তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩৪
ফারহানা নিঝুম
টুপ টুপ বৃষ্টি ঝরে পড়ছে, অবশেষে দেখা মিললো বর্ষা মৌসুম।ঘটা করে বৃষ্টি কে আমন্ত্রণ জানাতে হয়নি।বিনা আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে তিনি। টুপটুপ করে ঝরে পড়ছে পৃথিবীর পৃষ্ঠে।গাছের পাতা গুলো ধুয়ে পানি ঝরছে।
গাড়ি এগিয়ে চলেছে তাদের, দূরে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে ফারাহ এবং তাশফিন। ফারাহ কতবার জিজ্ঞেস করেছে কোথায় যাচ্ছে? অথচ তাশফিন বলেনি। বারংবার একই উত্তর দিয়েছে সারপ্রাইজ।গাড়ির জানালা দিয়ে হালকা কুয়াশা ঢুকে পড়ছে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন স্নান সেরে হাসছে। দূরে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে দেখা যাচ্ছে ধোঁয়া ওঠা চা বাগান। হঠাৎই তাশফিন গাড়ি থামাল।ফারাহর চোখ বিস্ময়ে বড় হয়ে উঠল প্রকৃতির কোলে এক নির্জন কটেজ, ছায়াঘেরা বাগান আর পেছনে ছুটে চলা এক পাহাড়ি ঝর্ণা। তাশফিন বলল,
“এই জায়গাটা শুধু আমাদের জন্য বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ের কথাগুলো বলার জন্য।”
ফারাহ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ, তারপর ধীরে এগিয়ে এসে বলল,
“এইটা সারপ্রাইজ? ওয়াও।”
গাড়ির চাকা যেন ধীরে ধীরে মিশে যাচ্ছে সবুজের সমুদ্রে। চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ চোখ যতদূর যায়, চা গাছের সারি। সিলেটের পাহাড়ি রাস্তা ধরে এগোতেই যেন প্রকৃতি নিজেই স্বাগত জানায় তাদের। বাতাসে ভেসে আসে সদ্য ধোয়া পাতার সুবাস, সেই সঙ্গে দূরের পাখির ডাক, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির ছোঁয়া, আর এক অদ্ভুত শান্তি।
তাশফিন গাড়ি থামায় লালচা মাটির পথের এক প্রান্তে, সামনে দাঁড়িয়ে এক অপরূপ রিসোর্ট পাহাড়ঘেরা, কাঠ আর কাঁচের মিশেলে তৈরি একটুকরো স্বপ্ন। নাম “চা-পাহাড় নীড়”। ফারাহ অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে ছাদে বৃষ্টির টুপুর টাপুর, সামনের বারান্দা থেকে দেখা যায় চা বাগানের ঢেউখেলানো গতি, আর পেছনে পাহাড়ি ঝর্ণার মৃদু কলকল ধ্বনি।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রিসোর্টের ঘরে ঢুকতেই কাঠের ঘ্রাণে মিশে যায় একধরনের উষ্ণতা। জানালার পাশে রাখা টেবিলে দুটি কাপ রং চা আর আদা লেবুর গন্ধে মাখানো। ফারাহ জানালা খুলে দাঁড়ায়, আর বলে,
‘আপনি ঠিক বলেছিলে, এটা শুধু আমাদের জন্য।”
তাশফিন কাছে এসে তার কাঁধে একটা চাদর তুলে দিয়ে বলল।
“চা বাগানের বৃষ্টি, পাহাড়ের হাওয়া আর তুমি এই তিনটেই আমার প্রিয়।”
ঘরজোড়া নিস্তব্ধতায়, বৃষ্টির সুর যেন একমাত্র সঙ্গীত হয়ে বাজছে। আলগোছে এসে ফারাহ কে পিছন থেকে জ্বি ধরে তাশফিন।এই প্রথম তার ভেতরে অন্য কিছু অনুভব করছে ।খুব করে মন চাচ্ছে প্রিয়তমা কে ছুঁয়ে দিতে।আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে।
“সুখ?”
“জি!”
ঠোঁটের খুব কাছে গলার স্বর নামিয়ে ফিসফিস করে বলে
“আজ রাতটা শুধুই আমাদের, ফারাহ। পৃথিবী থেমে থাকুক, সময়ও ভুলে যাক হাঁটতে।”
ফারাহর বুকের স্পন্দন যেন ছুঁয়ে যায় তাশফিনের হৃদয়ের তলে।
“বৃষ্টি যেমন নিঃশব্দে ভিজিয়ে দেয় পৃথিবীকে, আমি তেমনি তোমাকে ভালোবাসতে চাই।”
প্রেমের বাক্য গুলো হৃদয়ে গেঁথে যাচ্ছে ফারাহর। কাঁপছে থরথর করে।কি লজ্জা!
