কালকুঠুরি পর্ব ৩৬

কালকুঠুরি পর্ব ৩৬
sumona khatun mollika

তারপর কি হলো?
সামিরকে চুপ করতে দেখে মাহার সহ্য হচ্ছে না। ঘটনাটা আসরেই জানতে চাওয়ার মতই গটনা। যে কারোর আগ্রহ হবে জানতে। কারণ ভানু ভালোবাসতো ওবায়দুল কে। ভানুকে ভালোবাসতো সজল আর ভানুর স্বামী তাহলে কি করে সালার?

– মুখটা বন্ধ করে আছেন কেন? পরে কি হলো বলুন ?
– বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
– কিন্তু আমার শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে৷
– তাতে আমার কি?
– আরে বলুন না,,, বদলে,,, বদলে , আপনার লুঙ্গি ধুয়ে দেব। নাআ আপনাকে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াব।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সামির এবার শব্দ করেই হেসে ফেলল !
– হ্যাএ্য? তোমার ভালুপাসা দেখে আমার এই ছাদ থেকে লাফ দিয়ে চাদে চলে যেতে মন চাইছে।
– সে যান, কিন্তু আগে পুরোটা বলে যান।
– স্বার্থপর বাঙ্গি একটা !

সেদিন ভানুকে কিছু না বলে চলে গেলেও পরেরদিন এসে সোজা ওবায়দুল এর উক্তি,,
– ভানু,, চলো বিয়ে করে ফেলি। আমার তোমাকে নিয়ে বড় ইনসিকিউরড ফিল হয় যখনি ওই সজল ভাইরে তোমার আশেপাশে দেখি, আমার ভেতরটা জ্বলে যায়।
ভানু ওবায়দুল এর কথায় একটুও দ্বিমত করেনা কিন্তু ভানু চাইছিল বাবা- মাকে আগে জানাতে।

– শোন,, এভাবে কেলেঙ্কারি না বাধিয়ে বাবা মা কে জানাই। আমার বাবা মা আমায় খুব ভালোবাসে দেখেনিও রাজি হবেই হবে ।
– ঠিকাছে দেখা করে নেব নাহয়।
খবরটা গড়তে গড়তে সজল পর্যন্ত পৌছে যায়। বেশ কিছুদিন যাবত অপেক্ষার পর সজল সোজা ভানুর কাছে প্রেম নিবেদন করে বসে।
– ভানু,, আমি তোমাকে সত্যি খুব পছন্দ করি। তুমি একটাবার রাজি হয়ে যাও ওই কাউয়ার থেকে তোমাকে আমি ভালো রাখব। তাছাড়া ছেলেটা সুবিধার নয়। আমার কথা বিশ্বাস করো।

– সজল ভাইয়া, আপনি সিনিয়র মানুষ, আমি আপনাকে সবসময় বড় হিসেবে সন্মান করেছি। সত্যি কখনো অন্য নজরে দেখিনি। তাছাড়া আমিও ওবায়দুল কে ভালোবাসি। আশা করি আপনি ব্যাপারটা বুঝবেন।
– অতো বাল ছাল আমি বুজিনা। আমি তোমারে পছন্দ করি তুমি আমার। চলো আমি তোমার বাড়িতে খবর পাঠাবো,! নির্বাচনের আগেই তোমার আমার বিয়ে হবে, চলো!
– আমার হাত ছেড়ে দিন ! ছাড়ুন বলছি, আমি আপনাকে বিয়ে করবনা। আপনি একটা বেকার বখাটে ভাদাইম্যা! পড়াশোনা, চালচলন কিছুইনেই আপনার! তাছাড়া আপনাকে আমি ভালোবাসি না।
– বাসতে হবে জোর করে বাসবে! নয়ত ামি তোমাকে বাধ্য করব! তখন সারা দুনিয়া তোমায় কলঙ্কিনী বলে চিনবে! তখন কি সেটা খুব ভারো হবে!

উক্ত কথাটা ভানুর ভিষণ অপছন্দ হয। রাগের বশে ঠাস করে সজলের গালে চড় মেরে দেয়। যার দরুন তার ভীষণ ইগো হার্ট হয় । সজল সেখান থেকে সোজা নাটোরের বািরে চলে যায়। সালার সিকান্দার আটকানোর বদলে আরো উস্কে দিযেছিল।
ঘটনা এভাবে এগোতে এগোতে একদিন ভানু রোক তোলে বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে কিন্তু ওবায়দুল তখনো ইনিয়ে বিনিয়ে মানা করে দেয়। পরে একদিন নিজেই বলে,
– চলো তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাই। একজনের সাথে দেখা করাব।
ভানুর ছুটি থাকায় সেও রাজি হয়ে যায় । ওবায়দুল জানায় অতি নিকটেই কোথাও ঘুরতে যাবে হাঁটতে হাঁটতে ভানু খেয়াল করে না কখন তারা নিষিদ্ধ গলির রাস্তা পেরিয়ে এসেছে।

