এলিজা পর্ব ৩৪+৩৫+৩৬

এলিজা পর্ব ৩৪+৩৫+৩৬
Dayna

সবাই থম মেরে বসে আছে। পাখি এসব কি বললো। পাখি সত্যি ই হাশেম কে দেখেছে।তাও কিনা রক্তাক্ত অবস্থায়। আজ 5 বছর ধরে হাশেম নিখোঁ’জ। বলেছিল সে তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে। কিন্তু সে তো আমাদের সামনে আসলো। সত্যি টা বললো।তবে হাশেম কোথায়।কোথায় লুকিয়ে আছে।নাকি কেউ লুকিয়ে রেখেছে।
এসব ভাবতে ভাবতে অপূর্ব নিশ্চুপ হয়ে নদীর তীরে বসে আছে।
পেছনে পায়ের আওয়াজ কেউ আসছে। তাকাতেই দেখলাম। সূর্য আর রেখা।

রেখার চালচলন মোটেই ভালো লাগে না। কি রকম পোশাক পরে। সূর্যের সাথে একদম ঠলে ঠলে কথা বলছে।
এসেই দুজন আমার পাশে বসলো।
সূর্য: ভাই কি ভাবছিস?
অপূর্ব: নতুন আর কি । যা হচ্ছে তাই ভাবছি। সবসময় শুধু মনে হয় সব কিছু আমার সামনে অথচ দেখছি না।
রেখা : সবসময় সব কিছু সামনে থাকলেও আমরা তা বুঝে উঠতে পারি না।
সূর্য: এসব চিন্তা ছেরে দে যা হবার হবে।
অপূর্ব গা ঘেষা মহিলাটিকে একদম সহ্য করতে না পেরে উঠে গেলো।
এলিজা এনজিও তে গেলো। অথচ এখনো ফিরলো না। কোথাও ওর কিছু হলো নাতো। শ্যামলী কে একবার জিজ্ঞেস করতে হয়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

এসব ভাবতে ভাবতে, অপূর্ব শ্যামলী দের ঘরে যায়।
উকি মেরে দেখলো ভেতরে একজন বয়স্ক লোক।
আমি গলায় কাশি দিয়ে বললাম। ভেতরে কেউ আছেন।
কারো কোন সাড়া নেই। আমি ইতস্তত বোধ করেই ভেতরে গেলাম। ভেতরে কেউ নেই। শুধু একজন বয়স্ক লোক। উনি আমাকে ইশারায় বসতে বললো।আমি বসলাম।
শান্ত স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম। শ্যামলী কোথায়?
উনি কিছু বললো না।
লোকটার পেরালাইসিস। মনে হয় কথা বলতে পারে না।

উনি হঠাৎ জানি কেমন ছটফট শুরু করে। আমি আর কিছু বললাম না। ভাবলাম একবার ঘরটা দেখি।
অনেক সুন্দর সাজানো।এদিক সেদিক দেখতেই চোখ পরে একটা ডায়েরির দিকে।
হয়তো শ্যামলীর ডায়েরি। অন্য কারো ব্যক্তিগত জিনিস তার অনুমতি ছাড়া ধরা ঠিক নয়। তাই আমি চলে যাওয়ার ঊদ্যেক যখন নেই। ঠিক তখনই চোখ পরে ডায়েরির উপরে অন্য কারো নাম লেখা।
একটা ছেলের নাম । কৌতুহল বসোতো দেখতে গেলেই পেছন থেকে আমার কাদে কেউ হাত রাখে। আমি চমকে উঠে।

পেছনে ঘুরতে ই দেখি সূর্য।
সূর্য: এখানে কি করছিস? ওদিকে এলিজা অপেক্ষা করছে।
অপূর্ব; এলিজা চলে এসেছে। আর আমি এখানে ওর খোজ করতেই এসেছি।
আলি ঘরে গিয়ে দেখি।এলিজা ,শ্যামলী ,পাখি , শ্রাবন,সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে
আর আমি ওদিকে এলিজা কে খুঁজে বেড়াচ্ছি।
ঢাকা——-

জাহাঙ্গীর অদ্ভুত আচরন করছে।সবার সাথে খারাপ আচরণ করছে।
জাহাঙ্গীর কর্কট মেজাজে বললো, অর্পা একটা কাগজ কলম নিয়ে আস।আমি এখনই অপূর্ব কে চিঠি লিখবো।
জয়া: কি লিখবে তুমি। এরকম করছো কেন?
জাহাঙ্গীর সাপে,র মত ফসফস করছে।
জয়া আর কিছু বললো না। অর্পা সাহস করে বলে
উঠলো, বাবা তুমি ই তো গিয়ে ভাইয়া কে নিয়ে আসতে পারো।যদি এতই তাকে দরকার।
মেজাজ দেখিয়ে জাহাঙ্গীর বললো, আমি যদি যেতে পারতাম তবে আমি ঠিকি যেতাম।ঐখানে গেলে আমায়……
মাঝপথে কথা থামিয়ে দেয়।
চিঠিটা লেখা শেষ করে।

