আশার হাত বাড়ায় পর্ব ৩২

আশার হাত বাড়ায় পর্ব ৩২
ইশরাত জাহান

ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে মিরাজ।সামনে ল্যাপটপ।এক সপ্তাহ ছুটি নিয়েছিলো তাই আজ কিছু কাজ করছে।রান্নাঘরে কফি বানাচ্ছে অর্পা।কফি আর সাথে কিছু নাস্তা নিয়ে টেবিলে বসতেই সেখানে উপস্থিত হয় ফারহান চৌধুরী।মিরাজ তার জন্যই এখানে অপেক্ষা করছিলো।ঘরে বসে কাজ করতে থাকলে ফারহান চৌধুরী আসলে সাথে সাথে দেখা করতে পারতো না।ফারহান চৌধুরী এসে মিরাজের পাশে বসতেই মিরাজ বলে,”তোমার বউকে কি দেখে বিয়ে করেছিলে বলবে বাবা?”

“কেনো আমার বউ তোমার কি করলো?উল্টো তো তোমাদের দুই ভাইকে পৃথিবীর মুখ দেখালো।”
“তোমার বউ একজন কূটনী মহিলা বাবা।”
“কি হলো আবার?”
“কাকিয়া বলেনি?”
“ফোন করেছিলো মিটিংয়ে ছিলাম।ধরতে পারিনি।”
“তোমার বউ তোমার নামে তোমার বড় ছেলের কাছে নালিশ করেছে।বলেছে তুমি ভাইকে তার অ্যাসিসট্যান্ট এর সাথে বিয়ে দিতে চাও তাই।”
“কিঃ!কিন্তু ও জানলো কিভাবে?”
“তোমার বউ যে একজন গোয়েন্দা ভুলে গেছো?তোমার ড্রাইভারকে পর্যন্ত হাত করে রেখেছে।তোমাকে সন্দেহ করে মা।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আমাকে সন্দেহ করবে কেনো?”
“কি জানি!কি অঘটন ঘটিয়েছো তুমি আমি এসব বলতে পারব না।কিন্তু ভাইয়াকে সবকিছু বলে দিয়েছে।”
আফসোস করে ফারহান চৌধুরী বলেন,”ভাবলাম আমি কাল সকালে ছেলেটাকে বুঝিয়ে বলব।সবকিছুতে এডভ্যান্স কথা আগানো ভালো না।আমি চেয়েছিলাম শ্রেয়ার সাথে ওর মা আর ফারাজের সাথে আমি কথা বলে অন্তত ওদের মনোভাব বুঝতে পারব।তারপর বিয়ের কথা ভাবা যাবে।”

“ঘরে জিলাপির প্যাচ থাকতে তুমি সোজা রাস্তায় যাওয়ার কথা ভাবো কিভাবে বাবা!”
ভ্রুকুটি করে ফারহান চৌধুরী বলেন,”তুমি দেখছি আমার বউকে অপমান করেই যাচ্ছো।আমার বউ তোমার বউকে পছন্দ করে না বলে আমার বউকে অপমান করবে?”
“তোমার বউ আমার মা হয়।অপমান করলাম কোথায়?মাকে কি অপমান করা যায়?মাকে নিয়ে সত্যি কথা বলতে হয়।আমি সত্যি কথাটি বলেছি শুধু।”
“মাকে নিয়ে এতটাও সত্য কথা বলা উচিত না।”

