এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৭
Chadny islam
সিকদার বাড়ীর ছোট বড় সবাই বসে আছে ড্রয়িংরুমে। বিকেলের ঘটে যাওয়া কিছু বিষয়ের জন্য সবারি বেশ মন খারাপ। বাড়িতে নতুন বউ এসেছে। এই মূহুর্তে মন খারাপ করে থাকা ঠিক হবে না।তাই অহনা সিকদার কলি কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__তোমার ভাইয়া আর ভাবী কে বলো নিচে সবাই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে!!
কলি সম্মতি জানিয়ে বললো!!
__ঠিক আছে বড় আম্মু! আমি ভাইয়া আর ভাবী কে ডেকে নিয়ে আসছি। কথা শেষ করে কলি উপরে আদিলের বড় রুম টার দিকে এগলো।রুমের সামনে গিয়ে দরজায় কয়েকটা বার করা নেড়ে পারমিশন নিয়ে রুমের ভেতরে প্রবেশ করলো। কলি আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__ভাইয়া বড় আম্মু বলেছে! ভাবী কে নিয়ে নিচে যেতে আসতে।
আদিল বললো!!
__ওকে তুই যা আমি আসতেছি।
কথা শেষ করে কলি নিচে চলে আসে। আদিল ইরা কে নিয়ে বেশ কয়েক মিনিট পর নিচে যায়। ইরা মাথা নয়ে আছে সে ভিষণ ভয় পাচ্ছে এই মূহুর্তে সবাই কে।অহনা সিকদার ইরার ভয়ের কারন টা বুঝতে পেরে ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__এই খানে আমার পাশে এসে বসো।
ইরা আস্তে ধীরে এগিয়ে গিয়ে বসলো শাশুড়ীর ঠিক পাশে আদিল গিয়ে বসলো আশরাফ সিকদার এর পাশে।
অহনা সিকদার ইরা কে বললেন!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
__সিকদার বাড়ির বউ তুমি! এত ভয় পেলে চলেবে না। সাহস রাখতে হবে সব সময়।
অহনা সিকদার আদিলের দিকে তাকাতেই দেখলো সে বউয়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। তাই অহনা সিকদার কিছু টা গম্ভীর গলাই ইরা কে বললেন!!
__আমি জানি তুমি ইচ্ছা কৃত আমার ছেলে কে বিয়ে করো নি। আমার ছেলে যে তোমাকে জোর করে বিয়ে করেছে।আমি সেই বিষয় টা আমার ছেলের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারছি। যেভাবেই হোক বিয়েটা হয়ে গেছে এখন! তোমরা সব সময় ভালে থাকো আমরা এই বয়সে এর থেকে বেশি কিছু চাই না।
আদিল আশরাফ সিকদার সহ সবাই বুঝতে পারতে পারছে না হুট করে অহনা সিকদার এর এতটা পরিবর্তন হলো কিভাবে । যে মানুষ কথাই কথাই ধমকা ধমকি করে! সেই কিনা ভালোভাবে কথা বলছে। তাহলে কি ছেলের বউকে আপসেই পছন্দ করে ফেললো।
অহনা সিকদার আদিল কে গম্ভীর গলাই বললেন!!!
___তুমি বিয়ে করতে চাইছো আমাদের কে জানাতে পারতে। তাহলে আমি শুধু শুধু আইরার সাথে তোমার বিয়ে টা ঠিক করতাম না! মেয়ে টার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। তুমি এই কাজ টা একদম ঠিক করো নি আদিল!!
আদিল শান্ত গলাই বললো!!
__মম তুমি আমাকে ভুল বুঝতেছো! আমি আমার বিয়ের বিষয়ে সব কিছু ড্যাড কে জানিয়ে ছিলাম অনেক আগেই!
অহনা সিকদার গম্ভীর মুখে আশরাফ সিকদার এর দিকে তাকাতেই আশরাফ সিকদার চোখ গুরিয়ে নিলেন ভয়ে। আশরাফ সিকদার আদিল কে রেগে গিয়ে বললেন!!