দ্রুত পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
অপূর্ব এলিজা কে টেনে নিয়ে বাহিরে চলে যায়।
ম্যাডাম আজকাল দেখছি আমাকে এড়িয়ে চলো। খেয়াল ই করো না আমাকে।
সকালে বেড়িয়ে গেলে । তারপর থেকে সবকিছু খালি খালি লাগছিলো।তা কি বুঝতে পারেন না? হুম?
এলিজা মৃদু হেসে বলল,
আজকে কাজ ছিল। নতুন একজন অফিসার এসেছে।ওনার সাথে সবাই কে পরিচয় করিয়ে দিলো।আর তাছাড়া কিছুদিন পর আমাদের নিয়ে দূরে যাবেন।

অপূর্ব: আমি আপনাকে কোথাও যেতে দিচ্ছি না। এতটুকুর জন্য ও হারাতে চাই না।
এলিজা : আপনার চোখে আমাকে হারানোর ভয় দেখে খুব ভালো লাগে।
অপূর্ব: আর আপনার অনুপস্থিতিতে যে আমি দুমরে মুচরে যাই ম্যাভাম
পাখি এলিজাকে খুঁজতে বাহিরে আসতেই।
কেউ মুখ চেপে ধরে নদীর তীরে নিয়ে যায়।
পাখি ছটপট করতে থাকে।
কি করবে ভেবে না পেয়ে হাতে কামড় দেয়।
ওমনি ধপাস করে নিচে পরে গিয়ে চেঁচাতে থাকে।
বাঁচাও , বাঁচাও কেউ আমায় অপহরণ করছে।
ওমনি পেছন থেকে আবার মুখ চেপে ধরে,
পেছনে ঘুরে দেখে শ্রাবন।

শ্রাবন: আরে বাবা অপহরণ করছি না। বাঁচ্চাদের মত চেঁচামেচি করছো কেন।?
পাখি : অসভ্য লোক। আপনি আমাকে ধরে নিয়ে আসলেন,তাও এভাবে।
শ্রাবন উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
আমার হাত শেষ। কি দাঁড়ালো তোমার দাঁত গুলো।দেখি একটু
পাখি খিল খিল হেসে উঠে।
শ্রাবন: ঐ পিচ্চি এভাবে হেসো না। পাগল হয়ে যাই যে।
চারদিকে চাঁদনির আলো।বয়ে যাচ্ছে নদীর স্রোত।মাঝীরা জ্বাল ফেলছে।
পাখি : কেন এনেছেন এখানে? কিছু বলবেন।

শ্রাবন: বলতে চাই তো অনেক কিছু ।‌শোনার ইচ্ছা কি তোমার আছে।
পাখি ; হেয়ালি না করে বলেন। কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে।‌
শ্রাবন: হাজারটা সমস্যার বিনিময়ে যদি আপনাকে পাই। তাহলে দেখুক সবাই।
পাশ থেকে একটা লোক নৌকা বেয়ে যাচ্ছে। আর বলছে।
চালিয়ে যাও চালিয়ে যাও,ভালো মানিয়েছে।
শ্রাবন: দেখতে হবে না জুটি টা কাদের।
পাখি : দেখেন যদি কিছু বলার হয় তো বলেন।
শ্রাবন: তুমি এখনো বুঝলে না কি বলবো।
পাখি কিছুক্ষণ থম মেরে থেকে বললো, যদি কিছু বলার থাকে সবার সামনে বলেন। লুকোচুরি আমার ভালো লাগে না ‌।

পাখি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হতেই।
শ্রাবন বলে উঠলো।,
ঐযে জ্বীন আসছে।
বলতেই পাখি পেছন ফিরে শ্রাবন কে ভয়ে জড়িয়ে ধরে।
শ্রাবন খিল খিল করে হেসে উঠে।
কি পিচ্চি কেমন দিলাম।
পাখি কিছু বলছে না।
শ্রাবন: আরে পিচ্চি কিছু নেই।আমি আছিতো আমি থাকতে কে তোমায় কি করবে।

এলিজা ঘরের ভিতর চলে যায়।
অপূর্ব রাস্তার দিকে বের হয়। চিন্তায় মশগুল ।কি হচ্ছে চারদিকে ?হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যায়।
অপূর্ব দূর থেকে দেখতে পায় , চীপস ডুপিয়ালি আর রেখা। দ্রুত পায়ে কোথাও যাচ্ছে। অপূর্ব আড়চোখে দেখলো। ভাবছে,
এটা কি করে হতে পারে। রেখার সাথে চীপস এর কি সম্পর্ক?
রেখা তো হাশেম এর প্রাক্তন। তবে এই রেখা ই হাশেম কে লুকিয়ে রাখেনি তো। ……

