আমায় রেখো প্রিয় শহরে পর্ব ২৫

আমায় রেখো প্রিয় শহরে পর্ব ২৫
নূরজাহান আক্তার আলো

সব জিনিসপত্র ঠিকভাবে নিয়ে বেরিয়ে এলো রুপক আর কুহু। কুহু তার ট্রলি হাতে নিয়ে আশপাশ দেখছে। চারপাশটা গিজগিজ করছে মানুষে।
কত বর্ণের মানুষ। ধর্মের মানুষ। যে যার ব্যবস্তা নিয়ে ছুঁটছে৷ এই মানব জীবন কেন জানি ছুটতে ছুটতেই যায়। আর একেকজনে ছুটার উদ্দেশ্য একেক রকম। গল্পের গল্প। চাওয়া-পাওয়াও তাই৷

রুপক বোনের হাত ধরে আরো সামনে এগিয়ে এলো। পকেট থেকে তার ফোন বের করে রিদওয়ানকে কল দিলো। কিন্তু রিসিভ হলো না। তখন কুহুর নজর গেল মেরুণ রঙা শার্ট পরা রিদওয়ানের দিকে৷ সে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।কুহু তাক দেখে রুপকের পেছনে লুকাল। কেন জানি লজ্জা লাগছে তার। বোনকে মুখ লুকাতে দেখে রুপক সামনে তাকাল। বন্ধুকে দেখে সে বোনের দিকে একবার তাকাতে কুহু ঢোক গিলে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-‘তোমার বন্ধুও কি আমার সঙ্গে ঘুরতে এসেছে?’
-‘আরে না বোকা। সেই তো আমাদেরকে ঘুরে দেখাবে।’
-‘কেন? আমরা একা একা ঘুরতে পারব না? উনাকে কেন লাগবে?’
-‘ ওই এদেশে থাকে। চেনে জানে। তাই ওই আমাদের ঘুরতে নিয়ে যাবে। গুগল ম্যাপ দেখে আমরা কতটুকু বা দেখতে পারব?’

-‘হুম। কিন্তু আমরা থাকব কোথায়?’
-‘রিদওয়ানের বাসায়। ‘
-‘কিহ্! কিন্তু কেন? হোটেলে থাকি চল।’
-‘এখানকার হোটেলে অনেক ভাড়া। অনেক টাকা খরচ হবে। এরচেয়ে আমরা রিদওয়ানের বাসায় থাকি। হোটেল ভাড়ার টাকাটা দেশে গিয়ে তুই আর আমি ভাগাভাগি করে নেবো,ওকে?’
-‘এটা কোনো কথা বললা তুমি ভাইয়া?’
-‘হুম বললাম তো।’
-‘ ধুর!’

-‘কেন, ওর বাসায় থাকতে কি সমস্যা?’
-‘কেমন জানি লাগছে। ‘
-‘এত কেমন কেমন লাগতে হবে না। অচিন পুরীতে এসে চেনা জানা কারো কাছেই থাকা উচিত। বলা তো যায় না কখন কোন বিপদে পড়ি।
চল রিদওয়ান দাঁড়িয়ে আছে।’
-‘হুম।’

একথা বলে তারা এগিয়ে গেল। রিদওয়ান বন্ধুকে দেখে গালভর্তি হেসে আগে জড়িয়ে ধরল। কুশল বিনিময় করল। বন্ধুর ট্রলিটা নিজের হাতে নিয়ে কুহুকে ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করল। কুহু অস্বত্বি কাঁটা হয়ে জবাব দিলো। তবে বার বার আড়চোখে রিদওয়ানকে দেখতে লাগল। এ দেশে কি চেহারা চকচকে হওয়ার কোনো অদৃশ্য ম্যাজিক আছে নাকি? দেশে থাকতে তো রিদওয়ানকে এত গ্লো করে নি। তাহলে এখন এত শাইনিং লাগার কারণ কি? দুই বন্ধু গল্পে মেতেছে। কুহু মাঝখানে আর তার দুই পাশে ওরা দুই বন্ধু হেঁটে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এলো। গাড়ি পাকিং লটে পার্ক করা। তারা হেঁটে গাড়ি পাকিং লটে এসে গাড়িতে উঠল। কুহু পেছনের সিটে বসল। আর ওরা দুই বন্ধু সামনে। রিদওয়ান ড্রাইভিং সিট লাগিয়ে গাড়ির স্টার্ট দেওয়ার আগে তার ফোনে রিংটোন বেজে উঠল। সে কল রিসিভ করল। তখন ফোনের অপর পাশ থেকে রিমির উচ্ছাসিত কন্ঠস্বর ভেসে এলো,

