আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ১৪

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ১৪
ইশিকা ইসলাম ইশা

সময় তখন সকাল গড়িয়ে বিকেল বা সন্ধ্যা। এই সময়ে সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠে তুলতুলে নরম বিছানায় বসে আছে রিদি।মাথা ভীষণ ভার হয়ে আছে। অতিরিক্ত কান্নার ফলে মাথাও ধরেছে খুব। পিটপিট করে চোখ খুলে আবারো বন্ধ করে ফেলছে। মাথার যন্ত্রণায় ইচ্ছে করছে মাথাটা কেটে ফেলতে।মাঝে মাঝে তার মাথায় এমন যন্ত্রণা হয়। অনেকক্ষণ মাথায় পানি দিলে কমে আসে।রিদি বেড থেকে নেমে দুহাতে মাথা চেপে ধরে। বাথরুমের উদ্দেশ্য দু কদম হাটতেই মনে হচ্ছে শক্তি শেষ।মাথা ঘুরছে!রিদি মাথা ঘুরে পড়তেই একটা শক্ত পোক্ত হাত এসে তাকে জরিয়ে ধরলো। ক্ষিপ্ত মেজাজে বলল,

বেড থেকে নেমেছেন কেন?? শরীর মাত্রাতিরিক্ত দূবল। প্রেসার লো! নিজের তো বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই।
রিদি চমকে উঠে পিটপিট করে তাকালো তীব্রর দিকে। মাথায় তীব্র যন্ত্রণার পরেও তীব্রর নীলাভ চোখজোড়া দেখে ফ্যালফ্যাল করে চাইল। তীব্র রিদিকে এভাবে তাকাতে দেখে ঝট করে কোলে তুলে মুচকি হেসে বলল,
আমাকে খেয়ে ফেলবেন নাকি??
রিদি সম্মোহিত কন্ঠে বলে,
কি সুন্দর নিলাভ চোখ!
তীব্র বাঁকা হাসল।রিদিকে বেডে বসিয়ে বলল,
আমি পুরোটাই সুন্দর!চাইলে টেষ্ট করতে পারেন! ইউ ওয়ানা টেষ্ট মি??
রিদির চট করেই যেন হুস ফিরল। নিজের বল কথায় নিজেই আহাম্মক এর মতো রইল! কি নির্লজ্জ কথাবার্তা!!তীব্র!!মানে তীব্র চৌধুরী তার সামনে!পরপর সবটা মনে হতেই রিদি আবারো ভয়ে পিছিয়ে গিয়ে গুটিয়ে নিল নিজেকে। তীব্র কিছু না বলে উঠে খাবার নিয়ে এসে বসল রিদির কাছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

হা করো!!
রিদি হা তো করল তবে খাবার খাওয়ার জন্য না। বিস্ময়ে হা করল। তীব্র সেদিকে তোয়াক্কা না করে খাবার মুখে দিয়ে ইশারায় খেতে বলল।রিদির মনে হচ্ছে সে এখুনি আক্কা পাবে।মানে তীব্র চৌধুরী কিনা তাকে খাইয়ে দিচ্ছে। তীব্র চৌধুরী!! তবে মায়ের পর অন্য কেউ তাকে খাইয়ে দিচ্ছে।তাও সে কি না তীব্র চৌধুরী।
রিদির চোখে পানি ছলছল করছে। তীব্র তা দেখে বিরক্ত হয়ে ধমমক দিয়ে বলে,
খাচ্ছেন না কেন?
রিদি তীব্রর ধমক খেয়ে ভাত চিবুতে লাগল।তবে অদ্ভুত ভাবে এই মুহূর্তে তীব্র কে সে ভয় পাচ্ছে না। কাঁপাকাপি ও করছে না।বরং অদ্ভুত এক ভাললাগা কাজ করছে।হয়তো অনেক বছর পর কেউ ওর কেয়ার করছে তাই।এই কেয়ার টুকুই যেন মূহুর্তের মধ্যেই তীব্রর প্রতি ভয় ভুলিয়ে ভাললাগার সৃষ্টি করল।

