একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩৪

একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩৪
Mousumi Akter

বাইরে দমকা হাওয়া বইছে, ঘনঘন মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে। ক্রমশ বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। টিভিতে উপকূলবর্তী এলাকা গুলোতে ১০ নং মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলছে। বাহিরে বড় বড় গাছ গুলো শিকড়সহ উপড়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। রোশান দরজায় হেলান দিয়ে তাকিয়ে আছে সারাহ’র দিকে। কম্বলগায়ে দিয়েও সারাহ ভয়াবহভাবে কাঁপছে। কম্পন কোনো ভাবেই কমছেনা। এই ঝড়-বৃষ্টির মাঝে কোনো ডাক্তার ও আসবেনা। রোশান কি করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। যদি সারাহ’র বাড়াবাড়ি রকমের কিছু হয়ে যায়। এরই মাঝে আবারও লোড শেডিং হল। পুরা রুমজুড়ে নিকষকালো অন্ধকার। বাইরে থেকে শুধু মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে। রোশান ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে সারাহ’র দিকে এগিয়ে গেলো। সারাহ চোখ খুললেই অন্ধকার থেকে ভ’য় পাবে। ও অন্ধকার দেখে ভ’য় পায় খুব। রোশান বিছানায় উঠল। বেড সাইডে রাখা সেন্টার টেবিলের ওপর ফোনটা উপুড় করে রাখল। সারাহ’র কপালে হাত দিয়ে দেখল, এখনো জ্বর আসেনি। হয়ত জ্বর আসবে তাই কাঁপছে।

রোশান সারাহ’র কম্বলের মাঝে ঢুকে গেলো। বৃষ্টিতে এমনিই আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে। তাতে এখন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ। শীত ঘরের দরজায়, বৃষ্টিতে ঠান্ডা একটু বেশী লাগার কথা। তার ওপর রোশান নিজেও সারাদিন ভিজেছে। ঠান্ডায় কম্বলের মাঝে ঢুকে একটা আরামদায়ক অনুভূতি হল। সে সারাহ’র মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। কি অপূর্ব দেখতে সারাহ। ঠোঁট জোড়া যেন সদ্য ফোঁটা গোলাপের পাঁপড়ি। রোশানের মন আজ অশান্ত। যতবার সারাহ’র দিকে তাকাচ্ছে, ততবারই ভুলভাল কিছু করতে ইচ্ছা করছে। রোশানের যথেষ্ট বয়স হয়েছে, তাই নিজেকে কন্ট্রোলের ক্ষমতা আছে। তাই নিজেকে কন্ট্রোল রেখে প্রেয়সীর মুখের দিকে তাকিয়েও সবটুকু সুখ উপলব্ধি করতে পারছে। এমন সময় সারাহ ওর একটা পা রোশানের পায়ের ওপর তুলে দিলো। মুহুর্তের মাঝেই বাইরের উস্কানিমূলক আবহাওয়া আর সারাহ’র স্পর্শ রোশানের গভীর অনুভূতিকে উস্কানি দিলো। রোশান খেয়াল করল,
সারাহ’র পা গরম নেই, বরং বরফের মত ঠান্ডা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রোশান সারাহ’র ঠান্ডা পা জোড়া নিজের পায়ের আয়ত্তে আনল। এর ফলে রোশানের অনুভূতির আরোও প্রবল হল।এমনিতেই অনুভূতির যা তা অবস্থা তার ওপর সারাহ রোশানের গায়ের ওপর হাত রাখল। রোশানকে কি সে কোলবালিশ ভাবল নাকি ঘোরের মাঝে জড়িয়ে ধরল রোশান বুঝতে পারল না। সারাহ রোশানের বুকে মাথা গুজে কি যে বিড় বিড় করে চলেছে। পুরুষ মানুষ তার হৃদয়ে বসবাসা করা নারীর কাছে আসার আহবানে কতক্ষণই বা নিজেকে আড়াল রাখতে পারে। রোশানের দেহ মন নেশাক্ত হয়ে উঠল। কিছুই তার নিয়ন্ত্রণে নেই। সে সারাহ’র পেটের ওপর হাত রেখে সারাহ’কে নিজের সাথে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরল, আরেক হাত দিয়ে ফোনের টর্চ বন্ধ করে দিলো।রোশানের স্পর্শ পেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় সারাহ নিজেই রোশানকে আরো শক্ত বাঁধনে আঁকড়ে ধরলো। রোশানের অনুভূতি ক্ষণে ক্ষণে আরোও তীব্র হচ্ছে। রোশানের বুকে মাথা গুজে সারাহ অচেতন অবস্থায় বলছে,

