আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ২

আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ২
Raiha Zubair Ripti

সূর্যের ঝলমলে আলোয় আলোকিত পুরো শহর। সূর্যের আলো বাড়ার সাথে সাথে উত্তাপ হচ্ছে নগরী। ব্যস্ত হচ্ছে রাস্তা ঘাট। সন্ধ্যা ব্রেকফাস্ট করে মায়ের রুমে আসে। দেখে তার বাবা তার মা কে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে। রুমে ঢুকে বাবা কে দেখে উল্টো ঘুরে চলে আসতে নিলে নজরুল ইসলাম ডেকে উঠেন সন্ধ্যা কে। সন্ধ্যা দাঁড়িয়ে যায়। নজরুল ইসলাম স্ত্রীর এঁটো মুখ ধুয়ে এগিয়ে এসে বললেন-

-“ কোন হসপিটালে নিয়ে যেতে চাইছো? দু’দিন আগেই দে…
সন্ধ্যা নজরুল ইসলামের চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে সম্পূর্ণ কথা শেষ করতে না দিয়েই বলল-
-“ চিন্তা করবেন না যেনো তেনো হসপিটালে আমার মায়ের চিকিৎসা আমি করবো না। আপনাদের স্ট্যান্ডার্ডের সাথে যায় এমন নামি-দামি হসপিটালেই নিয়ে যাচ্ছি।
-“ আমি জাস্ট হসপিটালের নাম জিজ্ঞেস করেছি। ড্রাইভার পৌঁছে দিয়ে আ..
-“ তার দরকার নেই। আমি গাড়ি বুক করে রেখেছি। গাড়ি চলে আসলো বলে। আমি মা কে রেডি করাচ্ছি আপনি একটু বাহিরে যান।
নজরুল ইসলাম থমকালো মেয়ের মুখে আপনি ডাক শুনে। তপ্ত শ্বাস ফেলে এঁটো প্লেট নিয়ে চলে আসলেন। সন্ধ্যা তার মায়ের কাছে আসলে সন্ধ্যার মা মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলে-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ বাবার সাথে কেউ এভাবে কথা বলে?
সন্ধ্যা কড়া কন্ঠে বলল-
-“ আর কেউ না বললো। আমি বলি মা।
সন্ধ্যার মা মেয়েকে পাগলি বলে উঠলো। সন্ধ্যা তার মা কে জামার উপর দিয়ে বোরকা পরিয়ে নিলো। তারপর নিজের রুম থেকে হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে মা’কে ধরে রুম থেকে বের হয়ে বসার ঘরে আসতেই দেখলো সবাই সোফায় বসে আছে। শ্রেয়া উঠে আসলো। বলল-

-“ আমি যাই তোর সাথে?
সন্ধ্যা জবাব দিলো-
-“ আমি বলেছি আমার সাথে চলো? বলেছি একবারও?
-“ না।
-“ তাহলে আসছো কেনো? কাউকে লাগবে না সাথে। আমি একাই পারবো।
কথাটা বলে সন্ধ্যা চলে যেতে নিলে নিখিল এগিয়ে এসে বলে-
-“ চল আমি পৌঁছে দিয়ে আসি।
সন্ধ্যা ফিরে তাকালো নিখিলের দিকে। নিখিল সন্ধ্যার মায়ের হাত ধরতে নিলে সন্ধ্যা দাঁত চেপে বলল-
-“ কথা কানে যায় নি? বলেছি না কাউকে লাগবে না। আমার মা তো। আমি ঠিক পারবো। অযথা আজাইরা ভালোমানুষি দেখাতে আসবেন না কেউ আমার সাথে। মা চলো তুমি।
সন্ধ্যা মাকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে আসলো। রাত সবেই দোকান থেকে চিনি নিয়ে ফিরছিলো বাসায়। গেটের সামনে সন্ধ্যা আর সন্ধ্যা র মা কে দেখে এগিয়ে আসলো। সন্ধ্যার মা কে সালাম দিলো। সন্ধ্যার মা সালামের জবাব দিয়ে বলল-

