এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩২

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩২
Chadny islam

প্রিয়াশ যেনো এক অদ্ভুত গুরের মাঝে ছিলো।সে কি করলো এত গুলা দিন কিসের জন্য দৌড়াল কি পেলো এই জিবনে শূন্যতা ছাড়া। আদিল এর ভালোবাসা যেনো আজ গভীর ভাবে ছুয়ে দিল প্রিয়াশ এর শক্ত পুরুষালী মস্তিষ্ক জুরে। ইরা আদিল কে মাটিতে থেকে তুলে দাড় করিয়ে সর জুরে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিলো গালে! যা দেখে রীতিমতো সবাই অভাক বেশ হয়ে গেলো।ইরা সোজা টেনে খামছে দরলো আদিল এর শার্ট। শক্ত গলাই মেজাজ হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো!!

____আমি আপনাকে ভালোবাসি।
আদিব হালকা হেসে বললো!!
___ভাই এই প্রথম দেখলাম থাপ্পড় মেরে কাউকে ভালোবাসা প্রকাশ করতে।
ইরা কানে নিলো না আদিব এর কথা! ইরা রাগে ফুসফাস করে বললো!!
____মানুষ নাকি যাকে ভালোবাসে তাকে ঘৃণা করতে পারে না। বিশ্বাস করুন আপনার প্রতি আমার এক আকাশ পরিমাণ ঘৃনা হচ্ছে।
আদিল মাথা নত করে আছে সে জানে ইরা কি বলতে চাইছে। আদিল চুপ করে ইরার কথা শুনতে লাগলো।ইরা টুকরে কেদে উঠলো!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

____যে পাপ করে আর যে পাপ দেখে সে সমান পাপী। আপনি ও তার ব্যাতিক্রম নয়। আপনি ও পাপী।আমার নিষ্পাপ ভালোবাসা আমি আপনার মতোন পাপীর হাতে তুলে দিতে পারি না।
আদিল মাথা নত করে আছে সে কিভাবে বুঝাবে তার বউ কে। সে তো বার বার সুযোগ দিয়ে ছিলো যেনো প্রিয়াশ ঠিক হয়ে যায়।ওর ভালোর জন্যই পাঠিয়ে দিয়ে ছিলো ইউএসএ সেখান থেকেও ঠিক হয় নি। ভালোবাসলে মানুষ এক বার দুই বার নই হাজর বার ও ভুল খমা করার ক্ষমতা রাখে।ইরার চোখের পানি আদিল মুছে দিতে দিতে বললো!!

____হুম আমি পাপী! আমি খারাপ পাপিষ্ঠ আমাকে মেরে দাও। তাহলে যদি আমি একটু শান্তি পাই।
ইরা তারছিল্লের হাসি হেসে ফেললো !!
____এত টা বোকা ভাববেন না আমাকে!
আদিল অভাক হয়ে বললো!!
__মানে!!!
“”মৃত্যু সে তো খুবি সহজ জিনিস! মেরে দিলাম মরে গেলেন কাহিনি শেষ। আমি আপনাকে জীবন্ত মৃত্যু মঞ্জুর করলাম আদিল সাহেব। আপনি একটু একটু করে মৃত্যুর স্বাদ পেতে থাকবেন সারা জীবন।
“””তোর থেকে দূরে থাকা আর মৃত্যু বরন করা দুই টাই এক আমাকে প্লিজ দূরে ঠেলে দিস না। শাস্তি দে নয়তো মেরে দে।সারাজীবন জীবন্ত মৃত হয়ে আমি বাঁচতে চাই না।
ইরা হাসলো ভিষণ হাসলো সব টাই নাটক মনে হলো। এত দিন প্রিয়াশ এর নাটক দেখেছে। এখন থেকে আদিল এর নাটক দেখবে। এরা কি আজও প্রেম ভালোবাসা কিছু বুঝে। এরা তো পারে মানুষ এর মন নিয়ে খেলতে। ইরা এগিয়ে গেলো প্রিয়াশ এর দিকে প্রিয়াশ মুখ চেপে দরে বললো!!

