টেরিবেল পর্ব ৮
অনুপ্রভা মেহেরিন
” আন্দ্রিয়া নিখোঁজ নয় বাড়ি থেকে পালিয়েছে। যে নিখোঁজ হয় তার খোঁজ পাওয়া সম্ভব কিন্তু যে সেচ্ছায় নিজেই পালিয়ে যায় তাকে কি করে পাওয়া যাবে আমাকে একটু বলবেন?”
আন্দ্রিয়ার বড় চাচা সোয়ান বেশ আফসোস নিয়ে সন্দিহান কণ্ঠে শুধালেন।তার কণ্ঠে ভেসে উঠছে হতাশা,ভয়,সংশয়।গত কয়েকটা দিন কতটা দুর্বিষহ কাটছে তা কি আর বলে বোঝানো সম্ভব?আদরের আন্দ্রিয়া জেদ দেখিয়ে কোথায় গেল আদৌ গেল নাকি বিপদে পড়ল তার উত্তর জানা নেই কারোই।আন্দ্রিয়ার বড় চাচা সোয়ান ভীষণ ব্যস্ত মানুষ ব্যবসার কাজে তিনি বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরেই থাকেন।হঠাৎ আন্দ্রিয়া নিখোঁজ সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে এসেছেন দেশে মেয়েটাকে খুঁজতে কম চেষ্টা চালাচ্ছেন না।সেই সাথে পুলিশ তো আছেই পুলিশ নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ তিনি ঢাকায় এসেছেন আন্দ্রিয়ার দলের একজন বন্ধুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে কিন্তু সেখানেও আন্দ্রিয়া নেই।সেই সুযোগে তিনি নিজ শহরে ফেরার আগে মার্ভেলাস প্রতিষ্ঠানে এসেছেন উদ্দেশ্য এখানকার যে স্যাররা আন্দ্রিয়াকে চেনেন তাদের সাথে আলাপ করা।
এবাকাসের শিক্ষক মার্টিনের সাথে আন্দ্রিয়ার বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুধু আন্দ্রিয়া নয় তিনি সবাইকেই সমান গুরুত্ব এবং বন্ধুত্বের চোখে দেখেন।মার্টিন কফিতে চুমুক দিলেন এবং চিন্তিত হয়ে বলেন,
“আন্দ্রিয়ার মিসিং নিয়ে আপনি শুরু থেকে একবার বলুন।দেখা যাক আমরা এর কোন সমাধান পাই কি না।”
সোয়ান দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন এবং বলতে শুরু করেন,
” আন্দ্রিয়া আমাদের জানায় সে বন্ধুদের সাথে ব্যাংকক যাবে।যেহেতু তার পাসপোর্ট করাই আছে তাই তার সাহস এই ব্যাপারে দ্বিগুণ বেড়ে গেল।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” ওর পাসপোর্ট করার কারণ?”
” কয়েকমাস আগেই আমরা স্বপরিবার দেশের বাইরে গিয়েছিলাম আমার বড় ছেলের বিয়েতে।সে দেশের বাইরে একজন কানাডিয়ান মেয়েকে বিয়ে করেছে।”
” ওকে।তারপর?”
“আন্দ্রিয়া অনেক জোরাজোরি করলেও আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউ তাকে ছাড়তে রাজি হয়নি।হঠাৎ সেদিন সকালে আমার ওয়াইফ মানে আন্দ্রিয়ার বড় চাচিমনি ওর টেবিলে একটা চিঠি পায়।সেখানে স্পষ্ট বিবৃৃতিতে লেখা সে সেচ্ছায় বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছে কোথায় যাচ্ছে জানানোর প্রয়োজনবোধ করছে না সময় হলে আমরা জানতে পারব।”
পেইন্টিং শিক্ষক গ্রেস বিচলিত হলেন।এইটুকুনি মেয়ের এতটা দুঃসাহস!পরিবারের বাইরে এতদূর যাওয়ার সাহস করে!নিশ্চয়ই বন্ধুরা মেয়েটার মাথা বিগড়ে দিয়েছে তাছাড়া আন্দ্রিয়া যে ছটফটে মেয়ে এই সম্পর্কে তার বাকি দুই শিক্ষক মার্টিন ও ডেরিক আগেই বলেছে।তবে মেয়েটা যে ঘাড় ত্যাড়া তা ইতোমধ্যে গ্রেস ভালো করেই বুঝতে পারছে।এইটুকুনি মেয়ে কি না পুরো পরিবার শিক্ষক পুলিশ সবাইকে চিন্তায় ফেলে বাড়ি ছাড়লো!গ্রেস নিজের ভাবনা কথার মাধ্যমে প্রকাশ করলেন না তিনি চুপচাপ তাকিয়ে রইলেন।ভায়োলিনের শিক্ষক ডেরিক চিন্তিত কণ্ঠে বলেন,
” ওর বন্ধুদের বাড়িতে যান একা যাবেন না পুলিশ নিয়ে যাবেন।”
“গিয়েছিলাম।ওর বন্ধুরা ব্যাংকক যাওয়ার কথা থাকলেও ওরা কেউ যায়নি।মূলত দলের একজন নাকি এক্সিডেন্ট করেছে আর তাই তাদের এবারের ট্যুর বাতিল।”
” তাহলে আন্দ্রিয়া কোথায়?”
