উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৯

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৯
আফিয়া আফরোজ আহি

সময় বহমান জলস্রোতা নদীর ন্যায়। যা কখনোই কারো জন্য থেমে থাকে না। বয়ে চলে নিজ গতিতে। না আকটায় কোনো মোড়ে আর না তো কারো ঘোরে। সময়ের স্রোতে আমার আমিটা সেই আগের মতোই রয়ে গেছি। চুপচাপ, একাকিত্বের মোড়কে মুড়ে। এক নতুন আমিকে দিনে দিনে আবিষ্কার করছি। পুরো বাড়ি হতাশ হয়ে আছে আমার আচরণে। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। আমি চেয়েও নিজেকে আগের রূপে ফেরাতে পারছি না। পারছি না নাকি চাইছি না? হয়তো চাইছি না! ইদানিং কেমন একগুঁয়ে স্বভাব হয়ে গেছে। মনের ওপর আমার নিজেরও কন্ট্রোল নেই। কি করছি কিছুই জানি না!

বিকেলের ফুরফুরে হাওয়ায় ছাদের দোলনায় দোল খাচ্ছি। কিছুক্ষণ পর উঠে দাঁড়ালাম। ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম পুরো ছাদ। বহুদিন পর নিজের প্ৰিয় জায়গায় এলাম। ছাদের অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। এইযে কাঠ গোলাপ গাছটা অনেকটা বড় হয়ে গেছে। কয়েক দিন আগেও এটা আমার হাঁটু সমান ছিলো। এখন অনেকটা লম্বা হয়ে গিয়েছে। একটা ডালে ফুলও ফুটেছে। নিচু হয়ে ফুলটা ছুঁয়ে দিলাম। নাকের কাছে ধরতেই ফুলের মিষ্টি ঘ্রান নাকে এসে ঠেকছে। সেদিনকার ঘটনা মনে পড়ে গেল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সেদিন পার্কে কাঠ গোলাপের জন্য পা*গলমো করে আসার পর বিকেলে মন মরা হয়ে ছিলাম। মনে মনে অভিলাস জেগেছিলো কাঠ গোলাপের। ইসস আমার কাছেও যদি একটা কাঠ গোলাপ গাছ থাকতো! কাঠ গোলাপের সুবাসে মেতে উঠতো আমার আঙিনা। ইচ্ছে হলেই ছুঁয়ে দেওয়া যেত প্ৰিয় ফুল। আমার ছোট বেলা থেকেই ফুলের অনেক শখ। ফুল আমার অনেক পছন্দের। এই পর্যন্ত কতো কতো ফুল গাছ সংগ্রহ করেছি তার কোনো ইয়াত্তা নেই। বাগান, রুমের ব্যালকনি, ছাদ কোনোটাই বাদ যায়নি আমার ফুলের অত্যাচারের হাত থেকে। সব জায়গায় কোনো না কোনো ফুল গাছ অবশ্যই আছে। ভেবেছিলাম আব্বুকে বলবো আমায় কাঠ গোলাপের চারা এনে দিতে। বসে বসে এসব ভাবছি এমন সময় হুট্ করে কেউ সামনে কাঠ গোলাপের চারা ধরলো। ছোট্ট একটা গাছ। হটাৎ সামনে ধরায় ভ্রু কুঁচকে এলো। চোখ তুলে ওপরে তাকালে নজরে এলো আদ্র সাহেবের মুখ খানা। হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষটাকে হাসি মুখে বড্ড মানায়।

“এটা কি?”
“কাঠ গোলাপের চারা”
“হটাৎ?”
“যেই কাঠ গোলাপ রৌদ্রময়ীর মন খারাপের কারণ সেই কাঠ গোলাপের সমাহারেই সেজে উঠুক রৌদ্রময়ীর শহর”
সেদিন অনেক খুশি হয়েছিলাম। আমার পছন্দে জিনিস পেলে আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই। সেদিন আদ্র ভাই মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখেছিলো আমার হাসির ঝলকানি। উনার চাহনিই বলে দিচ্ছে উনি কতোটা মুগ্ধ হয়ে আমায় দেখছেন। মানুষটার মুখে লেগে ছিলো মুচকি হাসি। দুজন মিলে একসাথে গাছটা টবে লাগিয়েছিলাম।
আমার ভাবনার মাঝে পিছনে থেকে কারো পায়ের শব্দ ভেসে এলো। পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন বোধ করলাম না। মানুষটা এসে আমার ঠিক পিছনে দাঁড়িয়েছে বুঝতে পারলেও কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলাম না। আমি আমার মতো আছি। ফুল নিয়ে দুস্টুমি করছি। গম্ভীর পুরুষালি কণ্ঠে ভেসে এলো,

