কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ১০

কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ১০
মিসরাতুল রহমান চৈতী

রাতুল গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে ছিল। চৈতী ধীর পায়ে এসে গাড়িতে বসলো, চোখেমুখে একটু গাম্ভীর্য। রাতুল চৈতীর পাশে বসতে ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিল।
চৈতী জানালার বাইরে তাকিয়ে ছিল। গাড়ি যখন ধীরে ধীরে চলতে শুরু করলো, তখন সে আনমনে রাস্তার দিকেই তাকিয়ে রইলো। মনে হচ্ছিল, তার চারপাশের সব কিছু এক অদ্ভুত ছন্দে চলছে, কিন্তু তার ভেতরের অস্থিরতা যেন থামছেই না।
“কী ভাবছো?”
রাতুলের গলা শুনে চৈতী চমকে তাকালো।
“কিছু না,” সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলো চৈতী।
“সত্যি?”
“হুমম্।”

রাতুল এবার গভীর দৃষ্টিতে চৈতীর দিকে তাকালো, যেন তার মনের ভেতরটা পড়ে নিতে চাইছে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে হালকা শ্বাস ফেলে বললো,
“চৈতী, আমি জানি তুমি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারোনি। কিন্তু আমি তোমাকে বলছি, আমি আছি, সবসময় পাশে আছি। তোমার কোনো ভয় পাওয়ার দরকার নেই।”
চৈতী এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে ধীরে ধীরে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
গাড়ি স্কুলের সামনে এসে থামলো। চৈতী দরজা খুলে নামতে যাবে, ঠিক তখনই রাতুলের চোখ পড়লো তার বোরকার হুকের দিকে। সামনের অংশটা একটু সরে গিয়ে ফর্সা ত্বক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রাতুলের চোখ মুহূর্তেই কঠিন হয়ে গেল।
এক ঝটকায় চৈতীর হাত ধরে টেনে আবার গাড়ির ভেতরে নিয়ে এলো সে। দরজা শক্ত করে বন্ধ করে দিয়ে লক করে দিলো, তারপর ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তুমি বাইরে যাও।”
ড্রাইভার মাথা নাড়িয়ে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে দরজা বন্ধ করলো।
চৈতী কিছু বোঝার আগেই রাতুল তার দিকে ঘুরে বসলো। গভীর চোখে তাকিয়ে বললো,
“তুমি এভাবে বাইরে যাচ্ছিলে?”
চৈতী কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো, তারপর নিচু গলায় বললো,
“আমি খেয়াল করিনি…”
রাতুল গভীর শ্বাস ফেললো, তারপর হাত বাড়িয়ে ধীরে ধীরে হুকটা বন্ধ করে দিলো। স্পর্শটা খুবই হালকা, কিন্তু তাতে প্রচণ্ড যত্ন আর অধিকার লুকিয়ে ছিল।
“এই একটা ভুলই অনেক কিছু বদলে দিতে পারে, চৈতী,” গম্ভীর কণ্ঠে বললো রাতুল।
চৈতী কিছু বললো না।

রাতুল কয়েক সেকেন্ড ওর দিকে চেয়ে রইলো, তারপর ধীর স্বরে বললো,
“এবার ঠিক আছে। এখন নামো।”
চৈতী গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে আবার একবার রাতুলের দিকে তাকালো। তার চোখে এখনো রাগের ছাপ স্পষ্ট, কিন্তু সেই রাগের ভেতরেও যেন লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত ভালোবাসা, এক গভীর দায়িত্ববোধ।
চৈতী ধীরে ধীরে গাড়ি থেকে নামলো, আর রাতুল জানালার পাশে বসে ওকে দেখতেই থাকলো, যতক্ষণ না সে স্কুলের ভেতরে ঢুকে যায়…