” একই প্রশ্ন তো আমারো।”
” ব্যাপারটা এমনো তো হতে পারে আন্দ্রিয়া মিথ্যা বলেই বাড়ি ছেড়েছে।”
” সেসব আমি জানি না।আপাতত আমি আর কোন রাস্তাই খুঁজে পাচ্ছি না।”
সবার মাঝে ছেঁয়ে গেল নিরবতা।একবার ভাবছে আন্দ্রিয়া হয়তো বিপদে পড়েছে আবার মনে হচ্ছে মেয়েটা সেচ্ছায় গা ঢাকা দিয়েছে।যদি কিডন্যাপ হতো তবে নিশ্চয়ই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হতো।কি হচ্ছে কি হবে কেউ বুঝতে পারছে না।
নিস্তব্ধ রাত।সারাটা প্যালেস এখন নিরবতায় ঘিরে আছে।এডউইনের প্রিয় পশু পাখিরা ঘুমে বিভোর।এউইন একটু আগে বাইরে পাহারা দেওয়া শেফার্ড কুকুরগুলোকে খাবার দিয়ে এসেছে।এরা বর্তমানে পুরো প্যালেসের বাইরে পাহারায় নিয়োজিত বাইরে কোন অপরিচত লোক এলেই তার উপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে সেই সাথে কামড়ে ছিড়ে খাওয়ার জন্য তারা সর্বদা প্রস্তুত।এই যে এত বাড়তি নিরাপত্তা কার জন্য?
আন্দ্রিয়া মেরি যে এই প্যালেসে আছে তা তো আততায়ীরা জানেই একমাত্র আন্দ্রিয়ার নিরাপত্তায় এডউইনের এত আয়োজন।এডউইন পা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বসল তার ডেক্সটপে আজ রাতে জরুরি আলোচনা আছে জনাব রনের সহিত।এডউইনের সাথে ভিডিও কলে আলাপ চলছে জনাব রনের তিনি তার সমস্যার কথা এডউইনকে জানাচ্ছেন এডউইন বেশ মনযোগ সহকারে সেসব কথা শুনছে।কথার মাঝেই এডউইন বলল,
” রন হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট?
” আই ওয়ান্ট টু কিল হিম।”
কথার মাঝেই উত্তেজিত হয়ে পড়লেন জনাব রন।তাতে অবশ্য এডউইন বাঁকা হাসলো।রাগের মাথায় খু *ন করতে চাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় কিন্তু খু *ন করে কি মজা?এডউইন ধুপ করে নিভে গেল।চোখে মুখে ফুটিয়ে তুললো হিংস্রতা।
” মিস্টার রন আমি কিছু বলতে চাই।বলবো?”
” অবশ্যই এডউইন,আমি শুনতে চাই তোমার কথা।”
” প্রতারকদের খু *ন করলে কি লাভ?মরে যাবে কাহিনী শেষ।এতে কি আনন্দ হবে?আপনি যদি দ্বিগুণ আনন্দ পেতে চান তবে আমি বলব আপনি সেই প্রতারকটাকে পঙ্গু করার ব্যবস্থা করুন।এমন ভাবে পঙ্গু করবেন যেন নিজের স্থানে পুনরায় ফিরে আসতে না পারে।চোখ গেলে দিতে পারেন, না থাক এতটা কষ্ট করা লাগবে না চোখ বরং উপড়েই ফেলা হবে।কিংবা একটা হাত একটা পা কাটতে পারেন।আমি তো নরমাল কিছু উদাহরণ দিলাম আপনার সিদ্ধান্ত জানানোর পর কিছু এক্সট্রা বুদ্ধির কথাও বলতে পারি।প্রতারকটাকে সবচেয়ে বড় আঘাত দেওয়া যাবে তার কাছের মানুষের মাধ্যমে,তাই না মিস্টার রন?”
জনাব রন মধ্য বয়স্ক লোক তিনি এডউইনকে তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্য পছন্দ করেন।যে কোন সমস্যা কিংবা জরুরি যুক্তি পরামর্শে তারা এক সঙ্গেই কাজ করেন।রন কিছুটা সময় চুপ রইলেন হঠাৎ কিঞ্চিৎ হেসে মাথা নেড়ে বলেন,
” আই লাইক ইউ এডউইন উইলসন।আমরা তাহলে আরেকটা ব্লাডি প্রজেক্ট হাতে তুলতে যাচ্ছি।”
” ইয়েস।আপনাকে আমি সাজেস্ট করব রাশিয়ান কিছু গ্যাংস্টারের মাধ্যমে কাজটা করান।”
” তারা বিশ্বস্ত?”
