এমপি তামিম সরকার পর্ব ৮৮
কাফাতুন নেছা কবিতা
কথায় আছে সময় এবং স্রোত কারো জন্য থেমে থাকে না! সময় তার গতিতে চলতেই থাকে!
আজ অবশেষে সেই মাহিন্দ্র ক্ষণ, তামিমের ছয় শয়তানের এইচএসসি পরীক্ষার দিন! মন প্রাণ দিয়ে তারা পড়াশোনা করেছে শুধু মাত্র একটি ভালো রেজাল্টের জন্য ! মন দিলে ও ব্রেনটা ঠিক দিতে পারেনি! সুবহা মোটামুটি সকল বিষয় রপ্ত করতে পারলে ও, তামিমের পঞ্চ পান্ডবের মাথার উপর দিয়ে গেছে সব!
সকালে উঠে সুন্দর মতো রেডি হতে থাকে সুবহা! টেনশনে তার খাওয়া দাওয়া ও বন্ধ! তামিম ও তার পিছু পিছু ঘুর ঘুর করতে থাকে! তাকে যথেষ্ট শান্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়! কিন্তু কোনো লাভ হয় না! সুবহার বার বার উল্টো পাল্টা চিন্তা আসতেই থাকে!
” এতো টেনশন কেন করছো সকাল,, কাল ভালো মতো প্রিপারেশন নাও নি?”
সুবহা ভ্রু কুঁচকে তামিমের দিকে তাকায়!
” আপনি নিতে দিয়েছেন? ”
চুপসে যায় তামিম! আর মনে পড়ে রাতের কথা!
” গত কাল রাতের বেলা ”
–রাত তখন প্রায় ১১টা ৩৫ মিনিট! সুবহা চুপচাপ স্টাডি টেবিলে বসে থাকে! খুব মনোযোগ সহকারে পড়াগুলো রিভিশন দিতে থাকে! কথায় আছে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার! শেষ মূহুর্তে প্রস্তুতি ভিষণ গুরুত্বপূর্ণ! তাই খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকে সুবহা! পড়তে পড়তে হুট করে সামনের দিকে তাকায় সুবহা! তামিমকে হঠাৎ চোখের সামনে দেখে ভয়ে চমকে উঠে সে! বুকে হালকা থু থু দেয়!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” আপনি কখন এসেছেন?”
” এই তো ২৩ মিনিট আগে!”
” ওহহ! সরি আমি ধ্যান দেয়নি!”
” তোমার ধ্যান তো এখন আমার সতীনের উপরে!”
সুবহা ভোম ভোলার মতো তাকায় তামিমের দিকে! তামিমের সতীন কেন? প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকায় তামিমের দিকে! তামিম সুবহার বই বন্ধ করে ফেলে!
” তোমার বই আমার সতীন! তোমার সব ধ্যান তার দিকে!”
তামিমের এমন ছেলে মানুষি কথা হেসে উঠে সুবহা! লোকটা দুনিয়ার সামনে সিংহ হলে ও তার সামনে লেজ কাটা বিড়াল!
” কাল তো পরীক্ষা তামিম! পড়তে হবে না!”
” অনেক পড়ছো, এখন আমার দিকে ধ্যান দাও!”
তামিম সুবহার বই বন্ধ করে ফেলে! আর তাকে ধরে রীতিমতো জোড় করে রুমে নিয়ে আসে!
” তামিম!”
” ইসসস! নো মোর ওয়ার্ড! ”
” কাল পরীক্ষা আর আজকে…!”’
” ১৯/২০ করবো!”
তামিম জড়িয়ে ধরে সুবহাকে! দুনিয়া এদিক থেকে ওদিক গেলে ও সে ১৯/২০ করতে ভুলে না! অথচ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট না হলে সবার আগে সে নিজেই সেগুন কাঠের স্কেল নিয়ে দৌড় লাগাবে সুবহার পিছনে!
তামিম সুবহার ওড়না মাটিতে ফেলে দেয়! আর মুখ ডুবাই সুবহার উন্মুক্ত গলাতে! চোখ বন্ধ করে ফেলে সুবহা! তামিমের প্রতিটি স্পর্শে শিহরন জাগতে থাকে সুবহার মাঝে!! তামিমের বেসামাল হাতের স্পর্শে নাজেহাল হতে থাকে সুবহার অবস্থা! সে ও মত্ত হতে থাকে তামিমের মাঝে!
–রাত প্রায় মধ্য ভাগ
একজন আরেক জনকে আলিঙ্গন করে শুয়ে থাকে তামিম সুবহা! যেহেতু তামিম সুবহাকে আজকে পড়তেই দেয়নি, সেহেতু রেজাল্ট খারাপ হলে ও তামিম নিশ্চয়ই তাকে কিছু বলবে না! মনে মনে নিজেকে শান্তনা দিতে থাকে সুবহা!
” তামিম, রেজাল্ট খারাপ হলে…! ”
” কানের নিচে পড়বে! ”
হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে সুবহা!
” মানে কী?কাল পরীক্ষা আর আজকে আপনি পড়তে দিলেন না,, এখন আবার…!”
তামিম সুবহার বাহু টান দিয়ে নিজের উপরে ফেলে!
” সারা বছর কী করছো? একদিন আগে কী ঈশ্বরচন্দ্রের বিদ্যাসাগরের আত্মা প্রবেশ করবে তোমার মাঝে?”
