আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ১০

আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ১০
সালমা খাতুন

মিসেস সাবিনা:- “তা কেমন লাগছে মায়া, আমাদের বাড়িতে সার্ভেন্ট এর কাজ করতে?”
মায়া অপমানিত বোধ করলেও, মাথা নিচু করেই উত্তর দিলো, “ভালো।”
আরমানের বাবা আনোয়ার শাহরিয়ার কিছু বুঝতে না পেরে ওদের দিকে এগিয়ে এসে বলল, “এ কি মায়া মা তুমি এখানে? আর কিসের সার্ভেন্ট? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।”
মিসেস সাবিনা:- “ও আমাদের বাড়িতে আরমানের সার্ভেন্ট হয়ে জয়েন হয়েছে। ওর নাকি টাকার দরকার। কোথাও কাজ পাইনি তো তাই। আবার কাল থেকে নাকি আমাদের কম্পানিতেও জয়েন করবে।”
আনোয়ার সাহেব:- “কিন্তু মা আমাদের বাড়িতে সার্ভেন্ট এর কাজ করার কি দরকার? কম্পানিতেই জয়েন করতে পারো।”

মিসেস সাবিনা:- “হ্যাঁ কম্পানিতেও করবে। শুনলাম ও নাকি ডিজাইনার। আর আজ ও আমাদের কোম্পানিতে গেছিলো আরমানকে লাঞ্চ দিতে। আর আমাদের একজন বিদেশী ক্লাইন্টের নাকি ওর ডিজাইন খুব পছন্দ হয়েছে। উনি নাকি ওর ডিজাইন করা ড্রেসই নিবেন, অন্য কোনো ডিজাইনারের না।”
আনোয়ার সাহেব:- “ওমা সে তো ভালো কথা। তাহলে আমাদের কম্পানিতেই কাজ করো। বাড়িতে কাজ করার কি দরকার?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মিসেস সাবিনা:- “আমিও ওটাই বলছিলাম। কিন্তু তোমার গুনধর ছেলে ওকে এই বাড়িতে রেখেই ওর কাজ গুলো করাতে চাই। কিন্তু আমি চাইনা ওই মেয়ে এই বাড়িতে থাকুক। নিশ্চয়ই এই মেয়ের কোনো মতলব আছে। তাই আমাদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছে। ও হয়তো আবার ফিরে আসতে চাই আমার ছেলের জীবনে। না হলে কি ও আর অন্য কোথাও কাজ পাইনি? আমাদের বাড়িতেই ওকে কেন কাজ করতে আসতে হলো?”
আনোয়ার সাহেব:- “কিসব বলছো তুমি সাবিনা? হ্যাঁ নিশ্চয় কোনো কারণ আছে ওর এই সার্ভেন্ট এর কাজে জয়েন করার তাই বলে তুমি ওকে এভাবে অপমান করতে পারো না।”

মায়া তখনো মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। খুব কান্না পাচ্ছে ওর। এতোটা অপমানিত ওকে কখনো হতে হয়নি। কিন্তু ওর যে আর কিছুই করার নেই। ও তো নিজে থেকে আসেনি এই বাড়িতে কাজ করতে। ওকে জোড় করে নিয়ে আসা হয়েছে। ওকে যে আরমান শাহরিয়ার কিনে নিয়েছিল ওর অজান্তেই। তাতে ওর দোষটা কোথায়?
আবির এতোক্ষণ চুপচাপ ওদের কথা শুনছিল। এখন বলে উঠলো, “আঙ্কেল! মায়ার বাবার শরীর অসুস্থ। উনি হসপিটালে ভর্তি আছেন। ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজে আছেন উনি। জীবন মরণের সাথে লড়াই করছেন। অনেক টাকা খরচ করেও উনাকে বাঁচাতে পারবে কিনা তার কোনো গ্যারান্টি নেই। অনেক টাকা খরচ হয় উনার চিকিৎসা করাতে। আর মায়ার হাতে কোনো জব ছিল না। তাই ও বাধ্য হয়েছে আপনার ছেলের পার্সোনাল সার্ভেন্ট এর কাজ করতে।”

