ঠকেছি পর্ব ৫

ঠকেছি পর্ব ৫
সুমাইয়া আফরিন ঐশী

আবাসিক হোটেলে আজ আমার দু’দিন চলছে। এ ক’দিন থানার ভিন্ন ভিন্ন প্রমাণ, কাগজপত্রে ঝামেলা গুছাতে গিয়ে ব্যাপক ছোটাছুটি করতে হয়েছে আমাকে। অসুস্থ শরীর নিয়ে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি আমি। ভরা পেট নিয়ে নড়াচড়া করতেও আজকাল কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমার। তবুও আমি মনের জোরে লড়ছি। আজ দুপুরে খেয়ে একটু শুয়েছিলাম। হঠাৎ মাহিমের নাম্বার থেকে কল। ফোনকলের শব্দ পেয়ে, পাশ থেকে মা জিজ্ঞেস করলো,
“কে কল করেছে, তনু?”
আমি স্বাভাবিক ভাবেই বললাম, “মাহিম।”
মা ওর নাম শুনতেই আত/ঙ্কে উঠলো। ভয়ার্ত গলায় আমায় বললো,
“কল ধরিস না, তনু, তুই ওর কল ধরিস না! কল কে/টে দে, কল কে/টে দে! তুই এক্ষুনি ওর নাম্বারটা ব্লক করে দে।”

কিন্তু, আমি মায়ের বারণ শুনলাম না। কিছু একটা ভেবে বাঁকা হাসলাম। মা ওর নাম শুনতে পেয়েই, উনার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। কিন্তু, আমি বেশ স্বাভাবিকই রয়েছি। যেন আমি জানতাম এমনটাই হওয়ার। এরপর কল রিসিভ করলে কি হতে পারে তাও আঁচ করে নিয়েছি। মা আমার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে। আমার ভাবসাব দেখে তার চোখে বিস্ময়, মুখে কোথাও শব্দ নেই। আমি আবারও হাসলাম। এরপর নিজেকে যথাযথ সামলিয়ে ফোন রিসিভ করলাম। রিসিভ করার আগে অবশ্য কল রেকর্ডিং চালু করে নিয়েছি। আমি আর আগপাছ না ভেবে গম্ভীর কণ্ঠে শুধালাম,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“হ্যালো।”
আচমকা ওপাশ থেকে মাহিমের বা/জখাঁই কণ্ঠে বি শ্রী গালিগালাজ ভেসে আসলো,
“কিরে মা গী, তুই না-কি লাং নিয়ে হোটেলে উঠেছিস? আবার আমার নামে মামলাও করেছিস? ন টী /র বাচ্চা, তোর এতো সাহস কীভাবে হলো?
“মুখ সামলে কথা বল, মাহিম। তুই আমার সাহসের এখনো কিছুই দেখিসনি।”
“তোর সাহস দেখার আগেই আমি তোকে দুনিয়া থেকে বিদায় করবো, তনয়া! ভালোয় ভালোয় কথা বলছিলাম আমি, তুই যখন শুনিসনি, এইবার তোর তেজ আমি ছুটাবো দেখিস, মা গী।বে /শ্যাগিরী শুরু করছিস হোটেলে বসে? বে/শ্যা/গিরী?

এই বে শ্যা, তুই তোর কোন বাপের পরামর্শে আমার নামে মামলা করেছিস? তোর বড়বড় বাপেরা মিলেও মাহিম চৌধুরীর একগোছা চুলও ছিঁড়তে পারবে না। তোর টাকার লোভ হয়েছে, আমার সম্পত্তির উপর লোভ হয়েছে, তাই না? তোকে আমি জাস্ট খু ন করে ফেলবো, খু ন করে দিবো!”
আমি নিঃশব্দে নিভৃতে ওর কল কেটে দিলাম। ওর বি শ্রী কথাবার্তা ও হু/মকি মূলক কথাবার্তার ভয়েস রেকর্ডটাও সেই সঙ্গে মোবাইলে সেভ করে ফেললাম। এই জিনিস আমার মামলাটাকে আরো একটু শক্তপোক্ত করতে সাহায্য করবে। আমি ততক্ষণাৎ মাহিমের নাম্বারটা চিরতরের জন্য ব্লক লিস্টে যুক্ত করলাম। ওর বি শ্রী গা/লিগা/লাজ গুলো এখনো আমার কানে বাজছে, সেই সঙ্গে শরীরটাও ঘিনঘিন করছে ঘৃণায়। ভাবতেই আজ নিজের প্রতি করুণা হয়, এরকম একটা অ/সভ্য, জানো/য়ারকে এককালে ভালোবাসছিলাম আমি। ছি!

