আমায় রেখো প্রিয় শহরে পর্ব ৩৫
নূরজাহান আক্তার আলো
প্রবাদে আছে, ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’ এটি বহু পুরনো একটি প্রবাদ। কিন্তু এর মানেটাও যথার্থ। সঙ্গের সঙ্গী যদি ভালো হয় তবে পথচলাও সহজ হয়। সঙ্গের সঙ্গী যদি খারাপ হয় তাহলে কর্মযোগে জীবনে পড়ে বিরুপ প্রভাব। এ যেন অপ্রিয় একখানা সত্য। এর যথাযথ উদাহরণ ধরা যাক, কহু আর রিদওয়ানের বর্তমানে অবস্থানকে, বিয়ের পরে বন্ধনকে।
কিছুদিন আগেও হঠাৎ হঠাৎ ভুলে যাওয়া, কল্পনার জগৎ, তিক্ত তিরিক্ষি মেজাজ নিয়ে এতদিন নিজেও বিরক্ত ছিল কুহু। তার এই রোগ, রোগের চিকিৎসা, মেডিসিন খাওয়া নিয়ে চলতো একপ্রকার বাকদ্বন্দ। নিজেকে অসুস্থ বলে মনে করত না। উল্টে,ভাবত সবাই জোর করে অসুস্থ বানাতে চাচ্ছে, তাকে মেন্টালি টর্চার করছে। অথচ বর্তমানে তার মাঝে এসবের কোনো লক্ষণ দেখা যায় নি। বিরক্তি ভাব নেই। চিন্তা নেই। অসুস্থতার’ও
রেশ নেই। বাক বিতর্কতা। আছে শুধু তার চঞ্চলতা আর প্রিয় মানুষদের ভালো রাখার নিদারুণ প্রচেষ্টা।
রিমির দেশে যাওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেছে। রিমি বাংলাদেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে। বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন বন্ধুত্বপূর্ণ।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
দেশ, দেশের মানুষ, সবকিছু ভীষণ ইনজয়ও করে। নিলুফা ইয়াসমিনের আরো আগে দেশে ফেরার কথা থাকলেও ছেলের অনুরোধে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছেন। তবে ধীরে ধীরে কাজ গুছিয়েও নিয়েছেন। রুপকও বোনের সঙ্গে সেখানেই আছে। অনলাইনেই নিজের কাজকর্ম করে এবং রিদওয়ানের অফিসে গিয়ে তাকে সাহায্য করে। দূর থেকে খেয়াল রাখে তার বাবা মায়ের প্রতি। ছেলে হিসেবে, ভাই হিসেবে, বন্ধু হিসেবে কোনো দায়িত্বকেই হেলা করে না। দেশে রিমি আর আতিকুল রহমান নিজেদের অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে।
এদেশে নিলুফা ইয়াসমিন, রিদওয়ান, কুহু, রুপকের জীবনও চলছে সময়ের গতিতে। এরিমধ্যেই কুহুকে কয়েকবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। খেতে হয়েছে কড়া কড়া মেডিসিন।
মেডিসের প্রভাবে প্রচুর ঘুম হয়। ঘুম মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে। টেনশন মাথায় ঘুরপাক খায় না। কল্পনার জগতের দুয়ার খুলতে পারে না, অকারণে যা তা ভেবে বাস্তবের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে না। তবে ঘুমের কারণে আজকাল স্বাস্থ্য খানিকটা বেড়েছেও। স্নিগ্ধ শীতল মুখখানা ভরাট ভরাট লাগে। সে দেখতে এমনিতেই ভীষণ আদুরে। তবে মুখের ভরাট ভাব তাকে আরো পরিপূর্ণ করেছে।
এখন তার সকাল শুরু হয় কারো বাহুডোরে নিজেকে আবিস্কার করে।ভালোবাসার চাদরে সিক্ত হয়ে। মন ভালো করার রেশ খুঁজে পায় প্রিয় মানুষটার ঘুমন্ত মুখ দেখে। এরপর ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে গিয়ে সকালের নাস্তা নিয়ে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে হাতে হাত কাজ করা, একসঙ্গে নাস্তা করা, নাস্তা করতে বসে গল্পের মহাড়া খোলা, রিদওয়ান আর রুপককের বিদায় জানিয়ে উনার সঙ্গে শপে যাওয়া। সেখানে গিয়ে শাশুড়িকে হেল্প করা, মাঝে মাঝে উনার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, টুকটাক শপিং, শপ থেকে ফিরে প্রিয় মানুষটার জন্য নিজেকে পরিপাটি করে তার জন্য অপেক্ষা, অপেক্ষার অবসাদ ঘটিয়ে সেই মানুষটার আগমন।
