তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩৯

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩৯
ফারহানা নিঝুম

তাশফিন চলে যাচ্ছে, বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো ফারাহর। খুব করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। এত তাড়াতাড়ি সুখের দিন গুলো শেষ হয়ে যায় কেন?
বিছানায় গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে ফারাহ। তাশফিনের উপর বড্ড অভিমান তার।
“মিসেস শেখ হোয়্যাট হ্যাপেন্ড? এভাবে মুখ ভার করে আছেন কেন?”
নাক ফুলায় ফারাহ।
“কথা বলবেন না আমার সাথে।”
“উফ্ এত হট বউ এত হট মেজাজে কেন?”

কপালে ভাঁজ পড়ল ফারাহর। চলে যাবে অথচ একটুও মন খারাপ হচ্ছে না এই পুরুষের?
“হট হবো না কেন? আপনি কাল চলে যাচ্ছেন অথচ সেটা আজকে বলেছেন। আর আপনি এতটা রিল্যাক্স কেন হুঁ?”
তাশফিন নিশ্চুপ ভঙিতে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ৎক্ষণ সময় নিয়ে। আচানক কাছে এসে তাকে বরাবরের মতো কোলে তুলে নিল তাকে।
“মাই ডিয়ার হট বউ এত হাইপার হতে নেই। আমি বলিনি কারণ তোমার খারাপ লাগবে।”
আবারো ভঙ্গুর হৃদয়ে বলে উঠে ফারাহ।
“তাহলে কি এখন আমি কষ্ট পাইনি?”
“উমম ওয়েট।”
দু’হাতে গাল ধরে অসংখ্য চুমুতে ভরিয়ে দিলো তাশফিন। বক্ষ ভাঁজে চুমুতে চুমুতে অস্থির করে বলে উঠে।
“খুব শীঘ্রই ফিরে আসবো সুখ, এরপর না হয় ফিরে এসে আপনাকে অনেক বেশি…
দু’হাতে কান চেপে ধরলো ফারাহ।
“চুপ করুন অবাধ্য লেফটেন্যান্ট সাহেব।”
হো হো করে হেসে উঠলো তাশফিন।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সমুদ্রের বিস্তীর্ণ নীল পৃষ্ঠে এগিয়ে যাচ্ছে এক বিশাল নেভিয়ান যুদ্ধজাহাজ। জাহাজটি ধূসর রঙের, কঠোর ও শক্তপোক্ত গঠন একেবারে যেন লৌহমানব। তার শরীরজুড়ে নানা রকম সেন্সর, রাডার, কামান ও মিসাইল লঞ্চার, প্রতিটি অংশ যেন প্রস্তুত যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধের দামামা বাজাতে।ডেকের ওপর হেলমেট-পরা নৌসেনারা টহল দিচ্ছে, কেউবা দূরবীন দিয়ে সাগরের দিগন্তে নজর রাখছে। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নিজে ব্রিজে দাঁড়িয়ে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছেন, চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তাঁর একেকটি আদেশ মানে পুরো জাহাজের দিক নির্ধারণ।
ইঞ্জিনের গর্জন, রাডারের ঘূর্ণন আর ওয়ার টকির সংক্ষিপ্ত বার্তা সব মিলিয়ে পরিবেশটা গম্ভীর, নিয়ন্ত্রিত ও প্রস্তুত। এই জাহাজ কেবল চলার জন্য নয় যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বা জাতির সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত।জুতোর ঠকঠক শব্দে ছন্দ তুলে ধাতব ডেক পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাশফিন শেখ। তাঁর ইউনিফর্ম নিখুঁত কলারের প্রতিটি ভাঁজ কড়া নিয়ম মেনে পরিপাটি, বুকের ওপরে ঝকঝকে ব্যাজগুলো যুদ্ধগাথার মতো জ্বলজ্বল করছে।

তাঁর মুখে কোনো অতিরিক্ত অভিব্যক্তি নেই, কিন্তু চোখে একরাশ নির্ভরতার ছায়া এমন দৃষ্টি যেটা অধস্তনরা বিশ্বাস করে, আর শত্রুরা ভয় পায়। ব্রিজের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই সবাই সামান্য সোজা হয়ে দাঁড়ায়, কেউ কিছু না বললেও একটা নিরব সম্মান ছড়িয়ে পড়ে ঘরে।
তিনি সামনে গিয়ে দাঁড়ান কন্ট্রোল প্যানেলের সামনে। রাডারের স্ক্রিনে সাগরের ঢেউয়ের মতো ভেসে উঠছে অদ্ভুত কিছু সিগনাল। সেকেন্ড ইনসাইড সেই সিগন্যালের বিষয়ে কথা বলছে লেফটেন্যান্ট আরাফাত রহমানের সাথে।
ফিরে আসাতেই একটি খবর পেলো তাশফিন, লেফটেন্যান্ট নাইম ইসলাম সৌহার্দ্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে যা যা জানতে পেরেছে সবটাই বলেছে তাকে।তাশফিন আপাতত বলেছে যেদিন জাহাজ যাবে সেদিন তারা হাতে না হাতে ধরবে তাদের। সমুদ্রের রাজপুত্র তারা, সমুদ্রে রাজস্ব করাই তাদের কাজ।

