আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৮

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৮
ইশিকা ইসলাম ইশা

রিদির ঘুম ভাঙল তখন রাত বাজে ২:১০।পিট পিট করে চোখ মেলতেই নাকে এসে বারি খেল কড়া পারফিউমের ঘ্রাণ।ভালোভাবে চোখ মেলে মুখটা তুলতেই দেখা মিলল তীব্র চৌধুরীর।দাড়ি মুচে ঘেরা মুখখানা এখন আর নেই।মানে মজনু মিয়া নামক সুঠামদেহী সুশ্রী চেহারার পুরুষ এখন তীব্র চৌধুরী!
রিদি তীব্র কে দেখে হা হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সবটা মনে করতেই তড়িঘড়ি করে উঠতেই তীব্র বিরক্ত হয়ে বলল,

_এতো ছটফট করছেন কেন?
রিদি তীব্রর কথায় তাকাল ওর দিকে এতো দিন পর তীব্র কে তীব্র রুপে দেখে হা হয়ে তাকিয়ে দেখল শুধু! অতিরিক্ত সুন্দর পুরুষ সে। ছেলেদের এতোটা সুন্দর হওয়া উচিত না। মজনু মিয়া হিসেবে তীব্র কে কখনো বোঝা যেত না তার দাড়ি মুচের কারনে আর চোখও ছিল না নীলাভ বর্ণের। হয়তো লেন্স পড়া ছিল।
তবে তীব্রর দাগহীন ফর্সা চেহারায় মোটা ভ্রু ,সরু নাক,ব্লু আইস ,গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি , এলোমেলো ঘন চুল।এক দেখাই ফিদাহ হওয়ার মতোই সুন্দর এই পুরুষ!যেন বিদেশি কোন সুপারস্টার!
_এভাবে দেখছেন যে!আম আই লুকিং হট!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রিদি তীব্রর কথায় হচকচিয়ে উঠে আমতা আমতা করে আশেপাশে তাকালো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখল তখনকার মতোই প্রতিটি মানুষ এখনো এখানে আছে! আবার খাবারের গন্ধে মৌ মৌ করছে চারদিক।
রিদি হতবাক, হতবুদ্ধি হয়ে আবারো চারপাশে তাকালো।মিজা বাড়িতে শ খানেক মানুষ তবে পরিবেশ একদম নিশ্চুপ নিরব!কেন??কথাটা মস্তিষ্কে আসতেই ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল মির্জা বাড়ির বারান্দায় বসে আছে নাজমা চৌধুরী!রিদি নাজমা চৌধুরীকে দেখে অবাক হয়ে তাকালো।চারদিকে আলো থাকলেও এখন যে রাত সেটা জানে রিদি।এই রাতে নাজমা চৌধুরী এইখানে!!!রিদির ধারনা নাই কয়টা বাজছে!ঘুম থেকে উঠেই একেরপর এক ঝটকা পাচ্ছে সে।রিদি নাজমা চৌধুরীর থেকে নজর সরিয়ে আবারো তাকালো তীব্রর দিকে।তীব্রর হাতে ফোন দেখে ছো মেরে ফোনটা নিয়ে সময় দেখল ২টা বেজে ১৫ মিনিট।রিদি হতবাক, হতভম্ব,হা হয়ে আবারো আশেপাশে তাকালো!সেই সন্ধ্যা থেকে রাত এখন ২:১৫ সবাই এখনও এখানে!!
রিদির এতো এতো শকড্ পাওয়ার মাঝেই উপস্থিত হল নাজমা চৌধুরী।রিদির গালে হাত রেখে মোলায়েম কন্ঠে বলল,

ঘুম কেমন হলো??হুম?আমার নাতিকে বিছানা বানিয়ে ভালোই ঘুমালেন আপনি??
রিদি ড্যাবড্যাব করে নাজমা চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে ওনার কথা বুঝার চেষ্টা করল! মস্তিষ্ক নাজমা চৌধুরীর কথা বুঝতেই আবারো আরো একটা শকড্ খেল অবাক হয়ে তাকাল তীব্রর দিকে। তীব্র বাঁকা হেসে চোখ টিপে বলল,
আমার ঘুমপরী!ঘুম ভালো হয়েছে?হয়েছেই হয়তো! স্বামীর বুকে ঘুমালে নাকি ঘুম ভালো হয়!
রিদি ভরকালো! মানে সে এতো গুলো মানুষের সামনে এতোক্ষণ ঘুমিয়েছে!এটা কিভাবে সম্ভব??এতো মানুষ অথচ রিদি কারো শব্দ পায়নি!এটা আদোও সম্ভব!! তাছাড়া সবাই এতো রাত অব্দি এখানে কি করছে?
তীব্র রিদির হতভম্ব হয়ে যাওয়া মুখখানা দেখে স্মিথ হেসে বলল,
আমাদের বিয়ের অতিথি এরা সবাই!
এতক্ষণ পর এবার রিদি মুখ খুলল,

