আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৬

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৬
ইশিকা ইসলাম ইশা

তীব্রর এমন নির্ভীক আচরনে এদিকে দুইজন মুরব্বি একে অপরের মুখের দিকে চেয়ে চেতে উঠল,
_দেখ দেখ এই পোলার লাজ লজ্জা কিছু নাই!!এমন পোলা জীবনে দেখিনি।বেলহাজ!!
_দেখছ দেখছ একে তো অকাম কুকাম করছে তার উপর আবার ভাব খানা দেখ!!!
তীব্র এসবে তোয়াক্কা না করে রিদিকে টেনে নিয়ে এলো মিজা বাড়ির প্রাঙ্গনে। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ উপস্থিত ছোট খাটো একটা জটলা বেঁধে আছে। চারদিকে মানুষ জনে ভর্তি।রিদি তীব্র কে দেখে সবার মধ্যে শোনা গেল গুঞ্জন।তীব্র সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখল কেবল।এক হাতে রিদির হাত ধরে অন্য হাতে ফোনে কিছু টাইপিং করে রেখে দিল।তার ভাবখানা এমন যেন কিছু হয়নি।অথচ তার ধারনা নাই কি হবে!! সুন্দর মতো রিদির হাত টেনে এনে আরো কাছে নিয়ে এলো।

রিদি তীব্রর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু তীব্র দিচ্ছে না শক্ত করে চেপে ধরে আছে।এতো মানুষ আর সবার দৃষ্টি তাদের দিকে।রিদি এতো মানুষ দেখে অস্থিরতা আর ভয়ে আরষ্ট হয়ে আছে।একদিকে এই তীব্র চৌধুরী কে নিয়ে ভয় অন্য দিকে এতো মানুষের সামনে এভাবে দাড়িয়ে থাকা।
এদিকে রিদি আর মজনু কে একসাথে এইভাবে দেখেই সবার আগেই আমেনা বেগম ফুঁসে ওঠে বলল,
_দেখছেন মেয়ের কান্ড!!কি অধঃপতন হয়েছে এই ম্যাইয়ার!সব রাইখা একজন চাকরের লগে ফষ্টিনষ্টি করছে।বাপের ইজ্জতও এই ম্যাইয়া রাখল না।তোর বাপ রে অল লাগা আলিশা দেইখা যাক মাইয়্যার নোংরামি !!
আলিশা মায়ের কথায় সাই দিয়ে বলল,
_এই জন্যই তো ওর বর ওরে রেখে গেছে আম্মা!!আরে চৌধুরী বাড়ির মতো ওমন বড়োলোক বাড়ির বৌ হওয়ার যোগ্যতা নেই ওর! ছিঃ ছিঃ এতো অধঃপতন হয়ছে!!
একজন মহিলা,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

_শরীরের জ্বালা স্বামী দিয়ে মিটে নাই।যে পরপুরুষের সাথে এসব ছিছি!!
_হের লাগি তো কই ম্যাইয়া বিয়া হওনের পর এইহানে থাকে ক্যা? স্বামী নিশ্চয়ই রাইখা গেছে….
_বিয়াও হুনছি এক রাইতে হয়ছে!! দাওয়াত ও দেয় নি।ম্যাইয়্যার কুকর্ম ঢাইকা বিয়া দেওন লাগছে মনে হয়!
_হের লাগি তো চুপেচাপে বিয়া হইছে!!
_দেইখা তো মনে হয় ভাজা মাছ উলটে খেতে পারে না।
_কাইল্লা মাইয়া কেডাই আর রাখবো!এহন সবাই তো সাদা চাই।হের লাগি বর ও রাইখা গেছে!!
গ্রামের মানুষের এমন কথায় রিদির চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।নিজের ব্যাপারে এতো নোংরা কথা শুনে নিজেকে শক্ত রাখা দায় হয়ে পড়েছে ।তীব্রর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে এবার কেঁদে উঠলো।এতোদিন মানুষ এই নোংরা কথাগুলো আড়ালে বললেও এখন কথাগুলো মুখের সামনে বলছে।রিদির কান্না দেখেও তীব্রর কোন ভাবাবেগ নেই।সে চুপচাপ রিদির হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
একজন মহিলা লতিফা বেগমকে দেখে বলল,
কি গো লতিফা বুবু!! নাতনির এসব ফষ্টিনষ্টি চোখে পড়ছে না বুঝি! কিছু কইছ না কেন??এমন নোংরামি শিখাইছো নাকি!!

