আমৃত্যু ভালোবাসি তোকে পর্ব ৭৪
লেখনীতে সালমা চৌধুরী
বন্যা ভ্রু কুঁচকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তানভিরের দিকে তাকিয়ে আছে৷ তানভির চোখ ঘুরিয়ে বন্যার চোখের পানে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলল। বন্যা মুখ ফুলিয়ে আলগোছে ভ্রু নাচালো। তানভির এমনভাবে ঠোঁট উল্টালো যেন সে কিছুই জানে না।
মোজাম্মেল খান স্বাভাবিক কন্ঠে বললেন,
“ওরা আর কোথায় যাবে! হয়তো ছাদে আছে।”
তানভির ফোন বের করে আবিরের নাম্বারে কল দিল। আবির কল রিসিভ করে মৃদু হেসে বলল,
“আসসালামু আলাইকুম সম্বন্ধী সাহেব।”
তানভির গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“ওয়ালাইকুম আসসালাম। কোথায় তোমরা?”
“পালাচ্ছি।”
“মানে?”
“তোদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি তাই চলে যাচ্ছি।”
“কিন্তু যাচ্ছো কোথায়?”
“হানিমুনে, বউ ঘুমাচ্ছে এখন রাখছি।”
আবির সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে দিয়েছে, তানভির ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে চাপা নিঃশ্বাস ছাড়লো। চলন্ত ট্রেনের ঝাঁকি সাথে আবিরের অল্পবিস্তর কথার শব্দে মেঘ ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে নিজেকে আবিরের কোলে আবিষ্কার করল। আবির মুচকি হেসে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“শুভ সকাল, বউ”
মেঘ আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে ভালোভাবে দেখে, চিন্তিত স্বরে জানতে চাইল,
” আমরা কোথায় যাচ্ছি?”
“কক্সবাজার”
মেঘ প্রশস্ত নেত্রে আবিরের মুখের পানে তাকিয়েছে৷ আবির আলতো হাতে মেঘের চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর মিটিমিটি হাসছে। আবিরের দুষ্টুমিপূর্ণ হাসি দেখে মেঘের স্নেহব্যঞ্জক প্রদোষের একের পর এক আবেগপ্রবণ দৃশ্য মনে পড়তে শুরু করেছে। দীর্ঘায়ত গত রাত ছিল আবিরের অত্যুষ্ণ অনুরাগ প্রকাশের রাত, নিজের অন্তর্নিহিত আবেগ, অনুভূতি জাহির করার রাত। অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশে চুল পরিমাণ কঞ্জুসপনাও করে নি সে। প্রায় শেষ রাতের দিকে আবিরের সন্তপ্ত ভালোবাসা অন্ত ঘটে। শাওয়ার নিয়ে ফজরের নামাজ পড়ে আবির মেঘকে একটা হালকা বেগুনি রঙের শাড়ি পড়িয়ে, নিজের হাতে সাজিয়ে সযত্নে ঘুম পারিয়ে দিয়েছিল, সেই ঘুম ভেঙেছে এখন।
মেঘের নির্বাক চোখের চাহনিতে আবির আচমকা ভ্রু নাচালো। মেঘ লাজুক হেসে সঙ্গে সঙ্গে দুহাতে মুখ লুকিয়ে ফেলেছে। আবির অত্যন্ত শীতল কন্ঠে শুধালো,
“এখনও এত লজ্জা পেলে হবে?”
লজ্জায় অসাড় মেঘ মুখ ফুটে আর কিছুই বলতে পারল না।
খান বাড়িতে কিছু সময় নিরবতা চলল। জান্নাত, রিয়া, আইরিন, মীম, বন্যা সবাই একে অপরের মুখের পানে চেয়ে আছে। তানভির মাথা নিচু করে বসে আছে। আলী আহমদ খান গুরুগম্ভীর কন্ঠে শুধালেন,
“ওরা কোথায় যাচ্ছে? ”
তানভির ধীর কন্ঠে জবাব দিল,
” ঘুরতে।”
” আমাদের বললে কি আমরা পাঠাতাম না? এভাবে কাউকে না বলে যাওয়ার কি ছিল?”
মাহমুদা খান তপ্ত স্বরে বললেন,
“আমি ভোরবেলা উঠে তো দরজা বন্ধই দেখলাম, ওরা গেল কিভাবে?”