-“ রাত নাকি?
রাত একবার সন্ধ্যার দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ জ্বি আন্টি। কোথাও যাচ্ছিলেন আপনারা?
-“ হ্যাঁ। সন্ধ্যা হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে।
-“ ওহ্। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন নাকি?
সন্ধ্যা কে জিজ্ঞেস করলো রাত। সন্ধ্যা জবাব দিলো-
-“ জ্বি।
-“ ডেকে নিয়ে আসবো?
-“ নো নিড। আমি বুকিং করেছি। সেটার জন্য ই অপেক্ষা করা।
-“ ওহ্ আচ্ছা…. ঐ তো গাড়ি মনে হয় চলে এসেছে।
সন্ধ্যা সামনে তাকাতেই দেখলো গাড়ি চলে এসেছে। সন্ধ্যা তার মায়ের হাত ধরে সতর্কতার সহিত উচু রাস্তা দিয়ে নামতে গেলে রাত বলে উঠে –

-“ আরে দাঁড়ান আমি সাহায্য করছি একা পারবেন না।
সন্ধ্যা বলল-
-“ পারবো। সাহায্যের দরকার নেই ধন্যবাদ।
সন্ধ্যা তার মা’কে ধরে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও বসলো। তারপর ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ চলুন।
ড্রাইভার গাড়ি চালাতে শুরু করলো। রাত পেছন থেকে ততক্ষণ তাকিয়ে থাকলো যতক্ষণ গাড়িটা দেখা যায়। গাড়িটা দৃষ্টি সীমার বাহিরে যেতেই রাত পাশে থাকা বেঞ্চটাতে বসলো। বসে বসে ভাবতে লাগলো সন্ধ্যা নামক মেয়েটাকে নিয়ে। মেয়েটা কেমন যেনো গম্ভীর বদমেজাজি। দু’বার কথা হলো তাদের। আর দু’বারই মনে হলো মেয়েটা বেশ বিরক্ত। তাতে রাতের কি? রাতের কেনো খারাপ লাগছে? রাত বেশ মনোযোগ দিয়ে ভাবলো। ভাবা শেষ হলে বসা থেকে উঠে বাসার ভেতরে ঢুকে গেলো।

রাত নিজেদের ফ্লাটে ঢুকে মা’কে হাঁক ছেড়ে ডাক দিলো। ছেলের ডাক শুনে আমেনা বেগম বেড়িয়ে আসলো রান্না ঘর থেকে হাতে খুন্তি সমেত। ছেলের সামনে দাঁড়িয়ে খুন্তি উঁচা করে বলল-
-“ কি হয়েছে এমন গরুর মতো ডাকছিস কেনো?
-“ চিনি নিয়ে আসছি।
-“ তো রেখে দে।
-“ কোথায় রাখবো?
আমেনা বেগম মাথাটা নিচু করে বলল-
-“ এই যে আমার মাথা। এটার উপরে রেখে দে বাবা।
রাত দাঁত কেলিয়ে হাসলো। চিনির প্যাকেট হাতে নিয়ে ডাইনিং টেবিলের উপর রেখে বলল-
-“ রেখে দিয়েছি। খাবার রান্না কতদূর সেটা বলো। ক্ষুধা লেগেছে তো।
-“ প্রায় শেষের দিকে। তুই যে সকালে চিনি নিয়ে আসছিলি শ্রেয়া দের বাসা থেকে চিনি দিয়ে আয়।
শ্রেয়া দের বাসার কথা শুনতেই সন্ধ্যার কথা মনে পড়ে গেলো। সন্ধ্যা তো এখন বাসায় নেই। এখন গেলে তো মেয়েটাকে দেখা হবে না। নাহ্ এখন যাওয়া যাবে না।

-“ পরে দিয়ে আসবো নি। দেখলাম তারা বাসায় নেই। শ্রেয়ার মা কে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছে।
আমেনা বেগম হন্তদন্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন –
-“ ওমা হসপিটালে কেনো? কি হয়েছে?
-“ আন্টির চোখ দেখাতে হয়তো।
-“ সেদিন না দেখালো?
-“ হুমম । দেখলাম সন্ধ্যা নিয়ে গেলো।
-“ সন্ধ্যা! অবাক হয়ে বলল।
-“ হুমম। মেয়েটা অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে তাই না মা?
-“ হু। আগের থেকেও কি সুন্দর হয়েছে মেয়েটা।
-“ আহ্ মা আমি সুন্দরের কথা বলি নি।
-“ তাহলে?
-“ স্বভাবগত পরিবর্তনের কথা বলেছি। আমরা যতদূর আন্টির মুখে শুনেছি সন্ধ্যা নাকি বেশ চঞ্চল, উড়নচণ্ডী ছিলো। কিন্তু আমার কেমন যেনো বদমেজাজি গম্ভীর কাটখোট্টা মনে হয় একদম তোমার ব…