মানে??
তীব্র আড়মোড়া ভেঙে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল,
মানে কিছুক্ষণ পর আমাদের বিয়ে!ওরা সেই বিয়ের সাক্ষী হিসেবে থাকবে!!
কিহহহ???
তীব্র আর উওর করল না।হাতের ইশারা করতেই লাবিব ছুটে এলো।সাথে আছে দুজন মেয়ে আর বড় একটা লাগেজ!!
বৌ সেজে আসুন!একটু পর আমাদের বিয়ে!
রিদি হচকচিয়ে বলল,
আমি আপনাকে বিয়ে করব না!!
তীব্র রিদির কথায় কোন রিয়্যাক্ট করল না।
আপনি আমাকে বিয়ে না করলেও চলবে….
কারন বিয়ে তো আমি আপনাকে করব!!আপনি করেন আর আমি করি কথা তো একটাই….
তীব্রর আজগুবি কথায় রিদি আহাম্মক এর মতো তাকালো ওর দিকে। তীব্র সেদিকে তোয়াক্কা না করে বাম হাত টা ডান হাত দিয়ে মালিশ করতে করতে বললো।

গো ফাস্ট!!
আপনি শুনেন নি!! আমি করব না আপনাকে বিয়ে।
তীব্র ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
কারন জানতে চাইছি না। চাইবোও না।তবে আপনি এখুনি রেডি না হলে… বলেই রিদির একদম কাছাকাছি এসে রিদির দিকে ঝুকে ফিসফিস করে বলল,
আমি নিজ হাতে এই গ্রাম শ্বশানে পরিনত করব!এন্ড আই মিন ইট!!
রিদি তীব্রর ঠান্ডা হুমকিতে কিছুটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেল,
দেখুন আ প……..
দেখবো!দেখতেই হবে!সব দেখব!আগে বিয়ে টা করি।বলেই চোখ টিপ মারলো।
রিদি তীব্রর এমন কথায় শুকনো ঢোক গিলে একবার তীব্র তো একবার দাদির দিকে তাকালো।নাজমা চৌধুরী তীব্রর কথায় মুখ টিপে হাসছে।রিদি নাজমা চৌধুরীর হাসি দেখে খানিক টা মিইয়ে গিয়ে বলল,
আমি আপনাকে বিয়ে করতে চায় না!
তীব্রর এতোক্ষণ ধরে রাখা ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙ্গল।চট করেই রিদির বাহু ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

ধৈর্য্যর পরিক্ষা নিচ্ছিস?? হ্যাঁ??নাটক করছিস আমার সাথে?তোর নাটকের ধার ধারি আমি?
শক্ত করে চেপে ধরায় রিদি ব্যাথায় চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নেয়।
ছাড়ুন!লাগছে!!
তীব্র আরো শক্ত করে ধরে বলল,
লাগুক!আমারো খুব লাগছে তোর কথা!!৩ বার বলেছিস!৩ বার বলেছিস বিয়ে করবি না!এই!এই জানের মায়া নাই তোর!আমাকে না বলছিস! আমাকে!সাহস আসছে কোথায় থেকে?কলিজা বেশি বড় হয়েছে? হ্যাঁ???আই সয়ার বৌ আমার ধৈর্য্য পরিক্ষা নিস না।নয়তো তোর বাপ শুদ্ধ সবাইকে উপরে পাঠাবো আমি ।
রিদি হুট করেই তীব্র কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে কান্না মিশ্রিত রাগী গলায় বলল,
মেরেই ফেলুন! তবুও আমি আপনাকে বিয়ে করব না।কি পেয়েছেন কি আপনারা আমাকে!! আমাকে কি মানুষ মনে হয় না!