মানুষ নাকি আঘাতে আঘাতে শক্ত হয়। তবে রিদির মতো কিছু মানুষ যারা এতো আঘাত সহ্য করেও শক্ত হতে পারেনা।এরা নরম আর ভীতু হয়।একটু কেয়ারে যেমন গলে যায়।এবার একটু রাগারাগি করলেই ভয়ে ভীত হয়। আবার এরাই একটা সময় কঠিন হয়ে উঠে!এই যে এতদিন যাকে জমের মতো ভয় পেয়ে বার বার ঙ্গান হারিয়েছে।আজ তার সামান্য টুকু কেয়ার সব ভয় দূর করে ভালোলাগা সৃষ্টি করছে।রিদি খেতে খেতে দেখল তীব্র নামক সুদর্শন পুরুষ কে। অতিরিক্ত ই সুন্দর এই পুরুষ।সাথে এটিটিউড বলার বাইরে।এই যে শাটের হাতা গুটানো মার্জিত ভাবে নিজে হাতে ভাত মেখে তাকে খাইয়ে দিচ্ছে সেটারো আলাদা স্টাইল।কালো শার্ট পড়ছে যার ফলে কিলার একটা লুক এসেছে।আজ চুল গুলো গুছিয়ে সেট করা নাই বরং এলোমেলো ভাবে কপালে লেপ্টে আছে। এলোমেলো চুলে আজ তীব্র কে মনে হচ্ছে বেশি সুন্দর লাগছে।

আমাকে কি সত্যি আপনার খেতে ইচ্ছে করছে??আমি কি লোভনীয়??
রিদি হচকচিয়ে চোখ সরিয়ে নিল। ধুকধুক করে কাঁপছে বুক। লজ্জায় লাল হয়ে গেল গালগুলো।মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে রইল। তীব্র রিদিকে এভাবে লজ্জা পেতে দেখে ফিক করে হেসে দিল।রিদি চোখ তুলে দেখল না সেই হাসি।যদি দেখত তো বেহাইয়া হয়েও তাকিয়ে থাকত তীব্রর দিকে। কিন্তু আফসোস দেখা হলো সেই হাসি। তীব্র একটু পর অবারো বলল,
আমাকে আপনার লোভনীয় লাগছে কি না??তবে এমন লজ্জায় লাল হলে টমেটো ভেবে খেয়ে ফেলব এতে কোন সন্দেহ নেই!!
রিদি তীব্রর কথায় আরো লজ্জা পেল।কয়েক ঘন্টা আগেও যাকে জমের মতে ভয় পেল আর এখন তার কথায় লজ্জা পাচ্ছে।

রিদির খাওয়া শেষ হতেই তীব্র হাতে ওষুধ ধরিয়ে দিল।রিদি বিনা বাক্য ব্যয়ে ওষুধ খেয়ে চুপচাপ বসে রইল।তখন চারদিকে মাগরিবের আজান দিচ্ছে।রিদি আজানের ধ্বনি শুনে আশেপাশে তাকালো। এতক্ষণ এখানে থাকলেও আশেপাশে তাকানো হয় নি।তাকাবে কিভাবে একটার পর একটা চমক আজ পাচ্ছে শুধু।
বিশাল একটা রুম।সাদা রঙের রুমটার সব ই আধুনিক যুগের জিনিসপত্র।বিশাল খাট খাটের দুই পাশে দুটো বেড টেবিল। একপাশে বিশাল দেওয়ালের পুরোটাই আলমারি। আলমারির পাশে একটা টেবিল। সেখানে আছে ল্যাপটপ আর কিছু ফাইল।আলমারির এক পাশে একটা স্ট্যান্ড সেখানে ঝুলছে সাদা একটা এপ্রোন। দরজায় পাশে রয়েছে সোফা সেট সামনে ট্রি টেবিল।আলমারির অপজিটে পুরুটাই পদা দেওয়া।রিদি চিনতে না পেরে মিনমিন গলায় বলল,
আমি কোথায়??

তীব্র হাত ধুয়ে এসে বলল,
তীব্র নিবাসে!!
রিদি চমকে উঠল। তীব্র নিবাস!!মানে ঐ যে ব্যাকানো বিল্ডিং!! এখানে তো তীব্র কাউকে এলাউ করে না।সে এখানে কি করছে?রিদি মনে মনে সব ভেবে চটপট বিছানা থেকে নেমে দাড়াই।রিদিকে এভাবে নামতে দেখে তীব্র বিরক্ত হয়ে কিছু বলার আগেই লাবিব নক দেয়!!
তীব্র বিরক্ত ভঙ্গিতে বলল,
কি হয়ছে? কি সমস্যা??
লাবিব ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
বস রুপ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে।হাতের রগ কেটে ফেলেছে!
তীব্র বিরক্ত হয়ে বলল,
আমি কি করবো??

