উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৮

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৮
আফিয়া আফরোজ আহি

হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাচ্ছে আমার। হাসি যেন ধরছেই না। আদ্র ভাই চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। কিন্তু আমি সেটা পরোয়া করলে তো! আমি আমার মতো হেসেই যাচ্ছি। আদ্র ভাই ড্রাইভ করছে আর মাঝে মাঝে আমার দিকে রাগী লুক দিচ্ছে। হাসতে হাসতে বলে উঠলাম,
“শেষ পর্যন্ত কিনা তোমায় বেলাজ বলল? ছিঃ ছিঃ আদ্র ভাই তুমি বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করলে। তোমার অন্তত একটু হলেও লজ্জা রাখা উচিত ছিল”
আদ্র ভাই কিছু বলছে না। দাঁতে দাঁত চেপে ড্রাইভ করছে। আফসোসের সুরে বলে উঠলাম,
“আহারে বেচারা আদ্র ভাই নিজের বউয়ের প্রস্তাব তোমার কাছেই দিলো? আফসোস হচ্ছে তোমার জন্য? তবে তুমি নিরাশ হয়োনা। তুমি নিজেকে লাকি ভাবো তোমার এতো সুন্দরী একটা বউ আছে। আমি জানি আমি সুন্দরী এক্সট্রা প্রশংসা করতে হবে না”

তাও মিস্টার মুখে কুলুপ এটে বসে আছে। ফের বলে উঠলাম,
“কি হলো আদ্র ভাই কিছু বলছো না যে…”
লাইন শেষ করার আগেই ব্রেক কসলো আদ্র ভাই। কিছু বলতে যাবো তার আগেই সিট্ বেল্ট খুলে আচমকা ঝুঁকে এসে ওষ্ঠে ওষ্ঠ ডুবিয়ে দিলেন। মুহূর্তের ব্যাবধানে ফ্রিজ হয়ে গেলাম। কি হলো জানি না। সব যেন আমার মাথার ওপর দিয়ে গেল। মিনিটের মাথায় ওষ্ঠ ছেড়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। হঠাৎ আক্রমণে নিজেকে সামলে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে। হৃদস্পন্দন হয়েছে অনিয়ন্ত্রিত। আদ্র ভাই সেভাবে থেকেই নেশালো কণ্ঠে বললেন,

“আমি তোর ভাই হই?”
তড়িৎ গতিতে মাথা দুদিকে নেড়ে নাকোচ করলাম। আদ্র ভাই ফের বলল,
“তাহলে বার বার ভাই ডাকিস কেন? প্রত্যেক লাইনের আগে পিছনে খালি ভাই আর ভাই, কেন??
একটু থেমে পুনরায় বলল,
“এর পর থেকে যতবার ভাই ডাকবি সেম ঘটনা বার বার ঘটবে। এখন ভেবে নে প্রতি লাইনে কয়বার করে ভাই ডাকবি?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কথা শেষ করে উনি সরে গেলেন। আমি এখনো সিটের সাথে চিপকে আছি। গাড়ি চলতে শুরু করলো। নিজেকে সামলে চুপচাপ হয়ে বসে আছি। এতক্ষন বক বক করলেও এই মুহূর্তে মুখ থেকে একটা শব্দও বের হচ্ছে না। এখনো মনে হচ্ছে আমি এক ঘোরের মাঝে ডুবে আছি। একটু আগের ঘটনার এফ্যাক্ট এখনো যায় নি লেশ রয়ে গেছে। আদ্র ভাই আমায় কথা বলাতে খোঁচা মেরে বলে উঠলেন,

“কিরে বাঁচাল রানী চুপ কেন? একটু আগে কে যেন আমায় রাগাচ্ছিলো? এখন কি হলো? মুখে কুলুপ এটেছিস কেন?”
বিপরীতে কোনো উত্তর করলাম না। লজ্জায় মুখ তুলতে পারছি না। সেখানে কথা বলবো কি করে? মনে হচ্ছে মাটি দুই দিকে সরে যাক আমি নিচে চলে যাই তাও অন্তত এই লজ্জার হাত থেকে এ যাত্রায় বেঁচে ফিরি। গ্যারেজে গাড়ি থামানো হলে ঝট পট নেমে বাড়ির ভিতর ঢুকে গেলাম। সেই যে বাসায় গিয়ে দোর দিয়েছি একেবারের পরের দিন সকালে দরজার খুলেছি। সারাদিন প্রয়োজন ছাড়া রুম থেকে বের হয়নি। লজ্জা লাগছিলো। যদি আদ্র ভাইয়ের সামনে পরে যাই! তখন? সেই ভয়ে দরজা দিয়ে বসে রয়েছি। বিকেলে উনি বাসা থেকে বের হলে রুম থেকে বেরিয়েছি। সোফায় বসে আমি, ফুপ্পি আর আরু গল্প করছি। এমন সময় আদ্র ভাই ফিরে এলেন। আমায় দেখে কিছু না বলে চলে গেলেন। ওনাকে আসতে দেখে ফুপ্পি আর আরুকে বুঝিয়ে সুজিয়ে রুমে চলে এলাম। বাহিরে থাকা সেফ না। আবার যে কোনো সময়ে উনি মুখোমুখি হতে পারেন। সেই ভয়ে রাতে খেতেও গেলাম না। ঘাপটি মেরে রুমে বসে রইলাম। খানিক্ষণ বাদে দরজায় ঠক ঠক শব্দ। ভিতর থেকেই জিজ্ঞেস করলাম,

