টেরিবেল পর্ব ৬

টেরিবেল পর্ব ৬
অনুপ্রভা মেহেরিন

এডউনের প্রতি একধাপ দূর্বল হলে দুইধাপ পিছিয়ে আসে আন্দ্রিয়া।এই লোকটার কতটা তারছেড়া হলে নিজের পা নিজেই সেলাই করে?আন্দ্রিয়ার শরীর কাঁপছে বালিশ আঁকড়ে বসে আছে সে।এডউইনের এই রূপটা তার মনে প্রভাব ফেলেছে ভয়ে কেমন শীতল হচ্ছে শরীর।মেয়েটার কাঁপুনি ধীরে ধীরে বাড়ছে মাফিন আন্দ্রিয়ার পাশেই বসে ছিল আদুরে বিড়ালটা বিভিন্ন ভাবে আন্দ্রিয়ার মনোযোগ পেতে চাইছে কিন্তু আন্দ্রিয়া মেরি কোথায় যে হারিয়ে আছে কে জানে।হঠাৎ পেছন থেকে কেউ টেনে জড়িয়ে কোলে তুললো আন্দ্রিয়াকে মেয়েটা ভয় পেয়ে আকড়ে ধরে বলিষ্ঠ দেহের মানুষটিকে।এই প্যালেসে তাকে ধরার আর কে আছে?এডউইন ছাড়া।

” কুইন কি হয়েছে?মন খারাপ কেন?”
এই প্রথম এডউইন তাকে কুইন বলে ডেকেছে।আন্দ্রিয়ার সর্বাঙ্গ শিউরে উঠল অজানা অনুভূতিতে মেয়েটা অসাড় হচ্ছে।
” আমাকে কুইন বললেন কেন?
” আমার প্যালেসে আমি কিং আর আমার কুইন থাকবে না তা কি হয়?এক সময় ভেবেছিলাম কুইন আসবে না অবশ্য আমার জীবনে কোন কুইন আসবে এটা বড় আশ্চর্যের তাই না?”
” এডউইন আমাকে কুইন ডেকে ফেললেন আমি যদি চলে যাই?”
এডউই ন আন্দ্রিয়াকে নিয়েই গ্লাস দেয়ালের পর্দা সরালো মুহূর্তে আলোকিত হলো কক্ষটি।এডউইন বসলো সোফায় সেই সাথে কোলে রাখলো আন্দ্রিয়া মেরিকে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” কি বললে কুইন?আবার বলো।”
” এ..এডউইন আমাকে কুইন ডেকে ফেললেন আমি যদি চলে যাই?”
এডউইন এক ঝলক হেসে আন্দ্রিয়ার ঘাড়ে কামড় বসালো এবং চেপে ধরল আন্দ্রিয়ার পেট।
” আন্দ্রিয়া মেরি মাই কুইন তুমি ছাড়া এই প্যালেসে আর কেউ আসবে না নেভার এভার।তুমি কি বলেছ মনে নেই?আমার কাছে বন্দি হতে রাজি।তাহলে প্রস্তুত হও।”
আন্দ্রিয়া ঘুরে বসলো এডইনের বুকে হাত ঠেকিয়ে বলে,
” আমি আপনার সম্পর্কে জানতে চাই এডউইন।”
” আমার কিচ্ছু নেই আন্দ্রিয়া এই যে পশু পাখি এরাই আমার পরিবার এরাই আমার সব।”
আন্দ্রিয়া জানে এডউইন সহজে বিস্তারিত বলবে না।সে এডউইনের কাটা হাতে চুমু খেল,
” ব্যথা আছে?কি করে পারলেন নিজেই সেলাই করতে?”
” আমি এসবে অভ্যস্ত।”

আন্দ্রিয়া এডউইনের বুকে মাথা রাখলো।মুহূর্তে এডউইনের ভেতরটা অসাড় হলো মন্ত্র শক্তির বলে কেউ যেন তাকে কুপোকাত করছে।আন্দ্রিয়া মেরি তুমি কি আমার উপর জাদু-বল প্রয়োগ করছো?এই এডউইন এতটা দূর্বল কি করে হচ্ছে?এডউইন মনের কথা মনেই রাখল সে চায় না তার দূর্বলতা খুব বেশি বাইরে প্রকাশ হোক।
” কুইন মন খারাপ কেন”?
” এডউইন আপনার মা-বাবা নেই কেন?আপনি তো আমেরিকান তাহলে এখানে পড়ে আছেন কেন?”
” তুমি দেখছি পেটের কথা বের করা ছাড়া ক্ষান্ত হবে না।”
এডউইন চুমু খেল আন্দ্রিয়ার ঠোঁটে মেয়েটা মিষ্টি হেসে এডউইনের গলা জড়িয়ে ধরল।
” আমি আপনার সাথে আমাকে জুড়তে চাই তাহলে কি জানার অধিকার নেই?”
” আছে কুইন।”
” তাহলে কেন বলছেন না?”