কথাটুকু বলতেই যেন হাঁপিয়ে উঠল রিদি। চোখের পানি টপটপিয়ে পড়তে লাগল।সব মনে পড়তেই কষ্টে বুকটা ভার হয়ে এলো।রিদি জোরে জোরে কয়েকবার নিঃশ্বাস নিয়ে আবারো বলল,
হুট করেই একদিন এসে সব লন্ডভন্ড করে বিয়ে করলেন। বিয়ে করার পরেরদিন ই ডিভোর্স চাইলেন!দূর দূর করা কুকুরের মতো ব্যবহার করলেন। এরপর হুট করেই আপনার মন চেঞ্জ হলো তখন বৌ বৌ করে মাথায় তুললেন। আবার আপনার মন চেঞ্জ হলো আমাকে ফেলে গেলেন মিজা বাড়িতে। আবার আপনার মন চেঞ্জ হলো ছন্মবেশে এলেন!আর এখন পুরো গ্রামের মানুষের সামনে বিয়ে বিয়ে নাটক শুরু করছেন।
আপনার মুডের উপর ডিপেন্ড করে কি আমাকে ব্যবহার করবেন!!যখন ইচ্ছা হলো কাছে টানবেন যখন ইচ্ছা হলো দূরে সরিয়ে দিবেন।আজ সবার সামনে বিয়ে করবেন কাল বলবেন তোকে আমার আর ভালো লাগছে না। আবারো আমাকে ডিভোর্স দিবেন।কারন আপনি তো তীব্র চৌধুরী!আপনি তো সব করতে পারেন!রাতকে দিন,দিনকে রাত সব!!

আসলে না!! আলিশা আর ওর মা ঠিকই বলে আমার কোন যোগ্যতা নেই চৌধুরী পরিবারের বউ হওয়ার।সবার মতো আমি তো আর সুন্দর না। রুপ নেই আমার!না আছে আপনাদের মতো মানসিকতা!
কথাটুকু শেষ করতেই তীব্র স্বাভাবিক আর ঠান্ডা স্বরে বলল,
আর কিছু বলবি?হয়েছে তোর!!
তীব্রর এমন নির্লিপ্ততা দেখে রিদি তাচ্ছিল্য হাসল,
আমার যা বলার বলে দিয়েছি আমি কর…………..
রিদি সম্পন্ন কথা শেষ করার আগেই তীব্র রিদিকে টেনে নিয়ে গেল ছোট্ট সেই কুটিরে।রিদি ঘরে ঢুকতেই চমকে উঠলো।কারন চেয়ারে সাথে বাঁধা অবস্থায় বসে আছে রওনাফ মির্জা।পাশে দুইজন বডিগার্ড বন্দুক তাক করে আছে তার দিকে!রিদি একবার তীব্র তো একবার রওনাফ মির্জার দিকে তাকালো।কিছু বলার আগেই তীব্র বলল,
আর একবার যদি বলবি,”বিয়ে করবি না ।।।তো!! দুই পাশ থেকে দুইটা গুলি ব্যাসসসস…….এর বেশি কিছুই করব না।

রিদি কান্নাভেজা অসহায় দৃষ্টিতে রওনাফ মির্জার দিকে তাকালো।যে মানুষটা তাকে নিজের বাবার চেয়েও বেশি ভালোবাসেছে!!আর আজ তার জন্যই রওনাফ এর এই অবস্থা।রিদি রওনাফ মির্জার অবস্থার জন্য শতভাগ নিজেকে দায়ী করেছে।সে জানে তীব্র কতোটা জেদি, রাগী, অহংকারী, হিংস্র তা ধারনা আছে।রিদি নিজের অসহায়ত্বে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো।
কেন এমন করছেন আপনি?প্লিজ চাচুকে ছেড়ে দিন!আপনি যা বলবেন আমি শুনব!
তীব্র যেভাবে এনেছিল ঠিক সেভাবেই বাইরে এনে বলল,
ওদের সাথে যান!ওরা সাজাবে আপনাকে!
রিদি ছলছল দৃষ্টিতে একবার তীব্রর দিকে তাকিয়ে হাঁটতে শুরু করল। তীব্র রিদি যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল,
আপনাকে ছাড় দিয়েছি জান, ছেড়ে দিই নি।আপনাকে ছেড়ে দেওয়া যে সম্ভব না।শত চেষ্টার পরেও আমি ব্যর্থ আপনাকে ছাড়তে!আপনি ছাড়া চলবে না আমার! ছোট্ট ঐ বুকের মাঝে যত মেঘের ঘনঘাটা রয়েছে আমি সব মুছে দিব জানবৌ! আই প্রমেস!