ক্লান্ত শরীর প্রেমময় চাহনি। মন কেমন করা হাসি। সেই হাসিতে সর্বাঙ্গের শিহরণ। এভাবেই সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে তার দিনগুলো কাটছে। আসার পর যা ভেবেছিল ততটাও খারাপ লাগে না তার। তবে বাবা মায়ের জন্য ভীষণ মন খারাপ হয়। চুপিচুপি কাঁদে। তার কান্না দেখে রিদওয়ান কিছু না কিছু করে মন ভালো করে দেয়। হাসায়। তাছাড়া রিদওয়ান নিজে হাতে নিয়ম করে মেডিসিন খাওয়ানোর ফলে মেডিসিন মিস হওয়ারও সুযোগ মিলে না। ফলস্বরূপ, ওর সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে দূর হচ্ছে। এটা সবার নজরে পড়েছে। এতে সবাই খুশিও।
এত তাড়াতাড়ি, এত পরিবর্তন কেউ আশা করে নি। ভাবেও নি পরিবেশ পরিবর্তন করা কুহুর জন্য এতটা উপকারে আসবে। কারো নিগূঢ় ভালোবাসায়, যত্নে, তার মাঝে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। এসবের মধ্যে এত বকার পরেও কুহু নিলুফা ইয়াসমিনের পিছু ছাড়ে না। মা ডাকতে দ্বিধা করে না। সে মিশতে চায়, ভালো থাকতে চায়, সবাইকে ভালো রাখতে চায় দেখে তিনিও আর দূর দূর করেন না। কথার খোঁচা মারে না শাসণের আড়ালে ভালোবাসেন। স্নেহ’ও করেন। তবে তা প্রকাশ করতে চান না।
অথচ কুহু তা বুঝেও ফেলে, ধরে ফেলে শাশুড়ির ভালোবাসার নমুনা। এইতো কয়েক সপ্তাহ যাবত নিলুফা ইয়াসমিন যেচে তাকে নিজেকে সাজিয়ে তোলার কিছু টিপস্ দিয়েছে।সাধারণ পোশাকে কিভাবে পরিপাটি রাখা যায় তা শিখিয়েছেন। মোদ্দাকথা, নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া শিখিয়েছেন। সেও শাশুড়ির কথামতো তাই করে। এতে তার বাহ্যিক রুপসহ, ড্রেসআপেও কিছু পরিবর্তন এসেছে।তাকে খুব সাধারণ লুকেও অভিজাত্যের ছাপ লক্ষ করা যায়।
আজকে ছুটির দিন। সবাই বাসাতে আছে। সকালের নাস্তা সেরে নিলুফা ইয়াসমিন কুহুকে নিজের রুমে ডেকে পাঠালেন। জানালেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই বের হবেন সেও যেন দ্রুত রেডি হয়। কুহু বাড়তি কথা না বাড়িয়ে
রেডি হতে গেল। রিদওয়ান বাসায় তাই ইচ্ছে ছিল না কোথাও যাওয়ার।
কিন্তু শাশুড়ির কথা ফেলতে পারবে না বলেই আর কথা বাড়াল না। সে জানে, শাশুড়ি তাকে কোনো না কোনো কাজেই নিয়ে যাচ্ছে। রিদওয়ান তখন রুমে বসে ফোন স্কল করছিল। কুহুকে রেডি হতে দেখে ভ্রুঁ কুঁচকে তাকাতেই কুহু বলল, বের হবে।মায়ের সঙ্গে যাচ্ছে দেখে রিদওয়ান কিছু বলল না। অথচ তার প্ল্যাণ ছিল আজ কুহুকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার। সে এটাও জানে, যেই কাজেই যাচ্ছে বেশিক্ষণ সময় ওয়েস্ট করবে না তার মা। কারণ বাঙ্গালি শাশুড়ির মতো তার মায়ের মন মানসিকতা না।
