এমপি তামিম সরকার পর্ব ৩৬
কাফাতুন নেছা কবিতা
” একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে ঠিক কতটা ভালোবাসলে তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা শুনে ও পিছু ছাড়ে না সুবহা! ঠিক কতটা ভালোবাসলে বিয়ের দিনই ডির্ভোস করিয়ে নিয়ে আবার বিয়ে করতে চায়? তামিম সরকার যে একজন প্রকৃত প্রেমিক পুরুষ সেটা বুঝার তৌফিক তোকে আল্লাহ দিক!”
তামিম নিজের আনমনেই সুবহাকে উদ্দেশ্য করে কথা গুলো বলতে থাকে। আজকের তামিম সরকার আর খু’নি তামিম সরকার না! আজকের তামিম সরকার একজনের স্বামী! একটা মেয়ের দেওয়ানা! একটা মেয়েকে পাওয়ার জন্য যে একশটা খু’ন ও করতে পারে। আবার সেই মেয়ে তার না হলে নিজ হাতে তাকে পরপারে ও পাঠাতে পারে।
১৭ বছর বয়সে চা’পাতি হাতে নেওয়া তামিম সরকার আর আজকের তামিমেরর মধ্যে যেনো এক আকাশ সমান পার্থক্য! এই ১১ বছর ধরে তামিম কত জনকে খু’ন করেছে সে নিজে ও জানে না! কিন্তু একটা মেয়ের জন্য যে নিজে ও খু’ন হতে প্রস্তুত সেটা তামিম সুবহাকে প্রথম দিন দেখার পরই বুঝতে পেরেছিলো!
তামিম অনেক ক্ষণ ধরে জেগে থাকার পর,, সে ও চুপচাপ শুয়ে পড়ে! তলিয়ে যায় গভীর ঘুমে!
আজকে তামিমের মতো সুখি মানুষ আর দুটো নেই! তার পছন্দের মানুষ তার পাশে! যাকে পাওয়ার তীব্র বাসনা নিয়ে দিনের পর দিন তামিম নীরঘুম রাত কাটিয়েছে!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
——-সকালবেলা——-
দেরি করে ঘুমানোর ফলে তামিম, সুবহা দু-জনের একজন ও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে না! ম’রার মতো ঘুমাই দু_জনেই! সচারাচর সুবহা একটু সকাল করেই ঘুম থেকে উঠতো! কিন্তু এই তিনদিন এতো কিছু হওয়ার পর আজকে শরীরটা যেনো তার ছেড়েই দিয়েছিলো। অন্য দিকে তামিম তার শখের নারীকে কাছে পেয়ে সমস্ত চিন্তা এক সাইটে রেখে ঘুমাচ্ছে!
সকাল ৯:৪৫ মিনিটে সুবহার ঘুম একটু আলগা হয়ে আসে। একটু আড়মোড়া দিতে যেয়ে সুবহা অনুভব করে সে তার হাত পা ঠিক মতো মুভমেন্ট করতে পারছে না! তাও চোখ বন্ধ করেই কিছু ক্ষণ হাত-পা নাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়! ফলাফল শূন্য!
সুবহার এমন চেষ্টায় তামিমের ঘুম ও আলগা হয়ে আসে! খুব বিরক্তি নিয়ে তামিম চোখ খোলে। সুবহা ও পিটপিট করে নিজের চোখ খুলতে থাকে।
সুবহা চোখ খুলতেই তামিমের বিশাল বড় মুখ হঠাৎ করে দেখে একটু ঘাবড়ে যায়! আর ভুত দেখার মতো কিছু ক্ষণ চেয়ে থাকে!
তামিম ও হঠাৎ সুবহাকে দেখে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে।জীবনের প্রথমবার এভাবে সকালবেলা নিজের পরিবার ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে পাওয়া অন্য রকম অনুভূতির পরিচয় দেই!
সুবহা হুট করে উঠে বসে! আর খুব ঘাবড়ে যায়!
” আপনি এখানে কী করেন! মা দেখলে কী হবে? তাড়াতাড়ি উঠুন, চলে যান!”