আজ আমাকে ওর গা/লি/গা/লাজ গুলোও হজম করতে হলো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভেবে। এই যে, আমি পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়েও দেখায়নি। পাছে, আমার প্রমাণটা যদি নড়বড়ে হয়ে যায়। আমি জানতাম, থানা থেকে নোটিশ পাঠালে কিংবা মাহিমের কানে মামলার খবর পৌঁছালে সে আমাকে কল করবে। হলোও তাই। আমার লক্ষ্য এবার সাকসেস! তবুও, আমি কিছুক্ষণ থমথমে অবস্থায় বসে ছিলাম। আমার নির্বিকার ভঙ্গির ভাঁটা পড়লো মায়ের ডাকে,
“তনু? ও তনু? কি বললোরে, মাহিম?”

আমি ততক্ষণাৎ নিজেকে সামলে নিয়ে মা’কে এড়িয়ে গেলাম। মা জানার জন্য এখনো উসখুস করছে, কিন্তু আমি কীভাবে বলবো মা’কে, আমার প্রেমিক পুরুষ আমাকে মা গী বলেছে। আমরা যে প্রেমিকা, প্রেমিকার অশোভন আচার-আচরণ সচারাচর প্রকাশ করতে পারি না কাউকে! প্রেমেরা হারিয়ে সম্পর্ক যখন বিষাদে ভরে উঠে, তখন চুপিচুপি কতো কথা আমরা গিলে ফে লি লোকের ভয়ে। আমিও তার বিপরীতে নই। মায়ের থেকে নিজেকে লুকলাম কৌশলে। আমি হাতড়াতে থাকলাম মূল জায়গাতে।
মাহিমের বলা কল রেকর্ড ও সেদিনের শালিসিতে বসা সকল কথোপকথন আমি বুদ্ধি করে নিজের ফোনে লুকিয়ে রেকর্ড করে ছিলাম। সেগুলো মিলিয়ে আজ আমি থানার দারোগাকে পাঠিয়ে দিলাম। সঙ্গে দিলাম সামান্য দশ হাজার টাকা!

থানার দারোগাটা খুব ভালো। ঘু/ষ খায় না সে। তবে, তবে উপহার হিসেবে টাকাপয়সা সে নেয়। বড় বাবুদের কাজের একটা সম্মানি আছে না! এটা সামান্য চা-নাস্তার টাকা!
থানার দারোগা বাবুদের হাতে বেশ প্রমাণ রয়েছে এখন। রিধান ভাইও মামলার পিছনে বেশ শ্রম দিচ্ছে। একে একে দুই মিলিয়ে দারোগা সাহেব কথা দিয়েছে, রাতে তার ফোর্স নিয়ে এরেস্ট করবে মাহিমকে। দরদ দেখিয়ে আমাকেও বলেছে,
“আপনি চিন্তা করবেন না, ম্যাডাম। হারা/মজাদা/টাকে আমরা এইবার একটা উচিত শিক্ষাই দিবো! আর হ্যাঁ, আপনি সাবধানে থাকবেন।”
আমিও সাবধানেই থাকলাম। দারোগা সাহেবও তার কথা রেখেছে। মাহিমকে সেদিনই পুলিশের ফোর্স এরেস্ট করেছে।

জেলখানাতে মাহিমের বেশ কিছুদিন কেটেছে। থানার সকল ফর্মালিটি পূরণ করে আমাদের মামলা উঠেছে এবার আদালতে। জজ সাহেব বিচারকের আসনে বসে আছেন। আমাদের দুপক্ষের দু’জন উকিল তর্ক-বিতর্ক করছেন। মাহিমকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে আজ। তার পক্ষে বড়সড় লোকজন আছেন। এলাকার চেয়ারম্যান সাহেব এসেছে, আমার স/তীনও এসেছে, তার সঙ্গে আরো অনেকজন। তারা আমার দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন।
এদিকে আমার পক্ষে কেবল একজন উকিল, আমি, আমার মা ও রিধান ভাই।
আমাদের উকিলটা বেশ কাজের। উনি রিধান ভাইয়ের বন্ধু, জায়ান আহমেদ। রিধান ভাইয়ের কথাতেই আমাদের হয়ে আইনি ভাবে লড়ছে সে। আদালতের এক পর্যায়ে সবদিক দিয়েই প্রমাণিত হতে যাচ্ছিলো, মাহিম অপরাধী। তাকে জজ সাহেব ও উকিল সাহেব অনেক প্রশ্ন করলো। প্রথম প্রথম মাহিম তালবাহানা করলেও পরবর্তী রায়ের দিন তার সাফ সাফ কথা,