“কে?”
“আমি, দরজার খোল”
আদ্র ভাইয়ের ভরাট কণ্ঠ। উল্টো প্রতি উত্তর করলাম,
“আমি এখন দরজা খুলতে পারবো না। ঘুমাচ্ছি, তুমি এখন যাও”
“হাতে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় যদি আরেকবার দরজার খোলার জন্য বলতে হয়েছে তাহলে কালকের ঘটনা রিপিট করতে সময় লাগবে না বলে দিলাম। তাড়াতাড়ি দরজা খোল”
কথা না বাড়িয়ে সুর সুর করে যেয়ে দরজা খুলে দিয়ে বিছানায় যেয়ে বসলাম। আদ্র ভাই খাবার টেবিলের ওপর রেখে ভ্রু কুঁচকে সুধালো,
“কি সমস্যা? খেতে আসিস নি কেন? আর আমায় ইগনোরই বা করছিস কেন? সমস্যা কি বল?”
আমি কোনো উত্তর করলাম না। মাথা নিচু করে বসলে রইলাম। আদ্র ভাই ফের জিজ্ঞেস করলেন,
“কি হয়েছে বল? কোনো সমস্যা?”

আমি তাও কিছু বললাম না। মুখে কুলুপ এটে বসে রইলাম। আদ্র ভাই চুপটি করে এসে পাশে বসলেন। থুতনিতে হাত রেখে মুখ খানা ওপরে তুললেন। অতঃপর কোমল কণ্ঠে বললেন,
“কালকের ঘটনার জন্য সরি। তোর যদি বেশি খারাপ লাগে তাহলে বল আমি আর কখনো তোর সামনে আসবো না। তাও তোকে আমার থেকে পালিয়ে থাকতে হবে না। তুই মুক্ত পাখির ন্যায় ঘুরে বেড়া”
আদ্র ভাইয়ের কণ্ঠ কাঁপছে। তাহলে কি উনি আমায় ভুল বুঝলো? মিহি কণ্ঠে বললাম,
“তুমি যা ভাবছো এমন কিছুই না। আমার লজ্জা লাগছিলো তাই তোমার থেকে লুকিয়ে ছিলাম। অন্য কিছুই না। তুমি প্লিজ আমায় ভুল বুঝো না”

আদ্র ভাই ওনার দুহাত আমার গালে রাখলেন। আদুরে কণ্ঠে বললেন,
“বোকা মেয়ে আমরা বিবাহিত, স্বামী-স্ত্রী। এগুলো আমাদের মাঝে স্বাভাবিক। এতে লজ্জা পাওয়ার কি আছে?”
চোখ নামিয়ে নিলাম। ওনার দিকে তাকিয়ে থাকার সাধ্য আমার নেই। ওনার ওই ঝিল সমান চোখে ডুবে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। পরে দেখা যাবে আকুল ওকুল হারিয়ে আমি ভেসে চলেছি দূর অজানায়। মিনিমিনে কণ্ঠে বললাম,
“তাও আমার লজ্জা লাগবে”
“লজ্জা টজ্জা ছাড়। আগে খেয়ে নে তারপর যতো লজ্জা পাওয়ার পাস”
“তুমি যাও আমি খেয়ে নিবো”
“আমি কোথাও যাচ্ছি না। হয় আমার সামনে বসে খাবি নাহয় আমি খাইয়ে দিবো। কোনটা?”