” ইয়েস।”
” তুমি চলে এসো এডউইন আমরা বরং খুশি মনে একসাথে ওয়াইন হাতে চিয়ার্স করব।”
এডউইন ঠোঁট উলটে বলল,
” সরি মিস্টার রন তা হচ্ছে না।জরুরি কাজে বাংলাদেশে থাকতে হবে।আমি বরং আপনার বাকি কাজটা নিজ দায়িত্বে করে দেব।”
” অবশ্যই কাজ শেষ হলে তোমার জন্য স্পেশাল গিফট….”
” এডউইন!”
রনের কথা শেষ হওয়ার আগেই আন্দ্রিয়ার ডাক পড়ল।মুহূর্তে ঘাবড়ে গেল এডউইন আন্দ্রিয়া তার পেছনেই দাঁড়িয়ে তবে কি এতক্ষণ এসব কথা শুনেছে?সর্বনাশ দ্রুত হাতে কল কাটল এডউইন হুট করেই দেখা দিল তার কপালে সাদৃশ্য হওয়া চিকন ঘাম।এডউইন কাঁপছে আন্দ্রিয়ার মনে কোন সন্দেহ বেঁধে দেওয়া চলবে না।এডউইন ঢোক গিলে পেছনে তাকাল,
” কুইন ঘুমাওনি?”
” কার সাথে কথা বলছিলেন?এখানে না নেটওয়ার্ক নেই?”
” ক..কই আমি তো লেকচার শুনছিলাম।”
” কার লেকচার?”
এডউইন কোন মতে বলে,
” একজন মোটিভেশনাল স্পিকারের লেকচার শুনছিলাম।শুনবে কুইন?”
এডউইন আন্দ্রিয়ার সন্দেহ দূর করতে চাইল।আন্দ্রিয়া কোন মতে চোখ কচলে এগিয়ে এলো এডউইনের পাশে।
” এত লেকচার ফেকচার আমার ভালোলাগে না এডউইন।”
এডউইন হাত টেনে আন্দ্রিয়াকে কোলে বসালো।আজ যে ভুলটা করেছে এমন ভুল আর গ্রহণযোগ্য নয় আরো আরো সতর্ক থাকতে হবে।কেন যে দরজা বন্ধ করল না উফফ এডউইন কোন মতে ঢোক গিলে।
” তুমি তো ঘুমিয়েছিলে।”
” হুহ।আবার উঠে গেলাম।ভালো লাগছে না ঘুম আসছে না এডউইন।”
আন্দ্রিয়া এডউইনের গলা জড়িয়ে কাঁধে মাথা রাখল।এডউইন সেই সুযোগে পরপর বেশ কয়েকবার আন্দ্রিয়ার গালে চুমু খেল।এডউইনের বুকের পাশে দুটো শার্টের বোতাম খোলা ক্রস লকেটটা এলিয়ে আছে সেই সাথে কস্তুরীর সুঘ্রাণ আন্দ্রিয়াকে মাতাল করে তুলে।এডউইন তো তার তাই কোন বাঁধা ছাড়াই এডউইনের গলায় চুমু খেল আন্দ্রিয়া।
হঠাৎ আন্দ্রিয়ার চোখে পড়ল বিছানার পাশে থাকা একটি খরগোশের পানে।ধবধবে সাদা খরগোশটা কুটিকুটি দাঁত দিয়ে গাজর খাচ্ছে তা দেখে আন্দ্রিয়ার ভীষণ ভালো লাগলো।মুহূর্তে ধরা দিল তার হাস্যোজ্জ্বল চাহনি।মনের ভুলেই এডউইনের কাছে আহ্লাদী কণ্ঠে বলে,
” জানেনা আমার এক্সের দুইটা র্যাবিট ছিল।এত কিউট এত কিউট উফফ… ”
আন্দ্রিয়া কথা শেষ করার আগেই এডউইন তার গাল চেপে ধরল।রাগে থরথরে কেঁপে উঠল তার সমস্ত শরীর রক্তিম চাহনি আর তেজিয়ান কণ্ঠ যা এক মুহূর্তে আন্দ্রিয়াকে বিবশ করে তুলল।
” কি বললে তুমি?কার কথা বললে?”
অতর্কিত হামলায় আন্দ্রিয়া হিসহিসিয়ে উঠল,
” উহ এড..এডউইন আমার লা…”
” হিসস কুইন তুমি এসব আমায় বলবে না।তুমি আমার জানো না?অতীত ভুলে যাও।প্লিজ এমন ভুল আর করবে না ঠিক আছে?”
