এমপি তামিম সরকার পর্ব ১১
কাফাতুন নেছা কবিতা
” তোমাকে একটা চু’ম্মা দেই?”
“জ্বী???”
“থ্যাংকিউ!”
তামিম সুবহার ঠোঁ’ট বরাবর নিজের ঠোঁট নিতেই সুবহার চোখ কপালে উঠে যায়! ভয়ে তামিমকে ধাক্কা দিয়ে একপাশে সরে যায় সে। সুবহার এমন কাজে তামিম ঠিক কতোটা রাগ করলো তা বলা মুশকিল। দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তামিম। তার একপাশে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে সুবহা!
” অনুমতি দিয়ে দূরে সরে যাও কেন রাত পরী?”
তামিম এক টান দিয়ে সুবহাকে নিজের সামনে দাড় করায়। ভয়ে সুবহার ঠোঁট- মুখ শুকিয়ে আসে। মুখ দিয়ে কোনো শব্দই বের হয় না। তামিম সুবহার দিকে তাকিয়ে আবার বলে……….
” আজ অব্দি তামিম সরকার যা চাইছে তা নিজ থেকে হেটে আসছে। না হয় ছিনিয়ে নিয়েছি। এখন তোমাকে আমার লাগবেই সুবহা! হয় নিজ থেকে আসবা, না হয় আমি ছিনিয়ে আনবো! সিদ্ধান্ত তোমার!”
সুবহা তখন ও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে। তামীম সুবহার থুতনি ধরে তার মুখ উপরে উঠায়। আর বেশ জোরে শব্দ করে চু’মু খায়!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” আমি চাইলে তোমাকে বাড়ি যাওয়ার মতো অবস্থায় না ও রাখতে পারি পরী।”
তামিমের কথা গুলো শুনে সুবহার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে আসে। তামিম তার পকেট থেকে টিস্যু বের করে সুবহার চোখের পানি মুখে দেয়।
সুবহা মুখ তুলে তামিমের চোখের দিকে তাকায়। এক মুহূর্তের জন্য চোখে চোখ পড়ে যায়। কিন্তু তৎক্ষণাৎ সুবহা চোখ সরিয়ে নেয়। খুব সাহস নিয়ে সুবহা বলে.
“বাড়ি যাবো…”
” কোথাও যাবি না তুই !”, গর্জে উঠে তামীম।
তামিমের হঠাৎ এমন জোড়ে ধমক শুনে আতঙ্কে উঠে সুবহা!
” যতক্ষণ না আমার মন ভরছে, ততক্ষণ আমার সামনে বসে থাকবি!”
তামিম সুবহার হাত ধরে তাকে চেয়ারে বসায়। আর তার সামনের টেবিলে নিজে বসে। টেবিলে থাকা একটি বড় বক্স নিয়ে তামিম সুবহার হাতে তুলে দেয়। বক্সটি বেশ বড় ও ওজন হওয়াতে ধরতে সমস্যা হচ্ছিলো সুবহার।
” এখানে ৩৬৫ টা হিজাব আছে। প্রতিদিন একটা করে পরে বের হবা! পরের বার যদি হিজাব ছাড়া দেখেছি, মাথার একটা চুল ও আস্তো রাখবো না!”
সুবহার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। সে বুঝে গেছে,তামিমের কথা শোনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যেখানে পুলিশ -প্রশাসন তার পকেটে সেখানে এমন কেউ নেই যে, তাকে তামিমের হাত থেকে রক্ষা করবে!
সুবহাকে চুপ থাকতে দেখে তামিম আর কোনো কথা বাড়ায় না, তার লোকদের দিয়ে সুবহাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। আর তামিম তার চেয়ারে সামনে দাড়িয়ে চেয়ার ভালো মতো পর্যবেক্ষণ করে, আর চেয়ারকে উদ্দেশ্য করে বলে,,,
” তুই খুব লাকি রে চেয়ার। আমার শখের নারী আমার কলে না বসে তোর উপরে বসেছে আই ফিল সো জ্যালাস!”
