ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৩৯
Arishan Nur
–“ডাক্তার সাহেব আপনি কষ্ট পায়েন না। কেউ কষ্ট পেলে আমারও কষ্ট লাগে।”
আয়নার কথায় ঘোর কাটে সমুদ্রের। সে নিষ্পলক চোখে তাকায় ওর পানে। যার দেওয়া আঘাত সহ্য করতে না পেরে আজ তোমার এই দশা, তাকেই সান্ত্বনা দিচ্ছো,মেয়ে। আয়না তুমি খুব ভালো মনের৷ তোমাকে এতো সহজে পেয়ে গিয়ে তোমায় মূল্যায়ন করতে পারি নি। জানি না, তুমি সুস্থ হওয়ার পর কীভাবে তোমার সামনে মুখ দেখাবো। আমৃত্যু তোমার কাছে অনুতপ্ত থাকবো। আমায় ক্ষমা করো না! আমি ক্ষমার যোগ্য নই– মনে মনে আওড়ায় সমুদ্র।
আয়না তার সামনে দাঁড়িয়েই ছিলো। একদম শান্ত, স্বাভাবিক। কিন্তু ক্ষণেই সে কীসব চিন্তা করে পুনরায় চেচামেচি শুরু করে। হাতের কাছটায় একটা সাইড টেবিল আছে। সাইড টেবিলের উপর ঔষধের বক্সটা রাখা। আয়না ঔষধের বক্সটা ছুড়ে ফেলে দেয়। কেমন হিংস্রতর আচরণ করে ও। চোখ-মুখ শক্ত করে ফেলে নিজের৷ নিজেই নিজের মাথার চুল টানতে থাকে।
সমুদ্র ঠায় এক পল তাকিয়ে থেকে ওকে চুপ করানোর জন্য সামনে আগায়৷ কিন্তু আয়না ভায়োলেন্স হচ্ছিলো বেশি৷ বেডকভার টেনে ফেলে দিয়ে চেচাতে থাকে। আপাতত ও এখানে থাকতে চাচ্ছে না। বাসায় যাবে নাকি তাও এই মুহুর্তেই ওর বাসা যাওয়া চাই। ওকে নাকি এখানে মে৷ রে ফেলার জন্য আনা হয়েছে। সাদা রঙের জামা পরা ডাক্তার-নার্স ওকে মারছে নাকি!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ওর হৈচৈ শুনে নার্স-ডাক্তার ছু’টে আসে। এটা একটা প্রাইভেট হাসপাতাল। এখানে মানসিক রুগী খুব কমই আসে। আশেপাশের কেবিনে অন্য রুগী এমন হৈচৈ তে ডিস্টার্ব হবে। ওরা এমন ভায়োলেন্স ক্রিকেট করতে দিবে না। সমুদ্র আয়নাকে থামাতে গেলে আয়না ওর গালে চ ড় বসায়, খাম৷ চি মারে। নার্স এসে আটকাতে গেলে নার্সের চুল ধরে টানে। এদিকে ডক্টর রোকসানা ওয়ার্ডে গেছেন। উনি নাকি ইঞ্জেকশন পুশ করতে মানা করেছে আরও চব্বিশ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখতে চায়। কিন্তু আয়নার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ও স্বাভাবিক অবস্থায় কোনোভাবেই ঘুমাবে না। ঘুমের ঔষধ ও নিচ্ছে না। এখন ইঞ্জেকশন পুশ করিয়ে ঘুমের কড়া ডোজের মেডিসিন দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই৷ রোকসানা ম্যাডাম আসার আগেই জয়নুল স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করে ইঞ্জেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। আয়না ক্রমশ আরোও হিংস্র হচ্ছে। সমুদ্রের গা লে খামচে র ক্ত বের করে দিয়েছে৷ ওর ধারণা ডাক্তার ওকে মারবে। এজন্য আত্মরক্ষা করছে৷ কাছে ঘেষতে দিচ্ছে না।
দুইজন নার্স এসে ওকে দুইদিক থেকে ধরে। ওইসময় আয়না আরোও উত্তেজিত হয়ে যায়। সে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ছোটাছুটি করে। ব্যথা পাচ্ছে হাতে নিজের দোষে। পেটেও চাপ পড়ছে। ব্লিডিংও হচ্ছে কীনা জানা নেই। কিন্তু সেসব বোঝার শক্তি লোপ পেয়েছে তার৷ সমুদ্রের ওর দিকে চেয়ে কি যে মায়া হলো৷
