ছায়াস্পর্শ পর্ব ১৮

ছায়াস্পর্শ পর্ব ১৮
জান্নাত চৌধুরী

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই সূর্যের আলো আস্তে আস্তে নরম হয়ে আসে। সোনালী আলোয় ভরে উঠে চারপাশ, মৃদু বাতাস বইছে-
মানহা এসে ছাদের দরজায় পা রাখতেই নজরে আসে‌ ইফরাহ রেলিংয়ের ধারে দাঁড়িয়ে আনমনে কিছু একটা ভেবে চলেছে। সে ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে নিশ্চুপে পাশে দাঁড়ায়
-জীবনের হিসাব কষতে বসেছো?
শুনশান নীরবতা মাঝে মানহার কথাগুলো তে ধ্যান ভঙ্গ হয় ইফরাহর। সে ঘাড় কিছুটা ঘুরিয়ে শান্ত দৃষ্টি রাখে মানহার চোখে-

-নিয়তি যেখানে মালিকের লেখা ,সেখানে হিসাব কোষবার আমি কে?
ইফরাহর কথা শেষ হতেই উল্টো ঘুরে রেলিং এ পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়ায় মানহা। মৃদু ‌ বাতাসে ছাদের কোণে লাগানো গাছের অপরাজিতা ফুলগুলো কিছুটা দোলে ওঠে। সে
দিকে তাকিয়ে থেকেই বলে-
-বয়সের তুলনায় বেশ ম্যাচিওর তুমি!
ইফরাহ বুকে জমতে থাকা ব্যাথা টুকু গাঢ় এক দীর্ঘশ্বাসে নিংড়ে ফেলে কিছুটা মলিন হেসে বলে –
-ছোট জীবনটা যখন ছেঁড়া কাথার মতো জোড়া তালে দিতে হয়। তখন মানুষ বয়সের তুলনায় একটু বেশি বড় হয়ে ওঠে, আর একে হয়তো লোকে বলে ম্যাচিউরিটি
“বেশ গুছিয়ে কথা বলো কিন্তু তুমি!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পশ্চিম আকাশের‌ ‌ কোলে সূর্য ঢলে পড়ছে। আর মাত্র কিছু সময় পরেই মুখ লুকাবে ‌ নিকষ কালো আঁধারে।
সূর্য ডোবার আগ মুহুর্তটা বেশ লাগে। ধূসর নীল আকাশ কেমন মুহূর্তেই ‌ রং বদলে নেয়। ইফরাহ‌ ‌ এক মনে আকাশ পানে তাকিয়ে থেকে বলে-
-প্রকৃতি যাকে দেয় সর্বস্ব উজাড় করে দেয়। আর যাকে দেয় না তার বেঁচে থাকার সম্বলটুকুও ছিনিয়ে নেয়।
বুকের মাঝে মোচড় দিয়ে ওঠে মানহার, যেন মনে হচ্ছে কেউ হাতুড়ি দিয়ে পেরেক‌ ঠুকছে তার বুকে। দম বন্ধ হয়ে আসছে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। চোখ বুজে নিজেকে শান্ত রাখার ভীষণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে। এই মেয়ে কি কিছু আন্দাজ করেছে? এত কড়া কড়া কথা কে বলতে বলেছে এই মেয়েকে

-এখানে কি করছো তোমরা ?
‌ ভাবনার মাঝে চেনা পরিচিত এক কন্ঠ কানে অসতেই দ্রুত চোখ খুলেছে সামনে দাঁড়ানো মানুষটাকে দেখে যেন চোখ ভরে আসে তার। নিজেকে সামলানো দায় হয়ে উঠেছে, তবুও ‌ বেহায়া মনকে ধরে রাখার কত চেষ্টা।
আরাধ্য হাত দুটো পিছনে লুকিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে , মানহা সেদিকে কিছু সময় তাকিয়ে মাথা নিচু করে চলে যেতে নেয়। তবে তার আগেই আটকে দেয় আরাধ্য –
-কোথায় যাচ্ছিস ?
চোখ আবারো ভিজে আসছে মানহার। পাতা ফেললে হয়তো গড়িয়ে পড়বে কয়েক ফোঁটা। তবুও কোনো মতে গলায় কান্না চেপে বলে –

-তোমরা কথা আরাধ্য ভাই ..!! আমার মাথা ভীষণ ধরেছে আমি বরং আসি।
কথাটুকু শেষ করেই আর এক মুহূর্ত দাঁড়ায় না সে। দ্রুত আরাধ্যের সামনে থেকে নিজেকে আড়াল করতেই , ছুট লাগায় সেখান থেকে।
মানহা যেতেই আরাধ্য পাশে এসে দাঁড়ায় ইফরাহর। বেশ কিছু সময় তাকে দেখে তার ‌নবরুপাকে। ইফরাহর বেশ অস্বস্তি হয় লোকটা তাকে দেখছে , এটা বেশ বুঝতে পারছে। আকাশের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে কিছুটা ঘুরে এবার আরাধ্যের চোখে চোখ রাখে সে –