রিয়া তেড়ে আসতে চেয়ছে অনেক আগেই কিন্তু লতিফা বেগম বলছে চুপচাপ দেখতে থাক। এবারো রিয়া কিছু বলার আগেই লতিফা বেগম একবার তীব্রর দিকে চেয়ে বলল,
_লাগাম লাগাও গো মুখে! আল্লাহর ওয়াস্তে তোমরা মুখটা ঠান্ডা কর!এতো ফরফর করছ তোমরা!ভয় ডর রাহো!! পরিস্থিতি ভালা না!আমার কতা হুনো!!
_সত্যি কথা বলতে কিসের ভয়!আর পরিস্থিতি বা কি?
লতিফা বেগম কথা বাড়ালেন না হামি তুলে বলল,
এই রিয়া যা তো একটা চিয়ার নিয়া আই।খাড়াই খাড়াই পা ব্যাথা করতাছে!এগো বুঝাইয়া লাভ নাই!এই সিন বহুত রাত অব্দি চলবো মনে হইতাছে!যা যা চিয়ার নিয়া আয়।
দাদির কথায় রিয়া আর পুত্রবধূ রাবেয়া কিংকতব্যবিমুঢ়!!
রাবেয়া বরাবরই শান্তশিষ্ট মহিলা।কথা খুব কম বলে। শাশুড়ি আর স্বামীকে ভীষন শ্রদ্ধা করে।মনটা একদম পবিত্র।তবে এই পরিস্থিতি দেখে তিনি মিনমিন করে বলল,

_আম্মা কিছু মনে নিবেন না।হয়তো কোন ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।আপনি গিয়ে একটু বোঝান!!রিদিতা এমন মেয়ে না।
_হুনো বৌমা এরা হলো লাথের ভুত বাতওসে নেহি মানগে!!কথাটা বলার পরপরই রিয়ার উদ্দেশ্য বলল,
এই রিয়া হিন্দি কি ঠিক কইবার পারছি!!রিয়া দাদির ব্যবহারে কি বলবে ভেবে পেল না।সে শুধু ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।এতো কিছুর পরেও দাদির ব্যবহার তাকে ভাবাচ্ছে।না নিজে কিছু বলছে না তাকে কিছু বলতে দিচ্ছে।
আমেনা বেগম লতিফা বেগমের এমন হেয়ালি কথায় ব্যাঙ্গ করে বলল,
নাতনির কান্ডে আম্মা মনে হয় শকড খাইছে…..
লতিফা চরম বিরক্তি প্রকাশ করে বলল,
কতার মধ্যে বাতা ভরো কেনে তুমি!!তুমি রিদিরে ছাইরা নিজের কতা ভাবো হেনি একটু।আ….
লতিফা বেগম আরো কিছু বলার আগেই একজন মহিলা বলল,
কি যুগ আইলো রে…..

এই কেউ ওর স্বামীরে কল দাও।কও আসতে!!বৌয়ের বিচার হইবো হেই ও থাকবো!!
আলিশা ফট করেই বলে,
ওর স্বামী আর আসত না।বলছি কি এই চাকরের সাথেই বিয়া দিয়া দিন!চাকরের চাকরানী হওয়ার যোগ্যতাই আছে ওর।
কি কস মাইয়া!হের তো তালাক হয় নি!হয়ছে নি??
আলিশা মুখ ভেংচি কেটে বলে,
ওর স্বামী ইহজন্মে আর খোজ নিত না।এই চাকরের লগে ধরা পড়ছে এই চাকরের লগেই বিয়া দিন।আলিশার কথা শেষ হতেই হতদন্ত হয়ে ছুটে এলো আঙ্গিনায় পুরুষটি,
“”একদম ঠিক!!প্রথম বার আপনার কথা গুলো ভালো লাগলো মিসেস যাইহোক!!এই এই !!সব নিয়া ভেতরে আসো!””

