একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ১
Mousumi Akter
বিয়ের আসরে বধু বেশে বসে আছে সারাহ। মুখের অবয়ব নিকষ কালো অন্ধকারের ন্যায়।চোখ গড়িয়ে নামছে বিরতিহীনভাবে নোনাজল।চোখ দুটো লাল র*ক্ত জবার ন্যায় লোহিত বর্ণ ধারণ করেছে। বুকে পাথর চাপা দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে সে। হৃদয়ে একজনের ভালবাসা ধারণ করে অন্য কাউকে বিয়ে করতে হচ্ছে। এর চেয়ে কষ্টের আর যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি বোধহয় একটা মেয়ের জীবনে অন্য কিছুতে নেই।তীব্র কষ্টে ভেঙে চুরে যাচ্ছে হৃদয়।নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে।বুক ফাঁটা আর্তনাদ কেউ দেখছে না, শুনতেও পাচ্ছেনা।
কাঁন্না উপচে উপচে পড়ছে।তার পাশেই বসে আছে ব্লু শার্ট আর কালো প্যান্ট পরিহিত একজন শ্যামবর্ণের যুবক।যাকে সারাহ চিনেও না যানেও না। যার চেহারা খুব থমথমে আর গম্ভীর। মানুষের ভীড়ে বেশ কয়েকবার আড়চোখে সে সারাহ-এর দিকে তাকাল।কিন্তু সে তাকানোর স্থায়ীকাল বেশীক্ষণ নয়।সর্বোচ্চ পাঁচ সেকেন্ডের বেশী সে তাকায় নি।এই মানুষটার সাথে আজ-ই প্রথম দেখা আর আজ-ই বিয়ে।সারাহ চাইলেও মুখের উপর বলতে পারছে না এই বিয়ে সে করবে না।কেননা এই বিয়ে নিয়ে বিরোধিতা করায় তার বাবা তার মুখের উপর বলে দিয়েছে; সে যদি এই বিয়ে না করে সু*ই*সা*ই*ড করবে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তার বাবা যে কখনো বাংলা সিনেমার নায়িকার বাবাদের মত সস্তা ব্ল্যাকমেইল করবে এটা সে ভাবতেও পারেনি। বাবার চেয়ে তীব্র রাগ হচ্ছে তার পাশে বসে থাকা মানুষটির প্রতি।তার না হয় হাত -পা বাঁধা।কিন্তু এই পুরুষ মানুষটি কেন বিয়ের আগে জানতে চাইলো না তার কার সাথে বিয়ে হচ্ছে? কেন মনে করল না যার সাথে বিয়ে হচ্ছে তার সাথে কথা বলার প্রয়োজন আছে?কেন জানতে চাইলো না এই বিয়েতে আমার আপত্তি আছে কীনা? সে জানতে চাইলেই তো সারাহ গড়গড় করে বলে দিতে পারত সে অন্য কাউকে ভালবাসে।এই বিয়ে করতে পারবে না।জীবন টা এইভাবে বাংলা সিনেমার মত কাহিনীতে গড়াত না।এই পুরুষ মানুষটির চেয়েও বেশী রাগ হচ্ছে তার বন্ধুমহলের প্রতি।এই বন্ধুমহলের পাল্লায় পড়েই আজ জীবন টা ন’র’ কে পরিণত হল তার।বন্ধুদের থেকে পরামর্শ চেয়েছিলো সে। বন্ধুরা আশ্বস্ত করে বলেছিলো আরে পাত্র আসলেই কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি।পাত্র দেখবে তোর সাথে কথা বলতে চাইবে তবেইনা বিয়ে হবে।পাত্র যখন -ই একা তোর সাথে কথা বলতে চাইবে তখন-ই বলে দিবি এই বিয়ে তুই করতে পারবি না।অন্য কাউকে পছন্দ করিস।