পরণে কালো রঙের সালোয়ার স্যুট সাথে মুখে মাস্ক পড়ে ফারাহ,আর ঝুমুর দুজনেই বেরিয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে স্নেহার বাড়ি মানে আরিয়ানের বাড়ি। আরিয়ান যেহেতু ছুটিতে আছে সেই হিসেবে তাদের দু’জন কে এখন পাওয়া যাবে। আরিয়ান জরুরি অবস্থায় ফের ছুটি নিয়েছে।সবটা তাশফিন অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছে।
“উমম আপু ওদের জন্য কিছু নেবো না?”
ঝুমুর এটাই ভেবে চলেছে এতক্ষণ ধরে। কি নেওয়া যায় তাদের জন্য?
“সেটাই ভাবছি ছোট ভাবিজি।কি নেওয়া যায় বলো তো?”
ফারাহ আশেপাশে তাকালো, সামনেই মার্কেট, সেখান থেকে যদি দু’জনের জন্য শপিং করে তাহলে কেমন হবে?অবশ্য স্নেহা ভীষণ ভালোবাসে শপিং করতে।

“আপু চলো শপিং করে নিয়ে যাই, এমনিতেও স্নেহা ভীষণ পছন্দ করে শপিং করতে।”
ঝুমুর অমত করলো না, দু’জনে মিলে শপিং করলো, টুকটাক আরো অনেক কিছু গিফট নিয়ে গেল স্নেহার বাড়িতে। সকাল সকাল তাদের দেখে একটু চমকে যায় আরিয়ান।
“আরে বাস ভাবি আর ঝুমুর দুজনেই একসাথে!”
ঝুমুর মুচকি হাসি উপহার দিলো,
“হ্যা ভাইয়া আমরা।”
ফারাহ চঞ্চল বালিকার ন্যায় বলল,
“হ্যা ভাইয়া আমরা চলেই এলাম। তাছাড়া তুমি আমার বোন কে কেমন রেখেছো জানতে হবে না?বলতে পারো তদারকি করতে এসেছি।”
উচ্চ স্বরে হেসে ফেলল আরিয়ান।

“আচ্ছা বাবা এসো।বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না, ভেতরে এসেই তদারকি করো।”
তিনজন ভেতরে প্রবেশ করলো,স্নেহা কিচেনে ছিলো। আরিয়ান বলেছিল রান্নার প্রয়োজন নেই, কিন্তু সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ানো মেয়েটা রাঁধতে চাইলো। আরিয়ান আর মানা করেনি। বসার ঘরে কথার শব্দে বেরিয়ে এলো সে। পরণে গাঢ় নীল রঙের শাড়িটা।
ঝুমুর, ফারাহ দু’জনেই স্নেহা কে দেখে আশ্চর্য হয়। ফারাহ পল্লব ঝাপটায় বার কয়েক।স্নেহা কে যে শাড়িতে এতটা সুন্দর দেখায়।
“তোমরা কখন এলে?ফারুউউ।”
ফারাহ ঝট করে গিয়ে জড়িয়ে ধরে স্নেহা কে, দীর্ঘ দু’দিন পর তাদের দেখা হলো। আনন্দে আত্মহারা ফারাহ। দু গালে হাত রেখে বলল,

“মাশাআল্লাহ স্নেহা তোকে কত্ত কিউট লাগছে। পুরোই নায়িকা।”
সহসা হেসে ফেলল স্নেহা,ঈষৎ লাজ নিয়ে ফেরে তাকায় আরিয়ানের দিক পানে।
হাস্যোজ্জ্বল মুখে তার দিকেই তাকিয়ে ছিল সে। ঝুমুর একে একে সব গুলো প্যাকেট দেখাতে লাগল।
“এই যে এগুলো তোমাদের জন্য। আরিয়ান ভাইয়া নিশ্চয়ই তোমাকে কিছু দেয়নি,আনরোমান্টিক মানুষ।”
পিটপিট চোখ করে তাকালো আরিয়ান। স্নেহা মৃদু স্বরে বলল,
“তোমরা বসো আমি নাস্তা রেডি করি?”
ঝুমুর চটজলদি বলল,

