আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৭২
ইশিকা ইসলাম ইশা
কথাটা বলেই তীর সেখানে থেকে চলে যায়।তীর রুপকে পছন্দ করে সেই ছোট্ট থেকেই তবে রুপ ও ছোট থেকেই তীব্র বলতে পাগল।তাই নিজের ফিলিং কখনো জাহির করা হয়নি।
তীর চলে আসার কিছুক্ষণ পরেই তীরের ফোনে কল আসে।তীর রিসিভ করে কানে ধরতেই লাবিব বলে,
ভাই! it’s danger time zone……
তীর কল কেটে স্টেজ এর দিকে আসতেই কারো গোঙানির শব্দ শুনে স্টোর রুমের দিকে এগিয়ে যায়।নিজের গান লোড করে ভেতরে প্রবেশ করতে থ হয়ে যায়। দ্রুত ছুটে এসে জ্যাসন নামক নরপশুকে রুপের উপর থেকে সরিয়ে পাশে রাখা পর্দা রুপের গায়ে জড়িয়ে দেয়।রাগে জ্যাসন নামক নরপশুকে ইচ্ছে মতো মারতে থাকে। কিন্তু লোকটা তাকে ধাক্কা চলে যায়।তীর ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যাসন এর পিছনে যেতেই রুপের গোঙানির শব্দ শুনে রুপের কাছে আসে,
রুপের হাত,মুখ বাধা।শরীর অর্ধনগ্ন। ঠোঁট থেকে চুয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।পড়নে শুধু পেটিকোট আর ইনার। গলায় কামড়ের দাগ স্পষ্ট!তীর কাপা হাতে রুপের বাঁধন খুলতেই রুপ তীর কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠে।তীর গায়ের কোট খুলে রুপকে সেটা জড়িয়ে দিয়ে মাথায় হাত রেখে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
টুকরো টুকরো করে ফেলব রুপ!ভয় পেয়ো না।
এরপর তীব্র রুপকে কোনমতে কোট জড়িয়ে সেখানে থেকে বের করে লাবিব কে কল করে।লাবিব তীর কে স্টেজের দিকে আসতে বলে কল কাট করতেই তীর রুপ কে নিয়ে স্টেজ এর দিকে আসতেই থমকে যায়।কারন ততক্ষণে তীব্র নাজমা চৌধুরীকে ছুড়ি মেরেছে।রুপ এটা দেখে চেঁচিয়ে উঠে বেহুঁশ হয়ে যায়।তীর নিজেও অবাক হয়ে দেখল শুধু। তীর আপাতত এসব সাইডে রেখে রুপ কে নিয়ে খুব সাবধানে সিকরেট রুমের দিকে এগিয়ে গিয়ে রুপকে সেখানে রেখে বেরিয়ে পড়ে।বাইরে এসে তীর জ্যাসন কে তীব্রর দিকে গান তাক করতে দেখে ওর হাত বরাবর শুট করে। এদিকে জোরে জোরে মিউজিক বাজার কারনে অনবরত ছোড়া গুলির শব্দ রিদির কানে পৌঁছায় না।সে জানেই না এখানে রিতিমতো যুদ্ধ চলছে।সে তো তীব্রর বুকে ভারি পেট নিয়ে চোখ বুজে আছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তীব্রর ইশারায় সাদা ধোঁয়া ছাড়তেই তীব্র রিদির আঁচল দিয়ে নিজের মুখ বেঁধে নিলেও রিদি বেহুঁশ হয়ে যায়।চারদিকের চলা তান্ডব সম্পর্কে তার জানা নেই।সে জানলোই না তার আজান্তে তার সামনে তীব্র আজ কি করেছে!সে নিজ হাতে আপন মানুষদের হত্যা করেছে।
