উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ১৯

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ১৯
আফিয়া আফরোজ আহি

টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে সপ্তাহ খানেক হবে। বইয়ের মাঝে ডুবে আছি এক প্রকার। মোবাইলের সাথে ব্রেকাপ করে বই, খাতা, টেবিলের সাথে ভাব জমাচ্ছি। নাওয়া খাওয়া ভুলে সারাদিন বই নিয়ে বসে আছি। এই বাহানায় যদি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যায় আরকি। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। একদিক দিয়ে পড়ছি তো অরেক দিক দিয়ে ভুলে খেয়ে ফেলছি। কি এক অদ্ভুত জ্বালা! কিছু পড়ে মনেই রাখতে পারছি না। ইচ্ছে করছে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্না করি। নিজের মাথায় নিজেই বারি দেই। বিগত এক ঘন্টা যাবত জীব বিজ্ঞান বই নিয়ে বসে আছি কিন্তু মাথায় কিছুই ঢুকছে না। কাল বাদে পরশু জীব বিজ্ঞান পরীক্ষা।
এই পড়াশোনা দিয়ে নাকি আমি ডাক্তার হবো! রুদ্র ভাইয়া ঠিকই বলে আমার পড়াশোনা যেই শ্রী এই পড়াশোনা দিয়ে ডাক্তার তো থাক দূর কম্পান্ডারও হতে পারবো না। মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি। এর মাঝে পাশে থাকা ফোনটা নিজ শব্দে বেজে উঠলো। এমনি মেজাজ খারাপ তার ওপর আবার কে কল দিলো? ফোন স্ক্রিনের সামনে নিতেই চোখের সামনে জ্বল জ্বল করে ভেসে উঠলো “আদ্র ভাই” নামটা। মনের অজান্তে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো। ফোন রিসিভ করে কানে ধরলাম। সালাম দিয়ে চুপ করে রইলাম। ওপাশের মানুষটাও চুপ। খানিক বাদের কণ্ঠস্বর ভেসে এলো,

“মন খারাপ?”
ছোট দুটি শব্দ তবে আমার কাছে অনেক বড় মনে হলো। আমার মন খারাপ, খারাপ লাগা, ভালো লাগা, উৎফুল্লতা সবই যেন ওপাশের মানুষটার অনুভব করতে পারে। আমার সকল এক্সপ্রেশন তার মুখস্ত হয়ে গেছে। এই যে এখন আমার মন খারাপ সেই বিষয়টাও মানুষটা কি রকম এক লহমায় বুঝে গেছে। আমার সকল দিকে তার খেয়াল সর্বদা থাকবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি তার চোখের আড়াল হলেও কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে উনি আমার দিকে খেয়াল অবশ্যই রাখবে।
“কি হলো কিছু বলছিস না যে?”
“মন খারাপ না কিন্তু…”
“কিন্তু কি? কি হয়েছে আমার বল”
“পড়া মাথায় ঢুকছে না। যাই পড়ছি সবই কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। একদিক দিয়ে পড়ছি আরেক দিক দিয়ে ভুলে যাচ্ছি। আমি নিঃঘাত এবার পরীক্ষায় ফেল করবো”
বলতে বলতে কেঁদে ফেললাম। নিজের এভাবে কান্নায় আমি নিজেই অবাক হলাম। এই সামান্য বিষয়ে এভাবে ঝড় ঝড় করে কেঁদে ফেলার মেয়ে আমি নই। অপর পাশের মানুষটার আদর মাখা কথায় নিজেকে সামলাতে না পেরে কেঁদে ফেলেছি। ফোনের ওপাশে আদ্র ভাই উদগ্রীব হলো। উৎকণ্ঠা হয়ে বলল,
“বোকা মেয়ে কান্না করছিস কেন? জীব বিজ্ঞান মুখস্ত পড়া এতে এমন হবে এটাই স্বাভাবিক। মাথা ঠান্ডা করে পর দেখবি মনে থাকবে”
“তাও হচ্ছে না তো। সেই ভুলেই যাচ্ছি”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“তাহলে এক কাজ কর পড়াটাকে পড়া হিসেবে না নিয়ে এনজয় কর। বুঝে বুঝে পর মুখস্ত করা লাগবে না। শুধু পয়েন্ট গুলো নোট করে পড় তাহলেই হবে। এরপরও যদি সমস্যা হয় তাহলে শুভ ভাইকে বল ভাইয়া বুঝিয়ে দিবে। আর আমি রাতে আসছি, কি কি বুঝিস না সেটা নোট করে রাখ”
আদ্র ভাই মানুষটা এমনই সব বিষয়ে শান্ত মাথায় সিদ্ধান্ত নিবে। কোনো হড়বড় নয়। সব কিছু সাজানো গোছানো। উনি মানুষটা একদম পারফেক্ট। আরো কিছুক্ষন আদ্র ভাইয়ের সাথে কথা বলে পড়তে বসলাম। এখন মনটা ফুরফুরে লাগছে। আদ্র ভাই মানুষটা আমার কাছে আস্ত এক ম্যাজিক। যার আশেপাশে থাকলে মন খারাপেরা এক ঝটকায় হাওয়া হয়ে যায়। এতক্ষন যতোটা খারাপ লাগছিলো এখন ততোটাই ভালো লাগছে। মনোযোগ দিয়ে পড়ছি আর কোথাও আটকে গেলে সেটা নোট করে রাখছি। শুভ ভাই বাড়িতে নেই মেডিকেলে গেছে। তাই সমস্যা গুলো জমিয়ে রাখছি। ভাইয়া এলে দেখাবো।

