আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৯
ইশিকা ইসলাম ইশা
দিন থাকতে পৃথিবী তপ্ত গরম ছড়ালেও রাত বাড়তেই যেন আবহাওয়া শীতল হয়ে যাই। বিশেষ করে গ্রামে।গাছপালায় ঘেরা সবুজ পরিবেশে শীতলতা আরো বেশিই হয়। আর শীতল শান্ত গ্রামীণ পরিবেশে গ্রামের মানুষের ঘুমও বেশ ভালোই হয়।এই সময় সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে।তবে আজ রয়েছে ভিন্নতা। গ্রামীণ পরিবেশ যে সময় একদম শান্ত থাকে,নিশিডাক আর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া কোন কিছুই শোনা যায় না।আজ সেই পরিবেশের সবার মাঝে রয়েছে ভিন্নতা।
মির্জা বাড়ির প্রাঙ্গণে রাত বাজে ৩:২০ এই সময়ে চলছে দুনিয়ার সবচেয়ে আশ্চর্য বিয়ে! সন্ধ্যা থেকেই একের পর এক ঘটনা চলছে অনবিরত!গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ নিজের কপাল চাপড়াচ্ছে “কেনই বা তারা ঐ মুখপুরি আলিশার কথা শুনে কিছু যাচাই না করেই এতো কাহিনী ঘটালো!! আবার কিছু সংখ্যক মানুষ জীবনে প্রথম এমন বিয়ে করতে দেখে খুব মনোযোগ সহকারেই দেখছে,কেউ হিংসায় জ্বলছে,কেউ তীব্র কে দেখে ফিদাহ হয়েছে,কেউ কটু কথা শোনাচ্ছে,কেউ বিয়ের দাওয়াত মানে খাওয়া দাওয়া বেশ ইনজয় করছে।একেক মানুষের একেক রকম অনুভুতিতে ভরপুর মিজা বাড়ির প্রাঙ্গণ।সবাই এটা ওটা নিয়ে ফিসফিস করছে। কিন্তু সবার ফিসফিসানি থেমে গেল তীব্র চৌধুরীকে কথায় তাকে আসতে দেখে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“কাজি সাহেব বিয়ে শুরু করুন”
কথাটা বলতে বলতে ছোট্ট সেই কুটির থেকে বের হয় তীব্র। পড়নে ব্ল্যাক পাঞ্জাবি ফর্সা শরীরে কালো পাঞ্জাবি মারাত্বক ভাবেই ফুটে উঠেছে তীব্রর গায়ে। সুঠামদেহী গঠনে পারফেক্ট পাঞ্জাবি।তার উপর তীব্র চৌধুরী লুক।উফফফ!!! পুরাই কিলার টাইপ লুক।সবাই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে তীব্রর দিকে!তাকাবেই বা না কেন!!লাগছে তো একদম সেই।মনে হচ্ছে কোন মডেল!
“আই হায়!!রিদিতার বর দেহি পুরা বিদেশিদের লাহান!!”
“কি ভাগ্য কইরা আইছে পৃথিবীতে!!এমন বর,ঘর পাওয়া কি মুখের কথা!!”
“এর জামাই তো চাঁন্দের লাহান!!”
“যাই কও!!পোলা দেহি মেলাই সুন্দর!!”
“রিদিতার স্বামী কি বিদেশি নাকি!!এমন নীল নীল চোখের মনি!!”
“এমন সুন্দর পোলা!! তই এতো ভয়ংকর কেন??”
তীব্রর কানে সবার কথাগুলো আসলেও সে এসে চেয়ারে বসতে বসতে ভু কুঁচকে একপলক ঘোমটার আড়ালে থাকা রিদিকে দেখল।কাজি ততক্ষণে ভয়ে ভয়ে বিয়ে পড়ানো শুরু করেছেন।তিনি হইজন্মে এই সময় বিয়ে পড়ান নি।কাজি কে বন্দুক তাক করে একপ্রকার তুলে এনেছে লাবিব তাই বেচারা ভয়ে আছে!কাজি সাহেব তীব্রর কথায় বিয়ের লেখালেখি শেষ করে বিয়ে পড়ানো শুরু করতেই তীব্র হাতের ইশারায় কাজি কে থামতে বলে।কাজি বেচারা অসহায় দৃষ্টিতে একবার তীব্রর দিকে তাকায়।তার জানা মতে লেখালেখিতে সে কোনই ভুল করে নি।তাহলে !!
এদিকে তীব্র থম মেরে কিছুক্ষণ বসে থেকে হুট করেই রিদির গলা চেপে ধরে বলল,
কে তুই???
