কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ২৩
মিসরাতুল রহমান চৈতী
হাসপাতালের করিডোরটা সুনসান। রাতুল আর আসিফ দ্রুত পা চালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটা এখনো অচেতন, ওটিতে আছে। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশদের চোখে কিছুটা চাপা অস্বস্তি, কিন্তু কিছু বলছে না।
প্রেসের কয়েকজন সাংবাদিক এসে ঘিরে ধরলো রাতুলকে। মাইক্রোফোনগুলো একসাথে সামনে ধরে প্রশ্নের বৃষ্টি শুরু হলো—
“এই ঘটনার পর আপনার পদক্ষেপ কী? পতিতালয় বন্ধ করতে কি উদ্যোগ নেবেন?”
রাতুল চুপ করে তাকিয়ে রইলো কয়েক মুহূর্ত। এরপর ধীরে ধীরে বলল,
— “আমাদের দেশে পতিতালয় আমরাই তৈরি করি। দিনের আলোতে আমরা সভ্য ভদ্রলোক, আর রাতের অন্ধকারে হয়ে যাই নিকৃষ্ট জানোয়ার। এই মেয়েটা ধর্ষণের শিকার হয়েছে, আর আপনারা কী করছেন? আসল অপরাধীকে ধরতে চাচ্ছেন না, বরং এখানে এসে নিজের ইমেজ ধরে রাখার চেষ্টা করছেন! আর যারা আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়, তারা এই মেয়েটার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়—তারপর মুখোশ পরে বলে, ‘আমি প্রতিবাদ করছি।’”
চারপাশে নিস্তব্ধতা নেমে এলো। সাংবাদিকরা একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে, কেউ কেউ ইতস্তত করছে।
রাতুল আবার বলল, “এই দেশের হাজারো ধর্ষিতা মেয়ের কোনো জায়গা নেই। বিশ্বাস না হয়, দুই দিন অপেক্ষা করুন। দেখবেন, সমাজই এই মেয়েটার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, অশ্লীল কথা বলবে। তারপর? হয়তো মেয়েটা আত্মহত্যা করবে, অথবা একসময় তাকে ঠাঁই নিতে হবে সেই পতিতালয়ে, যেটা বন্ধের কথা আপনারা বলছেন।”
রাতুলের চোখের ভাষা কঠিন হয়ে উঠল, কণ্ঠে তীব্র রাগ আর অভিমান।
— “আমাদের দেশের রক্ষকরাই ভক্ষক! আর আমি? আমি কোনো সাধু পুরুষ নই, আমার মধ্যেও খারাপ গুণ আছে। কিন্তু একটা পার্থক্য আছে—আমি যা করি, তা স্বীকার করি। অন্তত সাদা-কে সাদা আর কালো-কে কালো বলতে পারি! আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ, প্লিজ, এই মেয়েটার ছবি বা ভিডিও কোথাও পোস্ট করবেন না। তাকে বাঁচতে দিন! তাকে আরেকবার মরতে দেবেন না!”
সাংবাদিকদের মধ্যে গুঞ্জন উঠলো। কেউ মুখ নিচু করলো, কেউ চুপ রইলো।
রাতুল এবার এক ধাপ এগিয়ে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— “আপনারা যারা মিডিয়াতে কাজ করেন, আপনাদের সত্যিকারের শক্তি আছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না, বরং এই মেয়েটার জন্য সঠিক বিচার দাবি করুন। ধর্ষিতা মেয়েটাকে সমাজের সামনে টেনে আনবেন না, বরং ধর্ষকের মুখোশ খুলুন! এমন শাস্তি দিন, যেন পরের বার কেউ ধর্ষণ করতে গিয়ে একবার নয়, একশোবার ভাবে!”
চারপাশে থমথমে পরিবেশ। কেউ কিছু বলছে না।
রাতুলের চোখে তীব্র অগ্নি, কণ্ঠে দৃঢ়তা—
আজ সে একা নয়, তার কণ্ঠে হাজারো নিপীড়িত নারীর আর্তনাদ!
রাতুলের কথা শেষ হতেই আশপাশে এক ধরনের চাপা নীরবতা নেমে এলো। সাংবাদিকদের কেউ কেউ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো, কেউ আবার ক্যামেরা নামিয়ে ফেললো। হয়তো তারা রাতুলের কথায় কিছুটা লজ্জিত, আবার হয়তো এমন খোলামেলা সত্য শুনে কিছুটা হতবাক।
আসিফ ধীর পায়ে রাতুলের দিকে এগিয়ে এসে কানে কানে বললো, “চলবে?”