তামিম তার বডিগার্ডকে ডাকিয়ে সুবহার বসা চেয়ারকে সাবধানে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। আর সোজা তার রুমে নিয়ে রাখতে বলে। সবাইকে কড়া নির্দেশ দেই শুধু চেয়ারের পা ধরার জন্য। চেয়ারে উপরে যদি ভুলে ও কেউ হাত দিয়ে ধরে তার হাত কে’টে ফেলবে বলে ওয়ার্নিং দেয় তামিম।
তামিমের লোকেরা সুবহাকে সাবধানে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে সোজা পার্টি অফিসে চলে আসে। তামিম তখন ও সুবহার চিন্তায় মগ্ন! হঠাৎ তার পঞ্চপাণ্ডব সামনে আসতেই তামিমের ধ্যান ভাঙে।আর ভ্রু কুঁচকে তাকায় তামিম তাদের দিকে।
” কীরে মানিক! তোর লুঙ্গি কই?”
” ভাই কঠিন বাতাসে, লুঙ্গি আকাশে! ”
কালা মানিকের কথা শুনে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়ে চারপাশে।
” আমার বউয়ের সামনে আবার লুঙ্গি ছাড়া ঘুরোস নাই তো?”
” না ভাই! ভাবিরে দিয়া আসোনের সময় ভাবলাম একটু চা খায়। যেই বাইরে বের হয়ছি, বাতাসে আমার লুঙ্গি উড়াইয়া গেছে। ”
” তোদের মতো ৫ পাগলা আমার কপালে যে কোই থেকে আসলো!”
তামিমের দেওয়া হিজাব নিয়ে সুবহা খুব সাবধানে বাড়িতে প্রবেশ করে। এই প্রথমবার সুবহা নিজের মায়ের থেকে কিছু একটা লুকালো।
বাড়ি এসেই সোজা নিজের রুমে চলে যায় সুবহা। আর দরজা বন্ধ করে খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেই। কিন্তু তার এই শান্তিতে থাকা বোধ হয় তামিমের পছন্দ নয়। সে অনবরত সুবহাকে কল দিয়ে যায়। সুবহা প্রথমে কল ধরে না। তার কিছু ক্ষণ পর সুবহার ফোনে টেক্সট আসে…….
” আমার কী আসতে হবে?”
তামিমের এই এক লাইনের টেক্সট দেখে সুবহার কলিজার পানি শুকিয়ে যায়। সে সাথে সাথে কল ব্যাক করে তামিমকে। সুবহা কল দেওয়ার সাথে সাথে তামিম রিসিভ করে, আর মুখ গম্ভীর মুখ নিয়ে তাকায় সুবহার দিকে। সুবহা ভয়ে ভয়ে তাকায় তামীমের দিকে।
” তোমার আমাকে কিছু একটা বলার কথা ছিলো রাতপরী!”
সুবহা তামীমের কথার অর্থ বুঝতে না পেরে শুধু তাকিয়ে থাকে।
” কালকে বিকেলে আমাকে তুমি লাই ইউ টু তামিম বলবা!!”
সুবহার মনে পড়ে যায় সেদিনের কথা। তামিম তাকে সারারাত দিয়েছিলো ভাবার জন্য। কিন্তু পরের দিনে ঘটনার জন্য আর কিছু বলা হয়নি সুবহার। সুবহা ভেবেছিলো হয়তো তামিম ভুলে গেছে। কিন্তু না। তামিম ভুলার মতো বান্দা নয়।
এমপি তামিম সরকার পর্ব ১০
” আজকে সারারাত ভাবো। কালকে উত্তর দিও। উত্তর টা যেনো হ্যাঁ ই হয় রাতপরী। না হলে নিজেকে ক’বরে দেখার জন্য প্রস্তুতি নাও।
আমি একটু ব্যস্ত। আজকে এই টুকুই লেখতে পেরেছি