মিরের বলার সাথে সাথেই ৫টার মতো মিনি ট্রাক ঢুকল বাগানের দিকে।সেখানে খানা রান্নার জন্য বড় বড় হাড়ি, পাতিল,চামচ, ওয়ান টাইম প্লেট,গ্লাস,খুন্তি সহ যাবতীয় রান্নার সব কিছু আছে।অপর ট্রাকে বস্তা বস্তা করে চাল,মাছ,মাংস,সবজি,ইত্যাদি আরো কিছু রয়েছে।আর রান্নার জন্য কাজ করছে ঢাকার বিখ্যাত সেফ।সবার চেহেরা দেখে বোঝাই যাচ্ছে তাদেরকে কিভাবে আনা হয়েছে।যদিও রাত ১১-১২টা ঢাকা শহরে রাত বেশি না। কিন্তু মানুষগুলো আছে ভয়ে আর আতঙ্কে।মির ওদের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে গ্রামবাসীর দিকে তাকালো। সবার আহাম্মক এর মতো হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে বলল,
গ্রাম বাসী আপনারা একদম চিন্তা করবেন না।আজই দুইজনের বিয়ে দিব!আপনারা আগের স্বামীর সাথে ডিভোর্স নিয়ে একদম চিন্তা করবেন না।আমি আছি না!মির আলী! এডভোকেট মির আলী!!নো সমস্যা! ডু ফুর্তি!তাছাড়া চেয়ারম্যান সাহেবের ম্যাইয়ার বিয়ে খাইতে পারেন নাই!!আহারে!কতোই আফসোস!থাক গ্রাম বাসি আফসোস করিয়েন না।আজ পেটপুরে খাবেন।আয়োজন করা হয়েছে বুঝলেন।আজকে বিয়ের রাজভোগ খেয়েই তবে বিদায় হবেন।

এরপর বিরবির করে বলল,
আজ তো বহুত কিছু হওয়ার আছে! আল্লাহ বাচ্চা মেয়েটাকে ধৈর্য দিও!!
এই কে আছিস দুটো চেয়ার আন!!বসতে দে ওদের!!চেয়ার দিতেই তীব্র থপ করে বসে পড়ল চেয়ারে।রিদিকে টেনে নিজের কাছে এনে কোলে উপর বসিয়ছ শক্ত দু হাতে কোমর জরিয়ে ধরে ধীর কন্ঠে বলল,
“”ছটফট করে না জান!! চুপ করে বসে থাকুন।এই মুহূর্তে আপনার ছোঁয়াই পারে রক্তারক্তি থেকে বাঁচাতে””
এতগুলো মানুষের সামনে এভাবে বসাই রিদি ছটফট করলেও তীব্রর কথায় ভয়ে ডুকরে কেঁদে উঠে বলল!
ছাড়ুন প্লিজ!!
তীব্র আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলল,
ছাড়তেই তো পরব না জানবৌ! আপনি আমার থেকে দূরে সরলে,আপনার ছোয়া এই মূহূর্তে না পেলে আমি মির্জা বাড়িতে উপস্থিত সব কটাকে টুকরো টুকরো করতে দুবার ভাববো না।যে মুখ দিয়ে আমার বৌ কে নিয়ে নোংরা কথা বলছে সেই মুখ চিরতরে বন্ধ করতে বেশি সময় লাগবেও না আমার।আপনার ছোয়াই আপাতত আমাকে শান্ত রেখেছে।নয়তো….