মায়ার দুই চোখে তখন আশ্রুর বন্যা। মাথা নিচু করে কাঁদছে মেয়েটা। ও ওদের করা অপমানের জন্য কাঁদেনি, কাঁদছে ওর বাবার কথা ভেবে। আরমান তখন সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিল, কিন্তু আবিরের বলা কথাটা ওর কানে যেতেই সিঁড়ির মাঝখানেই থমকে দাঁড়িয়ে গেলো ও। আবিরের পুরো কথাটা স্পষ্ট শুনতে পেয়েছে ও। দুইয়ে দুইয়ে চার মিল গেলো। যেই প্রশ্নের উত্তর ও এতোদিন নিজের মনে খুঁজছিল, পেয়ে গেলো সেই উত্তর, আবিরের কথায়।
আরমানের চাচী আনজুমা বেগম মায়ার কাছে এসে মায়ার চোখের পানি মুছে দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। মেয়েটাকে উনার প্রথম থেকেই ভীষণ ভালো লাগে।
আনজুমা বেগম মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন, “কাঁদে না মা। সব ঠিক হয়ে যাবে। জানোতো আল্লাহ যা করেন তা বান্দার ভালোর জন্যই করেন। তাই চিন্তা করো না, আল্লাহ চাইলে তোমার বাবা ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন।”

মায়া এমন স্নেহ ভরা স্পর্শ পেয়ে গলে গেলো যেনো। ছোটো থেকে মায়ের আদর পাইনি। ওর মা ওর জন্মের সময়ই মারা গেছেন। তাই মায়ের আদর ভালোবাসা কি জিনিস মায়া তা জানে না। আনজুমা বেগম এর এমন মায়া মমতা পেয়ে আরো জোড়ে শব্দ করে কান্না করতে লাগলো ও। যেই কান্না টা এতোদিন চাপা পড়েছিল সেটাই বেরিয়ে এলো যেনো। নিজেকে সবার সামনে শক্ত দেখালেও ও যে ভিতরে ভিতরে বড়োই দূর্বল।
আরমানের বাবা আনোয়ার সাহেবও এগিয়ে এসে মায়ার মাথায় হাত রাখলেন। কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারলেন না।
মিসেস সাবিনা বেগম মুখে বেঁকিয়ে বিরবির করে বললেন, “আদিখ্যেতা, যত সব ঢং।”
কিন্তু উনি বিরবির করে বললেও কথটা ঠিকই সবার কানে গেলো। মায়া আনজুমা বেগমের বুক থেকে মাথা তুলে দুই হাতে চোখের পানি ভালো করে মুছে নিলো। না না ও এইভাবে ভেঙে পড়তে পারে না। সবাই যে ওকে দূর্বল ভাববে তাহলে। সিমপ্যাথি দেখাতে আসবে সবাই। ও কারোর সিমপ্যাথি চাইনা।

আরমান সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসলো। তারপর মায়াকে উদ্দেশ্য করে বলল, “মায়া যাও আমার জন্য কফি নিয়ে আসো। Black coffee without sugar.”
আনজুমা বেগম:- “কিন্তু আব্বু ও তো এখনি বাইরে থেকে এলো। এখনো ফ্রেশ হয়নি। আমি বানিয়ে দি কফি।”
আরমান:- “না ছোটো আম্মু, যার যেটা কাজ তাকে সেটা করতে দাও।”
মায়া নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠলো, “আমি আনছি ছোটো আম্মু তুমি বসো। না মানে আন্টি… সরি আসলে ভুল করে বেরিয়ে গেছে।”
আনজুমা বেগম মুচকি হেসে বললেন, “ছোটো আম্মুই ডেকো। তুমিও আমার আরেক মেয়ে। এমন না যে কাউকে কিছু বলে ডাকতে গেলে রক্তের সম্পর্ক বা কাগজের সম্পর্ক থাকতে হবে। ডাকটা মন থেকে আসে, কোনো সম্পর্ক থেকে না।”

মায়াও মুচকি হেসে বলল, “ঠিক আছে ছোটো আম্মু।”
সাবিনা বেগম:- “ঢং দেখলে বাঁচি না। হুঁহ।” 😏
বলেই উনি সিঁড়ি দিয়ে উপড়ে চলে গেলেন।
আবির মায়াকে বলল, “মায়া রুবিকে বলবে তো আমার রুমে এক কাপ কফি দিয়ে যেতে।”
মায়া:- “আমিই দিয়ে আসছি ভাইয়া। তুমি যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। আঙ্কেল আপনাদের কিছু লাগবে?”
শেষের কথাটা মায়া আরমানের বাবা ও চাচার উদ্দেশ্যে বলল। আরমানের বাবা বললেন, “একটু চা হলো ভালো হতো মামনি। কিন্তু তুমি আগে ওদের কফি দাও তারপর ফ্রেশ হয়ে আমাদের একটু চা দিও। তোমার হাতে চা খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।”