” আমার বাবা ছিলেন আমেরিকান আর মা বাংলাদেশি।বাবা মায়ের বিয়ের ব্যাপারটা না বলি সেসব আমি কিছুই জানি না।জন্মের পর আমি আমেরিকায় থাকতাম।আমার বেড়ে ওটা ওখানেই।হঠাৎ মা আমাকে নিয়ে দেশে চলে আসেন এর কয়েক মাস পর বাবাও আসেন বাংলাদেশে আমাদের নতুন করে সব শুরু হয়।এই দেশে বাবা নিজের ব্যবসার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন অল্প সময়ে তিনি সফলতাও পান।আমার মা ছিলেন ভীষণ রাগি আর বাবা নরম মনের।মা যা বলতো বাবা তাই সই এক কথায় বউ ভক্ত।আমি… আমি ছিলাম আমাদের পরিবার ভাঙার মূল কারিগরি।”
এডউইন থেমে গেল।অতিত ভাবতে চায় না সে অতিত ভাবলেই রাতের ঘুম হারাম হয়,সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে নামহীন অশান্তির বিষ ব্যথা।আন্দ্রিয়া এডউইনকে ভরসা দিল,

” থামলেন কেন?শুনতে চাই এডউইন।”
” আমি ছিলাম ইনট্রোভার্ট।সহজেই কারো সাথেই মানিয়ে উঠতে পারতাম না।আমেরিকায় আমার যা দু’একজন বন্ধু ছিল কিন্তু এই দেশে এসে আমার কোন বন্ধু হয়নি।আমি ভিড় কিংবা অতিরিক্ত মানুষের সামনে যেতেও চাইতাম না আমার কেমন যেন লজ্জা লাগে অস্বস্তি ফিল হয় এখানে আমার কোন বন্ধু হয়নি। জানো সবাই আমার দিকে অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে থাকে।শত শত বাঙালির ভিড়ে আমি দেখতে অন্যরকম।সবাই আমার দিকে কেমন করে যেন তাকাতো একে তো মানুষ দেখলেই আমার অস্বস্তি হতো তার উপর সবার চাহনি বলাবলি আমার ইরেটেটিং ফিল হয়।জানি এসব স্বাভাবিক ব্যাপার স্যাপার কিন্তু আমার জন্য নয় আমি শতকের মাঝে একজন খুঁজি যার সাথে আমি কম্ফোটেবল ফিল করব।

স্কুল জীবন আমি বড্ড বিতৃষ্ণায় কাটিয়েছি হঠাৎ করেই বাংলা পড়ার চাপ – খুব ভালোভাবে বাংলাও বলতে পারতাম না।বাবা চাইতেন ইংলিশ মিডিয়াম কিন্তু মা বাবার কথার পালটা কাজ করে বাংলা মিডিয়ামে ভর্তি করালেন।আমার ছোট্ট মস্তিষ্কে সব কিছুই চাপ মনে হতো।শহরের বেস্ট স্কুলে পড়েছি আর তখন শহরের বেস্ট কলেজেও ভর্তি হলাম।মাঝামাঝিতে আমার একদল বন্ধু হলো তারা আমার সাথে বন্ধুত্ব করার কারণ নোটস নেওয়া।আমি পড়াশোনায় তখন এক্টিভ ছিলাম রেজাল্ট অনেক ভালো হতো ধীরে ধীরে তাদের সাথে আড্ডা দিতে শুরু করি রাতে ক্লাবে যেতাম।আর একদিন তারা আমাকে অচেনা এক জগৎ এর সন্ধান দেয় সেটা হলো মাদক।

প্রথম প্রথম দেখতাম তারা মদ খেত এতে আমার মাথা ব্যথা ছিল না বড়লোক ঘরের ছেলে মেয়ে এসব করবে অস্বাভাবিক কিছু না।তাদের পাল্লায় পড়ে আমিও খেতে শুরু করলাম পরবর্তীতে খেয়াল করলাম তারা আমার কাছ থেকে টাকা নিতে শুরু করে আমিও অন্ধ ছিলাম ভাবতাম বন্ধু আর বন্ধুদের তো টাকা দেওয়াই যায়।আমার বাবা টাকা দিতে কখনো কার্পণ্য করেননি বাবার ব্যবসা তখন ভীষণ ভালো চলতো।ওদের সাথে চলতে চলতে আমি মাদকে আসক্ত হলাম,শুধু আসক্ত নয় ভয়াবহ আসক্ত।একদিন বন্ধুদের সাথে এসব নিয়ে ঝগড়া হয় বেখেয়ালি হয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে দলের একজনকে মারি।সেই ছেলেটার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল বাঁঁচবে কি মরবে তার নিশ্চয়তা নেই।”
আন্দ্রিয়া আঁতকে উঠে খামছে ধরে এডউইনের শার্ট।