এই কথা শুনে আজকাল যুগে কোনো ছেলেই বিয়ে করতে রাজি হবেনা।সো চিল থাক।ওরা যা বলেছিলো তার কিছুই ঘটেনি।পাত্র রুপে যে এসেছে সে একটা বার ও তার সাথে কথা বলতে চায়নি।সোজা বসে পড়েছে পিঁড়িতে।আর এখুনি বিয়ে হবে।কাজী সাহেব অলরেডি বিয়ে পড়ানো শুরু করে দিয়েছেন।শ্যামবর্ণের যুবকটির কবুল বলতে দু’ সেকেন্ড ও সময় লাগল না।যেন সে কবুল কথাটা ঠোঁটের আগায় এনে অপেক্ষা করছিলো কখন কাজী সাহেব বলতে বলবে আর সে বলবে।এইদিকে পাক্কা সতেরো মিনিট সময় নিয়ে সারাহ কবুল বলেছে।কবুল বলার সঙ্গেই তার ভেতরটা কেমন দুমড়ে -মুচড়ে উঠল।হু’ হু শব্দে কেদে উঠল সে।
এইতো সাতদিন আগের কথা।কাল বৈশাখির মত সারাহ’র জীবনটা তছনছ করতে শুরু হয় কালো একটি অধ্যায়ের।চার বছর আগে থেকে তার খালাতো ভাই আরিয়ান তাকে পছন্দ করত।ভালবাসার আহবান অনেকবার অনেকভাবে করেছে।কিন্তু সারাহ রাজি হয়নি।কিন্তু আরিয়ানের বিভিন্ন পা’গ’লা’মির জন্য একটা সময় সারাহ এর মনেও আরিয়ানের জন্য ভালবাসার সৃষ্টি হয়। সারাহ সাড়া দেয় আরিয়ানের ভালবাসার ডাকে।ছয় মাস আগেই আরিয়ানের সাথে সম্পর্কে জড়ায় সারাহ। সেই সম্পর্কের কথা আরিয়ান তার বাড়িতে জানায়।সেখান থেকেই শুরু হয় অশান্তি।আরিয়ান তার মা-বাবাকে কনভেন্স করানোর জন্য বিভিন্ন চেষ্টা চালাচ্ছিল।কিন্তু আরিয়ানের বাবা কোনোভাবেই নিজেদের আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিয়ে -শাদীর ব্যাপার আগ্রহী নন।তাছাড়া একটু অহংকারী, দাম্ভিক স্বভাবের ও আছেন।সারাহ দের থেকে তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়ায় সারাহদের বেশী একটা দাম দেন না।বাড়িতে আরিয়ানের অশান্তি দেখে সারাহ এর বাবাকে ফোন দিয়ে খুব অপমান করে বলেন,
“শোনো ইশতেহার আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিয়ে -শাদী হলে সম্পর্ক নষ্ট হয়। আমি কোনোভাবেই আরিয়ান আর সারাহ এর বিয়ে মেনে নিবোনা।বুঝলাম না মেয়ে কি লেলিয়ে দিয়েছো আমার ছেলের পিছে।মেয়ে প্রকাশ্য আরিয়ানের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।তোমার বাড়ি যাতায়াত করছে অথচ তোমরা সেসব এলাউ করছো।আমার ছেলে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া করেছে।আমার ইচ্ছা খুব ভাল ভার্সিটি তে পড়ুয়া কোনো মেয়ের সাথে বিয়ে দিবো।সারাহ এর চেহারা ভাল। কিন্তু লেখাপড়ার দিকে তো কোনো খেয়াল নেই।কোনো বিদেশী বা আর্মি দেখে বিয়ে করিয়ে দাও।ওরা চেহারা খুব পছন্দ করে।”
আরিয়ানের বাবার ফোন লেটে গেলে ইশতেহার হোসেন রাগে কাঁপতে থাকেন।কাঁপতে কাঁপতে মেয়েকে থা’ প্প’ ড় মা’র’তে না পেরে থা’প্প’ড় মা’র’লে’ন নিজের স্ত্রী জুুঁই এর গালে।দাঁত কিড়মিড় করে বললেন,