-“ তোর কাছে লাগবেই। আবার বলে বসিস না মা সন্ধ্যা কে কেমন যেনো ভাইয়ে মতো লাগে তাই না?
-“ এটাই বলতাম তুমি বলে দিলা।
-“ যা টেবিলে বস। খাবার দিচ্ছি।
সন্ধ্যা হসপিটালে এসে বসে আছে করিডরে বেশ অনেকক্ষণ হলো। এগারো টার দিকে তাঁদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। এখন বাজে ১১ টা ১৫। ডক্টর নাকি এখনও আসে নি। সন্ধ্যা মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ মা কিছু খাবা? বাহির থেকে এনে দিব? ডক্টর নাকি এখনও আসে নি।
সন্ধ্যার মা বলল-

-“ না না লাগবে না। এই হসপিটাল টা না আমি চিনি। এখানে এসেছিলাম তো। দু দিন আগে।
-“ ওহ্ কার সাথে?
-“ ঐ তো আ….
-“ আপনি মিস সন্ধ্যা?
হঠাৎ এক মেয়েলি কন্ঠ শুনে সন্ধ্যা মাথা উঁচু করে তাকালো। দেখলো একজন ডক্টর। শরীরে সাদা এপ্রন আর গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলানো। সন্ধ্যা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলল-
-“ জ্বি আমিই সন্ধ্যা।
-“ এক্সট্রিমলি সরি এতক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য। আপনি আপনার মা কে নিয়ে ভেতরে আসুন। ডক্টর এসে গেছেন।
সন্ধ্যা তার মা’কে নিয়ে ডক্টরের কেবিনে ঢুকলো। দেখলো একজন পুরুষ ডক্টর টেবিলের সামনে বসে ফাইল চেক করছে। সন্ধ্যা তার মায়ের হাত ধরে এগিয়ে আসলে ডক্টর না তাকিয়েই বলল-

-“ বসুন আপনারা।
সন্ধ্যা তার মা’কে নিয়ে বসলো।
-“ পেসেন্টের কি সমস্যা?
কন্ঠস্বর টা সন্ধ্যার মায়ের বেশ চেনা লাগলো। শিওর হবার জন্য বলল-
-“ তুমি আরাফাত না?
ডক্টর আরাফাত এবার সন্ধ্যার মায়ের দিকে তাকালো। এতক্ষণ তাকে নজরেই নেন নি মাথা নিচু করো ছিলেন বলে।

-“ আন্টি আপনি এখানে যে? বিস্ময় হয়ে বলল আরাফাত।
-“ সন্ধ্যার সাথে এসেছি। আমার মেয়ে।
-“ ওহ্ আন্টি এখন কি অবস্থা চোখের? ঔষধ গুলো ঠিকঠাক খাচ্ছেন তো?
সন্ধ্যা ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ কিসের ঔষধ ? আর মা তুমি এনাকে চিনো?
ডক্টর আরাফাত স্মিত হেঁসে বলল-
-“ হ্যাঁ চিনেন। কারন এক সপ্তাহ আগেই তিনি চোখ দেখিয়ে গেছেন।
-“ ওহ্ সমস্যা টা কি আমার মায়ের?
-“ উনার গ্লুকোমারের সমস্যা।
-“ একটু বিস্তারিত বললে ভালো হতো।
-“ গ্লুকোমা হচ্ছে চোখের একটি রোগ যেখানে চোখের পেছনে থাকা অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই স্নায়ুর কাজ হচ্ছে চোখকে মস্তিস্কের সাথে যুক্ত করা।

-“ এটা থেকে পুরোপুরি সুস্থ কিভাবে করতে পারবো আমার মাকে?
-“ দেখুন গ্লুকোমার প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করানো না হলে এর কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।সব বয়সের মানুষেরই গ্লুকোমা হতে পারে। তবে ৭০-৮০ বছর বয়সীদের এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। গ্লুকোমার কারণে কেউ অন্ধ হয়ে গেলে তার দৃষ্টিশক্তি আর ফিরিয়ে আনা যায় না। তবে দৃষ্টিশক্তি কিছুটা কমে গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে সেটি আর না কমার ব্যবস্থা করা যায়। তবে আন্টিকে আমি কিছু মেডিসিন ড্রপ দিয়েছি। যেমন, চোখের ড্রপ এটি চোখের উপর চাপ পড়া কমাবে।
লেজার চিকিৎসা দিয়েছি যা চোখের নিষ্কাশনে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করায় ব্যবহৃত হয়। আবার চোখে তরল যাতে কম উৎপাদিত হয়।

