উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪৭
আফিয়া আফরোজ আহি
প্রভাতের কিরণ ছড়িয়ে গেছে ধরণী জুড়ে। অল্প স্বল্প উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। সাথে দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে। নতুন দিনের সূচনাটাই অন্য রকম। ঘুম ভেঙ্গে নিজেকে আবিষ্কার করলাম পুরুষালি আলিঙ্গনে। মানুষটা আমায় নিজের বাহুডোরে বড্ড যত্নে আগলে রেখেছেন। উনার আঁকড়ে ধরার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে উনি পারে না আমায় নিজের কলিজার মাঝে ঢুকিয়ে নেন। চোখ মেলে চাইলাম মানুষটার মুখপানে। কি স্নিগ্ধ সেই মুখশ্রী! মায়া ভরা তার মুখ।
এক গোছা চুল এসে পড়েছে আদ্রর মুখের ওপর। এলোমেলো চুলেও মানুষটাকে কতটাই না সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে চুলগুলো আরো এলোমেলো করে দিতে। যেই ভাবা সেই কাজ। হাত বাড়িয়ে আদ্র চুলগুলো এলোমেলো করে দিলাম। একা একা ভালো লাগছে না। কি করবো সেটাও ভেবে পাচ্ছি না। অতঃপর আমায় দুস্টু বুদ্ধির আগমন ঘটলো। আদ্রর গাল টেনে দিলাম, হাতের সাহায্যে টেনে চোখ খোলার চেষ্টা করছি কিন্তু কাজে দিচ্ছে না। আঁকিবুকি শুরু করে দিলাম আদ্রর প্রশস্ত বুকে। এবার মাহশয়ের টনক নড়লো। চোখ মুখ কুঁচকে নিলো। ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলল,
“সকাল সকাল জ্বালাস না বউ, ঘুমাতে দে”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কথাগুলো বলে আমার হাত গুলো নিজের হাতের মাঝে চেপে ধরে ফের ঘুমিয়ে গেলেন। এদিকে আমি হাত ছুটানোর জন্য মোচড়ামুচরি করছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। শেষমেষ হাত ছাড়াতে না পেরে ওভাবেই ঘুমের দেশে পারি দিলাম।
মুখের ওপর পানির অস্তিত্ব অনুভব করতেই পিটপিট করে চোখ খুলে চাইলাম। সামনে আদ্র দাঁড়িয়ে। টাউজার পরিহিত ফর্সা উদাম গাঁয়ে টাওয়াল দিয়ে চুল মুছছে। বুকের পশমে বিন্দু বিন্দু পানির অস্তিত্ব বিদ্যমান। তারমানে কি উনি শাওয়ার নিয়েছে? আদ্রর চোখে চোখ পড়তেই কাল রাতের ঘটনা মনে পড়ে গেল। লজ্জারা ঘিরে ধরলো আমায়। আড়চোখে আদ্রর দিকে তাকিয়ে দেখলাম আদ্রর বুকে পিঠে আঁচড়ের দাগ। ছি! ছি! লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলাম। আদ্র বলল,
“শুভ সকাল রৌদ্রময়ী”
মিনিমিনে স্বরে বললাম,
“শুভ সকাল”
“উঠে ফ্রেশ হতে যা। বেলা নয়টা বেজে গেছে”
জিভে কামড় পড়লো। শশুর বাড়ি এসে প্রথম দিনই দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম। যদিও এখানে বলার মতো কেউ নেই। তাও আমার সকাল সকাল উঠা দরকার ছিলো। আদ্রকে বললাম,
“তুমি আমায় আরো আগে ডাকোনি কেন? এখন এতো দেরি করে নিচে গেলে সবাই কি ভাব্বে?”
“যার যা ইচ্ছে ভাবুক তাতে তোর কি? তুই যা ফ্রেশ হতে”
উঠে দৌড়ে লাগলাম ওয়াশরুমে। আদ্র আমার দৌড়ে দেখে পিছন থেকে বলে উঠলো,
“আসতে যা নাহয় পড়ে যাবি”
কে শোনে কার কথা আমি তো আমিই। আদ্র ফের বলল,
“পা*গলী একটা”
দুজন একসাথে নিচে নামছি। আদ্র আগে আর আমি উনার পিছনে। নিচে ড্রয়িং রুমে বসে আছে সবাই। ওরা কি রাতে এখানে ছিলো? নিচে নেমে আদ্র সোফায় যেয়ে ওদের মাঝে বসে পড়লো। ইভা এগিয়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলো,
“আদ্র ভাই কি গিফট দিলো বনু?”