ল্যাপটপ বন্ধ করে উপরে যেতে থাকে মিরাজ।উপরে যেতে যেতে বলে,”বউয়ের রূপে দ্বিতীয় কোনো নারী বাড়িতে এনে ঘূর্ণিঝড় বাদানোর থেকে বৌমার রূপের দ্বিতীয় নারী আনো।অন্তত বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করা যাবে।”
ফারহান চৌধুরী ফোঁস করে নিশ্বাস নিলেন।ছেলে ভুল কিছুই বলেনি।ফারাজ বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চুপ থাকে।মিরাজ সবকিছু প্রকাশ করে।জন্ম থেকেই এরা দুই ভাই ভিন্ন।ফারাজ জন্মের পর থেকে ফারহান চৌধুরীর সমস্ত কথা মেনে চলতো আর মিরাজ মেনে তো চলতো না আরো বকা দিলে উল্টো যুক্তি দিতো।লোকে বলে,এক সন্তান হয় ঘাড় ত্যাড়া।আর দুই সন্তান হলে প্রথম সন্তান হয় ভদ্র তো দ্বিতীয় সন্তান হয় বদের হাড্ডি।ফারহান চৌধুরী এখন এগুলো বিশ্বাস করেন।তার ফারাজ আর মিরাজকে দেখে।

ফারাজের ঘরে এসে ফারহান চৌধুরী বলেন,”আসবো?”
“বাবা তার ছেলের ঘরে আসবে।অনুমতি কেনো চাইছো?”
স্মিত হেসে ফারহান চৌধুরী বলেন,”এটা একটা ভদ্রতা।আজ তুমি সিঙ্গেল তাই অনুমতি না নিলেও চলবে কিন্তু দুদিন পর তো অনুমতি নিতে হবে।কেনো শুধু শুধু বদ অভ্যাস পুষে রাখবো?”
“তুমিও শুরু করেছো আমার বিয়ে নিয়ে?”
“ভুল কোনো পথ অবলম্বন করছি বলে আমার মনে হয় না।”

“বাবা আমি মিস শ্রেয়াকে বিয়ে করতে পারব না।”
“কেনো জানতে পারি?”
“কতগুলো কারণ জানতে চাও তুমি বাবা?”
“তুমি যতগুলো দেখাবে আমি ততগুলোই দেখতে চাই।”

“তাহলে শোনো।প্রথমত,আমার জীবনে অন্য কোনো নারীর স্থান আমি কিভাবে দিবো?আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তার সাথে সংসার করলেও আমার মন মানসিকতা তার সাথে সংসার করবে না।দ্বিতীয়ত,মিস শ্রেয়া এই বাড়িতে রেসপেক্ট পাবে না।অর্পা আর কাকিয়া আছে ঠিকই কিন্তু মা যে কি না মডার্ন কাউকে খুঁজছে সেখানে মিস শ্রেয়াকে এখানে এনে ছোট করা হবে।তৃতীয়ত,আমার একটা সন্তান আছে।যে আমার কলিজার টুকরা।অবশ্যই যাকে আমি আমার বউ হিসেবে আনবো তাকে আমার সন্তানকে মেনে নিতে হবে।কিন্তু আদৌ কি সম্ভব এটা?কেউ কি চাইবে নিজের সন্তান রেখে সতীনের সন্তান মানুষ করতে।চতুর্থত,আমি নিজেও চাই না আমার স্ত্রী হিসেবে কেউ তাকে আমার সন্তানের সৎ মা বা আয়া হিসেবে চিনুক।যেমনটা ঘরে ঘরে হয়।টুকটাক কিছু চললে কথা উঠবে সে সৎ মা তাই এমন করেছে।আমি চাই না এমন কোনো পরিবেশ তৈরি হোক যেটা কাকিয়া সহ্য করেছে।”

কথাগুলো বলে ফারাজ একটু থামে।অতঃপর আবার বলে,”আশা করি তুমি বুঝতে পেরেছো?”
“আমি তোমার প্রত্যেকটি বিষয় বুঝতে পেরেছি।কিন্তু ফারাজ!তুমি কি জানো?জীবন একবার থমকে গেলেও ওখানে সবকিছু শেষ হয় না।দ্বিতীয়বার আবারও নতুন করে সবকিছু শুরু করা যায়।তোমার জীবনে অন্য নারীর স্থান তখনই আসবে যখন তুমি দ্বিতীয় নারীটিকে বুঝতে পারবে।তোমার জন্য সে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এমনটি তার জন্যেও তুমি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এটাও দেখে নিতে হবে।