রাতুল একবার পেছন ফিরে তাকালো, হাসপাতালের করিডোরের এক কোণে সাদা চাদরে ঢাকা মেয়েটি নিশ্চল হয়ে শুয়ে আছে। হয়তো বেঁচে আছে, হয়তো মরে গেছে—এই সমাজের কাছে তার জীবিত থাকা বা না থাকা কোনো ব্যাপারই না।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সে গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো।
গাড়ির দরজা লাগিয়ে রাতুল গভীর গলায় বললো, “চৈতীর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দে।”
আসিফ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। গাড়ি স্টার্ট নিতে না নিতেই ফোন বের করে দ্রুত নির্দেশ পাঠিয়ে দিলো, চৈতীর নিরাপত্তায় নতুন কিছু লোক বসানো হবে।
গাড়ির ভেতর রাতুলের চোখে অন্ধকার এক দৃষ্টি।
“এখন আমাদের লক্ষ্য দেলোয়ার খন্দকার,” রাতুল ধীর কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠে বললো। “নারী আশ্রমের নামে সে নারী পাচার করে। দিনের বেলা মহৎ সাজে, রাতে মেয়েদের নিলামে তোলে।”
আসিফ ঠোঁট চেপে ধরলো, “প্রমাণ লাগবে, নাহলে কিছু করতে পারবি না।”
“প্রমাণ জোগাড় করতে যাচ্ছি,” রাতুল সংক্ষিপ্ত জবাব দিলো।
দুপুরের কড়া রোদে গেটের সামনে এসে গাড়ি থামলো। আশ্রমের বড় সাইনবোর্ডে লেখা—”দেলোয়ার খন্দকার নারী পুনর্বাসন কেন্দ্র”। কিন্তু ভিতরে কী চলে, সেটা সবাই জানে—কেউ মুখ খোলে না।
রাতুল গার্ডদের এড়িয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো। রিসেপশনের ডেস্কে বসে থাকা লোকটা উঠে দাঁড়ানোর আগেই রাতুল সরাসরি বলে ফেললো,
“ম্যানেজার কোথায়?”
লোকটা কিছু বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু রাতুলের চোখের ভাষা দেখে থেমে গেলো। মিনিটখানেক পর একজন মাঝবয়সী লোক এগিয়ে এলো। ছোটখাট গড়ন, মুখে একটা মিথ্যে ভদ্রতার ছাপ।
“আপনারা কারা?” লোকটা গলা খাঁকারি দিয়ে বললো।
“তুমি এই আশ্রমের ম্যানেজার?” রাতুল জানতে চাইল।
লোকটা মাথা ঝাঁকালো।
“আমাদের কিছু কথা আছে,” রাতুল ঠান্ডা গলায় বললো, “ভিতরে বসবো?”
ম্যানেজার দ্বিধান্বিত চোখে একবার চারপাশ দেখলো, তারপর সম্মতি দিলো।
ভিতরের রুমে ম্যানেজার বসতেই রাতুল সরাসরি প্রশ্ন করলো, “এখানে নারী পাচারের ব্যবসা চলে, তাই না?”
ম্যানেজার চমকে উঠলো, “কী বলছেন! এটা একটা পুনর্বাসন কেন্দ্র! আমরা নির্যাতিত নারীদের সাহায্য করি!”
আসিফ ঠোঁট বাঁকালো, “তাই নাকি?”
রাতুল চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। এক মুহূর্ত চুপ থেকে বললো, “বেশ, তাহলে নাম বলো… এখানে কাদের পুনর্বাসন দিয়েছো?”
ম্যানেজার এবার একটু গুছিয়ে নিলো নিজেকে। “আমাদের রেকর্ড আছে, সরকারি অনুমোদন আছে…”
রাতুল হেসে বললো, “ঠিক আছে। তাহলে লিস্ট বের করো।”
লোকটা এবার পুরোপুরি অস্বস্তিতে পড়ে গেলো।
“আমাদের গোপনীয়তা রাখতে হয়…”
“গোপনীয়তা?” এবার আসিফ এগিয়ে এলো, “এই আশ্রম থেকেই মেয়েদের তুলে নেওয়া হয়, বিক্রি করা হয়, বিদেশে পাচার করা হয়—এই গোপনীয়তার কথা বলছো?”