লাবিব না চমকালোও রিদি চমকে তাকালো তীব্রর দিকে।রুপ আত্মহত্যা করেছে এটাই রিদিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।আর তীব্রর কথায় রিদি অবাক হয়ে গেছে।কত সহজে বলে দিল আমি কি করব!! রিদি এদিক ওদিক না তাকিয়ে সোজা ছুটতেই তীব্র খপ করে ওর হাত ধরে নিজের কাছে এনে কটমট করে বলল,
আপনি কোথায় যাচ্ছেন??
রিদি কাঁপা কাঁপা গলায় থেমে থেমে বলল,
আপু…রুপ আপু…!!
তীব্র বিরক্ত হয়ে বলল,
তো আপনার কি?নিজে আগে সুস্থ হোন!
রিদি তীব্রর আচরনে কেঁদে উঠলো,
আপু!আপুর কাছে যেতে দিন!!
তীব্র আবারো বিরক্ত হয়ে বলল,
যেতে হবে না! রেস্ট করুন!আমি যাচ্ছি!
রিদি বাচ্চাদের মত জেদ ধরে বলল,

আমিও যাব!আপনি ডক্টর কে কল করুন!ছাড়ুন!!আপু!!রিদি ডুকরে কেঁদে উঠলো।
রিদিকে কাঁদতে দেখে তীব্র হয়তো নরম হলো।রিদির দু গালে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছিয়ে বলল,
ওকে ফাইন! কাঁদবেন না!!আমি বলছি কাঁদবেন না!
লাবিব রুপালি কে চিলেকোঠায় নিয়ে যা!
আপুকে হসপিটালে নিয়ে চলুন!চিলোকোঠায় কেন?
তীব্র মৃদু হেসে আবারো রিদির চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলল,
আসুন!!

রিদির হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে তীব্র চৌধুরী বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলো।সিড়ি বেয়ে নেমে তীব্র নিবাসের মধ্যে দিয়েই হাঁটতে লাগল তবে চৌধুরী বাড়ির ভেতরে না গিয়ে বাগানের শেষ মাথা পেরিয়ে চিকন সুরঙ্গ দিয়ে কিছুদূর হাটতেই লিফট এর মতো কিছু একটা সামনে এলো।ওটাই ঢুকতেই লিফট উপরে উঠে গেল।একমিনিট যেতেই দরজাও খুলে গেল।রিদি অবাক হয়ে তাকাতেই দেখে সামনে একটা দরজা।দরজায় ঢুকতেই ইমার্জেন্সি অপারেশন রুমের মতো সকল যন্ত্র পাতি দেখে রিদি চমকালো।তীব্র ওকে রুমের বাইরে বের করতেই দেখে এটা চিলেকোঠার সেই রুমটা।আর রুমেই উপস্থিত হল লাবিব।লাবিবের কোলে রুপালি। রুপালি কে দেখেই রিদি ডুকরে কেঁদে ওঠে। রুপালির তখনো হুস আছে।

লাবিব রিদিকে দেখে বলে,
ভাবি বাইরে গিয়ে দাঁড়ান প্লিজ!!
কিন্তু আপু!!
বস আছে দেখবে!
রিদি অবাক হয়ে তাকালো। তীব্র কি করবে?
তবে জিঙ্গাসা করা হলো না। রিদি ধীর পায়ে বাইরে আসতেই দেখে সবাই ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে।রিদি চিলেকোঠার ঘর থেকে বের হতেই “ঠাসসস ঠাসস”করে পর পর থাপ্পড় এ মাথা ঘুরে উঠল রিদির!এমনিতেও জ্বরের কারণে শরীরে দূর্বলতা প্রবল।তার উপর পরপর কয়েকটা থাপ্পর।
রাগে রিরি করতে করতে রাইফা চেঁচিয়ে উঠলো,

অসভ্য! শয়তান! কালনাগিনী মেয়ে! রাক্ষসি তুই আমার মেয়ে কে খেয়ে ফেলতে চাইছিস!!কি ক্ষতি করেছিল তোর!বল কি ক্ষতি করেছিল তোর! তোর মতো দু টাকার মেয়ে কে বোনের মর্যাদা দিয়েছিল আমার মেয়ে!বোনের মতো ভালোবেসেছিল তোকে।আর তুই কি করলি??কি করলি তুই ওকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলি! প্রমাণ করে দিলি তো তুই তোর মায়ের মতোই স্বার্থপর!তোর মা আমার ভাইকে যেমন মৃত্যুর মুখে ঠেলে চলে গেছিল তুই আজ আমার মেয়েকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিস! আমার মেয়ের কিছু হলে তোকে আমি ছাড়ব না!খুন করে ফেলব!!
রিদি গালে হাত দিয়ে বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে।গালটা ভীষণ জ্বলছে!এতো গুলো কথা তার মাথায় ভো ভো করে ঘুরছে।
এই রাক্ষুসে মেয়ে এই বল কি দিয়ে তীব্র কে বশ করেছিস?কালো জাদু করেছিস তাই না!বাপের মতো কালো জাদু জানিস তাই না!তোর মাঝে কি আছে হ্যাঁ কি আছে??কেন তীব্র তোকে পছন্দ করবে?রুপের মতো সুন্দরী মেয়েকে কেন তীব্র রিজেক্ট করবে? নিশ্চয় কোন জাদু করেছিস! বল কি করেছিস বলল!! রাইফা রাগে হিতাহিত ঙ্গান হারিয়ে রিদিকে ধাক্কা দিতেই রিদি ছিটকে পড়ল ফুলের টবের কাছে!
নাজমা চৌধুরী এবার আর চুপ থাকতে পারলো না।রিদির কাছে গিয়ে দেখ কপাল কেটে রক্ত বের হচ্ছে! নাজমা চৌধুরী রেগে বলল,