“কেমন আছিস রোদ পাখি?”
চকিতে পিছনে ফিরে তাকালাম। আমার সামনে ইভান ভাই দাঁড়িয়ে আছে। ওনাকে দেখে কোনো কথা না বলে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলাম। ইভান ভাই হাত ধরে আটকে দিলেন। ফুরফুরে মেজাজ মুহূর্তেই খারাপ হয়ে গেল। এই লোক পেয়েছে কি? ওনার যখন যা ইচ্ছে হবে তখন সেটা করবেন? অন্যদের কোনো মতামত নেই?
“কি হলো উত্তর দিচ্ছিস না যে?”
রূঢ় কণ্ঠে বলে উঠলাম,
“আপনি আগে আমার হাতে ছাড়ুন”
“আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দে”

“আমি কেমন আছি সেটা জানার প্রয়োজন আপনার নেই। আপনি নিজের চরকায় তেল দিন”
ইভান ভাই হাত ছাড়লেন না। আমি হাত ছুটানোর জন্য মোচড়া মুচরি করছি। ফের বলে উঠলাম,
“ভুলে যাবেন না আপনি এখন বিবাহিত। অন্য একটা মেয়ের হাসবেন্ড। বিবাহিত হয়েও অন্য মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করাকে কি বলে আপনি নিশ্চই জানেন”
কথা শোনা মাত্র ইভান ভাই আমার হাত ছেড়ে দিলেন। ছাড়া পেয়ে এতক্ষনে হাফ ছেড়ে বাচলাম।চলে আসতে নিবো এমন সময় পিছন থেকে ডেকে উঠলো,
“রোদ পাখি আমার একটা কথা শোন”

“রোদ পাখি” নামটা শুনে এক মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়ালাম। আগে এই ডাকটা শুনলে ভালো লাগতো আর এখন গাঁয়ে জ্বালা দিয়ে ওঠে। মাথার রাগ চেপে বসে। ইচ্ছে করে ইভান নামক মানুষটাকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়!তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বললে উঠলাম,
“দয়া করে আমায় ওই নামে ডাকবেন না”
“আমার কথা টা তো শোন!”
ইভান ভাইয়ের কণ্ঠে আকুলতা। এতো আকুলতা নিয়ে মানুষটা কেন আমায় ডাকে? উনি তো অন্য কাউকে ভালোবাসে তবে কেন এতো অভিনয়?
“যা বলার তাড়াতাড়ি বলুন। আমার সময় নেই”
“আমি আসলে বিয়ে করি….”

ইভান ভাই সেখানেই থেমে গেলেন। তার চাহনি আমার পিছনে। ঘুরে দেখলাম ইরা দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার মুখভঙ্গি স্বাভাবিক হয়েও কেমন অস্বাভাবিক। আমায় ওর দিকে তাকাতে দেখে হাসার ভান করলো। এগিয়ে এসে বলল,
“ইভান তুমি এখানে আর আমি তোমাকে সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি”
এই মেয়েটার নাটক আর ভালো লাগে না। তাই দুজনকে ওদের মতো ছেড়ে দিয়ে চলে এলাম। যদিও ইভান ভাই কয়েক বার ডেকেছিলেন আমি দাঁড়াইনি। ইরা ইভান ভাইয়ের বাহুর শক্ত করে চেপে ধরে বলল,
“তুমি ওকে কি বলতে যাচ্ছিলে? তুমি কি সব ভুলে গেছো মিস্টার ইভান? তুমি রোদ কে সত্যি কথা বললে আমি ওর কি করতে পারি?”
ইভান ভাই দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,

“ভুলিনি। তবে তু্ই মনে রাখ খুব শীঘ্রই তোর জারি জুড়ি শেষ হতে চলেছে। নিজের বিনাশ দেখার জন্য প্রস্তুত হ”
ইরা উচ্চ শব্দে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে বলল,
“জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা বাদ দেও মিস্টার ইভান”
ইরা হাসতে হাসতে চলে গেল। ইভান ভাইয়ের ঠোঁটের কোণে লেগে আছে রহস্যময় হাসি। ওনার মনে কি চলছে উনিই ভালো জানেন। আকাশ পানে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলেন,
“সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে খুব শীঘ্রই তোকে আমার করে নিবো রোদ পাখি। তোর চোখে নিজের জন্য ঘৃণা দেখা যেতে কষ্ট সাধ্য। তাও আমায় দেখতে হচ্ছে কারণ আমি নিরুপায়”

