আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ১০
Raiha Zubair Ripti
গতকাল এসেছে রাজশাহী সন্ধ্যা। নিজের হলরুমে বসে কনার সাথে কথা বলার মাঝে হুট করে দারোয়ান এসে জানালো সন্ধ্যার সাথে কেউ দেখা করতে এসেছে৷ সন্ধ্যা অবাক হলো। কে আসবে তার সাথে দেখা করতে? তার খালা? ওড়না টা মাথায় জড়িয়ে নিয়ে চার তালা থেকে নিচে নেমে আসলো। হলের গেটের সাথে গেস্ট রুম। সেখানে ঢুকতেই নজরে আসলো সাদা শার্ট পড়া তার উপর সাদা এপ্রন পরিহিত সুদর্শন একটা পুরুষ কে৷ পুরুষটি আর কেউ না আষাঢ় ই। লোকটা হঠাৎ হোস্টেলে আসলো কেনো? কালই তো রেখে গেলো। সন্ধ্যা গিয়ে আষাঢ়ের সামনে দাঁড়ালো। আষাঢ় তড়িঘড়ি করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। সন্ধ্যা ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ আপনি এখানে যে?
আষাঢ় তাকলো সন্ধ্যার দিকে। খা খা করা বুক টা এখন কেমন যেনো শীতল অনুভব করলো। মেয়েটাকে দেখার জন্য হসপিটাল ছুটি হতেই বাসায় না গিয়ে সোজা এখানে চলে এসেছে। আষাঢ়ের চেয়ে বেশি ভালো কি আর কেউ বাসতে পারবে এই মেয়ে কে? উহু মোটেও না। আষাঢ় আমতা আমতা করে বলল-
-“ আসলে তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো।
সন্ধ্যা ফোনের স্কিনে সময় দেখে নিলো। এখন বাজে পনে সাত টা।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-“ হসপিটাল থেকে সোজা রাজশাহী এসেছেন?
-“ হ্যাঁ আসলে…
-“ পাগলামি মনে হচ্ছে না এসব?
-“ একদমই না। আচ্ছা কিছু ভাবলে?
-“ কি ভাববো?
-“ ভুলে গেছো তাহলে? কাল যে বললে সময় চাও ভাবার জন্য।
-“ খেয়েছেন দুপুরে?
-“ না।
সন্ধ্যা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। ক্যান্টিন থেকে স্যান্ডউইচ আর পানি নিয়ে ফিরলো। আষাঢ়ের সামনে ধরে বলল-
-“ খেয়ে নিন।
আষাঢ় সাথে সাথে না করে বলল-
-“ না না খাবো না। তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর তো দিলে না।
-“ ঢাকা ফিরে দিব।
-“ কবে ফিরবে ঢাকা?
-“ কাল ফিরবো।
-“ আচ্ছা তাহলে আজ আমি রাজশাহী থেকে কাল একেবারে তোমাকে নিয়ে ঢাকায় ফিরবো।
-“ এখানে কোথায় থাকবেন?
-“ হোটেলে। এর আগেও তো থেকেছি।
-“ আপনার হসপিটাল?
-“ সে আমি ম্যানেজ করে নিব।
-“ আচ্ছা খেয়ে নিন।
-“ আচ্ছা একটা খাচ্ছি। আরেকটা তুমি খাও।
আষাঢ় একটা স্যান্ডউইচ মুখে নিলো। তারপর পানি খেয়ে বলল-
-“ এখন আসছি। কাল কখন বের হবে?
-“ দুপুরে।
-“ আচ্ছা আমাকে একটা টেক্সট করে জানিয়ে দিবে। আর তুমি কোন রুমে থাকো?
-“ চার তলায়।
-“ আচ্ছা আসছি। নিজের যত্ন নিও।
আষাঢ় চলে গেলো। সন্ধ্যা তপ্ত শ্বাস ফেলে রুমে আসতেই কনা জিজ্ঞেস করলো।
-“ কে এসেছিল?