” তারপর কী হলো?”
“ওরা ছিল প্রভাবশালী কেস মামলা সব দিক থেকে আমি ফেসে গেলাম।প্রত্যেকটা বন্ধু আমার বিরুদ্ধে কথা বলেছে এবং এটাও বলেছে আমি নাকি ওদের মাদক সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি, আমি নাকি ওদের মাদকে আসক্ত করেছি, হাউ ফানি।সত্য মিথ্যার বেড়াজালে আমাকে জেলে থাকতে হয়েছে দুইদিন তারপর বাবা অনেক চেষ্টার পর আমাকে ছাড়িয়ে আনেন রিহ্যাবে পাঠিয়ে দেন।সত্য মিথ্যা কেউ শুনতেই চাইল না সবার চোখে আমি হলাম অপরাধী আমি সেই সময়টাতে আমার বাবাকে দেখছি তিনি কতটা অসহায় লজ্জা চোখে তাকাতেন আর মাকে দেখেছি তিনি কতটা অসহায় ছিলেন।অনেকটা সময় জীবন থেকে চলে গেল আমি রিহ্যাব থেকে বের হয়ে দেখা পেলাম মামার তিনি আমাকে বাড়ি নিয়ে গেলেন।বাড়ি ফিরে দেখলাম বাবা মায়ের সাজানো সংসার যে বাড়িটায় সেই বাড়িতে কেউ নেই,কেউ না।বাবা নাকি স্ট্রোক করে ঘুমের মাঝে মারা গেছেন আর মা….”

” আপনার মা কোথায় ছিল এডউইন?”
” মা নতুন বিয়ে করেছেন।”
আন্দ্রিয়া থমকে গেল ভিজে গেল তার দু’গাল।
” আপনার মা আপনার কথা ভাবলো না এডউইন?”
” বাকি কথা বলতে চাই না ভালো লাগছে না আন্দ্রিয়া।একটু কাছে আসো।”
” আমি তো কাছেই।”
এডউইন দুহাতের বন্ধনীতে আকড়ে ধরলো আন্দ্রিয়াকে।মেয়েটার ছোট্ট দেহ এডউনের বুকে বন্দি হলো।
” আমার এতটাই কাছে চাই আন্দ্রিয়া মেরি – মাই কুইন।”

পায়ের ব্যথায় পা খুড়িয়ে হাঁটছে এডউইন হাতটাও প্রচণ্ড ব্যথা করছে।শরীরের সমস্ত শক্তি ধীরে ধীরে যেন শেষ হতে চলেছে।আন্দ্রিয়া ঘুমিয়ে আছে এডউইনের বুকে, সারারাত মেয়েটা ঘুমায়নি ভোরে বের হবে বলে কতটাই না চিন্তিত ছিল অথচ আজ আর যাওয়া হলো না।এডউইন আন্দ্রিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে গালে চুমু খেল তার পাশেই শুয়ে আছে ব্রাউন কালার একটি পার্সিয়ান বিড়াল ওর নাম নাট।এডউইন নাটকে টেনে এনে কোলে তুললো।
” নাট তুমি আমার কুইনের পাশে কেন শুলে?বউয়ের কাছে যাও মাফিন তোমার বউ ভুলে গেলে?”
” মিয়াও মিয়াও।”
” কি মিয়াও?মাফিন তোমাকে পাত্তা দিচ্ছে না?লেগে থাকো পাত্তা দিতে বাধ্য হবে।”
এডউইন নাটকে ছেড়ে দিল।আন্দ্রিয়াকে রেখে চলে গেল নিজের কক্ষে।আন্দ্রিয়া এখন ঘুমে আছে যা করার এক্ষুনি করতে হবে দ্রুত পকেট থেকে ফোন নিয়ে ফোন করল তার বন্ধু অভ্রকে।আধা ঘন্টার মধ্যেই অভ্র এসে পৌঁছে গেল এডউইনের প্যালেসে।বিশাল দরজা খুলে অভ্রকে দেখেই কিঞ্চিৎ হাসলো এডউইন অভ্রের কাছ থেকে এক প্রকার ছিনিয়ে নিল ওষুধের প্যাকেট।
এডউইন আদেশ সুরে বলে,