এক মুহূর্ত চুপ থেকে সে ফারাহর কানে ফিসফিস করে ওঠে,
“এই রাতে আমরা কোনো কথা বলবো না, শুধু চোখে চোখ রেখে লিখবো এক প্রেমের চিঠি, যা পড়বে শুধু চাঁদ আর বৃষ্টি।”
হেসে ফেলল ফারাহ,কোমড়ে দুষ্টু হাতের ছোঁয়া পেয়ে সুড়সুড়ি লাগছে তার।
“কাতু কুতু লাগছে!”
দুষ্টু হাসি টা অধর কোণে টেনে নেয় তাশফিন।আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয় বুকের ভেতর।
“তাই?”
“হুঁ।”
নিজের দিকে ফিরিয়ে আলতো করে কপালে উষ্ণ ছোঁয়া এঁকে দেয় তাশফিন। শান্ত কন্ঠে আদেশের সুরে বলল,
“চট করে ফ্রেশ হয়ে এসো।”
ফারাহ অপেক্ষা করেনা ফ্রেশ হতে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসতেই দেখতে পেলো বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে আছে তাশফিন। বুকের ভেতর ধুক ধুক করে উঠলো তার। ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি। রাতের কথা ভাবতেই শরীর হিম হয়ে আসছে তার। এই লোকটা যে এক চুলও ছাড় দেবে না সে তো তা ভালো মতোই জানে।ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে নিজের ভেজা চুলে ভিজিয়ে দিলো তাশফিন কে। ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো তাশফিন। তাকে এরকম অবস্থায় দেখে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো ফারাহ।
“এটা কি ছিলো?”
“মজা। আপনি যেভাবে আমার সাথে মজা করেন তেমন ভাবেই।”
ভ্রুদ্বয় কুঞ্চিত করে তাকালো তাশফিন।উঠে দাঁড়ালো তৎক্ষণাৎ। তাকে দাঁড়াতে দেখে শুকনো ঢোক গিলে ফারাহ।
“আব তোমে কন বাঁচায়েগা ফারাহ বেইবি?”
“উপ্স ভুল হিন্দি।”
“তবে রে।”
ফারাহ কে আর পায় কে?এক দৌড়ে রুমের বাইরে সে।
স্নেহা আর নবীন চলে এসেছে আজ।আরিফা আহমেদ রান্না করছেন।স্নেহার মুখ থেকে শুনেছে ফারাহ ওখানে বেশ ভালো আছে।মনে মনে খানিকটা স্বস্তি পেলেন তিনি।যাক তার মেয়েটা শ্বশুর বাড়িতে ভালো। তবে মনটা খচখচ করছে একটি বার কথা বলার জন্য।
সাজ্জাদুল আহমেদ ঘুমাচ্ছেন। ডাক্তার দেখিয়ে আনা হয়েছে ওনাকে। দুদিন ধরে খুব অসুস্থ উনি। জয়নাল আহমেদ এ কয়দিন টানা কাজ করে চলেছেন।তবে নবীন ফিরে আসাতে ভেবেছেন দু’দিন বিশ্রাম নেবেন।
ভেতরে ভেতরে ভীষণ চাপা একটা অনুভুতি কাজ করছে নবীনের।আসার আগে তাশফিনের সাথে তার কথা হয়েছে। লোকটা বড্ড ভালো।তাই তো কি সুন্দর ঝুমুর আর তার সেদিনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা টা সমাধান করে দিল। ঝুমুর আসার সময় বলেছিল গিয়ে ফোন করতে। ভীষণ বাজে অনুভূতি হচ্ছে নবীনের আচ্ছা এই রাতবিরেতে কল করবে কি?
ফোন হাতে নিয়ে এদিক সেদিক করছে নবীন। আকস্মিক টুং শব্দ করে ফোনটা বেজে উঠলো। স্ক্রিনে নূপুরের নাম দেখেই থম মে রে গেল নবীন।ফোনটা রিসিভ করার পূর্বেই কে টে গেল ।ফের ফোন বেজে উঠতেই রিসিভ করে নেয় নবীন। তাড়াহুড়ো করে বলল,
“সরি সরি ধরার আগেই কে টে গেল!”
হেসে ফেলল ঝুমুর। দুষ্টু হেসে বলল,
“আস্তে আস্তে সমস্যা নেই। এত্ত সরি বলার কি আছে নবীন?বাই দ্যা ওয়ে আপনি হঠাৎ করেই এমন সাদাসিধে হলেন কি ভাবে?”