তামিমের কথা শুনে বোকা বনে যায় সুবহা! তামিম নিজের কার্যসিদ্ধি ও করলো আবার সুবহাকে থ্রে’ট ও দিলো!
” মীরজাফর তো মরে গেছে, কিন্তু আপনাকে সাথে নিতে ভুলে গেছে! ”
তামিম সুবহার গাল ধরে টিপ দেয়!
” আমি শুধু রেজাল্ট দেখবো!”
সুবহা অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তামিমের দিকে! একে তো সারাবছর সে তাকে পড়তে দেয় নি! এখন আবার রেজাল্ট খারাপ ও পিটা’বে! তামিম যে গার্জিয়ান হিসেবে এতো কড়া সেটা কল্পনা ও করতে পারেনি সুবহা!
” ঘুমাও, সকালে পরীক্ষা আছে!”
তামিম সুবহার মাথা চেপে ধরে শুয়ে পড়ে! কিন্তু সুবহার চোখের ঘুম গায়ের হয়ে যায়! এমনিতে ও রাত প্রায় শেষের দিকে! সারা রাত তামিম তাকে ডিস্টার্ব করে, আবার মাঝ রাতে থ্রে’ট দিয়ে ঘুমাতে ও বলে! এক মহা মুশকিলে পড়ে গেছে সুবহা!
”বর্তমান ”
সুবহাকে রাতে প্রস্তুতি নিতে দেয়নি তামিম! কিন্তু সকালে উঠে, এমন ভাব করছে যেনো সুবহা নিজ থেকে পড়েনি! সব দোষ তার!
” জলদি রেডি হও!”
তামিম সুবহাকে তাড়া দিয়ে নিচে পড়ে পেড়ে! আর সুবহা সুন্দর মতো রেডি হয়ে, কাগজ পত্র সব চেক করে নামতে থাকে!
আয়েশা সরকার পঞ্চ পান্ডবকে নিয়ে নিচে বসে থাকে! সুবহা আসতেই তাকে মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে বলে!
” ভয়ের কিছু নেই, যা পারবি তাই দিবি! কোনো টেনশন নাই!”
” আচ্ছা মা!”
আয়েশা সরকার এবং সুবহার কথার মাঝে, তামিম এসে দাড়ায় সুবহার সামনে!
” আমি শুধু রেজাল্ট দেখবো! খারাপ হলেই কানের নিচে পড়বে! ”
” মাহহহহ! শয়তান সরকার কাল থেকে আমার পিছনে লেগেছে! ”
আয়েশা সরকার অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায় তামিমের দিকে!
” আমার মেয়েকে ভয় কম দেখা তামিম! একদম উগান্ডা পাঠিয়ে দিবো! ”
তামিম কিছু না বলে নিজের চোশমা পড়ে বাইরে যেতে থাকে! তারপর আবার ও পিছনে ফিরে বলে
” আমি শুধু রেজাল্ট দেখবো! ”
রাগে চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে সুবহা! সবার থেকে দোয়া নিয়ে তামিমের ছয় শয়তান বেরিয়ে পড়ে পরীক্ষা দিতে! তামিম নিজের বড় গাড়িতে করে তাদের নিয়ে যেতে থাকে! ছয় জনই গভীর চিন্তাতে থাকে! তামিম আগেই বলেছে, সে শুধু রেজাল্ট দেখবে! মা’র যে একটা ও মাটিতে পড়বে না এটা তারা বুঝতে পারে!
” টেনশনে পুট’কি দিয়া দম বের হইতাছে, আর এই দিকে এই শা’লা হাইসা যাইতাছে!”
মানিকের কথা শুনে সকলে তার দিকে তাকায়! আজকে তো তাদের মহাবিপদ! তাহলে হাসলো টা কে?
” কীরে সাকিব তুই হাসতাছোস ক্যালা?”
সকলের দৃষ্টির কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠে সাকিব! তার মতো ফাঁকি বাজ ছাত্র টেনশন না করে হাসতে হাসতে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে!!
এমপি তামিম সরকার পর্ব ৮৭
” আমরা তো ইতিহাস করতে যাইতাছি বেডা, এর লাইগ্গাই হাসতাছি! ”
” বুঝবার পারি নাই!”
” ইতিহাসে প্রথম বার মা-ছেলে একসাথে পরীক্ষা দিতে যাইতাছে!”
সাকিবের সাথে সকলের টনক নড়ে! তাই তো! তারা তো ইতিহাস করতে যাচ্ছে, মা ছেলে একসাথে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে!
আপনি এত লেট করে গল্প দাও কেন আর দাও যখন এক পর্ব করে দাও কেন বেশি বেশি করে দাও প্লিজ 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻 তোমার এই গল্পটা বেস্ট গল্প এটা আমার খুব ভালো লাগবে এবং খুব সুন্দর পরের পার্ট তাড়াতাড়ি দাও ছয় শয়তান পরীক্ষায় কি করল জানতে চাই আমার অবুঝ মন🤗😌😌
next part ta taratari dew apu.
next part dew.
Plz next part
Next part please
তামিম সরকারে মতো ভিলেন না। আর এত টাকা পায়সাও নাই। কিন্তু সবসময় তামিম সরকারের মতো আগলাই রাখে। কিন্তু মারেনি কখনো 🥰
পরের পর্ব