অপূর্ব সামনে যাবে না পেছনে বুঝতেই পারলো না। কারন কিছুক্ষণ আগেই তো রেখা কে সূর্যের সাথে দেখলো। অপূর্ব যেতে যেতে দেখলো।
রেখা চীপস ডুপিয়ালি দিগন্ত নদীর তীরে যায়।
অপূর্ব দ্রত পায়ে যেতে থাকলেও গিয়ে আর রেখা কে পায়নি। রেখা চীপস ডুপিয়ালি দু’জনেই মিলে একটা স্পিড বোডে করে চলে যায়।
অপূর্ব এবারো অপরাধীদের ধরতে ব্যার্থ হয়।
আমি নিশ্চিত রেখা হাশেম নিখোঁজ হওয়ার পেছনে দায়ী।
তবে খুব শিঘ্রই ধরে ফেলবো।এদের রহস্য আমি বের করবোই। অপূর্ব নিজেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করে।
এলিজা সবার জন্য রান্না করছে।
শ্রাবন, সূর্য বিভিন্ন আড্ডায় মশগুল।
পাখি বারান্দায় বসে পরছে। কিন্তু কোনভাবেই পরাতে মন বসাতে পারছে না।বার বার শুধু শ্রাবন এর কথা গুলো কানে ভাসছে।

পাখি খাটের উপর বসে পড়ছে।আর ভাবছে,,
কি চায় উনি,কেন আমার সাথে এরকম করে।তবে কি সে .. ।না এ আমি কি ভাবছি হয়তো,ছোট বেয়ান হিসেবে মজা করেন। কারন উনি কত বড়।কতটা উচ্চ বংশের ছেলে।তার সাথে তো আমার যায় না।
পাখি এসব ভাবতে ভাবতে, হাতে তুরি মেরে শ্রাবন ভাবনা ভেঙ্গে দেয়।
শ্রাবন: কি ভাবছেন পিচ্চি বেয়ান?পড়া রেখে কোন ভাবনায় মশগুল শুনি ?
পাখি : কোথায় আমি ভাবছি । আমি তো পড়তেই ছিলাম। আপনি এসে আমার পড়াটা নষ্ট করে দিলেন।
শ্রাবন: একটা কথা বলতে এসেছি। তোমাদের পুনর্মিলনী তে তুমি উপস্থিত থাকবে। লাল চুড়ি, পায়ে নুপুর,আলতা পায়ে, সেখানে থাকবে।

পাখি: কিসের জন্য?
শ্রাবন: কারন আমি কল্পনাতে দেখেছি তোমাকে এই সাজে খুব সুন্দর দেখাবে। বুঝলে!?
বলেই শ্রাবন চলে যায়।
পরদিন সকালে —
সূর্যর ঝরাতে এক অন্য রকম দিন নিয়ে আগমন ঘটে নতুন দিনের। কুয়াশায় আচ্ছন্ন সাথে সূর্য মামার কিছুটা ঝলক দেখা যাচ্ছে।সবাই ঘুমন্ত অবস্থায়।
হঠাৎ এক লোক এসে আলি বাড়িতে হাজির হয়
।আলিকে ডাকতে থাকে। ঘুমন্ত চোখ নিয়ে বেড়িয়ে আসে এলিজা।
লোকটি এলাকার ডাকপিয়ন। এলিজাকে বললো,ঢাকা থেকে অপূর্বর জন্য চিঠি এসেছে।বলেই চিঠি দিয়ে লোকটি চলে যায়।

বেড়িয়ে আসে অপূর্ব,এলিজার হাত থেকে চিঠি টা নিয়ে দেখলো, অপূর্বর মা অসুস্থ। তারাতাড়ি ফিরতে বলা হয়েছে। জয়ার হার্টে সমস্যা। অপূর্ব বিশ্বাস করলে, তৎক্ষানিক রওনা হয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।
এলিজা যেতে রাজি হলো না।তার বোনের পরিক্ষা।
অপূর্ব বললো তুমি পাখিকে আমাদের সাথে নিয়ে চলো।অর্পার সাথে টিউশন করবে। এলিজা বললো, আপনার সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিলাম। কিন্তু আজ নয় আমরা একদিন পর যাবো। আর মা অসুস্থ নয়।
অপূর্ব অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে এলিজার দিকে কি বলছে এসব।
অপূর্ব: কি বলছো এসব তুমি এতটা নিশ্চিত কি করে হতে পারো ?
এলিজা : আমার মানুষ চিনতে সময় লাগে না। যদিও কিছুটা সময়ের ব্যবধানে হয় তবে চিনতে পারি। আপনার বাবা আপনাকে এখান থেকে নেয়ার জন্য মিথ্যা বলেছে‌।
অপূর্ব কি বলবে বুঝতে পারলো না।