প্রভাতের কিরণ ছড়িয়ে গেছে ধরণী জুড়ে। অল্প স্বল্প উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। সাথে দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে। নতুন দিনের সূচনাটাই অন্য রকম। আমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছি। সারা সপ্তাহ শেষ একটা দিন বন্ধ পেয়ে মনটা আলসেমি তে ভরে ওঠে। ঘুম যেন ভাঙতেই চায় না। মনে হয়ে আরেকটু ঘুমাই। এই করতে করতে বেলা দশটা বেজে গেছে। আমার কোনো হুস নেই। বেঘোরে ঘুমাচ্ছি। দরজায় কে যেন ঠক ঠক করছে। ভেবেছি দুই তিনবার ডেকেই বোধ হয় চলে যাবে। কিন্তু অপর পাশের মানুষটা গেলে তো! ঠেটার মতো ঠক ঠক করেই চলেছে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে উঠে বসালাম। ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলতেই ইভা ঝলমলে কণ্ঠে সুধালো,

“ঘুমাচ্ছিলি?”
“না, জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছিলাম”
“তাহলে স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়। একসাথে গল্প করবো আর খাবো”
ইভা হেলে দুলে চলে গেল। ইদানিং এই ইভা টা হয়েছে এক বিচ্ছু। সারাদিন আমায় কিভাবে জ্বালানো যায় সেই পথ খোঁজে। বজ্জাত মেয়ে একটা। আগে আমি জ্বালাতাম এখন ও আমাকে জ্বালাচ্ছে। ইভাকে বকতে বকতে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।

টেবিলে বসে আছে ইভা, রোশনি, ঈশিতা আপু, রুদ্র ভাইয়া, শুভ ভাই। শুভ ভাইকে দেখে কপাল কুঁচকে এলো। তিনি তো সব সময় সকাল ৯ টার মধ্যে খেয়ে ফেলেন, কিন্তু আজকে এখনো না খেয়ে আছেন যে! এরা সবাই এভাবেই বসে আছে কেন? দেখে মনে হচ্ছে জরুরি মিটিংয়ে বসিয়েছে। ভ্রু কুঁচকে শুভ ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম,
“তুমি এখনো সকালের খাবার না খেয়ে বসে আছো যে?”
পাশ থেকে রুদ্র ভাই গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো,
“তোর নামে বিচার আছে। তোর বিচার করে যথাযথ শাস্তি প্রদান না করা অবধি আমরা কেউ খাবো না”
“কি বিচার শুনি?”
ঈশিতা আপু বলা শুরু করলো,

“বিচার নাম্বার ১.তু্ই সব সময় ঘর বন্দি হয়ে থাকিস। ২. ঠিক মতো খাবার খাস না। ৩. আগের মতো আমাদের সাথে আড্ডা দিস না। ৪. আমাদের জ্বালাচ্ছিস না। ৫…. আপাতত মনে পড়ছে না”
রোশনি লাফিয়ে উঠে বলল,
“ডাকলেও আসে না। ইগনোর করে আমাদের”
ইভা মুখ গম্ভীর করে বলল,
“ভাইয়া তোমাকে বনুর বিচার করতে হবে। সাথে ওকে শাস্তিও দিতে হবে। নাহলে কিন্তু আমরা তোমার সাথে রাগ করবো”
“দাঁড়া দেখছি আমি ব্যাপার টা”

শুভ ভাই গম্ভীর মুখে ভাবছেন। আমি শুকনো ঢোক গিললাম। এই বজ্জাত গুলো যে হাত,পা ধুয়ে আমার পিছনে পড়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন শুভ ভাই কি করে সেটা দেখার পালা!
“খারাপ লাগলেও পাখির জন্য শাস্তি ঠিক করেই ফেললাম। পাখি তু্ই তৈরি তো শাস্তি শোনার জন্য?”
ভীতু, করুন চোখে তাকিয়ে আছি শুভ ভাইয়ের দিকে। চাহনি এমন এবার বাচিয়ে দেও আর কখনো করবো না টাইপ। কিন্তু শুভ ভাই পাত্তা দিলে তো! আমার ভালো ভাইটাও এদের সাথে মিশে বজ্জাত হয়ে গেছে। শুভ ভাই গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