হাত বাড়িয়ে ইশারায় রিংটা দেখালাম। ইভা দেখে বলল,
“অনেক সুন্দর”
এর মাঝেই ভাবি এসে বলল,
“কি গো ননদিনী শশুর বাড়ি এসে আমাদের ভুলে গেলে?”
“আরে না। তোমাদের কাছেই আসছিলাম
মাঝে ইভা আটকে দিলো”
সবার মাঝে যেয়ে বসালাম। একেক জন এটা ওটা জিজ্ঞেস করছে তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি কাহিল। ওদের প্রশ্ন কিছুটা এমন, ওরা যাওয়ার পর আমি কান্নাকাটি করি নি তো? মন খারাপ হয়েছে কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার ভাই-বোন গুলো যে আমায় নিয়ে এতো কনসার্ন সেটা আজকের দিনটা না এলে জানতেই পারতাম না। ওদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উঠে যেতে যেতে বললাম,
“তোমরা বসো আমি দেখে আসি ফুপ্পি কি করছে”
এর মাঝেই ফুপ্পি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে এগিয়ে এলো। আমায় নিজের কাছে টেনে বলল,
“তোকে আর কষ্ট করে আসতে হবে না। আমিই তোর কাছে চলে এসেছি। কাল আমার মেয়েটা আমার বাড়িতে এলো কিন্তু কাজের চাপে তোর সাথে দুদন্ড ভালো করে কথাও বলতে পারিনি। রাগ করিসনা মা”
“আরে রাগ করবো কেন? আমি তো জানি আমার ফুপ্পি কতো ব্যাস্ত ছিলো কাল। নাহলে সে আমার সাথে কথা বলবে না এটা কখনো হতেই পারেনা”
হটাৎ ফুপ্পির হাসি মুখটা কেমন গম্ভীর হয়ে গেল। গম্ভীর মুখে বলল,
“কে তোর ফুপ্পি? শাশুড়ি হই আমি”
ফুপ্পির হটাৎ এমন আচরণে অবাক হয়ে গেলাম। একটু আগেই তো কি সুন্দর হেসে হেসে কথা বলছিলো তাহলে হুট্ করে কি হলো? সবাই ফুপ্পির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আর এদিকে আমি তো বেক্কেল বনে গিয়েছি। ফুপ্পির আমার রিয়েকশন দেখে ফিক করে হেসে দিলো। আমি ভেবেচেঁকা খেয়ে গেলাম। ফুপ্পি আমার নাক টেনে দিয়ে বলল,
“কিছু বুঝিস নি?”
আমি কেবলাকান্তের ন্যায় মাথা দুলিয়ে না জানালাম।
“আমায় বুঝি মা হিসেবে পছন্দ হয়নি?”
“হয়েছে তো। তুমি তো আমার আরেক মা”
“তাহলে মা বলে না ডেকে এখনো ফুপ্পি ফুপ্পি করছিস কেন?”
জিভে কামড় দিলাম। কানে ধরে বললাম,
“সরি আম্মু। আর হবে না”
ফুপ্পি আমার হাত কান থেকে সরিয়ে দিয়ে বলল,
“হয়েছে আর সরি বলা লাগবে না। এখন সবাই টেবিলে বস। সকালের খাবার তো খেতে হবে নাকি?”
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“সবাই এখনো খায় নি?”
অভ্র ভাই বলল,
“না। তোর জন্য বসে ছিলো। শুভ তো বলেই দিয়েছে তার পাখিকে ছাড়া সে খাবে না। নিজে খায়নি সাথে দেখ আমাদেরও না খাইয়ে রেখেছে”
শুভ ভাইয়ের দিকে তাকাতেই ভাইয়া বলল,
“মিথ্যা কথা বলো না ভাইয়া! আমি একা না তোমরাও খাবে না বলেছিলে”
অভ্র ভাইয়া হেসে বলল,
“আরে মজা করছিলাম। এখন আয় সবাই একসাথে খাবো”
সবাই একে একে টেবিলে বসে পড়লো। খাবার শেষে ড্রয়িং রুমে বসলো আমাদের আড্ডা। আমরা কাজিন মহল একসাথে মানেই আমাদের আড্ডা বসবে। মাঝে কিছু প্রতিবেশী আন্টিরা এসে বউ দেখে গেছে। বেলা বাড়তেই বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হচ্ছে। বেশ কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে সবাই বাড়ি চলে গেছে। আমিও রুমে চলে এলাম। নিচে অনেক আত্মীয় স্বজনে ভরপুর।
শাওয়ার নিয়ে রেডি হতে বসেছি। বিছানায় শাড়ির মেলা। এদিকে আমি কোন রঙের শাড়ি পড়বো সেটাই বুঝতে পারছি না। একবার মনে হচ্ছে পিঙ্ক শাড়ি পড়ি , আবার মনে হচ্ছে মিষ্টি কালার শাড়ি পড়ি। কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর লাগছে কালো শাড়ি টা। কি করবো ভেবেই পাচ্ছি না! আমার ভাবনার মাঝেই আগমন ঘটলো আদ্র সাহেবের। আদ্র ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেছে। গাঁয়ে থাকা কালো রঙের টি-শার্ট গাঁয়ের সাথে লেপ্টে রয়েছে। সকালে গুছিয়ে রাখা চুলগুলো এলোমেলো। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের অস্তিত্ব। আদ্র আমায় এভাবে গালে হাত দিয়ে ভাবনায় বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
“কিরে ভাবনার রানী এখন আবার কি ভাবতে বসেছিস?”