-কি হয়েছে , কিছু কি বলবেন ?
-একটু ঘুরে দাঁড়াবে রক্তকমলিনী ..?
শহরে গিয়েছিলাম নির্বাচনের কাজে , আব্বাজানের নমিনেশন জমা দিতে।
ফিরবার পথে দেখলাম , গার্লস স্কুলের মোরে ফুলের দোকান বসেছে। সাদা রঙের বেলির এক গাজরা নজরে এলো.. ভীষণ করে টানলো আমাকে। বার বার মনে হলো তোমার এই ঘন কালো হাটু ছুঁই ছুঁই কেশে
বেশ মানাবে। নিয়ে এসেছি , ঘুরে যাও না খানিকা লাগিয়ে দেখি কেমন মানাচ্ছে।
আরাধ্যের চোখ জোড়া ‌ আজ বেশ অদ্ভুত লাগছে ইফহারর। কিছু সময় তাকিয়ে থেকেই দ্রুত দৃষ্টি নামিয়ে নেয়। ও ‌ ‌ দৃষ্টি যেন কিছু একটা বলছে! আরাধ্য কথাগুলো গুলো আজ আর ফেলতে ইচ্ছে হলো না ইফরাহর‌। কোনো প্রকার বাক তর্ক না করেই উল্টো ঘুরে যায় সে । মাথার কাপড় ফেলে দিয়ে ছেড়ে রাখা লম্বা চুল গুলোতে হাত খোপার প্যাচ কাটে।

আরাধ্য নেশাভরা চোখ তাকিয়ে থেকে খুব যত্নে পেছনে হতে ফুলের গাজরা সামনে এনে ঘ্রাণ শুঁকে নেয়। বেলির প্রতিটি পাপড়ির সুবাস যেন হৃদয় আরো অস্থির করে তুলেছে। সে হাত বাড়িয়ে ফুল লাগিয়ে দেয় ইফরাহর খোপাতে!
আরাধ্য একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে কেশবতীথ কেশের দিকে .. কেটে যায় কিছু সময়, সূর্য এবার মুখ লুকাবে। রাতের আগমনী হবে – ইফরাহ খোঁপায় একটু হাত বুলিয়ে আবার ঘুরে তাকায় আরাধ্যের দিকে।
তবে আরাধ্য কিছুটা ভাব ধরে রেলিংয়ের গা ঘেঁষে দাড়ায়। পকেট থেকে দুটো ললিপপ বের করে একটা ছুলে মুখে দেয়। ইফরাহ খুব ধৈর্য্য নিয়েই দেখছে আরাধ্যের প্রতিটা কাজ।
এসবের মাঝেই আরাধ্য দ্বিতীয় ললিপপ ছুলে ইফরাহর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে –
ধরো ব‌উ , হাতের মুঠোয় পুরে মুখে নাও। তারপর চুক চুক করে চুষে খাও।
ইফরাহ একবার আরাধ্য হাতের দিকে তো আরেকবার তার মুখে দিকে তাকিয়ে বলে –
চুষেই কেন খেতে ?
ইফরাহ প্রশ্নে আরাধ্য মুখ থেকে ললিপপ বের করে হাতে ঘুরাতে ঘুরাতে বলে –

-সে তুমি চেটে খাও বা চুষে খাও ,খাবে তো নাকি ?
-“ছিঃ আপনার কথাগুলো যেন কেমন নেস্টিক টাইপ। আপনি দয়া করে এভাবে কথা বলবেন না!
আরাধ্য কপালে কুচকে ইফরাহর দিকে কিছুটা ঝুকে এসে বলে-
– শুধু আমার কথাই নেস্টিক না ব‌উ। আমি মানুষ টাও নেস্টিক। ওসব এখন থাক তুমি বরং
‘চ’তে চুষে দিয়ে … ‘র’ তে রস টুকু চেটে নাও।
-“ ছিঃ কি ভাষা আপনার..!!”

আরাধ্য ঠোঁটে খেলছে এক দুষ্টু হাসি। সে আরো কিছুটা ঝুঁকে আসতেই ছিটকে সরে ছাড়ায় ইফরাহ। ভীষণ রাগ লাগে আরাধ্যে , এই মেয়ে কী তাকে চরিত্র হীন ভাবে ?
ইফরাহ কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে তার আগেই আরাধ্য বলে –
আরেকবার এমন পুঁটি মাছের মতো ছিটকে সরতে দেখলে। কানের নিচে এক ঠাটিয়ে দেব বলে দিলাম মেয়ে। তখন কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের মালমা ঠুকলে তোমারি লস !
-“মারতে ইচ্ছা হলে মেরে দিন !”

