কাজলরেখা পর্ব ৩২
তানজিনা ইসলাম
সামনে নির্বাচন। শহরের গলি-মহল্লা, চায়ের দোকান থেকে বাজার সব জায়গায় এখন একটাই আলোচনার বিষয়, নমিনেশন।কে পেল, কে পেল না এই নিয়েই গরম রাজনীতি।তবে রাতের এই নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা ছিলো না। ঢাকায় আসার পর দলীয় সকল প্রোগ্রামে সশরীরে থেকে, দু’হাতে মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছে ও। বিশ্বাস তো ছিলোই। নমিনেশন না পেলেও সমস্যা ছিলো না। এমনিতেও এখানে মন টিকছিলো না ওর, ওর অসুস্থ মা’টা একা একা চট্টগ্রামে কেমন আছে কে জানে! চট্টগ্রামে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে খুব করে, অথচ নির্বাচনের আগে যেতেও পারছে না৷
রাতের রাজনীতির শখটা ছিলো, সেই ক্লাস এইট থেকে।সাদিক এহসান বহুকাল এলাকার এমপি ছিলেন। রাজনীতি রিলেটেড কাজগুলো ওঁদের বাড়িতে লেগেই থাকতো সারাক্ষণ। স্বাভাবিক, একটা ছোট্ট মনে এসব নিয়ে প্রভাব পরবেই।জীবনের এতো উত্থান পতনেও রাত কখনো রাজনীতি ছাড়েনি। ওর মা-বাবার ছাড়াছাড়িতেও না ওর বাবার অমানুষের মতো প্রহারেও না।লোকটা তো বাড়ি আর রাজনীতির পার্থক্যই করতে জানতো না, দু’টো বিষয় গুলিয়ে ফেলতো। তারপর সেটার ফল ভোগ করতে হতো আবরার নামের একটা ভাঙা-চোরা মানুষকে। যার অতীত, বর্তমান দু’টোই জঘন্য। ভবিষ্যতে বেঁচে থাকবে কি-না ওটারও কোনো গ্যারান্টি নেই।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো রাত। আকাশে আজ কোনো চাঁদ নেই। আছে হাতে গোনা তারা। অমাবস্যা বোধহয়। রাতের অমাবস্যায় ভালো লাগে। জোৎস্না রাতে চাঁদ এতোটা আলোকিত করে দেয় ধরনীকে যে রাতের মহত্ত্ব, গভীরতা বোঝায় যায় না। রাত তো হবে রাতের মতো, অমানিশা, অন্ধকারে ঘেরা একদম ওর জীবনের মতো। রাতকে কেন চাঁদ এসে আলোকিত করবে?কেন রাতের অসীমতা, গভীরতা নষ্ট করে দেবে? রাত এ বিষয়ের ঘোর বিরোধী!
ফোনের রিংটোনে রাতের ধ্যান ভঙ্গ হলো। না দেখে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে একটা এলোমেলো, অস্হির কন্ঠস্বর ভেসে এলো
-“আবরার, এই আবরার।”
রাত হকচকিয়ে গেলো। নরম স্বরে ডাকলো
-“আম্মু! এতো সকালে তুমি! ঘুম ভেঙে গেছে তোমার?”
ওপাশের নারীটি কাদো কাদো স্বরে বললো
-“তোমার সাথে কথা নাই আমার! কোথায় তুমি? তুমি আসলে না, বাবা আমাকে মিথ্যে কেন বলেছে হ্যাঁ!তুমিও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে!”
-“এই, কোথায় গেছি আমি? কী হয়েছে তোমার? আম্মু। আর ইউ ওঁকে?”
-“আই এম নট ওঁকে। তুমি আসলে না। কতদিন তোমাকে দেখিনি আমি।আমার কথাতো তোমার মনে পরে না। কিন্তু আমার খুব কান্না পায় তোমার জন্য। তুমি আসলে না…
ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ শোনা গেলো। রাত অস্হির হয়ে উঠলো।এই দুনিয়ায় ওর সবচেয়ে অপছন্দের জিনিস হলো মানুষটার কান্না! রাত নিতে পারে না। অসহ্য যন্ত্রণা হয়। রাত উদগ্রীব স্বরে ডাকতে থাকলো
-“আম্মু, এই আম্মু।কেঁদো না।কেঁদো না প্লিজ। কী হয়েছে আমাকে বলো।নানুভাইকে ফোনটা দাও। আল্লাহ রে, কেন কাঁদছো তুমি এভাবে? মরে গেছি আমি? কেঁদো না।আম্মু, এই..