” নাটক একটু কমাইয়া দেখ বইন! কালকে আমাদের বিয়া হয়ে গেছে! “।
কিছু ক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যায় সুবহা! কালকে যে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে, সেটা দিব্বি ভুলে গেছিলো সুবহা!
তামিম সুবহার হাত ধরে তাকে নিজের উপরে টেনে নেই! তারপর তার চুল গুলো মুখ থেকে সরিয়ে নেই!
” সকাল টা যে এতো সুন্দর হয়, তোমাকে না দেখলে জানা হতো না! ”
তামিমের মধ্যের প্রেমিক পুরুষটি আবার জাগ্রত হয়ে উঠে!সকাল সকাল শখের নারীকে কাছে পেয়ে তামিম মুডে চলে আসে।
” আমার একটু সময় লাগবে তামিম! ”
” কয় মিনিট?”
” কয়েকদিন!”
” কাম সারছে!”
তামিমের রোমান্টিক মুডের সাড়ে বারোটা বাজিয়ে দেয় সুবহা! কিন্তু তামিম ও জোড় করে না! কারণ তামিম সরকার জোড় করে না! সব অটোমেটিক হয়ে যায় নিজ ইচ্ছেতে!
” একটা চু’ম্মা তো দিয়ে পারবি!”
” না!”
” শয়তান ছেমরি! ”
তামিম সুবহার কোমর ছেড়ে দিয়ে উঠে দাড়ায়! তামিম উঠে দাঁড়াতেই সুবহা হা করে তাকিয়ে থাকে, তামিমের দিকে! এমন শার্ট লেস, শুধু টাওজার পড়া, অবস্থায় তামিমকে কল্পনা ও করে নি সুবহা!
” নিজের স্বামীকে কেউ চোখ দিয়ে সিডিউস করে?”
তামিমের কথা কানে আসার সাথে সাথে সুবহা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেই! আর তামিম ও ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে!
আর সুবহা উঠে রুম গোছাতে থাকে। সুবহা তামিমের জিনিসপত্র খুব সুন্দর করে গুছিয়ে এক পাশে রেখে দেয়, আর বিছানা গোছাতে থাকে!
তামিম ও কিছু ক্ষণের মধ্যে বাইরে চলে আসে! তামিম বাইরে এসে দেখতে পায় সুবহা সুন্দর মতো তাদের বিছানা পরিষ্কার করছে!
” কথা ছিলো আমার জীবন গোছাবে, তা-না বিছানা গোছাচ্ছে! আজকালকার পোলাপাইন! ”
তামিম এসে সুবহার হাত ধরে ফেলে!
” এসব করার জন্য অনেক লোক আছে! তুমি মালকিন, তোমাকে এসব মানায় না!”
তামিমের কথায় সুবহা কোনো উত্তর দেয় না! এটা তার বাড়ি, তার ঘর, সে যা বলবে তাই করতে হবে!
তামিম সুবহাকে ওয়াশরুমে পাঠিয়ে দেয়! আর নিজে নিচে চলে যায়!
” আসসালামু আলাইকুম আব্বাজান! শুভ সকাল! ”
” ওয়ালকুম আসসালাম বাবাজান, শুভ সকাল! বউমা কোথায়! ”
” সে ফ্রেশ হচ্ছে! ”
তামিম তার বাবার সাথে টেবিলে বসে পড়ে নাস্তা করার জন্য! এমন কোনোদিন আসেনি যখন তানভির সরকার নিজের ছেলেকে ছাড়া খেয়েছে!
” বাজান, সুবহা কী উঠছে?”
” জ্বী আম্মা!”
” আচ্ছা, আমি ওর নাস্তা রুমে পাঠায়!”
” কেন আম্মা?”
” নতুন বউ! একটু প্রাইভেসি দরকার ওর!’:
আয়শা বেগম৷ সুন্দর মতো উঠে, নাস্তা নিয়ে উপড়ে উঠতে থাকে।
” তামিম! আজকে কিন্তু বাসায় থাকিস আব্বা!”
