আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ৫

আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ৫
সালমা খাতুন

শাহরিয়ার ম্যানশনের বিশাল রান্না ঘরে রান্না করছে মায়া। রান্না ঘরটাও ভীষণ সুন্দর। রান্নার কাজে ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম রাখা। মায়া কিছুক্ষণ মুগ্ধ হয়ে দেখলো। তারপর লেগে গেলো কাজে। রুবি কোথায় কি আছে সব কিছু দেখিয়ে দিলো। মায়া এই ত্রিশ মিনিটে‌ কি রান্না করবে ভেবে পেলো না যদিও ও রান্নাটা ভালোই করে। তাই ফ্রিজ থেকে সবজি বের করে ডালে চালে করার সিদ্ধান্ত নিলো। মনে মনে একবার ভাবলো, ওই বড়োলোকের রাজপুত্র আবার খিচুড়ি খাইতো? তারপর ভাবলো খেলে খাক না খেলে না খাক। ওর তাতে কি? দিয়েছে তো আদ ঘন্টা সময়। এক মাত্র এটাই রান্না করা সহজ হবে ওর জন্য। আর মায়া খিচুড়ি খেতে খুব ভালোবাসে তাতে শীতকালই হোক বা গ্রীষ্ম বা বর্ষা। এটা ওর ফেভারিট খাবার তাই প্রথমে এই খিচুড়ি রান্না করার কথাই ওর মাথায় এসেছে।

মায় মাথা থেকে ওরনা খুলে তা কোমড় পেঁচিয়ে নিলো একদম কাজের বুয়াদের মতো। তারপর একমনে লেগে গেলো রান্নার কাজে। এদিকে বাড়ির বাকি সার্ভেন্টরা তো অবাক হয়ে দেখছে মায়াকে। ভাবছে এতো সুন্দর দেখতে একটা মেয়ে ওদের রান্না ঘরে কোথা থেকে টপকালো?
রুবিও অবাক হয়ে দেখছে মায়াকে। ভাবছে, গোলগাল পুতুলের মতো মেয়েটার এই কাজের দরকার পড়লো কেন? মেয়েটার কি বাবা মা নেই। নাকি ওই মেয়েটাও কোনো অসহায় পরিবারে? কি তার পরিচয়? আর স্যার তো ওকে রান্না করতে দেয়না। রান্না করার জন্য তো শেফ আছে বাড়িতে। আর স্যার তো বলল, ওর জায়গায় আজ থেকে কাজ করবে, তাহলে ওকে কেন রান্না করতে দিলো? স্যার তো সবার হাতের রান্না খেতে পারে না। তাহলে?
ত্রিশ মিনিটের জায়গায় 35 মিনিট লেগে গেলো সব কিছু রেডি করতে। রুবি আরমানকে কল করে জানালো রান্না হয়ে গেছে। খাবার কি ঘরে নিয়ে যাবে? নাকি ডাইনিং এ খাবে? আরমান জানালো সে নীচে আসছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কিছুক্ষণের মধ্যেই আরমান নীচে এসে ডাইনিংএ বসলো। মায়া এসে খাবার সার্ভ করতে শুরু করলো। আরমান তার হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, “পাঁচ মিনিট লেট। এই লেট করা মানুষদের আমি একদম পছন্দ করিনা।”
মায়া মুখ ছোটো করে বলল, “সরি স্যার এরপর থেকে আর হবে না।”
আরমান প্রথমেই খিচুড়ির গন্ধ পেয়ে ভাবলো ভালো কিছুই রান্না করেছো হয় তো। দারুন সুন্দর গন্ধ উঠছে। কিন্তু সার্ভ করা শেষ হতেই আরমানের চক্ষু চড়কগাছ।
আরমান:- “হোয়াট ননসেন্স!! কি এটা? খিচুড়ি?? আমি তো এসব খাই না। কিসব রান্না করেছো তুমি??”
মায়া:- “কিন্তু আপনি তো আমায় কি খাবেন বলেননি। আপনি শুধু আমায় ত্রিশ মিনিট সময় দিয়েছিলেন আর তার মধ্যে রান্না করে আনতে বলেছিলেন। আমি তো আর জানি না আপনি কি খান আর কি না খান। তাই আমি আমার মতো রান্না করেছি।”

আরমান প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে রুবির দিকে তাকিয়ে বলল, “রুবি!! তুমি কোথায় ছিলে? তুমি জানো না আমি এসব খাই না??”
রুবি মাথা নিচু করে বলল, “সরি স্যার।‌ আপনি শুধু আমাকে ওনাকে রান্না ঘরটা দেখিয়ে দিতে বলেছিলেন। আর বলেছিলেন ওনি রান্না করবেন।
আমি যেন বার্তি কথা না বলে আপনার অর্ডার ফলো করি।”

