কালকুঠুরি পর্ব ১৬

কালকুঠুরি পর্ব ১৬
sumona khatun mollika

ভার্সিটি প্রাঙ্গনে আজ বেশি জনতার উপস্থিতি নেই। সব ইলেকশন নিয়ে ব্যাস্ত। মাহা আর মেধা একটা গাছের নিচে বসে ছিল। চারপাশে তাকিয়ে মেধা বলল,,
– এত গরম, নিকাবটা খুলে ফেল না। দম আটকে আসেনা?
– আল্লাহ সহায়তা করে। তোদের পরীক্ষা কবে থেকে?
– তোদের দুদিন পর থেকে। আচ্ছা মাহা,, তোর কি একটুও ভয় লাগছে না?
– কেন? কিসের ভয় লাগবে?
– না মানে তোর এখনি এসব ঝামেলায় জড়ানোর কি দরকার? ওরা বড় বড় ক্ষমতাসীন লোকজন। কেন লাগছিস পেছনে?
– আমার মায়ের শিক্ষা। অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দিতে নেই। আমার বাবাও বলেছেন আমাকে একজন যোগ্য আইনজীবী হতে হবে। আমি প্রশাসন ক্যাডার হব। ইনশাআল্লাহ।

মেধা গাল টেনে একটু হাসলো। তখনি সেখানে আগমন হলো সামির আর কাশেমের।
সামির মাহাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
– কিরে তোমরা এখানে বসে বসে ছুড়া দেখছ?? ( ছুড়া=রাজশাহীর ভাষায় ছেলে)
মাহা কোনো জবাব দিল না। মেধা বলল, ভাইকি কিছু বলতেন? সামির লুঙ্গি ঝেড়ে ভ্রু কুচকে মেধাকে জিজ্ঞেস করল,,
– আগে ক তুই ভোট কারে দিবি?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মাহা অকপট স্বরে বলে ওঠে,,,
– ও কাকে ভোট দেবে সেটা আপনার জানার প্রয়োজন কি? আপনিতো কাওকে ভোট দেবেন না বলে ম্যাচ ড্র করে দিলেন!!
সামির ভুত দেখার ভান করে চমকে উঠে বলল,,
– আরেব বাস! কি ব্যাপার সোডিয়াম ক্লোরাইড? আজকাল আমার ব্যাপারে খুব ঘাটাঘাটি করছেন দেখছি,, বোম টোম মারবেন নাকি?

– ঘাটতে হয়। আমারো সন্দেহ হচ্ছে। রুমাশার মৃত্যুর সাথে আপনার সংযোগ আছে। নাহলে আপনি কিছুদিন আগে মাহবুব উদ্দিন এর বাড়ির দিকে কেন গিয়েছিলেন?
সামির চোখের সানগ্লাস নামিয়ে,,
– মানে আমি যে সেখানে গিয়েছি,, এটাও তুমি খোঁজ নিয়েছ,,, আমাকে এত ট্র্যাক করা মানে সামথিং সামথিং রঙ ???
– এভরিথিং ইজ রঙ। আপনি নিজে পুরোটাই রঙ একটা ব্যাক্তি। এসব করে কি লাভ হয়?? স্টুডেন্ট ভালো,, হাতের শিল্পকলা ভালো,, কলম ছেড়ে অস্ত্র হাতে তুলে কি লাভ হয় ?
সামির বামগাল টেনে বাহাতে চুল নেড়ে বলল,,
– কারণ ছাড়া দুনিয়ায় একবিন্দু অক্সিজেন নড়েনা । সেখানে আমি তো কোন ক্ষেতের বাঙ্গি!!

মেধা আজ সহসা সামিরকে জিজ্ঞেস করল,,
-আচ্ছা ভাই এই বাঙ্গি মানে কি??
কাশেম ও সামিরের দিকে জিজ্ঞেসু দৃষ্টিতে তাকালো! সামির কাশেমের ঘাড়ে হাত দিয়ে দাড়িয়ে বলল,,
– সত্যি শুনতেে চাস? টাল্লি খাবিনা তো?? খইলেও কি কাইশসা আছেতো। বাঙ্গি হলো একটা বিশাল উপাধি যার অর্থ,, বেকার, তুচ্ছ, বেহুদা লোকজন। আজাইরা পাবলিক।

কাশেম হুকহুক করে কেশে বলে ভাই,, চলেন। দেরি হই যাছে। মেধা তুমি ক্লাস শেষে আমার সাথে একটু দেখা কইরোতো।
মেধা মাথা নাড়াতেই কাশেম সামিরের দিকে তাকিয়ে বলল,, চলেন ভাই।

সামির দুইদিকে মাথা নেড়ে বলল
– যাম না। আরো ৫ মিনিট।
– কেন ভাই?
– চোপ শালা, আমার মন চাইছে তাই। এখন যাইয়া কার বাঙ্গে ঢুকপি তুই, এনেই খাড়া।

মাহার দিকে দুপা এগিয়ে গিয়ে সামির চোখের রোদচশমা টা নামিয়ে বলল,,
– এত নাটক ক্যমনে করো?
– মানে?
– তোমাদের বাড়ি গেলাম ২-৪ বার তুমি না পর্দা করো? মুহিব কি ব্যাটা ছুড়া না?
– ইন্ডাইরেক্টলি আপনি কি আমাকে চেহারা দেখাতে বলছেন?
– না থাক। অবৈধ সব খেতে খেতে বৈধতার রুচিটা ভুলেই গেছি। জোর করে আর নাই দেখলাম।

‎মাহা চোখ তুলে একবার সামিরের দিকে তাকালো। চোখে চোখ পরতেই সামিরের কপাল সামান্য জড়ো হয়। তীর্যখ দৃষ্টিতে উপলব্ধি করে, মাহার চোখের মণি কালো নয়। মাঝখানে জমকালো একটা কৃষ্ণ গহবর চারপাশে লালটে বাদামীর বলয়। সুদীর্ঘ পল্লবঘন দৃষ্টিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে মোহমায়া।

সামির বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল,
– এভাবে তাকায়েন না ম্যাজিস্ট্রেট আফু, বোম ছাড়াই উড়ে যাব।
কাশেম বলে,,
– ভাই ৫ মিনিট হয়া গেছে।
– চললল!!

তারপর দুজন হাঁটতে হাঁটতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যায়। মাহা কিছুক্ষণ পর লাইব্রেরির দিকে গেলে লাইব্রেরী ম্যাম বলে,,
– তুমি অনেক পড়ুয়া বাচ্চা। সাথে ট্যালেন্টেড। শুনলাম তুমি নাকি সামির সিকান্দার কে চড় মেরেছিলে?
– উনি আমার সাথে অসভ্যতা করেছিলেন ম্যাম তাছাড়া, আমি ছোট থেকে এমন অন্যায় সহ্য হয়না আমার।
– শুধু শুধু ঝামেলা কোরোনা। তাছাড়া সামির ছেলেটা বেয়াদব। টিচারদের সাথেও টাউট নিয়ে কথা বলে। মেয়ে মানুষ, যদি কোনো ক্ষতি করে দেয়। টিচার নয়। মা হিসেবে বললাম।

মাহা বইটা বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলল,,
– আল্লাহ না চাইলে,, গাছের পাতাও নড়েনা ম্যাম। সুতরাং সেও আমার ক্ষতি করতে পারবেনা। যদি আমার আল্লাহ চান যে ক্ষতি হোক, আমার তাতে সমস্যা নাই। মা নাই বাবা নাই অনাথ একটা মে আমি। বাঁচলে অনেকের সমস্যা। মরলে কিছুই যায় আসেনা।

লাইব্রেরি ম্যাম আর কোনো কথা বললেন না। এই মেয়েটার মেন্টাল স্ট্রেন্থ দেখে বড্ড অবাক হন তিনি। কতইবা বয়স হবে যখন বাবা মরে,, ১২ কি ১৩,, সেইদিন থেকে আজ এই মুহূর্ত পর্যন্ত সে একা লড়াই করে বড় হয়েছে। তবুও মনে হয়,, যে ব্যাক্তি এর পারওয়ারিশ করেছে সে কেমন। সবাই চাচির ক্রেডিট দিলেও লাইব্রেরি ম্যামটা বেশ ভালোই খোঁজখবর নেন মাহার তা থেকে তিনি এটুকু শিওর চাচির ক্রেডিট দিলে কি হবে,, মাহাদিবা ফারনাজ মাহা নিজের পারওয়ারিশ নিজে করেছে ৷ ।

চোখের চিকন চশমা টা নামিয়ে বোরখা পরিহিত এক অদম্য যোদ্ধা কে হেঁটে যেতে দেখছেন তিনি। যেই যোদ্ধা জীবন যুদ্ধে একা লড়াই করছে। যেই যোদ্ধার আত্মায় নেই কোনো সংশয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে চোখ রাঙাতে যে বিন্দু মাত্র ভয় পায়না।

সামির, রনি আর কাশেম মুখে কালো কাপড় বেঁধে একদিকে চেয়ে তাকিয়ে আছে পেছনে আরো দুজন। রনি মাজায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকা সামিরকে বলল,,
– ভাই,, অতবড় রিস্ক লিলেতো মারা খায়া যাম গা। উত্তরপাড়া সেফ জোন ছিল।

সামির কালোকাপড়টা আরো শক্ত করে বেধে লুঙ্গি কাচা বেঁধে বলল,
– ক্যান তুই জানসনা? সামির বাঙ্গি রিস্ক নিতে পছন্দ করে। সেফ জোন তার পছন্দ না।
কথাটা বলতে বলতেই দেয়ালের ওপর চড়ে বসে হাত বাড়াতেই কাশেম তার হাতে কি যেন একটা ধরিয়ে দিল।
কাশেম ঘাড় উঁচু করে বলল,,
– ভাই আপনে নামবেন না? যুদি লাইগা যায়? জোরে চেঙ্গা মাইরেন।
– সর বাঙ্গি,, চুপ থাক,,

বলেই লাল রঙের জিনিস টা নিজের গায়ের নীল গেঞ্জির সাথে মুছে চোখ ছোট করে সজোড়ে দুরে ছুড়ে মারলো। মুহুর্তের মধ্যে বড়সড় ধাম করে শব্দ হতেই চারপাশে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ল৷ সামির এক লাফে দেয়াল থেকে নেমে দৌড়ে জীপে উঠে গেল। চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে গেল।

আশেপাশে থেকে লোকজন চুটে ছুটে বেরিয়ে এলো । কিন্তু দেয়াল টপকে কেও ভেতরে ঢুকার সাহস পাচ্ছে না। কারণ সেটা গোরস্থান। পুরো শহর জাগ্রত হয়ে উঠল। দক্ষিণ পাড়ার স্হানীয় বড় গোরস্থানে আগুন ধরে গেছে। কেও সেই দাবানল থামানোর চেষ্টা করছেনা। কিছু জ্ঞানী ব্যাক্তিগণ বলছেন,, জাহান্নামের আগুন ধরণি পর্যন্ত চলে এসেছে। কবরের লোকেরা সব জাহান্নামি।

সামির অর্ধ রাস্তা গিয়ে দেখল মাহা আজ বোরখা ছাড়াই উত্তাল হয়ে ছুটছে দক্ষিণ দিকে। পড়নে মুখ বাধা হিজাব আর সালোয়ার কামিজ। পেছনে মুহিব আর মধু। সামির মুখের কালো কাপড় খুলে চুল ঠিক করে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে গাড়ি ঘুরিয়ে আবারো সেখানে গেল। খানিকটা দুরে দাড়িয়ে দেখল,,,

তার ফেলা বোমে গোরস্থানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়া মিশে যাচ্ছে রাতের কালো রহস্যের সঙ্গে। মাহা সেখানে হাটু ভেঙে বসে ছোট বাচ্চাদের মতো করে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। মেধা, মধু, কেও তাকে শান্ত করতে পারছেনা। সামির লুঙ্গি উচিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে মুহিবকে জিজ্ঞেস করল,,,

– কিরে??
– ভাই আপনে এখানে?
– কি হইছে ?? চড়ওয়ালী এমনে কান্দে ক্যা??
– এখানে অর বাপ মা, ভাইয়ের কবর ছিল প্রতি শুক্রবার আসতো বেচারা। এই গোরস্থানেই অর পরিবার শায়িত এর লাইগাই কানতেছে।

পাছড়াপাছড়ি করে কান্না কাটির জন্য মাহার হিজাবের লাগোয়া নিকাবটা খুলে গেল। আগুনের রক্তিম আভায় মাহার কাঁদো কাঁদো চেহারাটাই প্রমাণ তার হাহাকারের। সামির দুইকদম এগিয়ে এসে কপাল জড়ো করে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইল সেদিকে। মাহাকে দেখতে খুব পরিচিত একজনের মতো লাগছে , হুট করে তার গলাটা শুকিয়ে যায়। মেধা হুড়পাড় করে মাহার নিকাব বেধে দিয়ে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দিতে লাগল। একটু সময় পর সে শান্ত হয়ে গেলে সামির সেখান থেকে চলে যায়।

বাড়ি গিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ধাম করে দড়জা লাগিয়ে দেয়। বাহির থেকে নুসরাত বলে,,
– মানছিযে শালার কামাই আছে । তার জন্য বাড়িঘর ভেঙে ফেলবে নাকি একেইতো পুরান বাদশাহর বাড়ি আর ভাল্লাগে না।

সামির একটুপর ছাদে চলে যায়। পা ঝুলিয়ে বসে এক কর্নারে। গোরস্থানের কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে। ৩ তলা বিশিষ্ট সিকান্দার বাড়ি থেকে দেখা যাচ্ছে , আগুন এখনো জ্বলছে। কোলে একটা গিটার। ঢকঢক করে মদ গিলে, গিটারে দুটো টান মেরে ভাঙা কণ্ঠে গেয়ে উঠলো,

~~ ঝাপসা দুচোখে ধুধু কুয়াশা
আর শুধু আলেয়ার শুধু হতাশা
ঝড় বুকে জড়ালাম
সেই ঝড়ে তোরি নাআম
বিন তেরে, তেরে বিন
সাজনাআ কিয়া জিনা,
তাহলে সেকি ভুল ছিল আমার,,

তারপর আর গাইতে পারলনা। মাথা টা ঝিম ধরে এলো। গিটারটা পাশে রেখে আবারো ঢকঢক করে মদ গিলে বোতলটা নিচে জঙ্গলের দিকে ছুড়ে মারলো। পাগলের মতো মাতাল হয়ে ঢুলতে ঢুলতে বকল,,
– আহা জীবন,, কত আনন্দ জীবনের,, সেই আনন্দের মাঝে ফাইসসা গেছি আমি বাঙ্গি! হেশশ,, চারপাশে এমন ধোঁয়া ধোঁয়া দেহাযায় ক্যা? আরে কেও ধোঁয়া নেভা,,

হঠাৎ সামনে জোর দিযে পরে যেতে লাগলে পেছন থেকে একটা মেয়েলি হাত হুট করে তাকে ধরে ফেলল। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরায় সামির আর সামনে পরে যায়নি।
জবরদস্তি টেনে ছেচড়ে তাকে পেছনে ঘোরালো ইনায়া। পেছনে সাফিন বুকে হাত গুজে দাড়িয়ে। সামির ইনায়াকে দেখতে পেয়ে শক্ত করে একটু হাসলো,,
তারপর বলল,,
– চলে যা,, আমাকে আর জ্বালাস না। ইচ্ছে করে কুয়োয় ঝাপ দেব তারো সুযোগ নেই। আরে ভয় পাস কেন। আমি সাঁতার জানি রে পাগলি।

সাফিন শক্ত কন্ঠে আদেশ করল,,
– ইনায়া তুই নিচে চলে যা। তোর এখানে কাজ নেই।
ইনায়া চোখ মুচে নিচে চলে গেলে সাফিন একি জায়গা থেকে বলে,,
– মরার খুব ইচ্ছে না তোর?

– খুউব। একবার টেস্ট করে দেখতে চাই,, মরলে কেমন লাগে,, কোন কোন বিক্রিয়া ঘটে মাটির তলে!!
– সে তোর ইচ্ছে থাকতেই পারে কিন্তু তুইতো মরতে পারবিনা। মরতে হলেও তোকে আমার অনুমতি নিতে হবে। নয় আমার হাতে মরতে হবে।

সামির আবারো পা ঝুলিয়ে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,,
– বাঙ্গিমারা জিন্দেগী,, মরা লাগলেও পারমিশন লাগবো!! কথা সত্য যে জীবন দেয় , সে জীবন নিলে বোধহয় পাপ হয়না। তাইনা ভাঙা টিন?

সাফিন তার পাশে বসে বলল,,,
– অবশ্যই। বোমটা মারার আগে কয় সেকেন্ড অপেক্ষা করেছিস??
– তাও ৫ সেকেন্ড মতো।
– ৫ টা সেকেন্ড!! কম সময় নয় কিন্তু,,
-জানি।

কিছু সময় নিরবতা। সামির জোড়ে করে নিঃশ্বাস ফেলে বলল,,
– আমি বিয়া করুম। আমারে বিয়া দেও।
-পাত্রি রেডি,, ছাদনাতলায় গিয়ে বসে পর,,
– এই পাত্রী চলবেনা। আমার ভায়োলেন্ট জিনিস পছন্দ। সাইলেন্সারের আড়ালে যেমন ভায়োলেন্স লুকায় থাকে,, এমন জিনিস চাই।
– যেমন,,
– সোডিয়াম ক্লোরাইড,,
– নোনতা জিনিস তো তোর পছন্দ নয়।
– আজীবন চয়েস এক থাকেনা। আগে স্টার চলত এখন বেনসন চলে।
– যেই ফ্লেভারেরই হোক, , , এখন ওসব হচ্ছে না। বিয়াতো আর হাতের মোয়া না।
– লাইগবেনা। নিজেই কইরালাম।

কালকুঠুরি পর্ব ১৫

কথা শেষ করেই সামির উঠে চলে গেল সাফিন সেখানেই বসে রইল। বাকা করে একটা রহস্যজনক হাসি দিয়ে দাবানলের দিকে তাকালো।

কালকুঠুরি পর্ব ১৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here