এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩১
Chadny islam
আশরাফ সিকদার সহ বাড়ির প্রত্যকটা মানুষি বেশ অবাক হন।আদিল এর এক এক করে দুই মিলাতে সময় লাগলো না।আদিল ঈশান কে কল করে অতিদ্রুত বাসায় আসতে বললো!! আদিল ইরার নাম্বার টাকে ট্যাক করতে শুরু করলো। বাড়ির লোকেশন টা বেশ দূরে Black Rose বাড়ির দিকে বলছে।ওই খানে লাস্ট ইরার ফোন বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিলো।আদিল এর চিন্তিত গলায় বললো!!ইরা ঠিক আছে তো। আদিল আর দাড়ালো না সোজা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাবে ঠিক করলো। আশরাফ সিকদার আদিল কে টেনে নিয়ে বললেন!!
___আমি তোমার সাথে যাই বরং।
আদিল কোনো রকম তাড়াহুরা করে বললো!!
___ কোনো প্রয়োজন নেই ড্যাড আমি সামলে নিতে পারবো। তবুও আশরাফ সিকদার আদিল এর সেপ্টির কথা চিন্তা করে আদিব কে সাথে পাঠিয়ে দিলেন।আদিল হন্তদন্ত পায়ে ছুটে বেরিয়ে গেলো বাড়ি থেকে।
আশরাফ সিকদার নিজেও চুপচাপ বসে রইলেন না হাত গুটিয়ে! বরং কল করলেন রিফাত কে। আর বললেন!! আদিল এর পিছু নাও আর সাথে বডিগার্ড নিয়ে যাও। কুইক আমার ছেলে মেয়ে দের যেনো কোনো কিছু না হয় দরকার পরলে শয়ে শয়ে লোক পাঠাও।
কিছু দূর যাওয়ার পর ঈশান কে ও সাথে গাড়িতে তুলে নিলো গেলো আদিল। গাড়ি ডাইভ করছে আদিল গাড়ির এত স্পিড দেখে সবারি প্রান আত্মা বের হওয়ার উপক্রম। ঈশান কিছুই জানে না তার আশার কারন আদিল নিজেই। তার একটা কলি যথেষ্ট ঈশান এর তার কাছে আনার জন্য।আদিল কে কখনো এতটা উওেজিত হয়ে গাড়ি চালাতে দেখে নি ঈশান।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
_____গুপ্ত ঘরে______
ইরার গুমের ঘুর কোনো রকম কাটতে না কাটতেই ভেসে আসলো হট্ট হাসির আওয়াজ। অন্ধকার রুমে অল্প অল্প আলোর প্রতিফলন হচ্ছে৷ পারুল এর কথা মনে পরতেই ইরা ব্রেড এর দিকে তাকাই। কি আশ্চর্য ব্রেড দূরেই যাক রুমে একটা মানুষ নেই পযর্ন্ত। পারুল কে কি করলো তাহলে তারা। আচ্ছা আদিল কোথায় ওনি কি আসবেন না আমাকে নিতে। ইরা কান্না সিক্ত গলাই চিংকার করে বললো!!
___আমি বাঁচতে চাই আপনার সাথে সুখের সংসার করতে চাই প্লিজ আমাকে নিয়ে যান এখান থেকে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইরার গা গলিয়ে আবারও বমি করতে শুরু করে।এখানে সাধারণ কোনো মানুষ টিকে থাকতে পারবে না।হয়তো ইরা অঙ্গান ছিলো বলেই বুঝতে পারে নি। অতিরিক্ত বমি হওয়ার ফলে শরীরের দূর্বলতা অনেক খানি কমে গেছে। মাথায় অশ্রশ্চ রকমের যন্ত্রণা হচ্ছে।ইরা ভাবছে তার সাথে করে নিয়ে আসা ফোন টা কোথায়। ইরা এদিক সেদিক চোখ গুরিয়ে খুজার চেষ্টা করতে লাগলো ফোন টা কে। তার আনা পার্স টা পরে আছে মাটিতে।রুমের ভেতরে একটা ব্রেড আর কিছু যন্ত্র পাতি ছাড়া তেমন কিছুই নেই। ইরার কষ্ট হচ্ছে ভিষণ কষ্ট হচ্ছে। কি করবে সে কিভাবে বেরিয়ে যাবে এই অন্ধকার ঘর থেকে। ইরা চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো!!