কালকুঠুরি নামের ভবনটি সে সেদিন প্রথম দেখেছিল। খবর নিয়ে দেখল যাকে খুজছে সে এখনো আসেনি। ওবায়দুল তখন সেখানে উপস্থিত মোটা গাট্টাগোট্টা এক লোককে বলল,, ভানুকে নিয়ে গিয়ে এক রুমে বসাতে।
দেখতে সুন্দরী জন্য সেকানকার বাইজি নারীরা তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছিল। তখন সেখানে এক মেয়ে কে ডাকা হয় যে রিমি, তোর কাস্টমার আছে আজ যা কাজে যা। মেয়েটার মুখটা বিষণ্ণতায় ছেয়ে যায় । ভাণু ভালো মনেই বাকি মেয়ে দের জিজ্ঞেস করে,,

– তোমদের এই আবাসস্থলের নাম কালকুঠুরি কেন?
তাদের মধ্যে কেও কেও বলে কুঠুরির নাম হয়ত শখ করে তাই রেখেছে। তখন সেখানে উপস্থিত হয় সালার সিকান্দার এর মা।
সুমনা সিকান্দার বড় অদ্ভুত তার বেশভূষা । কালো রযের লালপেড়ে শাড়ি পৌঢ় কপালে লাল টিপ। গলায় একটা সোনার মালা। হাতে কঙ্কন আর মোটা করে লাগানো কাজল। চোখদুটো নাকি তার বড্ড ভয়ানক ছিল । পান চিবুতে চিবুতে সুমনা সিকান্দার জবাব দিল,

“যেখানে সূর্যের আলো কিংবা বাতাস পর্যন্ত পৌঁছায় না, এমন অন্ধকার ও যন্ত্রণাময় কারাগারকে কালকুঠুরি বলে।”

– মানে?
-মানে বুঝতে পারছোনা সোনা? কালকুঠুরি হলো একটা কারাগার। যেই কারাগারে ভয়ানক শাস্তি দেওয়া হয়। তবে,, এই কুঠুরি সেই কুঠুরি নয়। কোর্টের পাশে যে কালকুঠুরি রয়েছে ওটা আসল কালকুঠুরি। আর এই কালকুঠুরি ২ হচ্ছে বর্তামের সর্বসেরা দেহ ব্যাবসা*র ঘাটি পতিতালয়…
বাকিটা আর ভেঙে বলতে হোলোনা সুমনার ভানু এমনিতেই সব বুঝে গেল। কথাগুলো কানে ঢুকতেই সারা দুনিয়া যেন হেলাদুলা করছে। সেখান থেকে দৌড়ে পালাতে গেলে ওবায়দুল তাকে ধরে
বলে,, –

– কোথায় যাচ্ছ আমার টাকার বস্তা?
– কিই?? ওব,, ওবায়দুল এটা কুঠুরি! বাইজি পাড়া। পালাও এখান থেকে তুমি এখানে কেন এনেছ?
– তোমার সংসার গড়ে দিতে।
– মানে?
– বাংলা ভাষায় বললে, আমি তোমাকে বেঁচে দিয়েছি। সুমনা কাকি, আমার কাজ এ পর্যন্তই।
ভানুর সব কেমন গুলিয়ে যায়।
‎নিজের সবচে আপন ভাবা মানুষ টা, ভাজা মাছ উল্টাতে না জানা মানুষ টা কিভাবে এক মুহূর্তে বদলে গেল৷ ভানু দৌড়ে বেরিয়ে যেতে লাগলে সুমনা সিকান্দার জোড় গলায় হুকুম করে তাকে আটকানোর জন্য ।
বেশ কজন গার্ড মিলে জবরদস্তি তাকে একটা কামরায় বন্দী করা হয়। ওবায়দুল কে চেচিয়ে চেচিয়ে ডাকতে থাকে ভানু৷ তার মনে হয় এখন পর্যন্ত স্বপ্ন দেখছে এই স্বপ্ন এক না এক সময় ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু ওবায়দুল তার ডাক শুনলোনা। দরদাম করে মাত্র পনেরো হাজার টাকা হাতে নিয়ে ওবায়দুল সেই কালকুঠুরি ২ ত্যাগ করল।