লোকটা এবার ভয় পেতে শুরু করলো। কিন্তু তবুও স্বীকার করতে চাইল না।
রাতুল ধীর পায়ে এগিয়ে এসে ম্যানেজারের কলার চেপে ধরলো। “একটা লাস্ট সুযোগ দিচ্ছি, মুখ খুলো!”
“আমি কিছু জানি না!”
এইবার আর দেরি করলো না রাতুল। এক ঘুষিতেই লোকটা চেয়ার থেকে পড়ে গেলো মেঝেতে। তারপর একের পর এক কয়েকটা লাথি খেলো।
লোকটা তখন কঁকিয়ে উঠলো, “আমি বলছি! দয়া করে মারবেন না!” লোকটি একটা ফাইল দিলো।
রাতুল হাত বাড়িয়ে ফাইলটি হাতে নিয়ে এক নজর চোখ বুলিয়ে তারপর রাতুল ফাইলটা বন্ধ করে বললো, “এই ফাইল এখন আমাদের থাকবে।”
আসিফ হাতের ইশারায় বাইরে থাকা গার্ডদের ডাকলো।
“একে তুলে নিয়ে যাও।”
গার্ডরা এসে ম্যানেজারকে ধরে টেনে নিয়ে গেলো।
রাতুল চোয়াল শক্ত করে বললো, “দেলোয়ার যেন জানতে না পারে আমরা এসেছি। সময় এলে ওকে ধরবো, কিন্তু এখন ওকে ধোঁকা দিতেই হবে।”
আসিফ একপাশে দাঁড়িয়ে বললো, “সেটা ঠিক আছে, কিন্তু এরপর?”
রাতুল একবার ফাইলের দিকে তাকালো, তারপর বাইরে ঝাঁঝালো রোদে ঢেকে থাকা রাস্তার দিকে তাকিয়ে বললো,
“এরপর দেলোয়ার খন্দকারের পালা।”
ইফতারির আয়োজন সামনে নিয়ে বসে আছে রাতুল আর আসিফ। খাবারের থালা সাজানো, টেবিলে ঠান্ডা শরবত রাখা—সব ঠিকঠাক, কিন্তু রাতুলের মনটা অস্থির। চৈতীর জন্য এক অজানা উদ্বেগ তার বুকের ভেতর দোল খাচ্ছে। চোখ রাখলো ফোনের স্ক্রিনে, কিন্তু কোনো ম্যাসেজ বা কল নেই।
হুট করে ফোনটা কেঁপে উঠলো। চৈতীর নামটা ভেসে উঠতেই সারাদিনের ক্লান্তি যেন মুহূর্তেই উবে গেলো। প্রশান্তির এক স্নিগ্ধ স্রোত বয়ে গেলো মনজুড়ে। দেরি না করে ফোনটা কানে ধরলো রাতুল।
ওপাশ থেকে কোনো শব্দ নেই, শুধু ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। রাতুল চোখ বন্ধ করে সেই শ্বাসের শব্দটাকে গভীরভাবে অনুভব করতে থাকলো—চৈতী একদম কাছে, যেন ঠিক পাশেই বসে আছে।
নীরবতা ভেঙে এলো চৈতীর কাঁপা কাঁপা কণ্ঠ,
—”কেমন আছেন? কি করছেন? ইফতার করেছেন তো?”
পানি পান করলে যেমন তৃষ্ণা মেটে, ঠিক তেমনই চৈতীর এই কটা শব্দ রাতুলের হৃদয়ের সব তৃষ্ণা মিটিয়ে দিলো। বুকের মধ্যে শান্তির এক দোলা লাগলো।
নিজেকে সামলে নিয়ে গভীর কণ্ঠে বললো রাতুল,
—”আমি ঠিক আছি, এখন ইফতার করবো। তুমি কি করছো? ইফতার করেছো তো?”