” আমাকে ভালবাসেন না কেন আপনি? আমার কাছে আসেন না কেন?”
রোশান সারাহ’র কপালে চুমু দিয়ে বলল,
” এত পা’গ’লা’মি করে কি মে’রে ফেলতে চাও আমাকে? ”
সারাহ এড়িয়ে যাওয়া কণ্ঠে বলল,
” ভালবাসি আপনাকে শ্যামসুন্দর পুরুষ। ”
শ্যামসুন্দর আর ভালবাসি কথা দু’টো রোশানের হৃদয়’কে নাড়িয়ে তুলল। অদ্ভুত এক ভাললাগায় দুলে উঠল তার হৃদয়। সহস্রবার কানের ভেতর কথাটা বাজছে। এই মধুর আর সুখময় কথা সে আগে পরে কখনোই শোনেনি। কেমন যেন পা-গ-ল করা এক অনুভূতি। ঠোঁটের কোনে ভাললাগাময় নেশাক্ত হাসি নিয়ে সে সারাহ’র সমস্ত মুখে ভালবাসার চুম্বন এঁকে দিলো। প্রিয়তমার মুখে চুম্বন আঁকার প্রতিযোগিতা হলে এই মুহুর্তে রোশান সিদ্দিকীই প্রথম হত। সে সারাহ’র মুখ থেকে গলা, গলা থেকে ঘাড় সহস্র চুমুতে ভরিয়ে তুলল। সারাহ’র অচেতন শরীর রেসপন্স করছে। ভাললাগায় কাঁপছে তার শরীর। এই অনুভূতির নাম ভালবাসা। ক্ষণে ক্ষণে তাদের ভালবাসার তীব্রতা বাড়ছে। গভীর থেকে গভীর হচ্ছে। ভালবাসার অতল সমুদ্রে ডুবে গেলো দু’জন।

পরেরদিন তীব্র জ্বর অবস্থায় ঘুম ভাঙল সারাহ’র। ঘুম ভাঙতেই দেখল, রোশানের বুকের ওপর তার মাথা, রোশানও তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোচ্ছে। শরীরে জ্বর থাকলেও রোশানের বুকে মাথা দেখে শারিরীক সব অসুখ যেন বিলীন হয়ে গেলো। সারাহ একটুও নড়াচড়া করল না। সে যে অবস্থায় ছিলো সে অবস্থায়ই আবার সুয়ে রইলো। শুধু মনে মনে প্রার্থণা করছে এই মানুষটার যেন ঘুম না ভাঙে সহযে। সে আজীবনভর এই বুকেতে মাথা গুজে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চায়। হৃদয়ে কিছু অজানা সুখের অনুভূতি চেপে ধরে সারাহ আবার ঘুমিয়ে পড়ল। ঠিক দু’ঘন্টা পর রোশানের ঘুম ভাঙল। ঘুম ভাঙতেই দেখল, তার বুকে সারাহ মাথা গুজে সুয়ে আছে। চুলগুলো একদম এলোমেলো অবস্থায় আছে।

সদ্য ঘুম ভাঙতেই যদি নিজের বউকে বুকের ওপর নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায়, একজন পুরুষের একটা সকাল সুন্দর হওয়ার জন্য কি আর কিছু লাগে? সারাহ’র মুখের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলো আলগোছে সরিয়ে দিলো রোশান। অনায়াসে তার ঠোঁট জোড়া সারাহ’র কপালে নেমে গেলো। জ্বরের তাপে পু’ড়ে উঠল রোশানের ঠোঁট জোড়া। আর তখনি মনে পড়ল গতরাতের কথা। রোশান জ্ঞাণে গতরাতে সারাহ’র সাথে গভীর আলিঙ্গণে লিপ্ত হয়নি। কখন যে কীভাবে ঘটেছে রোশান নিজেও জানেনা।

মনে মনে বলল, “ওহ শীট!এই মেয়ে টের পেলে আমার মান-ইজ্জত কিছুই আস্ত রাখবেনা। কাজের বুয়া থেকে শুরু করে কাকে কাকে বলবে কে জানে? পারলে মাইকিং না করে দেয়। সুস্থ হলে বুঝিয়ে বলব।” রোশান আরেকবার সারাহ’র কপালে চুমু দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠল। পেটে ভয়ানক ক্ষুধা। কিন্তু সারাহ খায়নি বলে সে নিজেও খায়নি। তারই কারণে সারাহ কষ্ট পেয়ে সারাদিন না খেয়ে এলোমেলো চলাফেরা করেছে। স্বামী হিসাবে নিজেকে অযোগ্য বলে মনে হচ্ছে। ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল সেরে, ফ্রেশ হয়ে ঘরের দরজা খুলল রোশান। বাইরে বেরিয়ে কানে ফোন দিয়ে কোথাও যেন ফোন করছে। ফোন রিসিভ হতেই রোশান বলল,

