উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ১০

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ১০
আফিয়া আফরোজ আহি

সূর্য অস্ত গেছে বহু পূর্বে। ধরণী ঢেকে গেছে তমিস্রার চাদরে। চেতনা হারিয়ে বিছানায় শয্যাসায়ী হয়ে পড়ে আছি। ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরছে। চেতনা ফিরে পেলে পিট পিট করে চোখ খোলার চেষ্টা করছি। আশেপাশে তাকিয়ে নিজেকে নিজের রুমে আবিষ্কার করলাম। আমাকে ঘিরে রেখেছে আম্মু, বড় আম্মু, ছোট আম্মু বসে আছে। পুরো রুম জুড়ে সবাই চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে পায়চারি করছে। আমাকে চোখ খুলতে দেখে শুভ ভাই মিহি কণ্ঠে সুধালেন,
“কেমন লাগছে পাখি?”

উঠে বসার চেষ্টা করলাম। হাতে জোর পাচ্ছি না। উঠতে যেয়েও ধপাস করে শুয়ে পড়লাম। হাত প্রচন্ড ব্যথা করছে। পুরো শরীর ব্যাথায় জর্জরিত। কপাল মনে হয় ব্যথায় টন টন করছে। কপালে হাত ছোঁয়ালে বুঝতে দেরি হলো না ব্যান্ডেজ করা। শুভ ভাই আমাকে পড়ে যেতে দেখে বললেন,
“ওঠার দরকার নেই। তু্ই শুয়ে থাক। রেস্ট নে”
আমার একপাশে আম্মু বসা। চোখে পানি, দেখেই বোঝা যাচ্ছে এতক্ষন কান্না করেছে। আম্মু আমার পুরো মুখে হাত বুলিয়ে দিলো। কান্নারত কণ্ঠে বলে উঠলো,
“আমার মেয়েটার কপালটাই কেন এতো খারাপ? সব বিপদ কেন আমার মেয়েটার ওপর এসেই পড়ে? আমার বাচ্চা মেয়েটার কি অবস্থা হয়েছে!”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আমি অবাক চোখে আমার আম্মাজান কে দেখছি। এমনি সময় বাঁদরামো করি বলে কতো বকা দেয়। আর সেই আম্মাজান আমায় নিয়ে কতো আহাজারীই না করছে। খাবার হাতে রুমে ঢুকলো ঈশিতা আপু। আম্মুর হাতে ট্রে দিয়ে বিছানার পাশেই দাঁড়ালো। শুভ ভাই বলল,
“মেঝ আম্মু তুমি ওকে খাইয়ে দেও আমি ওর ওষুধ গুলো নিয়ে আসছি”

একে একে সবাই দেখে চলে গেল। আম্মু নিজ হাতে আমায় খাইয়ে দিচ্ছে। খেতে খেতে এক সময় চোখ যেয়ে পড়লো রুমের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা আদ্র ভাইয়ের দিকে। মানুষটার মুখ ফেকাশে হয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমার চেয়ে কষ্ট তার বেশি হচ্ছে। ওনার এতো কিসের কষ্ট? পড়ে গিয়ে তো ব্যথা আমি পেয়েছি উনি না। তাহলে? আদ্র ভাই বুকে হাত গুঁজে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এক বারের জন্য পলকও পড়ছে না। উনি যেন থমকে গেছেন। খাবার খাইয়ে দিয়ে আম্মুও চলে গেল। পুরো রুমে আমি আর আদ্র ভাই। ধীরে ধীরে উনি এগিয়ে এলেন। পাশে বসলেন। ওনার চোখে আমি স্পষ্ট ভয় দেখতে পাচ্ছি। কোনো কিছু হারানোর ভয়ে জর্জরিত তার আঁখি। এতো কিসের ভয় মানুষটার? আদ্র ভাইয়ের করুন চাহনি। হাত বাড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।

“বেশি ব্যথা করছে?”
আদ্র ভাইয়ের কণ্ঠ কাঁপছে। গলা দিয়ে যেন শব্দই বের হতে চাইছে না। গলায় কান্নারা দলা পাকিয়ে আছে। মাথা নেড়ে সায় জানালাম। শুভ ভাই মেডিসিন নিয়ে এলো। নিজ দায়িত্বেই আমায় খাইয়ে দিয়ে চলে গেল। আদ্র ভাই মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
“আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি তু্ই নিশ্চিন্তে ঘুমা। দেখবি ঘুমালে ব্যথা কমে যাবে”
আদ্র ভাইয়ের কথা মতো চোখ বুজে নিলাম। কড়া ডোজের ওষুধ হওয়ায় ক্ষনিকের মাঝে চোখের পাতায় ভর করলো নিদ্রা। মাথায় উষ্ণ স্পর্শের আবেশে পাড়ি জমালাম ঘুমের দেশে।