রাইফা পাগল হয়ে গেছো??
হ্যাঁ হ্যাঁ পাগল হয়ে গেছি! আমার রুপের কিছু হলে এই মেয়েকে আমি জীবিত রাখব না!
এতে ওর কি দোষ! তীব্র কখনোই রুপ কে বোন ছাড়া অন্য নজরে দেখে নি। তাছাড়া রিদি এখন তীব্রর বৌ!
তীব্র কখনো এই বিয়ে মানত না আম্মা! তীব্র শুধু তিশার কথা রাখতে এই মেয়েকে বৌ করে এনেছিল।ওকে ওর বাপের ওই জেল থেকে বের করে এনেছিল!ব্যাস এর বেশি কিছু না! কিন্তু এই মেয়ে ছলে বলে কৌশলে তাকে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়েছে!না হলে রুপের মতো সুন্দরী মেয়ে কয়টা আছে!তাকে রেখে কেন এই মেয়ের প্রতি এত দরদ আপনার নাতির!!এরা শুধু অন্যর টা কেড়ে নিজের করে নিতে পারে আম্মা!
তিরা চৌধুরীর কথায় নাজমা চৌধুরী বিরক্তিকর কন্ঠে বলল,

তুমি তো চুপ ই থাকো তিরা!
তিরা চৌধুরী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।রাগে গজগজ করতে করতে বলল,
কেন চুপ থাকবো?? আমার সংসার আমার সন্তান কেড়ে নিতে পারে আর আমি বলতে পারব না!!
নাজমা চৌধুরী কিছু বলার আগেই খেয়াল করল রিদি হাত পা ছেড়ে পড়ে আছে।রিদি বেহুঁশ হয়ে পড়েছে।নাজমা চৌধুরী রিদিকে কয়েকবার ডেকেও ঙ্গান ফিরাতে পারল না। বাসায় আর কোন পুরুষ নেই। তীব্র ইমার্জেন্সি রুমে আর লাবিব!! হ্যাঁ লাবিব!!লাবিব কে কয়েকবার ডাকতেই লাবিব হচকচিয়ে বের হয়ে আসে।সে চিলেকোঠার ঘরেই ছিলো।ভেতরে তীব্র আছে।দাদির চিৎকার শুনে বের হতেই দেখে রিদি ঙ্গানহীন ফ্লোরে পড়ে আছে কপাল কেটে রক্ত পড়ছে যা নাজমা চৌধুরী আঁচল দিয়ে চেপে আছেন। লাবিব কে দেখে নাজমা চৌধুরী তাড়া দিয়ে বলল,
রিদি কে কোলে তুলে রুমে নিয়ে চল লাবিব!!ওর কপাল ফেটে গেছে!চলদি কর!!
লাবিব হচকচিয়ে একবার রিদি তো একবার দাদির দিকে তাকালো!

সরি দাদি!ভাবি কে টাচ করা মানা!! মানে বস!!
নাজমা চৌধুরী অবাক হয়ে বলল,
কেন আগে তুই ওর বিপদে ওকে কোলে তুলিস নি!!!
লাবিব না বোধক মাথা নাড়াল!
প্রথম দিন বস ই ভাবিকে রুমে রেখে এসেছিল!!
আর সেদিন পার্টির দিন ও বস ই ভাবিকে সোফায়!!

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ১৩

নাজমা চৌধুরী অবাক হয়ে তাকালো।তবে রিদিকে এখন এখানে ফেলে তো আর রাখতে পারবে না।তাই জোৎস্না খালা আর দাদি মিলে রিদিকে কোন মতে চিলেকোঠার রুমে নিয়ে শুইয়ে দিল।এরপর কপালে ব্যান্ডেজ করে দিল।রিদির মায়াবী মুখখানার দিকে তাকিয়ে দেখল মুখটা শুকিয়ে একটু হয়ে আছে! নাজমা চৌধুরী সব ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ১৫