__বিয়ে করলা তুমি! বাসর টাও করলা তুমি।বাঁশ টা কেনো আমাকে দিলা।
__মম দেখো ড্যাড তোমার নামে বাজে কথা বলছে আমাকে।
আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!!
__এই ছেলে আমার হতেই পারে না সত্যি করে বলো অহনা এই ছেলে টা কার!
অহনা সিকদার কপাল কুঁচকে ফেললেন!! এত গুলা মানুষের সামনে কিনা তার চরিত্র নিয়ে কথা বলছে আজকে এই লোকের খবর আছে।
বাড়ীতে থাকা কাজের লোকেরর মিলে টেবিল ভর্তি করে খাবার রেডি করছে। তাদের সাথে সাথে হাত লাগাছ ছেন মাইমুনা সিকদার।সবাই ড্রয়িংরুম থেকে ওঠে গিয়ে বসলেন খাবার টেবিলে।ইরার পাশে গিয়ে বসলো আদিল। ইরা আশেপাশে খুজতে লাগলো বিকেলের সেই মেয়ে টিকে। কিন্তু কোথাও দেখা যাচ্ছে না তাদের!অহনা সিকদার আদিল কে বললো!!
__ইরা কে কালকে ওর পছন্দ মতোন জামা কাপড় কিনে দিবে।
আর কলি কে বললো।
__+ তোমার একটা থ্রি পিস তোমার ভাবী কে দাও। এত ভারী শাড়ী পরে সে ঘুমাতে পারবে না সমস্যা হবে।
কলি সম্মতি জানিয়ে বলে!
__আচ্ছা বর আম্মু
অহনা সিকদার এর এমন আচরণে নিমিষেই ইরার মাঝে বিশাল ভালোবাসার সৃষ্টি হলো।
খাওয়া শেষ করে সবাই নিজেদের রুমে চলে গেলো! তার মাঝে ইরা আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__একটা কথা বলবো রাগবেন প্লিজ!!
ইরার এমন ভাবে কথা শুনে বেশ মায়া হলো আদিলের তাই বললো!!
__একটা কেনো একশো টা কথা বলতে পারো।। আমি অবশ্যি রাখবো।
“”আপনি প্লিজ একটু বাইরে যাবেন! আমি ড্রেস চেন্স করবো!!
আদিল অবাক হয়ে বললো!!
__তুমি ওয়াশরুমে গিয়ে চেন্স করে নাও। আমাদের রুমের ভেতরে এত বড় একটা ওয়াশরুম থাকার পর ও আমাকে কেনো বাইরে যেতে হবে।
একটু যান না প্লিজ আমার ওয়াশরুমে ভয় লাগে। এক প্রকার ইরা জেদ করে আদিল কে রুমের বাইরে বের করে দিলো। আদিল কে বের করার সাথে সাথে রুমের দরজার আটকে দিলো ইরা। দরজার বাইরে থেকে আদিল বললো!! বেশি টাইম ওয়েষ্ট করবে না!!সময় মাএ পাচ মিনিট!!
ইরা দরজার অপর পাশ থেকে নিজের হাসি সংবরন করে আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__খেলবেন না ট্রি_টুয়েন্টি অসভ্য লোক??
অবশ্যই খেলবো জান দরজা টা খোলো! আমি রেডি হয়ে আসছি৷
__একটু সুনেন!!
“”হ্যা বলো জান!!
রেডি হয়ে দরজার সামনেই বসে থাকবেন দয়া করে। এক দম ডাকাডাকি করবেন না আমাকো।আমার ঘুমের ডিস্টার্ব হলে আপনার খবর আছে।
“”তার মানে আমি আজকে ও রুমের বাইরে থাকবো।
“”হ্যা অবশ্যই!! আপনাকে ওই খানেই ভালো মানাই!!