যারা ছেলে আর ছেলের বউকে দূর দূরে রেখে পৈশাচিক এক আনন্দ অনুভব করে। ছেলে, ছেলের বউয়ের মধ্যে দুরত্ব বাড়িয়ে মিটিমিটিয়ে হাসে। সে জানে, তার মা সবকিছু স্মার্টলি ভাবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পছন্দ করে। তারপর কুহু রেডি হতেই নিলুফা ইয়াসমিনের ডাক পড়ল, সে রিদওয়ানের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। রুমে একা বসে না থেকে রিদওয়ান বেরিয়ে লনে গেল। এখানে ঘাস হয়েছে। বড় কাঁচি নিয়ে ঘাসগুলো কাটল। নিজের গাড়ি পরিষ্কার করল। এমন আরো কিছু কাজ সারতেই রুপকও এসে সঙ্গ দিলো। গল্পে গল্পে দুই বন্ধু মিলে বাগান সাফ করে ফেলল। এসব করে ঘন্টা দুয়েক পেরিয়ে গেছে অথচ কুহুরা ফিরে নি। কোথায় যাচ্ছে বলেই যায় নি। সে অস্থিরতা দমাতে এটা করে যাচ্ছে কিন্তু শান্ত হতে পারছে না। রুপক ওর অস্থিরতার কারণ বুঝলেও প্রকাশ করল। শুধু মনে মনে হাসল। বোন জামাই নাহলে এতক্ষণে বেফাঁস কিছু বলে ফেলত। এই সম্পর্কের কারণে বেফাঁস কিছু বলা হারাম হয়ে গেছে।
এখন যেটাই বলুক বোনের কথা মাথায় রাখতে হবে। বন্ধুর বউকে নিয়ে
মার্জিত ভাষায় দু’একটা ফাজলামিমার্কা কথা বলাই যায় কিন্তু বোনকে নিয়ে নয় তাই মুখেও লাগাম টেনে চলে। দুই বন্ধু বাইরের কাজ সেরে মুখ হাত ধুয়ে ড্রয়িংরুমে এলো। আজ ভারত পাকিস্তানের খেলা আছে। শুরু হবে মিনিট দু’য়েক পর। রুপক ড্রয়িংরুমের সোফায় শুয়ে খেলা দেখতে লাগল। রিদওয়ান দুই মগ কফি করে একটা রুপককে দিয়ে পা বাড়াতেই রুপক বলল,
-‘এসে যাবে এত টেনশন করিস না।’
-‘খেয়ে কাজ নেই টেনশন করব, হুহ।’
-‘কাজ আছে কি নেই তোমার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে চান্দু। এদিকে আয়, বস, কথা আছে।’
-‘কি কথা?’
-‘বস তো আগে।’
রিদওয়ান সিঙ্গেল সোফায় বসে কফিকে সিপ নিলো। রুপক কফির মগ হাতে নিয়ে উঠে বসেছে। সে টিভির দিকে তাকিয়ে রিদওয়ানের দিকে ঘুরে তাকাল। তারপর কিছু ভেবে বলল,
-‘কুহুর ভুলে যাওয়ার সমস্যাটা কী আর খেয়াল করেছিস? আমি কিন্তু ওর মাঝে অনেক পরিবর্তন দেখছি।’
-‘ হুম। ওর পরিবর্তন নজরে পড়ার মতোই। ওর সমস্যা হচ্ছে ওকে একা থাকতে দেওয়া যাবে না। এক থাকলেই অবান্তর ভাবনা ওর মাথায় ঘুরে তারপর সব গুলিয়ে ফেলে। তাছাড়া এখন পোপার রেস্ট, মেডিসিনও নিচ্ছে টাইম টু টাইম।’
-‘ বিডিতে যেসব ডাক্তার দেখাতাম সে তো ডাক্তারকেও দেখতে পারত না। তাদের দেওয়ার মেডিসিন তো আরো দূর। এমনই কড়া পাওয়ারের
মেডিসিন দিতো একটা মেডিসিন খেলে সে টানা তিনদিন ধরে ঘুমাত।
হাত পা কাঁপতো। একারণে জোর করেও মেডিসিন খাওয়াতে পারতাম না। লাস্ট চেকাবে ডেইজি আর কিছু বলে নি?’
-‘কনসিভের ব্যাপারে সাবধান হতে বলেছে। মেডিসিনও দীর্ঘদিন চলবে।
কুহু ক’দিন যাবৎ ইমপ্রু়ভ করতে শুরু করেছে এখন’ই কনসিভ করলে ঝুঁকি’ও আছে। মেডিসিনের প্রভাবে বাচ্চা ইমম্যাচিচুর হওয়ার সম্ভবণা বেশি।’
-‘হুম।’
-‘ কল্পনা আর বাস্তবতাকে গুলিয়ে ফেলার ব্যাপারটা ওটা সারবে কবে? এটা সারলে আমার চিন্তা কিছুটা কমবে।’
-‘ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে প্যারা নিস না।’
-‘ আরেকটা কথা বলার ছিল। আসলে…।’
-‘মেয়েদের মতো ন্যাকামি করা শিখলি কবে? যা বলার সরাসরি বল।’
-‘ আম্মুর শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বাবারও তাই। একটার পর একটা অসুখে জর্জরিত তারা। আমাকে বলতে চায় না যদিও। তবে বুঝি আমি। আচ্ছা আমি দেশে ফিরলে কুহুকে সামলাতে পারবি না? সে তো আগের তুলনায় অনেক ইমপ্রুভ করেছে। তুই বোঝালে সেও বুঝবে।’
-‘কবে যেতে চাচ্ছিস?’