নিজের কথা ভেবে অবাক হলো নবীন। সত্যি তো সে এমন হলো কি করে? ঝুমুর কিছু বললেই অস্থির লাগে তার।
“না মানে..
“উঁহু উঁহু কিছু অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছি! লজ্জায় হাঁসফাঁস লাগছে বুঝি?”
থমকে যায় নবীন।
“আরে না!”
“আরে হ্যাঁ।”
দুজনেই হেসে উঠলো। অকস্মাৎ ঝুমুর নবীন কে অবাক করে দিয়ে বলল,
“মিস ইউ।”
হৃদয় স্পন্দন থমকে গেল নবীনের।সে কি শুনছে? ঝুমুর তাকে মিস করছে? পড়াশোনায় ডুবে থাকা মেয়েটি তার মতো নিছকই সামান্য একটা মানুষ কে মিস করছে?
নৌঘাঁটিতে বেশ কিছু দিন হলো সৌহার্দ্য ফিরেছে।তবে তার হাবভাব খুব একটা ভালো নয়।এটা লক্ষ্য করছে লেফটেন্যান্ট নাইম ইসলাম।তাশফিন হঠাৎ করেই বলছে সৌহার্দ্য উপর কড়া নজর রাখতে।
নৌঘাঁটির আকাশ আজ শান্ত, বাতাসে লবণের গন্ধ। কয়েকদিন যাবত এখানে এক ধরনের নিঃশব্দ টানাপোড়েন চলছে, যেন কোনো অদৃশ্য ছায়া ঘাঁটির বুক জুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে।ঘাঁটির এক কোণে দাঁড়িয়ে অস্থির কণ্ঠে কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। তার কণ্ঠে এমন এক সুর, যেন কোন অদৃশ্য কারো সঙ্গে লুকোচুরি চলছে। চোখ বারবার চারদিকে ঘোরে, কপালের রেখা ক্রমশ ঘনীভূত হয়।লেফটেন্যান্ট নাইম ইসলাম দূর থেকে সবই লক্ষ্য করছেন। সামান্য ভ্রুকুটি, চাহনিতে সন্দেহ। কিছুদিন ধরেই তার চোখে পড়ছে, সৌহার্দ্যের আচরণে এক ধরণের গা ছমছমে অস্বাভাবিকতা। এক সময়ের প্রাণবন্ত এই যুবক যেন কিছু লুকোচ্ছে, যেন নিজেকে আড়াল করার এক নিঃশব্দ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাশফিনের নির্দেশনাও হঠাৎই এসেছিল।
“সৌহার্দ্যর উপর কড়া নজর রাখো, নাইম। তার গতিবিধি স্বাভাবিক নয়।”
আজ, সেই নির্দেশের গন্ধ যেন বাস্তব হয়ে ধরা দিলো। নাইম কান পেতে শুনলেন ফোনালাপের কিছু টুকরো।
“না, ওরা কিছু বুঝতে পারেনি এখনো কিন্তু আর বেশি সময় নেই সাবধানে থাকতে হবে।”
শব্দগুলো হাওয়ায় ভেসে আসে, কিন্তু তাদের ভার যেন পাথরের মতো ভারী। নাইমের চোখ আরও শাণিত হয়, তার অভিজ্ঞ মন বলছে এখানে কিছু একটা গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে।
রাতের নৌঘাঁটি যেন নিস্তব্ধতা গিলে ফেলেছে। গা ছমছমে নিরবতা চারপাশে।দূর থেকে বাতিঘরের আলো একবার জ্বলে, একবার নিভে। আর ঠিক তখনই, সৌহার্দ্য এখনো ঘাঁটির দক্ষিণ পাশের নির্জন এক কোণে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে ।কণ্ঠস্বর তার আগের চেয়েও অস্থির।
“হ্যাঁ। সব ঠিক আছে। দুদিনের মধ্যে মাল পৌঁছে যাবে। এবারেও কেউ টের পাবে না।”
এই ‘মাল’ শব্দটা নাইমের বুকের ভেতর একটা ধাক্কা দেয় মাল? কিসের মাল?নাইম একটু আগেই ঘাঁটির ছায়ার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল, সৌহার্দ্যর আচরণে সন্দেহ আরও তীব্র হওয়ায় সে চুপচাপ তার দিকে নজর রাখছিল। কিন্তু এই কথাটা শুনেই তার চোখে মুখে চিন্তার ছায়া স্পষ্ট হয়।
ঠিক সেই মুহূর্তে, হঠাৎ করেই পাশের শুকনো পাতার উপর কারো পা পড়ে এক ঝটকা শব্দ হয়খচখচ।
সৌহার্দ্য তৎক্ষণাৎ সোজা হয়ে দাঁড়ায়, চোখ ছুটে যায় চারপাশে। কণ্ঠস্বর আচমকা থেমে যায় ফোনে। গলার স্বর নিচু করে প্রশ্ন ছোঁড়ে।
“কে? কেউ আছে?”