বিষয়টি যখন মিমি আর শ্রেয়ার মা মেয়ের তখন আমিও তোমাকে কিছু বলতে চাই।যদি শ্রেয়ার সাথে তোমার বিয়ে হয় তাহলে শ্রেয়া তোমার স্ত্রী আর মিমি তো তোমার সন্তান।সেই অনুযায়ী তোমাকে তোমার স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি সমান অধিকার পালন করতে হবে।তুমি তোমার অধিকার বা দায়িত্ব পালনে এড়িয়ে যেতে পারো না।মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিকে উপ্রে ফেলতে দ্বিতীয় কারোর প্রয়োজন হয়।একা একা বিষ হজম করার থেকে কারো সহায়তায় বিষ ত্যাগ করা শ্রেয়।

এতে করে জীবনটা বিষাক্ত নয় বরং মধুময় হয়ে গড়ে উঠবে।মিমি তার প্রপার গার্জিয়ান হিসেবে আমাদের পাবে।হ্যাঁ জিনিয়া মডার্ন লাইফ লিড করে কিন্তু মিমিকে জিনিয়া নিজেও জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।মিমির ভালোবাসার মানুষের অভাব নেই।কিন্তু ফারাজ তোমার জীবনটা থমকে থাকলে কেউ এগিয়ে আসবে না।দিন যত যাবে তুমি ততই একা একা গুমড়ে যাবে।তোমার জীবনেও সঙ্গীত প্রয়োজন।সঙ্গীহীন জীবন বড়ই কঠিন।এই জীবন পার করতে চাওয়া সহজ নয়।বাবা হিসেবে আমি আমার সন্তানকে সুখে দেখতে চাই ঠিক যেমন আমার সন্তান তার সন্তানকে সুখে দেখতে চায়।”

ফারাজ দেখলো ফারহান চৌধুরীকে।তার জন্য তার পরিবার চিন্তা করছে।বাবা তার জন্য ভালো কিছু প্রত্যাশা করে।এটা বাবা হিসেবে ভুল না।বাবার একটা কোথাও ভুল না।ফারহান চৌধুরী চলে যেতে নিলেন।কিছুদূর যেতেই ফারাজ বলে,”আমার সময় লাগবে বাবা।আর তার থেকেও বড় কথা আমার এখন বাইরে যেতে হবে।তাও প্রায় বছর খানিকের মতো সময়।”
“কবে যাবে তুমি?”
“এই তো কাল।”
“আমাদের তো জানাও নি!”

“আমি তো অনেক আগে থেকেই বাইরে যাওয়ার প্রিপারেশন নিতে থাকি।তাই তো আমার জন্য অ্যাসিসট্যান্ট রাখি।এই যে আমি থাকবো না।আমার অবর্তমানে এনি আর সে অফিস দেখবে।”
“ওহ তাও ভালো।আমি ভাবলাম আমার সিদ্ধান্তে আমার ছেলে এই বয়সে আমার থেকে পালাতে চায়।”
“জীবনে ঘটে যাওয়া সবথেকে বাজে পরিস্থিতির থেকে পালাতে পারিনি আমি। ভাবলে কি করে এই পরিস্থিতি থেকে পালাবো?এই যাওয়াটাই যেনো আমার শেষ যাওয়া হয় সেই প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছি।রোজ রোজ এত ব্যস্ততা আর দৌড়াদৌড়ি করতে করতে আমিও হাপিয়ে গেছি বাবা।আমার যদি সংসার করতেই হয় তাহলে ব্যস্ততা কমাতে হবে।আশা করি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী টাকার থেকে স্বামী সংসারের দিকে বেশি অগ্রসর হবে।”