আদ্র ভাই বাড়ি চলে গেছে দিন পনেরো আগে। ফুপ্পির শরীর খারাপ করেছে। আরু একা একা তার দেখাশোনা করতে পারছে না। আমি একবার যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আদ্র ভাই দেয়নি। গম্ভীর কণ্ঠে বলেছিলো,
“ততোর সেবা করার জন্য মানুষ লাগে দুজন তু্ই আবার কি সেবা করবি? সপ্তাহ খানেক পর পরীক্ষা মন দিয়ে পড়। আম্মুর দেখা শোনা করার জন্য আমি আছি”
আদ্র ভাই ছেলে হিসেবে বেস্ট। ঘরের সব কাজই প্রায় পারেন। এমন কি রান্না বান্নাও পারে কিছুটা। অফিস, ফুপ্পির সেবা যত্ন সব করেও আমায় সময় দিতে এক দিনের জন্যও ভোলেনি মানুষটা। ওনার কাছে সব সম্পর্ক মূল্যবান। সব সম্পর্কের মূল্য দিতে জানেন উনি। এই জন্যই মানুষটাকে আমার এতো ভালো লাগে।

টেবিলে বসে বসে পড়ছি। রাত দশটার মতো বেজে গেছে। খানিক্ষন আগে আম্মু এক দফা চিল্লা চিল্লি করে গেছে খাবার খাওয়ার জন্য। আমার সেই এক কথা পড়া শেষ না হওয়া অবধি আমি টেবিল থেকে উঠে কোথাও যাচ্ছি না। আগে পড়া তারপর অন্য কিছু। পরীক্ষায় খারাপ করলে শুভ ভাই যে আস্ত রাখবে না এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই। আমার আর ইভার অবস্থা সেম চোখের জলে নাকের জলে এক হচ্ছে। এতদিন ঘুরে ফিরে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে এখন নাকে মুখে বই পড়ছি। চোখে সরষে ফুলের বদলে বই আর বই দেখছি।

মনে হচ্ছে কেউ রুমে ঢুকেছে। কিন্তু সেদিকে তাকানোর সময় আমার নেই। যেভাবেই হোক সব পড়া কমপ্লিট করে উঠতে হবে। ট্রি-টেবিলের ওপর কিছু রাখার শব্দ পেলাম। মানুষটা ওয়াশরুমে গেছে। খট করে ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দে না তাকিয়ে আর পারলাম না। আম্মু এলে এতক্ষনে এক দফা ডাকাডাকি হয়ে যেত। তাহলে কে এসেছে? আদ্র ভাই ফ্রেশ হয়ে বেরিয়েছে। টাওয়াল দিয়ে হাত মুখ মুচ্ছে। তাও আবার আমার টাওয়াল দিয়ে! উনি সত্যি সত্যি চলে এসেছেন? আমি তো ভেবেছিলাম মজা করছে। চোখ ছোট ছোট করে আদ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি আমার জিনিস কাউকে ধরতে দেই না। এটা আমার পছন্দ না। সেখানে উনি কি সুন্দর সাচ্ছন্দে আমার টাওয়াল দিয়ে মুখ হাত মুছে যাচ্ছে। আদ্র ভাই আমায় তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,