-‘ভাইয়া! কুহুদের পেলে? ওরা বের হয় নি এখনো?’
-‘পেয়েছি। গাড়িতে আমরা। আসছি।’
-‘তাড়াতাড়ি এসো। কুহুপাখিকে দেখার জন্য মারা যাচ্ছি আমি।’
-‘মারা যাচ্ছো? এ আবার কেমন কথা?’
-‘ও তুমি বুঝবে না? তাড়াতাড়ি এসো। ওয়েট করছি।’
-‘হুম।’

কুহু গাড়িতে বসে জানালার মাথা ঠেঁকিয়ে বাইরে দেখছে। রুপক আর রিদ গল্প করছে। গাড়ি চলছে পিচ ঢালা রাস্তা বেয়ে। পরিষ্কার রাস্তাঘাট। রাস্তা ভিড় নেই। জ্যাম নেই। শব্দ নেই। ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশ। কি সুন্দর ওয়েদার। সে এখানে আসার আগে একা গুগল ঘেঁটে অনেক তথ্য জেনে এসেছে। আর আসার মত বুঝতে পারছে কেন দেশটিকে পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ বলা হয়। যদিও এখনো মনমুগ্ধকর ও সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান স্বচক্ষে দেখে নি। তারপরেও এখানে আসার পর মনে হচ্ছে কোনো ভুল করে নি। হঠাৎ করে রিদওয়ান গাড়ি থামাল। পেছনে ফিরে কুহুকে ডাকল। কুহু চমকে তার দিকে তাকানো মাত্রই আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে কিছু এটা দেখিয়ে বলল,

-‘ওই যে ওইটা একটা হ্রদ। এটা সবুজ পানির হ্রদ।’
কুহু অবিশ্বাস্য চোখে জানালা ঘেঁষে বাইরে তাকাল। একটু দূরে হ্রদ টা। তবে এখান থেকে দেখা যাচ্ছে। সে বিষ্ময় নিয়ে দেখল। সবুজ পানির হ্রদ এই প্রথম দেখছে। কি যে সুন্দর দেখতে! সেই পানিতে পা ভেজাতে বড্ড ইচ্ছে হলো তার। তাই সে এবার আহ্লাদী স্বরে আবদার করল,

-‘রিদ ভাইয়া, আমি ওখানে যেতে চাই, চলুন প্লিজ।’
-‘আগামীকাল যাই? তুমি এখন টায়ার্ড। ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নেওয়া দরকার। আগামীকাল গেলে অনেকক্ষণ থাকতে পারবে। তাছাড়া রিমি তোমার জন্য বাসায় ওয়েট করছে। তাড়া দিচ্ছে তাড়াতাড়ি যাওয়ার। আমার সঙ্গে আসতে চেয়েছিল তারপর কিভাবে যেন পা মচকে ফেলল। এখন চুপ করে বাসায় বসে আছে।’

-‘ ইশ! এখন কেমন আছে রিমি আপু?’
-‘ভালো। তবে হাঁটা চলা নিষেধ।’
-‘তাহলে তো অনেক ব্যথা পেয়েছে।’
-‘তা পেয়েছে।’
-‘ঠিক আছে বাসায় চলুন তাহলে।’
-‘হুম।’