হঠাৎ তীব্রর এমন অভিব্যাক্তি দেখে সবাই তাজ্জব বনে গেল।রিদি ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করছে কিন্তু তীব্র রেহাই দিচ্ছে না দেখে নাজমা চৌধুরী রেগে বললেন,
ওকে মেরে ফেলবি নাকি তীব্র!!ছাড়ড়ড়……..
লতিফা বেগম আশ্চর্য হয়ে বলল,
এসব কি তীব্র!!ছাড়ো ওকে!মরে যাবে!!
তীর,লাবিব হচকচিয়ে ছুটে এলো স্টেজ এ তীব্র কে আটকাতে। কিন্তু তারা কিছুতেই তীব্র কে থামাতে পারছে না।হুট করেই এমন কিছু হবে কেউ আশা করে নি।সবাই মিলে তীব্র কে কোন মতে সরাতেই তীব্র আরো হিংস্র হয়ে উঠল! ততক্ষণে মেয়েটার অবস্থা বেগতিক।নাজমা চৌধুরী রিদির ঘোমটা সরাতেই চমকে উঠলো,
আলিশা……………..
তীব্র ক্ষিপ্ত হয়ে গজে উঠল,
রিদি কোথায়???
তীব্রর হিংসের মতো গর্জনে কেপে উঠল পুরো মিজা বাড়ি। ইতিমধ্যে গাড খোঁজাখুঁজি শুরু করেছে রিদিকে।এদিকে তীব্র হিংস্র বাঘের মতো আলিশার চুলের মুঠি ধরে উঠিয়ে ছিটকে ফেলল নিচে। আলিশার অবস্থা তখন করুন।আমেনা বেগম ছুটে এসে মেয়েকে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠে বার বার মাফ চাইছে ।কিন্তু তীব্র সে কি শুনবে!!সে শোনার মতো অবস্থায় আছে!!রেগে কাঠের চেয়ার তুলে আলিশাকে মারার জন্য উঠাতেই কারো ডাকে থেমে গেল,
“অপ্রিয় রাক্ষস মশাই”
তীব্র সহ সবাই অবাক হয়ে তাকালো পেছনের দিকে,
ভারি খয়েরি একটা ল্যাহেঙ্গা পড়ে বধু সাজে দাঁড়িয়ে আছে রিদিতা।রিদিতাকে দেখে সবাই প্রান ফিরে পেল। এদিকে লাবিব সুযোগ বুঝে তীব্রর হাত থেকে চেয়ার নিয়ে নিল।রিদি ভারি ল্যাহেঙ্গা তুলে দৌড়াতে গিয়ে কাঁচা মাটির উঁচুনিচু রাস্তায় ধপ করে পড়ল!পড়ার সাথে সাথেই হু হু করে কেঁদে উঠতেই তীর,লাবিব ছুটে গেলেও তীব্র চুপচাপ দাঁড়িয়ে রিদির দিকে তাকালো।
তীর রিদির কান্না করা মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল,
ভাবি !!আপনি তো বাচ্চা!একদম কিউট এর ডিব্বা!!হাহ এতো কিউট কেন আপনি?মায়া টায়া কি আছে বুঝছি না।তবে টানা টানা চোখ আপনার!উফফ হায়ে….নজরকারা সুন্দর! কান্নায় আপনাকে পুরো স্ট্রবেরি আইসক্রিম লাগছে!!
রিদি তীরের কথায় কান্না ভুলে আহাম্মক এর মতো ড্যাবড্যাব করে তাকালো।
হু???
লাবিব হতভম্ব হয়ে গেল।এমন সিচুয়েশনেও কেউ এমন তারিফ করতে পারে তীর কে না দেখলে বিশ্বাস করত না। লাবিব চিন্তিত মুখে বলল,
ভাবি আম্মা আপনার লেগেছে কোথাও!!
রিদি এতোক্ষণ আহাম্মক এর মতো তীরের কথা শুনলেও ব্যাথার কথা মনে হতেই আবারো কাঁদতে কাঁদতে মাথা নাড়িয়ে না বুঝাতেই নজর এলো আলিশার রক্তাক্ত করুন অবস্থা!!রিদি ভয়ে ভয়ে একবার তীব্রর দিকে তাকালো। শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও রিদির কাছে মনে হচ্ছে স্বয়ং আজরাইল দাঁড়িয়ে আছে!
ভাবি চলুন! আসুন! তীব্র ওয়েট করছে!
রিদি ভয়ে ভয়ে বলল,
আমি যাব না!!
