উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২২

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২২
আফিয়া আফরোজ আহি

মুখটা কাচু মাচু করে দাঁড়িয়ে আছি। সামনে ইভা ভিলেনিস হাসি হেসে যাচ্ছে। ওর ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি। ইভাকে দেখে মনে গাব্বার সিং আর আমি বাসন্তী। যে করুণ চোখে তাকিয়ে আছে। গাছের সাথে হেলান দিয়ে বুকে হাতে গুঁজে পাশে দাঁড়িয়ে আছে বজ্জাত আদ্র ভাই। কোথায় বউকে ইভা নামক যমের হাত থেকে বাঁচাবে তা না করে বেটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা নিচ্ছে। ইচ্ছে করছে মাথা ফাটিয়ে দেই। আদ্র ভাই ঠোঁট কামড়ে ধরে চেয়ে আছেন। এখন নাটক করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। নিজেকে ইনোসেন্ট রূপে সাজাতে হবে। নিজের হয়ে সাফাই গাইতে বলে উঠলাম,

“দেখ বনু আমি ইচ্ছে করে তোকে ভিজাই নি। আমি তোর দিকে ফিরতে গিয়ে এমনটা হয়ে গেছে। আমার খেয়ালই ছিল না যে আমার হাতে পানির পাইপ ছিল। এবারের মতো ছেড়ে দে ইয়ার”
ইভা পাষাণের মতো বলল,
“নো ছাড়াছাড়ি। তোকেও আমি ভিজাবো। তোরও বোঝা উচিত এই শীতের সকালে ভিজে চুপ চুপে হলে কেমন লাগে”
এবার কোনো উপায় না পেয়ে করণ চাহনিতে তাকালাম আদ্র ভাইয়ের দিকে। এখন উনি একমাত্র ভরসা। এ যাত্রায় উনাকে পাটিয়ে বাঁচতে পারলেই হলো। কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললাম,
“আদ্র ভাই তুমি অন্তত ইভাকে কিছু বলো”
“দাঁড়া বলছি”
ইভাকে উদ্দেশ্যে করে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“কিরে এখনো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? বউ আমার, আমার দুঃখে কান্না করে দিচ্ছে আর তুই এখনো নির্দোয়ের মতো চেয়ে আছিস? তাড়াতাড়ি ওকেও আমার মতো ভিজিয়ে চুপ চুপে করে দে। নাহলে টুইনিং হবে কি করে?”
আদ্র ভাইয়ের বলতে দেরি হলেও ইভার আমাকে ভিজাতে দেরি হলো না। দুই বজ্জাত মিলে ভিজিয়ে দিলো আমায়। এতক্ষন তোয়াচ্ছিলাম বেঁচে যাওয়ার জন্য এখন যেহেতু ভিজিয়েই দিয়েছে এখন তো একেক টাকে পানিতে চুবাবো। দুটোকে পানিতে চুপ চুপা না বানালে আমার নাম রোদ না! ইভার হাত থেকে পানির পাইপ ছিনিয়ে নিয়ে দুটোর গাঁয়ে ইচ্ছে মতো পানি ছুড়ছি। ইভা চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলছে,
“বইন এবারের মতো ছেড়ে দে আর কখনো রিভেঞ্জ নিবো না। ঠান্ডা লাগছে”
কে শোনে কার কথা! আমি দুটোকে ভিজিয়েই যাচ্ছি। আরো নেও রিভেঞ্জ! এবার বোঝো মজা কতো ধ্যানে কতো চাল!

“একটু আগে কি বলেছিলি মনে নেই? নো ছাড়া ছাড়ি। এনজয় বনু, এনজয়”
আদ্র ভাই বলল,
“বউ এবারের মতো মাফ করে দে, এই জীবনে আর কখনো কারো সাথে মিলে তোর বিরুদ্ধে যাবো না। আমি না তোর একটা মাত্র বর। এবারের মতো ছেড়ে দে”
“তুমি বর না বর্বর। একটু আগে ইভার সাথে তালে তাল দিচ্ছিলে তাই না? এখন কেন আমার কাছে আসতে চাইছো? যার সাথে মিলে তালে তাল দিয়েছো এখন তার সাথে মিলে পানিতে হাবুডুবু খাও। রোদকে ক্ষেপানো তাই না! এখন বোঝো মজা”
দুটোকে একেবারে নাকের জলে চোখের জলে এক করে ছেড়েছি। শখ কতো এসেছে আমাকে ভিজাতে! ইভা বেচারি তো কান্নাই করে দিয়েছে এক প্রকার। ওদের কাহিনী দেখে হেসে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছি আমি। আদ্র ভাইয়ের মাঞ্জা মারা সাজ একেবারে শেষ। পরনের পাঞ্জাবী শরীরের সাথে মিশে গেছে। সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা চুল এলোমেলো হয়ে গেছে। একদম ভালো হয়েছে। আরো সেজে গুঁজে আসো এমনই করবো।