চৈতী ধীরে ধীরে স্কুলের গেটের ভেতরে ঢুকে গেল। রাতুল জানালার পাশ থেকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখল, যতক্ষণ না সে পুরোপুরি ভিতরে চলে যায়। চোখেমুখে কঠিন ভাব, কিন্তু সেই কঠোরতার আড়ালে ছিল এক গভীর শঙ্কা।
চৈতী ভেতরে ঢুকে পড়ার পরও গাড়ি ছাড়তে বললো না সে। হাতের আঙুলগুলো চেপে ধরে বসে রইলো, যেন কিছু ভাবছে। কিছুক্ষণ পর গাড়ির দরজা খুলে নেমে পড়লো। পা বাড়ালো স্কুলের দিকে।
স্কুলের গেটের বাইরে কয়েকজন অভিভাবক দাঁড়িয়ে কথা বলছে, কেউ কেউ তাদের সন্তানদের ভেতরে দিয়ে দিয়ে ফিরে যাচ্ছে। রাতুল কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা রিসেপশনের দিকে গেল।
ডেস্কের মহিলাটি মাথা তুলে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে, তার আগেই রাতুল গম্ভীর গলায় বললো, — “নবম শ্রেনীর ক্লাসরুম কোন দিকে?”
মহিলাটি একটু চমকে গেল। একজন অপরিচিত পুরুষ, মুখে মাস্ক, চোখেমুখে গম্ভীর ভাব—সে দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,

— “স্যার, সোজা করিডোর ধরে ডান দিকে গেলে ক্লাস ৯-এর ব্লক পাবেন।”
রাতুল মাথা সামান্য ঝাঁকিয়ে ধীর পায়ে করিডোরের দিকে এগিয়ে গেল। চারপাশের শিক্ষার্থীরা কৌতূহলী দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালেও, তার কঠোর উপস্থিতি দেখে কেউ কিছু বলার সাহস পেলো না।
চৈতী ক্লাসরুমে ঢুকে ধীরে ধীরে নিজের সিটের দিকে এগিয়ে গেল। ব্যাগ কাঁধ থেকে নামিয়ে টেবিলের ওপর রাখতেই টের পেল, কেউ একজন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর পরনে বোরকা—এটা বাকি সবাইয়ের জন্য বেশ অস্বাভাবিক লাগছিল। বিশেষ করে একজন ছেলে, যে কিছুটা কৌতূহলী হয়ে চৈতীর দিকে এগিয়ে এলো। মনে হচ্ছিল, সে কিছু বলতে চায়।
চৈতী সিটে বসতেই একজন ছেলে এগিয়ে এলো। চোখে কৌতূহল, মুখে হালকা হাসি।

— “তুমি নতুন?”
চৈতী কোনো জবাব দিলো না। চুপচাপ সামনে তাকিয়ে রইলো।
ছেলেটি একটু ঝুঁকে আবার বললো,
— “তোমার নাম কী?”
তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই ক্লাসরুমের দরজার সামনে থেকে ভেসে এলো গম্ভীর এক কণ্ঠস্বর—
— “ওর নাম দিয়ে তোমার কী কাজ?”
ছেলেটি চমকে উঠে পিছনে তাকালো। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল রাতুল। মুখে মাস্ক, চোখেমুখে কঠোরতা।
— “লেখাপড়া করতে এসেছো, মন দিয়ে পড়াশোনা করো। আর ওর আশেপাশে যেন তোমায় না দেখি!”
রাতুলের কণ্ঠে হালকা ধমকের সুর। ছেলেটি কিছু বলার সাহস পেল না। মাথা নিচু করে ধীরে ধীরে চলে গেল ক্লাসের অন্যদিকে।

রাতুল ধীর স্বরে বললো,, — “বের হও, কথা আছে।”
চৈতী দ্বিধাগ্রস্ত চোখে তাকালো, — “এখানে? এখন?”
— “হ্যাঁ, এখনই!” রাতুল বললো।
চৈতী মৃদু শ্বাস ছেড়ে বেরিয়ে এলো ক্লাস থেকে।
রাতুল চৈতীর দিকে তাকিয়ে বললো,
— “স্কুল শেষ হওয়ার পর গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমি এসে নিয়ে যাবো।”
চৈতী ধীর স্বরে বললো,
— “আপনার আসতে হবে না,, আমি একাই যেতে পারবো?”