তীর,লাবিব হচকচিয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলল,
কোথায়?? কোথায় যাবেন না?
রিদি ভয়ার্ত কন্ঠে বলল
ওনার কাছে??
লাবিব হতাশ হয়ে বলল,
ভাবি আম্মা আপনি যদি ভাইয়ের কাছে না যান তো ভাই আবারো রেগে যাবে!!
রিদি কাঁদতে কাঁদতে বলল,
ওনি আমাকে মারবে!!
লাবিব হতভম্ব হয়ে থেকে মনে মনে ভাবল,
এই তো কিছুক্ষণ আগেও তীব্রর মুখের উপর কতো কথাই না বলল। তীব্র চৌধুরীর সাথে উচ্চ স্বরে কথা পর্যন্ত বলল।তখন ভয় পায় নি!!এখন ভয় লাগছে!
তীর নিজেও কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। কিন্তু রিদির বাচ্চা বাচ্চা মাসুম চেহেরা দেখে পরক্ষণেই হেসে বলল,
মারবে না আপুমনি।আপনি কি কোন ভুল করেছেন?ভুল না করলে মারবে না।
রিদি হয়তো তীরের কথা বিশ্বাস করল না।কারন সে তো জানে তার অপ্রিয় রাক্ষস মশাই কেমন?
লাবিব দীর্ঘশ্বাস ফেলে একবার তীব্রর দিকে তাকালো। মূর্তির মতো সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। এমন শান্ত হাবভাব মোটেও ভালো লাগছে না দেখে বিরবির করে বলল,
আল্লাহ আজকের সময়টুকু জলদি পার করে দাও!আমিন আমিন আমিন!!
তীর রিদিকে তবুও বসে থাকতে দেখে হতাশ হয়ে যেই কিছু বলতে যাবে। তখনি তীব্র স্টেজ থেকে নেমে কয়েক পা এগুতেই রিদি চট করে উঠেই দৌড় দিল।তীর, লাবিব সহ সকলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকালো ওদের দিকে।
তীব্র রিদি কে দৌড়াতে দেখে গলা উঁচিয়ে চিন্তিত মুখে বলল,
এই পড়ে যাবি আবার!থাম…..
রিদি দৌড়াতে দৌড়াতেই বলল,
বিশ্বাস করুন” অপ্রিয় রাক্ষস মশাই” আমি কিছু করিনি। আলিশা আপু আমাকে রুমে আটকে রেখে এসেছিল। আমাকে মারবেন না প প্লিজ….
তীব্র কিছু বলার আগেই তীর উত্তেজিত হয়ে রিদির সাথে দৌড়াতে দৌড়াতে বলল,
ভাবি এই “অপ্রিয় রাক্ষস মশাই “কি তীব্র!!
তীব্র তীরের কথায় বিরক্ত হয়ে বলল,
ইডিয়ট !!তুই ওর সাথে দৌড়াচ্ছিস কেন?বাল জানতে দৌড়াচ্ছিস!ছ্যা…বালের বিয়ে করব আমি!” বালের একটা বিয়েতে এতো কাহিনী!!এই রিদি আর এক পা দৌড়ালে তোকে জনমের দৌড় দৌড়াব বললাম!!
তীব্রর হুমকিতে রিদি, তীর দুইজনেই থেমে যাই!রিদি থেমে পেছনে ঘুরতেই তীব্র কে সামনে দেখে চমকে উঠে দু কদম পিছিয়ে দাড়াতেই তীব্র রিদিকে কোলে তুলে নিয়ে বলল,
সবার হিসাব পরে করব।আগে বিয়েটা হোক!!
রিদি ভয়ে তীব্রর গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
বিশ্বাস করুন “অপ্রিয় রাক্ষস মশাই” আমি কিছু করিনি !আপু হুট করে এসে আমাকে বলল তোর সাথে তীব্র চৌধুরী মানায় না রিদি।বিয়েটা তোর সাথে হবে না বলে……
রিদি পুরো কথা শেষ করার আগেই তীব্র বলল,
তুই কি চাইছিস এই মূহুর্তে আমি তোর বোনকে কবরে শায়িত করি…..
তীব্রর ঠান্ডা হুমকিতে রিদি ভয়ে শুকনো ঢোক গিলল এরপর আর কিছু বলল না। চুপচাপ তীব্রর গলা জড়িয়ে ধরে রইল। তীব্র রিদিকে কোলে নিয়েই বসল চেয়ারে।
“বিয়ে একবারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত থামবেন না কাজি সাহেব।আর তুই!!আগেই ওয়ার্ন করছি কবুল বলা নিয়ে ডং করবি না! ন্যাকামি করে থেমে থেমে কবুল বললে তোকে আমি…….”