জ্যাসন হলো তীব্রর প্রতিপক্ষ মাফিয়া ডন মাইকেল এর ডান হাত।মাইকেল বিভিন্ন ভাবে ছলচাতুরি করে তীব্রর ক্ষতি করতে চেয়েছে। একবার না বহুবার।তবে বারবার সে ব্যার্থ হয়েছে।এরপর রিদির ব্যাপারে জানতেই তীব্র কে দমন করতে রিদির ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তীব্রর দেওয়া কড়া সিকিউরিটি ভেদ করে রিদি পর্যন্ত পৌঁছানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তীব্র সেখানে নিজেই বৌয়ের রক্ষক যেখানে ভক্ষক এর কোন ভুমিকা থাকতে পারে না।
তবে এই অনুষ্ঠানের কথা জানতেই রিদিকে মেরে ফেলার জন্য খুব সুক্ষ্ম ভাবে পরিকল্পনা করে। তাঁদের ধারনা রিদি মানে তীব্রর বৌয়ের কিছু হয়ে গেলে তীব্র ভেঙে পড়বে আর সেই সুযোগে তারা তীব্র কেও মেরে ফেলবে।তবে তারা জানে না মাইকেল যদি ডালে ডালে চলে তো তীব্রর প্ল্যান থাকে পাতায় পাতায়।সে জানত অনুষ্ঠানে হামলা হবে।তাই আগে থেকেই তীব্রর প্রিপারেশন ছিল। সে শুধু অপেক্ষা করেছে খেলা শুরু হওয়ার।
তখন নাজমা চৌধুরী শাড়ির আঁচল থেকে যেই চকচকে চাকুটা বের করেছে রিদিকে মারার উদ্দেশ্য তীব্র অপেক্ষা না করে সেই চাকুই নাজমা চৌধুরীর বুকে ঢুকিয়ে দিয়েছে।এরপর হুলুস্থুল শুরু হতেই মিউজিক বাজিয়েছে।যাতে রিদি এই অবস্থায় এসব কোনভাবেই কোন ধরনের ট্রামার মধ্যে পড়ে।সেতো জানেই না তার আশেপাশে কতো লাশের বন্যা বানিয়ে ফেলেছে তীব্র।সে জানেই না নাজমা চৌধুরী দুনিয়াতে নেই তাকে খুন করেছে তীব্র নিজ হাতে।
বর্তমান,
ভাই লাশ প্যাকিং করা শেষ!
লাবিবের কথায় তীর নিজের ভাবনা থেকে বের হয়ে আসে।একপলক প্যাকিং করা বক্স টা দেখে মৃদু হেসে বলল,
পাঠিয়ে দে!
লাবিব ভূ কুঁচকে তীর কে দেখল।তীরকেও মাঝে মাঝে তীব্রর ক্লোন মনে হয়। তীব্র তো ভয়ংকর!তীর আবার কম সেটা নয়!
জি বস!!
লাবিব বক্সটা নিয়ে যেতেই তীর কল লাগালো রাইমার নাম্বারে।ওপাশ থেকে কল রিসিভ হতেই তীর বলল,
এখন অবস্থা কেমন?
আউট অফ ডেঞ্জার!
ওকে।আম কামিং…….
নতুন দিনের নতুন সকাল।রিদির ঘুম ভেঙ্গেছে কিছুক্ষণ আগে।রাতের কথা মনে হতেই রিদি পাশে শুয়ে থাকা তীব্র কে দেখল।যে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।রিদি তীব্রকে শান্ত হয়ে ঘুমাতে দেখে মুচকি হেসে বলল,
আপনি পাগল মি: তীব্র চৌধুরী!আপনি টোটালি পাগল!বলেই টপাটপ কয়েকটা চুমু দিয়ে উঠতেই তীব্র রিদিকে টেনে রিদির গলায় মুখ গুঁজে ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলল,
হু! শুধু আপনার জন্য!
রিদি মুচকি হাসল।তীব্রর চুলে বিলি কাটতেই তীব্র আরো একটু সেটে গেল রিদির দিকে।
আহহ!!!!