“ইওর অনার, আমি তনয়ার সঙ্গে সংসার করতে ইচ্ছুক নই। আমি তার দেনাপাওনা পরিষদ করে তাকে ডিভোর্স দিতে চাই। এরপরও আদালত আমাকে যে শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত।”
“কেন সংসার করতে চান না? উনি আপনার অনাগত সন্তানের মা। আপনার সন্তানের ভবিষ্যত কি?”
“আমার সন্তানের ভবিষ্যত আমি। তার ভরণপোষণের দায়িত্বও আমার, কিন্তু তার মায়ের দেনাপাওনা পরিষদ করার পর তার কি হবে তার দায়ভার আমার নয়। তাছাড়া, এ বিয়েটা আমি আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই করেছিলাম কিন্তু এখন আমাদের ভণিভণার মিল নেই, আমরা আলাদা হতে চাই।”

এরমধ্যে আমি বাঁধ সেধে বললাম, “মহামান্য আদালত, মাহিম মিথ্যে বলছে। উনি উনার প্রথম স্ত্রীর অগোচরে আমার সঙ্গে চিটিং করে আমাকে বিয়ে করেছে। উনি আমার আর আমার অনাগত সন্তানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।”
আমার কথার পিঠে স/তীন বললো, “ইওর অনার, আমি মাহিমের প্রথম স্ত্রী, নুহা বলছি। আমার স্বামী আমার অনুমতি নিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। উনার দ্বিতীয় বিয়েতে আমার কোনো আপত্তি ছিলো না।”
আমি হতবাক হয়ে রইলাম কিঞ্চিৎক্ষণ। একজন নারী হয়েও উনি অপরাধকে চাপা দিয়ে স্বামীর পক্ষ নিয়ে আদালতকে মিথ্যে বললো? এরমধ্যে, আমার পক্ষের উকিল ব্যঙ্গ করে উনাকে বললেন,
“আপনি এতোই উদার মনের মানুষ, মিস নুহা? আপনার স্বামী আপনার কাছে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য অনুমতি চাইলো, আর আপনি আপনার জন্য স/তীন আনতে অনুমতি দিয়ে দিলেন?”
বাদীপক্ষের উকিল জায়ান আহমেদকে বাঁধা দিয়ে বললো,

“অবজেকশন ইওর অনার, এটা মাহিম ও নুহার ব্যক্তিগত ব্যাপার। জায়ান আহমেদ তাদের ব্যক্তিগত বিষয় হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে লোক সম্মুখে তাদের হেনস্থা করতে চাইছে।”
ওদের দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হতে যাচ্ছিলো, আচমকা জজ সাহেব তার হাতুড়িতে গোটা কয়েক শব্দ করে বললেন,
“সাইলেন্ট প্লিজ, সাইলেন্ট প্লিজ!”
আদালত ঠান্ডা হলো। আবারও অনুমতি নিয়ে জায়ান আহমেদ আদালতকে প্রমাণ দেখিয়ে আমার সতীনকে জিজ্ঞেস করলেন,

“মিস নুহা, সেদিন চেয়ারম্যানের শালিসির বৈঠকে আপনি তো বলছিলেন যে, আপনি আপনার স/তীন সম্পর্কে অবগত নন। আমার কাছে সেটার যথাযথ প্রমাণও রয়েছে।”
নুহা বেশ চমকালো। এরপর আবারও অপরাধীর মতো আরেক মিথ্যা শুরু করে দিলো খুব কৌশলে,
“প্রথমেই আমি আদালতের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, হ্যাঁ আমি সেদিন নিজেদের মানসম্মান বাঁচাতে আমি আমার স/তীনকে অস্বীকার করেছি। কিন্তু, আমি আর আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলতে চাই না।”

আমি অবাক হয়ে সেদিন কেবল অনুভব করেছি, একজন নারীই একজন নারীর বড় শত্রু। আজ যদি নুহা তার স্বামীর পক্ষ না নিয়ে, অন্যায়ের পক্ষ নিতো, সমাজের একজন অপরাধী কঠিন শাস্তি পেতো। আদালতের কাছে চিহ্নিত হতো একজন ঠকবাজ, প্রতারক! কিন্তু, হায় আফসোস! আজও আমাদের সমাজের নারী গুলো স্বামীতে অন্ধভক্ত। নিজের সংসার রক্ষার্থে আজও নারীরা, তার স্বামীর হাজারটা অপরাধ লুকোয়। একজন অপরাধীকে বুক ফুলিয়ে বাঁচিয়ে দেয়। এতে যদি অন্যের জানটাও চলে যায় সেদিকে ফিরেও তাকায় না, তাকাতেও চায় না। আমি নীরবে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। পাশ থেকে মা আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে।