___আইরা কোথাই???
প্রিয়াশ এর সেই এক কথা! রাত পরী আমার! ও আমার সাথে থাকবে। ইরা রেগে গেলো এগিয়ে গিয়ে আরেক বোতল মদ নিয়ে আসলো এনে প্রিয়াশ এর মুখ চেপে বোতল ঢুকিয়ে দিয়ে বললো!!
___বল আইরা কোথায়! নয়তো তোর এই সুন্দর চেয়ারা টা আমি নষ্ট করে ফেলবো।
প্রিয়াশ চুপ কিছু বলছে না। তাই দেখে ইরা আরেক টা চুরি নিয়ে আসলো ব্রেড এর উপর থেকে। এনে প্রিয়াশ এর বাধা এক আঙুল কেটে ফেলে দিলো। প্রিয়াশ ব্যাথায় টুকরে উঠে চিৎকার করতে লাগলো!! ইরা শুনলো না! আর না বুঝার চেষ্টা করলো প্রিয়াশ এর যন্ত্রণা। প্রিয়াশ এর গালে চুরি দিয়ে আঘাত করতে লাগলো আর বললো আমি আর একবার জিজ্ঞেস করবো যদি না বলিস তোর যে অবস্থা করবো আমি। তুই নিজেই নিজেকে দেখলে ভয়ে মরে যেতে চাইবি।প্রিয়াশ এর গাল থেকে রক্ত পরতে শুরু করছে। কি ভয়ংকর দেখতে লাগছে রক্তে পুরো মুখ ছড়াছরি। ইরা একটা চেয়ার টেনে সামনে এসে বসলো পায়ের উপর পা তুলে। আর কিনচিত হেসে বললো!!

___জীবনে মেয়ে দেখেছিস হয়তো অনেক। কিন্তু আমার মতোন একটা ও দেখিস নি। আপু হয়তো সুযোগ পেরে ছিলো না তোকে মারার।নয়তো আমার আপু ছেড়ে দেয়ার মতোন মানুষ ছিল না! ।জীবনে অনেক পাপ করেছিস হিসাব এর খাতা টা এবার মিলিয়ে নে। সব পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।
ইরা উঠে গেলে চেয়ার থেকে। তার মনে হচ্ছে আইরা এই খানেই কোথাও আছে। তাই নিজের ফোনের ফ্লাস ওন করে এগোতে লাগলো সামনের দিকে। সামনেই সেই রহস্যময় দরজা। ইরা পিট পিট পায়ে এগোলো দরজার দিকে। কিছু টা দূরে পেছনে আদিব ইশান এর থেকে বেশ দূরত্ব নিয়ে এগিয়ে য়াচ্ছে! ইরা এই ঘরের সব রহস্য বেধ করে তবেই ফিরবে। ঈশান এর পেছন পেছন গেলো আদিব। সারা ঘর গুটগুটে অন্ধকার দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলো ইরা! আশেপাশে লাইট এর সুইস খুজতে লাগলো। খুজতে খুজতে কিছু সময় পর পেয়েও গেলো। সুইচ ওন করার সাথে সাথে পুরো ঘর আলোকিত হয়ে উঠলো। সামনে যা দেখলো রীতিমতো তা দেখে অভাক হলো!

পুরো ঘরে সয়ে সয়ে মেয়ে। সবার হাত পা বাঁধা কয়েক জন অঙ্গান হয়ে পরে আছে। হাতে গুনা দুই একটা মেয়ে শ্যাম বর্নের আর বাকি সব গুলা দবদবে ফর্সা। এত গুলা মেয়ে কে দিয়ে কি করে এরা। সবাই অসহায় দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে ইরার দিকে। ইরার চোখ আইরা কে খুঁজতে লাগলো। কি আশ্চর্য আইরা তো এই খানেও নেই।এই এত গুলা মেয়ের মাঝে। এই মেয়ে গুলো কে কি করবে বুঝতে পারছে না ইরা। ইরা বেশ সময় নিয়ে সবার হাতের মুখের বাঁধন খুলো দিলো।তারপর ইশান আর আদিব সব মেয়ে কে এক এক করে বাড়ির বাইরে বের করে নিলো।
ইরা ঘরে ছোট একটা ঘর লখ্য করে ভেতরে প্রবেশ করলো। বেশ ছোট রুম দেখে মনে না ভেতরে কেউ আছে। তাও ইরা ভেতরে প্রবেশ করলে। কি আশ্চর্য এই ঘরটা অন্ধকার নয়। একদম আলোকিত পরিপাটি করে গুছানো। ছোট একটা ব্রেড যেখানে আইয়া সুয়ে আছে। ইরা এগিয়ে গেলো আইরার কাছে গিয়ে ডাকলো বেশ কয়েক বার আইরার কেনো সারা শব্দ নেই। ইরা পাশেই একটা জগ ছিলো সেখান থেকে অল্প পানি আইরার মুখে ছিটিয়ে দিলো। তবুও আইরার হুঁশ ফিরলো না। ইরা ডাকলো ইশান কে!!

___ভাইয়া।।
ইরার এক ভাইয়া ডাক পৌঁছে যায় ঈশান এর কানে ঈশান ছুটে আসে বোন এর দিকে যদি আবার কোনো বিপদ হয়। তাই ইশান ইরা কে জিজ্ঞেস করে!!
___হ্য বুনু বল!!
আইরা কে তুলো আমরা এখনি বাড়ি ফিরবো। ইশান এগিয়ে গেলো আইরার কাছে। আইরা কে কোলে তুলে নিয়ে সোজা চলে গেলো গাড়িতে। আদিল চোখ বরা জল নিয়ে তাকিয়ে রইলো প্রিয়াশ এর দিকে বেশ মায়া হচ্ছে কিন্তু কোনো উপায় নেই।ইরা প্রিয়াশ এর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো!!

___পাপে জয় পাপে ক্ষয় !
____অতি পাপে মরন হয়!
____ সময় কিন্তু কথা কয়!
_____আজকে তোমার কালকে আমার!!!!!
ইরা এক উজ্জ্বল হাসি মাখা মুখ নিয়ে বেরিয়ে যায়।সাথেএক এক করে সবাই উঠে চলে আসলো গুপ্ত ঘর থেকে! শুধু থেকে গেলো প্রিয়াশ অন্ধকার এক পরিত্যাক্ত ঘরে।
রিফাত পুলিশ নিয়ে চলে এসে ছিলো সময় মতোন! মেয়ে গুলো কে আর ডক্টর গুলো কে পুলিশ এর কাছে দিয়ে দেয়া হয়েছে। মেয়ে গুলো কে তারাই পৌঁছে দিয়ে আসবে বাড়িতে। আর লোক গুলার কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

____রাত দুই টা____
সিকদার মহলের প্রত্যেক টা লোক জেগে আছে।তারা রুমের ভেতরেই পায়চারি করছে। ইরার জন্য টেনশন করছে। আশরাফ সিকদার ছেলের নাম্বারে কয়েক বার কল দিয়ে করে ছিলেন! কিন্তু কেউ কল রিসিভ করে নি। তাদের কি অবস্থা কোথায় আছে কেমন আছে। কেউ বুঝতে পারছে না।আশরাফ সিকদার এর হার্ট এ সমস্যা আছে।অতিরিক্ত টেনশনে তার শরীরে বেশ অনেক টাই প্রভাব ফেলবে। অহনা সিকদার কলি কে উদ্দেশ্য করে বললো!!

____ড্রয়ার থেকে তোমার বড় আব্বুর ওষুধ নিয়ে আসো কলি।
কলি এক দৌড়ে ছুটে চলে গেলো ওষুধ আনতে৷ অহনা সিকদার বেশ শান্ত গলাই বললেন আশরাফ সিকদার কে!!
___অতিরিক্ত টেনশন করো না। সব ঠিক আছে।
____প্রায় ৩০ মিনিট পর… _______

ইশান আইরা কে কোলে করে নিয়ে প্রবেশ করলো বাড়ির ভেতরে। আইরা কে দেখে সোনালী তালুকদার দৌড়ে গেলেন মেয়ের কাছে। ইশান সোফায় সুয়ে দিলো আইরা কে মেয়ে কে ঝাপটে দরে কান্না করতে শুরু করলো সোনালি তালুকদার । অহনা সিকদার এগিয়ে গেলেন ইরার দিকে রাগী গম্ভীর গলাই বললেন!!
____বাড়ির বাইরে যাওয়ার পারমিশন কে দিয়ে ছিলো তোমাকে ? তুমি একবার ভেবে দেখেছো তোমার সেপ্টির জন্য আমরা আমেরিকা থেকে চলে এসে ছিলাম। আর তুমি কিনা কাউকে না বলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে গেছো।
ইরার কোনো উওর নেই মাথা নত করে রেখেছে। কি বলবে বুঝতে পারছে না। তাই দেখে আশরাফ সিকদার অহনা সিকদার এর দিকে তাকিয়ে ইশারা করে বললেন চুপ করতে। সাথে সাথে অহনা সিকদার চুপ হয়ে গেলো। আশরাফ সিকদার আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!

___তুমি ইরা কে রুমে নিয়ে ঘরে যাও। আমার আম্মুর রেস্ট নেয়ার প্রয়োজন!
আদিল সোজা ইরা কে হাতে দরে টেনে নিয়ে গেলো রুমে। আশরাফ সিকদার সোফায় বসলেন। সাথে বাড়ীর সবাই! আশরাফ সিকদার কি হয়ে ছিলো সব বলতে বললেন আদিব কে। আদিব গরগর করে গঠে যাওয়া সব কিছু বলতে শুরু করলো আশরাফ সিকদার সহ পরিবারের সবাই কে।
সবার চোখের আড়াল হতেই ইরা নিজের হাত টা আদিল এর থেকে এক ঝটকাই দূরে সরিয়ে নিলো।ইরার চোখে মুখে ঘৃনা ভয়ংকর ঘৃনা।আদিল ভাবলো কিভাবে সম্ভব এই মেয়ে তো কিছুখন আগেও নিজের মুখে বললো আমাকে ভালোবাসে। তাহলে কিছু সময়ের পরিবর্তনে ভালোবাসা কোথায় উধাও হয়ে গেলো।আসলেই মেয়েরা অনেক অদ্ভুত।মেয়ে দের ভালোবাসার মতোনি তাদের ঘৃণা টাও ভয়ংকর!!
ইরা আর কোনো কথা না বলে সোজা গোছলে চলে গেলো।

আদিব সবাই কে সব কিছু বলার পর। আশরাফ সিকদার সহ বাড়ির প্রত্যেকটা লোক ভিষণ রেগে যায়।বিশেষ করে আদিস সিকদার তিনি আগেও কয়েক বার বলে ছিলেন। প্রিয়াশ কে বাসা থেকে বের করে দিতে।কারন পর কখনো আপন হয় না।তার প্রমান প্রিয়াশ নিজেই মাইমুনা সিকদার কান্না করছেন। সাথে ও কলি ও। মা কখনো খারাপ হয় না। সন্তান যতোই খারাপ করুন না কেনো মায়েরা সব সময় ভালোবাসে।আশরাফ সিকদার রাগান্বিত গলাই বললেন!!

____পুলিশ এর কাছে দরিয়ে দিলে না কেনো??
আদিব শান্ত গলাই বললো!!
___আগে ভুলের প্রাসচিন্ত করুক!তারপর না শুশুর বাড়ি ঘুরে আসবে।
আদিব অহনা সিকদার কে বললো!!
___মম খেতে দাও আমার ভিষণ খোদা লাগছে।
অহনা সিকদার বললেন!!
___আগে যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। সাথে সাথে আদিব আর ঈশান ফ্রেশ হতে চলে যেতে চাইলে সোনালি তালুকদার ঈশান কে ডেকে বলে!!
____আমার মেয়ে টাকে একটু ঘরে দিয়ে আসো বাবা!
ঈশান আইরা কে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে আইরার রুমে সুয়ে দিয়ে চলে আসলো।আর আদিব এর রুমে ফ্রেশ হওয়ার জন্য গেলো! এখন রাত প্রায় তিন টার উপরে।এত রাতে বাসায় ফিরে যাওয়া ও কোনো ভাবেই সম্ভব না। তাই আজ বাধ্য হয়ে থেকে যেতে হবে।