রিদির ব্যাথাতুর কন্ঠে তীব্র লাফ দিয়ে উঠে বলল,
কি হয়েছে বৌ!কোথায় লাগল?সরি সরি আর ধরব না!জোরে লেগেছে? চলুন হসপিটালে………
আরে আরে রিল্যাক্স!!!বলেই তীব্রর হাত পেটে রাখতেই তীব্র অনুভব করল পেটের বাচ্চা নড়াচড়া করছে। তীব্র স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।রিদি তীব্র কে ঘাবড়ে যেতে দেখে বলল,
আপনার বংশধর তো!আগে থেকেই মারপিটের অনুশীলন করছে।
তীব্র কিছু না বলে আবারো রিদির গলায় মুখ গুঁজে দিল।রিদি সাথে সাথে চেঁচিয়ে উঠলো,
আরে এসব কি? ছাড়ুন বলছি!! দেখুন ১০ টা বাজে।উঠতে দিন!
তীব্র ছাড়ল না বরং আরো শক্ত করে ধরে বলল,
রাতে অনেক কাজ করেছি বৌ!এখন ঘুমাতে দিন!
রিদি অবাক হয়ে বলল,
কি এমন কাজ করেছেন??
অনুষ্ঠানে আসা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি!
কিহ?????
কিছু না!বলছি আপনার কি খিদে পেয়েছে??
হু………..
ওকে!বলে সার্ভেন্ট কে কল দিল!!
এবার তো ছাড়ুন! বাসায় কতো মেহমান আছে।এভাবে এতক্ষণ রুমে থাকা ভালো দেখাই না।
বাসায় কেউ নাই!
কেউ নাই মানে??
মানে! মেহমানরা চলে গেছে!বাকিরা সবাই রেস্ট করছে!!
দাদি হয়তো উঠে গেছে!!
নেই!!
কি নেই!!
মানে দাদি নেই।দাদির মায়ের বাসায় গেছে!!
কি??কবে? কখন??
আজ সকালে!!
আমাকে বলেন নি কেন?
আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন!!
রিদি ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে কিছু বলার আগেই দরজায় নক করে কেউ। তীব্র উঠে খাবার নিয়ে এসে রাখে।রিদিকে ফ্রেশ করিয়ে এনে খাবারের সামনে বসায়। তবে রিদির প্লেটে খাবার পরিবেশন করার আগে নিজে সব খেয়ে দেখে নিল।
রিদি তীব্রর কান্ডে অবাক হলেও কিছু বলল না।খাবার খেয়ে রিদি ব্যালকনিতে যেতে চাইলে তীব্র যেতে না দিয়ে রুমেই থাকতে বলল।বাইরে ক্লিনিং এর কাজ চলছে তাই।রিদি বিরক্ত হয়ে চুপচাপ ক্রুস আর সুতা নিয়ে বাবুর জামা বানাতে বসল। তীব্র সেদিকে একপলক দেখে ল্যাপটপ অন করে বসল রিদির পাশে। তীব্র বসতেই রিদি তীব্রর উপর বিরক্ত হয়ে বলল,
আপনাকে আমার ভালো লাগছে না দূরে সরেন!!
তীব্র কিছু বলল না। ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে অন্য সোফায় বসল। বৌয়ের মুড সুইং!হাহ! নতুন কিছু না। খানিকক্ষণ পর নিজেই এসে তার সাথে চিপকে থাকবে!! তাছাড়া আপাতত তার মস্তিষ্কের ম্যারপাচে চলছে অন্যকিছু!!