” কোনো দরকার আম্মা?”
” তোর বউ দেখতে আত্মীয়স্বজনরা আসবে!”
” আমিই তো এখনো দেখলাম না!”
” কীহ?”
” জ্বী, আচ্ছা থাকবো!”
আয়েশা বেগম নাস্তা নিয়ে উপরে চলে যায় সুবহার কাছে! লক খুলে দেখতে পায়, সুবহা চুপচাপ ঘাটের এক পাশে বসে আছে!
” ঘুম ভাঙ্গলো আম্মাজান?”
হঠাৎ মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসতেই একটু চমকে যায় সুবহা! তারপর তামিমের মা-কে দেখেই উঠে দাড়ায়!
” আসসালামু আলাইকুম আন্টি! ”
” আন্টি কে?”
সুবহা হতভম্বের মতো দাড়িয়ে থাকে! কী বলবে কিছু ভেবে পায় না!
” তামিমের আম্মা মানে তোমার ও আম্মা! ”
আয়েশা বেগম নাস্তা রেখে সুবহাকে সোফাতে বসায়!
আর তার সামনে খাবার পরিবেশ করে!
” আমার ভাই?”
” আল্লাহর রহমতে অনেকটায় সুস্থ্য! সকালে আমি তাকে ফ্রেশ করে, খাইয়ে দিয়েছি নিজের হাতে!”
সুবহা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তামিমের মায়ের দিকে! আজকে তার নিজের মা থাকলে ও হয়তো এমনই করতো বা এর বেশি!
” দেখি হা কর!”
” আমি..মানে?”
” আরে ছেমরি হা কর!”
সুবহা চুপচাপ হা করে খেতে থাকে। আর বুঝতে পারে তামিমের এতো শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করার পিছনের কারণটা কী! তামিম একদম তার মায়ের মতো বিশুদ্ধ ঢাকাইয়া! কিন্তু একজন প্রধান মন্ত্রীর স্ত্রী এমন কীভাবে হয়, সেটা বুঝতে পারে না সুবহা! এতো মিশুক, এতো সিম্পল! এক কথায় মাটির মানুষ যাকে বলে!
” বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ নতুন কিছু না! এটা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসতাছে, আমি কিন্তু তেমন শাশুড়ী না।কিন্তু আমার পোলারে কষ্ট দিলে আমি কিন্তু রিনা খান হয়ে যাবো! ”
সুবহা তামিমের মায়ের কথা শুনে হাসতে থাকে!
” এইতো! সব সময় এইভাবেই হাসবি! আর আমি কিন্তু তোর মা! একদম পর ভাববি না!”
সুবহা মাথা নেড়ে হ্যা বলে! আয়েশা বেগম সুবহাকে খাইয়ে দিয়ে তাকে একটা শাড়ি আর কিছু গহনা দিয়ে সুন্দর করে রেডি হতে বলে যায়! তামিম সরকারের বউ বলে কথা! একটু ঠাটবাট না হলে চলে না!
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে শাড়ি পড়া নিয়ে! কারণ সুবহা শাড়ির কুঁচি তুলতে পারে না! চেষ্টা করলে ও সুন্দর হয় না!
তামিম আর তানভীর সরকার খেতে বসেছিলো বসে মাত্র! ঠিক তখনই তামিমের পঞ্চ পান্ডব এসে হাজির হয়!
” আসসালামু আলাইকুম বড় বাবা!”
সবাই একসাথে তানভীর সরকারকে সালাম দেই! একটা তাদের এক প্রকারের অভ্যাস বলা যায়! প্রতিদিন সকালে এসেই সকলে তানভীর সরকারকে সালাম দেয়, আর একসাথে নাস্তা করতে বসে!
তামিমের পাশের চেয়ার গুলোতে দখল করে বসে তারা সব সময়! আজকে ও তার ব্যতীক্রম নয়! সার্ভেন্টরা সুন্দর মতো তাদের খাবার পরিবেশন করে! তামিম চুপচাপ খেতে থাকে।
” তফসিল ঘোষণা হবে আজকে বাবাজান! ”
” জ্বী আব্বা! খবর রেখেছি!”
