তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫২

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫২
ফারহানা নিঝুম

নিজের বিয়ের কথা শুনে চমকে উঠে ঝুমুরের।সবে পরীক্ষা দিয়ে শেষ করেছে সে তার মধ্যেই বিয়ে? ভাবতেই পারছে না কিছু।তার মানে এত দিন রিজুয়ান শেখ এবং রুবেনা শেখ তার বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করতো? হ্যা করতো বলেই তো তাকে দেখলেই চুপ করে যায়!
বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো ঝুমুরের। হাহাকার করছে।
জানালার কাছে চুপ করে বসে আছে সে,রুম থেকে বের হচ্ছে না। দরজায় টোকা পড়তেই ভ্রম কে টে গেল তার। দরজার দিকে ফিরে তাকালো ঝুমুর।

“আসবো? ভাইয়া রে।”
তাশফিন কে দেখে আ’তঙ্ক হয় ঝুমুরের। যদি সে তার মুখ দেখেই সবটা বুঝে ফেলে তাহলে? শুকনো ঢোক গিলে ঝুমুর। আমতা আমতা করে বলল।
“এ..এসো ভাইয়া।”
তাশফিন দ্বিধাহীন চিত্তে ভেতরে প্রবেশ করে। জানালার কাছে ঝুমুর কে বসে থাকতে দেখে মোটা ভ্রুদয় কিঞ্চিৎ কুঁচকে এলো তার।
“কি হয়েছে তোর? মন খারাপ কেন?”
হকচকিয়ে গেল ঝুমুর, স্থির নেত্রে পল্লব ঝাপটায়।তাশফিন কি বুঝে গেলো সব?
আকাশ সম দ্বিধা নিয়ে আওড়ালো।
“কই কিছু হয়নি তো ভাইয়া?কি বলছো?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পকেটে হাত গুজে টান টান হয়ে দাঁড়ালো তাশফিন।কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে সে। ঝুমুর বিয়ের কথা শোনার পর থেকেই মন ম’রা হয়ে আছে।
“কিছু বলবে ভাইয়া? না মানে তুমি তো এ সময় ঘরে আসো না। কিছু জরুরী দরকার?”
“না এমনি এসেছিলাম। ফারাহ কোথায় রে?”
“ছোট ভাবি তো কলেজে গেছে।”
“ওহ্।”
তাশফিন আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না, চুপচাপ বেরিয়ে গেলো। যে যা জানতে এসেছি তা বুঝে গেছে। চমৎকার হাসলো সে।সেই হাসিটা রয়ে গেলো ঝুমুরের অচিরেই।তাশফিন বের হতেই ঝুমুর উঠে ওয়াশ রুমে চলে গেলো। ফোন টা টুং শব্দে বেজে উঠল। ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে ফোন হাতে নিতেই দেখতে পেলো নবীন ফোন করেছে। চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলল ঝুমুর। না ধরবে না সে।আর যাই হোক নিজের খুশির জন্য পরিবার কে কষ্ট দিতে পারবে না সে।

“তোমার কি সত্যি মনে হয় নূপুর আমার পৃথার সাথে কথা বলা উচিত?”
আবারো মাহিরের স্কুল গেটের কাছে দেখা হলো নূপুরের। নিহালের কথায় সূক্ষ্ম নিঃশ্বাস ফেলল নূপুর।
“আমি আগেও বলেছি মেয়েটা যথেষ্ট ভালো , তাকে অবহেলা করা উচিত নয়। এবার আপনি দেখুন কি করবেন নিহাল ভাইয়া!”
কথাটা বলেই স্কুলের ভেতরে মাহির কে নিয়ে ঢুকল নূপুর। নিহাল তাকিয়ে আছে নির্নিমেষ ,কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারে না। বাইক নিয়ে এগুতে লাগলো। সামনেই তো বাস স্ট্যান্ড ওখানেই পৃথা কলেজের উদ্দেশ্যে রোজ যাওয়া আসা করে।

আজকেও তাই ,ওই যে দাঁড়িয়ে আছে পৃথা। পৃথা কে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাবে বলে ঠিক করে নিহাল। আচানক সামনে এসে দাঁড়ায় পৃথা , না চাইতেও থামতে হলো নিহাল কে।
“আমার আপনার সাথে কিছু কথা আছে।”
মিনমিনে গলায় বলল পৃথা ,নিহাল ভাবলেশহীন ভাবে বলল।
“কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো।”
পৃথা এক পলক দেখে ওই গম্ভীর থমথমে মুখখানি। অতঃপর আবারো দৃষ্টি নত করে অসহায় কন্ঠে বলল।
“সরি। আমি ওইদিন একটু বেশি পাগলামি করে ফেলেছি। আমার বোঝা উচিত ছিলো আপনার দিকটা। আমি খুব দুঃখিত।”