সে নার্সকে বলে উঠে, ” আপা, একটু আস্তে ধরেন ওকে। ও ব্যথা পাচ্ছে৷”
নার্স ভদ্রতার সঙ্গে বলে, ” উনি এখন অনেক হাইপার হয়ে আছে। আমরা ধরে না রাখলে নিজেই নিজের আরোও ক্ষতি করতে পারে। ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড।”
আয়নাকে একপ্রকার ধরে-বেঁধে ইঞ্জেকশন পুশ করে দেওয়া হয়৷ ইঞ্জেকশন পুশ করার পর আয়না অনেক জোরে কান্না শুরু করে। কিসব বিলাপ বকে। ও একদম অনড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। টেনেও ওকে বেডে বসানো যাচ্ছে না। উপায় না পেয়ে সমুদ্র দ্রুত ওকে কোলে তুলে বেডে শুইয়ে দিয়ে বলে, ” আয়না, একটু ঘুমাও ফ্রেশ লাগবে। প্লিজ ঘুমাও সোনা।”
আয়না চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে থাকে। কিছু বলে না৷
নার্স জানালো, অনেক কড়া ডোজের ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থায় কেউ এই ঔষধ খেলে পাক্কা পনের-ষোল ঘণ্টা ঘুমাবে৷ সমুদ্র ভাবে আয়নাও যদি এত্তো লম্বা ক্ষণ ঘুমায় তাহলে অনেক ইমপ্রুভমেন্ট আসবে ওর। কিন্তু সমস্যা হলো ও তো ঘুমাতেই চায় না৷ মানসিক রোগীর বেশিরভাগই ঘুমাতে চায় না। ঘুমালে তো ন্যাচারালি নার্ভ রিল্যাক্সড হবে। এজন্য ঘুমায় না, ফলেই মানসিক রুগী। আয়নাকে চুপচাপ সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে খুব মায়া লাগে সমুদ্রের। খুব কষ্ট হয়। সারা শরীরে বেদনার নীল রাঙ্গা বিষ ছেয়ে যায়।
নার্স বলে, ” হাল্কা কিছু খাইয়ে দিয়ে ঘুমাতে বলুন ওনাকে।”
সমুদ্র বিস্কুট এনে ওর মুখের সামনে ধরে। আয়না ইশারা করে জানান দেয় যে, সে খাবে না৷
সমুদ্র বলে, ” অল্প একটু খাও। মজা অনেক বিস্কুটটা। দেখি একটু হা করো৷ আমি খাইয়ে দিচ্ছি।”
আয়নার মুখে বিস্কুট দিলে ও খাবার উগলে ফেলে দিলো। কোনো ভাবেই কিছু খাবে না এখন। সমুদ্র পাশে দাঁড়িয়ে থেকে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে৷ একটু পর পায়ের পাতা মালিশ করে দেয়। যেন ঘুম এসে পড়ে ওর। বিশ-ত্রিশ মিনিট পর, আয়না চোখ বুজে ঘুমিয়ে পড়ে।
সমুদ্র স্বস্তি পায় যেন। সাইডে বসার চেয়ারে বসে থাকে। নিজের একবার ওয়াশরুম যাওয়ার দরকার। সে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে গেলে, মনে হলো পেছনে থেকে কোনো আওয়াজ আসে। কিন্তু আমলে নেয় না। ভাবে বাইরে থেকে শব্দ আসছে। ওয়াশরুমে ঢুকে পরে৷
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে বেডে চোখ যেতেই ওর মুখ ভয়ে শুকিয়ে যায়। বেড ফাঁকা। আয়না বেডে শু’য়ে নেই, এমন কি রুমের কোথাও ওর অবস্থান নেই। সমুদ্র ভয়ে ঘামা শুরু করে।