দরজা আটকে বসে আছি সেই কখন থেকে। আদ্র ভাই বিগত আধা ঘন্টা যাবত দরজায় ঠক ঠক করে যাচ্ছেন তাতে আমার কি! আমি তো দরজার খুলবো না। সকালে ইভার সাথে মিলে আমায় ভিজানোর ফল এটা। এখন দরজা ধাক্কা ধাক্কি করে কোনো লাভ নেই। এমন বজ্জাত মার্কা বরের সাথে কোনো কথা নেই। আদ্র ভাই ডেকেই চলেছে। থামা থামির কোনো লক্ষণই দেখতে পাচ্ছি না। অনবরত দরজায় নক করেই যাচ্ছে। এক সময় বিরক্ত হয়ে গেলাম। চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“কি সমস্যা? দরজা ধাক্কাচ্ছ কেন?”
“দরজা খোল কথা আছে”
“আমার কোনো কথা নেই তোমার সাথে। তুমি এখন এখান থেকে যাও”
“খুলতে বলেছি?”
“খুলবোনা বলেছি না? শুনতে পাওনি? নাকি কালা হয়ে গেছো?”
“তুই ভালোয় ভালোয় দরজা খুলবি নাকি আমি ব্যালকনি বেয়ে আসবো”
এখন কি এই বজ্জাত লোকের যন্তনায় আমি শান্তিতে একটু দরজা আটকে বসেও থাকতে পারবো না! দোষ নিজে করবে আবার হুমকিও আমায় দিবে।

“কিরে আসবো ব্যালকনি দিয়ে?”
ওনার জ্বালায় আর টিকতে না পেরে দরজা খুলে দিয়ে এসে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম। সকালে অনেক ক্ষণ ভেজা কাপড়ে থাকার ফলে সর্দি লেগে গেছে। আমি এমনই সেনসিটিভ। সামান্য একটু এদিক থেকে ওদিক হলে সর্দি লেগে যায়। অসুস্থ হয়ে পরে থাকি বিছানায়। সর্দির সাথে মাথা ব্যথা ফ্রি। পুরো ঘর জুড়ে টিস্যুর ছড়াছড়ি। পাশে রাখা টিস্যু বক্স এতক্ষনে অর্ধেক হয়ে গেছে।
“শুয়ে আছিস যে? শরীর খারাপ লাগছে?”
কোনো জবাব দিলাম না। আগের ন্যায় পড়ে রইলাম। আদ্র ভাই এগিয়ে এসে বিছানার পাশে বসলো। কয়েকবার ডাকাডাকি করলো। উত্তর না পেয়ে আমায় এক ঝটকায় নিজের দিকে ফিরিয়ে নিলো। কম্বল ধরে টানছে। আমিও শক্ত করে কম্বল মুখের ওপর ধরে আছি। দেখতে দিবো না আমায়। কথাও বলবো না মা টানাটানি এক পর্যায়ে আমায় হার মানতে হলো। এমন বজ্জাত মার্কা লোকের শক্তির সাথে কি আমি পারবো? আদ্র ভাই সেকেন্ড দুই পর্যবেক্ষণ করলো। পর্যবেক্ষণ শেষ হলে সুধালো,

“সর্দি লেগেছে?”
আমি তাও কোনো উত্তর দিলাম না। বার বার টিস্যু দিয়ে সর্দি মোছার ফলে নাকের ডগা লাল হয়ে গেছে। জ্বলছে কিছুটা। পুরো ঘরের অবস্থা নাজেহাল। এদিক সেদিক টিস্যু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ঘরের অবস্থা দেখে বুঝতে সমস্যা হলো না কি হয়েছে। আদ্র ভাই কপালে হাত দিয়ে তাপমাত্রা চেক করে গট গট পায়ে বেরিয়ে গেল। ওনার যাওয়া দেখে ভেংচি কেটে ফের কম্বল মুড়ি দিলাম।
কয়েক মিনিটের মাঝে হাতে গরম গরম ধোয়া ওঠা চায়ের কাপ নিয়ে ফিরে এলো। ব্যাস্ত হাতে চায়ের কাপ পাশের টেবিলের ওপর রাখতে রাখতে বলল,
“গরম চা এনেছি। ওঠ। উঠে গরম গরম চা খা দেখবি সর্দি কমে যাবে”
“আমি খাবো না। নিজেই খেয়ে নেও। জুতা মেরে এখন আর গরু দান করতে হবে না”
“তুই নিজে থেকে উঠবি নাকি আমি উঠাবো?”
কম্বল মুখের ওপর থেকে সরিয়ে ঝাড়ি দিয়ে বলে উঠলাম,
“কি সমস্যা? এখন আলগা দরদ দেখাতে এসেছো কেন? লাগবে না আলগা ভালোবাসা দেখানো”
আদ্র ভাই পাশে বসে নমনীয় কণ্ঠে বলল,

