কাজলরেখা পর্ব ৩০

কাজলরেখা পর্ব ৩০
তানজিনা ইসলাম

গোধূলি বিকেল। কিছু সময়ের মধ্যেই সূর্য ডুবে যাবে। চাদনী নির্নিমেষ তাকিয়ে আছে সেদিকে। ওর চুলগুলো পোনিটেল করে বাধা। বেবিহেয়ার গুলো ছড়িয়ে আছে মুখের উপর। আঁধার দাঁড়িয়ে আছে ওর পাশে।বিস্তীর্ণ মাঠের মতো বড় একটা ছাদ।একসাইডে অনেকগুলো টব রাখা। হালকা বাতাসে চাদনীর উড়না উড়ছে। আঁধার আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো

-“রেলিঙে উঠে বসবি?”
-“যদি পরে যাই?”
-“আমি থাকতে তুই পরে যাবি, এমন হতে পারে?”
চাদনী তাকালো আঁধারের দিকে৷ ও নিজের দু’হাতের সাহায্যে রেলিঙে উঠতে পারলো না। দেওয়ালগুলো চাদনীর চেয়ে একটু উচু। আধার ওঁকে উঠতে সাহায্য করলো। চাদনী আকাশের দিকে তাকিয়ে পা দোলায়।লম্বা শ্বাস ফেলে সকল বিষাদ হাওয়ায় মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আঁধার তাকালো ওর দিকে।ওর গালের দাগগুলো চলে গেছে। হঠাৎই আঁধারের মনে একটা প্রশ্নের উদ্রেক হলো, ও চাদনী কে কালির ড্রাম বলে কেন? হুয়াই? চাদনী মোটেও কালির ড্রাম না। ওর ফেইস কাটিং খুব সুন্দর!আঁধারের গায়ের রঙের চেয়ে সামান্য ডিপ। শ্যামলা বলা চলে! তবুও কেন ও চাদনীকে এতটা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে? কেন এতোটা বুকে লাগিয়ে কথা বলে? শুধু ওর জেদগুলোর জন্য? আসলেই আধার ওর জেদ নিতে পারে না। আঁধারের একটা মাইন্ডসেট হচ্ছে, ওর আশেপাশের সবার উপর ও জেদ রচাবে। সবাই ওর কথা মানবে। ও যেটা বলবে সেটাই হবে। কিন্তু চাদনী ওর কথা শোনে না, এতটা বিদ্বেষ দেখায় তাই আঁধার এমন করে। আঁধার গালে টোকা দিলো চাদনীর।
চাদনী তাকালো ওর দিকে।

-“সরি ফর এভরিথিং চাঁদ!”
চাদনী অবাক দৃষ্টিতে তাকালো।বললো
-“হঠাৎ?”
-“তোর সাথে প্রথম থেকে এমন করা আমার উচিত হয়নি! তুই খুব কষ্ট পেয়েছিস না রে!”
চাদনী মলিন হেঁসে বললো
-“সরি ডাজন্ট ফিক্স এভরিথিং!”
-“তবুও, মাফ করা যায় না৷ আমার খুব খারাপ লাগে৷ তোর মনটাকে আমি বিষিয়ে দিয়েছি৷ ছোট্ট একটা হৃদয়ে কত কি সহ্য করেছিস৷ যেখানে তুই অপারগ ছিলি। চাচ্চু কে ছেড়ে শুধু মাত্র আমার ভরসায় এখানে এসেছিলি। অথচ আমি তোর সাথে কি কি অন্যায় করেছি। আমি খুব সরি রে!”

-” হা হা! খুব সুন্দর নাটক করতে পারো তো তুমি! তুমি সরি বলে বলে আমাকে কন্ট্রোল করো। তোমার সব কথা মানতে বাধ্য করো। দেখো আঁধার ভাই,আমার গালের দাগগুলো চলে গেছে। কিন্তু হৃদয়ের দাগ যাচ্ছে না। আমি তো তার কাছে কিচ্ছু চাইনি কখনো। শুধু চেয়েছিলাম আমার সাথে একটু থাকো৷ সাহারা দাও। যেভাবে ছোট বেলা থেকে সাইড নিতে ওভাবে একটু আমার পাশে থাকো। তুমি কি করলে বলো তো! আমি খুব কেঁদেছি জানো।খুব বাজেভাবে কষ্ট পেয়েছি।তোমার বিষাক্ত কথাগুলো মনে পরলে এখনো কাঁদি। আমার মুখে তো সৌন্দর্যের ছিটাফোঁটাও নেই, সমাজ সুন্দর খোঁজে। তাই তোমার সমস্যা হয় আমার পরিচয় দিতে। এতো কিছু আমি ভুলে যাবো। সবসময় মেয়েদেরকেই কেন ভুলে যেতে হয়? কেন সবসময় মেয়েদেরই মেনে নিতে হয়? তুমি আমার সাথে যেসব বিহেভিয়ার করেছো, সেসব যদি আমি তোমার সাথে করতাম, তুমি থাকতে আমার সাথে? থাকতে না, ছেড়ে দিতে। আমি কেন পারবো না তোমাকে ছাড়তে? শুধু আমি মেয়ে তাই। সমাজ শুধু মেয়েদের দোষ দেখে। তোমার মতো সুন্দর ছেলেদের দোষ দেখে না, শুধু এই একটা কারণের জন্য আমি আমাকে মেরে ফেলবো?”
আঁধার দীর্ঘশ্বাস ফেললো। বিমূঢ় স্বরে বললো