পৃথার গোলগাল মুখখানি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলো নিহাল।গোল গোল চোখ দুটো ,চিকন নাক ফোলা ফোলা গাল, গোলাপী ওষ্ঠো যোগল। পানপাতার মতো মুখশ্রী। এর আগে কখনো এতটা খুঁটিয়ে তাকে দেখেনি নিহাল , মূলত দেখতে ইচ্ছে করেনি কখনো।
“উঠো।”
“উম?”
নিহালের কথার অর্থ বুঝলো না পৃথা। নিহাল আবারো বলল।
“বাইকে উঠতে বলেছি।”
নিহালের কথায় আশ্চর্য হলো পৃথা ,তবে বিনা বাক্যব্যয়ে উঠে বসলো বাইকে। দ্বিতীয় বার তাকানোর সাহস হলো না তার ওই গম্ভীর মুখ পানে। খোলা চুল গুলো অবাধ্য ভাবে ওড়ে বেড়াচ্ছে। বাইকের আয়নায় আড় চোখে তাকায় নিহাল। নত মস্তকে চুপচাপ বসে আছে মেয়েটা। অত্যন্ত নাজুক স্বভাবের।

রোদ্দুরে কোথায় টেকা যায় না। এতটা গরম ভাবতেও অবাক লাগে।এই তো কিছুদিন আগে বৃষ্টি হলো তাহলে এখন আবার সূর্য্যি মামা তেতে গেলো কেন? ফারাহ ভেবে পায় না। গম্ভীর মুখ করে তার পরেও ভেবে চলেছে।
রাহা আর নেহা দূরে দাঁড়িয়ে ফারাহ কে খুঁজে চলেছে। কোথাও পাচ্ছে না। অবশেষে দূরে বড় বেঞ্চের উপর বসে থাকা ফারাহ কে দেখতে পেলো।
“ওই তো ফারাহ,চল যাই।”
রাহার কথায় সেদিকে তাকালো নেহা। হ্যা ওখানেই বসে আছে সে। দুজনেই কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে গেলো।
“হ্যালো মাই ডিয়ার ললিতা হাউ আর ইউ?”

নেহার ঢঙী মার্কা কথা শুনে চিকন নাকের ডগা ফুলে উঠে ফারাহর।রাগ দেখিয়ে চ্যাটাং করে বললো।
“এতক্ষণে সময় হলো তোদের এখানে আসার? উফ্ কখন থেকে অপেক্ষা করছি!”
বত্রিশ পাটি দাঁত দেখিয়ে হেসে ফেলল নেহা।রাহা ধপাস করে বসে পড়লো ফারাহর পাশে।
“উফ্ আর বলিস না এই নেহার জন্যেই দেরী হয়েছে। আমি তো সেই কখন এসেছি।”
রাহার মুখে ডাহা মিথ্যে কথা শুনে তেতে উঠল নেহা।
“মিথ্যুক একটা।তুই এত মিথ্যুক কেন বে? আমি দেরী করছি নাকি রাস্তায় নিজের সো কল্ড বয়ফ্রেন্ডের জন্য দেরী হয়েছে তোর!”
রাহাও কম যায় না।

“এহ আমার বয়ফ্রেন্ড বলছিল আয় কেএফসি যাই? মিথ্যুক নি।”
দুজনের ঝগড়া দেখে হতাশ হলো ফারাহ। চেঁচিয়ে উঠলো সে।
“উফ্ থাম তো তোরা!খালি ঝগড়া! এদিকে মামাও আমাদের উপর রাগ দেখাচ্ছে। আর তোরাও!”
একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো রাহা আর নেহা।নেহা সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালো। রাহা শুধোয়।
“মামা?কার মামা কিসের মামা?আর কিসের রাগ দেখাচ্ছে?”
কনুইয়ে ভর দিয়ে মুখ রাখলো ফারাহ।মলিন কন্ঠে বললো।
“সূর্য মামা,দেখছিস না মামীর সাথে রাগ করে আমাদের উপর সেই রাগ মেটাচ্ছে!”
চোয়াল ঝুলে গেলো নেহার।হো হো করে হেসে উঠলো রাহা।
“মামা তুইও না যা বললি।”