____আমাকে যেতে দে।আমার জন্য সবাই চিন্তা করছে। আমি কাউকে বলে আসি নি এই খানে। আমার কোনো কিছু হয়ে গেলো আমি কিভাবে বললো আমার বাজে লোকটাকে আমি তাকে ভিষণ ভালোবাসি। আমি তার সাথে সারাজীবন কাটাতে চাই।আমি সংসার করতে চাই সারাজীবন এর জন্য তাকে নিজের করে পেতে চাই। আমি ভালোবাসি আপনাকে আমাকে নিয়ে যান প্লিজ। আমার ভিষণ কষ্ট হচ্ছে। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান সবাই খারাপ আমাকে বাজে ভাবে টাসস করার চেষ্টা করছে কোথায় হারিয়ে গেলেন আপনি।
সবাই কে শাস্তি দেয়ার জন্য হলেও আপনাকে আসতে হবে।
প্রিয়াশ সহ আর ও সাত জন ডক্টর মিলে Black Rose বাড়ির ভেতরে কথা বলছে। আর কিছু মদের বোতল নিয়ে বসেছে। এই গুলা খাওয়া শেষ করে ইরার কাছে যাবে।সবাই ইচ্ছে মতোন নেশা করে নিলো। তার পর এক এক করে চলে গেলো বাড়ির ভেতরে।
আদিল কে এমন পাগলামি করে গাড়ি চালাতে দেখে ঈশান বললো!! তুই গাড়ি থামা শান্ত হ আমি ডাইভ করছি। আদিল যেনো কারোর কথা কানেই নিলো না। সিকদার মহল থেকে এই বাড়িতে আসতে মিনিমাম এক ঘন্টা সময় লাগে। সেখানে আদিল ৩০ মিনিট এর মধ্যেই চলে এসেছে। গাড়ি টা কোনো রকম দাড় করিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। রতন মিয়া এগিয়ে গেলো আদিল এর কাছে জানলে চাইলো কি হয়েছে।আদিল রতন মিয়ার পরা শার্ট এর কলার টেনে দরে রিরি করে করে বললো!!
____কুওার বাচ্চা আমার বউ কই???
রতন মিয়া যেনো খুব অভাক হলো। যে কি করে জানবে তার বউ কই।আদিল রতন মিয়া কে ছেড়ে দিলো। ঈশান আর আদিব চলে গেলো বাড়ির ভেতরে আদিল চলে গেলো রতন মিয়ার রুমের ভেতরে।
সাত টা পুরুষ মানুষ সাথে প্রিয়াশ সব মিলিয়ে আট জন। এত গুলা পুরুষের বাজে নজরের কেন্দ্র বিন্দু ইরা।লজ্জায় মাথা নত করে রেখেছে ঘৃন্না করছে এদের কে দেখে। একেক টা পুরুষ নামের কলঙ্ক। ডক্টর হয়ে কিভাবে মেয়ে দের সাথে এই গুলা করার সাহস পাই। ইরা ভয়ে নেতিয়ে আছে চোখ বেরে ছরে পরছে অজস্র ক্ষুদ্র কোণা। ইরা ভাবছে সে কি হাসবে নাকি কাঁদবে। প্রিয়াশ ইরার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে বললো!!
____তোকে তো আমার প্রথম দিন থেকেই বেশ ভালো লাগতো। তোর রুপ তোর তেজ অপস বুকে লাগার মতেন। আদিল এর চয়েস আছে বলতে গেলে। আদিল এর জন্য দুঃখ হচ্ছে! তার সাধের বউ টা কিনা আজ এখন এই মূহুর্তে আমার সাথে আমার বিছানায় থাকবে।
বলেই প্রিয়াশ এক হট্টগোলে মেতে উঠলো!
ইরার ঘৃনায় শরীরের শীরা অপশীরার প্রতিটা লোম দাড়িয়ে গেছে!ইরা বসা অবস্থায় প্রিয়াশ এর দিকে থুতু ছুরে মারে যা প্রিয়াশ এর মুখে গিয়ে পরে ইরা শক্ত গলাই চিৎকার করে!!