—”হুঁ, করবো…”
—”সাবধানে থেকো চৈতী। কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিও। বাইরের কোনো শব্দ শুনলে দরজা খুলে বের হবে না। আর চিন্তা করো না, আমি সবসময় তোমাকে নজরে রেখেছি। তুমি আমার দৃষ্টি থেকে এক মুহূর্তের জন্যও বাইরে যাওনি।”
ওপাশ থেকে আর কোনো উত্তর এলো না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলো রাতুল, তারপর ফোনের লাইন কেটে গেলো। চৈতী হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি।
ফোনটা নামিয়ে এনে গভীরভাবে শ্বাস নিলো রাতুল। দূরে কোথাও চৈতী ঠোঁট কামড়ে ধরলো, যেন কোনো কথা বুকের ভেতর চাপা দিয়ে রেখেছে। তার চোখের সামনে রাতুলের প্রতিচ্ছবি ভাসছে, অথচ বলা হয়ে উঠছে না অনেক কিছু।
ইফতার শেষ করে রাতুল আর আসিফ একসঙ্গে নামাজ আদায় করলো। বাইরে তখন সন্ধ্যার ছায়া ঘনিয়ে আসছে, রাস্তায় হালকা যানজট। কিন্তু রাতুলের মনে একটুও অস্থিরতা নেই, বরং এক অদ্ভুত শান্তি তার চোখেমুখে। কারণ সে জানে, আজ রাতে ন্যায়বিচারের আগুন জ্বলবে।
নামাজ শেষ করে গাড়িতে উঠে বসলো দু’জন। গন্তব্য—দেলোয়ার খন্দকারের অবৈধ মদের দোকান। শুধু এখানেই নয়, আজ একই দিনে দেলোয়ারের পাঁচটি মদের ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগবে। ঢাকার বাইরের চারটি জায়গায় রাতুলের লোকেরা কাজ করবে, আর ঢাকার ভেতরের একমাত্র ফ্যাক্টরিতে সরাসরি থাকবে রাতুল আর আসিফ।
গাড়ি ধীরে ধীরে শহরের ব্যস্ত রাস্তা পার হয়ে প্রবেশ করলো তুলনামূলক নির্জন এলাকায়। একটা পুরোনো গোডাউনের সামনে এসে থামলো তারা। এই গোডাউনটা বাইরে থেকে সাধারণ স্টোরেজ মনে হলেও আসলে ভেতরে চলছে অবৈধ মদের ব্যবসা।
রাতুল গাড়ি থেকে নেমে চারপাশটা ভালো করে দেখে নিলো। তার চোখদুটো অন্ধকারের মধ্যেও তীক্ষ্ণ হয়ে উঠলো। আসিফ ফিসফিস করে বললো,
— “ভিতরে লোকজন আছে, আমাদের দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।”
— “আমি জানি,” সংক্ষেপে বললো রাতুল।
দু’জন ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো দরজার দিকে। তালা ভাঙতে সময় লাগলো না। একবার ভেতরে ঢুকে পড়তেই চারপাশ থেকে উগ্র মদের গন্ধ এসে নাকে লাগলো। বিশাল সব ড্রাম সাজিয়ে রাখা, বোতল ভর্তি করে পাঠানোর জন্য রেডি করা হয়েছে।
রাতুল পকেট থেকে ছোট্ট একটা কাঁচের বোতল বের করলো। বোতলের ভেতরে তরল পদার্থ চকচক করছে—এটা একধরনের কেমিক্যাল, যা আগুনের সংস্পর্শে এলেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায়।
দুইজন দ্রুত একেকটা জায়গায় বোতল রেখে দিলো। আসিফ লাইটার বের করে বললো,
— “তোর সিগন্যালের অপেক্ষায় আছি।”
রাতুল একবার চারপাশটা দেখে নিয়ে বললো,
— “সময় হয়ে গেছে।”
আগুনের শিখা জ্বলে উঠলো আসিফের হাতে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লো চারপাশে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মদের গোডাউন দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগলো। রাতুল আর আসিফ দ্রুত বের হয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো।
গাড়ির জানালা দিয়ে রাতুল পেছনে তাকালো। আগুনের লেলিহান শিখা আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। ভেতরে কিছু লোকের চিৎকার শোনা যাচ্ছে, কিন্তু কেউ বুঝতে পারবে না কে এই আগুন লাগিয়েছে।
রাতুল ঠোঁটের কোণে একচিলতে হাসি টেনে বললো,
— “শুধু এখানেই নয়, আজ রাতের মধ্যে দেলোয়ারের সব ফ্যাক্টরির এটাই অবস্থা হবে।”
আসিফ মাথা ঝাঁকালো,
কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ২২
— “আর কাল সকালে খবরের শিরোনাম হবে— ‘দেলোয়ার খন্দকারের অবৈধ সাম্রাজ্যে ভয়াবহ আগুন!'”
রাতুল শান্ত গলায় বললো,
— “এটাই তো দরকার ছিল। কিছু আগুন শুধু আলো জ্বালানোর জন্য নয়, কিছু আগুন নরকের দরজা খুলে দেয়।”
গাড়ি দ্রুত অন্ধকার রাস্তার দিকে এগিয়ে গেলো, আর পেছনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকলো অবৈধ মদের ব্যবসার কালো অধ্যায়।