না কাউকে।তার কথা শুনে যে মানুষের হাট এট্যাক হওয়ার জোগাড় তাতে তার বিন্দুমাত্র মনোযোগ নাই।আপাতত তীব্রর কাছে রিদি আর দাদি ছাড়া কেউ আছে বলেই মনে করছে না। তীব্র গম্ভীর মুখে রিদিকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখে রিদির উদ্দেশ্য বলল,
এই বৌ এদিকে আসেন তো!!
রিদি তীব্রর ডাকে জমে আছে! থরথর করে কাঁপছে যেন ভুমিকম্প হচ্ছে!!
কি হল আসছেন না কেন??
আপনি এমন কাঁপা কাপি করে কি আমাকে সিডিউস করতে চাইছেন!
রিদি চট করে চোখ তুলে তাকাল তীব্রর দিকে!! রিদির এতক্ষণ পর তাকানো দেখে তীব্রর মুখে ফুটল বাঁকা হাসি।আহ !!কি সুন্দর সেই হাসি!!রিদি দেখল সেই হাসি বরং সবাই দেখল সেই হাসি! মারাত্বক সেই হাসি!!তীব্র বাঁকা হেসেই বলল,
আমাকে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করে দিলেই কি আপনার কাছে আসা বন্ধ করে দিব বউ!! উহু!!কখনো না!! তীব্র চৌধুরীর বউ বলে কথা একটু আকটু আঘাত করতে না জানলে চলে না!!
রিদি চমকে উঠলো ভয়ে রিদি পারে না তো মাটি ফাঁক করে ঢুকে যায় তার মাঝে! তীব্র সেসব তোয়াক্কা না করে বলল,
চলুন তো চুমু খাব!!রাতে তো মেরে অঙ্গান করে রেখে দিয়ে এসেছেন। মেরেছেন ভালো কথা এখন চুমু খাবেন আসেন!!খুব ব্যাথা করছে!!চুমু খেলে নাকি ব্যাথা কমে যাই!!কাছে আসেন! এখানে চুমু খাব?? আমার তো সমস্যা নাই!আসেন…..
রিদি এবার সত্যিই আর নিতে পারল না সারারাত নির্ঘুম কেটেছে তার তার উপর সকাল সকাল তীব্রর চুমুখোর কথা বার্তা ঙ্গান হারিয়ে পড়ার আগেই তীব্র চট করে ধরে ফেলল। যেন সে জানত এখন এমন কিছু হবে। তীব্র ঠোঁট চেপে বাঁকা হাসল। মুহুর্তে তীব্র কারো তোয়াক্কা না করে,কোন কথা ছাড়াই কোলে তুলে নিতে নিতে বলল,
কিছু করার আগেই এমন ঙ্গান হারাচ্ছেন কেন??কিছুই তো করিনি এখনো!!
রিদির ঙ্গান তখনো পুরোপুরি যাই নি।তবে মস্তিষ্ক বেশি চাপ নিতে পারল না। চুপচাপ পড়ে রইলো তীব্রর প্রসস্থ বুকে। তীব্রর প্রথমদিনের কথাগুলো আর আজকের কথাগুলো ভাবলেই মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে যায়। ফাঁকা ফাঁকা লাগে।কিভাবে এই পরিবর্তন? কেনই বা এই পরিবর্তন?
তীব্র কি চাইছে?
নাজমা চৌধুরী আশ্চর্য মুখে রিদিকে নিয়ে তীব্রর চলে যাওয়া দেখলেন শুধু।বাধা দেওয়ার মতো সময় পেলেন না। তীব্র রিদিকে নিয়ে চুপচাপ বেরিয়ে গেল সদর দরজা দিয়ে।তবে তীব্রকে আঘাত করেছে বলা কথা শুনে নাজমা চৌধুরী এবার আরো খানিকটা অবাক হলেন।
তীব্র কে রিদিতা আঘাত করেছে?? কিন্তু কখন??কিভাবে? কোথায়?আর কেন??