ইউ নো মি…..
রিদি তীব্রর দিকে তাকিয়ে দেখল চোখ গুলো লাল টকটকে হয়ে আছে।রিদি এতোক্ষণ বাহাদুরি দেখালেও তীব্রর দিকে তাকিয়ে এবার ভয় পেল।
আমতা আমতা করে বলল,
দেখুন ওরা জানে না আপনি আমার…….
তীব্র চটপট বলল,
হ্যাঁ আমি আপনার??কি??
রিদি হচকচিয়ে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
কেউ না!!!
তীব্র রিদির কথায় সামান্য হাসল।বিরবির করে বলল,
কিন্তু আপনিই আমার সব!!রিদি শুনতে পেল না তীব্রর শিকারক্তি তবে সবার সামনে এভাবে কোলে বসায় অস্থিরতা সৃষ্টি হলো।

এদিকে তীব্র রিদিকে নিজের কোলে বসাতেই আবার সেই সুর ভেসে এলো। তিক্ত কথার সুর।
_দেখছো দেখছো এই পোলার কান্ড!! আল্লাহ গো আল্লাহ!!এমন পোলা জীবনে দেখি নি!!
_ছি !!ছি জলদি জলদি বিয়া পড়াইয়া দাও!!পাপ মুক্ত হোক!!
মির রান্নার আয়োজন করে আসতেই দুইটা মহিলার কথায় কিছুটা ঘাবরে গিয়ে মনে মনে বলে,
খাইছে রে….এই পোলা খেপলে পুরো গ্রাম শ্বশানে পরিনত করবে।
আরে আরে আন্টি সব হবে সব আপনি চিন্তা করবেন না।বিয়ে হবে বরযাত্রী আর ব্যান্ড বাজা আসবে না তা হয়!!অপেক্ষা করুন বরযাত্রী রাস্তায় আছে এই এলো বুঝি!!ওদিকে রান্না চড়াইছে বুঝলেন।১-২ ঘন্টায় সব ফিনিশ।
_কি‌কও পোলা!!!এত্তো রাইতে বিয়া…..
_নাতো!!মধ্য রাত্রে বিয়া…..ভোর হইতে হইতে বিদায়….
জোস না ব্যাপারটা!
_কি কও??এত্তো রাইতে বিয়া কেমনে সম্ভব!!
_মির বিরবির করে বলল,
তীব্র চৌধুরীর ইচ্ছে হলে সবই সম্ভব!!
আরে আরে চাপ নিয়েন না।সব সম্ভব!! আপনারা এতো ভালো একখান কাজ করেছেন।যে কি আর বলব!!
এদিকে রিদি মিরকে বিয়ের কথা বলতে দেখে আর অবাক হল না।আর কতোই অবাক সে হবে।তবে চারদিকের এতো প্যারা আর দুশ্চিন্তায় রিদি মাথা ঘুরছে।কি হচ্ছে আপাতত এসব ভাবতেই মাথা চিনচিন করছে। আবারো সেই অসুস্থতা ঘিরে ধরছে। মস্তিষ্ক ক্লান্ত লাগছে।

রাত তখন বাজে ১টার কাছাকাছি।শ শ করে পরপর ৫টা গাড়ি এসে থামলো মিজা বাড়ির ভেতরে।
প্রথম দুটো গাড়ি থেকে নেমে এলো গাড।পরের দুটো গাড়ি থেকে নেমে গাড।এসেই তাদের দায়িত্ব অনুসারে পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলল। এরপর মাঝের গাড়ি থেকে নেমে এলো নাজমা চৌধুরী।পড়নে অফ হোয়াইট কালারের দামি শাড়ি।চোখে চশমা পাসোনালিটি বেশ।সবাই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে দেখল নাজমা চৌধুরীকে। নাজমা চৌধুরী নামতেই মির বলল,
ওয়েল কাম দাদি মা।নাজমা চৌধুরী মির কে দেখে বলল,