এক কামড়ে পুরো ললিপপ মুখে নিয়ে আরাধ্য চিবাতে চিবাতে বলে –
-ও ব‌উ জেদ করে না সোনা ভীষণ লাগবে কিন্তু , একদম আহ আউচ বলার মতো!
পুরো কথার আগা মাথা বুঝতে না পেরেই ইফরাহ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে তাকিয়ে আরাধ্য মুখ পানে। চারপাশে মাগরিবের আযান পড়ছে। ইফরাহ শারীর আঁচল মাথায় টেনে … নেয়।
আটপৌরে লাল পাইড়ের সাদা শাড়িতে পাক্কা গিন্নি সে। আরাধ্য ঘোর চোখে তাকিয়ে থেকে ফিক করে হেসে ফেলে

কাল কুঠুরি
অন্ধকার ঘুটঘুটে ঘরে মাটিতে নেতিয়ে পড়া শরীর নিয়ে প্রাণপণে মৃত্যু কামনা করছে যুবকটি। তার থেকে কিছুটা দূরে পড়ে আছে তার হাতের কাটা আঙুলগুলো! মাটিতে পড়া রক্ত শুকিয়ে উঠেছে, অনাহারে দিনের পর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। মনে মনে মালিক কে ডেকেও মুক্তি চাইছে …
তবে,

মালিক যেন শুনছেই না। চোখে বাধা কাপড় কান্নায় ভিজে ভিজে আবারো শুকিয়ে উঠেছে। ডান হাতের এক অংশের মাংস তুলে নেওয়া হয়েছে। আহা কি যে কষ্ট !
শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছে , গলা শুকিয়ে আসে। এর মাঝেই ঘরের কোনো এক কোণা‌ থেকে ভেসে আসে কয়েকটি গলা। আঙ্গুলবিহীন বাধা হাতে যেন রক্ত সঞ্চালন একদম নেই বললেই চলে, হঠাৎ যুবকটি শুনতে পায়

-বুঝলাম না মালিক এই আদ মরাডারে এমনে ফালায়া রাখছে কেন? এই শালারে একেবারে খালাস কইরা নদীতে ফালাইয়া দিলেই তো হয়!
প্রথম কণ্ঠ থেমে যেতেই আমরা একজন বলে ওঠে-
হুসস! এসব কথা কইয়া মরণরে ডাকবার লাগছোস না কেন?
থেমে যায় দ্বিতীয় গলাটিও, যুবকটি আবারও কান্নায় ভেঙে পড়ে। ‌ খিদের তাড়নায় উবু ‌ কষ্টে কষ্টে মাটি কামড়াচ্ছে হঠাৎ , কানে ভেসে আসে বেশ মোটা, রুক্ষ ,রসহীন এক গলা –
ঘরে হয়তো কারো আগমন ঘটেছে যুবকটি নেতিয়ে পড়া শরীলেও পায়ে শব্দ ঠাহর করতে পারছে। বোঝার চেষ্টা করছে -আসলে হচ্ছেটা কি? তখনই শুনতে পায়-

-ওইটার পরবর্তী হাত থেকেও মাংস তুলে নে কিছু অংশ। বেশ কিছুদিন যাবত মালিকের কুকুরগুলো খাদ্যবিহীন রয়েছে ভীষণ ডাকছে তারা!
নিঃশ্বাস আটকে আসে যুবকটির ।
এত অত্যাচার যেন শরীর আর গলে উঠছে না তা এর থেকে যদি মরণ হত তবুও বুঝি একটু স্বস্তি মিলতো মরার আগেই এতবার মরতে হতো না তাকে। চোখ উঠছে পানি পড়ে গাল হতে বেয়ে পড়ছে।
পুরো ঘরে হাসির রোল পড়ে যায় – কেউ একজন বলে ওঠে,
-দে দেখি আমার চাকু খান দে..! খাবলাইয়া তুলি কয়েক পাউন্ড গোশত। আইজ “ হেলি আর বেলী” ভালো আহার দিতে হ‌ইব।

ভেজা বালিশ যেন সাক্ষী রয় না পাওয়ার তীব্র যন্ত্রণার। চোখের পানিতে ভেজে উঠছে সাদা কাভারের বালিশ খানা! মানহা বালিশে মুখ চিপে কাদঁছে। চার দেয়ালের গিলে নিচ্ছে নিচ্ছে তার আর্তনাদ। থেকে থেকে ফুঁপে উঠছে মেয়েটা।
-ইয়া বর ‌আপনি আমাকে ঠিক এতটাই আঘাত প্রাপ্ত করেছেন যে ,আমার বুকের ভেতর সব ধুমরেমুচরে যাচ্ছে।