আরমান এবার রাগে কি করবে নিজেই ভেবে পেলো না। নিজেই নিজের মাথা চেপে ধরলো। প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে সবকিছু। মায়া তখনও চুপচাপ একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। ও নিজেও ভেবে পাচ্ছে না ও এখন কি করবে।
ঠিক তখনি শাহরিয়ার ম্যানশনের কলিং বেল বেজে উঠলো। এটাই সুযোগ রুবির এখান থেকে কেটে পড়ার। ও গিয়ে দরজা খুলে দিলো। রুবি কে এক পলক দেখে নিয়ে দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো আবির। তারপর সোজা ডাইনিং এর দিকে আসতে আসতে রুবিকে উদ্দেশ্য করে বলল, “রুবি! আমাকে এক কাপ কফি দিও প্লিজ। I am so tired.”
এরপর সোজা গিয়ে ডাইনিং টেবিলে আরমানের মুখোমুখি চেয়ারে বসলো। তারপর কোনো দিকে না তাকিয়েই জগ থেকে এক গ্লাস পানি ঢেলে খেতে শুরু করলো।

পানি খেতে ওর মনে হলো আরমানের থেকে কিছুটা দূরে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। তাই পানি খেতে খেতেই চোখ ঘুরিয়ে সেদিকে তাকালো। আর তাকাতেই ও ভুত দেখার মতো চমকে লাফিয়ে উঠলো চেয়ার থেকে। আর সাথে সাথে ওর মুখের সব পানি ফুস করে বেরিয়ে গেলো।‌ হাতে থাকা গ্লাস গিয়ে পড়লো কিছুটা পায়ে আর কিছুটা মেঝেতে। তাই গ্লাস ভেঙে পা টাও কিছুটা কেটে গেলো। কিন্তু তবুও ব্যাথা লাগার কোনো অনুভূতি আবিরের মুখে দেখা গেলো না। তার বদলে ওর মুখে আছে অবাকের শেষ পর্যায়ে পৌঁছানোর ছাপ। হাঁ করে তাকিয়ে আছে ও মায়ার মুখের দিকে।

এদিকে মায়াও প্রথম থেকে আবিরের কর্ম কান্ড দেখছিল। হঠাৎ ওর দিকে তাকাতেই এভাবে চমকে ওঠা আর গ্লাস পড়ে যাওয়ার আওয়াজে নিজেও চমকে উঠলো।
এদিকে রুবি রান্না ঘরে ব্যস্ত ছিল আবিরের জন্য কফি বানাতে। কিন্তু গ্লাস ভাঙার শব্দ শুনে ছুটে বেরিয়ে এলো রান্না ঘর থেকে। এভাবে আবিরকে অবাক হয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ও নিজেও বুঝলো না ঘটনা কি। কিন্তু যখনি আবিরের পায়ের দিকে নজর গেলো তখন আঁতকে উঠলো রুবি।

রুবি:- “স্যাররর!! আপনার পা।”
বলেই ছুটে গিয়ে আবিরের পায়ের কাছে বসে পায়ের কাছ থেকে কাঁচ সরিয়ে নিজের গায়ে থাকা ওরনা দিয়ে চেপে ধরলো রুবি। সাথে সাথে ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠলো আবির।
আবির:- “আহ!!”
ওর পায়ের কাছে কেউ আছে বুঝতে পেরে নিচের দিকে তাকালো। দেখলো রুবি ওর পায়ের কাছে বসে আছে। তাই রুবির দিকে তাকিয়ে বোকা বোকা গলায় প্রশ্ন করলো, “কি হয়েছে?”
রুবি:- “স্যার আপনার পা কেটে গেছে। রক্ত বের হচ্ছে।”
আবিরের মুখ থেকে তখনও অবাকের রেশ কাটেনি। ও যেন এই দুনিয়ায় নেই। আবারও বোকা বোকা গলায় প্রশ্ন করলো।
আবির:- “কেটে গেছে? কিন্তু কি করে কাটলো?”