তড়িৎ গতিতে বলে উঠলাম,
“আমি নিজের হাতে খাচ্ছি”
হাত ধুয়ে এসে খেতে বসে পরলাম। বেটা নাছোড় বান্দা। না খাওয়া অবধি এখান থেকে নড়ার মানুষ উনি না। এতো টুকু আমার জানা আছে। আমি খাচ্ছি আর আদ্র ভাই আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।

বসে বসে পড়া বাদ দিয়ে স্মৃতি চারণ করছিলাম। কতোটা সুন্দর ছিল মুহূর্তটা। আর এখন এই মানুষটাকে দেখার জন্য আমি হাঁসফাঁস করছি। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছি না। আমার ভাবনার মাঝে আদ্র ভাইয়ের কল। দেরি না করে সাথে সাথে রিসিভ করলাম। উনি বলে উঠলেন,
“কি করছিস?”
“পড়ছি”
“একবার ব্যালকনিতে আয় তো!”
ভ্রু কুঁচকে এলো। হঠাৎ এতো রাতে উনি আমায় ব্যালকনিতে ডাকছেন কেন? আচ্ছা উনি কি নিচে এসেছেন?
“এতো রাতে ব্যালকনিতে ডাকছো যে?”
“কথা না বাড়িয়ে আসতে বলছি আয়”

ছুটে ব্যালকনিতে গেলাম। মানুষটার ক্লান্ত কণ্ঠ। ব্যালকনিতে গিয়েই চোখ চাতক পাখির ন্যায় খুঁজতে শুরু করলো আমার কাঙ্খিত মানুটাকে। রাস্তায় টিউব লাইটের নিচে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে বুকে হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে মানুষটা। আমায় দেখে হাত নাড়িয়ে “হাই” দিলো। আমার মন আর টিকলো না। সোজা ছুটে বেরিয়ে এলাম। রুম থেকে বেরিয়ে ড্রয়িং রুম পেরিয়ে মেইন দরজা খুলে বেরিয়ে পড়লাম। এক ছুটে সোজা গেটের বাহিরে। মানুষটা আমার থেকে হাতে গোনা কয়েকহাত দূরে। কি হলো জানি না। দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম আদ্র ভাইকে। উনিও উষ্ণ আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে নিলেন আমায়। ক্লান্তি মাখা মুখ খানা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে সারাদিনে অনেক খাটুনি গেছে। জড়িয়ে ধরা অবস্থা কান্না করে দিলাম। আদ্র ভাই আমার কান্নার শব্দ শুনে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আলতো কণ্ঠে সুধালেন,

“কি হয়েছে কান্না করছিস কেন? কেউ কিছু বলেছে? বকেছে কেউ?”
কন্দনরত অবস্থা বললাম,
“তুমি এতো কষ্ট করে এতদূর আসতে গেলে কেন? তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে তো?”
“কে বলল তোকে আমার কষ্ট হয়েছে? আমার একটুও কষ্ট হয়নি। আমার রৌদ্রময়ী আমায় দেখতে চেয়েছে আর আমি আসবো না সেটা কখনো হয়?”
আদ্র ভাইয়ের কথা শুনে অবাক হলাম। উনি জানলো কিভাবে আমি ওনাকে দেখতে চেয়েছি? আমি তো ওনাকে বলিনি। এমন কি নিজ মনে ছাড়া কাউকেই বলিনি। অবাক হয়ে শুধালাম,
“তুমি জানলে কি করে আমি তোমায় দেখতে চেয়েছি?”
আমার প্রশ্নে উনি ঠোঁট এলিয়ে হাসলেন। হাসি বজায় রেখে বললেন,
“রৌদ্রময়ীর চোখের ভাষাই যদি পড়তে না পাড়ি তাহলে কেমন ভালোবাসলাম বলতো? যেখানে পুরো রৌদ্রময়ীকে আমার মুখস্ত সেখানে এটা তো সাধারণ বিষয়”

কান্নার মাঝে হাসি ফুটে উঠলো মুখে। এই মানুষটা আমায় এতো বোঝে? এতটা ভালোবাসে? প্রতি নিয়ত আমি উনাকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করছি। ওনার ভালোবাসা কতো নিগূঢ় সেটা পরিমাপ করার সাধ্য আমার নেই। নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। আল্লাহ’র নিকট অনেক অনেক শুকরিয়া উনি আদ্র নামক মানুষটাকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে দিয়েছেন। ওনাকে না পেলে জানাই হতো না কোনো মানুষ এতটা ভালোবাসতে পারে। আদ্র ভাইয়ের বুকে মাথা রেখে জিজ্ঞেস করলাম,
“রাতে খেয়েছো?”
“উহু। অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা এখানে চলে এসেছি”
“বাড়ি চলো”
“তুই বাড়িতে যা। আমিও বাড়ি ফিরে যাচ্ছি”