আমার হৃদয় শান্ত করুণ মালিক। সুখের যখন অকাল মৃত্যু দিয়েছেন তবে কষ্ট সইতে হৃদয় পাথর বানিয়ে দেন। মৃত্যু দেন আমার নিষিদ্ধ অনুভূতির!
কান্নার মাঝেই কথাগুলো বলে থেমে যায় সে। মনে পড়ে যায় ছাদের ঘটনা।
ছাদ থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে নিয়েও বেহায়া মন যেন আটকে দেয় তাকে। আবারো খানিকটা নিজেকে দহনে পোড়াতে ছাদের দরজার কাছে এসে থেমে যায় সে। আরাধ্যের ‌ বলা প্রতিটা কথা তার কলিজায় যেন এক একটা তীরের মত করে লেগেছে। এসব ভাবতেই আবারো কেঁদে ওঠে মানহা। হেঁচকি তুলে বলে-
-শুকনো মচরে যাওয়া ফুলের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমিটাকে কেন ভালবাসলে না আরাধ্য ভাই?
অভিমানে প্রশ্ন যেন চার দেয়ালে বার খেয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় মান্না থেমে গিয়ে আবারো কেদেঁ ওঠে !

রাতের মধ্যমা ঘুমে বিভোর দুটো মানব শরীর একে অপরকে‌
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে নিজের সাথে। জানালা কাজ খোলা থাকয় জানালা ভেদ করে চাঁদের আলো এসে উজ্জ্বল করছে তাদের অবয়।‌ ছোটখাটো পাতলা নারী দেহ যেন পুরুষ বুকে ঠিক মাঝ বরাবর গুটিশুটি হয়ে বাচ্চা বিড়ালের মত উম অনুভব করছে।

হঠাৎ ইফরাহ কিছুটা নড়ে চড়ে নাক ঘষে ‌ আরাধ্যের বুকের মাঝে। ঘুমের মাঝেই তাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয় আরাধ্য। দ্বিপ্রহরের ঘন্টা পড়েছে ঘড়িতে। এর মাঝে বিকটে শব্দে বেজে ওঠে আরাধ্যে সেলফোন। মাথার কাছে বাচতে থাকায় ফোনের রিংটোনে ঘুম আলগা হতেই চোখ পিট পিট করে আরাধ্য। একহাতে ইফরাহ কি বুকে ধরে অন্য হাতে ফোন খুঁজে। তবে, বেজে বেজে কেটে যায় ফোনটি। আরাধ্য হাত সরিয়ে ইফরাহকে জড়িয়ে নিতে গেলে বেশ অবাক হয় সে।
নিজের বুকের উপর কারো অস্তিত্ব অনুভব হতে চোখ খুলে নেয়

ইফরাহ ঘুমে বিভোর – এক পা আরাধ্যের ‌ পায়ের উপর রেখে এক হাতে আরাধ্যকে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে সে। আরাধ্য কিছু সময় তাকিয়ে থেকে মুখে আঁচড়ে পড়া চুলগুলো কানের পাশের গুঁজে দেয়। এর মাঝেই আবারো বেজে উঠে ফোনের রিংটোন – ‌ মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে আরাধ্যের। সে ভ্রু যুগল কুচকে নিয়ে গাঢ় নিঃশ্বাস ছেড়ে হাত বাড়িয়ে ফোন তুলে নেয়।
চেনা পরিচিত নাম্বার আর আরাধ্য ফোন কানে নিয়ে নিশ্চুপ থেকে অপর পাশের পুরো কথাগুলো শুনে-
কথা শেষ হতেই সে ছোট করে বলে-
-আসছী

ছায়াস্পর্শ পর্ব ১৭

ইফতার গরম নিঃশ্বাস ‌ পড়ছে তার বুকে, থেকে থেকে খানিকটা নড়ে উঠছে মেয়েটা। আরাধ্যর ঠোট কেঁপে উঠছে। জিহ্ব দিয়ে শুষ্ক ঠোঁট ভিজিয়ে বলে-
-প্রিয়তমা নারী অশান্ত বুকে ঝুলতে থাকা তীব্র আগুনে তোমার গরম নিঃশ্বাস যে ,ওই দূর পাহাড়ের ফালি হতে ঝরে পড়া ঝর্নার পানি। বুকে পড়তেই কেমন শীতল অনুভব করছি..!!
কথাগুলো বলে ঠোঁট ছোঁয়া ইফরাহর কপালে। ঘুমের মধ্যে আবারো কেঁপে উঠে মেয়েটা আলতো হাতে ঘুমান্ত মেয়েটাকে সরিয়ে উঠে বসে আরাধ্য !

ছায়াস্পর্শ পর্ব ১৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here