রুবি আবিরের এমন বোকা বোকা ভাব দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেলো। হঠাৎ করে কি হলো কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। মায়া আবিরের পা কেটে গেছে শুনে ও নিজেও এসে আবিরের পাশে দাঁড়ালো পায়ের অবস্থা দেখার জন্য। কিন্তু আবির ওর পাশে কেউ দাঁড়িয়েছে বুঝতে পেরে পাশে তাকালো। আর সাথে সাথে আবারো চমকে উঠলো।
আবির:- “ভূ..ভূ..ভূত, নাহহ!! ভা..ভা..ভাবিমনি!!”
আবিরের চিৎকারে মায়া আবারো ভয়ে দু-পা পিছিয়ে গেলো। রুবিও অবাক হলো মায়াকে দেখে আবিরকে এমন করতে দেখে। আবিরের ভাবিমনি ডাকটা ওর মাথায় ঢুকলো না। কিন্তু এতো সবকিছুর মধ্যে ও আর এটা নিয়ে মাথা ঘামালো না।

আরমান প্রথমে থেকেই আবিরের কাজ কর্ম দেখছিলো। এমনিতেই ও রেগে ছিল। আবিরের এই অতিরিক্ত অবাক হওয়া দেখে আরো রেগে বোম হয়ে গেলো। টেবিলে চাপড় দিয়ে চিৎকার করে উঠলো, “ Enough is enough. বন্ধ কর তোর ড্রামা আবির। রুবি আমি রুমে গেলাম। তুমি আমার জন্য স্যুপ বানিয়ে আনো।”
এই বলে আরমান চলে গেলো উপরে। আর রুবি আগে ছুটে গেলো নিজের রুমে। আবির তখনও অবাক। ও কি বলবে, কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। মায়াকে এই বাড়িতে দেখে ওর কি বলা উচিৎ ও বুঝতে পারছে না। তখনি রুবি আবারও ছুটে এলো ওদের কাছে। তারপর মায়ার হাতে একটা ফ্যাস্ট এইড বক্স ধরিয়ে দিয়ে বলল, “প্লিজ মায়া তুমি ওনার পা টা একটু ড্রেসিং করিয়ে দাও। আমি স্যারের জন্য স্যুপ বানিয়ে আনি। না হলে স্যার ভীষণ রেগে যাবে।”

মায়া:- “ঠিক আছে আপু।
তারপর আবিরের দিকে তাকিয়ে বলল, “আসুন ভাইয়া, বসুন আমি ড্রেসিং করিয়ে দিচ্ছি। পা থেকে অনেক রক্ত ঝরছে।”
আবির নিজেকে সামলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সোফায় গিয়ে বসলো। মায়াও গেলো আবিরের পিছনে। তারপর আবিরের পায়ের কাছে বসে ড্রেসিং করতে শুরু করলো।
আবির সিরিয়াস ভঙ্গিতে মায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, “তুমি এখানে কি করছো ভাবিমনি??”
মায়া ভাবলেশহীন ভাবে বলল, “ওই ডাকটা আর আমার সাথে যাই না ভাইয়া। তাই আমার নাম ধরে ডাকলেই ভালো হবে।”

আবির:- “এটা আমার প্রশ্নের উত্তর নয়। আচ্ছা ঠিক আছে নাম ধরেই ডাকবো তোমার বড়ো ভাই হিসাবে। আগে বলো তুমি এখানে কি করছো? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।”
মায়া:- “বাড়ির সার্ভেন্ট এর কাজের জন্য এসেছি এখানে। আমার একটা কাজের দরকার ছিল। আপনার স্যার আমায় কাজ দিয়েছে। তাই এখানে আসা।”
আবির অবাক হয়ে বলল, “হোয়াট?? তোমার কাজের দরকার ঠিক আছে কিন্তু এই বাড়ির সার্ভেন্ট এর কাজ করার কি দরকার? তুমি তো অনেক দূর পড়াশোনা করেছো। আর তুমি না একটা কম্পানিতে জব করতে??”
মায়:- “হ্যাঁ ভাইয়া জব করতাম কিন্তু এখন করি না। আর আপনার স্যার অনেক মোটা টাকা মাইনে দেবে তাই এই কাজ করা।”
আবির:- “না মায়া, তুমি আমায় পুরো কথা বলছো না। কিছু তো একটা ব্যাপার নিশ্চয় আছে, যেটা তুমি আমার থেকে লুকিয়ে যাচ্ছো। তোমার মতো মেয়ে তার এক্স হাসবেন্ডের কাছে আসবে কাজ করতে এটা আমার বিশ্বাস হয় না।”