“”একদম না!! আমি কত কষ্ট করে বিয়ে করেছি তুমি জানো।
“না আর জানতে ও চাই না! আমি শুধু জানি আপনি আমাকে কিডনাপ করে বিয়ে করেছেন। আপনার কঠিন বিচার হওয়া প্রয়োজন।
যেভাবেই হোক বিয়ে করছি বিয়ে হয়ছে তাই না। বিচার টা দরজা খোলে তারপর করো বেবিডল।।।প্লিজ দরজা খোলো বাইরে অনেক বড় বড় মশা।
হুম!মশার কামুড় কে বউয়ের মিষ্টি চুমু ভেবে খাওয়া শুরু করেন!আপনি না বললেন আমি ছাড়া ও তো আপনার আরেক টা বউ আছে আজকে বরং তার কাছে যান৷ গুড নাইট!!
না আমি আজকে তোমার কাছেই থাকবো।আমি আজকে ট্রি_টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবো। তোমাকে দেখিয়ে দিবো আমি কত বড় খেলোয়ার। প্লিজ দরজাটা খোলো। বউ আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি বউ।
“””অসম্ভব।আপনার জন্য রুমে প্রবেশ নিষেধ।
আমাকে রাগিয়ে দিও না বউ। তাহলে কিন্তু তোমার খবর আছে। তুমি ছোট মানুষ বলে কিন্তু আমার কাছে ছাড় পাবেনা! তাই এখনো সময় আছে দরজা খোলে।
বউ আমাকে রাগাস না আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি ।
“””প্লিজ আপনি একটু রেগে যান। আমি ও দেখি আপনি কেমন রাগতে পারেন।
সালার কুওা কপাল। বউ তো আমারে ভয় পাই না। উল্টা আমাকে থ্রেট দেই। হাতের কাছে পেয়ে নেই শুধু তোমাকে। দেখাবো আমি কি চিজ।
দরজার সামনে এই ভাবে বসে থাকতে দেখলে আর মানসম্মান আর কিছুই থাকবে না। তাই আদিল দরজার সামনে থেকে উঠে চলে গেলো ড্রয়িংরুমে।ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখে আশরাফ সিকদার মুখ টাকে গুমড়া করে বসে আছেন। আদিল আশরাফ সিকদার কে এমন ভাবে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলো!!
__তোমাকে কেও কি মম রুমের বাইরে ফেলে দিয়েছে ড্যাড???
আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!
__হ্যা আর তোমাকে??
“”সেম টু ড্যাড।
আমার তো বয়স হয়েছে। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি তাই তোমার মম মাঝে মাঝে শখ করে রুমের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তুমি তো ইয়াং ম্যান তোমাকে কেনো বাইরে রাখে??
আমি নাকি কিডনাপ বিয়ে করেছি তার সাজা দিচ্ছে।আচ্ছা ড্যাড সত্যি করে বলো তো মম কেনো তোমাকে রুমের বাইরে রেখেছে।
“”এমনি।
__গোপন সমস্যা ড্যাড নি্রদ্বিধাই বলতে পারো আমি কাউকে কিছু বললো না ড্যাড! প্রমিজ।
“”বেহারা ছেলে আমি বাবা হয় তোমার।
“”তাতে কি হয়েছে ড্যাড। গোপনীয় সমস্যা থাকতেই পারে। তুমি বরং কলকাতা হারবাল সেবন করো ড্যাড। সব ঠিক হয়ে যাবে।
আশরাফ সিকদার এর হাতে থাকা ফোনটা ছুরে ফেললো আদিল এর দিকে। আদিল ফোন টাকে টপ করে দরে ফেললো। আর বললো!!