তখন সেখানে অনেকগুলো লোকজন ভানুর চিৎকার চেঁচামেচি তে বিরক্ত হলে ভানুকে পাঠানোর হুকুম হলো আসল কালকুঠুরি তে। ঘুমের ওষুধ ইনজেক্ট করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো কালকুঠুরি তে। গলায় ঝুলে থাকা ভার্সিটির আইডিকার্ডটা চিরতরের জন্য ছিড়ে পড়ে গেল লাল গলির রাস্তায় ।
মনে আছে তোমাকে কালকুঠুরির একটা কামরায় বন্দী রাখা হয়েছিল? সেখানে ভানুকে আটকে রাখা হয় তালাবদ্ধ ঘরে। নিচতলাতো দেখোনি,, নিচতলায় চৌদ্দ শিকের রুম কিন্তু ওপরতালা কাঠের শক্ত দড়জাবিশিষ্ট জানালাও নেই সেই কামরায়।
আছে ছোট্ট এক লাগোয়া শৌচাগার আর শুধু আছে পশ্চিম দেয়ালে ১৮ টি ছিদ্র যা দিয়ে দিনের বেলায় কোনোমতে ১৮ ছটাক আলো প্রবেশ করত সেই কামরায়। বলা হয় কালকুঠুরিতে যে আসামি যায় সে আর কোনোদিনো বেঁচে ফেরেনা।

কালকুঠুরিতে বড্ড ভয়ানক অপরাধী বা আতঙ্কবাদী দের আটক রাখা হতো,, নির্যাতন করে মেরে ধরে যদি মরে যেত,, সামনের ওই পুকুরে লাশ ফেলে দিত দাফনও জুটতোনা। সেই খানকার সবচে ভযানক কামরা দ্বিতীয় তলার সেই কর্নারের কামরা,, শেল নং ২১৮ ।
এবার একটু দম ফেলে আবার বলতে লাগলো সামির,,, সেই কামরাতেই আটকে রেখেছিল ভানুকে। সালার সিকান্দার এর তখন ২ ছেলে। সাফিনের বযস তখন ৬ কি ৭, আর সিয়ামের বয়স ৩ হ্যা একদম ৩।

দুদিন ওভাবেই পরে থাকার পরে তৃতীয় দিন সেখানে উপস্থিতি হয় এক পুলিশের। ঘাড় আর বুক ভর্তি ব্যাজ! তৎকালীন ডিআইজি দেলদার সমাদ্দার । তার সাথে হাতে হ্যান্ডকাপ পরা সাফিন সিকান্দার ।
সালারের আদেশে তাকে বেধে নিযে যাওয়া হয়েছে ওসব অত্যাচার পরিদর্শন করার জন্য। আটকানোর জন্য সজল সিকান্দারতো তখন রাজশাহীতে ছিলনা। তাকে দেখে ভানু মনে সাহস পায়। পায়ে পরে বাঁচাতে আকুতি করে। মনে করে দেলদার তাকে বাঁচাতে গিয়েছে এবং বাঁচাবে । কিন্তু সে গুড়ে বালি।
রাক্ষসসম হাহা করে হেসে দেলদার ছোট্ট সাফিনকে বলে,,

– দেখেছিস, এভাবে যখন কেও আর্তনাদ করে তার চে মধুর বাণী কিছু হয়না!
বলেই নিজের পৈশাচিক খিদে মেটায় একুশ বছর বয়সী সরল ভানুকে দিয়ে । ভানু নিজের সতিত্ব চিরজীবন এর জন্য হারিয়ে ফেলে। সাফিন নিজের চোখমুখ এটে ভানুর চিৎকার শুনেছে। শুধু এইটুকু নয়। এটা ছিল প্রথমবার। দ্বিতীয় বারে নিজের বাপকে এক অসহায় মেয়ে কে ছিড়ে খেতে দেখেছে। বরাবর দেখে, সেই ছোট্ট বেলা থেকে দেখে খুব সম্ভব ৪বছর বয়স থেকে। কিছু বুঝুক বা নাই বুঝুক তাকে দেখানো হতো এসকল কর্ম তার ভবিষ্যতে করতে হবে।

ওই কামরা এমন এক কামরা যে ভানু আত্মহত্যা করার সুযোগটুকুও পায়নি। তাকে ওখানেই আটকে রাখা হতো। এদিকে ভুবন শিকদার, ভানুর ভাই, তাকে নিতে এসে আর খুঁজে পায়নি। পুলিশ, থানা করেছিল কিনা জানা নাই। খুব সম্ভব করেছিল। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।
জন্ম থেকে কেও খারাপ হয়না তাইনা? সাফিন সবার চোখ লুকিয়ে গুটিগুটি হাতে অত্যন্ত চেষ্টায় সজলের কাছে টেলিফোন করে। তখনকার সময়ে যোগাযোগ ব্যাবস্হা এতো ভালো ছিলনা। সৌভাগ্য
করে টেলিফোন ওঠায় ঢাকা ভার্সিটির এক মেডাম। সজল যেহেতু জনপরিচিত ছিল, তাকে কানেক্টেড করতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। কল রিসিভের পর,,