সে দ্রুত কয়েক পা এগিয়ে আসে, চোখে তীক্ষ্ণ সন্দেহ, চোখের পাতা যেন কম্পিত। বুকের ভেতর ছুটে চলে উত্তে’জনার ঢেউ।
কেউ শুনে ফেললো না তো?নিজেকেই যেন প্রশ্ন করে ফেলে ফিসফিসিয়ে।
অন্যদিকে, নাইম ততক্ষণে নিঃশব্দে ছায়ার ভেতরে মিলিয়ে গেছে। তার নিশ্বাস চাপা, চোখ স্থির। আজকের এই আলাপ হয়তো একটি গভীর ষ’ড়য’ন্ত্রের মুখ খুলে দিলো, যার আড়ালে লুকিয়ে আছে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কৌশল অথবা বিশ্বাসঘা’তক’তা।
ঘন অন্ধকারে ঢেকে গেছে ঘাঁটি। একটা অদ্ভুত ভারী নিস্তব্ধতা যেন পুরো নৌঘাঁটিকে গ্রাস করেছে। সৌহার্দ্যের কথাগুলো বারবার কানে বাজছে দুদিনের মধ্যে মাল পৌঁছে যাবে কথাটি।
নাইম ইসলাম আর এক মুহূর্ত দেরি না করে চুপচাপ সরে গেল, বুকের ভেতর পাথরচাপা চিন্তা নিয়ে নিজের কেবিনে ফিরে এলো। দরজা বন্ধ করেই গভীর শ্বাস নিয়ে চেয়ারে বসলো।
তার চোখে তখন তীব্র সংকল্প এই তথ্য কেউ জানুক আর না জানুক, তাশফিন শেখ জানবেই।
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করল সে। কিছুক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে একরকম সংকল্প নিয়ে নাম খুঁজে বের করলো Lt. Commander Tashfin Sheikh নামটি,কল দিল।
তাশফিন এখন চা বাগানের মাঝখানে এক রিসোর্টে। পাহাড়ের বুক চিরে বিস্তৃত সবুজের ঢেউ যেন মনটাকে ছুঁয়ে যায়। চারদিকে শুধু পাখির ডাক আর পাতার মৃদু মর্মর। হাতে ধরা চায়ের কাপ, চোখে প্রশান্তির ছায়া।
ঠিক তখনই ফোনটা বেজে উঠল।
স্ক্রিনে নাম দেখে ভ্রু কুঁচকে যায় তাশফিনের “Naim Islam”
এই সময় নাইমের কল? কিছু তো একটা হয়েছে!
“হ্যালো, নাইম? এমন সময় ফোন করছো কেন?”
কণ্ঠে উদ্বেগের ছায়া।
নাইম দেরি না করে সরাসরি বলে উঠলো।
“স্যার, আপনার সন্দেহ একদম ঠিক ছিল। আমি আজ সৌহার্দ্যকে একটা ফোনালাপ করতে শুনেছি অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে কারো সাথে খুব গোপনে কথা বলছিল। সে বলেছে দুদিনের মধ্যে মাল পৌঁছে যাবে। ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ সন্দেহজনক লেগেছে।”
তাশফিন এক লম্বা নিঃশ্বাস ফেললেন। চোখ থেকে যেন পুরো বাগানের দৃশ্য মিলিয়ে গেল।
“মাল মানে ঠিক কী, সেটা বললো?”
“না স্যার, তেমন কিছু বলল না, কিন্তু পুরো আচরণটাই রহস্যময়। আর শেষ মুহূর্তে সে চারপাশে তাকিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছিল কেউ কিছু শুনেছে কি না। আমি সাথে সাথে সরে যাই।”
তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩৩
তাশফিন এবার আর চা নয়, হাতের মুঠো শক্ত করে ফেললেন।
“ভালো কাজ করেছো নাইম। তোমার কাজ এখন থেকে ওকে ছায়ার মতো অনুসরণ করা। কোনো কিছুই যেন চোখ এড়িয়ে না যায়। আর হ্যাঁ তোমাকে এখন সম্পূর্ণভাবে সবটা নির্ভর করছে। বুঝেছো?”
“আজ্ঞে স্যার, বুঝেছি।”
কলটা কেটে গেলে রিসোর্টের শান্ত পরিবেশ যেন কেমন থমকে দাঁড়াল তাশফিন।সে যা ভাবছে তা নয়তো? বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠছে কেমন!