__ড্যাড তুমি এটা ঠিক করছো না। আমার মম কে কিনা ঠকানোর চেষ্টা করো এই বয়সে। আমি মম কে এখনি বলে দিবো তুমি এই বয়সে ইটিস পিটিস করছো।
__আরে বেহায়া ছেলে! তুমি কি চাইছো এই বয়সে আমার সংসার টা নষ্ট হয়ে যাক। ঠিক ভাবে দেখো আমি কিছু করছি না। তুমি কি চাচ্ছো তোমার মম আমাকে এই বাড়িতে থেকে বের করে দেখ!তুমি এই রকম ইনফরমেশন দিলে একশো বার বিশ্বাস করবে তোমার মম। আমি এক জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে এই ভাবে ভয় দেখিও না। আমার স্টোক হবে।
__দ্যাত বাল!! এই এক ডায়লগ শুনতে শুনতে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি ড্যাড। নতুন ডায়লগ বলো।
__আরে বোকা ছেলে এটা ডায়লগ নয়৷ এটা আমার ইমোশন!!
__ড্যাড চলো যাই??
আশরাফ সিকদার কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন আদিল কে!! __কোথাই।
আদিল দুষ্ট হাসি হেসে বললো!!
__চলো ড্যাড! লাল পানি খেয়ে আসি।
তোার লজ্জা করে না। বাপকে লাল পানি খাওয়ার অফার করো। আজকের জন্য মাফ করে দিলাম পরের বার আর মাফ করে দিবো না। আজকের জন্য যাচ্ছি পরের বার আর যাবো না।
আদিল রেগে গিয়ে বললো!!
__আগে ও হাজার বার বলেছো ড্যাড। তোমার যেতে হবে না তুমি বরং থাকো আমি একাই যাচ্ছি।
আশরাফ বলেন গম্ভীর গলাই বললেন!!
__ আরে বোকা ছেলে আমি ও আসছি তোমার সাথে রাতের বেলা একা গেলে ভয় পাবে তুমি! আর হ্যা সব কিছু মনে রাখতে নেই মাই বয়!!
আদিল আর আশরাফ সিকদার দুইজন এক সাথে চলে গেলেন ছাদে। কারন ড্রয়িং রুমে যখন তখন যে কেউ এসে পরবে। তবে এত রাতে ছাদে কেউ আসবে না। যদি যাই সেটা হবে ভুত। নেশাই ডুবে থাকলে ভুতও ভয় পেয়ে চলে যাবে। তাই কোনো রকম রিক্স না নিয়ে বাপ ছেলো মিলে মদের বোতল আর দুইটা গ্লাস পানি আচার নিয়ে ছাদে চলে গেলো। আশরাফ সিকদার জানেন রাগ করে তার রাগিনি বউ ঘড় থেকে বের করে দিলে ও কিছু খন পর ঠিকি খুঁজতে চলে আসবে। যদি আজকে ও আগের মতেন খোঁজতে আসে তাহলে সিউর আজকে পাবে না! কারন ছাদের দরজা ভেতর থেকে আটকে রাখা হবে।
এর মাঝে আশরাফ সিকদার আদিল কে বললো!!
__ঈশান কই??
“”ঈশান বাড়িতে চলে গেছে ড্যাড!!
“”ইশান কে আসতে বলো”!
“”এত রাতে! কেনো ড্যাড।
“”মিস করছি ঈশান কে।
“”ঈশান কে মিস করছো কেনো ড্যাড!ঈশান তো ছেলে মানুষ । মেয়ে মানুষ নই!!
“”বেহায়া ছেলে বাবা হয় আমি তোমার! সব কিছুতেই নেগেটিভ কথা বার্তা বলো। ইশান ছেলেটা ভালো আমার মনের সব কথা বুঝতে পারে। তোমার মতোন কথাই কথাই আমাকে অপমান করে না!!