এডউইন গালটা ছেড়ে দিল।আন্দ্রিয়া ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে প্রশ্ন করল,
” বলেছি তো কি হয়েছে?”
” আমি ছাড়া কারো কথা বলবে না।কারো কথা ভাববে না।তোমার বর্তমান কে?এডউইন।ভবিষ্যত কে?এডউইন।কি বলেছি মাথায় থাকবে?”
আতঙ্কের মাঝেও আন্দ্রিয়ার হাসি পেল এডউইন কি জেলাস ফিল করছে?আন্দ্রিয়া কোন মতে হাসি থামিয়ে বলে,
” আমাকে ছাড়ুন আমি ঘুমাব।”
” চলো ঘুমাই।”
এডউইন আন্দ্রিয়াকে কোলে তুলে নিজের বিছানায় শুইয়ে দিল।কক্ষের বাতিটা নিভিয়ে দিতেই আন্দ্রিয়া চমকে গেল,
” এডউইন আমাদের একসাথে থাকা ঠিক হবে না।অন্তত এই রাতে না।”
এডউইন এগিয়ে এসে আন্দ্রিয়ার পাশে শুয়ে পড়ল।আন্দ্রিয়াকে টেনে আনলো সন্নিকটে,
” কেন? ভয় পাও?”
” এডউইন আমরা যদি কোন ভুল করে ফেলি?”
” এখানে তুমি আমার আমি তোমার।এখানে কোন সমাজ নেই আর আমার কোন মাথা ব্যথা নেই কে কি বললো।ভুল করলেও তুমি আমারি আন্দ্রিয়া মেরি মাই কুইন।”
এডউইন আন্দ্রিয়ার সামনে কখনোই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।মেয়েটার ফোলা গাল দুটোতে হাত বুলিয়ে আন্দ্রিয়াকে ভাবার সুযোগ দিল।আন্দ্রিয়ার প্রত্যুত্তর না পেয়ে সে বাঁকা হেসে আন্দ্রিয়ার ঠোঁট জোড়া নিজের আয়ত্তে নিল।আবছা আলোয় আন্দ্রিয়া নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলল এডউইনের আড়ালে।বাইরে থেকে থেকে কুকুরের ডাক আসছে সেই সাথে ভেসে উঠছে আন্দ্রিয়ার ভারী শ্বাস প্রশ্বাসের অনুকার। এডউইন আন্দ্রিয়ার ঠোঁট ছেড়ে গলায় মুখ ডুবাল দাঁতের ঘর্ষণে রক্তিম হয়ে উঠল মেয়েটার ফর্সা চামড়া।আন্দ্রিয়ার নিকট কোন বাঁধা না পেয়ে এডউইন ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠল।নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে উঠে বসে নিজের শার্টের বোতাম খুলতে শুরু করল এডউইন অপরদিকে লজ্জায় রক্তিম হওয়া আন্দ্রিয়ার গালে বেশ কয়েকবার চুমু খেতেও ভুললো না।
” কুইন?”
” হুহ।”
“লাভ ইউ।”
আন্দ্রিয়া প্রত্যুত্তর করার আগেই এডউইন তার জামা টেনে ধরল।আন্দ্রিয়া ঠিকি ছিল হঠাৎ মেয়েটা এডউইনকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত সরে গেল।আন্দ্রিয়ার এমন কাণ্ডে রেগেমেগে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ন্যায় এডউইনের রাগ তরতরিয়ে বাড়ল।তার বলিষ্ঠ দেহ টেনে আন্দ্রিয়াকে ফেললো বিছানায়।এডউইন নিজের মাঝে নেই তার শরীরের ক্ষুধা জেগে উঠেছে আজ রাত ভুল কিংবা অন্যায় যাই হোক কিছু একটা হয়েই যাবে।আন্দ্রিয়ার দু’হাত যখন এডউইন নিজের হাতে বন্দি করল তখনি হুহু শব্দে কেঁদে উঠল আন্দ্রিয়া।
টেরিবেল পর্ব ৭
কান্নার শব্দে এডউইনের মাঝে জেগে ওঠা শারিরীক হিংস্রতা কোথায় যেন লুপ্ত হলো।কোন মতে গায়ে জামা টেনে নিজেকে আড়াল করল আন্দ্রিয়া অপরদিকে এডউইন ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে,
” কুইন কি হয়েছে?ব্যথা লেগেছে?কি হলো কথা বলো?”
আন্দ্রিয়া জবাব দিতে পারে না।তার আগেই তার হেঁচকি উঠে যায়।এডউইন পুনরায় আন্দ্রিয়ার গাল নিজের আঁজলায় পুরে ব্যস্ত কণ্ঠে বলে,
” ইউ ডোন্ট ফিল কমফোটেবল?”