এলিজা: পাখির স্কুলে আজ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।ঐখানের ম্যাডাম আমাদের যেতে বলেছে। যাবেন তো ?
অপূর্ব: যাবো তো অবশ্যই।কারন সেখানে গান গাওয়ার জন্য যে শ্রাবন কে বলা হয়েছে। তা দেখতে তো যেতেই হবে।
সবাই মিলে আড্ডা বসিয়েছে। এলিজা রান্না করছে। রমজান বাজার থেকে অনেক কিছু নিয়ে আসছে। মেহমানদের শেষ আপ্যায়ন করতে হবে।
অপূর্ব সূর্য ঘরের সামনে চৌকিতে বসে আছে।
সূর্য: পরশু রেখা যখন এখানে এসেছে তখনই আমার সন্দেহ হয়েছে।
অপূর্ব: কিন্তু এই রেখার সাথে চীপস ডুপিয়ালির সম্পর্ক কি।আর সব থেকে বড় কথা হলো। রেখা আমার থেকে একটা জিনিস নিতে এসেছিল।

সুর্য : কি বলছিস ? কি নিতে এসেছিল?
অপূর্ব: চীপস ডুপিয়ালির পরে পাওয়া ওয়ালেট।
সূর্য : কি করে বুঝলি ?
অপূর্ব: রেখাকে যেদিন প্রথম দিন দেখেছি সেদিন ই সন্দেহ হয়েছিল ‌।
আর রেখা মুসলিম নয় খ্রিষ্টান।
সূর্য: কি বলিস ? কি করে বুঝলি?

অপূর্ব: সেদিন আমি ওর বাম হাতে একটা চিন্হ দেখতে পেয়েছি। তখনই বুঝেছি।আর এই জন্য হাশেম সম্পর্ক ভাঙে।
আর আমি ইচ্ছে করেই চীপস ডুপিয়ালির ওয়ালেট টা ওকে দেখিয়ে চৌকির নিচে রেখেছি।
এবং ইচ্ছে করেই ঘর থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় গিয়েছি।সেই সুযোগে এখান থেকে চলে যায় রেখা।
সূর্য : ও মাই গড। ইউ আর এ সাচ্চা ব্রিয়িলান্ট। কিন্তু এতে কি লাব হলো।
অপূর্ব: কারন আমি দেখতে চেয়েছিলাম । রেখা চীপস এর লোক কিনা। আর চীপস ডুপিয়ালির হাতেও একই চিন্হ ছিলো। আমি চাইলে গতকাল ওদের ধরতে পারতাম কিন্তু বেখেয়ালির জন্য পিস্তল টা রেখে যাই।
তবুও সমস্যা নেই ‌।ধরে ফেললো।কারন যার শুরু আছে তার শেষ ও আছে।
বলেই অপূর্ব উঠে দাড়ায় ।
পাশ থেকে শ্রাবন হা করে অপূর্বর দিকে তাকিয়ে আছে।কি বুদ্ধি মত্তা। আমার তো মনে হচ্ছে অপূর্ব মনে মনে কোন ফন্দি আটছে‌।

সকাল হয়ে যায়। সবাই তিলকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শহর থেকেও অনেক মানুষ আসছে‌।
সন্ধ্যা নাগাদ সবাই তৈরি হয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য।
এলিজা,শ্যামলী , অপূর্ব সূর্য সবাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। শ্রাবন সে আগেই চলে যায়।
পাখি শ্রাবন এর কথা মত।পায়ে আলতা নূপুর,হাতে চুরি পরেছে। মনে মনে ভাবছেও রাতে পরলে এগুলো কিভাবে দেখবে। লোকটা আসলেই অদ্ভুত।
একে একে সবাই হাজির হয় অনুষ্ঠানে। অনেক মানুষ জমেছে। অনেক মেয়েরা শ্রাবন কে নিয়ে আলোচনা করছে। শ্রাবন কে অনেক ই চিনে।বলতে গেলে অনেক মেয়েরাই তাকে দেখার জন্য আসছে। এবং তার গান শোনার জন্য।
শুরু হয় অনুষ্ঠান।