-“ আষাঢ়।
-“ আরেহ্ ঐ ডক্টর যার কথা বলেছিলি?
-“ হুম।
-“ ইশ আমাকে বললি না কেনো। আমি একটু দর্শন করতাম তার চেহারা খানা। বান্দা কি করে এমন এক খড়ুস মেয়েকে পছন্দ করলো!
-“ শাট-আপ।
-“ কেনো এসেছিল?
-“ দেখা করতে।
-“ ধূর মিথ্যা কথা। শুধু দেখা করার জন্য এতদূর আসলো?
-“ হু।
-“ চলে গেছে?
-“ ঢাকা যায় নি। এখানেই একটা হোটেলে থাকবে। কাল আমাকে সাথে নিয়ে ঢাকা ফিরবে।
-“ হাউ কেয়ারিং ইয়ার৷ এমন একটা কেয়ারিং ছেলেকে তুই এখনও এক্সেপ্ট করছিস না! দ্যিস ইজ নট ফেয়ার সন্ধ্যা।
-“ জীবনে সবাই কূলে এসে ভিড়লে কি সবাই কেই আশ্রয় দিতে হয়?
-“ কিছু মানুষ কে দিতে তো ভুল নেই।
-“ ঠিক ভুল এতো কিছু জানি না। আমি এসব নিয়ে এখন আর ভাবছি না।
-“ তার মানে..
-“ ঠিকই ভেবেছিস।
-“ লোকটা ভীষণ হার্ট হবে রে।
-“ কিছুদিন গেলে ঠিক হয়ে যাবে।
-“ হার্টলেস মেয়ে একটা তুই জানিস? একটা ধোঁকা খেয়ে একেবারে দেবদাস সরি দেবদাসী হয়ে গেছিস। পরে পস্তালে বুঝবি মজা।
সন্ধ্যা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে জানালার ধারে গিয়ে দাঁড়ালো। চোখ গেলো নিচে। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দেখতে পেলো আষাঢ় দাঁড়িয়ে আছে। লোকটা যায় নি কেনো? বিছানা থেকে ফোনটা নিয়ে আষাঢ় কে ফোন দিয়ে জানালার ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল-
-“ যান নি কেনো এখনও?
আষাঢ় দাঁড়িয়ে ছিলো এমনি। আকস্মিক হলের দিকে তাকাতেই সন্ধ্যা কে দেখতে পেলো। গাড়ির দিকে যেতে যেতে বলল-
-“ যাচ্ছি।
কনা এগিয়ে জানালার ধারে দাঁড়ালো। দেখতে পেলো অতি সুদর্শন এক ডক্টর কে। যদিও পুরোপুরি ক্লিয়ারলি মুখ দেখতে পায় নি তবুও মুখ থেকে আপনা-আপনি বেরিয়ে আসলো-
-“ ওয়াও
সন্ধ্যা ভ্রু কুঁচকালো। আষাঢ় কে বলল-
-“ হু সাবধানে যাবেন।
বলেই ফোনটা কেটে দিয়ে বলল-
-“ ওয়াও মানে কি?