ঘুম ভাঙলো রাত দশটা নাগাদ। বসে বসে ভাবছি সেই সময়টার কথা। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি সাবধানতার সহিত গাউন দু হাতে তুলে নামছিলাম। ইরা মেয়েটার সাথে পাশাপাশি হলে মেয়েটা এক প্রকার ধাক্কা দিলো আমায়। আশেপাশে ধরার মতো কিছু না পেয়ে পড়ে যেতে নিলাম। মেয়েটা আমায় পড়ে যেতে দেখেও দিব্বি দাঁড়িয়ে ছিলো। ওর মাঝে না ছিলো আমাকে ধরার প্রবণতা, ছিলো ওর ঠোঁটের কোণে রহস্য ময় হাসি। সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে গেলাম। এরপর কি হয়েছে কিছুই আমার মনে নেই। আমার মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। মেয়েটা কেন এমন করলো? ওর সাথে তো আমার ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই। তবে কেন এমন করলো? কারণ কি?
আমার ভাবনার মাঝে রুমে ঢুকলো ইভা, রোশনি আর ঈশিতা আপু। ঈশিতা আপুর হাতে ফলে পরিপূর্ণ বাটি।

“রোদ সোনা উঠে গেছিস?”
“হ্যাঁ, ঘুম ভেঙ্গে গেছে”
“আমরা তোর সাথে গল্প করতেই এসেছি”
তিনজন আমায় ঘিরে বসলো। শুরু হলো আমাদের আড্ডা। আড্ডার এক পর্যায়ে রোশনি বলে উঠলো,
“আপু জানো তুমি যখন পড়ে গিয়েছিলে তখন কি হয়েছে?”
আমি দুপাশে মাথা নেড়ে নাকোচ করলাম। রোশনি বলা শুরু করলো,

“তুমি যখন গড়িয়ে গড়িয়ে নিচে পড়লে আমরা তখন সবাই ড্রয়িং রুমেই তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অকস্মাৎ কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দে সবাই সিঁড়ির কাছে ছুটে এসেছি। তোমার র*ক্তা*ক্ত চেহারা দেখে সবাই আঁতকে উঠেছিলাম। তোমার কপাল ফেটে বিলিডিং হচ্ছিলো। শুভ ভাই দৌড়ে এসে তোমায় ধরলো। মুখে চাপর দিয়ে তোমায় ডাকছিলো। তোমার কোনো সারা শব্দ না পেয়ে তোমায় কোলে তুলে গট গট পায়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটা দিয়েছে। আমরা সবাই তখনও ঘোরের মাঝেই ছিলাম। এর মাঝে আম্মুরা সবাই এসে জড়ো হলো সেখানে। শুভ ভাই তোমায় নিয়ে এসে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ছুটলো তার রুমে। ততক্ষনে আমরা সবাই এসে তোমার রুমে ভীড় জমিয়েছি। শুভ ভাই তোমার হাত, পা, কপাল ক্লিন করে ব্যান্ডেজ করে দিলো। মেঝ আম্মু তো তোমার অবস্থা দেখে কান্না করছিলো। বড় আম্মু তাকে সামলাচ্ছিলো। এমন সময় রুমে ঢুকলো ইরা না চিড়া সেই মেয়েটা। আমরা কিছু বলতে যাবো তার আগেই আদ্র ভাই যেয়ে ঠাস করে মেয়েটার গালে চড় বসিয়ে দিলো। আমরা সবাই অবাক হয়ে আদ্র ভাইয়ের দিকে তাকালাম। আদ্র ভাই রেগে পুরো লাল হয়েছিলো। এই পর্যন্ত কখনো আদ্র ভাইকে আমাদের কারো গায়ে হাত তো দূর কাউকে উচ্চ স্বরে ধমক পর্যন্ত দিতে দেখিনি সেই আদ্র ভাই কিনা একটা মেয়ের গালে চড় বসিয়ে দিলো! তাও সেটা তার ভাইয়ের বউয়ের গাঁয়ে? পুরো অবাক করা কাণ্ড। বজ্র কণ্ঠে বলল,