“তোমার ভাগ্নে এ বাড়িতে ঘন ঘন কি জন্য আসে।আর মেয়ে কি করে সেসব দিকে খেয়াল রাখতে পারোনা।”
বিবাহিত জীবনে প্রথম বার স্বামীর হাতে মা’র খেয়ে অবাক হল জুঁই।ঘটনার পরক্ষণে জুঁই সবটা জানতে পারে।তারপর ই ইশতেহার হোসেন প্রতিজ্ঞা করেন নিজের মেয়ের জন্য আরিয়ানের থেকে ভাল পাত্র দেখে বিয়ে করাবেন।পরক্ষণে সারাহ’র ফোন কেড়ে নেন ইশতেহার হোসেন।সাত দিনের মাঝে পাত্র খুজে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন।পাত্রপক্ষ কে কি বলে এনেছেন তা সারাহ জানেনা।কেউ জানেনা।পাত্র পক্ষ থেকে ঘরোয়াভাবে বিয়ে করতে এসেছে।পনেরো দিন পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে নিবে।
বিয়ে শেষ হতেই সবাই সারাহ এবং সারাহ’র সদ্য বিবাহিত স্বামীকে রেখে রুম থেকে বের হয়ে গেল।দু’জনেই চুপচাপ বসে আছে। কারো মুখে কোনো কথা নেই।সারাহ একনাগারে কেদেই যাচ্ছে।সারাহ’র কাঁন্না দেখে সারাহ’র পাশে বসে থাকা মানুষ’টি সারাহ’র দিকে তার পকেট থেকে রোমাল বের করে সারাহ’র দিকে এগিয়ে দিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
” চোখের পানি মুছে নাও।”
মানুষটির কন্ঠ শুনে সারাহ এইবার চোখ তুলে তাকাল মানুষটির দিকে। চোখ দু’টো রাগে জ্বলছে তার।জ্বলন্ত অগ্নি যেন চোখে।দাঁতে দাঁত চেপে তার পাশে পাশে থাকা মানুষটিকে ধাক্কা মেরে বলল,
” সরে যান আমার চোখের সামনে থেকে। একদম স্পর্শ করবেন না। ”
মানুষটা অন্য গম্ভীর মানুষদের তুলনায় একটু বেশী গম্ভীর। সদ্য বিবাহিত বউ-এর এমন আচরণে সে যেন হতবাক হল। ভ্রু যুগল সুঁচালো করে প্রশ্ন ছুড়ল,
” এনি প্রব্লেম?”
সারাহ আবার ও ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,
” আমার সারাজীবনের কাঁন্নার কারণ হয়ে এখন চোখের পানি মুছতে টিস্যু দিচ্ছেন। একটা সুন্দরী মেয়ে দেখলেন আর নাচতে নাচতে বিয়ে করতে চলে এলেন।একবার ও জানতে চাইলেন না আমি এই বিয়েতে রাজি কীনা! আমার আপত্তি আছে কীনা! কিছুই না জেনে বেসরমের মত বিয়ে করে নিলেন।আপনি একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন। কোনদিন আপনাকে আমি স্বামী বলে মেনে নিবোনা।কোনদিন না। কোনদিন ক্ষমা করব না আপনাকে। আপনার জন্য আজ আমার জীবনের এই হাল।আপনি আমার কত বড় ক্ষতি করেছেন তা নিজেও জানেন না।”
অপরপাশ থেকে এসব কথার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গম্ভীর কন্ঠে ফেরত এল,
” তোমার কি বলা শেষ? ”
” না শেষ না,আপনি যা করেছেন তা সারাজীবন বললেও শেষ হবেনা।”
মানুষটা হাত উল্টে ঘড়ি দেখল।ঘড়ি দেখে বলল,