“আজকে যাওয়ার দরকার নেই। এখানেই থেকে যাও। কাল সকালে এখান থেকে অফিসে যেও”
উনি প্রথমে আসতে চান নি? জোর করে নিয়ে এসেছি। রুমে নিয়ে এসে বললাম,
“তুমি ফ্রেশ হও আমার খাবার গরম করছি। ফ্রেশ হয়ে খেতে এসো”
বলে নিচে নেমে গেলাম। ফ্রিজ খুলে খাবার বের করে গরম করতে দিলাম। মানুষটা কতোটা পরিশ্রম করেছে তার ওপর সারাদিনের ক্লান্তি নিয়েই এতো দূর গাড়ি চালিয়ে এসেছে। খাবার গরম করা শেষ।এদিকে আদ্র সাহেবের আসার নাম ও নিশানা কোনোটাই দেখছি না। খাবার টেবিলে সাজিয়ে রেখে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলাম। রুমে পা রাখে ডাকতে নিলাম,
“কি হলো এখ…”
বলতে গিয়ে থেমে গেলাম। আদ্র সাহেব বিছানায় শুয়ে আছেন। পায়ের জুতাও খোলেনি। এগিয়ে গেলাম কাছে। ক্লান্তিতে মুখটা শুকিয়ে গেছে। এলো মেলো চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে দিয়ে আলতো কণ্ঠে ডেকে উঠলাম,

“খাবে না? ওঠো। খাবার গরম করা শেষ”
আদ্র ভাই ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলল,
“খেতে ইচ্ছে করছে না”
মিহি কণ্ঠে উত্তর তার। কণ্ঠ শুনেই বোঝা যাচ্ছে মানুষটা কতোটা ক্লান্ত।
“না খেয়ে ঘুমালে শরীর খারাপ করবে। ওঠো, খেতে চলো”
অপর পাশ থেকে কোনো উত্তর নেই। ঘুমিয়ে গেছে উনি। না খেয়ে ঘুমালে তো আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে। শরীর খারাপ করবে। কি করা যায়? চট করে নেমে একটা প্লেটে খাবার নিয়ে রুমে চলে এলাম। আদ্র ভাই এলোমেলো হয়ে ঘুমিয়ে আছে। প্লেট বিছানার পাশের টেবিলে রেখে বিছানার কাছে এসে ওনার হাত ধরে ডেকে চলেছি। আদ্র ভাই কোনো মতে উঠে বসলেন। বিছানার সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিয়ে খাবারের প্লেট নিয়ে বসলাম। খাবার মাখিয়ে মৃদু কণ্ঠে ডাক দিলাম,

“মুখ খোলো”
আদ্র ভাই ঘুমের ঘোরে মুখ খুলল। খাবার মুখে পুড়ে দিলাম। উনি চোখ বুজে আছে চোখের নিচে কালি পরে গেছে। রাতে যে ভালো করে ঘুমায় না এটাই তার প্রমাণ। একটু একটু করে পুরো খাবার শেষ করলো। খাওয়া শেষ হলে ওনাকে সুন্দর করার শুইয়ে দিয়ে প্লেট রাখতে নিচে চলে এলাম। সব কিছু গুছিয়ে রেখে রুমের দিকে হাঁটা দিলাম। বিছানার এক পাশটা জুড়ে ঘুমিয়ে আছে আদ্র ভাই। এখন আমি ঘুমাবো কোথায়? সোফায় শুলে পিঠ, ঘাড় আস্ত থাকবে না। দেখা যাবে কাল সারাদিন ব্যথায় কাতরাতে থাকবো। তাহলে কোথায় শুবো? এতো রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৭

ইভা বা ঈশিতা আপুর কারো সাথে রুম শেয়ার করবো সেই উপায় ও নেই। অগত্যা কোনো উপায় না পেয়ে বিছানার এক কোণে গুটিসুটি মেরে শুয়ে পড়লাম। শুয়ে আছি কিন্তু ঘুম আসছে না। চেয়ে আছি আদ্র সাহেবের মুখশ্রীতে। মানুষ টা কতোটা নিশ্চিন্তে গভীর ঘুমে ঘুমাচ্ছেন। দেখে মনে হচ্ছে কতো গুলো দিন শান্তিতে ঘুমায় না। ঘুমানোর চেষ্টা করছি। হঠাৎ আদ্র ভাই এক টানে কাছে নিয়ে জড়িয়ে ধরলো। আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে আছেন। এদিকে অস্বস্তিতে আমার ঘুম হচ্ছে না। অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছি। হাঁসফাঁস করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি নিজেও জানি না।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৯