___ছি ভাই হয়ে কিনা তার বউ এর দিকে কুনজর দিচ্ছেন। এই ভাই নামক জানোয়ার কে শাস্তি দেয়ার জন্য হলেও আপনাকে আসতে হবে আদিল। আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।আমি আমার মৃত্যুর আগেই এই মানুষ টার কঠিন শাস্তি টা দেখে যেতে চাই।
ইরার থুতু ছুরে মারার সাথে সাথে প্রিয়াশ এগিয়ে আসলো ইরার দিকে। ইরার চুলের মুঠি শক্ত করে টেনে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো গালে। সাথে সাথে ইরার ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়ে এলো। ইরা ব্যাথায় টুকরে উঠলো। তবুও তার মুখে হাসি দেখে প্রিয়াশ রাগে ফুসফুস করতে লাগলো! পাশেই থাকা আরেক টা লোক ইরার হাতের বাঁধন টা খোলে দিলো। লোকটা ইরার শরীরের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত হাসি টেনে একটা ভারী নিঃশ্বাস টেনে বললো!!
____এই শালীর পুরা শরীরে তেজ আর তেজ।
এক এক করে সবাই ঘিরে দরলো ইরা কে। ইরা বেশ ভয় পাচ্ছে। প্রত্যেক টা পুরুষের শরীর থেকে বাজে এলকোহল এর গন্ধ ভেসে আসছে।তারা প্রতিটা মানুষ নেশাগ্রস্ত। ইরার ভাবনার মাঝেই এক লোক এসে ইরার বুকের উপর থেকে এক হেচকা টানে ওড়না নিচে ফেলে দিলো। চুলের হাত খোঁপা টা এক টানে ছাড়িয়ে দিলো। যা ছর ছর করে কোমর পযর্ন্ত গিয়ে পরলো।কি নেশালো চাহনি যে কোনো পুরুষ কে কাবু করার জন্য বোধ হয়এই সৌন্দর্য যথেষ্ট। প্রিয়াশ জেনো বেশ মজা নিচ্ছে। ইরাকে বেঁধে রাখা চেয়ারে বসে নিজে আরামে সিগারেট খাচ্ছে।আর দৃশ্য দেখছে। ইরা দুই হাত বুকের উপর দিয়ে নিজে কে আড়াল করার ব্যার্থ চেষ্টা করতে লাগলো। ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরছে। আজকে কি কোনো ভাবেই নিজের সম্মান টা কে শেষ বারের মতোন বাঁচানো যাবে না।হে আল্লাহ মৃত্যু হক আমার আমি হাসি মুখে বরণ করে নিবো! কিন্তু আমার কোনো কলঙ্ক না হোক। আল্লাহ আমি কলঙ্কিত হওয়ার আগেই আমার মৃত্যু মঞ্জুর করুন৷ এই জানোয়ার গুলা থেকে আমাকে রক্ষা করুন৷
আরেক টা ডক্টর এগোলো ইরার দিকে ইরার হাত স্পর্শ করতে চাইলে ইরা চিৎকার করে উঠে!!
___ প্লিজ আমাকে মেরে ফেলুন তবু ও আমাকে কলঙ্কিত করবেন না বাজে ভাবে আমাকে স্পর্শ করবেন না ।
ইরার কথায় পর পর সবাই গলা ছেরে হিহি করে হেসে ফেললো। কি ভয়ংকর হাসি ঘৃণা লাগছে নিজের প্রতি কেনো সে কাউকে কিছু না বলে এই খানে এসেছে।
একটা লোক আবার ও ইরা কে দরতে এগোলে প্রিয়াশ থামিয়ে দিয়ে বললো। ওরে আগে আমার বিছানায় পাঠা।বলেই প্রিয়াশ নিজের শরীর এর শার্ট টাকে এক টেনে নিচে ফেলে দিলো। আর বাঁকা হাসি হেসে বললো!!
