উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪৩

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪৩
আফিয়া আফরোজ আহি

রুম জুরে আলো আঁধারের খেলা চলছে। বাহির থেকে আলো আসতে চাইলেও জানালায় পর্দা দেয়া থাকায় আলো প্রবেশ করতে পারছে না। দেওয়ালের সাথে চিপকে দাঁড়িয়ে আছি। সামনে অস্পষ্ট ভাবে এক পুরুষালি অবয়ব দেখা যাচ্ছে। তবে মানুষটা কে বুঝতে পারছি না। একটু আগে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে হটাৎ নিজের রুমে পুরুষালি অবয়ব দেখে দেওয়ালের সাথে সেটে দাঁড়িয়ে আছি।

আমি নিজেই রুম অন্ধকার করে রেখেছি। হলুদের হইহুল্লোড় করায় খানিকটা ক্লান্ত লাগছে। মেহেদীর অনুষ্ঠান যেহেতু রাতে সেহেতু একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যাবে। অবয়টা একটু একটু করে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। মনের মাঝে ভয় হচ্ছে। এটা আবার ইভান ভাই নাতো? সে কি আমার গাঁয়ে কলঙ্ক দেওয়ার জন্য এখানে এসেছে? নাকি তার অন্য কোনো মতলব আছে? কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,
“কে আপনি? এখানে আমার রুমে কেন এসেছেন? কি মতলব আপনার?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অপর পাশ থেকে কোনো জবাব নেই। মানুষটা তখন আমার থেকে এক হাত দূরে। আমি যে চিৎকার দিবো বা কিছু করবো সেই খেয়াল আমার মাঝে নেই। বুকের মাঝে ধুপুক ধুপুক শব্দ হচ্ছে। ভয়ে এই বুঝি হৃদয়পিন্ড বেরিয়ে আসবে। মানুষটা যখন আমার একদম কাছাকাছি আমি তার উপস্থিতি অনুভব করতে পারছি তখনই চট করে চিনে ফেললাম মানুষটাকে। হুট্ করে ভয় ভীতি এক পাশে রেখে জড়িয়ে ধরলাম মানুষটাকে। সামনের মানুষটা হয়তো ভাবেনি আমি তাকে এভাবে জড়িয়ে ধরবো। সে হয়তো ভেবেছে আমি ভয়ে আরো সিটিয়ে যাবো। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলো,

“ভয় পাসনি? এতো সহজেই চিনে গেলি কি করে? মনে হয়নি অন্য কেউ হতে পারে?”
“তোমার কি মনে হয় আমি আমার নিজের একান্ত ব্যক্তিগত মানুষটাকে চিনবো না। আমার নামে লিখা মানুষটাকে চিনতে আমি ভুল করবো?”
“আমি না হয়ে যদি অন্য কেউ হতো?”
“তুমি থাকতে অন্য কেউ আমার আশেপাশে আসবে এটা অসম্ভব”
“এতটা বিশ্বাস?”
“অবশ্যই। সন্দেহ আছে?”
“একটুও না”
আদ্রকে সেভাবে জরিয়ে রেখেই জিজ্ঞেস করলাম,

“তা হটাৎ আমার রুমে কি করছো? তাও আবার এমন ভুতের মতো”
“বউকে দেখতে এলাম। বউ তো আমায় পাত্তাই দিচ্ছে না”
“এই একদম উল্টোপাল্টা বকবে না। সাহেব এসেছে সেই সকালে তার দেখা নেই আর উনি আসছে আমায় বলতে”
“আমি তো জানি আমার রৌদ্রময়ী অভিমানে গাল ফুলিয়ে বসে আছে তাই তার অভিমান ভাঙাতে চলে এলাম”
“কিভাবে ভাঙাবে তার অভিমান?”

আদ্র কথার পৃষ্ঠে কোনো কথা বললো না। পিছনে লুকানো হাত বাহির করে গালে ছুঁইয়ে দিলো। দুগালে ছুঁইয়ে নাকের ডগায় ও ছুঁয়ে দিলো। গালে শীতলতা অনুভব হচ্ছে। অতঃপর কিছুটা ঝুঁকে আমার গালের সাথে নিজের গাল ঘষে দিলো। আদ্রর খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি গালে লাগতেই কুকিয়ে উঠলাম। আমার দুই গালে নিজের গাল ঘষে দিলো। অতঃপর নাকের ডগায় নাক ছুঁইয়ে দিলো। আমি মানুষটার কার্যক্রম অনুভব করছি। তার স্পর্শ, তার ভালোবাসা সব কিছু। শরীর বেয়ে শিহরণ ছেয়ে যাচ্ছে। আদ্র শাড়ি আস্তরণ গলিয়ে উন্মুক্ত কোমরে হলুদ ছুঁইয়ে দিলো। উনার ছোঁয়ায় শিউরে উঠলাম। আদ্র কোমর জড়িয়ে আমায় নিজের কাছে টেনে নিয়ে ফিসফিসে কণ্ঠে সুধালো,