” এবার ও আপনি ভারি ভোটে এমপি নির্বাচন হবেন!”
” আমি এমপি না হলে ও আপনি প্রধান মন্ত্রী হবেন এটা গ্যারান্টি!”
তানভির সরকার এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তামিমের দিকে!
” এখন আপনি আমার ছেলে পরে। একজনের স্বামী আগে। যদি স্বামী হতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমি বাবা হতে ব্যর্থ হবো!”
তামিম তানভির সরকারের কথার আগামাথা ঠিক মতো বুঝতে পারে না! চুপচাপ তাকিয়ে থাকে তানভির সরকারের দিকে।
” আপনার আম্মার জন্য আমি পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধে যেতে পারি! কুখ্যাত এমপি পুত্র থেকে শান্ত মন্ত্রী হয়েছি! পুরোটায় আপনার আম্মার জন্য! আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন আমি কী বুঝাতে চাচ্ছি! ”
” আব্বাজান! আমি আপনার জন্য পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধে যেতে পারি! নিজের ভালোবাসার ও! আমি এমপি তামিম সরকার পরে, প্রধান মন্ত্রী তানভির সরকারের ছেলে আগে! ”
তামিম খাওয়া ছেড়ে উঠে বের হয়ে যায়! তামিমের সাথে সাথে তার পঞ্চ পান্ডব ও!
তানভির সরকারের বুকের হাহাকার আরো বেড়ে যায়! তাহলে কী তার অতীতের পাপই ছেলে রুপে ফিরে এসেছে তার কাছে! তানভির সরকার নিজের ছেলে বলতে অঙ্গান! সারা দুনিয়া একদিকে তামিম আরেক দিকে!
তানভির সরকারের সারাজীবনের আফসোস সেই ১১ বছর আগের বোকামির জন্য! না সেদিন সে এতো বড় বোকামি করতো আর না তার নিষ্পাপ ছেলে আজকে একজন পেশাদার খু’নিতে পরিনত হয়েছে! সেই ১১ বছর আগে ২৭ শে জানুয়ারি! যেদিন তানভীর সরকারের বোকামির জন্য নিজের ছেলেকে খু’নি হতে দেখে! এক দিনে ২৩ জন নেতাকে পরপারে পাঠায় তামিম! অবশ্য এটা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি! কিন্তু পুরোটা এমন ভাবে সাজানো হয় যেটার জন্য তামিম সে যাত্রায় জেলে যেতে যেতে বেঁচে যায়! কিন্তু তার সব থেকে বড় আফসোস হচ্ছে, নিজের ছোটো ছেলে তাসকিনকে হারানো! তানভির সরকার এক ছেলে হারিয়ে এখন আরেকজন কে হারাতে চায় না! তাই তামিমের প্রতিটি পাপের হিসাব সে গোপন রাখে। দূঘটনা বলে চালিয়ে দেয়! তামিম আজ অব্দি যতগুলো অন্যায় করেছে সব কিছুর প্রমাণ তানভীর সরকার মুছে দিয়েছে! প্রতিবার সোনার বালতি করে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ছেলেকে শুদ্ধ করে। কিন্তু দিন শেষে তামিম সেই র’ক্তাক্ত শরীর নিয়েই ফিরে!
তানভির সরকার যেদিন জানতে পারে তামিম একজন মেয়েকে ভালোবাসে। সেদিন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে! যাক এ যাত্রায় হয়তো তামিম মানুষ হবে! কিন্তু না! তা হয়নি! তামিম তাট আব্বাজানের থেকে বেশি কাউকে ভালোবাসে না! আর না বাসতে পারবে! এটাই সব থেকে বড় আফসোস তানভীর সরকারের!
তামিম তার জীপ নিয়ে সোজা বেরিয়ে পড়ে! পার্টি অফিসের উদ্দেশ্যে!