এরপর আরো মামলা পরিষ্কার হলো। মাহিম আমাকে রাখবে না, আমিও তার সঙ্গে থাকবো না, পরবর্তীতে আইনি ভাবে সিদ্ধান্ত হলো আমাদের বিচ্ছেদ। মাহিম আমার দেনমোহর ও দেনাপাওনা পরিষদ করে দিবেন। কিন্তু বাচ্চা, বাচ্চাটার প্রসঙ্গে এসে আদালত আবারও মাহিমকে প্রশ্ন করলো,
“মাহিম চৌধুরী, তনয়ার গর্ভে যে বাচ্চা রয়েছে সেটা তো আপনারই। বাবা হিসেবে সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্বও আপনার। কিন্তু, এই বাচ্চাটা যে আপনার কাছে নিরাপদ থাকবে এর নিশ্চয়তা কি?”
মাহিম বেশ অনেকক্ষণ পর বললো, “দরকার হলে আইনি ভাবে তার নিশ্চয়তাও আমি দিবো।”
কিন্তু এতে আবারও বাঁধা দিলাম আমি। আদালতের কাছে দাবি তুলেছি,
“আমার বাচ্চা আমার কাছেই থাকবে। আমার বাচ্চা আমি সারাজীবন নিজের কাছে রাখবো। তাকে আমি কাউকে দিবো না। আমি যেখানে থাকবো আমার বাচ্চাও সেখানে থাকবে।”

কিন্তু, আইনিভাবে একজন বাচ্চার অধিকার প্রথম তার বাবার দিকে এগিয়ে। নিদিষ্ট একটা সময়ের পর, বাবা যদি নিজের সন্তান নিজের কাছে রাখার দাবি আদালতে তোলে, সে ক্ষেত্রে মায়েরা চাইলেও বাচ্চা নিজেদের কাছে রাখতে পারে না। কিন্তু, আমাদের ক্ষেত্রে সেরকমটা হলো না। মাহিম এই বাচ্চা নিজের কাছে রাখার অনিহা দেখালো। আমার সতীনও অন্যের বোঝা নিজের সংসারে নিতে রাজি নন। অগত্যা আমার দাবিই আদালত লিখিতভাবে নিলেন। সবশেষে আমাদের ডিভোর্স লেটারও রেডি হলো, স্বাক্ষরও হলো। গল্পের আসল লেখিকা,সুমাইয়া আফরিন ঐশী। মাহিম আজ লাস্ট শুনানিতে আমার দেনমোহরসহ ৩ মাসের ভরণপোষণের খরচ জমা দিলো। এছাড়াও, বাচ্চা হওয়ার আগ অবধি আমার চিকিৎসা ও বরণ পোষণের যাবতীয় খরচও তার। এছাড়াও, বাচ্চা আমার কাছে থাকলেও সে তার পিতার সম্পত্তির উপর অধিকার রাখবেন। সবশেষে নানাবিধ অপরাধে মাহিমকে আদালত দিলো ছয় মাসের কারাদ/ণ্ড ও জরিমানা। যদিও ওর শাস্তি আরো বেশি হওয়া দরকার ছিল, কিন্তু ক্ষমতা আর টাকার ফাঁকফোকর থেকে আদালত তাকে অল্পতেই বাঁচিয়ে নিলো। জায়ান আহমেদ আর কিছু করতে চেয়েও পারলো না। আদালতে এরপর আর তার হাত নেই। আজ আমি এতটুকুই সন্তুষ্ট থাকলাম এই ভেবে,

“মানুষের আদালতে ফাঁকফোকর থাকে। কিন্তু আল্লাহর আদালতে কোনো ফাঁকফোকর নেই—সেখানে প্রতিটি কাজের সঠিক বিচার হয়। তুমি ঠিক ততটুকুই পাবে, যতটুকু তোমার প্রাপ্য; হোক তা সুখের পুরস্কার, কিংবা শাস্তির কঠিন বোঝা।”
সেই বিশ্বাস রেখেই আমি দু-হাত উঁচিয়ে একজন অপরাধীকে আল্লাহর নিকট সঁপে দিবো। আমার প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস ওর দিকে অভিশা/প হয়ে ফিরবে! হ্যা হ্যা, ফিরবেই। আমি হাসলাম তৃপ্তিতে। ভাগ্যিস, আমাদের একজন রব আছেন!

ঠকেছি পর্ব ৪

অবশেষে, আমি আমার সংসারটা লিখিতভাবেই হারালাম। বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের তালাক কার্যকর হবে। আমি সেই সময়টার সবুরও করলাম না, সেই কবেই মন থেকেই একজন প্রতা/রকে তুলে ফেলেছি! এমন ভাবেই তুললাম যে, আমার ঘৃণাতেও সেই পুরুষের নামটাও থাকবে না। আমি এ-ও জানি, আমি তাকে ছাড়াই বাঁচবো, ভালো থাকবো এবং একজন বিপ্ল/বী নারী হবো। যাকে দ্বিতীয় বার ভাঙাতে আসলে সেই পুরুষ একশত বার ভাববে!

ঠকেছি পর্ব ৬