নাজমা চৌধুরী প্রশ্ন গুলো সাজালেও উওর পেল না!পাবে কিভাবে!! তীব্র তো রিদিকে নিয়ে চলে গেছে।চলে গেছে!!চলে গেছে কথাটা মাথায় আসতেই নাজমা চৌধুরী চট করেই উঠে দাঁড়াল। তীব্র নিবাসে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই তিরা চৌধুরীর কথা এসে কানে বাজল!
আম্মা আপনার নাতিকে বোঝান!ঐ মেয়ে তীব্র চৌধুরীর বউ হবার কোন যোগ্যতাই রাখে না।আমি কখনোই আমার ছেলের বৌ হিসেবে ঐ মেয়েকে মেনে নিব না বলে দিলাম!
নাজমা চৌধুরী হুট করে থেমে গেল।কয়েক কদম পিছনে ফিরে তিরার দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
তোমার ছেলে বুঝি!!!
তিরা চৌধুরী অপমানে জ্বলে ওঠে বলল,
আপনি কি বলতৈ চাইছেন আম্মা!!তীব্র আমার ছেলে ১০ মাস আমার পেটে ছিল।আমি ওকে জন্ম দিয়েছি!!
নাজমা চৌধুরী কথা বাড়লেন না।যেতে যেতে বলল,
ছেলেকে সামলে দেখাও!!তবেই না ছেলে! বেপরোয়া! লাগামহীন ছেলের লাগাম টানতে পারলে তবেই না সে তোমার ছেলে!! তাছাড়া তীব্র কে আটকানোর মতো শক্তি তোমার নেই।
তীব্র নিবাস,
তীব্র ঙ্গানহীন রিদিকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজেও পাশে ধপ করে শুয়ে পড়ল।মাথাটা বেশ ঝিমঝিম করছে।কিছু সময় যেতেই হুট করেই উঠে বসে তাকালো রিদির দিকে। শ্যাম রাঙা মুখখানায় লেপ্টে আছে চোঁখের জল। ঘন পাপড়ি গুলো চোখের জলে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।পানির ফোঁটা এখনো চিকচিক করছে গালে । তীব্র আলতো করে ছুঁইয়ে দিল পানিটুকু।উড়ে আসা এলোমেলো চুলগুলো কানে গুঁজে দিয়ে তীব্র বাঁকা হেসে মনে মনে বলল,
আঘাত করে হয়তো নিজেই কেঁদে কেঁদে ভাসিয়েছে। তীব্র এরপর চোখ বুলায় রিদির ঠোঁটে।এই ঠোঁটে কি নেশা আছে?আছে বোধহয়!!নয়তো এতো আকৃষ্ট হবে কেন? নেশাগ্রস্তদের মতো একদম ডুবে গেছিল ও ওষ্ঠ জোড়ায়। তীব্র হাসল আবারো গভীর মনোযোগ দিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো।
হালকা গোলাপি রাঙা চিকন ঠোঁট জোড়া ফাঁক হয়ে রয়েছে।নিচের ঠোঁটে ঠিক কালো তিলের কাছে কামরের কালো দাগ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।যা রাতে তারই দেওয়া চিহ্ন।
আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ১২
তীব্র বৃদ্ধ আঙ্গুল দিয়ে নিচের ঠোঁট টা ছুইয়ে দিল। অদ্ভুত এক শিহরণ খেলে গেল তার সর্ব শরীর জুড়ে।মাথা ঝিমঝিম করছে নেশা লাগছে। তীব্র আরো একটু কাছে সরে গেল।রিদির উপর আরো খানিকটা ঝুকতেই নাকে এসে বারি খেল নেশাক্ত ঘ্রাণ! তীব্র প্রান ভরে ঘ্রাণ টা নিজের মাঝে টেনে নিল। অজান্তেই মুখ এগিয়ে চুমু দিল ঠোঁটের সেই জায়গায়।মনে পড়ল কাল রাতের ঘটনা।সবটা ভেবে তীব্র মুচকি হাসল।বিরবির করে বলল,
নেশাময়ী মায়াবতী!!আমার নেশাময়ী!আমার মায়াবতী! শুধু আমার!আমার!আমার……