আবির মায়া একে অপরকে আগে থেকেই চিনে। কারণ ওদের বিয়ের পর এই বাড়ি থেকে আরমানের দাদা আর আবির যেতো মায়াদের বাড়ি মায়ার খোঁজ নিতে। তারপর আরমানের দাদা মারা গেলে আবির একাই যেতো মায়ার খোঁজ নিতে। খোঁজ নিতে বললে ভুল হবে। মায়ার ভরোন পষোনের টাকা দিতে যেতো। মায়া জানতো ওই টাকা আরমান পাঠায়। তাই ও হাত পেতে নিয়েও নিত। কারণ ও যে আরমানকে একেবারে মন থেকে স্বামী বলে মেনে নিয়েছিল। মায়া টাকা নিত ঠিকই কিন্তু সেই টাকা কোনোদিনও খরচ করেনি। পুরো টাকাটা জমিয়ে রেখে ছিল। ডিভোর্স এর কাগজ পাঠানোর সময় তার সাথেও কিছু টাকাও পাঠিয়েছিল আরমান। কিন্তু সেই টাকার সাথে আগের দেওয়া টাকা গুলোও ফেরত পাঠিয়ে ছিল মায়া। শেষ বার ডিভোর্স এর কাগজ নিয়ে আবিরই গিয়েছিল মায়াদের বাড়ি।

এরই মধ্যে রুবি আরমানকে স্যুপ দিয়ে এসে জানায় আরমান মায়ার থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছে। আর যেহেতু মায়ার কোনো জামা কাপড় সাথে নিয়ে আসেনি তাই রুবির জামা দিয়েই এখন কাজ চালাতে বলেছে। কাল ওর জামা কাপড়ের ব্যাবস্থা করে দেবে।
মায়া এগুলো শুনে অবাক হয়ে যাই। এখন ওকে এই বাড়িতেও থাকতে হবে? কিন্তু ও এই বাড়িতে কিভাবে থাকবে? না ও এই বাড়িতে কিছুতেই থাকতে পারবে না। মায়া আবিরকে উদ্দেশ্য করে বলল, “ভাইয়া প্লিজ আপনি আপনার স্যারকে বোঝান। আমি এই বাড়িতে থাকতে পারবো না।”
আবির ভ্রু কুঁচকে বলল, “কিন্তু তুমি তো বললে তুমি এই বাড়িতে কাজ করতে এসেছো। আর এই বাড়ির সব সার্ভেন্টরাই এই বাড়িতেই থাকে। না মানে বাড়িতে না ওদের সবার জন্য বাড়ির বাইরে সার্ভেন্ট কোয়াটার আছে। শুধু মাত্র রুবি এই বাড়িতে থাকে। তাই তুমি যদি এই বাড়ির সার্ভেন্ট হয়ে কাজ করো তাহলে তোমাকেও এই বাড়িতে থাকতে হবে।”

মায়া ব্যাকুল হয়ে বলে উঠল, “না ভাইয়া এটা হয় না। আপনিই বলুন, আমাকে এখানে দেখে আপনার কি অবস্থা হয়েছিল তাহলে এই বাড়ির লোকেরা যদি আমায় এখানে দেখে তাহলে তাদের অবস্থা টা কি হবে? এমনিতেই আমি চিন্তাই আছি এই বাড়ির সবাই আমাকে এখানে কাজ করতে দেখলে কি রিয়্যাকশন দেবে। তার উপরে এখানে থেকে কাজ করাটা অনেক বড়ো ব্যাপার।”
এদিকে রুবি ওদের দুজনকে এতো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে দেখে অবাক হয়ে গেলো। এই তো কিছুক্ষন আগে আবির স্যার মায়াকে দেখে আকাশ থেকে পড়ার রিয়াকশন দিচ্ছিল। আর এখন কি সাবলীল ভাবে কথা বলছে। রুবি আমতা আমতা করে বলেই ফেললো।

আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ৪

রুবি:- “যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা কথা বলি? আপনারা একে অপরকে আগে থেকেই চিনেন? আর বাড়ির সবাই ওনাকে দেখে কি বলবে…. মানে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আর বাড়ির সবাই তো কাল সকালেই ফিরে আসবে। বড়ো ম্যাম কল করেছিলেন আমায়।”
হয়ে গেলো। মায়া যতোটা সাহস সঞ্চয় করে এই বাড়িতে ঢুকেছিল। তা হাওয়ায় ভেসে উড়ে গেলো। এই পরিবারের সবাই একটা ফ্যামিলি ট্যুরে গেছে। আর যেহেতু বিখ্যাত বিজনেস ম্যানের পরিবার তাই নিউজে বড়ো বড়ো করে দেখানো হয়েছিল। আর সেই নিউজ দেখেই মায়া এই বাড়িতে আসার সাহস পেয়েছিল। মায়া ভেবে এসেছিল এক আর হয়ে গেলো আর এক।

আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ৬