আলী আহমদ খান সবার দিকে এক পলক তাকিয়ে ভারী কন্ঠে বললেন,
” বাসার কেউ না কেউ অবশ্যই জানতো। ”
আলী আহমদ খান মুখ ফুলিয়ে শ্বাস ছেড়ে বিড়বিড় করছেন। বাড়িতে এখনও কমবেশি মেহমান আছেন, তারমধ্যে ছেলে আর ছেলের বউ বাড়ি থেকে চলে গেছে বিষয়টা ওনার ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। মোজাম্মেল খান মেকি স্বরে বললেন,
” ভাইজান কি রাগ করলে নাকি?”
আলী আহমদ খান রাগী রাগী মুখ করে তাকিয়েছেন কেবল এরমধ্যে মালিহা খান রাশভারি কন্ঠে বলতে শুরু করলেন,
” সব দোষ তোমাদের, ছেলেটাকে এত কষ্ট দেয়ার কি দরকার ছিল? তোমরা যেহেতু সবকিছু আগে থেকেই জানতে তাহলে এত চ্যালেঞ্জ না নিয়ে আমাদের জানিয়ে সবকিছু মেনে নিলেই হতো। আমার ছেলেটাকে এভাবে না কাঁদালেও পারতে।”
আলী আহমদ খান হঠাৎ ই উচ্চ শব্দে হেসে উঠলেন। মালিহা খানকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
” তোমার কি মনে হচ্ছে, তোমার ছেলেকে কাঁদিয়েছি বলে তোমার ছেলে রাগ করে বউ নিয়ে চলে গেছে?”
“হ্যাঁ।”
আলী আহমদ খান হাসতে হাসতে বললেন,
“এসবকিছু তার পূর্বপরিকল্পিত। তোমার ছেলেকে নিষ্পাপ ভেবো না, সে এতটাও নিষ্পাপ না। ”
মালিহা খান রাগী স্বরে বললেন,
” আপনি মানেন আর না মানেন, আমি জানি আমার ছেলে নিষ্পাপ। ”
আলী আহমদ খান চাপা স্বরে বললেন,
” এইযে আমার ছেলে আমার ছেলে করছো, তোমার আদরের ছেলে যে তিনবছর আগে বিয়ে করে ফেলেছে এটা কি তুমি জানো?”
মালিহা খান তৎক্ষনাৎ বলে উঠলেন,
” কি? কে বলেছে?”
মোজাম্মেল খান খাওয়া বন্ধ করে আতঙ্কিত নজরে তাকালেন। আলী আহমদ খান স্বাভাবিক কন্ঠে ফের বললেন,
“তোমার ছেলে আর মেঘ মামনির বিয়ে আরও তিন বছর আগেই হয়ে গেছে। গত পরশু দিন তিনবছর পূর্ণ হয়েছে। তোমার ছেলেকে যতটা সাধারণ ভাবো সে ততটাও সাধারণ না।”
মালিহা খান নিস্তব্ধ হয়ে গেছেন। মোজাম্মেল খান গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
“ভাইজান, তুমি কি আমাদের সাথে মজা করছো? ”
” মজা করার ইচ্ছে থাকলে তোদের সাথে আগেই মজা করতাম, বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষাও করতাম না আর ধুমধাম করে ছেলের বিয়েও দিতাম না। তুই বিয়ের দিন কাবিনের কথা বললি না, আমি কি কাবিন দিব আমার ছেলে আরও ৯ বছর আগে না বুঝেই কাবিন ঠিক করে ফেলেছে। যখন বুঝতে পেরেছে কাবিন মেয়ের পরিবার থেকে দিতে হয় তখন তার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে, সে এলোপাতাড়ি ছুটাছুটি করে টাকা ম্যানেজ করে তোর মেয়েকে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে তবুও কাবিন নিয়ে যেন কোনো কথা না উঠে। ”
মোজাম্মেল খান কপাল কুঁচকে প্রশ্ন করলেন,
” আবির মেঘকে বাড়ি গিফট করেছে?”
“হ্যাঁ”
“কোথায়?”
“সেটা আমি কি করে বলবো, আমিও তো অল্প শুনেছি। ”
“তোমাকে এসব কে বলেছে? আবির মেঘের বিয়ে হয়েছে এটায় বা কে বলেছে?”
“তোর ছেলে।”
“তানভির বলেছে? ”
“হ্যাঁ”
মোজাম্মেল খান রাগান্বিত দৃষ্টিতে তানভিরের দিকে তাকিয়ে আছেন। তানভির সেই যে মাথা নিচু করেছে, চোখ তুলে আর তাকাতেই পারছে না। বন্যা, রিয়া, মীম, আইরিন সবাই নির্বাক চোখে চেয়ে আছে। মোজাম্মেল খান গুরুভার কন্ঠে বললেন,
” এসব কি শুনছি! আবির মেঘের বিয়ে কি আগেই হয়েছে? ”
তানভির বার বার ঢোক গিলছে। আলী আহমদ খান মৃদুস্বরে বললেন,
” তানভিরকে কিছু বলে লাভ নেই। সে এক নির্বোধ আর আমার টা ওর থেকে আরও বড় নির্বোধ। ”
“কিভাবে কি করেছে?”