এরপর তারা বাসার পথে রওনা হলো। পনেরো মিনিটের মধ্যে দো’তলা বাড়ির লন সাইডে এসে গাড়িটা থামল। কুহু উঁকি মেরে দেখল। বিশেষ করে দেখল ম্যাপল গাছ। রেইন ট্রি গাছ। এই প্রথম ম্যাপেল গাছ দেখল সে। রুপক নেমে গাড়ির দরজা খুলে বোনকে বের হতে সাহায্য করল।
কুহু গাড়ি থেকে নেমে নরম ঘাসের উপর দাঁড়াল। কদিন ঘাস না কাটার ফলে ঘাসগুলো বড় হয়ে গেছে। এপাশে নাম না জানা সব ফুলের গাছ।
কত রকমের ফুল ফুটে আছে। কেউ খুব যত্ন করে যেনএসব লাগিয়েছে।

ততক্ষণে রিদওয়ান গাড়ি থেকে নেমে ট্রলি নামিয়ে ফেলেছে। কুহু মুগ্ধ হয়ে আশপাশ দেখছে দেখে সে তাদের আসতে বলে আগে আগে হেঁটে বাসায় ঢুকে গেল। সে তো রোজ দেখে। নিজের বাসায় নতুন করে কি বা দেখবে। তার দেখে রুপক আর কুহুও ভেতরে প্রবেশ করল। আর প্রবেশ করামাত্র রিমির সঙ্গে দেখা হলো। মেয়েটা সোফায় বসে এক পা ছড়িয়ে রেখেছে। পায়ে ব্যান্ডেজ। টিভি চলছে। এতক্ষণ বোধহয় টিভি দেখছিল। রিমি কুহুকে দেখেই হাতের ইশারায় কাছে ডাকল। কুহু একগাল হেসে রিমির পাশে বসল।

একপাশ জড়িয়ে ধরল। কুশল বিনিময় করল। রিমি কুহুর পা থেকে মাথা অবধি পরখ করে নিলো। কুহুর সঙ্গে ভিডিও কলে এতবার কথা হলেও বুঝে নি কুহু এত স্মার্ট। এতটা কিউট। সামনাসামনি
দেখে ভীষণণ পছন্দ হলো কুহুকে। কুহুর ডাগর ডাগর চোখ যেন মায়ার
ঝর্ণা। গাল দুটোতে লাল আভা। চিকন ঠোঁট। ফর্সা ত্বক। বড় কথা ভীষণ আদুরে দেখতে এই মেয়েটা। ফোনে খেয়াল করে নি এতদিন। তবে আজ দেখে সত্যিই মনে মনে মুগ্ধ হলো। প্রশংসা করল। সত্যি বলতে ভেবেছিল বাংলাদেশে মেয়ে। কতটুকুই বা স্মার্ট হবে। ন্যাকামি ভাব। ওভার স্মার্টের ভাব বিদ্যামান থাকবে। কিন্তু তার ধারণা বদলে দিয়ে কুহুর সাজসজ্জা। পোশাকের ধরণ। সে এবার কুহুর আদুরে গাল দুটো ধরে টেনে রুপককে বলল,

-‘ভাইয়া, এই পুতুলটাকে আমি আর যেতে দেবো না। আমাদের বাসায় রেখে দেবো।’
-‘তাহলে তো আমি বেঁচে যাই।’
-‘সত্যি বলছি।’
-‘আমিও সত্যি বলছি।’
-‘বাংলাদেশে এই ফুলের যত্ন হবে না। এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ হাতের মালি। তাই বলছি, ওকে এই দেশেই রেখে যান। আমি আর ভাইয়া মিলে ফুলটাকে ভীষণ যত্ন করব।’
-‘কেবল তো এলাম। ফুলের যা ঝাঁজ কদিন থাকলেই বুঝবে। তখন তুমি বলবে ভাই এটাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বিদায় হোন।’