হুট করেই দারোয়ান চাচা এগিয়ে এলো, ফারাহ কে উদ্দেশ্য করে বলে।
“ফারাহ আপনার জন্য বাইরে কেউ অপেক্ষা করছে।”
ভ্রুদ্বয় কুঞ্চিত করে তাকালো ফারাহ।
“কে এসেছে আঙ্কেল?”
“বললো আপনার হাসব্যান্ড।”
স্থির নেত্রে তাকালো ফারাহ। এখন কি যাবে? গেলেই তো বাঁশ খাবে!রাহা নাক মুখ কুঁচকে নিল।
“আজকে একটা জামাই নেই বলে!”
“হ রে রাহা আমাগো কেউ নেই বলে।”
রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে উঠে দাঁড়ালো ফারাহ।

কলেজ গেটের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে একটি ধবধবে সাদা গাড়ি। গাড়ির স্টিয়ারিং-এ বসে আছে তাশফিন শেখ চোখেমুখে একধরনের গভীর স্থিরতা, অথচ ভেতরে যেন এক অলক্ষ্য উচ্ছ্বাসে ভাসছে। শহরের ব্যস্ততার মাঝেও তার উপস্থিতি আলাদা করে চোখে পড়ে। পরিপাটি পোশাক, ঘড়ির প্রতিটি কাঁটার দিকে তাকিয়ে সময় মাপছে সে।আর সেই ক্ষণিক অপেক্ষার মধ্যেও এক অপার্থিব মুগ্ধতা।সে অপেক্ষা করছে তার ফুটফুটে বউটার জন্য। যে এখনো কলেজ গেটের ভিতরে, বন্ধুদের ভিড়ে হেসে উঠছে নিশ্চয়ই। সেই হাসির ছায়া যেন তাশফিনের হৃদয়ে আগেভাগেই পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনের মতো আজও সে এসেছে‌।

সাদা রঙের সালোয়ার স্যুটে ফারাহ যেন শুভ্রতার এক নির্লিপ্ত প্রতিচ্ছবি। কোমল পায়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে সে কলেজ গেটের ভিড় পেরিয়ে।হঠাৎ চোখ পড়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা তাশফিন শেখের দিকে। ছায়ার মতো গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছে সে, চোখে মুখে একরকম নির্লজ্জ স্থিরতা। ঠোঁটে চাপা হাসি, দৃষ্টি যেন চোখ ছুঁয়ে বুকের গভীরে ঢুকে যায়। তাশফিনের সেই অপলক চাহনিতে ফারাহর বুকের ভিতর দুরুদুরু কাঁপন জাগে।এমনভাবে তাকানো কি শোভা পায় একজন লেফটেন্যান্টের? উফ্! কী অ’শ্লীল নির্লজ্জতা তার চোখে! অথচ সেই চোখ থেকে নিজেকে ফিরিয়েও নিতে পারে না ফারাহ। ঠোঁট কামড়ে নিচু করে ফেলে দৃষ্টি।
ছোট ছোট কদম ফেলে এগিয়ে এলো ফারাহ।গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো তাশফিন। অদ্ভুত ভঙিমায় বলে উঠে।

“এত সুখ সুখ লাগে কেন ওয়াইফি। উফ্ তোমাকে দেখেই অন্য রকম কিছু ফিলিংস আসে।”
পিটপিট চোখ করে মুখ তুলে তাকায় ফারাহ। প্রত্যুত্তরে কি বলা যায় এই অশ্লীল পুরুষ কে? কম্পিত স্বরে বলে সে।
“বাড়ি যাবো।”
নৈঃশব্দ্যে হাসলো তাশফিন,ঘোর লাগা চাহনি তার।নিচু স্বরে বলে।
“বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার ধৈর্য্য হচ্ছে না তো সুখ।আই নিউ ইউ রাইট নাউ।”
দুহাত ঠোঁট চেপে ধরে ফারাহ। দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম তৈরি হচ্ছে। ধমকের সুরে বলে উঠে।
“চুপ যান বেশরম লেফটেন্যান্ট সাহেব।এত অশ্লী’ল কেন আপনি?”
গা দুলিয়ে হেসে উঠলো তাশফিন।হাস্কিটুনে বলল,

“আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না জান। জাস্ট সো ইউ নো, দিস টাইম দ্য ডোজ ওয়োন্ট বি ইজি টু হ্যান্ডল।”
লজ্জায় কান দিয়ে রীতিমতো ধোঁয়া বের হচ্ছে ফারাহর। ভয়ে চট করে গিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো সে।যতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে,কিছু না কিছু বলবেই এই ঠোঁটকা’টা লেফটেন্যান্ট ।
গাড়ি চলছে আপন গতিতে।চুপটি করে বসে আছে ফারাহ।কথা বললেই সে শুরু করে দেবে।
“আহা সুন্দরী কথা বলো কিছু।”