শিক্ষকদের সম্মান, বক্তৃতা থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
সবাই খুব চুপচাপ। কেমন জানি আমেজ নেই।
৩ নাম্বার সিরিয়ালে বসে আছে ,পাখি এলিজা সহ সবাই।‌
হঠাৎ উপস্থাপক বলে উঠলো,এবার আমাদের মাঝে সংগীত গেয়ে শোনাবে। শ্রাবন চৌধুরী।
এটা বলা মাত্রই সমস্ত ছেলে মেয়েরা হইহই করে উঠে। চারদিকে কোলাহল পরে যায়।
মঞ্চে উপস্থিত হয় শ্রাবন।

সবাই তার দিকে চেয়ে। কিন্তু সে এদিক সেদিক পরোক্ষ করে খুজছে অন্য কাউকে। হঠাৎ ই চোখ পরে ৩ নম্বর সাড়িতে। পাখি তার কথা মত , সেজেছে। হাতে লাল চুরি,আলতা, নূপুর।হাজারো নারীদের ভিরে শ্রাবন এর চোখ যেন পাখির নিশানায়।
গান গাইতে শুরু করবে ঠিক তখনই বলে উঠলো,
লাল চুরি,পায়ে আলতা, সাথে নূপুরে আপনাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।
শ্রাবন এর মুখে এরকম কথা শুনে সবাই অবাক দৃষ্টিতে এদিক সেদিক দেখে কাকে বলছে।

–শ্রাবন বললো,তাই – গানটি আপনার জন্য –
সবাই অবাক হয়ে যায়। কাকে বলছে। এদিক ওদিক সবাই দেখতেই।
শ্রাবন গাইতে শুরু করে
*তোর লাগি পরান আমার একা একা কান্দি।কোথায় যেন সে লুকিয়ে আছে, গহিন বনে।
ও পরান বন্ধুয়া ,ও পরান বন্ধুয়া।
ও পরান বন্ধুয়া আমায় ভুইলো না।কাছে থাকো না ,দূরে যাই ও না ।
লাল চুরি হাতে , নূপুর ও পরে ,নেবো যে তোকে ,আলতা রাঙা পায়ে। তোর লাগি পরান আমার একা একা কান্দি ,কোথায় যেন সে লুকিয়ে আছে
গহিন বনে………
গানটা শেষ করেই শ্রাবন বলে উঠলো,

হেই পিচ্চি বেয়ান সেদিন বলেছিলে, লুকোচুরি তোমার পছন্দ নয়।যা বলবো সবার সামনে। তাই আজ হাজারো মানুষের সামনে বলছি।—
আমি তোমাকে ভালোবাসি পাখি – আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। সবাই কোলাহল শুরু করে দিয়েছে‌। কাকে বলছে সবাই চারদিক খুঁজছে।
পাখি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। মনে মনে বলতে থাকলো,, ছেলেটা সত্যিই পাগল হয়ে গেছে। অপূর্ব সূর্য এলিজা সবাই থম মেরে পাখিকে দেখছে।
শ্রাবন গিটার , মাইক্রো টা রেখে।দৌড়ে
নিচে চলে আসে ।সবাই শ্রাবন কে দেখছে ।

শ্রাবন সবাইকে উপেক্ষা করে। পাখির সামনে হাটু ঘেরে বসে বলে উঠলো,,
ভালোবাসি আমি আপনাকে,, এভাবে সারাজীবন ভালোবাসতে দিবে? আমিতো আমার কথা রেখেছি হাজারো মানুষের মাঝে আমার প্রেম উৎসর্গ করেছি। শুধু মাত্র আপনার জন্য।
আশপাশ থেকে সবাই কোলাহল সৃষ্টি করে। কে সেই মেয়েটা তাকে দেখার জন্য ‌।

দেখতে দেখতে কেটে যায় (১.৫) দের মাস —–
চারদিকে শষ্য বিন্যাস। সূর্যের কিরন। বসন্তের আহ্ববান। বসন্ত প্রতিটা মানুষের জীবনের রং- কেই পরিবর্তন করে নতুন এক পরিচ্ছেদ আনে।কেউ পায় নতুন জীবন।তো কেউ নতুন বন্ধু।আর আমার জীবনে এসেছে। পাখি। সেদিন প্রথম যখন ওকে রাস্তার বাকে দেখি। তখনই ভালো লেগে গিয়েছিল। বলতে গেলে ভালোবাসার প্রথম ধাপ। পাখিকে পেয়ে জীবন টা যেন নতুন ভাবে শুরু হলো। হয়তো জীবনের অধ্যায় প্রিয় মানুষের জায়গাটা অপূর্ন রাখা যায় না। সময়ের সাথে সাথে পূর্ন করতেই হয়। কখন যে কে বসন্তের ফুলের মত সুবাস নিয়ে আসে তা বলা যায়না।
এতগুলো দিন যে কিভাবে কেটে গেলো জানা নেই। সেদিন বিয়ের প্রস্তাব দিলে পাখির বাড়ির লোক রাজি হয়।
আমার বাড়ির লোক অমত ছিল। কিন্তু ভালোবাসার জন্য রাজি করিয়ে নিতেই হয়। ভালোবাসা দিবসের দিন বিয়ের তারিখ। তারপর পাখির পরিক্ষা তাই তার আগেই বিয়েটা সেড়ে ফেলতে চেয়েছি। তারাও রাজি হয়।
শ্রাবন এসব ভাবতে ভাবতে,