” এখন অনেক রাত। আমার আর টাইম নেই,বাসায় ফিরতে হবে আগামিকাল অফিস আছে।যা যা বাকি আছে ওগুলো খাতায় লিখে রেখো পরে আমি পড়ে নিবো।”
এমন অদ্ভুত মানুষ সারাহ আগে দেখেনি।এত এত কথার বিপরিতে এটা ছিল তার উত্তর। মানুষ টা রুম থেকে হাঁটা দিল।হাঁটা দিয়েও ফিরে এসে বলল,
” সারাজীবন বললেও যদি তোমার কথা শেষ না হয় তাহলে যখন ই সময় পাবে তখন ই রেকর্ড করে রাখবে।এভাবেও যদি শেষ না হয় তাহলে পরপারে গিয়েও বলতে পারবে নো প্রব্লেম।”
সারাহ এইবার আরোও রেগে গেল।অবাকের চরম পর্যায়ে গিয়ে সে তাকাল এই মানুষটার পথপানে।মানুষ টা তো যা তা টাইপ নয়।যথেষ্ট স্মার্ট। সারাহ’র বর রুম থেকে চলে গেলে ইশতেহার চৌধুরী সারাহ!র রুমে এসে নতুন একটা ফোন দিয়ে বললেন,
” আজ থেকে এই নতুন ফোনটা চালাবে তুমি। এতে নতুন সিম আছে।”
সারাহ ফোনটা হাতে নিতেই একটা গ্রামিন নাম্বার থেকে মেসেজ এল,
” প্রহর শেষে আলোয় রঙা সেদিন চৈত্রমাস,
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।”
সারাহ কিছুটা অবাক হল।নতুন ফোন, নতুন সিম মেসেজ দিল কে।
যশোর এম. এম. কলেজের একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের সামনে দিয়ে প্যান্টের দুই পকেটে হাত গুজে হেঁটে যাচ্ছে একজন সুদর্শন যুবক।চোখে খয়েরী ফ্রেমের একটা চশমা। এদিক-সেদিক কোথাও তাকাচ্ছেনা।যাকে দেখে তাকিয়ে আছে হাজারও রমনি। অথচ যুবকটির দৃষ্টি স্থির রয়েছে সামনে। যার নাম রোশান সিদ্দিকী। এম এম কলেজের একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টে জয়েন করা সদ্য লেকচারার।বিগত দশ দিন সে কলেজে জয়েন করেছে। আর এই দশ দিনেই কলেজের মেয়েদের ক্রাশ রুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিটা মেয়ে হা করে তাকিয়ে থাকে। শিক্ষক রাও এত সুদর্শন হয়।মেয়েদের মুখে এখন একটায় নাম রোশান সিদ্দিকী।
আজ অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের ইনকোর্স পরীক্ষা।পরীক্ষা হলে গার্ড দিবে রোশান সিদ্দিকী। সিঁড়ি দিয়ে উঠে দো’তলার বাম হাতের প্রথম রুমটার পেছনের দিকে বসেছে সারাহ’র বন্ধুমহল দ্বীপ, মৃন্ময়, তন্ময়, ছোঁয়া আর সারাহ।সারাহ এসে গম্ভীর মুডে বসে আছে ছোঁয়ার পাশে।ওরা চারজন চেষ্টা করেও জানতে পারেনা সারাহ’র কি হয়েছে।এমন সময় ক্লাস রুমে প্রবেশ করল রোশান সিদ্দিকী। রোশান সিদ্দিকী ক্লাস রুমে প্রবেশ করতেই সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে রইলো। একমাত্র সারাহ’র ই চোখ কপালে উঠল।সারা একদম ভড়কে গেল।মাথার মাঝে চক্কর দিয়ে উঠল।সবাই উঠে দাঁড়ালেও সারাহ উঠে দাঁড়াল না। ছোঁয়া সারাহ কে চিমটি কেটে বলল,