ঠোঁট কা’ম’ড়ে অস্থির’তা দমানোর চেষ্টা করছে।আড় চোখে কয়েক বার তার স্নিগ্ধ মুখশ্রী পরোখ করে পাশের পুরুষটি। ত্রস্তবেগে গাড়ি থামলো হুট করেই। আকস্মিক ব্রেক কষাতে কিছুটা সামনের দিকে চলে এলো ফারাহ। নিরিবিলি জায়গা , আশেপাশে গাড়ি ঘোড়া কিছুই নেই।গাড়ি তো দূরে থাক একটা কুকুর বিড়াল পর্যন্ত নেই। ফারাহ সন্ধানী দৃষ্টিতে তাকালো আশেপাশে। জায়গাটা সে চিনে না! এতক্ষণে লক্ষ্য করেছে বিষয়টি।
নিরিবিলি গলিপথে হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে দিল তাশফিন। ফারাহ কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না এমন নির্জন জায়গায় থেমে পড়ার মানে কী। চারপাশ নিস্তব্ধ, কেবল গাড়ির হালকা ইঞ্জিনঘরের গুঞ্জন যেন তার বুকের ভেতরের ধুকপুকানির শব্দে মেতে উঠেছে।
ভীত চোখে তাশফিনের দিকে তাকায় ফারাহ। গলাটা শুকিয়ে এসেছে তার। কাঁপা কাঁপা স্বরে প্রশ্ন করে,

“গ..গাড়ি থামালে কেন?”
তাশফিনের ঠোঁটে খেলে যায় এক অদ্ভুত রহস্যময় হাসি। চোখে এক ঝলক বিদ্যুৎ, যেন কিছু একটার পূর্বাভাস। ধীরে হাত বাড়িয়ে গাড়ির জানালা বন্ধ করে দেয় সে। মুহূর্তেই চারপাশ আরও গম্ভীর, আরও বদ্ধ হয়ে ওঠে।
ফারাহ আঁতকে ওঠে, দরজা খুলে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু তার আগেই তাশফিন কোমর পেঁচিয়ে তাকে টেনে নেয় নিজের কোলে।
“আই’ম অ্যাবাউট টু বি রিয়্যালি ব্যাড নাও অ্যান্ড ইউ’ল জাস্ট হ্যাভ টু টেইক ইট, জান।”

তাশফিনের কণ্ঠ স্বরটা গা ছমছমে, গা কাঁপানো বাক্য গুলো নরম গলায় ঝরে পড়ে।ফারাহ ছটফট করতে লাগলো মুক্তি পেতে চায়। চোখে আত’ঙ্ক, ঠোঁটে জড়তা, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যেন ঘো’রের মধ্যে ডুবে আছে।
নির্জন গাড়ির অভ্যন্তর যেন এক স্নিগ্ধ তীব্রতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।তাশফিন হঠাৎই ঠোঁটের ভাঁজে নিজের ওষ্ঠ চেপে ধরল। তার কোমল গোলাপি ঠোঁটদুটি সে চুষে নিল আশ্লেষভরা আবেগে কোনও পূর্বঘোষণা ছাড়াই।ফারাহর শরীর কেঁপে ওঠে। নিঃশ্বাস যেন জমে ওঠে বুকে।

দুর্বল হয়ে পড়ে সে, সমস্ত শরীর এক অবশতার ঘো’রে আচ্ছন্ন।ঠিক সেই মুহূর্তে তাশফিন সরে আসে। ওর বুক ওঠানামা করছে দীর্ঘ নিঃশ্বাসে।ফারাহ দু’হাতে ওর গলা জড়িয়ে ধরেছে মুখটা গুঁজে রেখেছে কাঁধে।চোখ বুঁজে থাকা সেই মুহূর্তে তাশফিন ওর চুলে নাক ঘষে, গভীরভাবে শ্বাস নেয় যেন চেনা ঘ্রাণে ডুবে যেতে চায়।
ফিসফিস করে বলে ওঠে।
“উফ্, চুলের এই ঘ্রাণে যেন নেশা ধরে যাচ্ছে।”

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫১

লজ্জায় চোখ দুটো টেনে বুঁজে ফেলে ফারাহ। ওর গাল জুড়ে একফালি লাল আভা। তাশফিন ফের হাসে সেই চিরচেনা দুষ্টু ভঙ্গিতে। ঠোঁটে তামাশার আভাসে বলে।
“কোন ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ইউজ করো সুখ?”
চোখ তুলে পিটপিট করে তাকালো ফারাহ।তাশফিন সেই চিরচেনা হাস্কিটুনে বলল।
“দ্য টেইস্ট’স অনেস্টলি নট ব্যাড অ্যাট অল।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৩

1 COMMENT

Comments are closed.