____ভাবীর সাথে বাসর করার মজাই আলাদা।
ইরা এতখন মাথা নত করে থাকলে ও প্রিয়াশ এর শেষ ভাবী বলা কথাটা যেনো কানের ভেতরে গিয়ে পৌঁছালো। ইরা মাথা তুলে তাকালো প্রিয়াশ এর দিকে। ঘৃণায় লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করলো।ইরার অজান্তেই চোখে পরলো প্রিয়াশ এর গলার লকেট টা।এই লকেট টা তো সে চিনে। হ্যা মনে পরেছে এটা তো আপুর কাছে ছিলো। কিন্তু সেই এক রকম লকেট প্রিয়াশ এর কাছে কি করে। ইরার প্রশ্ন ছুরে দিলো প্রিয়াশ এর দিকে!!
___এ..এই লকেটা কার?? আমি তো চিনি এইটা কে আগে ও দেখছি।
প্রিয়াশ ভয়ংকর হাসি হেসে বলে!!
____দেখা টাই স্বাভাবিক আদ্রিতা কে দিয়ে ছিলাম এই রকম একটা লকেট।
ইরা অভাক হয়। আদ্রিতা কে কিভাবে দিবে প্রিয়াশ! তাহলে কি আদ্রিতার সাথে আগে থেকেই কোনো সম্পর্ক ছিলো এই লোকের। ইরা আমতা আমতা করে বলে!!
___মা..মানে???
কোনো মানে নেই। তোমার বোন আমার অতীত সম্পর্কে সব জেনে গিয়ে ছিলো তাই সোজা উপরে পাঠিয়ে দিয়েছি এখন তোমার পালা।যাও তুমি ও উপরে গিয়ে বোনের সাথে দেখা করো। প্রিয়াশ কথা শেষ করে হিহি করে হেসে দিলো।
ইরা রাগে কটমট করতে লাগলো আর বললো!!
____আমার আপু কে তাহলে তুই মেরেছিস। কেনো মারলি আমার আপু কে!জানোয়ার এর বাচ্চা।
ইরার বকা শুনে প্রিয়াশ আর দাড়ালো না এগিয়ে গেলো ইরার দিকে। ঠিক তখনি রুমের ভেতরে প্রবেশ করলো আদিল। হঠাৎ কারো আগমনে সবাই পেছন ফিরে তাকালো। পেছন ফিরে আদিল কে দেখে সবাই ভয়ে কুকরে উঠলো।সবার এত খনে কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে গেছে। সবাই ইরার থেকে বেশ দূরে সরে গেলো। কি অদ্ভুত ইরার মুখে হাসি ফুটেছে। তাকে বাচাতে এসেছে তার ভালোবাসা মানুষ। আদিল এগিয়ে গেলো ইরার দিকে। ইরার চোখ থেকে পানি ঝরছে আদিল আলতো ছুঁয়ে চোখের পানি মুছে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
____ঠিক আছো বউ!!
ইরা দৌড়ে গিয়ে আদিল কে শক্ত করে জড়িয়ে দরলো আদিল এর বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতে বললো!!
____আপনি এসেছেন। আমি জানতাম আপনি আসবেন।
আদিল ইরার কপালে আলতো চুমু খেয়ে বললো!!
___আমাকে তো আসতেই হতো বউ।
আদিল এর কথা শেষ করার আগেই ইরা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো!!
___ভিষণ ভালোবাসি আমি আপনাকে।
আদিল যেনো ভুল শুনলো কানে। তার বউ কিনা আজ তাকে ভালেবাসার কথা জানালো। তাও এই বিপদের মধ্যে।কি অদ্ভুত ভালোবাসা এত গুলা দিন এক সাথে থাকার পর ও স্বীকার করলো না আর আজ না চাইতেও বলে দিলো। আদিল ইরা কে চেয়ারে বসিয়ে আদিল মাটিতে পরে থাকা ওড়না টা ইরার পুরো শরীর জড়িয়ে দিলো! আর সবার দিকে তাকিয়ে রাগী রিরিরি করে বললো!
___আমার বউয়ের ওড়না কে সরায়ছে।কোন সুওরের বাচ্চার মরার শখ হয়ছে সামনে আই।
আদিল হাতের তুরি মেরে বললো!!