“পাখির শাস্তি হলো ওকে এখন আমাদের সাথে আড্ডা দিতে হবে আর বিকেলে ঘুরতে যেতে হবে। আর এরপর কখনো আমাদের সাথে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করা যাবে না। কাল থেকে আগের ন্যায় পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখতে হবে। নাহলে বিকেলে ঘুরতে গেলে বিল যা আসবে ওকে সেটা দিতে হবে”
আমি কোনো কথা বললাম না। ইভা খোঁচা দিয়ে বলল,
“কি হলো কিছু বলছিস না কেন?”
“বলার মতো কিছু নেই তাই”

বলে খাওয়া শুরু করলাম। সবাই আরো এক দফা হতাশ হলো আমায় বুঝাতে। মনে মনে হাসছি ওদের রিয়েকশন দেখে। একেক জন এমন মুখ্ করে আছে দেখে মনে হচ্ছে সবে মাত্র এদের করল্লার জুস খাওয়ানো হয়েছে। ঈশিতা আপু জিজ্ঞেস করলো,
“তার মানে তু্ই আমাদের সাথে যাবি না?”
“না বলেছি?”
রোশনি লাফ দিয়ে বলে উঠলো,
“ইয়াহু রোদ আপু রাজি হয়ে গেছে”
খাওয়ার ফাঁকে সবাই আড্ডা দিলাম। খাওয়া শেষে যে যার রুমে।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি হচ্ছি। কালো রঙের গাউন সাথে ম্যাচিং হিজাব। মুখে অল্প বিস্তর প্রসাধনির ছোঁয়া। রেডি হওয়া শেষে আয়নায় একবার নিজেকে দেখে বেরিয়ে এলাম। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে খেয়াল করলাম সোফায় সবাই বসে আছে। তাঁদের সাথে ইভান ভাইও বসা। উনিও কি আমাদের সাথে যাবেন? আমাকে নামতে দেখে ঈশিতা আপু একটু জোরেই বলে উঠলো,
“রোদ সোনা তোকে তো পুরো ব্ল্যাক ফেইরি লাগছে”

ঈশিতা আপুর কথায় সবার নজর এসে পরলো আমার ওপর। হুট্ করে সবাই একসঙ্গে তাকানো তে ভরকে গেলাম। ইভান ভাই রূদ্র ভাইয়ার সাথে কথা বলছিলেন। উনিও ফিরে তাকালেন। তাকিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। ওনার কোনো হুস নেই। এক মনে তাকিয়ে আছেন। আমি ওনার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম। শুভ ভাই নেই। হটাৎ ইমার্জেন্সি কল আশায় মেডিকেলে যেতে হয়েছে তাকে। এখনই হয়তো এসে পড়বেন। হলোও তাই। তবে শুভ ভাই একা আসেনি তার সাথে আদ্র ভাইও এসেছে। আদ্র ভাইকে দেখে খানিকটা অবাক হলাম। অবাক করা কাণ্ড হলো আদ্র ভাইয়ের পরনে কালো পাঞ্জাবী। আশ্চর্য জনক ভাবে আমাদের দুজনের ড্রেসের কালার মিলে গেছে। চোখা চোখি হলো আদ্র ভাইয়ের সাথে। এমনি সময় আদ্র ভাই হেসে দিলেও আজ চোখ ছোট ছোট করে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে। এর মানে হলো,

“তোকে একবার বাগে পাই তারপর আমার ফোন না ধরার মজা দেখাবো”
আমাদের চোখা চোখির মাঝে শুভ ভাই বলল,
“সবাই রেডি? তাহলে যেয়ে গাড়িতে বস”
আচমকা খেয়াল হলো আমি তো আমার ফোনই আনিনি। মনের ভুলে রুমেই ফেলে এসেছি।
“তোমরা যাও আমি রুম থেকে ফোন নিয়ে আসছি”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৮

দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম। পুরো বিছানায় কোথাও ফোন নেই। ফোন ছিলো সোফার ওপরে। সেখান থেকে ফোন নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সিঁড়ি দিয়ে নামছি। দুই সিঁড়ি নামলে দেখলাম ইরা মেয়েটা ওপরে উঠে আসছে। আমার দিকে তাকিয়ে কেমন করে হাসছে। দুজন পাশাপাশি হলে সেকেন্ডের ব্যাবধানে কি হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না। কোনো কারণ ছাড়াই পা পিছলে গেল। ইরা মেয়েটার মুখে লেগে আছে রহস্যময় হাসি।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ১০