” একটা ফ্ল্যাট দেখো আমার জন্য। এক তারিখেই উঠব। ”
রোশান’কে বাইরে দেখে রোশানের আম্মা এগিয়ে এসে বললেন,
” তোমার কি শরীর খারাপ? এত বেলা করে তো তুমি কোনদিন ঘুম থেকে ওঠোনা। কতবার ডাকাডাকি করলাম সাড়াশব্দ দিলেনা। সারাহ কোথায়? সে ওঠেনি।”
রোশানের চোখে-মুখে তীব্র বিরক্তি। সে বিরক্ত কণ্ঠে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
“হৃদয় অসুস্থ আম্মু, শরীর নয়।”
থতমত খেয়ে রোশানের আম্মা বলল,
“কি হয়েছে? ”

“আমার বিয়ে দিয়েছিলে কেন? ”
“তোমার একটা ঘর -সংসার হবে সেজন্য। ”
রোশান চোয়াল শক্ত করে বলল,
“আমার ঘর সংসার হওয়ার জন্য নাকি আমার জীবনটা ন’র’কে পরিণত করার জন্য। আমার স্ত্রীর কাছে আমাকে চরিত্রহীন প্রমাণিত হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।”
রোশানের আম্মা কৌতুহল নিয়ে প্রশ্ন করল,
“মানে, কি বলতে চাইছো?”
রোশান বিরক্ত চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,

“তুমি জিনাতকে কেন বিয়ে দিচ্ছোনা? কি চাইছো তুমি? আমার আর সারাহ’র জীবনে জিনাতের কারণে অশান্তি আসুক আর সারাহ আমাকে ছেড়ে চলে যাক। পরে আমি বাধ্য হয়ে জিনাতকে…এসব তোমার ভুল ভাবনা আম্মু। আমি যেমন তোমার শ্রেষ্ঠ সন্তান তেমনি কারো শ্রেষ্ঠ স্বামী ও হতে চাই।”
এরই মাঝে রোশানের বাবা এগিয়ে এসে বলল,
” জিনাতের তো কম বয়স হয়নি। এখন বিয়ে না দিলে আর কবে বিয়ে দিবা তুমি?”
রোশানের আম্মা বলল,

“সে বিয়ে করতে রাজি না হলে কি জোর করে বিয়ে দিবো আমি। জিনাত কি এখন বেশী হয়ে গিয়েছে তোমাদের কাছে। মা-বাবা ম’রা মেয়েটা কি পেয়েছে জীবনে। আমি মেয়ের মত মানুষ করেছি, চেয়েছি নিজের কাছে রাখতে। এতে দো’ষের কি আছে।”
রোশান অনুরোধের স্বরে বলল,

“আমি আমার দাম্পত্য জীবনে জিনাতের জন্য রোজ অশান্তি চাইনা। জিনাতের যতদিন না বিয়ে হচ্ছে এ বাড়িতে আমি পা রাখব না। জিনাত সারাহকে সুযোগ পেলেই নেগেটিভ কথা-বার্তা বলে। দিন দিন সারাহ’র মনে আমার জন্য সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।”
রোশানের আম্মা সারাহ’র নাম শুনতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বললেন,
” মেয়েটা এসেই তোমার মাথা খে’য়ে ফেলেছে। এভাবেই মা-ছেলের সম্পর্ক নষ্ট করে এসব অলক্ষী মেয়েরা।”
” সারাহ আমাকে কিছুই বলেনি। তুমি একটা দিন ওর সাথে ভালো ব্যবহার করোনি। ও যে পরিমান চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। আমি তো ভ’য়ে থাকতাম না জানি কবে কি করে বসে। ভাগ্য ভালো আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেনি কোথাও। ওর জন্য আমাকে কোথাও জবাবদিহীতা করা লাগেনি।”
এরই মাঝে জিনাত এসে বলল,

” আমি কি করেছি রোশান? তখন থেকে আমার নামে হাজারও অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছো।”
” কি করেছো জানতে চাও? চলো তোমার রুমে।”
বলেই রোশান জিনাতের রুমের দিকে রওনা হলো। জিনাত সহ রোশানের মা-বাবা ও রোশানের পিছ পিছ গেলো। রোশান জিনাতের রুমে গিয়ে একটা চেয়ারের সাহায্য জিনাত এবং রোশানের এটাচট ছবি নামালো। ফ্লোরে সে ছবি ছুঁড়ে মেরে ভেঙে ফেলে বলল,