-“চুপপপ! তোমার সাথে কোনো কথা নাই আমার।”
ফোন কেটে গেলো। রাত ত্রস্ত হাতে অ্যাংরি বার্ড নাম্বারে কল দিলো কয়েকবার। ওপাশ থেকে রিসিভ হলো না। ওর বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়। অসহায় লাগে নিজেকে। রাত আরো একবার কল করলো। রিসিভ হলো না। দ্রুত পায়ে কক্ষে চলে এলো ও। আলমিরা থেকে এলোমেলো হাতে নিজের কয়েকটা যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস বের করলো। আজকেই চট্টগ্রামে ফিরে যাবে ও। নির্বাচন চুলোয় যাক।ওই মানুষটার কিছু হলে তো ও মরেই যাবে। সেখানে নির্বাচন দিয়ে কী হবে?
প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে নিয়ে সুহাশকে কল করলো রাত।ছেলেটা বোধহয় ঘুমাচ্ছিলো। নিজের ঘুম কে বলিদান দিয়ে বসের ফোন রিসিভ করে, ঘুম ঘুম স্বরে নিজের উপস্থিতি জানান দিলো। রাত তড়িঘড়ি করে বললো
-“সুহাশ, আমি চট্টগ্রামে চলে যাচ্ছি। আম্মু ভালো নেই সুহাশ।কান্না করছে। আমার ভয় লাগছে অনেক। জানি না নির্বাচনের আগে ফিরতে পারবো কি-না। আদোও ফিরবো কি-না সেটাও জানি না। তুমি সাদিক এহসান কে বলে দিও। আর হ্যাঁ এটাও বলে দিও যাতে ইচ্ছে মতো গালাগাল করে আমাকে। তার কাছে তো নিজের মানুষের চেয়েও বাজি জেতাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমার তো সেটা না, উপরে এক আল্লাহ ছাড়া আর নিচে আম্মু ছাড়া আমার আর কেও নেই। আমি চলে যাচ্ছি!”
-“কিন্তু স্যার…
ছেলেটা কিছু বলে চাচ্ছিলো বোধহয়। কিন্তু রাত শুনলো না। দ্রুত কল কেটে দিলো।তক্ষুনি আবারো ঝঙ্কার তুলে ফোন বাজা শুরু করলো৷ অ্যাংরি বার্ড নামে সেভ করা নাম্বার থেকে কল এসেছে। রাতের জানে পানি এলো বোধহয়। দ্রুত রিসিভ করে ডাকলো
-“আম্মু!”
-“নানুভাই, আমি।”
-“নানুভাই, আম্মু কাঁদছে কেন? কী হয়েছে?”
-“কিছু হয়নি, চিন্তা করো না তুমি। কয়দিন ধরে তোমার কথা বেশি মনে পরছিলো। আমাকে বারবার বলছিলো। আমি তোমাকে জানাচ্ছিলাম কারণ তুমি চিন্তা করবে। কাল বেশিই জিজ্ঞেস করাই বলে দিয়েছি, আজ সকাল সকাল আসবে। কিন্তু ওটাতো আমি বুঝ দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। মনে করেছিলাম সকালে উঠে ভুলে যাবে।কিন্তু ভুলেনি।তোমাকে না দেখে বাড়ি মাথায় তুলেছে।একজন সার্ভেন্টের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, ফুলদানি ছুড়ে মেরে!”
রাত এক নিঃশ্বাসে বললো
-“কীহ? সে এখন কেমন আছে?”
-“আছে ভালো। অতোটা লাগেনি। তারপরও হসপিটালে পাঠিয়েছি। ভালো আছে এখন!”
রাত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো
-“ওনার কাছে একটু ক্ষমা চেয়ে নিও নানুভাই। যাবতীয় খরচ দিয়ে দিও। আমার আম্মুকে যাতে বদদোয়া না দেয়।এই বদদোয়া জিনিসটা খুব ভয় লাগে আমার। বুঝলে তো এসব করতো না বলো।”
-“বলেছি। চিন্তা করো না তুমি!”
-“তুমি কেন এভাবে মিথ্যা আশ্বাস দিতে গেলে বলতো। তুমি জানো না, আম্মু নিজের কথা ভুলে গেলেও আমার কথা ভোলে না কখনো।”
-“আমি তো ওঁকে শান্ত করার জন্য বুঝ দিয়েছিলাম।নয়তো কাল রাতের খাবারও খেতো না। সকাল থেকে কান্নাকাটি করছে, কিচ্ছু খায়নি। বুঝছিনা কী করবো!”
-“তুমি কাল রাতে এসব আমাকে বলবা না। আমি তো কল দিয়েছিলাম, অথচ এমনভাবে বিহেভ করেছো যেন সব ঠিক আছে। ইট’স টু মাচ নানুভাই।”
-“তোমাকে চিন্তায় ফেলতে চাইনি।সামনে নির্বাচন তাই…
-“তো? নির্বাচন আমার আম্মুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? যাকগে আমি আসছি। আজ রাতে চলে আসবো। অ্যাংরি বার্ডকে খেয়ে নিতে বলো। বাবারে তোমার মেয়ের কি রাগ!”
-“তুমি আসতে পারবে নানুভাই? তোমার কাজ ফেলে আসা উচিত হবে না!”
-“আমি তো আমার আম্মুর ডাকে কবর থেকেও উঠে আসার চেষ্টা করবো, যদিও সেটা পসিবল না আল্লাহ মাফ করুক। সামান্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে পারবো না!”
-“আচ্ছা। উই আর ওয়েটিং!”
চাদনী নিজের কক্ষে ব্যাগ গোছাচ্ছিলো। আঁধার তখনই ত্রস্ত পায়ে কক্ষে ঢুকলো। চাদনী হাতে কাপড় নিয়ে একপলক ওর দিকে তাকালো, আবার নিচে ঝুঁকে নিজের কাজে মনোযোগ দিলো। আঁধার এসেই ধপ করে বিছানার উপর বসলো। আদেশ ছুঁড়ে বললো
-“তুই চাচ্চুকে বলবি তুই যাবি না!আমার সাথে যাবি।আমার এক্সাম শেষ হলে আমি তোকে নিয়ে যাবো।”
-“আমি আব্বুর সাথেই যাবো!”
-“দেখ, জেদ ধরবি না একদম।আমি বলছি না আমি নিয়ে যাবো। প্লিজ থেকে যা চাদনী।”
-“আমি থাকতে চাচ্ছি না। অনেক আগে থেকেই চলে যেতে চাচ্ছিলাম।সুযোগ হচ্ছিলো না। এখন যখন সুযোগ পেয়েছি হাতছাড়া করবো না। আমার বাড়ির কথা অনেক মনে পরছে!”
-“কিন্তু বাড়ির কারো তোর কথা মনে পরছে না। তুই কাদের কাছে যাবি চাদনী, যারা একটা পালিয়ে যাওয়া মেয়েকে বাড়িতে আশ্রয় দিতে পারে, মাথায় তুলে রাখতে পারে। অথচ তুই যে পরিবারের কথা ভেবে নিজের জীবনের কথা একবারো ভাবলি না, তাকে একটা কল পর্যন্ত করতে পারে না। ওরা তোকে নিজের কেও মনে করে না!”
-“তুমি মনে করো?”
চাদনী কাজ থামিয়ে আঁধারের দিকে তাকালো। আঁধার অনেক আগে থেকেই তাকিয়ে ছিলো, চাদনীর চোখে চোখ পরায় কিছুটা হকচকিয়ে গেলো ও। পরক্ষণে নিজেকে সামলে বললো
-“মনে করি না বলছিস? করি তো, চাঁদ। মনে করি। তোকে আমি নিজের খুব কাছের কেও মনে করি!”
চাদনী গা দুলিয়ে হাসলো।
-“কালির ড্রাম মনে করো। আর কিছু?”
-“ওটাতো দুষ্টামি করে বলি!”
-“যে দুষ্টামি, অসহায় হৃদয়টা ছিদ্র করে চলে যায় সে দুষ্টামি করার দরকার কি!”
আঁধার সাফ সাফ জানিয়ে দিলো
-“দেখ, এতো কিছু বুঝি না। আমাকে ছেড়ে যাবি না তুই কথা ফাইনাল। আমার দিক টা একটু ভাব। সামনে আমার এক্সাম। তুই আমাকে একা ফেলে চলে গেলে, আমি সারাক্ষণ টেনশনে থাকবো।তোর তো মতি গতির ঠিক নেই। তুই চাস আমি ফেইল করি?”
চাদনী হতভম্ব হয়ে, হা করে তাকালো আঁধারের দিকে। বিহ্বল স্বরে বললো
-“মতি গতির ঠিক নেই বলতে কী বোঝাচ্ছো? ওখানে গিয়ে আমি কারো সাথে প্রেম করবো? সিরিয়াসলি আঁধার ভাই? এতো স্বাধীনতা পেয়েও বিয়ের আগে কখনো একটা ছেলের সাথে বন্ধুত্ব পর্যন্ত করিনি। সেখানে বিয়ের পর আমি গ্রামে গিয়ে অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেম করবো তোমার অবর্তমানে, এটা মনে হচ্ছে তোমার!”
আঁধার উঠে দাড়ালো।ও খুব সহজে হাইপার হয়ে যায়। কোনো মানুষকে ও নিজের কথা বোঝাতে না পারলে, মানাতে না পারলে, ওর কথাটা সে মানুষের উপর গছিয়ে দিতে না পারলে, ওর খুব রাগ হয়। যেমন এখন হচ্ছে।
রাগে ফোস ফোস করে বললো
-“তুই যাবি না মানে যাবি না। ব্যাস! আর কোনো নেই।থাকতে পারে না।”
-“আমি যাবো মানে যাবোই। আরো হাজারটা কথা থাকতে পারে, তোমার সমস্যা?”
জেদি গলায় বললো চাদনী।
আঁধার এগিয়ে গিয়ে থাবা দিয়ে ধরলো চাঁদনীর হাত। পিঠপিছনে মুচড়ে দিয়ে হিসহিসিয়ে বললো
-“গলা টিপে দেবো একদম। বলেছিনা জেদ দেখাবি না আমাকে! উচু গলায় কথা বলছিস কোন সাহসে!”
চাদনী চেচালো। ব্যথাতুর শব্দ করে বললো
-“ছাড়ো, ব্যাথা পাচ্ছি। বাবা বাড়িতে থাকা সত্বেও তুমি আমাকে মারছো। আমি বাবাকে বলবো, কতোটা কষ্ট দিয়েছো তুমি আমাকে।’
-“খুব সাহস বেড়েছে? আমার কথা অমান্য করবি? তোর কী মনে হয় আমি চাচ্চু কে ভয় পাই?”
-“হাত ছাড়ো, ব্যাথা পাচ্ছি।”
-“তুই চলে গেলে, আর ফিরে আসবি না। তুই একটা বেইমান, অকৃতজ্ঞ! তোর জন্য করা আমার সব সেক্রিফাইজ ভুলে গেছিস তুই!”
-“কী সেক্রিফাইজ করেছো তুমি আমার জন্য? আমার জন্য নিজের প্রেমিকাকে ছেড়েছো, বন্ধুমহলে নিজের সম্মান, ইগো হারিয়েছো, এসবের কথাই তো বলছো না। আমি চলে গেলে সব ফিরে পাবে।”
আঁধার গো ধরে বললো
-“তুই যাবি না চাদনী। আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না বোঝনা একটু। অভ্যাস হয়ে গেছিস তুই আমার!”
-“আমি যাবোই!”
-“যাবি না।”
-“যাবো।”
-“যাবি না।”
-“যাবো।”
আঁধার চাদনীর প্রতিটা বিপরীত কথায় হাতের চাপ বৃদ্ধি করে। তবুও চাদনী টলে না। আঁধার নিজেই অতিষ্ঠ হয়ে ছেড়ে দিলো ওঁকে। ছাড়া পেয়ে চাদনীর মনে হলো ও নিজের জান ফিরে পেয়েছে।এতক্ষণ কব্জির কাছে আটকে ছিলো সেটা।বাম হাতে, ডান হাত চেপে ধরলো চাদনী। বড় বড় করে শ্বাস ফেলতে থাকলো। আঁধার চোখ ছোট ছোট করে তাকালো চাদনীর দিকে।
-“তুই এখনো নিজের জেদে অটল থাকবি? তুই আমাকে ফেলে চলে যাবি?”
-“যাবো না।”
-“সত্যিই?”
আঁধার খুশি হয়ে বললো।
-“হুম!”
আঁধার এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো চাদনীকে। এই প্রথমবার চাদনী ছাড়াতে চায়লো না। ও এটা এমনিই বলেছে। নয়তো আঁধার সেইম কথা পুরোদিন জপতে থাকতো।পুরোদিন সেইম কথা বলে বলে ওর কানের বারোটা বাজিয়ে দিতো। এর চেয়ে প্রথমে এক কথা বলে শেষে উল্টে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এসব ধোঁকা বাজি তো ও আঁধারের থেকেই শিখেছে।
আঁধার নিজের বুক থেকে ছাড়ালো ওঁকে। একহাতে চাদনীর থুঁতনি চেপে ধরে বললো
-“মিথ্যা বলছিস না তো!”
-“না।”
-“তাহলে আমি চাচ্চুকে গিয়ে বলে আসি তুই যাবি না!”
-“তােমার বলার দরকার নেই। আমি বলবো!”
-“তুই পরে উল্টে যাবি না তো?”
-“উহু।আমি নিজের দেওয়া কথা রাখি!”
কাজলরেখা পর্ব ৩১
আঁধার খুশিমনে বিজয়ী বিজয়ী একটা ভাব নিয়ে বেরিয়ে গেলো। চাদনী লম্বা শ্বাস ছাড়লো। প্রথমবার ও নিজের দেওয়া কথা রাখবে না। প্রথমবার ধোঁকাবাজি করবে। যে উঠতে বসতে গিরগিটির মতো রং বদলাতে পারে, তার সাথে সামান্য মিথ্যাচার বড় কোনো বিষয় না!