তামিমের মুখের দিকে তার লোকরা হা মেলে তাকিয়ে থাকে!
” আমার কী রুপ গজায়ছে? এমনে তাকিয়ে আছিস কেন তোরা?”
” ভাই আপনের গলায় কোনো দাগ নাই কেন!”
তামিম খুব জোড়ে গাড়ি থামায়! আর পঞ্চ পান্ডবের দিকে তাকায়! এমনিতেই বউ পাত্তা দেয় না, তার উপরে কাটা গায়ে লবনের ছিটা!
” ড্রেনের পানিতে গোসল করতে তোগো কেমন লাগবো এখন?”
তামিমের ইশারা বুঝে সকলে একদম শান্ত হয়ে যায়! তামিম একবার ক্ষেপলে আর রক্ষা নেই!
ঘড়ির কাটা বলছে সময় বিকেল চারটা! তামিম তখন ও বাড়ি ফিরেনি! সুবহাকে রেডি করে নিচে আনা হয়েছে! একএক করে সকল মহিলা মন্ডলি সুবহাকে দেখে আর অনেক উপহার ও দেয়! চুপচাপ বসে থাকে সুবহা!
” কই তামিমের বউ কই!”
সকলের মাঝে গলা উচু করতে করতে ভিতরে মেয়েকে নিয়ে প্রবেশ করে তামিমের ফুপি আইলা বেগম! চোখে তার মোটামুটি রাগ! কারণ নিজের মেয়েকে দিয়ে তিনি তামিমকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। সেটা আর হলো না!
” এইতো ননদীনি আমার পুতের বউ এইদিকে!”
তামিমের ফুপি বেশ ভাবসাব নিয়েই ভিতরে প্রবেশ করে! সেখানে আরো বিভিন্ন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের স্ত্রীরা এসেছে! সুবহাকে দেখার জন্য বাইরের লোকদের বারন করেছে তামিম! কোনো পরপুরুষ তার বউকে দেখুক এটা খুবই অপছন্দ তামিমের! তাই কর্মী রা সবাই বাইরে তানভীর সরকারের সাথে আলাপ আলোচনায় মেতে উঠে!
” তা কোন জাতের মেয়ে এনেছিস রে আয়শা! বড় পরিবার তো?”
” সে তামিম সরকারের বউ এটাই তার সব থেকে বড় পরিচয়! ”
ভীরের মধ্যে দিয়ে তামিম এবং তার পঞ্চ পান্ডব আসতে থাকে! সুবহা তখন ও মাঝে বসা! তামিম আসতেই সকলে একটু হলে ও ভয় পায়! তামিম সরকার কেমন এটা কারো অজানা নয়!
তামিম ভেরতে আসতেই এ গাড় লাল রং এর শাড়ি পড়া সুবহাকে দেখতে পায়! হালকা স্বর্ণের গয়না পরা! আকাশ থেকে নেমে আসা কোনো পরীর থেকে কম লাগছিলো না সুবহাকে!
তামিম এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সুবহাকে শাড়ী পড়া অবস্থায় দেখে। প্রথমবার ছিলো খুব রাগে তেমন একটা নজর দেয়নি! কিন্তু এবার একদম চোখ খুলে তাকিয়ে থাকে সুবহার দিকে!
লাল জামদানী, হালকা গয়না আর হালকা সাজ! সুবহাকে অতুলনীয় সুন্দর করে তুলে ছিলো! অন্য দিকে ধ্যান দিয়ে বসে ছিলো সুবহা!
এমপি তামিম সরকার পর্ব ৩৫
” আমাকে কেউ ধর রে!”
তামিম শরীর ছেড়ে দিয়ে পিছনে পরে যেতে থাকে। আর সাথে সাথে তার পঞ্চ পান্ডব তাকে ধরে ফেলে! সকলে মোটামুটি আঁতকে উঠে! হঠাৎ তামিম এভাবে মাথা ঘুরে পড়ে গেলো!
” আব্বা! কী হয়ছে তোর! ঠিক আছো!”
” হার্ট অ্যাটাক আম্মা!”