“কি দেখছিস?”
“তোমার সাহস তো কম না! তুমি আমার টাওয়াল নিয়েছো”
“বরটা কার?”
আচমকা এমন প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেলাম। এ আবার কেমন প্রশ্ন? খানিকটা তোতলানো স্বরে বললাম,
“আমার”
“টাওয়াল কার?”
“আমার?”
“দুটোই তো তোর। তাহলে সমস্যা কি? নিজের টাওয়াল নিয়ে যতোটা বড়াই করিস বর টাকে নিয়ে ততোটা করতে পারিস না? নাকি তাকে তোর চোখেই পরে না। কোনটা?”
কথা ঘুরানোর জন্য বললাম,
“হয়েছে বাদ দেও। এখন এটা রাখো”
আদ্র ভাই এক ভ্রু উচু করে জিজ্ঞেস করলো,
“আমার বউয়ের টা আমি নিয়েছি এতে তোর কি?”
“তোমার সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। সেই দেখা যাবে আমি হেরে যাবো। তার চেয়ে ভালো আমি চুপই থাকি”
আদ্র ভাই শার্টের হাত গোটাতে গোটাতে জিজ্ঞেস করলো,

“খাবার খাসনি কেন?”
“পড়া শেষ হলে খাবো তাই”
“রাত কয়টা বাজে খেয়াল আছে? এখনো না খেয়ে বসে আছিস”
বলতে বলতে প্লেট হাতে নিয়ে খাবার মাখাতে শুরু করলো। কিছু বলবো তার আগেই আদ্র ভাই মুখে খাবার পুড়ে দিলো। খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলাম,
“তুমি খেয়েছো?”
“ব্যাস্ত ছিলাম তাই খাওয়া হয়নি”
“তাহলে এখান থাকে খাও। এমনিও আমি এতো গুলো খাবো না”
“তু্ই তো বলিস আমি তোর খাবারে ভাগ বসাই। তাই আজ খাবো না। তু্ই আগে খা”
“তুমি বাড়ি যাওনি?”
“অফিস শেষ করে সোজা এখানে এসেছি”
“না এলেও তো পারতে। সারাদিন খাটা খাটনির পড় রেস্ট প্রয়োজন তোমার”

“তোকে এতো কিছু নিয়ে ভাবতে হবে না। তু্ই চুপচাপ খা। খাবার সময় এতো কিসের কথা?”
ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিলো। এটাই হচ্ছে তার স্বভাব। নিজের দিকে খেয়াল নেই সে সারাদিন অন্যদের খেয়াল রাখতে ব্যাস্ত। মুখটা শুকিয়ে গেছে। কাজের চাপে ঠিক মতো খায় ও নি মনে হচ্ছে। খাওয়া শেষে আদ্র ভাই আমার হাতে অন্য প্লেট ধরিয়ে দিয়ে বলল,
“কি ভেবেছিস আমি নিজের হাতে তোকে খাইয়ে দিবো সাথে নিজেও খাবো? মোটেও না। তু্ই খাইয়ে দিবি আমায়। তুমি শুধু সেবা নিয়েই যাবে তা তো হবে না। সেবা দিতেও হবে। তাই এখন বরের সেবা কর”

তাহলে এই ছিলো বজ্জাত লোকটার মনে? এই জন্যই তো বলি আজ কেন আমার খাবারে ভাগ বসেচ্ছে না। তবে আগে থেকে এই মতলব এটে আশা হয়েছে! অগত্যা আর কি বজ্জাত লোকটা কে গালে তুলে খাইয়ে দিতে হচ্ছে। খাওয়া শেষে একটু বিশ্রাম নিয়ে ফের পড়তে বসলাম। আদ্র ভাই এক এক করে সব গুলো টপিক বুঝিয়ে দিচ্ছে যেগুলোতে সমস্যা ছিলো। রাত একটা বেজে গেল পড়া শেষ করতে করতে। চেয়ার থেকে উঠে ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। ক্লান্ত লাগছে। পিঠ ধরে গেছে এক নাগাড়ে বসে থাকায়। আদ্র ভাইও আমার দেখা দেখি শুয়ে পড়লো।
“ছাদে যাবে?”
“এতো রাতে ছাদে?”
“চন্দ্র বিলাস করতে”
“যাওয়াই যায়। কিন্তু ছাদে না”
“তাহলে কোথায়?”
“লং ড্রাইবভে যাবি? খোলা মাঠে বসে বিশাল আকাশ দেখার অনুভূতিই আলাদা”
এক লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালাম। আদ্র ভাইয়ের হাত টেনে উঠাতে উঠাতে বললাম,
“এখনো তুমি শুয়ে আছো? তাড়াতাড়ি চলো”
আদ্র ভাই হাত বাড়িয়ে আমার সামনের চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলল,
“পা*গলী”