একথা শুনে কুহু ভ্রু কুঁচকে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইল। আর তা দেখে রিমি খিলখিল করে হেসে উঠল। তখন নিলুফা ইয়াসমিনও এলেন। হাসি মুখে কথা বললেন। গল্প করলেন। কুহুর হয়ে রুপককে বকে দিলেন। এর
একটুপরে যুক্ত হলেন আতিকুর রহমানও। প্রিন্সিপাল স্যারকে দেখে কুহু সালাম দিলো। অল্প ক্ষণের মধ্যে সবাই যেন কত আপন হয়ে গেল। কুহু হাসছে। কথা বলছে। সব স্বাভাবিক দেখে রুপকের বুকের উপর থেকে যেন কয়েক টনের পাথর সরে গেল। খুবই চিন্তায় ছিল। এরপর তাদরকে ফ্রেশ হতে পাঠাল নিলুফা ইয়াসমিন। তাদের সবার জন্য আলাদা রুমের

ব্যবস্থা করা হলো। তারপর তারা ফ্রেশ হয়ে একসঙ্গে পরিবারের সবাই ব্রেকফাস্ট করতে বসল। ব্রেকফাস্টে আইটেম ছিল ব্রেড -বাটার,অরেঞ্জ
জুস, পরোটা, সুজির হালুয়া, সিদ্ধ ডিম। সকালে সবাইই হালকা খাবার খেলো। তখন সকাল সাড়ে আটটা। অফিস টাইম। রিদওয়ান রুপককে রেস্ট নিতে বলে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গেল সে। তাড়াতাড়িই ফিরবে সে। আর রিমিকে ইশারায় বলল কুহুকে সঙ্গ দিতে। এটাই তার চাকরি। ভাইয়ের ইশারা বুঝে রিমি মুখ বাঁকাল। তা দেখে রিদওয়ান ঠোঁট টিপে হাসল। জানাল, আসার সময় তার পছন্দের জিনিস আনবে। এ বলতেই রিমিও গালভর্তি হাসল। কুহুর একহাত টেনে কোলের মধ্যে নিয়ে বলল,

-‘আমাদের প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে। কত গল্প জমে আছে। তুমি আর রুপক ভাইয়া যাও তো এখান থেকে।’
রিদওয়ান রুপকের দিকে তাকিয়ে রেস্ট নিতে বলল। লেকজেট কাটতে কতদিন লাগে কে জানে। সত্যি সত্যিই রুপকের শরীরটা খারাপ করছে।
তবুও ঠোঁটে হাসি এঁটে বসে আছে। রিদওয়ান বার বার বলছে দেখে সে

বোনকে বলে রুমে গেল। ক্লান্ত দেহখানা বিছানার এলিয়ে দিলো। চোখ বুজে নিলো। আপনাআপনিই তার চোখে ঘুম নেমে এলো। সে ঘুমরাজ্যে তলিয়ে গেল। আর রিদওয়ান তাদের দু’জনকেই সাবধানে থাকতে বলে বেরিয়ে গেল। কুহু অনেক ঘুমিয়েছে তার এখন ঘুম আসবে না। তাই সে রিমি আর নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে বসে অনেকক্ষণ গল্প করল।নিলুফা ইয়াসমিনও ঘন্টা খানিকের মধ্যে উনার শপে গেলেন। এখন রিমি আর কুহু রিমির রুমে পাশাপাশি শুয়ে আছে। তখন রিমি বলল,

-‘কুহু তোমার বফের নাম কি? মিট করাবে না আমার সাথে?’
-‘আমার বফ টফ নেই আপু।’
-‘যাহ্ লায়ার কোথাকার।’
-‘সত্যি বলছি। আমার বফ টফ নেই। আম্মু যদি জানে তাহলে আমাকে আছড়াবে।’
-‘সত্যি নেই?’
-‘সত্যিই নেই।’