-“তুই খুব জেদি বুঝেছিস! সেইম কথা কয়বার মনে করিয়ে দিতে হয়।”
-“প্রথমবার বুকে লাথি মেরে, যতবার পিরিতির কথা মনে করাতে আসবা ততবার।”
-“মেয়েদের এতো জেদ ভালো না। জানিস তো, ছেলেরা জিদ ধরলে বাদশা আর মেয়েরা…
-“বে***?”
আঁধার কেমন দৃষ্টিতে যেন তাকালো ওর দিকে। চাদনী শব্দ করে হাসলো। হাসতে হাসতে বললো
-“তুমি একটুও বদলাওনি। একটুও না। তুমি এখনো সেই আমাকে ছোট করেই যাচ্ছাে! এখনো আমি তোমার কাছে নিচু কোনো বস্তু যার সম্মান ইচ্ছার কোনো ধার ধারো না তুমি!”
চাদনী আকাশের দিকে দৃষ্টি তাক করলো। ওর দু’টো চিকচিক করছে সূর্যের আলোতে। মনে হচ্ছে গলায় যেন কেও কাটা তার পেচিয়ে দিয়েছে।
দু’জন নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। সূর্য অস্ত গিয়েছে মাত্রই।পশ্চিমে লালিমা, রক্তবর্ণ আকাশ। কিছু ছন্নছাড়া পাখি উড়ে যাচ্ছে।
বিষাদে ছেয়ে আছে দু’টো হৃদয়। কেও নিজের সাথে লড়ছ, কেও বা তার বিপরীতজনের সাথে।রুক্ষ বাতাস ওঁদের গা ছুয়ে দেয়। ওঁদের জীবনে বসন্ত আসে না অনেকদিন।

আজ চাদনীর জন্মদিন। এই একটা দিনে ওর মনটা খুব ফুরফুরা থাকে। তবে আজ দিনটা তার ব্যাতিক্রম।
যদিও ও আর ওর বাবা ব্যতীত এই দিনটা কেউই মনে রাখে না। তবুও চাদনী এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে। কখনোই বাড়িতে ওর জন্মদিন পালন করা হতো না। অথচ বাড়ির আর দুই ছেলে-মেয়ে আঁধার আর অর্পিতার জন্মদিনে ঘটা করে, দাওয়াত দেওয়া হতো সবাইকে। কেক কাটা হতো। চাদনী এসব চায়নি কোনোদিন। আকিব শিকদার ওঁকে বরাবর বারোটায় উইশ করতো। ওরা দু’জন মিলে কেক কাটতো। ওর বাবা ওঁকে অনেকগুলো গিফট দিতো। যতো ইম্পর্ট্যান্ট কাজই হোক না কেন, আকিব শিকদার বারোটার আগে চলে আসতো ওঁকে উইশ করতে। মানুষটা আজ আর এলো না, সে কী জানে না চাদনী অপেক্ষা করে আছে। ফোন নাহয় ধরলো না।একটু অভিমান করার অধিকার কি ওর নেই! সবাই যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে ওর সাথে!

চাদনী কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে এলো। আঁধার ওর জন্মদিন জীবনেও মনে রাখবে না। একটা কালির ড্রামের জন্মদিন মনে রাখা তেমন ইম্পর্ট্যান্ট কোনো বিষয় না। চাদনী তবুও একপলক আঁধারের কক্ষে উঁকি দিলো। খালি দেখে কপালে ভাজ ফেলে সিড়ি বেয়ে নামলো।
ড্রইংরুমও খালি। কিচেনের দিকে এগিয়ে গেলো চাদনী, কিন্তু ও যাওয়ার আগেই আঁধার বেরিয়ে এলো।চাদনী থেমে গেলো। আঁধারের হাতে কেক। চাদনীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে ওর হাতের কেক উঁচিয়ে চিল্লিয়ে বললো
-“হ্যাপি বার্থডে চাঁদ!”
চাদনী হা করে তাকালো ওর দিকে। কতোক্ষণব্যাপী অবাকের চোটে কথা বের হলো না ওর মুখ দিয়ে। আঁধার হাসিমুখে বললো

-” হ্যাপি সুইট সেভেন্টিন চাঁদ। সতেরো বছর হয়ে গেছে তোর। বুড়ি হয়ে গেছিস!”
-“তুমি আমার বার্থডে মনে রেখেছো?”
ভাঙা গলায় বললো চাদনী। আঁধার কপালে ভাজ ফেলে বললো
-“হাউ ক্যান আই ফরগেট ইউর বার্থডে?”
-“আমার বার্থডে বাবা ব্যাতিত আজ পর্যন্ত কেও মনে রাখেনি আঁধার ভাই।”
-“কে বললো তোকে! আমি তো মনে রাখি। আমার তো প্রতিবছর মনে থাকে। হ্যাঁ উইশ করা হয়নি, ঢাকা আসার পর। বাট আমার মনে থাকতো!”
চাদনী ঠোঁট চেপে তাকালো আঁধারের দিকে। কান্না আটকে বাচ্চাদের মতো করে বললো
-“বাবা তো আসলো না!আমাকে উইশও করেনি।”
-“করবে হয়তো! মাত্রই বারোটা বেজেছে। এখনো সময় আছে। আর বাবা আসেনি বলে এতো আফসোস করছিস কেন? প্রতিবছরই তো বাবা থাকে তোর সাথে৷ এবছর না-হয় আমি আছি। এরপর থেকে প্রতিটা বছর থাকবো। চল কেক কাটবি!”
আঁধার নিজে চকলেট কেক বানিয়েছে চাদনীর জন্য।ওর চকলেট খুব ফেবারিট। চাদনী কেক কাটতে বসলো। আঁধার আফসোস করে বললো

-“ওহ শিট! আমি তো মোমবাতি আনতে ভুলেই গেছি। আসলে কেকটা কি করে বানাবো এটা নিয়ে টেনশনে ছিলাম।ফার্স্ট টাইম বানিয়েছি!”
-“মোমবাতি লাগবে না। তুমি বসো, আমি কেক কাটছি।”
চাদনী কেকে ছুড়ি বসানোর আগে বেল বাজলো। আঁধার ভ্রু উঁচিয়ে তাকালো সদরদরজার দিকে। এতো রাতে কে এলো? আঁধার যাওয়ার আগে চাদনী নিজেই উঠে দাঁড়ালো৷ দরজা খুলতেই অবাক দৃষ্টিতে তাকালো চাদনী। আকিব শিকদার হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তাকিয়ে আছেন ওর দিকে। ওঁকে দেখতেই ঠোঁটের হাসি আরো বিস্তৃত হলো তার৷ ওনার দুহাতে দশ-বারোটা প্যাকেট। চাদনী হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকলো, ওর মনে হলো স্বপ্ন দেখছে। আকিব শিকদার বললেন

-“ঢুকতে দিবে না আম্মা!”
চাদনীর সম্বিত ফিরলো। দরজা থেকে সরে দাঁড়ালো ও। আকিব শিকদার ভেতরে ঢুকলেন। ততক্ষণে আধারও এগিয়ে এলো।
-“চাচ্চু!”
-“আমার হাত থেকে এগুলো নাও তো বাবা!”
আঁধার ওনার হাত থেকে প্যাকেট গুলো নিয়ে সোফায় রাখলো। আঁধার উদগ্রীব স্বরে বললো
-“এতো রাতে তুমি? আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। ফ্ল্যাট খুঁজে পেতে সমস্যা হয়নি তো!এতোগুলা প্যাকেট কী করে নিয়েছো?”
-“নাহ।বাড়ির ড্রাইভার তােমার ফ্ল্যাট চিনতো। সে এখান পর্যন্ত এনে দিয়েছে। কষ্ট হয়নি।”
আকিব শিকদার চাদনীর দিকে তাকালেন।
-“আম্মা, আমাকে জড়িয়ে ধরো। বাবা মিসড ইউ সো মাচ। এখনো অভিমান করে থাকবে? দেখো চলে এসেছি তোমার কাছে, নিয়ে যাবো তোমাকে!তুমি আমাকে বুঝবে না!”
চাদনী ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো তাকে।আকিব শিকদার দু-পা পিছিয়ে গেলো। চাদনী হুড়মুড়িয়ে বললো

-“আই মিস ইউ, আই মিস ইউ সো মাচ।বাবা…
-“হ্যাপি বার্থডে আম্মা।সরি ফর লেইট, বারোটায় উইশ করতে পারিনি।কিন্তু দেখো, আমি বরাবর বারোটা দশে উইশ করেছি।”
-“তুমি, তুমি এসেছো আব্বু! আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছিলো তুমি বোধহয় আমাকে ভুলেই গেছো। এতোগুলো দিন তোমার একবারো আমার কথা মনে পরলো না..
আর বলা সম্ভব হলো না ওর পক্ষে। চাদনী এবার কেঁদেই দিলো।আকিব শিকদার বুকের সাথে শক্ত করে ধরে রাখলেন চাদনীকে। চাদনী তার শার্টের বুকের কাছটায় ভিজিয়ে ফেললো চোখের জলে। আকিব শিকদার ওর চোখের জল মুছিয়ে দিলেন। ভরাট কন্ঠে বললেন

-“বাবা খুব মিস করেছে তোমাকে। তোমার কথা খুব মনে পরেছে তার। কেঁদো না আম্মা। কেঁদো না প্লিজ। আমি চলে এসেছি তো। আর কাঁদতে হবে না তোমাকে। অনেক কেঁদেছো, আর না! আর কখনো না।”
টেবিলের উপর কেক রাখা ছিলো। আকিব শিকদার সেদিকে তাকিয়ে বললেন
-“তোমরা কেক কাটছিলে?”
-“হু। আঁধার ভাই কেক বানিয়েছিলো আমার জন্য। মাত্রই কাটতে বসেছিলাম।”
-“বাহ! আমি আরো টেনশন করছিলাম তোমার জন্য কেক কিনতে পারিনি বলে।সব দোকান বন্ধ হয়ে গেছে এতো রাতে। চলো আমরা কেক কাটি!”

চাদনী মাথা ঝাকালো। কেক কেটে প্রথম পিস আকিব শিকদারকে খাওয়ালো। কিন্তু আঁধার কে খাওয়াবে কি-না ভাবনায় পরে ওর দিকে তাকালো। আঁধার তাকিয়ো আছে ওর দিকে। ওর দৃষ্টিতে কোনো অনুভূতি নেই,নির্লিপ্ত। চাদনী তবুও একপিস কেটে ওর মুখের সামনে ধরলো, আঁধার পুরো পিসয় নিয়ে নিলো ওর মুখে। চাদনী ছিটকে হাত সরিয়ে আনলো। আঁধার মুখ বাকালো। আকিব শিকদার থাকায় ওঁকে গালি দেওয়া সম্ভব হলো না৷ কিন্তু মনে মনে খুব বকলো চাদনীকে ওর নাটকের জন্য।

সোফার উপর বারোটা প্যাকেটে সবকিছুই চাদনীর জন্য আনা জিনিসপত্র। আঁকিব শিকদার অনেকগুলো হোয়াইট রঙের ড্রেস এনেছেন ওর জন্য। অনেকগুলো চাদনীর ফেবারিট চকলেট, সিল্ক, ক্যাটবেরি, কিটক্যাট, রাফেলো। সাথে অনেক সাজগোছের জিনিস, যদিও চাদনী সাজে না। তবুও তিনি সবসময় চাদনীর জন্য কিনতেন। এবারেও আসার সময় চাদনীর জন্য অনেক কেনাকাটা করেছেন তিনি।
আকিব শিকদার আর চাদনী সোফায় বসে কথা বলছিলো। আঁধার উপরে গেছে। হয়তো বাবা মেয়ের মাঝে কাবাব মে হাড্ডি হতে চায়নি।এমনিতেই চাদনী কয়েকদিন ধরে খুব মন খারাপ করছিলো আকিব শিকদারের সাথে কথা বলার জন্য। চাদনী মনোযোগ দিয়ে চকলেট খাচ্ছিলো। আকিব শিকদার নরম স্বরে ডাকলেন

-“আম্মা!”
চাদনী চকলেট খেতে খেতে উত্তর দিলো
-“হু!”
-“এবার তোমাকে নিয়ে যাবো!”
-“কোথায় বাড়িতে?”
-“হুম। তোমার এখানে থাকতে কষ্ট হচ্ছে না, বাবাকে ছাড়া!”
চাদনী চকচকে দৃষ্টিতে তাকালো। খুশি হয়ে জবাব দিলো

কাজলরেখা পর্ব ২৯

-“একেবারের জন্য নিয়ে যাবে? আর আসতে হবে না এখানে?”
-“তোমার ইচ্ছা। তুমি আসতে চায়লে আসবে, নয়তো থেকে যাবে সেখানে।এখন থেকে বাবা তোমার কথা মতোই চলবে। আমার মেয়ে যেটা চাইবে এখন থেকে সেটাই হবে।”
চাদনী উৎফুল্ল হয়ে মাথা ঝাকালো।

কাজলরেখা পর্ব ৩১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here