“দাঁড়াও আমিও যাবো তোমার সাথে। একা পারবে না স্নেহা।”
ঝুমুর গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেল, হেল্প করে স্নেহা কে।
ফারাহ আনন্দিত হয়ে এগিয়ে গেল আরিয়ানের দিকে।
“ভাইয়া স্নেহার জন্য দারুন একটা শাড়ি নিয়েছি। তুমি ওইটা ওকে দিবে ঠিক আছে তাহলে অনেক খুশি হবে।”
মাথা চুলকে হাসলো আরিয়ান।
“আমার মিষ্টি ভাবি জান আমি যে অলরেডি আপনার বোনের জন্য অহরহ গিফট এবং শাড়ি এনে ফেলেছি।”
চোখ দুটো বড় বড় হয়ে এলো ফারাহর।

“সত্যি?”
“জি।এসো দেখাই।”
ফারাহ কে নিয়ে গিয়ে একে একে সব গুলো জিনিস দেখাতে লাগলো। হলুদ,লাল আর খয়েরী রঙের মধ্যে তিনটে শাড়ি নিয়েছে তার জন্য। ফারাহ সব কিছু দেখে সত্যি আশ্চর্য হয়েছে।
“ভাইয়া আপনি এত কিছু নিয়েছেন? সত্যি বলছি আমি ভাবতে পারিনি। দারুণ হয়েছে সব কিছু সত্যি বলছি! কিন্তু আমি যে এগুলো নিয়ে এলাম, আমি ভেবেছিলাম আপনি আপনার বন্ধুর মতো হবেন।”
শব্দ করে হেসে উঠলো আরিয়ান।
“আহারে ভাবি মন খারাপ করবেন নট। এগুলোও রাখব সমস্যা কই?”
হতাশ হলো ফারাহ, ইশ্ তার লেফটেন্যান্ট সাহেব যদি এততত ভালোবাসা দিয়ে তার জন্য শাড়ি নিয়ে আসতো তাহলে ফারাহ কত না খুশি হতো!

নবীন এসেছে ঢাকা কথাটি কেউ জানে না, শুধু ঝুমুর ব্যতিত। আজ হঠাৎ ফোন এলো, কোচিংয়ে ছিলো ঝুমুর। হঠাৎ নবীনের কল পেয়ে কিঞ্চিৎ বিস্ময় প্রকাশ করলো সে। ক্লাস শেষে বেরিয়ে এলো সে। নানা কথা বার্তা হচ্ছে আশেপাশে। নবীন কে ফের কল করলো ঝুমুর।
“হ্যা নবীন বলো।”
হুট করেই ব্যস্ত কন্ঠে বলল সে,
“তোমার ভার্সিটির সামনে আছি আসতে পারবে?”
হকচকিয়ে গেল ঝুমুর, নবীন ঢাকায় কথাটা শুনেই বুকের ভেতর ধুক করে উঠলো তার।
“তুমি ঢাকায় নবীন?”
“হ্যা, তাড়াতাড়ি এসো।”
ঝুমুর অপেক্ষা করলো না, দ্রুত কোচিং থেকে বেরিয়ে এলো।বড় রাস্তার মোড়ে এসে একটা অটোরিকশা ধরে। আজকে গাড়ি নিয়ে আসেনি তাই অটোতে যেতে হবে তাকে। ভার্সিটির কাছাকাছি যেতেই নজরে এলো সফেদ রঙা শার্ট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে নবীন। বুকের ভেতর দ্রিম দ্রিম শব্দটি ভীষণ ভাবে কানে বাজছে ঝুমুরের।পা টিপে টিপে এগিয়ে গেলো সে।

“নবীন!”
চিরচেনা কন্ঠস্বর,ফিরে তাকালো নবীন। ঝুমুর কে দেখেই চমৎকার হাসলো।
“বই পড়ুয়া ম্যাডাম চলে এসেছো।”
কিঞ্চিৎ অবাক হলো ঝুমুর। নবীনের এখানে আসার কারণটা এখনো বুঝতে পারছে না সে!
“নবীন তুমি এখানে সবাই জানে? না মানে হঠাৎ করে ঢাকায়?”
ঘাড় ফিরিয়ে ডানে বামে এক পলক দেখে নিল নবীন।
“চলো যাওয়া যাক।”
নবীন ঝুমুরের নরম হাত টি চেপে ধরে। নিজের সঙ্গে করে তাকে নিয়ে যেতে লাগল। ঝুমুর আশ্চর্য হচ্ছে।
“আরে আরে কোথায় যাচ্ছি আমরা?আর তুমি ভার্সিটিতে এলে কেন বাড়িতে না গিয়ে?”
“চলো এরপর দেখতে পাবে।”
ঝুমুর কিছু বলতে গিয়েও পারলো না।নবীন ঝুমুর কে নিয়ে যেতে লাগল।