পেছন থেকে জাহাঙ্গীর গলায় কাশি দিয়ে বললো,
জাহাঙ্গীর : কি শ্রাবন আজকাল একা একাই দেখছি হাসিস। থানাতে যাস না।
শ্রাবন : অপূর্ব আছে তো ও সামলে নেবে।আমি ছুটি নিয়েছি।
জাহাঙ্গীর: ছেলেটাকে একা একা রেখে এলি?
শ্রাবন কৌতুহল নিয়ে বললো , আচ্ছা কাকা তুমি সারাদিন অপূর্ব কে নিয়ে চিন্তায় থাকো কেন। কি হয়েছে ওর। কি সমস্যা বলবে?
জাহাঙ্গীর সিগার টা টানতে টানতে চলে যায়। কোন কথার জবাব দিলো না।
শ্রাবনের অদ্ভুত লাগলো।
ডিসি সাহেব: অপূর্ব আমরা খোঁজ পেয়েছি একটা সংস্থান থেকে।
অপূর্ব: স্যার কিসের খোঁজ?

ডিসি সাহেব: যা হচ্ছে চারদিকে,সিরি,য়াল কি,লার কে নিয়ে।
সেই সংস্থানে কেউ নাকি ৫ কোটি টাকা দিয়েছে। শুধু মাত্র হৃদ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করার জন্য ‌। তবে এই টাকা কে বা কারা দেয় তা নাকি তাদের অজানা।
অপূর্ব: স্যার আমরা খুব শীঘ্রই একে ধরে ফেলবো। বেশি একটা দিন সে যেই হোক লুকিয়ে থাকতে পারবে না।
ডিসি সাহেব চেয়ারে বসলো।
অপূর্ব বললো,স্যার একটা কথা বলার ছিল, আমার ভাইয়ের বিয়ে তো আমি কয়দিন দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত থাকতে চাই।
ডিসি সাহেব: অবশ্যই। ভালো করে আনন্দ করো।

— আগামীকাল শ্রাবনের বিয়ে। তবে ঘটা করে হচ্ছে না। কারন পাখির পরিক্ষা আর , শ্রাবনের বাবাও চলে যাবে বিদেশ। ছেলে পক্ষ থেকে শুধু শ্রাবন আর ও মা বাবা।
অপূর্ব মেয়ে বাড়ির ভূমিকা পালন করবে।কারন রমজান একা সবকিছু সামলাতে পারবে না।
বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয় পহেলা ফাল্গুন। ( ১৪ ই ফেব্রুয়ারি)
শ্রাবন মহাখুশি, আগামীকাল তার প্রিয় মানুষ টা নিজের হয়ে যাবে। সমস্ত রাত সে জেগে আছে ‌। আর মাত্র কয়েকটা। বসে বসে সময় গুনছে।

অবশেষে নতুন দিনের আলোয় আলোকিত হয় পূর্ন সকাল। চৌধুরী বাড়ি ঘটা করে না হলেও অল্প করে সাজানো। বউ দেখতে ইতিমধ্যে অনেক এ চলে আসছে।
শ্রাবন ঘুম থেকে উঠে শেরওয়ানি পরে নেয়।
খুব উৎফুল্ল সে। জয়া জাহাঙ্গীর তাদের কাজ থেকে বিদায় নিলো।
জাহাঙ্গীর কে সাথে নিতে চাইলে কোন মতেই তিলকনগর যেতে রাজি হলো না।
শ্রাবন,পলাশ,মিদুল ও শ্রাবনের বাবা রওনা হয়।
যেতে যেতে শ্রাবন,পলাশ সবাই মিলে হাজারো কথায় আচ্ছন্ন। কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে পৌছে যায় তিলকনগর।
কিন্তু, শ্রাবন সহ সবাই অবাক হয়ে যায়। বিয়ের গেঁটে কোন মানুষ নেই। আমাদের নিতে কেউ আসলো না। অপূর্ব ও বা।