“”ওহহ নাই নাকি!! মম কে ডাকবো নাকি এখানে।
সব কিছু তেই আমাকে একদম ভয় দেখাবে না। আমি কি তোমার মম কে ভয় পাই নাকি।
“”””মম “মম “”
আরে বোকা ছেলে!! সব কিছুতে সাহস দেখালে চলে না। তুমি ভুলে যাচ্ছো কেনো আমি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! আমাক একদম ভয় দেখাবে না! তাহলে আমার স্টোক হবে।
আদিব এবং প্রিয়াশ বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে নেমেছে রাত দশটা বাজে। বাড়িতে ফিরতে আরও ঘন্টা খানেক লাগবে।আশরাফ সিকদার গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন সাথে রিফাত কেও৷। অনেক বছর যাবত দেশের বাইরে আছে একা বাড়ি ফিরতে সমস্যা হবে হবে। রিফাত এয়ারপোর্টে এর বাইরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আদিব এয়ারপোর্টে থেকে বেরিয়ে কল করে রিফাত এর নাম্বারে। রিফাত এগিয়ে নিয়ে আসে আদিব আর প্রিয়াশ কে। আদিব রিফাত এর সম বয়সী হলে ও প্রিয়াশ বেশ বড় ওদের থেকে। রিফাত সালাম দিয়ে সবাই কে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসলো।তার মধ্যে প্রিয়াশ রিফাত কে জিজ্ঞেস করলো!!
__হেই ফা…কিং ম্যান!! আদিল এর বউ দেখতে কেমন। সি ইস বেরি হটস!!
রিফাত গলা খাঁকারি দিয়ে বললো!!
__জানি না তো ভাই!! আমি তো দেখি নাই।
আদিব দাঁতে দাঁত পিসে বললো!
__নেক্সট টাইম এই ধরনের কথা বলবা না ভাইয়া! ভাবী কে নিয়ে। ভাইয়া কিন্তু এ্যালাউ করবে না তোমাকে! নিজের ভাই বলে তোমাকে কিন্তু ছার দিবে না! তোমার নিজের জানের মায়া থাকলে ভাবীর থেকে দূরে থাকবে অবশ্যই ভাইয়া।
রিফাত প্রিয়াশ এর এই রকম বাজে ভাষার কথার মানে বুঝতে পারে নি। তবে আদিব প্রিয়াশ কে গিরে শান্ত হুমকি তে বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারলো। সিইস নট এ গোড প্যারসোন।
গভীর থেকে গভীর রাত হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো ফোনটা সাইলেন্ট থাকাই ভাইব্রেট হচ্ছিলো। ফোনের ভাইব্রেশের ফলে ফোনটা কাঁপছিল। একটা সময় গুম ভেঙে যায়।ফোন টা রিসিভ করে ঘুম জড়ানো কন্ঠ হ্যালো বলতেই ওপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে এক সুদাম দেহী পুরুষালী কন্ঠের আওয়াজ।
__কইটা বাজে এত আগেই গুমিয়ে পরেছো! ”
“””কে আপনি??
“””চিনতে পারো নি?? __না..!
__তুমি তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়ে যাকে ঝাপটে জড়িয়ে দরে ছিলে! আমিই সেই..!
“””ঈশান!!!
“”হুম! এত সময় লাগে আমাকে চিনতে?? আমি তো ভেবে ছিলাম হ্যালো বললেই চিনতে পারবে।
__সরি ঘুমিয়ে পরে ছিলাম বুঝতে পারে নি। কিন্তু কল করেছেন কেনো রাতে।
ঈশান আদুরে গলাই বললো!!
__মিস কর ছিলাম তাই।
জুথী কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
__কাকে মিস করছেন এত রাতে
ঈশান জুথী কে রাগানোর জন্য বললো!!
__আমার বউ কে
জুথী এক লাফে সুয়া থেকে উঠে বসলো আর রেগে গিয়ে ঈশান কে বললো!!
__আপনি বিয়ে করেছেন ঈশান??
ঈশান লাজুক হেসে বলে!!
__হ্যা তুমি জানো না।
জুথী কাঁদো কাঁদো গলায় বললো!!
__না! আগে বলেন নি কেনো??
ঈশান অভাক হওয়ার নাটক করে বললো!!
__ওহহ হয়তো মনে ছিলো না আমার!! তাহলে আজকে বলি তুমি বরং শুনো! আমার একটা বাচ্চা ও আছে তার বয়স চার বছর। আরেকটা হবে কিছুদিন পর। তোমাকে অবশ্যই দাওয়াত দিবো আমাদের বাড়িতে বাবু টা হলে আসবে কিন্তু।
জুথীর চোখের কার্ণিশ বেয়ে দু’ফোটা নোনা জল বেয়ে পরলো আর ঈশান কে রাগি গলায় বললো!!