“এমনটাই হবে।তোমার বাবা তোমার জন্য বেস্ট কিছুই করবে।ভুল একবার করা যায় দ্বিতীয়বার না।তুমি তো আমার বিচক্ষণ পুত্র।তোমার নজর কি বলে?আমি কি এতটাই গা ভাসিয়ে চলার লোক?”
“না বাবা।তুমি সবসময় পরিবারের জন্য বেস্ট কিছুই করেছো।আমি তোমার সকল সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।তবে এখন এক বছরের জন্য বাইরে যেতে হবে।যদি তোমার পছন্দের পাত্রি অন্য কাউকে বিয়ে না করে তাহলে তাকে তখন দেখা যাবে।”

ঠোঁট প্রসারিত করলো ফারাজ।সাথে ফারহান চৌধুরী নিজেও হালকা হাসলেন।
সকালে,
শ্রেয়া আয়নার সামনে দাড়িয়ে তৈরি হচ্ছে। রিমলি তাকে দেখছে।কালকের কথা ভেবে বলে,”আচ্ছা আপু।তোমার বসকে কেমন লাগে?”
একটু অবাক হয়ে শ্রেয়া বলে,”কেমন লাগবে? আর কেনো বলতো?”
“না এমনি বলছি আর কি।মানুষটিকে তোমার কেমন লাগে?”
“ভালোই।”

“যদি ওরা বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাহলে?”
শ্রেয়া রিমলির দিকে ঘুরে তাকালো।সৃষ্টি বেগম আসলেন ঘরে।রিমলিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,”বেশি পেকে গেছো তুমি।এতটা এডভ্যান্স হতে কে বলেছে?”
“হাহ!মিথ্যা তো কিছু বলিনি।”

সৃষ্টি বেগম শ্রেয়ার পাশে এসে দাড়িয়ে বলেন,”কাল ফারাজের বাবা এসেছিলেন।তোকে তার পছন্দ হয়েছে।বড় ছেলের বউ বানাতে চায়।তোর বা ফারাজের আপত্তি থাকলে বিয়ে হবে না।তোদের মতামতেই সবকিছু নির্ভর করে।”
লজ্জা পেলো শ্রেয়া।অন্যদিকে ফিরে তাকায়।সৃষ্টি বেগম বলেন,”কি রে তুই কি চাস?আমরা কি কথা আগাবো নাকি এখানেই না করে দিবো?”

রিমলি গলা উচু করে বলে,”আরে আম্মু তোমার বড়মেয়ে লজ্জা পাচ্ছে।মানে সে রাজি।”
রিমলির দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালেও সৃষ্টি বেগম খুশি হলেন।কারণ শ্রেয়া রাজি।
আজ অফিসে আসেনি ফারাজ।শ্রেয়া এসে সবকিছু গুছিয়ে বসলো মাত্র।ফারাজের কেবিনের দিকে তাকিয়ে আছে আবার তাকাতে থাকে দরজার দিকে।ফারাজ ঢুকবে ওখান থেকে।সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ফারাজ আসছে না।কিছুক্ষণ পর ইভা আসে অফিসে।ইভাকে দেরি করে আসতে দেখে শ্রেয়া বলে,”এত দেরি করে আসলে যে?”
“কারণ আজকে বকার কেউ নেই। সরি সরি স্যারকে বলে দিও না আবার।”

“আজকে বকার কেউ নেই মানে?”
ওদের কথার মাঝে এনি আসে।এনি এসে শ্রেয়াকে বলে,”হ্যান্ডসাম বাইরে গেছে।প্রায় এক বছরের জন্য।”
“কই আমাকে তো বললো না!”
“আমাকে বলেছে।কাল রাতে বলেছে।আটকানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু শোনেনি।যাক একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার।”
মনটা খারাপ হয়ে গেলো শ্রেয়ার।কতটা আশা নিয়ে এসেছিলো আজ।চোখ জুড়িয়ে ফারাজকে দেখতে পাবে।ভালোবাসার সূচনাতে হয়তো এমনটাই হয়।

সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে অহনা।উপরের রুমগুলো পরিষ্কার করেছে মাত্র।আজ বাড়ির ছেলে ও নাতি আসবে।একমাস থেকেই চলে যাবে।সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ধাক্কা লাগে একটি যুবকের সাথে।কবির অহনাকে সামলে দেয়।তারপর বলে,”আপনি ঠিক আছেন?”
অহনার মাথা ঘুরছে।এখন মূলত তার মাথা ঘোরার কারণেই এমন হতে থাকে।কবিরের দিকে তাকিয়ে বলে,”হ্যাঁ।আমি ঠিক আছি।তুমি কবির তাই না?”

“হ্যাঁ।দাদী কোথায়?”
“রান্নাঘরে আছেন তিনি।তোমার আর তোমার বাবার পছন্দের খাবার রান্না করছেন আজ।”
“তাহলে আমি দেখা দিয়ে আসি।”
“হ্যাঁ,যাও।”
অহনা এবার নিজের ঘরে এসে বসে। খুক খুক করে কিছুক্ষণ কাশতে থাকে।কিছু একটা অনুভব করে নাকে হাত দিয়ে দেখতে থাকে।আঙুলে ছোপ ছোপ রক্ত দেখে স্মিত হেসে বলে,”কর্মফল।আমি এই বিষয়ে কাউকে জানাবো না।যেমন আছি তেমন থাকবো।”

রিমলি আজ কলেজে যায়নি।নতুন গল্প নিয়ে এতটাই উত্তেজিত যে সে আজ কলেজে না যেয়ে বাসায় বলে লিখছে।সৃষ্টি বেগম কিছুক্ষণ পর পর এসে দেখছেন রিমলি ফোন নিয়ে সেই ধরে বসে আছে।বিরক্তিতে এখন বকছে রিমলিকে।রিমলি এবার বিরক্ত হয়ে ফোন পাশে রেখে দিলো।সৃষ্টি বেগম তারপরও থামেনি।বলতে থাকেন,”পড়াশোনা না করে ওই এক ফোন নিয়ে ঘাটতেই থাকে।পরীক্ষায় তো করিস টেনেটুনে পাশ।এত ফোন কিসের হ্যাঁ?এবার ভালো রেজাল্ট না করলে সোজা বিয়ে দিয়ে দিবো।”

“আচ্ছা মা!যদি এই কথাই হয় তাহলে এখনই বিয়ে দিয়ে দেও।আমি বিয়ে করতে রাজি।”
“কিঃ!”
“হ্যাঁ।এই পড়াশোনা আর ভালো লাগে না।এর জন্য কোনোদিকে সময় দেওয়া হয় না।পড়াশোনার থেকে তো ভালো সংসার করা।কাজকর্ম করেও রেস্টে থাকা যায়।”

“সংসার করেছিস কখনও?সংসারের জ্বালা তুই কি বুঝবি?যেদিন করবি সংসার সেদিন বুঝবি।”
“তাই তো বলছি।বিদায় দেও আমাকে।করতে দেও সংসার।নাহলে যেমন আছি তেমন থাকতে দেও।”
সৃষ্টি বেগম রাগ দেখিয়ে চলে যেতে যেতে বলেন,”এইটুকু মেয়ে সংসার করতে চায়।এদিকে সংসার কি তাই বোঝেনা।বেশরম মাইয়া।”

আশার হাত বাড়ায় পর্ব ৩১

সৃষ্টি বেগম চলে যেতেই রিমলি বিড়বিড় করে বলে,”সংসার কি না বুঝেই কতজনের সংসার নিয়ে লিখেছি।হুহ!আমার এতেই হবে।”
বলেই রিমলি আবেগের সাগরে ভাসতে থাকে।যেনো সংসার তার কাছে পান্তাভাত।

আশার হাত বাড়ায় পর্ব ৩৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here