” এবার যাও।”
” যামু কিল্লাই?তোয়ার বাইত আইলেই খালি হার করানের লাই বেদিশা হই যাও।মিয়া তুমি এক্কানা বেশি কিপটা।”
অভ্র কথার মাঝেই এডউইনকে সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করল।অভ্র নোয়াখালীর ছেলে তার মুখের নোয়াখাইল্লা কথা গুলো এডউইনের মোটেও পছন্দ না আর তাই অভ্র এডউইনকে বিরক্ত করতে প্রতি সাক্ষাৎ-এ নোয়াখাইল্লা কথায় এডউইনকে বিরক্ত করে।এদিকে আন্দ্রিয়া ঘুমিয়ে ছিল বলেই এডউইন অভ্রকে ডেকেছে কিন্তু অভ্র যে প্যালেসে ঢুকে যাবে তা ভাবতে পারেনি সে ভেবেছিল অভ্রকে আজ কিছুতেই ঢুকতে দেবে না।
” অভ্র এখান থেকে যাও।ঔষুধের প্রয়োজন ছিল পেয়েছি এখন যাও।”
” হাত বইর কাইটলা কেন্নে?””
” উফফ চুপ করবে?কান ধরে যায়।”
” ধরুক তোঁয়ার কান।তোঁয়ার আর কতকি ধরে আঁইয়ো দেখমু।জিয়ান জিগাইছি হিয়ান কন।”
” বলতে আমি ইচ্ছুক নই।”

এডউইন রাগ দেখালো।অভ্র অবশ্য এসব রাগকে মোটেও পাত্তা দেয় না।অভ্রের সাথে এডউইনের পরিচয় বাংলাদেশে আসার পর থেকেই।এডউইনের পাশে বাসায় ভাড়া থাকতো অভ্রের পরিবার শুরুতে একটা বল নিয়ে তাদের ঝগড়া শুরু হয় ঝগড়াটা এমন পর্যায়ে যায় অভ্র ইট মে*রে এডউইনের মাথা ফাটিয়ে দেয়।এরপর থেকেই এডউইন অভ্রকে এড়িয়ে চলে।অভ্রকে মোটেও পছন্দ করে না কিন্তু ছটফটে অভ্র এডউইনকে কিছুতেই ছাড়ে না।সেই ছোট বেলার সম্পর্ক এখনো টেনেটুনে চলছে আর চলবে।
” কিয়া জিগাইছি হুনো না?বইর ইয়ান কাটলা কেন্নে?”
” সে অনেক কাহিনী পরে বলব।”
” তোঁয়ার হাপ (সাপ) গুনরে হরাই রাহো আঁর কিন্তু হাপ দেখলে ডর লাগে।”
” তোমাকে কাঁমড়ে দিলে বেশি খুশি হব।ভাবছি এনাকন্ডা আনব কি বলো?”
” ওমা আঁই কিচ্ছি?খালি আঁর হিচে লাগো।দিন দিন বন মানু্‌ষ হই যাওর তোঁয়ারে লাগবো বন মাইনষের মতো ওমা তা না তোঁয়ারে লাগে সে;ক্সি।”

” শাট আপ অভ্র।”
হঠাৎ ভেসে এলো আন্দ্রিয়ার চিৎকার।এই প্যালেসে এডউইন ছাড়া কেউ থাকে না তাহলে মেয়েয়ালী চিৎকার কোথা থেকে আসছে?অভ্র চমকে যায় এডউইনকে কিছু বলার আগেই ছেলেটা দৌঁড়ে দোতলার দিকে যায়।অভ্র দাঁড়িয়ে না থেকে এডউইনের পেছনে ছুটতে শুরু করে।অভ্র কিঞ্চিৎ অবাক হয় যে ছেলে এতক্ষণ খুঁড়ে খুঁড়ে হাটছিল সেই ছেলে এখন দৌড়াচ্ছে!ইন্টারেস্টিং।
এডউইন কক্ষের দরজা খুলেই ছুটে গিয়ে আন্দ্রিয়াকে জড়িয়ে ধরল।
” কী হয়েছে কুইন?কাঁপছো কেন?”
” ও..ওটা আমার মাথায় বসে ছিল।”
এডউইন বিছানায় তাকাল একটা সুগার গ্লাইডার পিটপিট চোখে তাকিয়ে আছে।নিশ্চয়ই আন্দ্রিয়ার চিৎকারে সেও ভয় পেয়েছে।

টেরিবেল পর্ব ৫

” আন্দ্রিয়া ওটা সুগার গ্লাইডার তোমাকে কিচ্ছু করবে না।”
এডউইন আন্দ্রিয়ার কপালে চুমু খেল।মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরল বুকের মাঝে।অভ্র যেন আকাশ থেকে পড়েছে।এসব কি হচ্ছে!কি দেখছে সে!অভ্র কক্ষে প্রবেশ করল এবং এডউইনের উদ্দেশ্যে অবাক কণ্ঠে বলে,
” তোঁয়ার লাং আছে!”

টেরিবেল পর্ব ৭