দেখতে দেখতে ৬ দিন পার হয়েছে। তীব্রর হাত ধরে বাগানে হাঁটছে রিদি।সকালের সিগ্ধ আবহাওয়া শরীরের জন্য উপকারী তাই তীব্র প্রতিদিন সকালে রিদিকে বাগানে হাঁটতে নিয়ে আসে।আগে যদিও নাজমা চৌধুরী তাকে নিয়ে আসত। কিন্তু নাজমা চৌধুরী মায়ের বাড়ি যাওয়ার পর থেকে তীব্র নিয়ে আসে।অফিসেও আজকাল কম যায়। সারাক্ষণ রিদির আশেপাশেই থাকে। বাড়ির পরিবেশ ও অনেক ঠান্ডা হয়ে গেছে।রুপ সারাক্ষণ ঘর কুনো হয়ে বসে থাকে।আগের মতো ফ্রেন্ড, পার্টি এসব থেকে এখন দূরে থাকে।রুপের বাবা মাও কেমন নিশ্চুপ হয়ে গেছে। আয়ান তো নেই ই।কোন কাজে বাইরে গেছে।।রিদি আর অপেক্ষা করতে না পেরে তীব্রর দিকে তাকিয়ে বলল,
দাদি কবে আসবে তীব্র??
তীব্র স্বাভাবিক ভাবেই বলল,
খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে বৌ!!
রিদি মন খারাপ করে বললো,
দাদি মায়ের বাড়ি গিয়ে তো আমাকে ভুলেই গেছে!এবার ফোন ও করে নি।
রিদির মন খারাপ দেখে তীব্র আলতো করে রিদির কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরল।৭ মাসের ভরা পেট নিয়ে রিদির তীব্র কে জড়িয়ে ধরতে সমস্যা হলেও রিদি শক্ত করে ধরে বুকে মাথা রাখল। তীব্র ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে রিদির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।
কেন মেরেছেন দাদিকে??
ক্লান্ত শরীরে রুমে ঢোকা মাত্রই রিদির কথায় ভূ কুঁচকে তাকাল তীব্র। কেঁদে কেঁদে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলা মুখটা দেখে তীব্র এগিয়ে আসতেই রিদি বলল,
কেন খুন করেছেন??
তীব্র শান্ত কন্ঠে বলল,
যেটা চোখে দেখা যায় সেটা সবসময় সত্য হয় না।আমার উপর ভরসা…….
আপনার উপর ভরসা!! এইখানে স্পষ্ট আপনি দাদিকে খুন করেছেন। আপনি খুনি!!
তীব্র রিদিকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসতে চাইলে রিদি চেঁচিয়ে উঠলো,
খবরদার!!আপনি আমার কাছে আসবেনা।ঐ হাত দিয়ে আপনি দাদিকে খুন করেছেন!আপনি খুনি!আমি আপনাকে ঘৃনা করি!!
তীব্র এগিয়ে গিয়েও থেমে যাই।আজানা যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠে ভেতরটা।তবে কি মেয়েটার সমান্য কথাও তাকে ইফেক্ট করে।বাহ…. এইটুকু কথাতেই তীব্র চৌধুরীকে আঘাত করা যায়। তীব্র মনে মনে কথাটুকু ভেবে কোন কথা ছাড়াই ওয়াসরুমে ঢুকে গেল।
রিদি জোরেই কেঁদে উঠলো।চোখের সামনে পাঠানো সেই ভিডিও বার বার ভেসে উঠছে। যেখানে তীব্র নাজমা চৌধুরীকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে।
দেখতে দেখতে পার হয়েছে পুরো ১ টা মাস।রিদি এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। হাঁটাচলায় বেশ কষ্ট হচ্ছে আজকাল।রিদি বারান্দায় হাঁটছে।খোলা বিশাল এক বারান্দা আছে মিজা বাড়িতে।রিদির দাদার আমলের করা।সেখানেই মূলত হাঁটছে রিদি।মুখটা মলিন হয়ে আছে।চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে।ঘুম হয়না অনেকদিন। পড়ন্ত বিকেলে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতেই রুম থেকে বেরিয়ে এসেছে। দোতলায় সে আর লতিফা বেগম থাকছে।