” কিভাবে করেছে এসব এখন আর জানতে হবে না শুধু জেনে রাখ, তোকে তোর ছেলে হারিয়ে দিয়েছে।”
মালিহা খান শীতল কন্ঠে শুধালেন,
” আপনি এতকিছু কিভাবে জানলেন?”
আলী আহমদ খান মৃদু হেসে বললেন,
” তোমার কি মনে হয়, এমনি এমনি বলে দিয়েছে? এত সহজ? সেদিন সন্ধ্যায় রাকিব, রাসেল আর তানভির তিনজনই আমার অফিসে গিয়েছিল, আবিরের পছন্দের কথা জানিয়ে আমাকে খুব করে রিকুয়েষ্ট করছিল যেন ঝামেলা ছাড়া রাজি হয়ে যায়। যেহেতু মোজাম্মেল আমাকে আগে থেকেই অনেক বার জানিয়ে রেখেছে তাই আমিও সেভাবে রিয়েক্ট করি নি। রাকিবদের বিদায় করে তানভিরের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। বিয়ে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই শুধু বলেছিলাম, মাসখানেক সময় নিয়ে বিয়ের আয়োজন করতে হবে কিন্তু তানভিরের ঘুরে ফিরে এক কথা, বিয়ে করালে ৩ তারিখ ই করাতে হবে। সে কারণ বলতে নারাজ, আমিও বার বার জিজ্ঞেস করতে লাগলাম৷ এক পর্যায়ে রাগ দেখিয়ে বললাম সত্যি কথা না বললে এই বিয়ে আমি কোনোদিনও মানবো না।
তখন ভয়ে ভয়ে সব সত্যি স্বীকার করেছে। তোমরা এখন কি অবাক হচ্ছো আমি তানভিরের কথা শুনে তখন হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। আমার ছেলের আস্পর্ধার কথা শুনে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম৷ ঐ পরিস্থিতিতে রাগ দেখানোর অবস্থাও ছিল না। তানভিরের সাথে হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে আবিরকে রাজশাহী পাঠালাম, কারণ ও বাসায় থাকলে পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ হয়ে যেত। আবিরকে পাঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমিনার বাসায় গেলাম। আমিনাকে আবিরের কথা জানানোর পর সে উঠে বলে, সে সবকিছু আগে থেকেই জানে। তোমরা বিশ্বাস করবে না, আমি তানভিরের কথা থেকে আমিনার কথায় বেশি অবাক হয়েছিলাম। আমি গিয়েছিলাম ওর সাথে আলোচনা করতে কিন্তু ওর কথাবার্তা শুনে আলোচনা তো দূর ওর বাসা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছি বাসায় কোনোপ্রকার আলোচনা ব্যতীত বিয়ে হবে আর ৩ তারিখ ই বিয়ে হবে।”
ইকবাল খান ধীর কন্ঠে শুধালেন,
” বাসায় বিষয়টা জানালে কি হতো?”
“বিয়েটা আমার সিদ্ধান্তে হচ্ছে জানলে তোমরা কেউ সেভাবে রিয়েক্ট করতে না। কিন্তু যদি একবার আবির মেঘের বিয়ের কথা সামনে উঠে যেত তখন সবার আগে ব্যাগড়া দিতো মোজাম্মেল আর সাথে ওর মেয়ে। এজন্য তানভির আগে থেকেই বলে রেখেছিল যেন বাসায় বা আবিরের সামনে বিয়ের কথা না উঠায়। এখন যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে আর ওরা বাসায়ও নেই তাই তোমাদের জানালাম।”
মোজাম্মেল খান মুখ ফুলিয়ে রাগী স্বরে বললেন,
” আমি জিতে গিয়েও হেরে গেলাম, ভাইজান।”
আলী আহমদ খান ঠাট্টার স্বরে বললেন,
” তোকে আগেই বলেছিলাম, এত খুশি হয়ে লাভ নেই। কারণ আজ নয়তো কাল তোর জিত হারে পরিণত হতোই। ”
মোজাম্মেল খান মাহমুদা খানের দিকে তাকিয়ে ভারী কন্ঠে বললেন,
” তুই কি এই কথাটা আগে বলতে পারতি না আমাদের? ”
“সাহস হয় নি ভাইয়া। অনেকবার বলতে চেয়েও বলতে পারি নি।”
ইকবাল খান তানভিরের দিকে তাকিয়ে রূষ্ট স্বরে বললেন,
” তোর এত সাহস হলো কিভাবে?”