___কে আমার বউয়ে ছুয়ে দিছিস।
লোক গুলার ভয়ে কাঁপা কাঁপা শুরু করে দিছে।আদিল কিভাবে জানলো তার বউ এখানো আছে। আদিল ইরার পাশে রাখা রটএর খন্ড টা হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলল ইরার দিকে তাকিয়ে থাকা লোক টার মাথায় বারি দিয়ে রিরি করে বললো!!
___কুওার বাচ্চা আমার বউ এর দিকে তাকানোর সাহস পেয়ে ছিস কোথা থেকে।
আদিল এক এক সব গুলা কে রট দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করলো। তাদের এমন অবস্থা করা হয়েচে যে মনে হয় না জীবনে উঠে দাড়াতে পারবে বা অন্য কারোর দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে।আদিল এর ইচ্ছে করছে একেক টার চোখ তুলে ফেলতে। আদিল এর ভয়ংকর রুপ দেখে প্রিয়াশ এর কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে গেছে।এর মাঝে ঈশান আর আদিব খুঁজতে খুজতে চলে আসে গুপ্ত ঘরে। ইরার ঠোঁট কেটে রক্ত পরছে দেখে ঈশান দৌড়ে গেলো বোনের কাছে। আগলে দরলো বোন কে। ঠিক আছিস বুনু!
ইরা কান্না রত গলাই বললো!!
___হ্যা আমি ঠিক আছি ভাইয়া ।
আদিল সবাই কে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এগিয়ে গেলো প্রিয়াশ এর কাছে এত খনে প্রিয়াশ নিজের শার্ট পরে নিয়েছে।আদিল সোজা গিয়ে দরছে শার্ট এর কলারে। প্রিয়াশ রাগে ফুসফাস করতে করতে বললো!!
____ভাই একটা মেয়ের জন্য আমাদের সম্পর্ক টা নষ্ট করো না তার পরিনাম ভালো হবে না।
আদিল যেনো প্রিয়াশ এর কথাই হেসে ফেললো।সে কোনো ভালো খারাপ এর পরোয়া করে না এই কথা কি প্রিয়াশ জানে না৷ আদিল প্রিয়াশ কে এক ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো মাটিতে। আর রিরি করে বললো!!
____ফা….কিং ইউর… সম্পর্ক।
বলেই আদিল চুপ হয়ে গেলো! কি না করছে এই প্রিয়াশ এর জন্য জীবনের সব ভুল গুলো কে নিজের কাধে নিয়েছে। তার পড়াশোনার জন্য ফ্যামিলি কে বুঝিয়ে ইউএস পাঠিয়ে দিয়েছে। যাতে একটু মানুষ হয় কিন্তু না এ এক অমানুষ হয়ে দেশে ফিরেছে। মায়ের মতোন ভাবীর শরীরের দিকে বাজে নজর দিয়েছে। প্রিয়াশ মাটি থেকে উঠে দাড়ালো আর আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
____ভাই শএুতা সৃষ্টি করো না৷ এই মেয়ে টাকে মেরে দাও নয়তো বিপদে পরবা।আমাদের সব কিছু জেনে গেছে!
“””মেরে দাও কথা টা গিয়ে যেনো লাগলো ঈশান এর কানে। ঈশান এক গুসি মেরে দিলো প্রিয়াশ এর নাক বরাবর! শুওরের বাচ্চা বোন হয় আমার। শরীরে হাত দিয়ে দেখ।তোরে জিন্দা কবর দিয়ে দিবো এই খানে।
আদিব গিয়ে থামালো ঈশান কে। প্রিয়াশ সিকদার বাড়ির ছেলে। তাছাড়া ওর ব্যবস্থা পুলিশ করবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ঠিক হবে না।
আদিল এর শৈশব বলতে ছিলো শুধু প্রিয়াশ সে ছিলো ভাইয়ের মতোন বন্ধু। তার সব ভুল খমা করা হলে ও আজকের ভুল খমা করা অসম্ভব। প্রিয়াশ এর কনফিডেন্স লেবেল অতিরিক্ত। সে জানে আদিল প্রতি বারের মতোন এই বার ও খমা করো দিবে। তাই চেয়ারে গিরে বসে সিগারেট দরিয়ে আদিল কে উদ্দেশ্য বললো!!