“রৌদ্রময়ীর অভিমান কি ভেঙেছে নাকি এখনো আছে?”
আমি উত্তর দিলাম না লজ্জায় মিশে রইলাম ওনার বুকে। কতক্ষন সময় নিয়ে নিজেকে সামলে বললাম,
“মাত্র ফ্রেশ হয়ে এলাম। এখন আমায় আবার হলুদের রাঙালে কেন?”
“আমার বউ আর আমিই তাকে হলুদ লাগাবো না সেটা কখনো হয়?”
“সবার সামনে লাগালেই পারতে”

“সবার সামনে এভাবে লাগালে লজ্জা তুই নিজেই পেতিস। আমার কোনো সমস্যা নেই। আমিতো জানি আমার রৌদ্রময়ী লাজুকলতা তাই সবার আড়ালে হলুদের রঙে রাঙিয়ে দিলাম”
“এখন আমায় আবার ফ্রেশ হতে হবে, ধুর ছাই ভালো লাগে না”
আদ্র ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি ফুটিয়ে বলল,
“চল আমি তোকে ফ্রেশ হতে হেল্প করি”
আদ্রর বুকে হাত রেখে থামিয়ে দিলাম।

“থাক হয়েছে তোমার হেল্প আমার লাগবে না। আমি নিজেই পারবো। তুমি এখন যাও আমি ঘুমাবো”
“এভাবে তাড়িয়ে দিচ্ছিস? মনে রাখিস পই পই করে হিসাব রাখবো অতঃপর সুদ সমেত তুলবো”
মুখ বাকিয়ে ভেংচি কাটলাম। আদ্র চলে গেল রুমের বাহিরে। আদ্র চলে যেতেই হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। এই মানুষটা আছে বলেই আমি এতটা রিলেক্স এ আছি। কিছুক্ষন আগের ঘটনা। ইভান ভাইকে আচমকা দেখে ঘাবড়ে গিয়েছি। তার অপর পাশে আদ্র আছে। ভীতু চোখে ইভান ভাইকে দেখছি তখন সবার অগোচরে আদ্রর আমার হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে নিলো। চোখের দ্বারা আস্বস্ত করলো আমায়। আদ্রর হাত ধরার দৃশ্য সবার অগোচর হলেও ইভান ভাইয়ের অগোচর হলো না। তিনি ঠিকি বিষয়টা খেয়াল করলো।অতঃপর কেমন করে যেন হাসলেন। ইভা এসে বলল,

“ভাইয়া এতদিন পড় তোমার আমাদের কথা মনে পড়লো? বন্ধুর বাড়ি গিয়ে আমাদের তো একপ্রকার ভুলেই বসেছিলে। আজকে বনুর বিয়ে বলে হয়তো এলে নাহয় তো তোমার দেখাই পাওয়া যেত না”
ইভান ভাই বাঁকা হেসে বলল,
“রোদ সোনার বিয়ে আর আমি আসবো না সেটা কখনো হয়? আমায় যে আসতেই হতো। আমাদের ফ্যামিলির আদরের মেয়ের বিয়ে বলে কথা”
ইভান ভাইয়ের কথায় কেমন ভয় হলো। তিনি আবার কিছু করবেন না তো? আমি কিছুটা ভয় পেলেও আদ্রর আমায় আশ্বাস দিলো। কানে কানে ফিসফিস করে বলল,

“রৌদ্রময়ীর কোনো ভয় নেই। যতদিন এই আদ্র বেঁচে আছে ততদিন কেউ রৌদ্রময়ীর কিছু করতে পারবে না”
আদ্রর থেকে ভরসা পেয়ে নিজেকে হালকা লাগছে। সত্যিই এই মানুষটা যতদিন আছে ততদিন কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। ভাবনা বাদ দিয়ে একসেট কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ধুকে পড়লাম। এখন ফ্রেশ হলে হবে না একবারে শাওয়ার নিতে হবে।