গ্লুকোমায় হারানো দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা যায় না। বরং চিকিৎসার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি যাতে আর না হারায় সে ব্যবস্থা করা যায়। আর তাই, চিকিৎসা চলার সময় চিকিৎসক যে ওষুধ দেন তা নিয়মিত সেবন করতে হবে, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসককে জানাতে হবে, নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করতে হবে। আর আমি তো রিপোর্টে সব বলে দিয়েছি। আন্টি পান নি রিপোর্ট আপনারা?
-“ কই আমায় তো রিপোর্টের কথা কেউ বলে নি।
-“ আচ্ছা এক মিনিট।
ডক্টর আরাফাত পকেট থেকে ফোনটা বের করে কাউকে ফোন করলো। ওপাশ থেকে ফোনটা রিসিভ হতেই আরাফাত বলে উঠল-

-“ কিরে তুই রিপোর্ট গুলো দিয়েছিলি নিখিল দের বাসায়? কাল যে দিয়ে দিলাম?
ওপাশ থেকে কি বলল তা শোনা গেলো না। ডক্টর আরাফাত ফোন টা কেটে বলল-
-“ দুঃখিত আসলে যেই ডক্টরের কাছে রিপোর্ট গুলো দিয়েছিলাম তিনি গতকাল রাতেই ইমার্জেন্সি আসায় ঢাকার বাহিরে গিয়েছে যার জন্য রিপোর্ট গুলো আন্টি আপনার বাসায় দিয়ে যেতে পারে নি।
-“ পাবো কিভাবে তাহলে রিপোর্ট এখন? আর রিপোর্টের জন্য চিন্তা করবেন না। রিপোর্ট আজই পেয়ে যাবেন। তা আন্টি আর আন্টির মেয়ে বলুন চা খাবেন নাকি কফি?
সন্ধ্যা এ কথার জবাব না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে বলল-

-“ তাহলে আজ কি আর কোনো টেস্ট মেস্ট কিছু করাবেন না?
-“ এসেছেন যখন তখন করিয়ে নিচ্ছি কিছু টেস্ট। আন্টি আসুন।
আরাফাত সতর্কতা সহিতে সন্ধ্যার মাকে নিয়ে গেলো কিছু টেস্ট করাতে। সন্ধ্যা ওখানে বসেই অপেক্ষা করতে লাগলো। কারন সন্ধ্যা তাদের সাথে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালে ডক্টর আরাফাত সাথে আসতে না করে। মিনিট ত্রিশ পর ডক্টর আরাফাত ফিরে আসে সন্ধ্যার মা’কে নিয়ে। সন্ধ্যা জিজ্ঞেস করে-

-“ সব ঠিকঠাক?
-“ সব যে ঠিকঠাক তা বলা যাচ্ছে না। মেডিসিন গুলো নিয়মিত সেবন করলে তবে বোঝা যাবে।
-“ ওহ আচ্ছা। এবার যেতে পারি?
-“ অবশ্যই।
সন্ধ্যা তার মা’কে নিয়ে চলে গেলো। ডক্টর আরাফাত কিছুক্ষন তাদের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো। তারপর ফাইল দেখায় মনোযোগ দিলে আকস্মিক ফোন টা বেজে উঠে। ফোন কল টা রিসিভ করে আরাফাত বলল-

আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ১

-“ হু বল।
ওপাশ থেকে বলা হলো-
-“ চলে গেছেন উনি?
আরাফাত জবাবে বলল-
-“ হ্যাঁ কেবলই চলে গেছেন।
-“ কে এসেছিল সাথে? উনার হাসবেন্ড?
-“ না। উনার মেয়ে সন্ধ্যা।
ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তি কয়েকবার ঠোঁটের কোনে বিরবির করে উচ্চারণ করলো সন্ধ্যা নাম টা৷ তারপর হুট করে কেটে দিলো ফোনটা।

আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ৩