-“ ওয়াও মানে ওয়াও। দোস্ত তুই না করে দিলে প্লিজ আমার সাথে সেটিং করিয়ে দিস? আমি একদম তোর মতো ঝুলিয়ে রাখবো না ট্রাস্ট মি। সাথে সাথে এক্সেপ্ট করে ফেলবো৷ এক গাল হেঁসে বলল কনা।
সন্ধ্যার কেনো যেনো ভালো লাগলো না এই কথাটা। সেজন্য চুপচাপ গিয়ে বিছানায় বসলো।
পরের দিন বিকেলে আষাঢ়ের সাথে ঢাকা ফিরে সন্ধ্যা। রাত ভীষণ চিন্তি তার ভাই কে নিয়ে। কারন বেশ কয়েক দিন ধরে বেখেয়ালি লাগছে ভাই কে। বাসায় তো ঠিক মতো আসতেছেই না। তার উপর কাল নাকি তার ভাই আমেরিকা চলে যাবে চার বছরের জন্য। ভাইয়ের চোখ মুখ কেমন শুষ্ক ও লাগে। কিছু নিয়ে চিন্তিত নাকি? কথাটা ভেবেই বাহিরে তাকাতে দেখে আষাঢ়ের গাড়ি থেকে সন্ধ্যা নামছে। আকস্মিক এটা দেখে ভ্রু কুঁচকে আসলো। দু’জন একসাথে কেনো? এসব ভাবনার দু মিনিটের মাঝে কলিং বেলের আওয়াজে রাত গিয়ে দরজা খুলতেই দেখতে পায় আষাঢ় কে।
আষাঢ় ভেতরে ঢুকতেই রাত জিজ্ঞেস করে –
-“ ভাই তুমি আর সন্ধ্যা এক সাথে আসছো?
আষাঢ় গায়ের এপ্রন টা খুলতে খুলতে বলল-
-“ হু।
-“ মাঝ পথে দেখা হয়েছিল নাকি?
-“ না। রাজশাহী থেকে নিয়ে এসেছি।
-“ মানে?
-“ মানে সন্ধ্যাকে আনতে কাল আমি রাজশাহী গিয়েছিলাম। দ্যান আজ নিয়ে আসলাম।
-“ কেনো?
-“ কেনো টেনো এতো জেনে কি করবি? ফ্রেশ হতে দে আগে।
আষাঢ় চলে গেলো। রাত ভাবনায় মশগুল হয়ে গেলো।
পরের দিন,,
বসার ঘরে বসে আছে সবাই। শ্রেয়ার বুক ধুকপুক করছে। নিখিল ডেকেছে সবাই কে। এভাবে চলা যাচ্ছে না আর। সন্ধ্যা পাশেই একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে। নজরুল ইসলাম নিখিলের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ কি জন্য ডেকেছিস নিখিল বল সেটা।
নিখিল শুষ্ক ঠোঁট টা জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল-
-“ আসলে চাচা আমি মুক্তি চাই। আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না এই অসুস্থ সম্পর্ক টাকে নিয়ে সামনে আগানো।
সন্ধ্যার ভ্রু কুঁচকে আসলো। অসুস্থ সম্পর্ক মানে?
-“ চাইছিস কি সেটা বল।
-“ ডিভোর্স।
কথাটা কর্ণকুহর হতেই শ্রেয়ার চোখ গড়িয়ে পানি পড়লো। লোকটা কি নির্দ্বিধায় ডিভোর্স বলে উঠল। সন্ধ্যা একবার শ্রেয়ার মুখের দিকে তাকালো। কেমন কান্না কান্না চেহারা তার।
-“ তুই যদি সংসার না করতে চাস তাহলে আমি জোর করবো না। সবারই নিজের মতো করে থাকার অধিকার আছে।
শ্রেয়া অবাক হচ্ছে বাবার কথা শুনে।
-“ হ্যাঁ সেটাই। আমি উকিলের সাথে কথা বলেছি। সে পেপার রেডি করতেছে। কয়েক দিনের মাঝে চলেও আসবে।
কথাটা বলেই নিখিল চলে গেলো। নজরুল ইসলাম ও চলে গেলেন। সন্ধ্যার ভীষণ কৌতূহল হচ্ছে সব টা জানতে। সেজন্য চাচির দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল-
-“ কি হচ্ছে চাচি এসব? ডিভোর্সের কথা কেনো উঠছে? পেছন থেকে শ্রেয়া বলে উঠল-
-“ কেনো এটাই তো চেয়েছিলি তুই। যাতে আমি আর নিখিল একসাথে সুখী থাকতে না পরি। সেটাই হতে যাচ্ছে। আর ইউ হ্যাপি নাউ?