ফাহাদ সাহেব বাসায় এলেন আজ দুইদিন পর। একটানা দুইদিন সে মেয়ের কেবিনের পাশে বসে থেকেছেন। এমনকি রাতেও সরেন নি। মেয়ের এই দুর্দশা দেখে সে নিজেই যেন মানসিক আঘাত পাচ্ছেন।কয়েক দিন এভাবে গেলে সে নিজেও পাগল হয় কীনা কে জানে। তার চোখ লাল হয়ে আছে। সে ঘুমের ঔষধ খেয়ে বসে আছে। ঘুম নেই চোখে। সমুদ্রের ব্যাপারে শায়লার থেকে একটা ভয়ংকর তথ্য শুনেছে। শায়লা অবশ্য মুখ ফসকে বলে দিয়েছে৷ অনিচ্ছায় বলে ফেলেছে। সমুদ্রর বিয়ের আগে অস্ট্রেলিয়ায় মেডিকেলে পড়ার সময়কালে একটা ই হুদি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো। ওই মেয়েকে নাকি বিয়েও করার কথা ছিলো।
কোনো কারণে বিচ্ছেদ হয়, তারপর দেশে এসে তার মেয়েকে বিয়ে করে। এতোবড় তথ্য তার জানা ছিলো না। তার কাছ থেকে শায়লা বিষয়টা গোপন করেছে। সে যদি জানতো ছেলের এমন আগে সম্পর্ক আছে, কোনোদিন মেয়ে দিতো না৷ প্রতারণা করে, ছলনা করেছে তাও সে যাকে উনি অন্ধের মতো বিশ্বাস করে৷ একাকীত্বে ভরা এই জীবনটায় সবচেয়ে বেশি সে শায়লাকেই ভরসা করে এসেছে৷ অথচ শায়লা এতোবড় কথা গোপন রেখে সমুদ্রের জন্য আয়নার প্রস্তাব আনে। শায়লা কেন এমন করলো? কী লাভ হলো তার মেয়েকে এভাবে ঠকিয়ে? ফাহাদ সাহেব নিজে যেমন সম্মানিত, ধনী ব্যক্তি চাইলে ভালো জায়গায় মেয়ের বিয়ে দিতে ক্ষমতা রাখে তাহলে কেন অন্যকারো সাথে জড়িয়ে থাকা ছেলের প্রস্তাব আনে শায়লা?
শায়লার উপর তিনি ভীষণ ক্ষিপ্ত। কোনোদিন মাফ করবে না সে শায়লাকে। আজকে তার মেয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। বাবা হয়ে নিজের প্রতি ঘৃণা জমছে তার। শায়লা তাকে বিশাল বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলো জন্য ধরেই নিয়েছে শায়লা সর্বদা তার ভালো চায়। তার মেয়ে দুটোকেও আদর করে। শায়লার মুখে সমুদ্রের কথা শুনে সে দ্বিতীয় চিন্তা মাথায় আনে নি। রাজী হয়ে যায়।
তখনই শায়লা চৌধুরী রুমে প্রবেশ করে। ওনাকেও ক্লান্ত দেখাচ্ছে। কেউ কোনোদিন ভাবে নি আয়নার সঙ্গে এতো বাজে কিছু হবে। কেউ বিষয়টি মানতে পারেনি।
শায়লা নম্রসুরে বলে, ” খেতে আসো, ফাহাদ।”
শায়লার দিকে আক্রোশ ভরা চাউনিতে তাকিয়ে উনি বলে উঠে, ” আমি খাবো এখন এটা ভাবলে কীভাবে? আমার মেয়ে অসুস্থ শায়লা। তাও আমার জন্য! আমার ভুলের জন্য। আমি বাবা হয়ে আমার মেয়েটাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি।”
–” ফাহাদ, ও সুস্থ হয়ে যাবে। ডাক্তার বলেছে তো। মেডিসিন নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।”
— শায়লা কেন তুমি এমন করলে?”
শায়লা ভয়ে সামান্য কেঁপে উঠে। ফাহাদকে কয়েক বছর ধরেই চেনে। সরকারি বড় কর্মকর্তা হওয়ার পরও ওর মধ্যে রাগ করার স্বভাব নেই। কিন্তু আজ ওনার চোখে ক্রোধ দেখতে পাচ্ছে শায়লা।
–” কেনো আমাদের সাথে প্রতারণা করলে? আমার বাচ্চা মেয়েটার সঙ্গে কিসের এতো শত্রুতা? শায়লা, তুমি আমার ভরসার পাত্র ছিলে। তোমাকে এতো বিশ্বাস করতাম কিন্তু তুমি পেছন থেকে পীঠে চা কু বসালে। আমি আমার মেয়েক কী জবাব দিবো? কী।বললো ওকে? ওর বাবার কাছে ওর চেয়ে অন্যকেউ আপন বেশি? কেন তুমি আমাকে এতোবড় আঘাত দিলে? কী ক্ষতি করেছিলাম আমি?”