-‘আমার বফের নাম ম্যাকসন। তাকে ম্যাক বলে ডাকি। সে খুব ভালো রাইডার। আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। তোমাকে ওর সঙ্গে মিট করিয়ে দেবো।’
-‘উনার কথা বাসায় জানে?’
-‘ফ্রেন্ড হিসেবে জানে। রিলেশনে গেছি তা জানে না। ‘
-‘রিদ ভাইয়া জানলে বকবে না?’
-‘এটাই তো ভয়।’
-‘তোমার ভাই যা কাঠখোট্টা। সে প্রেম টেম কিছু বোঝে বলে তো মনে হয় না। সে জানার পর কি যে করবে আল্লাহ মালুম।’
-‘হুম। তা যা বলেছ।’

এরপর দু’জনে চুপ। কুহু শুয়ে চার পা ছড়িয়ে দিয়ে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে গভীর মনোযোগে কিছু ভাবল। তারপর বলল,
-‘আপু?’
-‘হুম।’
-‘তোমার ভাই প্রেম করে না?’
-‘না।’
-‘জোর করে একটা প্রেম করিয়ে দাও। এরপর উনার প্রেমটা যখন জমে ক্ষীর তখন তোমার বাবা মাকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্ল্যাকমেইল করো। শর্ত দিবা তোমাদের না মেনে নিলে বাবা মাকে জানিয়ে দেবো।’
-‘আরে পাগলি প্রেম কি ভিটামিন ওষুধ নাকি যে জোর করে খাইয়ে থুরি করিয়ে দেবো!’
-‘তাও ঠিক।’

কুহুর মুখটা দেখে রিমি হঠাৎ হেসে ফেলল। হাসল কুহুও। তারপর রিমি
কুহুর হাত ধরে ধরে তাদের পুরো বাড়ি দেখাল। কোনটা কার রুম সেটা চেনাল। কোন নেইবার কেমন গল্প করল। তখন জেনিফার নামে একজন রাঁধূনি এসে দুপুরের রান্না করে গেল। নিলুফা ইয়াসমিন শপ থেকে উনার অফিসে গেছে। ফিরবে সন্ধ্যা নাগাদ। আতিকুল রহমানও গেছেন শপে।

আজ নাকি ভিড় বেশি একথা জেনে নিজে থেকেই গেছে। গিয়ে তেমন কিছু করে না শুধু ক্যাশ কাউন্টারে বসে থাকে। এতে নিলুফা ইয়াসমিন খুশি হোন। উনি মুখে কিছু না বললেও আতিকুর রহমান বুঝে নেন। সব কথা মুখে বলার প্রয়োজন হয় না। চোখের দৃষ্টি আর ঠোঁটের হাসি বলে দেয় অনেক কথা। রুপক এখনো ঘুমাচ্ছে। শুধু রিমি আর কুহু দুই মূর্তি বেহুদা সময় কাটাচ্ছে।

হঠাৎ রিমি কুহুকে বলল রিদওয়ানের রুমে নিয়ে যেতে। মুভি দেখলে সময়টা কেটে যাবে। কুহুও রাজি হলো। এরপর ওরা রিদওয়ানের রুমে এসে বিছানায় বসে লেপটপে তামিল মুভি দেখতে বসল। একটুপরে রিমির কথা মতো কুহু ড্রয়ার খুলে চকলেট এনে তার হাতে দিলো। দু’জনে চকলেট খাচ্ছে আর মুুভি দেখছে।

আমায় রেখো প্রিয় শহরে পর্ব ২৪

মুভি যখন প্রায় অর্ধেকটা শেষ তখন রুমে রিদওয়ান প্রবেশ করল। তাদের দেখে এক ভ্রুঁ উঁচু করে তাকিয়ে রইল। কুহু তার অনুপস্থিততে রুমে হামলা চালাতে খুব পছন্দ করে সেটা তার ভালো করেই জানা আছে। রিমিও একই জাতের।
এদিকে রিমি কিংবা কুহু তাকে দেখেও এমন ভাব করল যেন দেখেই নি। চেনেই না।

আমায় রেখো প্রিয় শহরে পর্ব ২৬