___চাপ নিস না তোর বউ কে আমি রিল্যাক্সে ভ্যনিস করে দিবো। ঠিক ওর বড় বোনের মতোন করে।
প্রিয়াশ নিজের কথা শেষ করে ভয়ংকর হাসি হেসে দিলো। কি বাজে সেই হাসি ইরার গা গলিয়ে এলো। আদিল ওঠে দাড়িয়ে প্রিয়াশ এর চেয়ারে এক সজোড়ে লাথী মারলো সাথে সাথে প্রিয়াশ চেয়ার ভেঙে নিচে পরে গেলো। আদিল এর হাতের রট টা দিয়ে প্রিয়াশ কে পিটাতে শুরু করলো। প্রিয়াশ ব্যাথা টুকরে উঠলো চিৎকার করে লাগলো। আদিল ছার আমাকে আদিল আদিল…
আদিল যেনো কোনো ভাবে থামলো না আদিব এর ভিষণ ভয় হচ্ছে। সে কখনো আদিল এর এমন ভয়ংকর রুপ দেখে নি। তাকে আটকাতে গেলে যদি কিছু করে আদিব এর ভাবনার মাঝেই ইরা এগিয়ে গেলো আদিল এর দিকে। আদিল কে আটকানোর চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু ইরা ছোট মানুষ কোনো ভাবে পেরে উঠলো। ইরা কিছু টা চিৎকার করে বললো!!!!!
____প্লিজ এই জানোয়ার টা কে আর মারবেন না।
আদিল তাকালো ইরার দিকে কিন্তু কিছু বললো না।ইরা এগিয়ে গেলো প্রিয়াশ এর দিকে এক দলা থুতু ছুরে মারলো প্রিয়াশ এর মুখে। আর বাজে ভাষায় কয়েক টা বকা আর গালি দিয়ে বললো!!
____তোর মতোন জানোয়ার কে এক বারে মেরে দিলে আমার আপুর আত্মা তৃপ্তি পাবে নয় তাই তোকে আমি একটু একটু মারবো। যা দেখে তুই নিজেই ভয়ে মরে যেতে চাইবি। তোর মৃত্যুর দিন গুনা শুরু কর পশু।
বলেই ইরা ডাকলো ঈশান কে!!
__ভাইয়া ওই চেয়ার এর সাথে শক্ত করে বেঁধে ফেলো এই জানোয়ার টাকে।
ইশান ওঠে গেলো প্রিয়াশ এর কাছে প্রিয়াশ এর শরীরে কিছু কিছু জায়গা থেকে রক্ত পরছে। অতিরিক্ত রট দিয়ে মারার ফলে প্রিয়াশ নিজের শরীর নারাতে পারছে না ব্যাথায় টুকরে উঠছে।ইশান এর সাথে তেমন জোরাজুরি করে পেরে উঠলো না। ঈশান ইরার কথা অনুযায়ী প্রিয়াশ কে চেয়ারের সাথে শক্ত করে বেঁধে ফেলল !!
আদিল উঠে গেলো পৃরিয়াশ এর দিকে চুলের মুঠি দরে টেনে বললো!!
____আইরা কোথায়???
প্রিয়াশ যেনো এক তারছিল্লের হাসি হেসে বললো!!
____আইরা না বলো আমার রাত পরী!আমার রাত পরী আমার কাছেই থাকবে।
আদিল রাগে কটমট করে বললো!!
____ফা…কিং ইউ আইডিয়া । তুই বেঁচে থাকবি কিনা সেটা নিয়ে ভাব।
প্রিয়াশ বাঁকা হেসে বললো!!
___আমি বেঁচে থাকলে আমার রাত পরী ও বেঁচে থাকবে। আর আমি আমার করে রাখবো রাত পরী কে।
আদিল এর জেনো ধেযের বাধ ভেঙে গেলো।রাগে রাগান্বিত হয়ে ফুসফাস করতে লাগলো!! প্রিয়াশ এর কথা যেনো সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু আইরা কে কোথায় রেখেছে জানতে তো হবে। আর আদিল নরম গলাই বললো!!