-‘ যত তাড়াতাড়ি যাওয়া সম্ভব।’
-‘এক কাজ কর আম্মু আর কুহুকেও নিয়ে যা। এদিকের কাজ প্রায়ই গোছানো শেষ। ওদিকে আব্বু আর রিমিও একা থাকছে। যেতে হবেই একে একে গেলেই ভালো হবে।’
-‘আর তুই? তুই একা থাকবি?’
-‘আমি কয়েকদিন পরেই যাব। রানিং প্রোজেক্টের কাজ প্রায় শেষ। ওটা ফুলফিল করে আমিও চলে যাব।’
-‘কুহু তোর সব কথা শোনো। তোর সঙ্গে পেয়ে তার অভাবনীয় পরিবর্তন তাই বলছি তাকে কুহু নাহয় থাক। তোরা দু’জন একসাথে আয়। আন্টি
আর আমি আগে যাই?’
-‘ভয় পাচ্ছিস?’
-‘ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। সেখানে তোকে না পেয়েই কুহু আবার অনিয়ম শুরু করবে। যা ওর জন্য মোটেও ঠিক হবে না।’
-‘ঠিক আছে ওরা ফিরুক কথা বলে দেখি। যদি রাজি হয়, স্যামালিনাকে বলে তিনটে এয়ার টিকিট কনফার্ম করে দেবো।’
-‘হুম।’
এসব আলোচনার সমাপ্তি টানতেই বাইরে থেকে গাড়ির হর্ণ কানে এলো।
কুহুরা এসে গেছে। বউ শাশুড়ি মিলে কথা বলতে বলতে ড্রয়িংরুমে এসে প্রবেশ করল।নিলুফা ইয়াসমিন বসলেন না টুকটাক কথা বলে ফ্রেশ হতে
রুমে চলে গেলেন। কিন্তু কুহু রুপকের পাশে ধপ করে বসে পড়ল। ঘাড় কাত করে ভাইয়ের কাঁধে মাথা রাখল। রুপক ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে বোনের দিকে। কুহুর মুখটা একটু অন্যরকম লাগছে। সে মনোযোগ দিয়ে দেখেও ধরতে পারল না। তাই রিদওয়ানকে বলল,
-‘কিছু একটা চেঞ্জ হয়েছে কিন্তু সেটা ধরতে পারছি না। তুই পারছিস?’
-‘বিড়ালমার্কা চোখ, ভোতা নাক, ঠিকই তো আছে, তুই আবার চেঞ্জের কি দেখছিস?’
-‘কিহহ! কি বললেন আপনি? আমার চোখ বিড়ালমার্কা? ভোতা নাক?’
-‘হুম ঠিকই তো বললাম।।মানুষ সত্য কথা মানতে চাই না কেন বুঝি না। আচ্ছা শোনো, আমি.…!’
-‘পারব না শুনতে। যার ডাগর ডাগর চোখ, টিকালো নাক, তাকে গিয়ে আপনার মধুর বাক্য শুনিয়ে আসুন।’
একথা বলে কুহু উঠে হনহন করে চলে গেল। যেতে যেতেই রিদওয়ানের নামে অভিযোগ দিয়ে গেল নিলুফা ইয়াসমিনের কাছে। এদের দু’জনের কান্ড দেখে রুপক হাসল। ইঁদুর বিড়ালের মতো এরা ঝগড়া করবে কিন্তু কেউ কাউকেই ছাড়া একদন্তও থাকতে পারে না। কুহুকে রাগিয়ে দিয়ে রিদওয়ান মিটিমিটি হেসে চলল রুমের দিকে। কুহুকে ছাড়া রুম কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। চেনা রুমটাকেও অচেনা মনে হচ্ছিল এজন্য সে বাইরে ঘুরছিল।
আমায় রেখো প্রিয় শহরে পর্ব ৩৪
এখন রুমের মালকিন যখন রুমেই আছে তখন বাইরে সময় কাটানোর মানেই হয় না। এদিকে রিদওয়ানকে যেতে দেখে রুপক ফোন হাতে নিয়ে দেখে রিমির মেসেজ। মেসেজ দেখে সে হাসল। পাগলি কত ধরনের হয় এই মেয়েটাকে না দেখলে তার জানা হতো না। তাছাড়া আজকাল রিমির সঙ্গে তার ভালোই কথা হয়। রিমির বলে দেওয়া বেশ কিছু জায়গাতে ঘুরেছেও সে। সব সময় রিদওয়ান আর কুহুর সঙ্গে বের হওয়া যায় না। তাদেরও স্পেস দেওয়া দরকার। তাই সে রিমির কথাতে এখানে বেশ কিছু জায়গায় ঘুরেছে, শপিং’করেছে। তার নিঃসঙ্গতাকে কাটাতে সময়ও দিয়েছে।