রাতুল তেজী কন্ঠে বললো পা কেটে টুকরো টুকরো ফেলবো যদি একা বাড়ি ফের চেষ্টা করো। যাও ক্লাস৷ রুমে গিয়ে ক্লাস করো – কথাটা বলে চলে গেলো রাতুল
রাতুলের চোখে যেন আগুনের জ্বালা ছিল। তেজী কণ্ঠে বলল,
— “তুমি যদি একা বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করো, পা কেটে টুকরো টুকরো ফেলবো। যাও, এখন ক্লাস করো।”
কথাগুলো বলে রাতুল চলে গেল। চৈতী কিছুক্ষণ নীরব দাঁড়িয়ে রইলো, তারপর সে ক্লাস রুমে গিয়ে বসে পড়লো।
সামনে ইলেকশন, তাই আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ ছিল। শহর থেকে একটু দূরে সেটি আয়োজন করা হয়েছিল। রাতুল সেই সভার দিকে রওনা দিলো। তবে, চৈতীর নিরাপত্তার কথা ভেবে, সে তার কিছু লোক পাঠিয়ে দিয়েছিল স্কুলের আশেপাশে, যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে তারা পরিস্থিতি সামলাতে পারে।

সভায় পৌঁছানোর পর রাতুল দ্রুত মঞ্চে উঠলো। তার চারপাশে বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা এবং দলের সিনিয়র নেতারা ছিলেন। আলো ঝলমলে মঞ্চ, উজ্জ্বল পরিবেশে সবার মুখে নির্বাচনী উত্তেজনা ছিল। তবে রাতুলের চোখের মধ্যে এক ধরনের গভীর চিন্তা ছিল। সভার আলোচনায় তার মন পুরোপুরি ছিল না, কারণ তার মাথায় ছিল চৈতী এবং তার নিরাপত্তা।
নেতারা একে একে উঠে বক্তৃতা দিতে শুরু করলেন, নির্বাচনী কৌশল, ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। একজন নেতার মুখে কথা শুনে অন্য একজন প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তবে রাতুলের মন সব সময়ই অন্য জায়গায় ছিল। দলের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, চৈতীর নিরাপত্তা ছিল তার সবচেয়ে বড় চিন্তা।
যতক্ষণ সভার আলোচনা চলছিল, রাতুলের চোখ কখনোই মঞ্চ থেকে সরে যাচ্ছিল না, তবে মনে মনে সে বার বার চেক করছিল চৈতীর আশেপাশে থাকা লোকদের। তার মাথায় একটাই চিন্তা—সবকিছু ঠিকঠাক চলছে তো?
বক্তাদের মধ্যে একজন দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে বলছিলেন, তবে রাতুলের মন তখনও স্থির ছিল না। তার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল নির্বাচনী প্রতিযোগিতা, মানুষের প্রতিক্রিয়া, এবং যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।

আলোচনার একপর্যায়ে হঠাৎ করে হাঙ্গামা শুরু হয়। মঞ্চের পেছন থেকে অস্পষ্ট শব্দ শোনা যাচ্ছিল, যা তৎক্ষণাৎ বাড়তে থাকে। বক্তৃতা দিতে থাকা নেতা মুহূর্তের মধ্যে থেমে যান এবং অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে পুরো সমাবেশে। কিছু নেতা বিস্মিতভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকেন, আর কিছু নেতা দ্রুত নিচে চলে যান পরিস্থিতি সামলানোর জন্য।
রাতুলের চোখে তীব্র আগ্রহ ও উদ্বেগের ছাপ ছিল। তার শঙ্কা সত্যি হয়ে দাঁড়াল। পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। সভায় উপস্থিত কিছু যুবক আচমকা তর্কাতর্কি শুরু করে দেয়, কিছুক্ষণ পর তারা ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করে, একে অপরকে ধাক্কা দিয়ে দিশেহারা করতে থাকে।
রাতুল অপ্রতিরোধ্য এক কণ্ঠে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল, “সবাই থামো! শান্ত হও!” কিন্তু তার কণ্ঠেও যেন এক ধরনের কষ্ট ও রাগ ছিল। মঞ্চে তার উপস্থিতি শক্তিশালী হলেও, তার মন তখন অন্য জায়গায়—এটা কেবল হাঙ্গামাই নয়, কিছু বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে, সে জানত।