তানভির মাথা নিচু রেখেই বলতে শুরু করল,
“আপনাদের মধ্যে বন্ডিং খুব ভালো আর আমাদের বন্ডিং খারাপ নাকি! আমার ভাইদের জন্য আমি যা ইচ্ছে করতে পারি। আদি, ঠিক কি না বল ?”
আদি এতক্ষণ খাওয়ার তালে ছিল, কে কি বলেছে সেসবে গুরুত্বই দেয় নি। আচমকা তানভির প্রশ্ন করায় আদি না বুঝে সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল,
“একদম ঠিক।”
আলী আহমদ খান মৃদু হাসলেন তবে মোজাম্মেল খান রাগে ফোঁস ফোঁস করছেন। তানভির চুপচাপ উঠে গেছে। এমন সময় রাকিব অফিসের জন্য রেডি হয়ে নামছে। কিছুদিন যাবৎ আবির ব্যস্ত থাকায় রাকিবকেই সবটা সামলাতে হচ্ছে৷ রাকিব নিচে আসতেই আলী আহমদ খান ঘাড় ঘুরিয়ে রাকিবকে দেখে গুরুগম্ভীর কন্ঠে ডাকলেন,
” রাকিব এদিকে আসো। ”
“জ্বি আংকেল।”
“তোমার বন্ধু কোথায় গেছে?”
রাকিব নির্দ্বিধায় জবাব দিল,
” কক্সবাজার।”
“তুমি আগে থেকে জানতে?”
“আগে জানতাম না। বিয়ের দিন রাতে জানতে পেরেছি।”
“বাসার কাউকে জানাও নি কেনো?”
“আবির নিষেধ করেছিল।”
“নাস্তা করেছো?”
“জ্বি আংকেল, অফিসে যেতে হবে।”
“ঠিক আছে, যাও।”
রাকিব রিয়ার দিকে তাকিয়ে মৃদুস্বরে বলল,
” আমি অফিসে যাচ্ছি, তুমি জান্নাতের সঙ্গে বাসায় চলে যেও। ”
রিয়া শান্ত স্বরে জবাব দিল,
“আচ্ছা।”
এত সময়ের মধ্যে বন্যা শুধু নিষ্পলক চোখে তানভিরের দিকে তাকিয়েই ছিল, মুখ ফুটে একটা কথাও বলে নি। বন্যার বোন সকাল থেকে বার বার কল দিচ্ছে, বন্যা খাওয়াদাওয়া শেষ করেই ব্যাগ গুছাতে শুরু করেছে । গত দুই তিনদিন যাবৎ তানভির বন্যার সাথে আলাদাভাবে কথা বলতে ছটফট করছে কিন্তু মীম আর আইরিনের জন্য সুযোগ ই পাচ্ছে না। তানভির ঘুরেফিরে মীমের রুমের সামনে দাঁড়িয়েছে। আইরিন সহসা ভ্রু নাচিয়ে মৃদুস্বরে বলল,
“কি ব্যাপার? এখানে কি চাই?”
তানভির স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
“বন্যার সাথে আমার একটু কথা আছে।”
” কি কথা? আমাদের বলো।”
তানভির আইরিনের মাথায় গাট্টা দিয়ে গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলল,
“তিনদিন যাবৎ তোদেরকেই বলতেছি, সামনে থেকে সর এখন।”
আইরিন ঠোঁট বেঁকিয়ে বিড়বিড় করে বলল,
” এত অধিকার দেখাচ্ছো কেনো? তুমিও কি গোপনে বিয়ে করে ফেলেছো নাকি?”
তানভির মৃদু হেসে বলল,
” ভাবছি। ”
তানভির রুমে ঢুকতেই বন্যা আড়চোখে তাকালো। তানভির মলিন হেসে বলল,
” তোমার সাথে কিছু কথা আছে।”
বন্যা গম্ভীর কন্ঠে জানাল,
আমৃত্যু ভালোবাসি তোকে পর্ব ৭৩ (২)
” বাসা থেকে কল দিচ্ছে, আমাকে যেতে হবে।”
” সে না হয় দিয়ে আসলাম কিন্তু তোমার সাথে কথাগুলো বলা প্রয়োজন। ”
বন্যা ক্রোধিত কন্ঠে বলল,
” আপনার সাথে কথা বলার মতো মন মানসিকতা আমার নেই। ”