__তাহলে আমাকে কল করেছেন কেনো। আমি কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে কথা বলবো না।
কথা শেষ করার আগেই জুথী ফোন টা কেটে দিলো। জুথীর রাগের কারন টা বুঝতে পেরে ঈশান আবার ও কল করলো জুথী কে। কিন্তু জুথী কল রিসিভ করলো না। ঈশান পর পর কয়েক বার করলো। জুথী কল রিসিভ না করে ঈশান এর নাম্বার টা ব্লক করে দিলো। ঈশান ঠোঁটে ঠোট কামড়ে আলতো করে হেসে বললো!!
__বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না। স্বীকার করলেই তো হয় যে ভালোবাসো৷
আশরাফ সিকদার আর আদিল মিলে লাল পানি সেবন করছে। আশরাফ সিকদার আদিল কে বললো!!
__আরেক প্যাক কড়া করে বানাও ভাই সান।
__ড্যাড আর কত খাবা বোতল শেষ!!
__আরে বোকা ছেলে কেবল রাত শুরু তুমি আরেক বোতল নিয়ে আসো।
__তোমার বয়স হচ্ছে ড্যাড এত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতি।
আরে বোকা ছেলে তোমার এত চিন্তা করতে হবে না।বানাও আরেক প্যাক!!””””” আমি জ্যান হারাবো মরেই যাবো বাঁচাতে পারবে না আর।
__ড্যাড তুমি দেবদাস হয়ে গেলে কিভাবে। তোমাকে ছেক্যা টা কে দিলো। এত রাতে??
আরে বোকা ছেলে আমাকে ছেঁকা দিবে কেয় আমি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তুমি ভুলে যাও কিভাবে।সবাই তো আমাকে দেখে ভয় পাই 🌑!
হুম তা তো জানি ড্যাড। এখন একটু তুমি নিজের রুমে গিয়ে তোমার ক্ষমতা টা আমাকে দেখাও আমি ও একটু দেখি তুমি ভয় পাও কিনা।
ঘরে তো তোমার মম আছে ! আমার রাগিণী বউ। এই অবস্থাই দেখলে আমাকে উষ্ঠা মেরে ফেলে দিবে। তখন ড্যাড পাবা কই!!?
বাপ ছেলের কথা মাঝেই আদিল এর ফোন টা বেজে উঠলো। ঈশান কল করেছে আদিল কে। কালকের মতোন আজকেও কি তার বোন আদিল কে বাইরে রেখেছে নাকি জানতে। অপর প্রান্ত থেকে ঈশান বললো!!
__কি রে সালা কি করিস!! বড় ভাই হয়েও মহা বিপদে আছি সালার!তোর বাসর রাতের ভিডিও টা করার জন্য ক্যামেরা টা নিয়ে আসতে পারতেছি না আজকে বড় ভািই বলে। নয়তো তোরে আজ ভাইরাল করে দিতাম।
আদিল গম্ভীর গলাই বললো!!
__কেনো ক্যামেরা নিয়ে আই!! বাসর করছি তো ছাদে!!
ঈশান অভাক হয়ে বললো!!
__কেনো রুমে কি সমস্যা!!
__ রুমে তোর বোন আছে আর আমার অবলা বউ আছে। বউয়ি আপাতত বড় সমস্যা!!
ঈশান গম্ভীর মুখে বললো!!
__তাহলে ছাদে কে
__ড্যাড ।
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৬
__ছি ছি ছি শেষ মেষ কিনা সহজ সরল আংকেল টাকে ও ছারলি না।
আদিল দাঁতে দাঁত পিসে কিরমির করতে করতে বললো !!!
__চুপ কর সালা! ফোন রাখ।
ড্যাড আমার জীবন ডারে পুরা পান্তা ভাত বানিয়ে দিলো দুই ভাই বোন মিলে। এখন আমার কি হবে ড্যাড???