ব্যাস্ত শহরের অলি গলি পেরিয়ে কিছুটা গ্রাম্য এলাকার ভিতর দিয়ে গাড়ি শো শো করে চলছে। সানরুফ দিয়ে বের হয়ে মুক্ত বাতাস উপভোগ করছি। আদ্র ভাই এক মনে ড্রাইভ করছে। কিছুক্ষন পর গাড়ি থামলো সুন্দর একটা নদীর পাড়ে। আশ পাশটা একদম শুনশান। মানুষের ছিটা ফোঁটাও নেই। আদ্র ভাইয়ের হাতের মাঝে হাত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলছি। নদীর ওপরে কাঠের ব্রিজ। ব্রিজের ওপরে দাঁড়িয়ে প্রকৃতি বিলাস করছি। নদীর পানিতে প্রতিফলিত হচ্ছে চাঁদের প্রতিচ্ছবি। দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে নদীর পানিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকি। কিন্তু এই শীতের মধ্যে পানি ছোঁয়া তো দূর ধারে কাছেও যেতে ইচ্ছে করছে না। খানিক সময় পর পর শীতল হাওয়া এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে। আর এদিকে আমি চন্দ্র বিলাস করতে এসে শীত বিলাস করছি। শরীরে সোয়েটার থাকার পড়ও ঠান্ডায় কাঁপছি। আদ্র ভাই আমার এই অবস্থা দেখে কাছে এগিয়ে এলো। আচমকা পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আমায় তার সাথে জড়িয়ে নিলো। বাড়ি থেকে আনা চাদরে জড়িয়ে নিলো দুজনার দেহ। এখন শীত লাগছে না। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আকাশ দেখছি। পুরো আকাশ জুড়ে থালার ন্যায় জ্বল জ্বল করছে চন্দ্র। যার আলোয় আলোকিত হয়ে রয়েছে পুরো ধরণী। আদ্র ভাইকে দেখিয়ে বললাম,

❝দেখো চাঁদের আলো কতোটা স্নিগ্ধ❞
আদ্র ভাই কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলল,
❝চাঁদের আলোর চেয়ে বেশি স্নিগ্ধ আমার রৌদ্রময়ীর মুখ খানা। চাঁদের কলঙ্ক আছে। আমার রৌদ্রময়ীর কোনো কলঙ্ক নেই। সে স্নিগ্ধ ফুলের ন্যায়❞
ফিসফিস কণ্ঠে শিহরণ বয়ে গেল কানের পাশটা জুড়ে। মুগ্ধতা চেয়ে গেল হৃদয় জুড়ে। একটা মানুষ কতোটা সুন্দর করে কাউকে চাঁদের সাথে তুলনা দিতে পারে আদ্র ভাইকে না দেখলে জানতামই না। নিঃসন্দেহে আদ্র ভাই নামক মানুষটাকে পেয়ে আমি ভাগ্যবতী।
সুন্দর সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরছি দুজন। মুখে লেগে আছে তৃপ্তির হাসি। মনটা এখন ফুরফুরে। হেসে হেসে গল্প করতে করতে বাড়ির ভিতরে ঢুকছি। সেই সাথে আছে দুজনের মাঝে কিছুটা খুনসুটি।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ১৮

ছাদে এক খানা ছায়া দেখা যাচ্ছে। মানুষটা নিকোটিনের ধোয়া উড়িয়ে দিচ্ছে ওপরের দিকে। বুকে তার এক আকাশ সম পরিমান যন্ত্রনা। যন্ত্রণার বেড়াজালে আষ্টে পিষ্টে পিষে যাচ্ছে। তবুও মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে পারছে না। বুক ফেটে যাচ্ছে কিন্তু ওপরে ওপরে নিজেকে যথাসাধ্য স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। তবুও তাকে ব্যার্থ হতে হলো। বেঈমান আঁখি বেইমানি করে চোখের কোন থেকে গড়িয়ে পড়লো এক ফোঁটা অশ্রু। ধীরে ধীরে আঁধারের সাথে মিলিয়ে গেল মানবের অস্তিত্ব।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২০