ঘুমিয়ে আছি এমন সময় কারো ডাক কানে ভেসে আসছে। কিন্তু আমার উঠতে ইচ্ছে করছে না। কোলবালিশ জড়িয়ে উল্টোদিকে ঘুরে শুলাম। কিন্তু মানুষটা থামলে তো? তার একমাত্র লক্ষ্য আমায় ঘুম থেকে তোলা। হলুদের হইহুল্লোড় করায় ক্লান্ত লাগছে। ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলে তাকাতে ইচ্ছে করছে না। অপাশের মানুষটা থামলে তো? অনবরত ডেকেই চলেছে।

“রোদ, এই রোদ। উঠনা বোন। দেখ সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মেহেদী পড়তে বসবি কখন? তুই না ব্রাইড? তোর দুহাতে মেহেদী পড়তে অনেক সময় লাগবে তো, উঠনা?
আমি উঠলে তো? ঈশিতা আপু এবার হতাশ কণ্ঠে বলে উঠলো,
“তোর জন্য এই লাইনটা ঠিক আছে ‘যার বিয়ে তার হুস নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই’। তোকে দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। তাড়াতাড়ি উঠ”
ঈশিতা আপুর অত্যাচারে টিকতে না পেরে উঠে বসলাম। ঘুমানোর সময় ডিসটার্ব জিনিসটা আমার মোটেও পছন্দ না। চোখ মুখ কুঁচকে বললাম,

“তোমাদের জ্বালায় কি একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারবো না? আগে যদি জানতাম বিয়ে করতে গেলে এতো প্যারা সহ্য করতে হয় তাহলে আমি বিয়েই করতাম না। পালিয়ে গিয়ে কাজী অফিসে কবুল বলে চলে আসতাম এটাই ভালো ছিলো। এই জ্বালা প্রাণে সয় না”

দুঃখ কষ্ট ঝাড়তে ঝাড়তে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ঈশিতা আপু আমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো ভাবেনি এমন রিয়েকশন দিবো। তাতে আমার কি? আমি তো আমি। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে রেডি হতে বসালাম। এখন মেহেদী পড়া হবে সাথে ভাই বোনরা মিলে নাচ গান হবে এই আরকি। তার চেয়ে বড় কথা হলো সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে হবে। ঝটপট রেডি হয়ে নিলাম। গাঢ় সবুজ রঙের সারারা সাথে দুই হাত ভর্তি চুরি। মুখে অল্প বিস্তর সাজ। বাগানেই মেহেদীর আয়োজন করা হয়েছে। স্টেজে পারফরমেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশে আরেকটা স্টেজ করা হয়েছে আমাদের বসার জন্য।

স্টেজের পাশেও বসার ব্যবস্থা আছে। বাগানে বসে অনেকেই মেহেদী পড়ছে। ঈশিতা আপু আমায় নিয়ে সবার মাঝে বসিয়ে দিলো। এখানে আপাতত কোনো ছেলে নেই। একপাশে গান বাজছে। আর যে যার মতো মেহেদী পড়ছে। আমি যেতেই মহল কেমন পাল্টে গেল। মুহূর্তের মাঝেই আগমন হলো ছেলেদের। আদ্র গানের সাথে এন্ট্রি নিলো। ওনার কাছে হিরো পুরো ফেইল। গাঢ় সবুজ রঙের পাঞ্জাবী, কালো পায়জামা। পাঞ্জাবীর হাতা কনুই পর্যন্ত গোটানো। ফর্সা হাতে কালো ঘড়ি। সব মিলিয়ে আদ্রকে অনেক সুন্দর লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা আদ্র ঠোঁটে ফুটে ওঠা হাসি দেখে আমি ফিদা। এই মানুষটাকে হাসলে এতো সুন্দর কেন লাগে? কারো নজর না লাগুক। আমি ভ্যাবলাকান্তের মতো আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছি। এন্ট্রি শেষে আদ্র এসে আমার পাশে বসলো। পাশে বসা ইভাকে বলল,

“মেহেদীর ডালা টা দে তো”
ইভা মেহেদীর ডালা আদ্রর দিকে বাড়িয়ে দিলো। আদ্র সেখান থেকে একটা মেহেদীর টিউব তুলে নিয়ে আমায় বলল,
“হাত দে”
ইভা জিজ্ঞেস করলো,
“মেহেদী দিয়ে তুমি কি করবে?”
“আমার বউয়ের হাতে আমি মেহেদী পড়িয়ে দিবো”
“কি? তুমি মেহেদী পড়াতে পারো?”
আমি ইভাকে বলlলাম,
“কিছু না বলে দেখতে থাক। তাহলেই বুঝতে পারবি”