সন্ধ্যা বিরক্তির সহিত বলল-
-“ জাস্ট শাট-আপ। চাচি বলবে কি হচ্ছে আমায়?
নয়না বেগম বসা থেকে উঠে বললেন –
-“ আসলে সন্ধ্যা শ্রেয়া বন্ধ্যা। ও মা হতে পারবে না। আর প্রতিটি পুরুষই তো বাবা ডাক শুনতে চায় বল। নিখিল ও ব্যতিক্রম না। তাই…
-“ তাই বলে ডিভোর্স চাচি?
শ্রেয়া দৌড়ে চলে গেলো।
-“ চাচি এটা তো কোনো সলিউশন হতে পারে না। এই সমস্যা আপার না হয়ে নিখিল ভাইয়ের হলে কি করতে?
-“ এখন এক সাথে থাকতে না চাইলে আমাদের আর কি করার থাকতে পারে বল?
-“ কি করার থাকতে পারে মানে? তোমার ছেলে তুমি বুঝাবে তাকে। ভালোবেসে বিয়ে করছে তারা একে ওপর কে। তোমরাও মত দিয়েছিলে। এখন একটা ত্রুটি বের হয়েছে বলে ডিভোর্স!
নয়না বেগম উত্তর দিলো না। রুমে চলে গেলো। কি হচ্ছে সন্ধ্যার বোধগম্য হচ্ছে না। নিখিলের উপর ঘৃণা টা আরো তীব্র হলো। ছিঃ লোকটার মন-মানসিকতা এতটা নিচ!
রাত বাজে এগারো টা। সন্ধ্যা মেসেজ দিয়ে জানালো আষাঢ় কে ছাঁদে আসতে। আষাঢ় ছাঁদে আসার আগে মায়ের সাথে দেখা করলো। আমেনা বেগমের ভীষণ মন খারাপ। ছেলে তার চলে যাবে বিদেশে। মায়ের বিষন্ন চেহারা দেখে আষাঢ়ের ভালো লাগলো না। মা’কে জড়িয়ে ধরলো। বের হবার সময় রাত জিজ্ঞেস করলো-
-“ কোথায় যাচ্ছ ভাইয়া এত রাতে?
আষাঢ় বের হতে হতে বলল-
-“ ছাঁদে।
-“ তোমার না আজ রাতে ফ্ল্যাইট?
-“ হ্যাঁ।
-“ তাহলে ছাঁদে কেনো যাচ্ছ?
-“ এমনি।
রাতের ভ্রু কুঁচকে আসলো। আষাঢ় ছাঁদে আসতেই দেখতে পেলো সন্ধ্যা কে। পিছু ফিরে দাঁড়িয়ে আছে। আষাঢ় এগিয়ে এসে পাশে দাঁড়ালো। এক গাল হেঁসে বলল-
-“ সন্ধ্যা।
সন্ধ্যা ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে আবার দৃষ্টি সামনে নিলো।
আষাঢ় উৎসুক চাহনি নিয়ে তাকিয়ে আছে সন্ধ্যার দিকে। আজ রাতেই তার আমেরিকার ফ্লাইট। চার বছরের আগে দেশে আসা সম্ভব নয়। ওখানকার একটা নামকরা হসপিটালে চাকরি হয়েছে আষাঢ়ের। আষাঢ়ের মন সায় দিচ্ছে না যেতে। সেজন্য গোছগাছ ও করে নি। আষাঢ় এসেছে সন্ধ্যার কাছে৷ সন্ধ্যা একবার হ্যাঁ বললে আষাঢ় যাবে না ঐ সুদূর আমেরিকায়। তার পক্ষে সম্ভব ই না এই মেয়েকে না দেখে থাকা। সন্ধ্যা জাস্ট হ্যাঁ বলে দেখুক আষাঢ় নিজের জীবনটা সন্ধ্যার জন্য সঁপে দিবে।
-“ সন্ধ্যা কিছু বলো। তোমার একটা হ্যাঁ বা না তে নির্ভর করছে সব।
সন্ধ্যা চোখ বন্ধ করলো। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে বলল-
-“ আপনি আমার থেকেও ভালো ডিজার্ভ করেন ডাক্তার।
আষাঢ় অসহায় চাহনি নিয়ে বলল-
-“ কেনো আমি কি তোমাকে ডিজার্ভ করি না সন্ধ্যা?