আরমানের চাচা মানোয়ার সাহেবও বলে উঠলেন, “আমারো ভালো লাগে।”
আনজুমা বেগম:- “হ্যাঁ তোমরা যে যার মতো মেয়েটাকে অর্ডার করছো। বাইরে থেকে এসেছে ওকে একটু রেস্ট তো নিতে দাও।”
মায়া:- “আরে ও কোনো ব্যাপার না ছোট আম্মু। বেশিক্ষণ লাগবে না, আমি এখনি আসছি।”
মায়া চলে গেলো রান্না ঘরে। আর সবাই যে যার মতো সোফায় বসলো।

এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই মায়া একটা বড়ো ট্রে হাতে ড্রয়িংরুমের এলো। সবাইকে দেখলেও আরমানকে আর ড্রয়িংরুমের কোথাও দেখতে পেলো না। মায়া ওদের কাছে এগিয়ে এসে আরমানের বাবা, চাচা, আর ছোটো আম্মুর হাতে চায়ের কাপ ধরিয়ে দিলো। ওদের পাশেই বসে ছিলো আরমানের বোন সামিরা। বয়স ১৮। মায়া ওর হাতে এক বাটি নুডুলস ধরিয়ে দিয়ে বলল, “আর এটা তোমার জন্য।”
সামিরা খুশিতে উত্তেজিত হয়ে বলল, “থ্যাঙ্ক ইউ ভাবী.. না মানে আপু।”
সামিরার কথা শুনে সবার হাসি হাসি মুখটা চুপসে গেলো। আনজুমা বেগম পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বললেন, “মায়া! আরমান এইমাত্র রুমে গেলো। তুমি ওকে কফিটা একটু রুমেই দিয়ে আসো।”
মায়া:- “ঠিক আছে ছোটো আম্মু। আর বলছি আবির ভাইয়ার রুম কোনটা?”
আনজুমা বেগম:- “আরমানের রুমের আগে যেই রুমটা আছে ওটা আবিরের।”
মায়া:- “আচ্ছা ঠিক আছে।”

মায়া চলে গেলো উপরে। যেহেতু আগে আবিরের রুম তাই আবিরকেই আগে কফি দিলো। তারপর আরমানের রুমের দরজায় নক করল। আরমান যাওয়ার অনুমতি দিলে মায়া ভেতরে প্রবেশ করলো। আরমান সোফায় বসে ছিল ল্যাপটপ নিয়ে। মায়া ওর সামনের টেবিলে কফি রেখে বলল, “আপনার কফি।”
আরমান আমতা আমতা করে বলল, “মায়া তোমার বাবা এখন কেমন আছেন?”
আরমানের বলা কথাটা শুনে মায়া কিছুটা থমকে গেলো। তারপর তাচ্ছিল্য হেসে বলল, “একজন ক্যানসারের রোগীর যেমন থাকর কথা তেমনি আছে।”

কথটা বলেই মায়া বেরিয়ে গেলো। আরমান আরো কিছু বলতে চাইছিলো ওকে। কিন্তু বলতে পারলো না।
মায়া আবারো সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতেই ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে থাকা আরমানের চাচা মানোয়ার সাহেব আনজুমা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, “আনজুমা! যাও মায়া মামনির থাকার ব্যবস্থা করে দাও।”
আনজুমা বেগম:- “হ্যাঁ যাই। চলো আম্মু, আমার সাথে চলো।”

তারপর উনি উনাদের বাড়ির একজন ছেলে সার্ভেন্ট কে ডেকে বললেন মায়ার ল্যাগেজ টা দিয়ে যেতে। আনজুমা বেগম মায়াকে নিয়ে নিচের তলাতেই একটা মাঝারি সাইজের রুমে এসে বললেন, “আজ থেকে তুমি এখানেই থাকবে। এটা বাবা..মানে আমার শ্বশুর মশাইয়ের ঘর। উনি বেঁচে থাকতে এই ঘরেই থাকতেন। আমি মাঝে মাঝে পরিস্কার করে রাখতাম ঘরটা। অন্য সব ঘর এখন মইলা হয়ে আছে, পরিস্কার করা নেই। তাই এখানেই থাকতে দিলাম। তোমার কোনো অসুবিধা হবে না তো।”
মায়া হালকা হেসে বলল, “না ছোটো আম্মু কোনো অসুবিধা হবে না। বরং এই ঘরটা আমার খুব পছন্দ।”
আনজুমা বেগম:- “আচ্ছা। তাহলে তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। পরে জমিয়ে আড্ডা দেবো। আর ওই যে আলমারী, তুমি তোমার সব জিনস ওখানে রাখতে পারো।”
মায়া:- “ঠিক আছে ছোটো আম্মু।”