” তোমার সাথে আমার জাস্ট বিয়ের কথা হয়েছিলো জিনাত। তোমার যদি আমার পাশে সারাহ’কে সহ্য না হয়; তাহলে সারাহ’র স্বামী আমি। সারাহ’র কীভাবে সহ্য হয় শুনি। স্বামী স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কের ব্যাপারে তুমি কি বুঝবে। তুমি তো বিয়ে করোনি। তুমি পরকীয়ার চেষ্টা চালাচ্ছো। যে মেয়েরা অন্যোর স্বামীর দিকে নজর দেয় তাদের কি বলে জানোতো। না জানলে সমাজের পাঁচজনের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখো। আজকের পরে তুমি সারাহ’কে একটা খারাপ কথাও বলবেনা। একটাও না। ”
বলেই রোশান রাগে গটমট করতে করতে বেরিয়ে গেলো। জিনাত ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে। রোশানের আম্মা জিনাত’কে ধরে বলল,
” কাঁদিস না মা, ওই মেয়েটা এসে আমার শান্ত ছেলেটার মাথা খে’য়েছে।”
জিনাত কাঁদতে কাঁদতে বলল,
” আমার মাঝে কি কম ছিলো ফুপি। সারাহ’র মাঝে কি এমন বেশী আছে বলো। সারাহ রোশান’কে আমার জীবন থেকে কেড়ে নিলো। আমি সারাহ’কে খু’ন করে ফেলব।”

রোশান সারাহ’র কপালে হাত রেখে আস্তে করে ডাকল।।রোশানের ডাক ঘুম ভা’ঙ’ল সারাহ’র। রোশান শান্ত কণ্ঠে বলল,
” ওষুধ খেতে হবে।”
সারাহ ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে রইলো রোশানের দিকে। রোশানের বাবা আর মতিয়া দু’জনে মিলে খাবার নিয়ে এলো রোশান -সারাহ’র জন্য। মতিয়া খাবার গুলো সেন্টার টেবিলের ওপর রেখে বলল,
” বাবা বৌমা ‘কে খাইয়ে দাও।”
রোশানের বাবা রোশান’কে বলল,
” তুমিও খেয়ে নাও। আজে বাজে চিন্তা করোনা কিছু নিয়ে।”
মতিয়া আর রোশানের বাবা চলে গেলো। রোশান খাবার মাখিয়ে সারাহ’র গালে তুলে খাবার খাওয়াতে খাওয়াতে বলল,

” আর ভিজবে বৃষ্টিতে?”
” আপনি আর মেয়েদের সাথে মেলামেশা করবেন?”
” আমি মেয়েদের সাথে মেলামেশা করলে তোমার কি? তুমিতো আর আমাকে ভালবাসোনা। তোমার সমস্যা কি?”
সারাহ অভিমানি মুখে বলল,
” আপনিও তো ভালবাসেননা।”
রোশান গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
” বলেছি তোমাকে? ”
” ভালবাসি সেটাও তো বলেন নি।”
” মুখ দিয়ে ভালবাসি বললেই ভালবাসা হয়ে যায়। জানা ছিলোনা।”
সারাহ হেসে দিলো। হাসিমাখা মুখে বলল,
” কি বলতে চান? সরাসরি বললেই তো পারেন।”
” আগে ওষুধ খাও, সুস্থ হও। সব বলব।”
সারাহ ওর উত্তর পেয়ে গিয়েছে। শুধু মুখে শোনার অপেক্ষা।
খাবার এবং ওষুধ খাওয়ানো শেষ হলে রোশান বলল,
” মাথায় কি একটু পানি দিয়ে দিবো?”

একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩৩

সারাহ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। রোশান বালতি ভরে এক বালতি পানি এনে সারাহ’র মাথায় পানি দিচ্ছে আর কপাল টিপে দিচ্ছে। স্বামী এমন যত্নশীল হলে প্রতিটি মেয়েই বেঁচে থাকতে স্বর্গসুখ লাভ করে। রোশান সিদ্দিকী বরাবরই স্বামী হিসাবে বেস্ট। কোনো শাষন -বারণ ছাড়াই বউকে নিজের আয়ত্তে রাখার ক্ষমতা একমাত্র রোশান সিদ্দিকীর ই আছে। নিজের কেয়ার, আর ভালবাসা দিয়েই আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে সারাহ’র মত বেপরোয়া মেয়েকে।

একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩৫