এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৫
Chadny islam
চারপাশে আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে অতি দ্রুত বৃষ্টি আসতে চলেছে। আকাশে মেঘ ডাকছে চারপাশে অন্ধকার হয়ে আসছে।ঝড়ের বেগ বাড়ছে। ইরার শরীরে জ্বরের তাপমাত্রা আগের থেকে বেশ কমে গেছে। সারা রাত বৃষ্টির কারনে কারেন্ট ছিলো না! তাই ফোন টাও চার্জ করা হয়নি।হয়তো জুথী আর সাজিদ খুব রেগে আছে। তাকে ফোনে পায় নি বলে। ইরার বেশ পছন্দের এক জোরা পাখি আছে লাভ বার্ড। ইরা বেশ যত্ন করে তাদের! নিয়ম করে খাবার দেয়! ইরা ঘরের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে পাখি গুলো কে দানা দিচ্ছিলো।
সালমা চৌধুরী রাতের জন্য রান্না করছে। আজাদ চৌধুরী বসে বসে খবরের কাগজ পর ছিলেন! বাইরে এখনো বৃষ্টি শুরু হয় নি তবে খুব তারাতাড়ি শুরু হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। কে বা কারা জানো দরজার বড় বর করা নারছে । আজাদ চৌধুরী উঠে গিয়ে দরজা খোলে দিলেন দরজা খোলার সাথে সাথে দেখেন সেই সকালের ঘটক টা আবার ও এসেছে। এতে বেশ বিরক্ত হয়ে গেলেন আজাদ চৌধুরী।
ঘটক ৩২ পাটি বের করে হেসে বললেন!!
__ চেয়ারম্যান সাহেব আমি একা আসি নাই তো সাথে মেহমান নিয়া আসছি।।
মেহমান এর কথা শোনার সাথে সাথে জিজ্ঞেস করলেন মেহমান কে!!!
__দরজার বাইরে দাড়িয়ে থাকা ইখলাস খান বলে উঠলেন চেয়ারম্যান সাহেব এখানেই দাড়িয়ে থাকবো নাকি???
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আজাদ চৌধুরী কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেলেন। তার আত্মা সম্মানে বেশ লাগলো কথাটা। সে খেয়াল করেন নি ইখলাস খান কে।
আজাদ চৌধুরী অতি বিনয়ের সাথে ইখলাস খান কে ভেতরে আসার জন্য অনুরুধ করলেন!!!
ইখলাস খান তার বডিগার্ড গুলো কে বাইরে অপেক্ষা করতে বলে নিজে ভেতরে প্রবেশ করলেন। বাইরে রাখা বড় বড় দুইটা গাড়ি নিয়ে করে এসেছেন তারা। সাথে এসেছে ডজন খানেক বডিগার্ড। তারা বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলো ইখলাস খান এর জন্য।
ইখলাস খান পায়ের উপর পা তুলে সোফায় বসলো তার ঠিক পাশেই বসলো কাজী মোল্লা সাহেব। তার কিছু টা দূরে গিয়ে বসলেন আজাদ চৌধুরী।
ঘটক মোল্লা সাহেব আজাদ চৌধুরী কে উদ্দেশ্য করে বললেন!!!
__চেয়ারম্যান সাহেব আপনার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলাম আবারও । সকালে তো প্রত্যাখান করে দিয়ে ছিলেন এবার নিশ্চয় করবেন না আশা করি!!
আজাদ চৌধুরী পূবের নায় আবারও বললেন!!
__আমি একবার নয় দুই বার নয় হাজার বার নিজের মেয়ের বিয়ে প্রতাখান করার ক্ষমতা রাখি।আমি এখনি আমার মেয়ে কে বিয়ে দিবো না। আপনারা আসতে পারেন।
আজাদ চৌধুরীর বেশ জুড়ে কঠিন হয়ে বললেন কথাটা। ওনার এমন চেচামেচি দেখে দৌড়ে আসেন ওনার ওয়াইফ সালমা চৌধুরী। তবে ইরার বাবার কঠিন নিষেধ ইরা যেনো কখনো কারোর সামনে না আসে।
ইখলাস খান বাকা হেঁসে দাতে দাঁত পিসে বললেন!!!
__এত হাইপার হবেন না চেয়ারম্যান সাহেব। আমি এখানে আপনার নাটক দেখতে আসে নি। আমি আমার ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। এখন আপনি আপশে মেনে মিলে ভালো নয়তো আমার ছেলে সমাজ কে প্রায়োরেটি দিবে না সোজা তুলে নিয়ে যাবে আপনার ঘরের সম্মান কে।
“মানে!!!! আপনি কি আমাকে হুমকি দিচ্ছেন???
__না! আমি চাই আপনার মেয়ে কে সসম্মাানে আমার বাড়িতে আমার ছেলের বউ করে নিয়ে যেতে।
ঘটক সাহেব বেশ আকুতি করলেন আজাদ চৌধুরী কে! চেয়ারম্যান সাহেব আপনার এত দিনের ঘরে তোলা সম্মান এক নিমিষেই শেষ হতে দিবেন না। আপনি আমাদের লোক সমাজের অহংকার। মেয়ে বড় হচ্ছে বিয়ে দিতে তো হবেই আগে আর পরে আপনি না হয় একটু ভেবে দেখুন।আপনার মেয়ে সারাজীবন ভালো থাকবে।
ইখলাস খান আজাদ চৌধুরীর হাত দরে অনুরোধ করে বললেন!!! আমার ছেলেকে আমি এতটা পাগল হতে দেখেনি আগে কখনো। আমার ছেলে চাইলে এক নিমিষেই আপনার মেয়ে কে তুলে নিয়ে যেতে পারতো। আমার ছেলে এটা করেনি সে চাই আপনার মেয়ে কে সম্মানের সাথে ঘরে তুলে নিবে। আমাদের শএুতা সৃষ্টি না করে মিলেমিশে সব টা সামলানো উঠিত। আপনি চাইলে ভেবে দেখতে পারেন তবে ভাবনার শেষে যেনো হ্যা টাই আসে। আগামী শুক্রবার এনগেজমেন্টের ব্যবস্থা করে রাখবেন। আজ আসি!!!
কথা শেষ করে ইখলাস খান আর ঘটক মোল্লা সাহেব দূত গঠিতে বেরিয়ে গেলেন বাড়িতে থেকে। বাইরে বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুধু বাইরে নয় বরং বৃষ্টি হয়ে দু-এক ফোঁটা অচূকণা জড়ে পরছে আজাদ চৌধুরীর চোখ বেয়ে।পাশে দাড়িয়ে থাকা সালমা চৌধুরী খুব আকুতি করে বললো তার হাসবেন্ড আজাদ চৌধুরী কে!!
__আমরা এই ভাবে আমাদের মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারবো না চলেন আমরা এই গ্রাম থেকে অনেক দূরে চলে যায়।
ইরা এক কোনে দাড়িয়ে সব টা দেখলো সে কি বলবে বুঝতে পারছে না তার কি করা উচিত সে জানে না। ইরার দুচোখ বেড়ে ঝড়ছে নোনা জল! সে জানে না কে বা কেউ তাকে বিয়ে করতে চাইছে।সে কোন পরিবারের মানুষ দেখতে কেমন মানুষ হিসাবে কেমন।
ইরার বাবা মেয়ে কে নিজের কাছে ডেকে নেই!!! ইরা চোখের কোনে জমে থাকা পানি টা হাত দিয়ে মুছে এসে বসে আজাদ চৌধুরীর সামনে। আজাদ চৌধুরী মাথা নত করে মেয়ের দুহাত আঁকড়ে দরে বললেন!!
__আমি জীবনে যে ভয় টাই পেয়ে ছিলাম আজ সে টাই হচ্ছে আমাদের সঙ্গে। আমার পরিবারকে কেউ যেনো কখনো টার্গেটে না রাখে সে জন্য আমি আমার পরিবার টা কে সব সময় সবার নজর থেকে দূরে সরিয়ে রেখে ছিলাম। জানি না কোন বাজ পাখির নজর এসে পরেছে আমার ঘরে।
ইরা ফোপাঁতে ফোপাঁতে বললো!!
__আব্বু তুমি শান্ত হয়!!! আমাকে বলতো এই লোক টা কে???
আজাদ চৌধুরী বেশ শান্ত ভাবে উওর দিলেন নিজের মেয়ে কে!!
__ইখলাস খান একজন নাম করা মাফিয়া কিং! হয়তো তারপরিবারের সকল সদস্য মাফিয়া দলের কেউ তুমি হয়তো কোনো ভাবে ভুল করে তাদের কারোর সামনে পরে গিয়ে ছিলে।তাই হয়তো এখন তোমাকে টার্গেটে রেখেছে।
আজাদ চৌধুরীর কথাই ইরার মনে হলো হয়তো সেই ট্যাটু করা ইস্টুপিট লোকটা। কারন তার আচার আচরন এক দম ভালো না পুরো মাফিয়া কিং দের মতোন।
আজাদ চৌধুরী শান্ত গলায় বললেন!!
__আমি একজন চেয়ারম্যান আমার হাত টা এত টাও লম্বা হয়নি এখনো। আমার ক্ষমতা খুবি সামান্য। আমি চাইলে ও এমন অনেক কিছু করতে পারি না। তবে তুমি চাইলে আমরা সবাই দেশের বাইরে চলে যেতে পারি!! ”
ইরা কিছুটা বাঁকা হেসে বললো!!
তাহলে তুমি কি বলছো আমরা পালিয়ে যাবো আব্বু। তোমার সব সম্মান নষ্ট করে দিয়ে।আব্বু তুমি তো আমাকে এই শিক্ষা দাও নি। তবে আজ কেনো বলছো???
আমার কাছে আমার মেয়ের জীবন সবার প্রথমে তোমাকে হেফাজতে রাখা আমার কতব্য।আল্লাহ না করুন তোমার কিছু হয়ে গেলে আল্লাহ আমাকে মাফ করবে না মা! আমার একটি রাজকন্যা অকালে ঝড়ে গেছে আমি চাই না তোমার সাথে ও এমন টা হোক।চলো আমরা সবাই রাতের অন্ধকারে দূরে কোথাও চলে চাই।
ইরা বেশ শক্ত হয়ে বললো!!
__ না আব্বু আমরা পালাবো না আর পালিয়েই বা কত দিন এই বার থেকে আমাদের লড়তে হবে শএুর প্রতিপক্ষ হয়ে।
___ভাল্লাগে হাটতে তোর হাত দরে!!!!
““““ভাবনা তোর আসছে দিন রাত দরে!!!
°°°°এলোমেলো মন টাকে কি করে আর রাখে!!!
★★কেনো তোকে এত করে আমি চাই!!!
“”””পারবো না আমি ছাড়তে তোকে!!!!
ওপস কি সুন্দর দেখতে মাইরি মেয়েটা। এক দেখাই দেওয়ানা হয়ে যাচ্ছি।
__কইডা লাগে ঈশান তোর???
এলাকার সব বিশ্ব সুন্দরী আমার। আমার জন্য সব বুকিং করে রাখ।সব নারী আমার!! একটা একটা করে কাজে লাগাবো!!
__সালা লুইচ্ছা!!!
__এক্সকিউজ মি..
দরজার বাইরে থেকে কারোর কথার আওয়াজে দুইজন পেছন ফেরে তাকাই। তাকাতেই দেখে আইরা !!
__কিরে আদিল!! এই সাদা বিড়াল টা কই থেকে আসলো???
আইরা আর পারমিশন এর জন্য ওয়েট করলো না!! সোজা চলে আসলো রুমের ভেতরে।ঠিক আদিল এর কিছুটা পাশে ঘেসে বসলো। এতে আদিল বেশ কিছুটা সংকোচ বোধ করলো।। আদিল আইরার থেকে বেশ দুরত্ব নিয়ে বসতে চাইলে আইরা হাত টেনে দরে বললো!!
__এত লজ্জা পাচ্ছো কেনো কিছু দিন পর থেকে আমরা আরও ক্লোজ হয়ে থাকবো। একদম আঠার মতোন।
ঈশান ভাবা চাকা খেয়ে গেলো তাহলে কি তলে তলে আদিল এই মেয়ের সাথে লাইন মারতো। সে কিনা সোজা বাড়িতে চলে আসছে। যাই আংঙ্গেল কে খবর টা দিয়ে আসি। ঈশান পাশ থেকে উঠে যেতে চাইলে “!আইরা বলে!!
__হাই ইশান!! হাউ আর ইউ !
__হ্যালো!!আই এম গোড!! তোমাকে তো ঠিক চিনলাম না!!
আইরা উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললো!!! ওহহহ সরি আমার পরিচয় টাই তো দেয়া হয়নি। আমি সোনালি তালুকদার এর একমাত্র মেয়ে আইরা তালুকদার আমি ইউএস এ থাকি। কিছু দিনের মধ্যে আমার আর আদিলের এনগেজমেন্ট ঠিক হবে তাই এসেছি আমরা।বাই দ্যা ওয়ে তোমাকে আদিল আমার বিষয়ে কিছু জানাই নি!!!
ঈশান আদিলের দিকে তাকিয়ে মিনমিনে বললো!!!
আদিলে কে দেখে মনে হচ্ছে হয়তো সেই জানে না এনগেজমেন্ট এর কথা! তাহলে আমি কিভাবে জানবো। তাহলে কি শেষ পযর্ন্ত আদিল এই দলা বিড়াল টাকে বিয়ে করবে। ঈশান এর বেশ হাসি পেলো। সারাজীবন নিজেকে স্মার্ট সুন্দর দাবী করতো আজ কিনা সাদা বিড়াল বিয়ে করবে হিহিহিহি!!!
ঈশান কে এমন হাসতে দেখে আদিলের বিষন রাগ হলো সে বুঝতে পারছে ইশান এর হাসির কারন।
তাই আদিল আইরা কে বললো!!!!
__তোমাকে দেখে তো মনে হচ্ছে ইউএস থেকে এসে নিজের রুমে ও যাও নি!! সোজা আমার রুমে চলে এসেছো!!
__ইয়েস বেবি! তোমাকে অনেক মিস কর ছিলাম!!!
আদিল অভাক হয়ে বললো!!
__হাই আল্লাহ এত ভালোবাসা আমি কই রাখবো!!
পাশ থেকে ঈশান মুচকি হাসতে হাসতে বললো!!!
__চল গিয়ে ব্যাংকে রেখে আসি নয়তো চুরি হওয়ার চ্যান্স আছে।
ইশান এর সাথে সাথে আইরা ও সহমত জানিয়ে বললো!!।
__ইউ আর এ রাইট! ব্যাই দ্যা ওয়ে আমি ফ্রেশ হয়ে কিছুখন পর আসছি।
এই বলে আইরা আদিলের রুমে থেকে বের হয়ে যায়।
আদিল বিছানার উপর দপাশ করে বসে কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বললো!!!
__শেষ মেষ মম কিনা এই মেয়ের সাথে আমার এনগেজমেন্ট এর প্ল্যান করছে। দিস ইস নট্ ফেয়ার মম!!
ঈশান নিজের হাসি কে সামলোর ব্যার্থ চেষ্টা করতে করতে বললো!!
__আদিল তোর জন্য বিষণ মায়া হচ্ছে আমার! শেষমেশ কিনা এই মেয়ে কে বিয়ে করবি বিশ্বাস কর তোর জীবন টা তেনাতেনা হয়ে যাবে।তোর জন্য এক বালতি সমবেদনা!!
”আদিল বেশ মন খারাপ কে বললো!!
__ সেম!! আই হেড ইউ আইরা তালুকদার!!
রাত আট টার দিকে ইরা কে কল করে জুথী!!
__হ্যালো!!
ইরা ফোন রিসিভ করে ওপর প্রান্ত থেকে!!
__হ্যা বল।
জুথী বেশ অভিমানি হয়ে বললো!!!
__আজকে কলেজে আসি নি কেনো??
ইরা বেশ শান্ত ভঙ্গিতে বললো!!
__কালকে বৃষ্টিতে অতিরিক্ত ভেজার ফলে অনেক জ্বর ঠান্ডা লেগে ছিলো।
জুথী বেশ অভিমানি হয়ে বললো!!
তাহলে তুই আমাকে ফোন করে কেনো জানালি না কেনো। আমার কলেজে এক দম ভালো লাগে নি। জানিস কি হয়েছিলো।
ইরা বেশ কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
__কি হয়ে ছিলো।
জুথী জানাই!!! তুই সেদিন একটা ছেলে কে থাপ্পড় মেরে ছিলি। সেই ছেলে আজকে কলেজে এসে ছিলো আবার সাথে করে একটা ছেলে কে নিয়ে।
ইরার বেশ চিন্তিত হয় এই বিষয় টা নিয়ে। যদি ওই ইসটুপিড টা কলেজে যায় তাকে খুজার জন্য তাহলে বাসাই বিয়ের প্রস্তাব কে দিলো।তাহলে কি ওই ইসটুপিড টা নয়। যদি নাই বা হয় তাহলে অন্য কেউ কে সে???
জুথী অপর প্রান্ত থেকে বার বার হ্যালো বলছে। কিন্তু ইরা এক অজানা ভাবনার অতলে হারিয়ে গিয়েছে। কিছু সময় পর ফোনটা কেটে যায়৷ ইরা হাতের ফোন টা বিছানার উপর রেখে ভাবতে শুরু করে কে সে???
আদিল সোজা গিয়ে হাজির হয় তার মম অহনা সিকদার এর রুমে সাথে আছে ঈশান। আইরা কে দেখার পর থেকে ঈশান এর হাসি যেনো থামার কোনো নাম নেই।আদিল অহনা সিকদার এর রুমের সামনে গিয়ে পারমিশন নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো অহনা সিকদার কম্পিউটার এর ফাইল চেক করছে অন্য দিকে আশরাফ সিকদার ফোনে কথা বলছে আর কফি খাচ্ছে। আদিল কে দেখে সবাই নিজের কাজ স্টপ করে দেয়। আদিল গিয়ে বসে বিছানার এক পাশে।
আদিল খুব একটা আসে না বাবা মায়ের রুমে তবে আজকে কেনো হুট করে এসেছে তা সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা আছে অহনা সিকদার এর।
আদিল বেশ বিরক্ত প্রকাশ করে বললো অহনা সিকদার কে!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৪
__হোয়াট এ চয়েস মম! ওই আইরা না পাইরা বিদেশি মেয়ে টা কি আমার সাথে যাই।
অহনা সিকদার রেগে গিয়ে থমথমে গলাই বললেন!!
__আইরা কে এক দম বাজে কথা বলবে না! সিজ বেরি গোড গালস!!
আদিল বিরবির করে বলে!!I!
I Am Bad Boy! তাহলে আমি গোড গালস দিয়ে কি করবো!!!
আশরাফ সিকদার আদিল কে ঠেসে বললেন!!
__তোমার আইরা কে ভালো লাগে না???
ঈশান বলে উঠলো!!
ভালো লাগবে না মানে! দেখতে এত বেশি আকষনীয় যে এক দম দলা বিড়াল এর মতোন। পছন্দ হতেই হবে।