“আরে দেখো না এতো গুলো শাড়ির মাঝে কোনটা পড়বো সেটাই বুঝতে পারছি না”
“এই বেপার আমায় ডাকলেই পারতি”
আদ্র শাড়ি গুলো উল্টো পাল্টে দেখে ওগুলোর মধ্যে থেকে লাল রঙের জামদানি শাড়ি বের করে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
“এটা পড়। নতুন বউ সুন্দর লাগবে”
শাড়িটা রেখে উঠে আদ্রর কাছে গেলাম। শাড়ি আঁচল দিয়ে আদ্রর কপালের ঘাম মুছে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলাম,
“কি এমন কাজ করছিলে যে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে এসেছো?”
“তোরা মেয়েরা বিয়ের দিন ঘরে সেজেগুঁজে বসে থাকিস। আর আমাদের ছেলেদের বিয়ের দিনও সব কাজ ঠিক ঠাক হয়েছে কিনা সেগুলো সব চেক করে তারপর বিয়ে করতে যেতে হয়”
“তাই নাকি সাহেব? তা কি এমন কার্য আপনি করছিলেন শুনি?”
“রান্নার আয়োজন দেখতে গিয়েছিলাম। রান্না ঠিকঠাক না হলে তো সবাই খেতে পারবে না। আমার হয়েছে জ্বালা যেদিক না যাব সেদিকেই কিছু না কিছু গড়বড় হবে”
“তাহলে তো বলতেই হয় আপনি মেলা কাজ করে এসেছেন। আপনি বসেন আমি আপনার জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত নিয়ে আসছি”
“কি সেই কখন থেকে আপনি আপনি শুরু করেছিস! তোর মুখে তুমি ডাকটাই সুন্দর লাগছে। কি মাধুর্যপূর্ন সেই ডাক! মনে হয় হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়”
“ঠিক আছে তুমিই ডাকবো। তুমি বসো আমি আসছি”
বলে রুমে থেকে বেরিয়ে এলাম। পিছন থেকে আদ্রর কণ্ঠ ভেসে আসছে।
“শরবতের দরকার নেই। শাওয়ার নিলেই ঠিক হয়ে যাবে”
কে শোনে কার কথা! আমি এতক্ষনে নিচে নেমে এসেছি। আমায় নিচে দেখে আম্মু জিজ্ঞেস করলো,
“রোদ সোনা তুই নিচে কি করছিস? তোকে না একটু আগে ওপরে পাঠালাম তৈরি হয়ে আসতে?”
“আসলে আদ্র ভা… মানে তোমার ছেলে ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা। তাই ভাবছিলাম ওনার জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত নিয়ে যাই, খেলে ভালো লাগবে”
আমার কথা শুনে আম্মুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
“ভালো কথা ভেবেছিস। তোদের মাঝের ভালোবাসা দেখলে মনটা শান্তিতে ভরে যায়”
আম্মুর কথায় সায় জানিয় রান্না ঘরে চলে গেলাম। আদ্রকে শরবটতের গ্লাস দিলে উনি অর্ধেক খেয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলাম,
“পুরোটা শেষ করলে না যে?”
“এটা তোর ভাগের”
“আমার ভাগের মানে?”