শায়লা আস্তে করে বলে, ” ফাহাদ আমিও অনুতপ্ত……”
কিন্তু ফাহাদ সাহেব শুনেন না ওনার কথা স্পষ্ট ভাষায় বলে দেয়, ” তোমাকে এই বাসায় আর দেখতে চাই না।”
আয়না নিশ্চয়ই ঘুমানোর ভান ধরে ছিলো, সমুদ্র সরতেই এখন এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। হাসপাতাল থেকে বের হওয়া সম্ভব না ওর পক্ষে। কিন্তু এই অবস্থায় ও গেলো কোথায়? যদি লুকিয়ে হাসপাতাল বাউন্ডারি ক্রস করে? এই মেন্টাল সিচুয়েশনে নিজের বাসার ঠিকানা নাম্বার কিছু ই তো বলতে পারবে না। সমুদ্রের গা বেয়ে হীম শীতল ভয় বয়ে যায়। সে ঢোক গিলে কেবিন ছেড়ে বের হয়। কোথায় যাবে ও? সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে বলবে? এতো অল্প সময়ের মধ্যে কোথায় যেতে পারে ও?
সমুদ্র কেবিন ছেড়ে বেরিয়ে ডান দিকে ঘুরে পুরা কলিডোর খুঁজে দেখে। কোথাও নেই আয়না। পেশেন্ট গাউন দেখে ওকে অবশ্যই থামানোর কথা৷ কলিডোর থেকে বেরিয়ে সামনে যাবে ওমন সময় আয়নার কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। সমুদ্র পেছনে ঘুরতেই দেখলো বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে ও। পাশেই একজন নার্স৷
সমুদ্র ছু’টে যায় ওর কাছে। আয়না ওকে দেখে মুচকি হাসি দিলো। ওর ওই হাসি দেখলে কে বলবে ওর অসুখ? কী মিষ্টি হাসি হাসে তার আয়না! তাকে কেন লক্ষ্য করে নি সে!
আয়না বলে, ” ডাক্তার সাহেব, আপনি এখানে?”
সমুদ্রের ওকে দেখে অন্তর অব্দি ঠান্ডা হয়ে আসে। সে বলে, ” তোমার চেক আপ করতে হবে। আসো। আসো জলদি আসো।”
হাঁটার সময় আয়না টলছিলো। ওকে ধরে ধরে নিয়ে যায় কেবিনে। এরপর বেডে শুইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলায়। আয়না এবারে সত্যি ঘুমায় যায়। টানা তিনদিন পর আজ ও ঘুমালো। ওর ভারী নিশ্বাসের শব্দে সমুদ্র আরাম পায় বেশ। রাত বাড়ে, আয়নার ঘুম গভীর হয়। বারোটার পর সমুদ্রের চোখ বুজে আসে। সোফাতই হেলান দিয়ে ও চোখ বন্ধ করে। কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিল কে জানে৷ কিসের যেনো আওয়াজে ওর ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম ছুটতেই তার চোখের সামনে ভয়ংকর দৃশ্য!
আয়না ক্যানোলা লাগা হাতটায় ফল কাটা ছু ড়ি দিয়ে নিজের হাতে আঘাত দিচ্ছে। র,,, ক্ত ও বেরিয়ে গড়ে পরদ যাচ্ছে। সমুদ্র দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে আয়নার দিকে ছুটে। চা কু ফেলে দিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে, ” আয়না, তুমি এসব কি করছো? ব্যথা পাচ্ছো না?”
ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৩৮
আয়না হাত দিয়েই ক্ষত প্রাপ্ত স্থান খুঁটে বলে, ” চুলকাচ্ছে।”
ব্যান্ডেজ টেনে খুলতে ধরলে সমুদ্র বাধা দিয়ে খুব যত্ন করে নতুন ব্যান্ডেজ এনে লাগিয়ে দেয়। ক্ষ ত স্থানে মলম-স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার করে, তুলা দিয়ে আস্তে করে ক্ষত স্থানের আশেপাশে মালিশ করে যেন ইচিং না করে। একটু চোখ বুজে এসেছিলো, তাতেই কি হতে যাচ্ছিলো। সে জাগ্রত নাহলে বুঝি আরোও কি দুর্ঘটনা ঘটতো।
সমুদ্র চিন্তায় মগ্ন ছিলো এমন সময় আয়না ওর হাত দিয়ে সমুদ্রের গ লা চেপে ধরে। সমুদ্র স্তদ্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস আটকে আসতে থাকে।
–” তোমাকে আমি মে৷ রে ফেলবো।”