বারান্দায় বসে মাহির কে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন রুবেনা শেখ। নূপুর ওর কাপড় গুলো গুছিয়ে রাখছে।সদ্য জ্বর থেকে উঠেছে ছেলেটা। জ্বরের কয়েকটা দিন কিভাবে যে পার করেছেন একমাত্র সে-ই জানে।
আকাশ যেন অভিমানে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।তার চোখের পাতা ভারী কালচে মেঘে ঢেকে গেছে চারদিক। সূর্যের সোনালি হাসি আজ থেমে গেছে কোনো অজানা কষ্টে। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে উঠছে, যেন ক্রো’ধের ঝলকানি। বাতাসে এক অদ্ভুত ভার চুপচাপ, কিন্তু ভিতরে ভিতরে এক উন্মাদনা জমে উঠছে।মেঘের গহ্বরে সেঁধিয়ে থাকা বৃষ্টির দল এখন নামার অপেক্ষায়। গুরি গুরি বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা যেন আকাশের গোপন কান্না, ধীরে ধীরে সে ফুঁপিয়ে কাঁদবে, আর চারপাশ সিক্ত হবে এক বিষণ্ণ ভালোবাসায়।

পাতা নড়ে উঠবে, ছাদে টুপটাপ শব্দ, আর বাতাসে ভেসে বেড়াবে এক অদ্ভুত শূন্যতা। নূপুর ব্যস্ত পায়ে ছাদের দিকে গেল।কাপড় মেলা আছে ওখানে, এখুনি তুলতে হবে।ছাদে গিয়ে দ্রুত কাপড় গুলো তুলতে গিয়ে লক্ষ্য করে নিচে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিহাল।নিহাল দেখে কিঞ্চিৎ চমকে উঠে সে। তাকিয়ে থাকতে পারলো না।গুড়ুম গুড়ুম শব্দ তুলে বৃষ্টি হচ্ছে। নূপুর ত্রস্ত পায়ে ছাদ থেকে নেমে এলো। কিন্তু নিহাল এখানে কি করছে তা নিয়ে ভাবুক সে।এক রাশ দ্বিধা নিয়ে বসার ঘরের দিকে এগিয়ে গেলো।

“আম্মু নিহাল ভাইয়া এসেছে।”
নিহাল এসেছে বিষয়টি অবাক করছে না রুবেনা শেখ কে। ছেলেটা নিজ কর্তব্য ঠিকই পালন করছে।রোজ রোজ এসেছে এক বার হলেও তাদের কে দেখে না।তবে তা আর বেশী দিন নয়, তাকেও ফিরতে হবে সমুদ্রে।
“নূপুর আমি মাহির কে দেখছি তুই বরং একটা ছাতা নিয়ে যা।”

কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেল নূপুর,সে যাবে?যদি নিহাল আবার অন্য কিছু ভাবে? তবে ভাবনার‌ সম্ভবনা নেই।এত গুলো বছরে একটি বারের জন্য খারাপ আচরণ টুকু পর্যন্ত করেনি। তাহলে আজকে কেন করতে যাবে? দ্বিধা কাটিয়ে ছাতা তুলে নেয় নূপুর।একটি তার জন্য অন্যটি নিহালের জন্য। ছোট ছোট কদম ফেলে এগিয়ে গেল সে, ইতিমধ্যেই অনেকটা ভিজে গেছে নিহাল, হাতের সাহায্যে শার্ট ঝেড়ে নেওয়ার বৃথা চেষ্টা করছে।। নূপুর কে দেখে থমকে যায়।হাতটা থামে তৎক্ষণাৎ। দু’জনের মধ্যে দু হাতের দূরত্ব হবে, নূপুর নত মস্তকে মৃদু স্বরে বলল,
“আম্মু বলছে ভেতরে আসতে না হলে ভিজে যাবেন।”

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩৮

নিহালের দিকে ছাতাটা বাড়িয়ে দিতেই তা সযত্নে নিয়ে নিল নিহাল। নূপুর এক মূহুর্ত অপেক্ষা করলো না। উল্টো ঘুরে ভেতরের দিকে আসতে লাগলো।
প্রিয় মানুষ টাকে কাজ থেকে দেখতে পেয়ে ভেতরে প্রচন্ড শান্তি অনুভব করছে প্রেমিক পুরুষ। হয়তো ছুঁতে পারবে না, কিন্তু দূর থেকে ভালোবাসতে তো অবশ্যই পারবে।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৪০