এসব কি হচ্ছে মির?কার বিয়ে?এতো রাতে এভাবে ডাকার কারন কি!আর রিদি! ও কোথায়??কি হয়েছে ওর??
মির নাজমা চৌধুরীর একের পর একটা কথায় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে হাতের ইশারায় দেখালো রিদিকে!!নাজমা চৌধুরী মিরের ইশারা অনুসরণ করতেই নজরে এলো রিদিকে। বিশাল বাগানের একটা কুড়োঘরের সামনে চেয়ারে রিদি একজনের কোলে বসে আছে। ঘুমন্ত অবস্থায় হেলে আছে কারো বুকে।আর সেই মানুষটি রিদিকে দুহাতে আগলে ধরে বুকে চেপে আছে।ঠিক ঘুমন্ত বাচ্চা কে যেভাবে কোলে বসাই সেইভাবেই বসিয়ে রেখেছে।আর ঠিক তাদের সামনে পড়ে আছে মধ্য বয়সের একজন ব্যাক্তি।নাজমা চৌধুরী আবাক হয়ে দেখল চারপাশ।মনে হচ্ছে পুরো গ্রাম এখানে উপস্থিত। একপাশে জরসর হয়ে দাড়িয়ে আছে প্রায় ১০০ জনের অধিক মানুষ।তবে সবাই নিশ্চুপ!
কি হচ্ছে এখানে??

গ্রামের সব মানুষ এতো রাতে এখানে কি করছে?আর রিদি কার কোলে বসে আছে ওভাবে!! তীব্র দেখলে বা ওর কানে পৌঁছালে টুকরো করে ফেলবে ওকে মির!! তীব্র কোথায়??আর এরা সবাইইবা এখানে জড় হয়ে আছে কেন??
মির ফুস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
আপনার মনে হয় দাদী তীব্র ছাড়া ওর বৌ কে এভাবে কেউ ছুতে সাহস করবে!!
নাজমা চৌধুরী হতভম্ব হয়ে বলল,
মানে??
তীব্র ই রিদিকে জরিয়ে ধরে আছে।মজনু বেশে বসা লোকটা তীব্র!!
কি????
জি!!!
তুই আমাকে পাগল পেয়েছিস মির?? তীব্র এমন বেশে এখানে কখনো আসবে??
মির একটা নিঃশ্বাস ফেলে তাকালো তীব্রর দিকে।সে চুপচাপ বৌ কে জরিয়ে ধরে বসে আছে।যেন আপাতত বৌ ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই তার নজরে আসছে না।একটু আগেই পুরো গ্রামের হৈচৈ ঠান্ডা করেছে।হৈইচৈই করা ,গাল মন্দ দেওয়া মানুষ গুলো এখন ভয়ে একদম চুপসে আছে।
কি হচ্ছে এখানে মির বলবি কিছু??

মির শুরু থেকে সবটা বলা শেষ করতেই নাজমা চৌধুরীর মাথা ঘুরে উঠল। আশ্চর্য হয়ে তাকালো তীব্রর দিকে।দাড়ি মুচে ঘেরা মুখখানা দেখে চিনতে বেগ পোহাতে হলো। সেদিন রিদিকে বাড়ি থেকে বের করার পরে নাজমা চৌধুরী রিদির সাথে কোন যোগাযোগ করে নি।কারনটা ছিল তীব্র!নাজমা চৌধুরীর যোগাযোগ আবার ছোট মেয়েটার জীবন ঝড় না বয়ে আনে তাই আর যোগাযোগ করা হয়নি।

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৫

তাছাড়া বাড়ির পরিস্থিতিও ছিল অস্বাভাবিক।সেদিনের পর তীব্র আরো বেপরোয়া হয়ে উঠল।একদম যোগাযোগ বন্ধ করে দিল।নাজমা চৌধুরী চারদিকের টেনশনে হসপিটালাইজ ও ছিল কিছুদিন।তবে তীব্রর এখানে আসার কারনটা নাজমা চৌধুরীর কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হলো না। সামান্য কারনে তীব্র কখনোই এই বেশে এখানে আসবে না।তবে কি কারন???নাজমা চৌধুরী হতভম্ব হয়ে একটা চেয়ার টেনে সেখানেই বসলেন।এই ছেলে তাকে একদিন হ্যাট এটাক দিয়েই মেরে ফেলবে….

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৭