“আমার সব কিছুতে তোর অর্ধেক ভাগ রয়েছে। তাই অর্ধেক আমি খেলাম আর অর্ধেক তোর। আর ভাগাভাগি করে খেলে ভালোবাসা বাড়ে”
আদ্র আমার হাতে গ্লাস দিয়ে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। আদ্রর পছন্দ করে দেওয়া লাল জামদানি পড়ে আয়নায় সামনে বসে সাজগোজ করছি। লাল শাড়ি, হাত ভর্তি লাল চুড়ি, ম্যাচিং জুয়েলারি। মুখে অল্প বিস্তর প্রসাধনীর ছোঁয়া। ব্যাস আমার সাজ শেষ। আদ্র বেরিয়ে আমায় এই রূপে দেখে কিছুক্ষন ওয়াশরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে রইলেন। অতঃপর একটু একটু করে এগিয়ে আসতে নিলেন। ওনাকে এগিয়ে আসতে দেখে ঘাবড়ে না গিয়ে একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলাম। আদ্র এগিয়ে এসে খোপা করা চুল গুলো খুলে দিলো। উন্মুক্ত হতেই ঝরঝর করে পিঠ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল কেশ গুচ্ছ। আদ্র অন্য রকম কণ্ঠে বলল,
“খোলা চুলে তোকে বেশি সুন্দর লাগে”
কথা গুলো বলে মুখ ডুবিয়ে দিলেন চুলের মাঝে। চুলের মাঝে মুখ ডুবিয়ে রেখে মিহি কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“চুলে কোন শ্যাম্পু দিস বলতো? ঘ্রানটা অনেক সুন্দর”
আদ্রকে এতটা কাছে অনুভব করে গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছে না। আদ্র কাছে এলেই কেন যেনো বোবা হয়ে যাই। মনে হয় কথা গুলো গলায় আটকে গেছে। এমন সময় রুমের দরজায় নক করলো কেউ। আদ্র ছিটকে দূরে সরে গেল। জিজ্ঞেস করলাম,
“কে?”
ওপাশ থেকে ইভা বলল,
“আমি”
আদ্র মেজাজ খারাপ করে বলল,
“এই ইভার কি খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নেই? প্রতিবার আমার রোমান্সের বারো টা বাজাতে ওকে আসতেই হবে? ধুর ছাই”
আদ্র জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমের ঢুকে গেলেন। আমি এগিয়ে গিয়ে দরজার খুলে দিলাম। ইভা জিজ্ঞেস করলো,
“কি করছিলি?”
“এইতো রেডি হচ্ছিলাম”
ইভা বিছানায় বসে পড়লো। আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ফের চুল গুলো বাধার প্রচেষ্টায়। আদ্র যতই বলুক বড়দের সামনে তো এভাবে খোলা চুলে যাওয়া যায় না! তার ওপর আজকে বৌভাত কতো মানুষ আসবে। আমার চুল বাধার মাঝেই আদ্র একেবারে রেডি হয়ে বের হলো। উনার পরনে ক্রিম কালারের পাঞ্জাবী ওপরে লাল রঙের কোটি। পাশে এসে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করে ঘড়ি পড়তে পড়তে বলল,
“তুই থাক, আমি নিচে যাচ্ছি। তুই একটু পড় আসিস”
একটু থেমে ফের বলল,
“তোর একা আসা লাগবে না। আমি এসে নিয়ে যাবো”
বলে গট গট পায়ে চলে গেল। আমি এতক্ষন ওনার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। ঘরে যে ইভা আছে সে খেয়াল বেমালুম ভুলে বসেছি। আদ্র চলে যেতেই ইভা কাশি দিয়ে বলল,
“উহুম, উহুম। বনু এই জন্যই বুঝি দরজা খুলতে দেরি হচ্ছিলো?”
“আরে তুই যা ভাবছিস তেমন কিছু না। আমি রেডি হচ্ছিলাম উনি ওয়াশরুমে ছিলো”
“বুঝি, বুঝি। আমরা সবই বুঝি খাই না সুজি”
উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪৬
দুজন বসে গল্প করা শুরু করলাম। একটু পড়ে আদ্র
এসে আমায় নিচে নিয়ে এলো। নিচে আমার বাড়ির সবাই এসেছে। আব্বু-আম্মু, বড় আব্বু-বড় আম্মু সবাই। সবার সাথে দেখা করে কথা বলে স্টেজে যেয়ে বসলাম। অবশেষে সুন্দর মতো বৌভাতের শেষ হলো। বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ হলে সবাই মিলে আমায় আর আদ্রকে আমাদের বাড়িতে নিলো। দিনটা কেমন ব্যস্ততার, হাসি, মজা, গল্পের মাঝেই কেটে গেল।