তার লোকজন সভাস্থলে দ্রুত প্রবেশ করতে শুরু করে। রাতুল তাদের উদ্দেশ্য করে বলল, “সবাই বাইরে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে। এই জায়গাটা আমাদের রাখা দরকার।”
এই পরিস্থিতিতে রাতুল জানত, চৈতীর নিরাপত্তা নিয়ে তার চিন্তা আরও বাড়ছে। সভার বাইরে কিছু পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এবং তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার লোকেরা সব কিছু ঠিকঠাক সামলে নিচ্ছে।
সভার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাতুল এক মুহূর্তও বিশ্রাম নিল না, বরং তার দৃষ্টি পুরোটা কন্ট্রোল করার দিকে, আর সেই সঙ্গে চৈতীর নিরাপত্তা ও সভার পরিস্থিতি পরিপূর্ণভাবে দেখার চেষ্টা করছিল।
হাঙ্গামার মাঝেও রাতুল নিজের মনোযোগ হারাল না। তার চোখ মুহূর্তে সমাবেশের ভেতরে ছড়িয়ে গেল, যেন সবার প্রতিটি আন্দোলন এবং শব্দ তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তার লোকজন বাইরে গেটের দিকে ছুটে গেল, পরিস্থিতি সামলানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে শুরু করল। রাতুল জানত, একটি ভুল পদক্ষেপ পুরো সমাবেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে, এবং এই মুহূর্তে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

চিত্রপটে আরো কিছু উত্তেজিত বক্তা মঞ্চ থেকে নেমে আসতে শুরু করল। নেতা, কর্মী—সবাই যেন বিশৃঙ্খলার মধ্যে চলে গেল। রাতুল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছিল। সে যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তার মধ্যে জমে থাকা উত্তেজনা যেন বারবার প্রকাশ পাচ্ছিল।
সদ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তার লোকেরা উঠে দাঁড়াল। কয়েকজন বড় নেতা দ্রুত সভার মাঝখানে এসে কিছু নির্দেশনা দিল, আর কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হতে শুরু করল। কিন্তু রাতুলের মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কারণ, তাকে মনে হচ্ছিল, এই বিশৃঙ্খল পরিবেশের পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
সভা আবার শুরু হলেও, রাতুলের মন একটুও শান্ত হয়নি। সে জানত, রাজনৈতিক চাপের এই সময়েই এমন পরিস্থিতি ঘটানো খুবই সহজ। তার হাতে এখন সময় নেই, তাকে দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই পরিস্থিতির মাঝে হঠাৎ করেই রাতুলের ফোন বেজে উঠলো। ফোনটি রিসিভ করার সাথে সাথে, তার কানে পৌঁছালো ভয়ের খবর— “চৈতীর স্কুলের সামনে ঝামেলা শুরু হয়েছে।” মুহূর্তে তার মাথায় যেন বজ্রপাত হলো। এক মুহূর্তের জন্য সে স্থির হয়ে গেল।

কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ৯

কিছুই বুঝতে পারছিল না, কী করবে, কোন দিকে সামলাবে। তার এক পায়ের নিচে মাটি সরে গেল। এই মুহূর্তে তার সামনে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল—একদিকে ছিল এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি, অন্যদিকে ছিল চৈতীর নিরাপত্তা।
রাতুল দ্রুত চিন্তা করতে শুরু করলো, তার লোকদের কে কোথায় পাঠাবে, কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবে। এর মাঝেই তার মনের ভেতরে অন্য কিছু ছিল—চৈতীর নিরাপত্তা, তার প্রতি দায়িত্ববোধ। সেই দায়িত্ব যেন এখন আরও বড় হয়ে উঠছিল।
“কী করব? কোথায় যাব?”— এই প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরছিল।

কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ১১