রিদি তীব্রর কথা শেষ করতে না দিয়ে ভয়ে চটপট বলল,
কবুল কবুল কবুল……এইভাবেই বলব।
তীব্র ফোস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রিদির কোমর আরো একটু চেপে ধরে চুপচাপ বসল।এদিকে রিদি মাথা নিচু করে তীব্রর গলা জড়িয়ে ধরে বসে আছে। আশেপাশে এতো এতো মানুষ আর তার মাঝে সে এভাবে বসে আছে।যদিও আজকের জন্য এটা আর ম্যাটার করে না তবুও লজ্জা আর অস্বস্তি তো হচ্ছে…….
রিদিকে কবুল বলতে বললে রিদি পরপর তিনবার কবুল বলে থামল। রিদি কবুল বলতেই যেন সবার মুখে হাসি ফুটে উঠল…..
গ্রামবাসীর অনেকে খুশি।তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।জীবনে প্রথম বার দেখা এমন লম্বা বিয়ের সমাপ্তি হল তবে।
রিদি তীব্রর কোলে থেকে নামতে চাইলে তীব্র বিরক্ত হয়ে বলল,
আবার ছটফট করছিস কেন?বাসায় যাব চুপচাপ বসে থাক!
রিদি ফট করে বলল,
বাসায় যাব মানে??
তীব্র বিরক্ত হয়ে বলল,
বসার কি আমি ইহোজন্মে করবো না!!অনেক ছাড় পেয়েছিস!!আর না!!১৮ হয়েছে তোর!এতেই চলবে…
রিদি তীব্র অস্বস্তিতে কেঁপে উঠলো। তীব্র তা টের পেয়ে বলল,
এবার শুরু হোক আমাদের সংসার….
রিদির ভয়ে বুক কেঁপে উঠলো।সংসার!!কথাটা ভাবতেই রিদি ফট করেই নিজেকে ছাড়িয়ে দু হাত পিছিয়ে বলল,
আমি যাব না আপনার সাথে….
যাবি না মানে?এতো খরচাপাতি করে এই মধ্যে রাতে বিয়া করলাম যাবি না মানে কি??
আমি যাব না আপনার সাথে,করব না আপনার সংসার……
তুই যাবি সাথে তোর ঘার ও যাবে….
তো আমার ঘার কেই নিয়ে যান….
রিদি আমাকে রাগতে বাধ্য করবি না!এদিকে আয়….
না আসব না…..
বলেই ভারি ল্যাহেঙ্গা তুলে দৌড়াতে শুরু করতেই
তীব্র নিজেও রিদির পিছনে তেড়ে যেতে যেতে হুমকি স্বরুপ বলল,
বালের দৌড়ান দৌড়াচ্ছিস!!এতো বাল দৌড়ালে আমার মেয়ে আসবে তোর পেটে!!!
দেখ রিদি আমাকে দৌড়াই নিস না আয়….
আসব না….
বাল আসবি না তুই!এই এই এতো খরচা করে তোকে দুবার বিয়ে করলাম কি এখানে রেখে যাবো বলে।
রিদি তবুও দৌড়াতে দৌড়াতে বলল,
আমার আপনাকে ভয় করছে!
রিদি নিজের লেহেঙ্গা তুলে দৌড়াতে লাগতেই তীব্র রিদিকে ঝাপটে ধরে বলল,
ভয় করুক!আমি ভয় ভাঙ্গিয়ে দেব জান!
একজন মহিলা এদের দৌড়াদৌড়ি দেখে কাঁদো কাঁদো অসহায় মুখে বলল,
আর খাড়া হয়তে পারছি না রে রিদিতা জামাইয়ের সাথে চলে যা।তুই না গেলে আমাদের ও রেহায় নাই।
এমন পাগলা জামাই পাওয়া ভাগ্যর ব্যাপার বোইনে!!
গ্রামবাসীর অবস্থা কিছুটা এমন যে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি!!
তীব্র ব্যাপারটা আচ করে বলল,
আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৮
আপনি না গেলে এদের ও রেহাই নেই জান!! তাছাড়া আমার আপনার পারমিশনের প্রয়োজন নেই।বলেই মুখটা তুলে বধূ বেশে রিদিকে দেখে ঠোঁট ছোঁয়ায় কপালে আলতো ভাবে।এরপর নজর গেল রিদির ঠোঁটের দিকে। এদিকে রিদি তীব্রর দিকে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখল শুধু …
তার “অপ্রিয় রাক্ষস মশাই” কে…..