এসো বৃষ্টি হয়ে পর্ব ৫

এসো বৃষ্টি হয়ে পর্ব ৫
লেখিকা- সায়ুরী দিলশাদ

কুলসুম বেগম ওদের চিৎকার চেচামেচিতে বিছানা থেকে উঠে আসেন।ঘটনাটা বুঝতে একটু সময় লাগে। দৌড়ে এসে ছেলে বউমা কে থামানোর চেষ্টা করেন। বেলি হাত থেকে গামলাটা কেড়ে নিয়ে বলেন,
– করো কি তোমরা! কি হইছে? স্বামীরে কেউ এমনে মারে! পাপ হইবো।
বেলির দুঃখের মাঝেও হাসি পায়। আবার রাগও লাগে। বলে,
– চিন্তা করবেন না আম্মা। আপনার ছেলের চাইতে আমার পাপের সংখ্যা কম আছে।
কুলসুম বেগম একবার সুখনের দিকে তাকায় তারপর আবার বেলির দিকে তাকিয়ে বলে,

– কি হইছে? আমারে বলো।
বেলি কান্না পায় ও হাউমাউ করে কেঁদে দিয়ে বলে,
– আপনারা আমার জীবনটা নষ্ট করে দিলেন। আপনার এই জানোয়ার মিথ্যাবাদী ছেলে আমারে মিথ্যা আশা দিয়ে ঐ বাজারি মেয়েটার সাথেও সম্পর্ক রাখছে। তার সাথে প্রেমালাপ করে। আমার ছেলেটার মাথায় হাত রেখে ও কসম কাটছিলো।
কুলসুম বেগম স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে থাকে। কিছু বলতে পারে না।
বেলি আর দাঁড়িয়ে থাকে না। মেইন দরজা খোলে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। আর এই বাসায় থাকবে না সে। আর সুখনের মিথ্যা আশায় ভুলবে না। কুলসুম বেগম বেলির পিছন পিছন দৌড়ে যায়। বলতে থাকে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

– বউমা যাও কই। দাঁড়াও, একলা একলা যাও কই।
বেলির কানে কুলসুম বেগমের গলার আওয়াজ পৌঁছায় না। ফুটপাত দিয়ে খালি পায়ে দ্রুতগতিতে হাঁটতে থাকে। কুলসুম বেগম একমত দৌড়ে গিয়েই বেলিকে ধরে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,
– মা, কই যাও এত রাতে। পাগলামি কইরো না৷ বাসায় চলো।
বেলি নিজের হাত কুলসুম বেগমের থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,
– না আম্মা আমি আর ঐ বাসায় যাবো না। আপনার ছেলে ঐ নষ্টা মেয়েরে বাসায় এনে রাখুক।
– মা, ঐ মেয়েরে ও বাসায় তুলতে পারবে না। আমি তোমারে কথা দিলাম৷ আমার সব সম্পত্তি সব কিছু আমি তোমার নামে লিখে দিবো। তুমি চলো আমার সাথে।

বেলি চোখ মুছতে মুছতে বলে,
– না, আমি যাবো না। আপনার বিষয় সম্পত্তির আমার কোনো দরকার নাই। আমার সবচেয়ে বড় সম্পত্তিই তো আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমার আর কিছুর দরকার নাই।
বেলি একটা সিএনজি থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে। কুলসুম বেগমের কেনো অনুনয় অনুরোধ ঠিকলো না। সিএনজি একটা শব্দ তুলে হারিয়ে গেলো আরও গাড়ির ভিড়ে। কুলসুম বেগম সিএনজিটার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। আশেপাশের মানুষগুলো এতক্ষণ ওদের দিকে তাকিয়ে কি হয়েছে বুঝার চেষ্টা করছিলো। কিছুটা জটলা মতো বেধে গিয়েছিলো। তারা প্রত্যেকেই আবার যার যার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

কুলসুম বেগম বাসায় ফিরে দেখলেন সুখন সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছে। সুখনকে দেখে কুলসুম বেগমের রাগ হয়, ঘৃণা জন্মে। রাগে মুখে অনেকটা থুথু এসে জমা হয়। তিনি থুথু টা নিক্ষেপ করলেন ফ্লোরে। “থু” শব্দটা বেশ জোরেই হলো। সুখন মাথা তুলে তাকালো। বললো,
– বেলি আসে নাই।
কুলসুম বেগম রাগে বলেন,
– বেলি আসার মতো কোনো পথ তুমি রাখো নাই। ও বলেছে ও আর আসবে না। তুমি এখন এই মুহূর্তে আমার বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। যেদিন বউমা এই বাসায় আসবে সেইদিন তুমি এই বাসায় ঢুকতে পারবে এর আগে না। বের হও এখনি।
সুখন বোকা বোকা চোখে বলে,