” কিরে উঠে দাঁড়া।এই স্যার কিন্তু অনেক কড়া। কি হ্যান্ডসাম দেখ।”
সারাহ তবুও উঠে দাঁড়াল না।তার চারদিক নিয়ে কেমন যেন ঘুরছে।রোশান সিদ্দিকী সবাইকে হাত ইশারা করে বসতে বলল।সবাইকে খাতা আর প্রশ্ন দেওয়া হয়ে গেলে ঘড়ি দেখে বলল,
“আপনাদের সময় শুরু। এখন দশটা বাজে।জাস্ট বারোটা বাজতেই লেখা স্টপ করবেন।কেউ কারো সাথে একটা কথা ও বলবেন না।ঘাড় ঘোরাবেন না।তাহলে খাতা নিয়ে বের করে দিবো।পরীক্ষার আগেই বলে রাখলাম।”
রোশান সিদ্দিকীর এমন কড়া নির্দেশে সবার মুখ চুপসে গেল।সবাই চুপচাপ লেখা শুরু করল।গতকাল রাতে কাঁন্নাকাটি করে সারাহ’র ঠান্ডা লেগে গিয়েছে।ক্লাসে বসে ঘন ঘন নাক টেনে যাচ্ছে সারাহ।৫ সেকেন্ড পর পর নাক টানছে। সর্দিতে ঘন ঘন নাক টানার মত বিরক্ত আর বমি আসা মত ঘটনা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা নেই। পেছনের বেঞ্চে বসে ঘটনাটার জন্য বিরক্ত হচ্ছে মৃন্ময়। সারাহ’র চুল টেনে ধরে বিরক্ত কন্ঠে বলল,
“তোর কাছে মাফ চাই মা। যা আগে দয়া করে সর্দিটা ফেলে আয়।আমি একদম বিরক্ত হচ্ছি। ঘেন্না করছে।বমি আসছে।”
সারাহ পেছনে ফিরে মুখ ঝামটা দিয়ে বলল,
“না, আমি যাবোনা। লিখতে পেছনে পড়ে যাবো। তোদের জন্য যে ক্ষতি আমার হয়েছে তার জন্য এটুকু সহ্য কর।”
” যা ক্ষতি করেছি পুষিয়ে দিবো। দয়া করে স্যার কে বলে বাইরে যা। আর নাক টা পরিষ্কার করে আয়।”
” ওই স্যার কে আমি বলতে পারব না বাইরে যাবো।”
“তোর বাইরে যাওয়ার অনুমতি আমি চেয়ে দিচ্ছি।”
“এই না খবরদার না। উনি যেন আমাকে না দেখেন।আমি উনার সামনে দেখা দিতে চাইনা।”
এমন সময় মৃন্ময় উঠে দাঁড়াল।মৃন্ময় উঠে দাঁড়াতেই রোশান সিদ্দিকীর দৃষ্টি পড়ল মৃন্ময় এর দিকে।রোশান সিদ্দিকী একটা লুজ কাগজ নিয়ে মৃন্ময় এর দিকে এগিয়ে গেল।রোশান এগিয়ে আসতেই সারাহ মাথা সর্বোচ্চ নিচু করে দোয়া দুরুদ পড়ছে আর বলছে ‘ আল্লাহ আমাকে যেন না দেখে।’ রোশান এগিয়ে এসে বলল,
“নিন।”
মৃন্ময় একটা বোকা হাসি দিয়ে বলল,
“স্যার লুজ লাগবে না।”
রোশান সিদ্দিকী গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“তাহলে সমস্যা কি। আমি তখন থেকে দেখছি আপনারা কয়েকজন মিলে কথা বলছেন সমস্যা কি?”
“স্যার সারাহ একটু বাইরে যাবে। ”
রোশান সিদ্দিকী ভ্রু কুঁচকে বলল,
“হু ইজ সারাহ।”
মৃন্ময় সারাহ’র দিকে তাকিয়ে বলল,
“স্যার ওর নাম সারাহ।”
সারাহ জিভ কা’ম’ড় দিয়ে মনে মনে বলল, ‘,আলাহ এ যাত্রায় বাঁচাও।’
বাঁচাতে চাইলেই কি সব জায়গা বাঁচা যায়।
রোশান সিদ্দিকী গভীর চোখে সারাহ’র দিকে তাকিয়ে বলল,
“বাইরে যাবে কেন?”
“স্যার ওর সর্দি লেগেছে।”