কৌতূহল বসোতো ভেতরে গেলেই যা দেখে তা দেখার জন্য শ্রাবন মোটেই প্রস্তুত ছিল না। শ্রাবনের পায়ের তলার থেকে মাটি সরে যায়। সমুদ্র টা আচরে পরেছে। এটাই হয়তো জীবনের শেষ দিন।
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে পাখির দিকে।
পাখি বধু সেজে বসে আছে। জামাই হিসেবে বসে আছে অন্য কেউ। রমজান তাদের দুজনকে হাতে হাতে তুলে দিলো।পাশে দাঁড়িয়ে অপূর্ব,এলিজা । তারা সবাই হাসছে‌।
শ্রাবন থমকে দু কমদ পেছনে সরে যায়।এ আমি কি দেখছি।এটা কি করে হতে পারে। এটা দুঃস্বপ্ন নয়তো। পাখি তো আমাকে ভালোবাসতো। আমার কিছু হলে যে পাগল হয়ে যেতো সে অন্য কারো সাথে বধু বেসে বসে আছে……।পূরো পৃথিবীটা ভস্য হয়ে গেছে।ভেতর থেকে রুহ টা বের হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতি ও যেন থমকে গেছে।‌ অপূর্ব আমার দিকে দেখলো। আমার চোখে চোখ পরতেই।চোখ আচমকা সরিয়ে ফেলে।

অপূর্ব বলে উঠলো,বিয়ে সম্পুর্ন। এবার বিদায়ের পালা।
এ আমি কি শুনছি। কি বলছে ওরা।
পাখি কে একটা পালকিতে উঠিয়ে দিলো।সে চলে যাচ্ছে। একটা নজর আমার দিকে ঘুরেও তাকায় নি।কি হলো এটা।
শ্রাবন মাথার পাগড়ি টা ফেলে পালকি থামিয়ে দেয়। সবাই স্তম্ভিত হয়ে যায়।
পাখি কে পালকি থেকে শ্রাবন জোর করে নামায়।
শ্রাবন ঘৃনার ভঙ্গিতে বলে উঠলো, ছলনাময়ী, কালনাগিনী তুই আমার সাথে বেইমানি করলি। আমার বিশ্বাস নিয়ে খেলা করলি।
রাগে শ্রাবণের চোখ থেকে র’ক্ত ঝরছে।
পাখি কিছু বললো না।
শ্রাবন আবার বলতে শুরু করলো,
কিভাবে এটা করলি জবাব দে! জবাব দে!
শ্রাবণ অপূর্বর কাছে গিয়ে ভেজা কন্ঠে বললো,,এই অপূর্ব ,ভাই আমার বলনা এখানে কি হয়েছে? বউমনি তুমি বলো না কি হয়েছে।
সবাই চুপ কেউ কোন কথা বলছে না।

পাখি: আমাকে যেতে দিন।আর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করার আপনার কোন অধিকার নাই।আর আমি আপনাকে ভালোবাসি না।সবই অভিনয় ছিলো।কারন আমি রাশেদ কে ভালোবাসি।ওর সাথে ঝামেলা হয় তাই কিছুদিন কথা হয়নি। কিন্তু এখন আবার সব ঠিক হওয়াতে ওকেই বিয়ে করলাম। পথ ছাড়ুন যেতে হবে।
শ্রাবন থমকে যায়। ভেতরটা দুমরে মুচড়ে যাচ্ছে। শরীরের সমস্ত শক্তি মূহুর্তে ফুরিয়ে গেছে। পাখি চলে যায়।
এটা কি করে হতে পারে।আমি কি তোমায় চিনতে ভুল করেছিলাম। সত্যি ই কি ভালোবাসার মাঝে ছলনা ছিলো।
বলেই চোখ থেকে অঝরে পানি পরতে থাকে।

অপূর্ব: ভেঙে পরিস না।সব ঠিক হয়ে যাবে।
শ্রাবন ঘৃনা জড়িত কন্ঠে বললো, তুই কি করে পারলি।বলনা‌ কি হয়েছে হঠাৎ।
অপূর্ব কি বলবে বুঝতে না পেরে ঘরের ভেতর চলে যায়।
শ্রাবন নিজেকে সামলাতে পারছে না।
ঘৃনা হচ্ছে পাখির জন্য, মুখোশোর আড়ালে থাকা ছলনাময়ী কে আমি চিনতে পারিনি।
শ্রাবন বাড়ি ফিরে সমস্ত জিনিস ভেঙে চুরে একাকার করে ফেলে।
কি করবে বুঝতে পারছে না।
অভিমানী ভঙ্গিতে বললো,তুমি যদি একবার আমার জীবন টা চাইতে,আমি নির্দ্বিধায় আমার বুক পেতে দিতাম।
আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য মায়ার ছলনা করার কি দরকার ছিলো। মৃত্যুর থেকেও যে এই যন্ত্রনা বিষাক্ত ‌।
তিলকনগর —

অপূর্ব ভারি একটা দ্বির্ঘশ্বাস ফেলে বললো, শ্রাবন এর সাথে এটা করা কি আমাদের উচিত হয়েছে?
এলিজা: আর কোন উপায় ছিলো না আমাদের। শ্রাবন ঘৃনা করে তার প্রিয় মানুষ টিকে হয়তো ভুলতে পারবে । কিন্তূ ভালোবেসে হারালে সেই বেথা যে সহ্য করতে পারতো না।
শ্রাবন ঘরের এক কোনেতে বসে আছে।কারো সাথে কথা বলছেনা। পলাশ কে দিয়ে অনেক গুলো সিগারেট,ও এ্যালকোহ,ল আনিয়েছে।একটার পর একটা সিগারেট ধরিয়ে ভাবতে থাকে,
পাখি এমনটা কেন করলো কেন মিথ্যা মায়ায় জড়িয়ে এভাবে আমাকে হ’ত্যা করলো।আমাকে কষ্ট দেয়ার হলে অন্য ভাবে দিতো।কতটা গভীর ভালোবাসার অভিনয় করেছিলে।আমি সত্যিই বোকা।
বলেই অদ্ভুত হাঁসি দেয়,

আমি তোমার অভিনয়ে হার মেনে গিয়েছি। একবার যদি বলতে আমার হৃ,দয়টা কে,টে দিয়ে আসতাম ।তবুও এভাবে কেন কাঁদালে।
শ্রাবন এর আহা,জারি তে চারদিক নিশ্চুপ হয়ে গেছে।
অপূর্ব ঢাকাতে চলে আসে।থানা থেকে খবর পাঠানো হয়। অপূর্ব রাতেই বাড়ি ফিরে আসে। সর্ব দিক ঘোলাটে লাগছে। শ্রাবন এর জন্য অনেক খারাপ লাগছে। শ্রাবন এর ঘরের সামনে এসেও অপূর্ব থমকে দাঁড়ায়। শ্রাবনকে ডাকার আর সাহস হলো না। কি উত্তর দিবো ।কোন উত্তর নেই।চলে যায় নিজের ঘরে।
অপূর্ব ভারী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,নিজের চোঁখের সামনে তার প্রিয় মানুষটি কখনো অন্যর না হয়ে যায়।
রাত অনেক কিন্তু কেউ ঘুমোয়নি।‌‌অপূর্বর মাথায় অনেক কিছু ঘোরপাক খাচ্ছে। কি হচ্ছে এসব । চারদিক যেন কারো অভিশাপে লিপ্ত। সবসময় মনে হয় , সমস্ত রহস্যর সূত্র এক সুতোয় বাঁধা। কিন্তু ছুঁতে পারছি না। আদোয় কি আমার ভাবনা সঠিক।

এসব ভাবতেই, অপূর্বর পেছন থেকে কেউ কাঁদে হাত রাখে। পেছন ঘুরে দেখে তার মা।
অপূর্ব শান্ত স্বরে প্রশ্ন করলো, মা, বাবা কেন আমাকে এক মুহুর্তের জন্য দূরে রাখতে চাননা ? দু- দুবার আমাকে মিথ্যা বলে তিলকনগর থেকে এনেছে কেন মা?
জয়া কি বলবে বুঝতে না পেরে বললো, বাবা তোর ভালোবাসায় অন্ধ।সে চায়না তোকে দূরে রাখতে
।তাছাড়া চারদিকে যা হচ্ছে।

অপূর্ব খেয়াল করলো,জয়া চোঁখে চোখ রেখে কথা গুলো বলতে পারলো না।
কি লুকোচ্ছো মা।মা কি সত্যি বলেছে। না মিথ্যা।নাকি আমার ধারনা ভুল।
এসব ভাবতেই, অপূর্ব তার মাকে এড়িয়ে ছাঁদে চলে যায়।
আজ খুব একাকিত্ব অনুভব হচ্ছে,এলিজা আমার সাথে ফিরলো না।বলে এনজিও থেকে লোক যাবে তিলকনগর। ম্যাডাম কে ছাড়া যে থাকতে, খুব কষ্ট হয়। কিন্তু ম্যাডাম বুঝলো না।

এলিজা পর্ব ৩১+৩২+৩৩

অপূর্ব আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।তারা গুলো দেখছে আর ভাবছে, তারাদের মধ্যে একটা তারা রায়হান,একটা সাদিক। ওরা আমাকে উপর থেকে দেখছে।কত স্মৃতি ওদের সাথে ‌।কি করে ভুলে যাবো। এতদিন হয়ে গেলো আজ ও ভুলতে পারলাম না।আর ভুলতে চাই ও না।
খুব মনে পরে সাদিক কে, নিজের জীবন কে কোরবান করে আমার জিবন টাকে দিয়ে গেলো।কি করে সোধ করবো এই ঋন?….

এলিজা পর্ব ৩৭+৩৮+৩৯