সেদিন তীব্র কে নাজমা চৌধুরীকে মারার কারন জিজ্ঞেস করলেও তীব্র কিছু বলে নি। শুধু বলেছে ওটা নাকি ওনার প্রাপ্য ছিল।এই কথা ব্যাতিত তীব্রকে কোন সাফায় দিতে না দেখে রিদি রেগে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলতেই পেটের ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে।ধীরে ধীরে অসুস্থ হতেই তীব্র রিদিকে হসপিটালে নিয়ে আসে।সবেই সাত মাস তাই কোনভাবেই অপারেশন করানো সম্ভব নয়।এতে অনেক রিস্ক থাকে।আরো একমাস পর সি সেকশন করানো যাবে।
এরপর দুদিন হসপিটালে থেকে রিদি কিছুটা সুস্থ হলেও সে চৌধুরী নিবাসে যাবে না ঠিক করে। তীব্র রিদির সাথে এই অবস্থায় জোরজবরদস্তি করতে চাইনি।তাই কোন কথা ছাড়াই রিদির কথা মেনে নিয়ে তাকে লতিফা বেগম আর বড় চাচার সাথে গ্রামে নিয়ে আসে। সেই থেকে রিদি প্রায় মাস খানেক এইখানেই আছে।
লতিফা বেগম নামাজ আদায় করে বেলকনিতে গিয়ে রিদির মাথায় ফু দিয়ে বলল,
কি হয়েছে শরীর খারাপ করে??
রিদি পেটের দিকে তাকিয়ে বলল,
না!
তই কি মন খারাপ?হোন এই সময়ে মন খারাপ করতে নাই! বাঁচ্চাগো উপর খারাপ প্রভাব পড়ে!!
যার বাবা একজন খুনি।তার উপর ভালো প্রভাব কিভাবে পড়বে দাদি!!
রিদির কথায় লতিফা বেগম কিছু বলল না।রুমে গিয়ে কতো গুলো ফলমূল নিয়ে এসে বললো,
সেই কথা বাদ দে!এইগুলা খা!!দেখ এখন কইবি না ভালো লাগছে না।ভালো না লাগলেও খাইতে হবে।নিজের জন্য না হলেও বাবুর জন্য।তুই কি চাস ওর ক্ষতি হোক??
রিদি আর কথা বাড়ালো না।সে জানে এখন না খেলে লতিফা বেগম তাকে ছাড়বে না।এটা ওটা বলে খাইয়েই ছাড়বে।তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও খেতে লাগল।
তুই যাই ক!!আমার মনে হয় না নাতজামাই কোন কারন ছাড়া এমনটা করবো।
আহহহহ…..
রিদি বিরক্ত প্রকাশ করে বলল,
দাদি ওনার নাম ও তুমি মুখে নিবা না কতোবার বলেছি।
আচ্ছা নিলাম না।রাগিস না তো! শান্ত হয়ে বস।
রিদি কলমার কোয়া মুখে দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে বলল,
পেটের গুলাও বাপের মতো রাজাকার!যেই বাপের নাম শুনবে ওমনি পেটে নেচে কুদে উঠে।অসভ্য লোকের অসভ্য সন্তান।বাপে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করছে সাথে এরা তো আছেই।
লতিফা বেগম একটু হেসে বলল,
তুই যতোই গভে ধর।বাপের ই সন্তান ওরা!
হু.. রাজাকার সবগুলো!
আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৭১ (২)
লতিফা বেগম বাটন ফোনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল। সেখানে তীব্রর কল কানেক্ট করা।
ওরা বাপ কে মিস করছে হয়তো!!!
তো বাপের পেটে ঢুকে যাক! আমার পেটে থেকে এসব চলবে না।
তুই ও তো মিস করছিস!!
রিদি ছলছল চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
না করছি না।একটা খুনিকে আমি কখনো মিস করবো না।
লতিফা বেগম ফোনের দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।লতিফা বেগমের ফোনের সাথে ২৪ ঘন্টা কানেক্ট থাকে তীব্র।