-হ্যালো কে বলছেন?
– আমি,, আমি সাফিন কথা বলছি।
– আচ্ছা, তো মিষ্টি বাচ্চা,, তোমার কাকে চাই?
– আমার কাকা,, কাকাকে দাও
– তোমার কাকার নাম বলো,
– সজল, সজল সিকান্দার।
– সজল? ফ্রম নাটোর?
– মানে?
– মানে নাটোর থেকে বলছ?
– হ্যা।
– ঠিকাছে তুমি একটু অপেক্ষা কর।
খানিকখন বাদে ওপাশে থেকে আওয়াজ ভেসে আসে,,
– সাফি?

এতদিন পরে কাকার গলার আওয়াজ শুনে ছোট্ট বাচ্চাটার জানে পানি পরে। চোখ ভিজে যায় নোনা জলে। মা মরেছে অনেক ছোট বেলায়। দাদি সুমনা সিকান্দার খুন করে মেরেছে। সিয়ামকে সাথির মা সুফি বেগম দেখাশোনা করে। তাকে কেও দেখেনা। ঠিক যেমনটা তার ছেলে সিভানের সাথে হয়ে থাকে। মাযাভরা কণ্ঠে ভেজা গলায় সাফিন ডাক দেয়,,
– কাকা..
– সাফি? কি হয়েছে বাবা? তুই কাঁদছিস? সাফি?? এ বাপ, কি হয়েছে বাপ !
– তুমি ফিরে এসো কাকা। এ কাকা, তুমি ফিরে এসো।
– কি হয়েছে বাপ? আব্বা মারছে? দাদি মারছে? চাচাি কিছু বলছে? কাঁদছিস কেন বাপ,, কথা ক,,।
– ভানু মা….

ওপাশ থেকে আওয়াজ ভেসে আসে সুফি বেগমের,, ” সাফিন, তুই এখানে কি করছিস, তোকে কালকুঠুরি যেতে হবে। তোর বাপে বের হতে বলেছে। ”
সজলের কান মাথা ধাপা ধরে যায় ! কালকুঠুরি! সাফিনকে তার মানে সালার কালকুঠুরি নিয়ে যায় ! কিন্তু লাইন না কেটে সজল গভীর মনযোগ দিয়ে কান পেতে রয়। সাপিন ছোট থেকে চালাক চতুর। বুদ্ধি করে কথা ঘুরিয়ে জোরে কণ্ঠে বলে,,
– আমি ওখানে যাবনা চাচি, । চাচি, ভানু মা কে বাবা মেরে পেলবে এভাবে। বাঁচাও চাচি।

সজল আর বাকিটা শুনতে চায়না। সব জলের মতো পরিষ্কার ! সালার সিকান্দার ভানুকে শিকার করেছে। এমনিতেই সাফিনের কান্নাভরা কণ্ঠ শুনে সজলের কান ঝাঝা করছিল কিন্তু যখন ভানুর কথা তুলেছে তখন থেকে সজল চার দুনিয়া অন্ধকার দেখছে।
সাফিনটাকে সজল বড্ড ভালোবাসত। ঠিক যেমন ভানুকে ভালোবাসতো। দুজনেরি এমন বিপদ শুনে সে চিন্তায় পরে যায় । বারবার নিজেকে দোষারোপ করতে থাকে । হুটহাট রাগ করে চলে আসা উচিৎ হয়নি খোদা না খাস্তা তাদের কোনো বিপদ না হয়। সেদিন রাতেরি ট্রেন ধরে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ।
নিয়ম করে সাফিনকে কালকুঠুরি নিয়ে যায় সালার। ভানুর রূপ সৌন্দর্যে ভিত্তি করে অন্য কাওকে তার ভাগ বসাতে দেয় না সালার সিকান্দার । গেটে দাঁড়িয়ে থাকা দাসী টা জবরদস্তি ভানুকে খাইয়ে যত্ন করে সুস্থ রাখে।
সেদিন গিয়ে সাফিনকে চেয়ারে বাধে রাখার পর সালার যখন মদ গিলে ভানুর কাছাকাছি যায় , ঘরঘর করে বমি করে দেয় ভানু। চোখের পলকে অজ্ঞান হয়ে যায়। সালার গলা উচিয়ে দাসী কে ডাকে দাসী বলে,,

কালকুঠুরি পর্ব ৩৫

– বড়বাবু, এতো পোয়াতি হয়ে গেছে।
– এত দ্রুত?
– কি করব?
– আপাতত এর জ্ঞান ফেরা। পরেরটা পরে দেখছি।
তারপর সাফিনকে সাথে করে বেরিয়ে যায় ।

কালকুঠুরি পর্ব ৩৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here