আনজুমা বেগম চলে গেলো। আর মায়া ল্যাগেজ থেকে জামা বের করে ওয়াশরুমে গেলো ফ্রেশ হতে। তারপর ফ্রেশ হয়ে এসে প্রথমেই কল লাগালো হসপিটালে, ওরা বাবার খোঁজ নেওয়ার জন্য। কথা বলা হয়ে গেলে, ও ওর ল্যাগেজ থেকে জামা গুলো বের করতে লাগলো আলমারিতে গুছিয়ে রাখার জন্য। তারপর একে একে সব জামা গুছিয়ে রাখলো। তারপর ব্যাগ থেকে প্রতিদিনের ব্যাবহিত জিনিস গুলো বের করে ছোটো ড্রেসিং টেবিলটাই রাখলো। তারপর ওর ল্যাগেজ থেকে বের করলো একটা ডাইরি। ওই ডাইরিতে আছে কিছু ড্রেসের ডিজাইন। যখন ওর খুব মন খারাপ হয় বা ওর মন খুব ভালো থাকে তখন বসে বসে এই ডাইরিতে ডিজাইন করে। এই ডাইরিতে করা ডিজাইন কখনো কোথাও দেয়নি ও।

আলমারিতে একটা ছোটো লকার আছে। সেই লকারটা খুললো ডাইরিটা ওখানে রাখার জন্য। কিন্তু লকারটা খুলতেই চোখে পড়লো একটা কাঠের ছোটো বাক্স। বাক্সটা অনেক দিনের পুরোনো। মায়া বাক্সটা হাতে নিয়ে হাত বুলিয়ে দেখলো। কি মনে করে বাক্সটা খুলতে গিয়েও খুললো না। আবারো আগের জায়গায় রেখে দিলো। আর তার পাশেই রাখলো ওর ডাইরিটা।
তখনি ওই ঘরের দরজায় নক হলো। মায়া আলমারিটা বন্ধ করে দরজা খুলে দিতেই দেখতে পেলো হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে সামিরা।
সামিরা:- “ভেতরে আসতে দিবে না ভা..না মানে আপু।”

সামিরা ভাবি বলতে যাচ্ছিল কিন্তু ও বুঝতে পেরে থেমে গেলো। সামিরা দুঃখি দুঃখি মুখ করে বলল, “সরি আপু। আসলে আগে যখন তোমাদের বাড়ি যেতাম তখন ভাবী বলেই ডাকতাম তো তাই এখনো বেরিয়ে যাচ্ছে।”
হ্যাঁ মাঝে মাঝে সামিরাও যেতো ওর দাদুর সাথে, মায়ার সাথে দেখা করতে।
মায়া হাসি মুখেই বলল, “ওহ কোনো ব্যাপার না। আমি কিছু মনে করেনি। এসো ভেতরে এসো।”
এই বলে সামিরার হাত ধরে রুমে নিয়ে গিয়ে খাটে বসিয়ে দিলো। এই রুমটা মাঝারী সাইজের হলেও প্রয়োজনিয় সবকিছুই আছে। ছোটো একটা বারান্দাও আছে, রুমটার সাথে। বারান্দায় গেলে এই বাড়ির বাগান টা দেখা যাই। মানে বাগানের কাছেই এই রুমটা।

সামিরা মন খারাপ করেই বললো, “জানো তো আপু। তোমাকে আমি মন থেকেই ভাবী ভেবেছিলাম, তোমাদের ডিভোর্স হয়ে গেলেও তোমাকে ভুলতে পারিনি।”
মায়া একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, “বাদ দাও। আগের কথা ভেবে মন খারাপ করো না।”

আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ৯

সামিরা ভাবলো এসব কথা বলে হয়তো মায়ারও মন খারাপ করে দিচ্ছে ও। তাই উৎফুল্ল কন্ঠে বলল, “হ্যাঁ ঠিকই বলেছো। তবে এখন আমি তোমাকে আমাদের বাড়িতে পেয়ে ভীষণ খুশি। ভীষণ ভালো লাগছে আমার। ভাবী ডাকতে পারবো না তো কি হয়েছে? আপু ডাকবো। আর ভাবী ডাকটা কেমন পর পর, আর আপু ডাকটা কেমন আপন আপন।”
সামিরার কথায় মায়া কিছুটা হাসলো। এইভাবে আরো কিছুক্ষন গল্প করলো ওরা।

আমার নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ১১