– আমি তো আপনার ছেলে! আমি আমার সাথে এইরকম করতেছন কেন?
কুলসুম বেগম রেগে বলে,
– দরকার নাই আমার এমন ছেলের। এমন ছেলের থেকে ছেলে না থাকাই ভালো। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো। যাও বের হও। যেদিন বউমা এই বাড়িতে আসবে ঐ দিন আসবে এই বাড়িতে …
কুলসুম বেগমের কথা থেমে যায় বাচ্চার কান্নার আওয়াজে। এতক্ষণ লিখনের কথা মনে ছিলো না কারো। লিখন নিজের কথা জানান দিতেই সুখন আর কুলসুম বেগম দৌড়ে যান লিখনের কাছে। বিছানায় বসে চোখ বন্ধ করে কাঁদছে লিখন। বাবা আর দাদিমাকে দেখেও সে বারবার বলে যাচ্ছে “মা মা”। সুখন দৌড়ে গিয়ে কোলে নেয় লিখনকে। বলে,

– আসতেছে আম্মু। তুমি চুপ করো বাবা।
লিখন চোখ ভর্তি পানি নিয়ে তাকিয়ে থাকে বাবার দিকে। সুখন লিখনকে নিয়ে মেইন দরজার দিকে এগিয়ে যায়। কুলসুম বেগম পিছন থেকে বলে,
– কোথায় যাচ্ছো ওকে নিয়ে।
সুখন থামে না সামনের দিকে পা ফেলতে ফেলতেই বলে,
– তুমিই তো বলেছো বেরিয়ে যেতে বেলি যতদিন না আসে ততদিন আমি থাকতে পারবো না এখানে।
কুলসুম বেগম থতমত খেয়ে বলে,

– হ্যা বলেছি। শুধু তোমাকে বলেছি। লিখনকে নিয়ে যেতে বলি নি। ও থাকবে, আমি কালকে ওকে নিয়ে যাবো ওর মার কাছে।
সুখন একেবারে দরজার সামনে চলে গিয়েছিল। সে বললো,
– না, ও ওর মার কাছে যাবে না। যে মা আড়াই বছরের ছেলে রেখে বেরিয়ে যেতে পারে তার কাছে আমি আমার ছেলে দিবো না৷
কুলসুম বেগম দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
– ওর মা মনের সুখে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় নাই। না তার কোনো প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। সে কেন এবং কি মানসিক অবস্থায় বাসা থেকে বেরিয়েছে সেটা তুমিও জানো।
সুখন মাথা নেড়ে বললো,

– না, আমি জানি না৷ বাসা থেকে বেরিয়ে যাবার মতো তেমন কিছু হয় নি। আর কে জানে হয়তো প্রেমিকের কাছেই গেছে। তোমাকে তো বলে যায় নি কোথায় যাবে। গেছে বলে!
কুলসুম বেগম সুখনের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দেয় এমন ছেলে জন্ম দেওয়ার কারণে। নিজের ছেলের মন মানসিকতা চিন্তাধারা যে নিম্ন সেটা তিনি জানতেন।কিন্তু এতটাও যে জঘন্য সেটা তিনি কল্পনাও করতে পারে নি। নিজের দোষ ঢাকার জন্য সে বেলির উপর অপবাদ চাপিয়ে দিতে চাইছে। তিনি এগিয়ে যান লিখনকে রেখে দেওয়ার জন্য। কুলসুম বেগম লিখনকে রেখে দেওয়ার জন্য কাড়াকাড়ির এক পর্যায়ে সুখন লিখনকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। কুলসুম বেগম কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে ঐ জায়গাতেই দাঁড়িয়ে থাকে। তার ছেলে এত খারাপ।

রাত দশটা বাজে। পান্না বেগম খাবার টেবিল সাজাচ্ছেন। সবাই বাজার থেকে ফিরছে একে একে। হাত মুখ ধুয়েই খেতে বসবে। আহমেদ শেখ হাত মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে বসলো। ভাত মাখিয়ে লোকমাটা মুখে দিতেই মোবাইলটা বেজে উঠলো। আহমেদ শেখ বিরক্তিতে মুখ দিয়ে “চ” শব্দ উচ্চারিত হলো। তিনি বিরবির করে বলেন,
– খাইতেও দিবি না শান্তিতে।
মোবাইলটা বের করে নামটা দেখে কপাল কুচকে পান্না বেগমকে উদ্দেশ্য করে বললো,
– বেয়াইন কল দিছে। কি ব্যাপার বলো তো!
পান্না বেগমের মনের ভিতর খচখচানি মাথা নাড়া দিয়ে উঠলো। তিনি বললেন,
– তাড়াতাড়ি কলটা ধরো। দেখো কি বলে!

আহমেদ শেখ মোবাইলটা কানে ধরে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলেন। শুধু কপালের ভাজগুলি আরো গভীর হলো। কুলসুম বেগমের পুরো কথা না শুনেই তিনি কল কেটে দিলেন। প্লেট ভর্তি ভাতেই তিনি হাত ধুয়ে বেরিয়ে গেলেন। পিছন থেকে পান্না বেগম ক্ষীণ গলায় একবার বললেন,
– কই যাও। বলে যাও।
এরপর আর কিছু বলতে পারলেন না তিনি জানেন তার বেলির কিছু হয়েছে। পিছু ছুটলেন তার স্বামীর।
রহমত শেখ আর পল্টু বাজার থেকে সবে বাড়িতে পা রাখলো। দুজনে আলোচনা করছিলো সামনের ভোট নিয়ে। আহমেদ শেখকে বেরুতে দেখে পল্টু জিজ্ঞেস করলো,
– কাকা কই যাও।
আহমেদ শেখ চিন্তিত গলায় বললেন,

– সুখনের সাথে বেলি ঝগড়া করে বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে।ওরা জানে না বেলি কোথায় গেছে। ওর শাশুড়ী ফোন করেছিলো আমাদের এখানে এসেছে কিনা জানতে। বড় চিন্তা করছেন মহিলা। আমি যাই গিয়ে দেখি বেলি কোথায় আছে।
শেষের কথাটা আহমেদ শেখ ক্লান্ত গলায় বলে বেরিয়ে গেলেন। তার মেয়ের জীবনটা এমন কেন হয়ে গেলো। বেলির জন্য চিন্তায় তিনি ঘুমাতে পারেন না আজকাল। একটা মাত্র মেয়ে তার, তার কপালে কেন এতো দুঃখ।
রহমত শেখ আর পল্টু ও গেলো আহমেদ শেখের পিছন পিছন। কিছুদূর এগোতেই দেখতে পেলো কেউ একটা যেন তাদের দিকেই আসছে।

পল্টু একটু এগিয়ে এসে বললো,
– কাকা, বেলি আপা না এটা।
তিনজনেই দৌড়ে গেলেন বেলির কাছে। বেলি তাদেরকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লো, বললো,
– আব্বা, আমার সব শেষ।
আহমেদ শেখ মেয়ের মাথায় হাত রেখে বললো,
– বাড়ি চল।
রহমত শেখ বেলির দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলেন বেলির পায়ে জুতা নেই।দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের জুতাগুলো খোলে এগিয়ে দিয়ে বলে,
– পায়ে দে এগুলা।

পল্টু দূর থেকে তাকিয়ে দেখে বেলিকে। সুখনের উপর প্রচুর রাগ হচ্ছে তার। ইচ্ছে করছে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ওকে ঠুকরো ঠুকরো করে দেয়। তার বেলি আপাকে কষ্ট দেওয়া। সে মনে মনে ঠিক করে নেয় তার বেলি আপার জন্য কিছু করতে হবে। এখন বেলি আপার ঋণশোধ করার সময়।
বেলিকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতেই পান্না বেগম কেঁদে এসে বেলিকে জড়িয়ে ধরেন। কিছুক্ষণ কান্না করার পর। কি যেন খোঁজতে থাকে।
আহমেদ শেখ জিজ্ঞেস করে,
– কি খোঁজো!
পান্না বেগম বেলিকে জিজ্ঞেস করে,
– বেলি লিখন কই?

বেলির যেন হুস ফিরে মায়ের প্রশ্নে। রাগের মাথায় সে তখন বাসা থেকে বেরিয়ে আসে লিখনকে নিয়ে আসতে মনে ছিলো না। সে ব্যস্ত হয়ে উঠে লিখনের জন্য। পল্টু বেলিকে আশ্বস্ত করে সে নিয়ে আসবে লিখনকে, এবং এখনেই রওনা হবে। মনে মনে পল্টু ঠিক করে নেয় আজকে সে সুখনকে শায়েস্তা করবে। গ্রামের আরও একজনকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে রওনা হয় শহরের দিকে। মাঝপথে গাড়ি থামাতে হয় রহমত শেখের কল আসাতে। পল্টু মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

মায়মুনা বেশ বিরক্ত নিয়ে দেখছে লিখনকে, তার সতীনের ছেলে এখন তার বাসায়। তার রাগ লাগছে খুব। সুখন কেনো তার ছেলেকে নিয়ে এখানে আসবে। খুব কর্কশ গলায় বললো,
– এই বাবু, এই ঘুমাও তো। রাত তো কম হয় নাই। ঘুমাও, নাহলে জুজু বুড়ি আসবে।
লিখন কাঁদে এবারে। মায়মুনা লিখনের কান্না দেখে ভালো লাগে৷ সে লিখনকে চিমটি কাটে। লিখন আরও জোরে কাঁদতে থাকে। মায়মুনার হাসি পায়।

বেলি সারারাত বারান্দায় বসে থাকে। লিখনের জন্য চিন্তা হয় তার। সুখন নাকি লিখনকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে। সে তার ছেলেকে নিয়ে কোথায় গেলো! যদি কোনো ক্ষতি করে ফেলে তার। নিজের প্রতি রাগে বেলির মাথা যন্ত্রণা হয়। কেন সে লিখন কে ফেলে এলো তা নিয়ে এখন তার আফসোস হচ্ছে। যদি সুখন লিখনকে না দেয় তাহলে কি করবে সে। লিখনেই তো তার শেষ সম্বল। সুখন লিখনকে নিয়ে কোথায় যেতে পারে। বেলি একবার ভাবে।
পরদিন সকালেই পল্টুকে নিয়ে রওনা হয় বেলি গন্তব্য মায়মুনার বাসা। যদিও বেলির পরিবার বলেছিলো তারাই এনে দিবে লিখনকে কিন্তু বেলির মন মানছিলো না তাই সে নিজেই এলো। বার কয়েক কলিংবেল চাপতেই এসে দরজা খোলে দেয় মায়মুনা। বেলিকে দেখে চমকায় সে।

বেলি ব্যস্তভাবে জিজ্ঞেস করে,
– সুখন এসেছে এখানে।
মায়মুনা তাকে পাল্টা প্রশ্নে জিজ্ঞেস করে,
– তাকে আপনার কি দরকার আপা।
– আমার ছেলেকে নিয়ে সুখন কই যেন চলে গেছে।
মায়মুনা বলে,

এসো বৃষ্টি হয়ে পর্ব ৪

– আপনি তো আপনার ছেলেরে রেখে চলে।গিয়েছিলেন।
পল্টু এতক্ষণ অধৈর্য হয়ে শুনছিলো ওদের কথা। এবারে সে মায়মুনাকে বললো,
– এই এই, সরেন তো। আজাইরা প্যাচাল পারার জন্য আসি নাই এখানে।
বলেই মায়মুনাকে একমত ঠেলেই ভিতরে ঢুকে গেলো। মায়মুনার হইচই তে সুখন বেরিয়ে আসলো। পল্টু সুখনে উদ্দেশ্য করে বললো,

– দুলাভাই, লিখনরে নিতে আসছি আমরা।
সুখন বেলি আর পল্টুর দিকে তাকিয়ে বললো,
– আমার ছেলে আমি দিবো না।
পল্টু জিজ্ঞেস করলো,
-কেন দিবেন না?
– কারণ কোনো বাজে মেয়েছেলের কাছে আমার ছেলে দিবো না। তোমার বোনকে আগে জিজ্ঞেস করো সে কালকে রাতে তার কোন প্রেমিকের বাসায় ছিলো।

বেলি একটু চমকালো। পল্টু একবার বেলির দিকে তাকালো বেলি মুখ ঘুরিয়ে নিলো অন্যদিকে। এর অর্থ পল্টু জানে। সে শার্টের হাতা গুটিয়ে সুখনের নাক বরাবর একটা ঘুষি বসিয়ে দেয়। নাক দিয়ে গড়িয়ে রক্ত পড়তে লাগলো সুখনের। মায়মুনা চাপা আর্তনাদ করে উঠলো। পল্টু চোখ বড় বড় করে মায়মুনার দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বললো,
– কেয়ামত করে দিবো একদম আওয়াজ করলে। পাশের রুম থেকে লিখনের কান্নার আওয়াজ আসছে। বেলি ছোটে গেল পাশের রুমে।

এসো বৃষ্টি হয়ে পর্ব ৬