কিছুখন আগে ঘটে যাওয়া সব কিছুই প্রকাশ করা হয়েছে।সোশাল মিডিয়া ছুরে ছড়াছড়ি। বিগত কিছু দিন যাদের সন্তান কে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের কেও খুঁজে পাওয়া গেছে। ইয়ান রোশান পুরো টাই দেখলো টিভিতে। ঠোঁটের কোণে দেখা গেলো অল্প হাসির রশ্মি। গভীর রাতে গভীর খুশি অনুভব করতে লাগলো। এখন আর কোনো বাঁধা রইলো না ইরার কে নিজের করে পেতে। রোশান মনে একরাশ আনন্দ নিয়ে কল করলো ইরার নাম্বারে। কল বেশ কয়েক বার রিং হলো। অচেনা নাম্বার দেখে ইরা কল রিসিভ করলো না।কিন্তু বার বার কল আসাতে ইরা ফোন দরতে বাধ্য হলো। আদিল বিষয় টা বেশ কয়েক বার খেয়াল করলো তবু ও কিছু জিজ্ঞেস করলো না । ইরা ফোন টা কানে নিয়ে হ্যালে াবলতেই ভেসে আসলো…

____আমার না হওয়া পূনিমার চাঁদ তোমার মাঝে ঠিক কত টা হাহা কার বিরাজ করছে আমি জানি না।তবে তোমার এই শূন্যতা কে আমি পূর্ণতাই পরিপূর্ণ করে দিতে সক্ষম।
ইরার মুখে সেই রাগি ভাবটা নিমিষেই উধাও হয়ে গেলো। বরং ফুটে উঠলো এক মিষ্টি হাসির রেখা। ইরার বুঝতে বাকি রইলো না অপর প্রান্তের মানুষটি কে! ইরা মিষ্টি হাসি টেনে নিয়ে বললো!!
____গভীর রাতে গভীর ভাবে হাতছানি দেয়ার মানে টা কি??
রোশান দোলনায় দুলতে দুলতে মিষ্টি করে জবাব করলো!!
___আমার মাঝে আমি এক পূর্ণতা খুঁজে পাচ্ছি। আমার অতি ভালোবাসার যেই মূল্যবান জিনিস টা হারিয়ে ফেলে ছিলাম। আজ মনে হচ্ছে….

“””কি মনে হচ্ছে ???
“””তোমাকে পাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্খা হচ্ছে পূর্নিমার চাঁদ। এই পাওয়া না পাওয়ার যুগে আমি শুধু তোমাকেই চাই!
আমি অন্যের হয়ে গিয়েছি।আপনার পূর্নিমার চাঁদ কখনোই আপনার হবে না। তীব্র আকাঙ্খা নিয়ে বাঁচবেন না প্লিজ! আপনি ভুলে যান আমাকে!
____অসম্ভব!!! আমি তোমাকে ভালোবাসি চাঁদ আর সারা জীবন ভালোবাসবো দেখে নিও!
ইরা অল্প হেসে জবাব দিলো!!
____আর আমি সারা জীবন আপনাকে ভালোবাসতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে থাকবো।।

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩১

আদিল বেলকনিতে দুলছে আর ইরার কথা গুলা শুনছে।সে চাইছে না এই কথা গুলা কে শুনতে তবুও যেনো তার কানে পৌঁছাছে! কিন্তু সে এখন চাইলেও অন্য দিকে ফোকাস করতে পারছে না।তার মন পরে আছে এই রুমে ইরার কাছে। আদিল যেনো হাসছে কিন্তু বুঝতে পারছে না এ কি সুখের হাসি নাকি কষ্টের বুকের বাম পাশে ভিষণ ব্যাথা অনুভব হচ্ছে।মনে হচ্ছে জীবনের সব থেকে প্রিয় জিনিস টাই আজ হারিয়ে ফেললো। ভালোবাসার মানুষের চোখে ঘৃনা সে তো মৃত্যুর থেকে ও বেশি যন্ত্রণা ময়।

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here