“তোমাকে যদি রোদের ত্রি সীমানায় দেখি আমি তোমাকে সেখানেই পুঁতে রেখে দিবো। মেয়ে বলে জাস্ট একটা থাপ্পড় খেয়ে বেঁচে গেলে। ছেলে হলে এতক্ষনে তোমার হাত ভেঙ্গে গলায় ঝুলিয়ে দিতাম। এই মুহূর্তে এখান থেকে যাও”
আদ্র ভাইয়াকে এতটা কঠোর রূপে দেখে আমরা সবাই চমকে গিয়েছিলাম। পুরো ঘটনায় আমরা সবাই আহাজারী করলেও আদ্র ভাই ছিলো সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। হুট্ করে তার এমন আচরণে তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম”
রোশনি থামলো। আদ্র ভাই মানুষটা আমার জন্য এগুলো করেছে? কারণ কি? আমার ভাবনা শুরুর আগেই ওরা ডেকে উঠলো। ভাবনা বাদ দিয়ে গল্প মন দিলাম। আম্মু এসে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে গেল।

শুয়ে শুয়ে ভাবছি! আদ্র ভাইয়ের এমন আচরণের কারণ কি? অনেক আগে থেকেই আমার প্রতি উনার আচরণ খানিকটা ভিন্ন। ওনার প্রায়রিটি লিস্টে আমার অবস্থা যে অন্যদের চেয়ে ওপরে সেটা অনেক আগেই বুঝেছি। আমার সব বিষয়েই মানুষটার হস্ত ক্ষেপ থাকতো। কিন্তু ইভান ভাই আসার পর আস্তে আস্তে ওনার হস্ত ক্ষেপ কমতে থাকে। মানুষটা দূরত্বে যেতে থাকে। তখন বিষয়টা অনুভব না করলেও এখন বুঝতে পারছি। আদ্র ভাই বরাবরই আমার খেয়াল রাখেন। আমার প্রতি উনার কেয়ারের ধরণও অন্য সবার থেকে আলাদা। এর কারণ কি? শুধু কি কাজিন বলে? নাকি অন্য কিছু! মস্তিস্ক জুড়ে প্রশ্নের ভেলা। তবে উত্তরের কোঠা শুন্য। ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছি আমি নিজেও জানি না।

সকালে ঘুম ভাঙলো আম্মুর ডাকে। শরীরের ব্যথা আগের চেয়ে খানিকটা কম। তবে মাথা এখনো ব্যথা করছে। আম্মুর সাহায্য নিয়ে কোনো মতে উঠে বসলাম। হাতে দুই তিন জায়গায় ব্যান্ডেজ করা। আম্মু ফ্রেশ হতে সাহায্য করলো। ফ্রেশ করিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসিয়ে চলে গেল খাবার আনতে। একা একা রুমে বসে আছি। এমনি সময় সুস্থ থাকলে এতক্ষনে পুরো বাড়ি একবার রাউন্ড দেওয়া হয়ে যেত। আমার ভাবনার মাঝে আম্মু খাবার নিয়ে এলো। আম্মুর পিছনে একে একে রোশনি, ইভা, ঈশিতা, আপু, শুভ ভাই, রুদ্র ভাইয়া, সব শেষে এলো আদ্র ভাই। এই সকাল সকাল সবাইকে দেখে ভ্রু কুঁচকে এলো। সবার হাতেই খাবারের থালা। কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলাম,
“তোমরা সবাই একসাথে? এই সময়?”
ঈশিতা আপু আমার পাশে বসতে বসতে বলল,

“তোকে ছাড়া আমরা কখনো খেয়েছি? তু্ই একা একা রুমে বসে খেলে আমাদের খাওয়ার টেবিলে পুরো ফাঁকা ফাঁকা লাগবে। খাওয়ায় মন বসবে না আমাদের তাই সবাই তোর সাথে খেতে চলে এলাম”
ঈশিতা আপুর কথায় আবেগ প্রবন হয়ে গেলাম। চোখের কোণে পানি এসে ঠেকলো তবে গড়িয়ে পড়ার আগেই নিজেকেই সামলে নিলাম। আমার ভাই বোন গুলো এমনই। ওদের আমাকে ছাড়া চলেই না। শুভ ভাই আম্মুকে বলল,
“মেঝ আম্মু তুমি চলে যাও আমি পাখিকে খাইয়ে দিবো”
আম্মু চলে গেল। বিছানা, সোফা, চেয়ার সব জুড়ে বসেছে সবাই। শুভ ভাই আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে সাথে নিজেও খাচ্ছে। ইভা আবদার করে বলল,

“ভাইয়া আমাকেও খাইয়ে দেও”
“যা ভাগ। তু্ই তো সুস্থ আছিস। তোকে খাইয়ে দিতে হবে কেন? নিজের হাতে খা”
“আজকে অসুস্থ নই বলে নিজের ভাইও খাইয়ে দিচ্ছে না। উল্টো ধমক দিচ্ছে। কি অভাগা কপাল আমার! বনু রে তোরই তো কপাল”
ইভা কান্না কান্না ভাব নিয়ে কথা গুলো বলল। ওর ঢং দেখে আমরা সবাই হেসে দিলাম। সাথে ইভাও হেসে দিলো। ঈশিতা আপু ইভাকে সান্তনা দিয়ে বলল,
“থাক কাঁদিস না ইভা আয় আমি তোকে খাইয়ে দেই”
ইভা সরল মনে খাওয়ার জন্য মুখ্ বাড়ালো। ঈশিতা আপু খাবার ওর মুখে পুরে দিলে দুই সেকেন্ড এর মাঝে ইভা লাফিয়ে উঠলো। ওকে এভাবে লাফিয়ে উঠতে দেখে সবাই হেসে দিলাম। ভাবলাম ও মজা করছে। ইভা হটাৎ চিৎকার করে বলল,

“পানি! পানি দেও। ঝাল লেগেছে। পানি দেও কেউ”
রোশনি উঠে গিয়ে ইভাকে পানি এনে দিলো। ঝালে বেচারির অবস্থা খারাপ। চোখ মুখে পানি এসে গেছে। কাঁদো কাঁদো মুখে বলল,
“তুমি ইচ্ছে করে আমায় মরিচ দিয়েছো তাই না আপি?”
“বিশ্বাস কর আমি সত্যিই জানতাম না ওটাতে মরিচ ছিলো”
ইভা তেমন ঝাল খেতে পারে না। ওর চোখে পানি নাকের পানি এক হয়ে যায়। সোফায় বসা রুদ্র ভাই বলল,
“ভালোই হলো সকাল সকাল আমরা ফ্রি ফ্রি বাঁদর নাচ দেখতে পেলাম। খাবারের সাথে এন্টারটেইনমেন্ট ফ্রি”
রুদ্র ভাইয়ের কথায় সবাই হেসে দিলো। ইভা মুখ ফুলিয়ে বলল,

“রুদ্র ভাই তুমি আমায় বাঁদর বললে?”
“সরিরে আমার ভুল হয়ে গেছে”
একটু থেমে ফের বলল,
“আমার তো তোকে বাঁদরের ফিমেল ভার্সন বলা উচিত ছিলো। বাঁদরের ফিমেল ভার্সন কি যেন?”
রোশনি চট করে বলে ফেলল,
“বান্দন্নি”
“রোশনির বাচ্চা…”

রোশনি বলেই দৌড়ে লাগলো। ইভাও রোশনির পিছু ছুটলো। পুরো রুমে জুড়ে দুজনে দৌড়া দৌড়ি করছে। ওদের দেখে মনে হচ্ছে টম জেরির পিছনে ছুটছে। হাসতে হাসতে আমাদের সবার অবস্থা কাহিল। পেটে খিল ধরে যাচ্ছে। কিন্তু এরা থামলে তো! এক সময় দুজন ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লো। ততক্ষনে আমাদের খাওয়া শেষ। খাওয়া শেষে শুভ ভাই ওষুধ খাইয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেল। একটু পর তাকে মেডিকেলে যেতে হবে। ইভাকে বড় আম্মু ডাকায় ও চলে গেল। ঈশিতা আপু, আমি আর রোশনি কথা বলছি। তবে অবাক করা কাণ্ড হলো আদ্র ভাই আজ পুরো নিশ্চুপ। মানুষটা এতটা চুপচাপ কেন? কিছু কি হয়েছে? কথার এক পর্যায়ে ঈশিতা আপুর কল এলো। আপু মুচকি হেসে চলে গেল। আপুর সাথে রোশনিও চলে গেল।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৯

পুরো রুমে আমি আর আদ্র ভাই। উনি সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছে। আচ্ছা ওনার কি শরীর খারাপ লাগছে? ওরকম মাথা নিচু করে বসে আছে কেন? আমার ভাবনার মাঝে আদ্র ভাই আচমকা মুখ তুলে তাকালেন। চোখাচোখি হলো দুজনের। উনি উঠে একপা একপা করে এগিয়ে আসছে। পাশে বসে মাথা নিচু করে হাত কচলাচ্ছেন। মনে হচ্ছে কিছু বলতে চাচ্ছেন। কিন্তু কোনো এক কারণে বলতে পারছে না। অবশেষে আদ্র ভাই মুখ তুলল। ঢোক গিলে বলল,
“তোকে একটা কথা বলার ছিলো”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ১১