-“ বললাম তো আমার থেকে বেটার…
-“ উঁহু আমি তো এতো কিছু জানতে চাই নি। আমি শুধু জানতে চাই আমি কি তোমাকে ডিজার্ভ করি?
-“ হয়তো না।
আষাঢ় এগিয়ে আসলো। সন্ধ্যার কোমড় টেনে নিজের কাছে এনে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল-
-“ তুমি ভীষণ নিষ্ঠুর সন্ধ্যাবতী। আমাকে ছেড়ে দিতে চাইছো? বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কাকে বলে জানো? প্লিজ লক্ষীটি ভাবার জন্য আরো সময় লাগলে নাও। বারন নেই তাতে। তবে প্লিজ প্রত্যাখ্যান করো না আমায়। আমি থাকতে পারবো না।
-“ পারবেন ডাক্তার। জীবন কারোর জন্য ই থেমে থাকে না। আমার জন্য ও আপনার জীবন থেমে থাকবে না।
-“ এটাই কি তোমার শেষ কথা?
সন্ধ্যা অন্য দিকে মুখ করে বলল-
-“ হ্যাঁ।
আষাঢ় ছেড়ে দিলো সন্ধ্যা কে।
-„ অন্য কাউকে ভালোবাসো সন্ধ্যাবতী?
-“ না।
-„ তাহলে?
-“ তাহলে কিছুই না ডাক্তার। আপনার যাত্রা শুভ হোক। ভালো থাকবেন।
আষাঢ় সন্ধ্যার গালে দু হাত রেখে বলল
-“ তুমি বরং পরের জন্মে আমার হয়ে এসো সন্ধ্যাবতী। আমাকে ভালোবেসো, তোমাকে ছেড়ে না হয় আমি দেখিয়ে দিব ছেড়ে যাওয়ার যন্ত্রণা কাকে বলে। পাঁচ টা বছর কম না সন্ধ্যাবতী। পাঁচ টা বছর দূর থেকে তোমাকে ভালোবেসে এসেছি। যখন প্রকাশ করলাম তখন বললে আমি তোমাকে ডিজার্ভ ই করি না? শুনে রাখো মেয়ে আষাঢ়ের চেয়ে তোমাকে কেউ বেশি ভালোবাসতে পারবে না। কারন এই পৃথিবীতে আষাঢ় মাত্র একটাই। তোমাকে যতটা ভালোবাসছি ততটা ভালো নিজেকেও বেসে দেখেনি কোনোদিন। আজ না হোক কাল ঠিক বুঝতে পারবে আমার ভালোবাসা। তখন বড্ড দেরি না হয়ে যায়। ভালো থেকো। আর দেখা না হোক আমাদের। দেখা হলেই আমি ট্রাস্ট মি আবার তোমার পিছু নিয়ে ফেলবো।
আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ৯
কথাটা বলার শেষে এক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো চোখ দিয়ে। সন্ধ্যার নজরে আসলো তা। আষাঢ় চলে আসলো। খুব আশা নিয়ে এসেছিল সন্ধ্যার কাছে। কিন্তু সন্ধ্যা তাকে প্রত্যাখ্যান করে দিলো। এই প্রথম কোনো মেয়ে আষাঢ় কে প্রত্যাখ্যান করলো। ছাঁদের দরজার কাছে আসতেই দেখতে পেলো রাত দাঁড়িয়ে আছে। রাত সব টা শুনেছে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে। তার ভাই সন্ধ্যাকে ভালোবাসে! আষাঢ় কোনোদিকে না তাকিয়েই নিচে নেমে চলে গেলো।