____তোর সাথে ফাজলামো করতে আমি এই খানে আসি নাই।আমার কে বউ আমি পেয়ে গেছি৷ এখন আইরা কোথায় সেইটা বল??
আরে ভাই রিলাক্স! ওই যে বললাম আমার রাত পরী। আমার সাথেই থাকবে। তোমরা আসতে পারো।
ইরা এগিয়ে গেলো প্রিয়াশ এর দিকে। সে জানে প্রিয়াশ ভালো লোক না তাকে বোঝানো মানেই বোকামি। আর টাইম ওয়েষ্ট তাই ইরা ব্রেড এর পাশে ছোট টেবিলে রাখা কিছু যন্ত্রপাতি যা দিয়ে মৃত মানুষ এর শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পার্ট গুলা কে আলাদা করে। ইরা সেখান থেকে একটা নতুন ব্লেড হাতে নিয়ে এগিয়ে আসলো প্রিয়াশ এর দিকে ইরা প্রিয়াশ এর শার্ট টাকে একটানে ছিড়ে ফেললো। তার পর ব্লেড হাতে নিয়ে পিঠের মাঝে কয়েক বার ব্লেড দিয়ে আঘাত করতে লাগলো। নতুন ব্লেড হওয়ার শরীরের সাথে লাগার সাথে সাথে কেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু লাগলো। প্রিয়াশ এর কেনো প্রতিক্রিয়া নেই মনে হচ্ছে তার শরীরে কোনো ব্যাথায় লাগছে না।ইরা অভাক হলো আর আঘাত করলো না। আরেকটু সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখলো মদের বোতল টা নিয়ে আসলো। বোতল টা থেকে সব মদ ডেলে দিলো প্রিয়াশ এর পিঠে। সাথে সাথে প্রিয়াশ চিৎকার করতে শুরু করলো। মদের ঝাঝে কাটা জায়গায় পোড়ানো শুরু হয়ে গেলো। প্রিয়াশ চিৎকার করে ডাকছে আদিল কে!!
____ভাই প্লিজ বাঁচাও। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। ভাই
ইরা যে বেশ সাহসী মেয়ে আদিল জানতো কিন্তু আজকে যেনো তারি একটা উদাহরণ সর্রোপ প্রমান পেয়ে গেলো। ইরার চোখে মুখে ভয়ংকর প্রতিশোধ নেয়ার তীব্র আঙ্কাখা জেগে বসেছে। পারুল এর খুন আর বড় আপু আদ্রিতার ধর্ষণ সব জেনো ঘটে যাওয়া এক সত্য ঘটনা।ইরা শব্দ করে হেসে ফেললো আর বললো!!!
____মৃত্যুর থেকেও কঠিন শাস্তি দিবো আমি তোকে।যেনো তুই পরকালে গিয়ে ও আমাকে ভুলতে না পারিস! আজ থেকে মরার জন্য দিন গুনতে থাক জানোয়ার।
আদিব প্রিয়াশ এর দিকে এগিয়ে গিয়ে শান্ত গলাই বললো!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩০
____কেনো এমন করলা ভাই। এত গুলা মানুষের জীবন কেনো নষ্ট করছো তুমি। আজকে তুমি ও আমাদের মতেন স্বাধীন থাকতে! তোমার ও একটা সুখের সংসার হতো। মুক্ত আকাশে উরে বেড়াতে পারতে। কি করলা ভাই তুমি।
আদিল নিশ্চুপ তার প্রাণ যাই যাই অবস্থা। প্রিয়াশ এর জন্য এক বুক হা হা কার বিরাজ করছে।ছেলে মানুষ কাঁদে না এটা কি সত্যি তাহলে আজ কেনো চোখ ঘরিয়ে পানি ঝরছে। আমার ছোট বেলা আমার শৈশব বলতে আমি শুরু তোকে বুজতাম।আমার জান টা বেরিয়ে গেলে ও হয়তো এত কষ্ট হতো না। আদিল ধপাস করে মাটিতে বসে পরলো।
আদিব এর কান্না ও জেনো থামছে না। তারা তো সবাই কিছু খন পরেই চলে যাবে। কিন্তু থেকে যাবে প্রিয়াশ! আদিব আর কোনো কথাই বলতে পারছে না এই একটা কথা ছাড়া!!!
____ভাই কেনো করলা তুমি এমন???