“সরি! আমার খেয়াল ছিল না তোর সামান্য তে সর্দি লেগে যায়। আমি সত্যিই খেয়াল করিনি। কিন্ত তুই যে ইচ্ছে করে আমায় প্রথমে ভিজিয়েছিস তার বেলায়?”
হাতে চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দিতে দিতে বললাম,
“ভিজিয়েছি বেশি করেছি। আরো ভিজাবো। লাগলে একশো বার ভিজাবো তাতে তোমার কি? কালো পাঞ্জাবী পরে, পাঞ্জাবীর হাতা গুটিয়ে, চুল সেট করে সেজে গুঁজে মাঞ্জা মেরে মেয়েদের দেখাবে ভেবেছো? সেগুড়ে বালি! আমি থাকতে তোমার সেই ইচ্ছে পূরণ হবে না। এরপরে এমন দেখলে ময়লা পানি গাঁয়ে ঢেলে দিবো। সাবান দিয়ে ঘষলেও শরীর থেকে গন্ধ যাবে না। এবার তো তাও ফ্রেশ ভালো পানি দিয়েছি”
আদ্র ভাই চুপচাপ আমার কথা শুনলো। উল্টো কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলো না। অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আজব! আমি কি এমন বললাম যে আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে? আচমকা প্রশ্ন করে বসলো,

“আর ইউ জেলাস?”
“মানে?”
ভ্যাবা চ্যাকা খেয়ে গেলাম। এখানে জেলাস হওয়ার কি আছে?
“জিজ্ঞেস করেছি তুই কি জেলাস? এইযে তোর ভাষ্য মতে আমি সেজে গুঁজে মেয়েদের দেখতে এসেছি এতে কি তুই জেলাস?”
আমতা আমতা করে বললাম,
“আজব আমি জেলাস হতে যাবো কেন? জেলাস হওয়ার প্রশ্নই আসে না”
আদ্র ভাই উঠে দাঁড়িয়ে আড়মোrড়া ভাঙতে ভাঙতে বলল,
“ঠিক আছে তুই যেহেতু জেলাসই না। তাহলে রুদ্রর কালো একটা শার্ট পরে, হাতা গুটিয়ে, চুল গুলো সেট করে তোর ভাষ্য মতে সেজে গুঁজে পুরো মাঞ্জা মেরে এলাকায় একটা চক্কর দিয়ে আসি। কি বলিস? কেমন হবে? মেয়ে গুলো পটবে তো?”

আমি কিছুই বলছি না। চোখ ছোটো ছোটো করে তাকিয়ে আদ্র সাহেবের নাটক দেখে যাচ্ছি। ক্ষনিকের ব্যাবধানে শার্টের ওপরের দুটো বোতাম আগে থেকেই খোলা ছিলো। আরো দুটো বোতাম খুলে হাতা গোটাতে গোটাতে বলল,
“খুব গরম লাগছে! ফর্সা বুক দেখা যাচ্ছে তো তাই না? শুনেছি মেয়েরা নাকি এই স্টাইল টা অনেক পছন্দ করে”
আমি বসে বসে রাগে ফুলছি। সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করেছি। তাও কিছু বলছি না। ইচ্ছে করছে চুল টেনে শার্ট এলোমেলো করে দেই। মাঞ্জা মারা সাজ একেবারে নষ্ট করে দেই। আয়নায় কতক্ষন নিজেকে দেখে আচমকা আমার কাছে এসে ফিসফিস করে সুধালো,
“কি বলিস যাবো?”

মেজাজ খারাপ হলো। দাঁতে দাঁত চেপে রক্তিম চোখে চেয়ে আছি। আদ্র ভাই দাঁত কেলিয়ে হেসে যাচ্ছে। অকস্মাৎ চুল টেনে দিলাম। আচমকা চুলে টান পড়ায় আদ্র ভাই নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে বিছানায় পরে গেল। চুল পুরো এলোমেলো করে দিলাম। শার্টের বোতাম টেনে ছিঁড়ে, পুরো এলোমেলো করে দিলাম। শার্টের কলার ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বললাম,
“আর কখনো শার্টের বোতাম খুলে বাহিরে যাবে? খুব শখ না তোমার মেয়েদের ফর্সা বুক দেখানোর? ওয়েট আজকে তোমার ব্যাবস্থা করছি”
আশেপাশে কিছু খুঁজছি। কিন্তু হাতের নাগালে তেমন কিছুই পাচ্ছি না। দিশা না পেয়ে হুস তাল হারিয়ে বসিয়ে দিলাম এক কা*মড়। আদ্র ভাই টু শব্দ টুকু করলো না। দাঁতে দাঁত পিষে চোখ মুখ বুজে আছে।
“আর কখনো মেয়েদের ফর্সা বুক দেখাতে চাইবে? এবার তো শুধু কামড় দিয়েছি পরের বার কি করবো আমি নিজেও জানি না”