আদ্রর মনোযোগ দিয়ে হাতে ডিজাইন করছে। আশেপাশে অনেকেই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ইভা আর রোশনিও উপুড় হয়ে দেখছে। ওদের এভাবে দেখার ধরন দেখে মনে হচ্ছে আলাদিনের চেরাগ পাওয়া গেছে যেটা ওরা এতো মনোযোগ দিয়ে দেখছে। আদ্র খানিকটা ডিজাইন করতেই ইভা চেঁচিয়ে বলল,
“আদ্র ভাই তুমি তো হেব্বি সুন্দর মেহেদী দিতে পারো”
আমি একটু ভাব নিয়ে বললাম,
“দেখতে হবে জামাই টা কার”

আদ্র একহাতের তালুর অংশে মেহেদী পড়িয়ে দিচ্ছে। আর অন্য হাতে মেহেদী আর্টিস্ট আপু মেহেদী পড়িয়ে দিচ্ছে। আশেপাশে সবাই বসে মেহেদী পড়ছে সাথে গল্প করছে। উৎসব মুখর পরিবেশ যাকে বলে। হটাৎ ইভা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ ছোটো ছোটো করে প্ৰশ্ন করলো,
“আদ্র ভাই যে এতো সুন্দর মেহেদী দিতে পারে সেটা তুই জানলি কি করে?”
জিভ কাটলাম। ইসস, ধরা পড়ে গেলাম। এখন ইভাকে কি করে বলবো ঈশিতা আপুর বিয়ের সময় আদ্র আমায় মেহেদী পড়িয়ে দিয়েছিলো। একটু ভেবে নিজেই নিজেকে সাহস দিলাম আমারই তো বর এখন তো বলা যেতেই পারে।
“ঈশিতা আপুর বিয়েতে আমার হাতের মেহেদী দেখেছিলি না?”
“হ্যাঁ”
“ওটা ওনারই দিয়ে দেওয়া”

ইভা অবাক চোখে চেয়ে আছে আমার দিকে। আমি ওরা চাওনি কে ইগনোর করে আদ্রর মেহেদী দেওয়া দেখায় মনোযোগী হলাম। একটু পরেই শুরু হলো আমাদের কাজিন মহলের ডান্স পারফরমেন্স। আমাদের বাড়িতে বিয়ে মানেই আমাদের কাজিনদের একটা গানে গ্রূপ পারফরমেন্স থাকবে। এবারও সেটার ব্যতিক্রম না। গান সিলেক্ট করা হয়েছে “মেহেন্দি লাগাকে রাখনা”। আমরা মেয়েরা একপাশে ছেলেরা একপাশে। মেয়েদের মধ্যে আমি, ইভা, রোশনি, আরু, ভাবি, ঈশিতা আপু, তিথি আপু।

ছেলেদের মধ্যে আদ্র, অভ্র ভাই, রোশন, শিহাব ভাইয়া, শুভ ভাই, রূদ্র ভাই আর ইয়াদ ভাই। শুভ ভাই প্রথমে রাজি নাহলেও তিথি আপুর চোখে রাঙানো দেখে রাজি হয়ে গেছে। এই জনই হয়তো বলে ‘পুরুষ তার শখের নারীকে যেমন ভালোবাসে তেমন ভয় পায়’। রিসাব আর ইফাজ ভাইয়া পার্টিসিপেট করবে না। ওরা একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের পারফরমেন্স দেখছে ডান্স শেষে হাপিয়ে গিয়েছি। আবার মেহেদী পড়তে বসে পড়লাম। এখনো অনেকটা মেহেদী পড়া বাকি। এখন কাপল ডান্স চলছে।

ঈশিতা আপু আর শিহাব ভাইয়ার ডান্স শেষে এবার পালা ইভা আর ইয়াদ ভাইয়ের। ওরা দুজন নাচ কম ঝগড়া বেশি করছে মনে হচ্ছে। ইভা আর ইয়াদ ভাইয়ের নাচ দেখে হাসতে হাসতে আমাদের অবস্থা কাহিল। ছোটো বেলা থেকেই ওদের বন্ডিং এমনি। সাপ আর বেজির মতো একজন আরেক জনের পিছনে লেগে থাকে।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪২

ইয়াদ ভাইয়া বাড়িতে আসলে দেখা যায় দুজনের মা*রা*মারি। এদিকে আমার মেহেদী পড়া শেষ। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মেহেদীর ডিজাইন দেখছি। হাতের তালু সম্পূর্ণ টা জুড়ে আছে একটা নামের বিচরণ। মেহেদীর ডিজাইনের সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা তার নাম।
“আদীব চৌধুরী আদ্র”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪৪