কালকুঠুরি পর্ব ২৬

কালকুঠুরি পর্ব ২৬
sumona khatun mollika

রাত ঢলেছে আপন ধারায়। মাহা রাতের নামাজের জন্য ওযু করে এসে নামাজে দাড়ালো। সামির টেবিলে পা তুলে বসে একবার তার দিকে তাকালো। জৈব যৌগের বইটা পাশে সরিয়ে ছবি আকার খাতাটা বের করে, তাতে আঁকিবুঁকি করতে লাগল।
মাহার নামাজ শেষে জিজ্ঞেস করল,,,
— আবার কিসের ছক কষছেন?
— দেখাচ্ছি।

আরো কিছু সময় গেল। মাহা বিছানা গুছিয়ে এক কর্নারে বসল । সামির টেবিল থেকে নেমে খাতাটা এগিয়ে দিয়ে বলল,,,
— দেখত কেমন লাগে?
মাহা চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখল,, সামির নামাজরত মাহার ছবি এঁকেছে। বলা বাহুল্য ভীষণ সুন্দর হয়েছে।
— আপনার শিল্পকলার মান দিতে হয় বলুন,, কার থেকে শিখেছিলেন?
— হুউুম,,, আমাকে,,, পরিস্হিতি শিখিয়েছিল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ব্যাকা উত্তর পেয়ে মাহা চোখ পাকালো। সিভানের ঘুম ভেঙে গেছে। তাই সে সোজা এ ঘরে চলে এসেছে। মাহার বাম পায়ের ওপর মাথা দিয়ে শুয়ে পরেছে। সামির কিছুক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে রইল। তারপর,, ইনায়া এসে সিভানকে নিয়ে গেল। মাহা দড়জা লাগিয়ে এসে আবারো বিছানায় বসল।
সামির আচমকা মাহার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরল। । মাহা কিছু বললনা। কিছু বলার আগেই সামির কেমন ঠান্ডা কন্ঠে বলল,,,

– কৃপা করিয়া থাবড়া মাইরেন না। দিবা,,?
– শুনছি,,,
– মাথাটা খুব ধরেছে। একটু টিপে দেবে?
মাহা নিরুত্তর। সামির মাহার হাত টেনে নিজের কপালে ছুইয়ে দিল। মাহা অনিচ্ছা সত্ত্বেও চুল টেনে দিচ্ছে । সামির চোখ বন্ধ রেখেই বলতে শুরু করল,,,

– তোমাকে প্রথম কবে দেখেছি জানো?
– ভার্সিটিতে,
– না ভুল জানো। সেদিন থেকে তো শত্রুতা।
– তার আগে একবার আপনি আমাকে বাচিয়েছিলেন, তিহান দের হাত থেকে । তখন কাওকে চিনতাম না আমি।
– তারো আগে থেকে।
– কবে থেকে তাহলে?
– উমমম,, তোমার ঋতু নামের এক বান্ধবী ছিল
মনে আছে?
– হ্যা কলেজ ফ্রেন্ড।

– আমি তার এক্স না হওয়া দেওরা।
– মানে?
– ভাঙা টিনের গার্লফ্রেন্ড ছিল । ৮ মাস।
– কিই?? ঋতু কিকরে মেয়র সাফিনের,,,,,
– তোমার কি মনে হয় সিভানের মায়ের সাথে অর বিয়া হইছিল??
– কিছুই বুঝতে পারছি না।
– বাঙলা ভাষায় সহজ করে বললে,,, সিভান অবৈধ বাচ্চা।
– কিই?

সামির চোখ বন্ধ রেখেই বলল,
– সিভানের মা,, আমার গার্লফ্রেন্ড ছিল। নরম শরম, ভদ্র মহিলা। শালীর মেলা শখ ছিল সিকান্দার বাড়ি দেখবে। নিজ ইচ্ছায় এসেছিল । আমাকে খুঁজে পায়নি। বাড়িতে সবাই যে যে যার যার জায়গায় ছিল। ওহ মূল পয়েন্ট, ছুড়ি কিন্তু হিন্দু ।
– ছিহ! আপনি হিন্দু মেয়েদেরও বাদ রাখেন নি!
– কেন জ্বলছে? না না জ্বলছো কেন, তোমার থেকে কমি সুন্দর । ।

– তারপর কি হয়েছিল?
– প্রথমেই দর্শন হয় মোস্ট হ্যান্ডসাম ভাঙা টিনের সাথে । ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের মতো লাভ এট ফার্স্ট
সাইট হয়ে গেল । আমাকেই পাঠালো তার পিরীত প্রস্তাব দিয়ে । স্বাভাবিক সে রাজি নয় । পরে একদিন আমার খোঁজে ক্লাব পর্যন্ত পৌছে যায়। রিজেক্ট হওয়ার রাগে ভাঙাটিন ভদ্র মহিলার ইজ্জত ভেঙে দেয়। সে বরাবরি চতুর ব্যাক্তি। কি জানি কি বলে শাসায় ,, ব্যাপারটা ধামাচাপা পরে যায়। আমিও আর খোঁজ নেইনি। কিছুদিন পর গোলমাল হয়ে যায় । ওই মহিলা প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। সালার সিকান্দার বুঝে শুনে দুজনকে ধরে বিয়ে দিয়ে দেয়। সিভানের জন্ম হয়। কিন্তু দিন যেতে থাকলেও ভাঙাটিন ওই মহিলাকে সহ্য করতে পারেনা। সে যখন স্ত্রীর অধিকারের জন্য গোলমাল করে তুমুল কান্ডকারখানা করে ভাঙাটিন তাকে আসসালামু আলাইকুম করে দেয়। এইত ১ বছর জেল খেটে বেরোলো।

– মাত্র ১বছর? কিভাবে সম্ভব?
– সবাইতো আর মেজিস্ট্রেট আফুজান্স নয়। ট্যাকা ভরেছে, সাজা কমেছে।
মাহা গাল টেনে হেসে বলে,,
– এটাই টাকার পাওয়ার, কবর দিয়েছিলেন না পুড়িয়েছিলেন?
– কবর!
– ইশশ, বেচারার জাত কূল সব হারালো। এর গহীনেও আপনি।
– আমি না থাকলে সে কেমন বাঙ্গিমারা ঝামেলা বলত?
– ঠিক বলেছেন। সরুন আমার পা ব্যাথা করছে।

সামির চোখ ঘুরিয়ে মাহার দিকে তাকিয়ে বলল,
– তোমাকেনা আজ অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে সোডিয়াম ক্লোরাইড । কিন্তু কাল আবার সাউয়োর পরীক্ষা । বেঁচে গেলে।
সামির পাগলের মতো গা দুলিয়ে হেসে কাত ঘুরে শুয়ে পরল। মাহা আলো নিভিয়ে নিজেও শুয়ে পরল। বাহির থেকে চাঁদের আলো এসে ঘর পুলকিত করে তুলেছে। মাহা আচমকা এক অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটালো। সামের কাঁধে হাত দিয়ে দুইবার ডাকল। সামিরের দেহ কেমন শিউরে উঠলো। মাহার দিকে ঘুরতেই মাহা জিজ্ঞেস করল,

– আপনি কি কোনোদিনও কাওকে ভালোবাসেননি? কাওকে বলতে কাওকেই না? ??
– না। খারাপদের ভালোবাসার অধিকার নেই। আমার কাছে ভালোবাসা মানেই হলো পেছনমারা খাওয়ার বুদ্ধি । আমি কাওকে ভালোটালো বাসিনা। ।
– ভালো যুক্তি ।
‎মাহা নিজের হাত সরাতে নিলে সামির বুকের সাথে চেপে ধরে শান্ত কণ্ঠে আওড়ায়,,,
– ধরে রাখ। মন্দ লাগছেনা। যত যাই বল জায়গাটা কিন্তু ফাঁকা ই।
– আমার সাথে কেন এমন করলেন? ভালোতো বাসেন না,, তাহলে কেন জবরদস্তি আমাকেই বিয়ে করলেন?
– কোথায় যেন দেখেছি,,, নারীর জীবনের সবচে বড় রহমত তার চরিত্রবান স্বামী। তোমার থেকে শোধ তোলার এরচে ভালো বিক্রিয়া খুজে পাইনি।

– আমার অপরাধ??
– ভুলে গেলে চলে?শত্রুতা জমবে কিভাবে তাহলে? তুমি পুরা পাব্লিক প্লেসে আমার ইজ্জতের চাটনি বানিয়েছিলে,,, আমি তোমার ইজ্জতের লাবড়া বানিয়ে দিয়েছি। হিসাব বরাবর।
– শোধ তোলা শেষ না? তাহলে এখন ছেড়ে দিন। আমার আপনাকে দেখতেও ঘৃণা হয়।
– সেজন্যইতো ছাড়া যাবেনা। তুমি এমন একটা ব্যাক্তি, আমার প্রতি যার ফিলিংস একদম পিওর! হোক সেটা ঘৃণা কিন্তু তবুও পিওর । এমন রেয়ার মানুষ ছাড়ি কি করে?

কথাটা শেষ করে, সামির উঠে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো। ঠোঁটের সিগারেটে আগুন লাগিয়ে বুকভর্তি ধোঁয়া ছাড়তে লাগল। মাহা ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে সামিরের পাশে গিয়ে দাড়ালো। আবারো একটানে সিগারেট টা ছিনিয়ে নিচে ফেলে দিল। সামির বাঁকা হেসে বলল,,

– ভরা রাতে, রোমান্টিক প্রহরে পিছে পিছে ঘুরছো,, কাহিনি টা কি?? something something??
– নাথিং ,,
সামির করলোকি মাহাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আকাশের চাঁদ টার দিকে তাকিয়ে রইল । মাহা বিরক্তি নিয়ে বলল,, ,
– সরে দাড়ান,, বিরক্ত লাগছে,,, ।
সামির হাতের বাঁধন আরো শক্ত করে। মাহার মাথা আটকে থাকে সামিরের বুকের সাথে । সিঁথি ঠেকে থাকে সামিরের গ্রীবাদেশের সাথে । সিগারেটের গন্ধ এখনো যায়নি । সামির জোড়ে করে একটা ভারী নিঃশ্বাস ফেলে খালি গলায় গেয়ে উঠলো,,,

~ ক্ষতি নেই, কাছে না বলে কয়ে
চলে এলেই,,, দেখ সেইই
খুশি সাজাবো আমি হাজার ফুলেএ
প্রতিদিন সব সময় , দেখাদেখি হলে
বড় ভালো হয়য়য়,,
চলো বলে ফেলি, কত কথা কলি,,
জন্মেছি বলতে তোমায়, তোমাকে চাইই,
ঝলসানো রাতে, এ পোড়া বরাতে
তুমি আমার অন্ধকার , আর রোশনাই.
কার্নিশে আলতা মাখানো
দিনেরা ঢলে পরে রাতেএ
তারপরে রাত্রি জাগানো
বাকিটা তোমারিতো হাতেএ
জেগে জেগে আমি শুধু ঘুমিয়ে পরতে চাই
থেকে থেকে সেই মেঘেতে যাই বেড়াতে যাই
তোমাকে পাআই ……..

মাহা চুপ করে চাঁদের দিকে চেয়ে থাকে। আকাশে দু একটা চামবাদুড় উড়ে যাচ্ছে , চারপাশে খাঁ খাঁ নিস্তব্ধতা,, চাঁদের আলোয় চারপাশ চকচক করছে। দু একটা জোনাকি গুনগুন করছে চারপাশে । রাত ঢলে যায় ।
পরেরদিন সকালে,,,
ইনায়া একবাটি পাযেস এগিয়ে দিয়ে বলে,,
– আপনার জন্য বানিয়ে আনলাম। পরীক্ষা দিতে যাবেন, মিষ্টিমুখ করে যান।
– দরকার নাই।

ইনায়া বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল,,
– আরে খেয়ে নিন,,, আমিতো আর বিষ মিশাইনি।
– সেইজন্য খাবনা। দিবা,, দিবাআআ???
গলা উঁচিয়ে মাহাকে ডাকতে থাকে সামির। নুসরাত এসে বলে,,
– ষাঁড় এর মতো ভ্যাবাচ্ছো কেন? ও বাহিরে গেছে।
– বাহিরে ???
– হ্যা। ওর ওড়নাটা উড়ে বাহিরে পরেছে ওটাই আনতে গেছে। ওইত চলে এসেছে।

সিভান আর মাহা বাহির থেকে ওড়নাটা কুড়িয়ে এনেছে। মাহার মুখের নিকাবটায় ময়লা লেগে গেছে। কিছু না বলে সোজা ওপরে চলে গেল মাহা আর সিভান৷
সামিরকে খেতে দিল নুসরাত। খাওয়া শেষে আবার ঘরে গিয়ে জামাকাপড় বদলে ভার্সিটি যাওয়ার জন্য রেডি হলো। মাহাও ততখনে রেডি।
সামির ভ্রু কুচিয়ে জিজ্ঞেস করল,,
– না খেয়ে ভার্সিটি যাচ্ছ কেন?
– কে বলেছে খাইনি?
– কখন খেয়েছ? আমিতো দেখলামনা।
– আপনাকে দেখাতে হবে?
– শালার বাঙ্গিমারা জিন্দেগী! বউয়েরা নাকি বসে থাকে জামাই কখন আইসা বইসা খাইবো তারপর আমি খামু। আর আমার বউ আমার আগে খাইয়া থোয়।

– যাবেন কি না?
– চলো,, শালি সোডিয়াম ক্লোরাইড একটা!
তারপর দুজন মিলে একসাথে বেরিয়ে যায়। রাস্তায় পৌঁছাতে দেখা হয় কাশেমের সাথে। কাশেম পাগলের মতো ছুটছে আর তাকে ধাওয়া করেছে রিটো। সে মূলত কাশেমকে আক্রমণ করারজন্য ধাওয়া করেনি। কিন্তু কাশেম পাগলের মতো ছুটছে।
সামিরকে দেখে রিটো তার দিকে ছুটে যায়। কাশেম হাঁটুতে ভর দিয়ে দাড়িয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,,
– এইজন্যই আমি সদর দোড় দিয়া আসিনা। আল্লারে ! যে দৌড়ানি দিছে! হাহ!
– কেন তুই অরে চিনস না? অয়তো আমার রিটো। কিউট বেবি।
– এডি কিউট!
– অবশ্যই।

কাশেম সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলল,
-কি ধরণের কুত্তা পালেন ভাই? আল্লাহ দাঁত ডি কি ভয়ানক
-তগর আর অর মাঝেত তেমন তফাত নাই। তরা ডাকস ভাই হেয় ডাকে ভাউ। ই আর উ এর তফাত।
– ভাবিজানের সামনে কি ধরণের ইনসাল্ট ভাই?
-চোপ শালা, বাঙ্গি একটা। এটা ইনসাল্ট নয় অপমান্স! ভাবি ঠিকাছে জান মারাস কেন আবার? আপা কবি, আপা । না, খালা কবি।

– আচ্ছা খালু!
-শাবাস!!! চল গাড়ি ছোটা।
গাড়ি ছুটিয়ে কিছু সময়ের মধ্যে ভার্সিটি পৌছে গেল তিনজন। গেটের সামনে দাড়িয়ে সামির মাহাকে বলল,,,
– পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি একটা চুম্মা দিয়া দেও। চড়ও চলবে। কে যেন বলেছে বউয়ের হাতে ঠাপ খাইলে দিন ভালো যায়।
– কে বলেছে?

সামির আলগা করে ঘাড় চুলকে বলল,
– ইয়ে মানে কবি সামির বাঙ্গিনাথ বলেছে।
‎ মাহা কোনো কথা বলে না। কাশেম বলে,,,
– ভাই যাবেন না, দেরি হয়া যাচ্ছে।

সামির আর কোনো কথা না বলে সোজা নিজের ডিপার্টমেন্ট এর দিকে চলে যায়। মাহা সেদিকে চেয়ে থাকে। পেছন থেকে মেধা তাকে ডাক দেয়। বেশ কিছুসময় কথা বলার পরে মাহা লাইব্রেরির দিকে রওনা দেয়।
মেধার হাত থেকে বইগুলো পরে গেলে কাশেম এগিয়ে গিয়ে বইগুলো উঠাতে থাকে। রোদের ঝলক পরা সুদর্শন যুবকটির দিকে কিছুখন তাকিয়ে থাকে মেধা । কাশেম বলে,,,

– ভাবির সাথে দেখা করতে এসেছিলে?
– হ্যা।
– এত বাদ দিয়ে সিনিয়র বান্ধবী কেন বানিয়েছ?
– আপনিওতো সিনিয়র বন্ধু বানিয়েছেন?
– আমার সিনিয়র বন্ধু?
– সামির সিকান্দার !
– সেত বন্ধু নয়,, বড়ভাই৷
– হতে পারে ।
– চলো তোমাকে কলেজ পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
– প্রয়োজন নেই। আমি একা যেতে পারব।
– একা কেন যাবা? ত্যাড়ামি কইরোনা। চলো,,

কাশেম আর মেধা দুজন গেট দিয়ে বাইরে এসে দাড়ায়৷ মেধা কাশেমকে জিজ্ঞেস করে,,
– কাশেম ভাই,,, মাহার দিনকাল কেমন যায়? সামির ভাই কি অরে মারধর করে?
– ভাই? মারেনা,, মারা খায়,,।
– মানে?
– মানে,, ভাবিরে কখনো মারতে দেখিনাই, কিন্তু ভাবি ভাইরে মেল্লাডি থাবড়া মারছে। ভাই কিছুই কয়নাই। ওদের সম্পর্কের শুরুইতো থাবড়া।
– কি বলেন?
– থাক বাদ দাও। আগে বলো,, তুমি কি সিদ্ধান্ত নিলে? আমি আবারো বলছি,,, আমি তোমাকে ভালোবাসি।

– আমিও আবার বলছি,, আপনার সাথে আমার যায়না।
– দুরো! খালি যায়না যায়না করে,, রূপ দিয়ে কি হবে? আমার তোমারে পছন্দ তোমার চেহারা না।
মেধা,,, তুমি শুধু একটা বার কও ভালোবাসো,, আমি আজীবন তোমারে আগলাইয়া রাখুম । তোমার নাম পরিচয়, চেহারা আমার কিচ্ছু দেখার নাই।
মেধা কোনো জবাব না দিয়ে চলে যায় । কাশেম আবার ভার্সিটি পৌঁছে যায় । মাহাকে দেখে লাইব্রেরি ম্যাম জিজ্ঞেস করে,

– এতদিন আসোনি যে? আসতে দেয়নি?
– না, ম্যাম,, তেমন কিছুই না।
– সামির সিকান্দার কি তোমাকে ধরে মারধর করে? অসন্মান করে?
– না,, আপনি কিরে জানলেন? ?
-আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি। বরাবরি তোমার খোঁজ নেই আমি।
– সেটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল ম্যাম৷
-তোমার যদি কোনো সমস্যা হয় তুমি অবশ্যই আমাকে জানাবে কিন্তু ।
-জ্বি অবশ্যই ।
তারপর মাহা আপনমনে বই জায়গা মতো রেখে আবার বেরিয়ে যায়। দড়জা ঠেলে বেরোতেই সামির ছোট বাচ্চাদের মতো ধাপ্পা দিয়ে বের হয়,,

– ধাপ্পা !!!
ব্যাস মাহা আগেপিছে ডাইনে বামে না দেখে ঠাস করে চড় মেরে দেয়। পরে যখন দেখে এটা সামির সিকান্দার! ,,,
– আপনি? আপনি এখানে কি করে? পরীক্ষা শেষ?
– ইশশহ এতো হাত চালাও ক্যান বাল, ?
– আমি খেয়াল করিনি দোষতো আপনারি।
– উফফ !! চলো বাড়ি চলো,,
– এত তাড়াতাড়ি শেষ? না লিখে চলে আসলেন নাকি?
– ঠিক ধরেছ। মারা না খাইলে আমার দিন যায়না। তোমারে নিতে আইছি চলো,, বািরে ঝামেলা হবে আজ।
– কিসের?

কালকুঠুরি পর্ব ২৫

সামির ঠোট উল্টে বলল
– কিজানি? চলো চলো চলো
গাড়িতে উঠে সোজা বাড়ি ফিরে গেল। মাহাকে গেটের সামনে নামিয়ে দিয়ে আবারো ভার্সিটি চলে গেল সামির।

কালকুঠুরি পর্ব ২৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here