আদ্র ভাই চোখ বুজে আছে। হুস ফিরলে খেয়াল হলো কি করেছি। জিভে কাম*ড় দিলাম! আদ্র ভাইয়ের ফর্সা বুকের মাঝখানটা লাল হয়ে গেছে। র*ক্ত জমাট বেঁধে গেছে মনে হচ্ছে। নিজের কাজে আমি নিজেই লজ্জিত! ইচ্ছে করছে কষে নিজের গালে নিজেই থা*প্পড় বসাই। ইসস কি করেছি! আমার কি দোষ! একদম ভালো হয়েছে এটা আমাকে ক্ষেপানোর ফল। শখ কতো! আসছে মেয়েদের দেখাতে।
লজ্জায় মুখ ঢেকে বসে আছি। আদ্র ভাই ধীরে ধীরে চোখ খুলে তাকালো। আমায় খাটের এক কোণে বসে থাকতে দেখে কোনো কথা না বলে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়ালো। চোখের ওপর থেকে হাত সরিয়ে দেখার চেষ্টা করছি আদ্র ভাই কি করছেন। শার্ট সরিয়ে জায়গায়টা দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। অবাক হয়ে গেলাম। যেই জোরে কা*মড় বসিয়েছি এতোক্ষনে উনার আমায় মেরে তক্তা বানানোর কথা সেখানে মুচকি হাসছে কারণ কি? এ আবার এক কা*মড়ে পা*গল টাগল হয়ে গেল নাতো? নাকি অন্য কিছু! ঘটনা কিছুই মাথায় আসছে না। হঠাৎ আদ্র ভাই ঘুরে তাকালো আমার দিকে। চোখে চোখ পরে গেল।

“জেলাস না তাতেই এই অবস্থা? যদি জেলাস হতি তাহলে যে আমার অবস্থা কি হতো সেটা ভেবেই ক্ষনে ক্ষনে শিউরে উঠছি”
আয়নার সামনে থেকে সরে এসে পাশে বসলো। এখন নিজেরই মায়া হচ্ছে। কেন যে রাগের মাথায় এটা করতে গেলাম? আস্তে করে এগিয়ে গিয়ে জায়গাটা স্পর্শ করলাম। আদ্র ভাই শিউরে উঠলো।
“বেশি ব্যাথা করছে? সরি আমি খেয়াল করিনি”
“তা খেয়াল করবি কেন?”
“তখন আমার মাথা কাজ করছিলো না। তুমি কেন ওই বেসে বাহিরে যেতে চেয়েছিলে। সব দোষ তোমার”
“যাবো বলেছি। গিয়েছি কি? আমি কি তোর মতো পা*গল নাকি গাধী যে এই বেশে বাহিরে যাবো?”
“তাহলে বলেছিলে কেন?”
বেলাজ টা দাঁত কেলিয়ে বলল,
“কেন আবার তোকে জ্বালাতে”
“আমাকে জ্বালাতে! তাই না! ওয়েট”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২১

পাশে থাকা কুশন ছুড়ে দিলাম আদ্র ভাইয়ের দিকে। উনি সসরে গেলে কুশন যেয়ে লাগলো দেয়ালে এবার কুশন হাতে নিয়ে ছুট লাগলাম। পুরো রুম জুড়ে দুজন ছুটোছুটি করছি। ছুটো ছুটির এক পর্যায়ে খাটের কোনায় পা বেঝে বিছানায় পরে যেতে নিলাম। আদ্র ভাই সামনে থাকায় ধরতে নিলে ভারসাম্য হারিয়ে দুজনই একসাথে ধপাস! খোলা চুল মুখের ওপর এসে পড়ছে। বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকে এলো। উঠতে নিবো এমন সময় নিজেকে আবিষ্কার করলাম মানুষটার বাহুডোরে আবদ্ধ। আদ্র ভাই কোমর আঁকড়ে ধরে রেখেছে। আমায় বিরক্ত হতে দেখে আলতো হাতে মুখের ওপর আশা চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ফিসফিস কণ্ঠে বলল,
“এভাবে কেউ কা*মড় বসায়? দেখ র*ক্ত জমাট বেঁধে কি হয়েছে? আস্ত একটা রা*ক্ষ*সী”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৩