মির্জা বাড়ির প্রাঙ্গণে বসেছে দাওয়াত।
বিয়ের এমন দাওয়াত আদো কখনো কেউ খেয়েছে কি না সন্দেহ!! পৃথিবীতে মনে হয় তীব্র চৌধুরীই প্রথম যে রাত ৩টা বাজে মানুষকে ঘুমাতে না দিয়ে বন্দুক তাক করে জাগিয়ে রেখেছে তার বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার জন্য।গ্রামের মানুষকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে এনে গান্ডেপিন্ডে গিল্লাচ্ছে।খেতে না চাইলে বন্দুক তাক করে খাওয়াচ্ছে।মির একবার খাবার টেবিল বসা মানুষ গুলো দেখল সবাই খাচ্ছে।কেউ ভয়ে,কেউ লোভে,কেউ মজাদার সুস্বাদু খাবার দেখে।মির সবার এমন মজা নিয়ে খাওয়া দেখে।সবাই মোটামুটি খাবার খাচ্ছে।সেই সন্ধ্যা থেকে সবাই বড়ো সর একটা সিনেমা দেখছে খিদে পেয়েছেই হয়তো।
মির নিজেও গান্ডেপিন্ডে গিলছে। বেচারা কম তো আর পরিশ্রম করে নি।এইতো সেই সন্ধ্যায় তীব্রর ম্যাসেজ পেয়ে ছুটে এসেছে।এরপর একের পর এক আয়োজন চলছে তার উপর দিয়ে। তাছাড়া এমন মধ্যরাতে বিয়ে খাওয়া ব্যাপার টা কমবেশি দারুন।

মিরের খাওয়ার মাঝেই কেউ একজন ধপ করে বসল মিরের পাশের চেয়ারে।মির সেদিকে না তাকিয়ে খাচ্ছে।যেন কঠিন পরিশ্রম করার পর কেউ তাকে কিছু খেতে দিয়েছে।
“এই সময় তো বাসর করার কথা কিন্তু এই ছেলে তো এখনো বিয়েই করতে পারল না”
কারো কথা মিরের কানে আসতেই মির খেতে খেতে বলল,
ওনি তীব্র চৌধুরী ব্রো…কোনকিছুই অসম্ভব না।এই ধরেন মধ্যে রাতে বিয়ে,বিয়ের ১০ বছর পর বাসর,বাসরের পরের দিন ডিভোর্স,তারপরের দিন উধাও… বলা বাহুল্য..কোন ভাগ্য যে ওমন মায়বি কন্যা পেল!!হাহ‌ !! সবই কপাল আবার…….

হঠাৎ পাশে তাকাতেই চমকে উঠে বললো,
তুই??????তুই কোই থে টপকালি!!!
তীর নিজের চুল হাতের সাহায্যে ব্রাশ করতে করতে বলল,
সুইজারল্যান্ড!!
মির অবাক হলেও আবারো খাওয়ার প্রতি মনোযোগ দিয়ে বলল,
সুই ফুটাই দিয়া, জার বানাইয়া,যে ল্যান্ড হয় সেই ল্যান্ড!!!
তীর মিরের এমন গাঁজাখুরি কথায় ধুম করে কিল বসালো মিরের পিঠে।মির চটে গিয়ে বলল,
সালা আমার খাইতাছি দেখতাছোস না!!
তীর মিরের কথা তোয়াক্কা না করে স্টাইল মেরে বসে বলল,
আমার বোন নেই সালা হলাম কিভাবে ওকিল মশাই!!
মির বিরক্ত হয়ে বলল,
ধুর বাল জ্বালাতন করিস না তো!!
তীর একটু কেশে সিরিয়াস হয়ে বলল,
গান্ডেপিন্ডে গিল্লছিস কেন?থাম হয়েছে অনেক খেয়েছিস!!
মির খেতে খেতে বলল,

সালা একদম নজর দিবি না!দূর হ…..
তীর মিরের প্লেট কেড়ে নিজে খেতে খেতে বলল,
কষ্ট পাস না!সি ইজ নট ইউরস!!
মির কিছু বলতে গিয়েও বলল না।পানি খেয়ে চুপচাপ তাকালো দূরে বসা তীব্রর দিকে।গোপনে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
আমি কষ্ট পাই নি!!
সেই জন্যই বুঝি এভাবে খাবার গিলছিলি!!আই নো ইউ ব্রো!!
মির নিজেকে সামলে নিতে নিতে বলল,
ও কখনো আমার ছিলোই না।তাই না পাওয়ার কষ্ট হচ্ছে না।সে তীব্রর কাছেই সবচেয়ে ভালো থাকবে! এন্ড আই নো “হি নিডস হার”

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৭

তীর মিরের পিছে চাপর মেরে বলল,
সালা আরো পছন্দ করো দুইজনে সেম সেম…..
এই ভাবি কি অধিক নাকি ভীষণ সুন্দর রে?
মির উঠতে উঠতে বলল,
উহু!! সুন্দর না!! পুরো মানুষটাই একটা মায়ার রাজ্য!!

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৯