তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৮
ফারহানা নিঝুম
হাতে করে অনেক গুলো হাসনাহেনা ফুল নিয়ে পৃথার কবরের কাছে এসেছে নিহাল। অনেক গুলো মাস পড়েই এসেছে। এই তো প্রায় ছয় মাস সমুদ্রে কা’টিয়েছে।
পৃথার চাচির থেকে জানতে পেরেছিল হাসনাহেনা ফুল নাকি বড় প্রিয় ছিলো মেয়েটার।
কবরের আশেপাশে পরিষ্কার করলো নিজে থেকে ,ফুল গুলো সুন্দর করে কবরের আশেপাশে লাগিয়ে। বেশ খানিক্ষণ পর কবরের মাথার কাছে বসলো নিহাল। মৃদু মন্দ হাওয়া বইছে খুব , হাওয়া এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকে। কি একটা ভেবে ডান হাতটা কবরের মাথার কাছে রেখে হাত বুলিয়ে দিলো। মনে হচ্ছে পৃথার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
মৃদু হাসলো নিহাল , ফিসফিসিয়ে বললো।
“বেঁচে থাকতে তো ভালোবাসার ভাগ দিতে পারিনি মেয়ে , কিন্তু নিশ্চিত থাকো কবরের ভাগটা তোমাকে দিয়ে যাবো। আমি মা’রা গেলে আমার কবরটা ঠিক যেন তোমার পাশে হয় সেটার ব্যবস্থা করে যাবো।”
কোনো উত্তর নেই , আরো কিছুক্ষণ বসে রইল নিহাল , মিনিট দশেক পর উঠে বাড়ির পথ ধরে। আবারো পা জোড়া থামে তার , পিছু ফিরে দেখে কবরটা। বুকের ভেতর কোথাও একটা মোচড় দিয়ে উঠে। চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল।
কবরের ভেতর কারো কঙ্কাল রয়েছে ,এক অতৃপ্ত কন্যা যে শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত ভালবাসার জন্য ছটপট করেছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বাড়ির বউয়ের জন্মদিন বলে কথা, ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান ছিলো। সারাদিন লজ্জায় তাশফিনের সামনে আসেনি সে। ভীষণ অবাধ্য লেফটেন্যান্ট সাহেব তার।তাই তো শেষমেশ কি-না ছাদে? নিজেকে দেখে রাতে বড্ড অসহায় লাগছিল তার, কতটা বোকা সে।তার মোটেও উচিত ছিলোনা ছাদে যাওয়া। ফাজিল লেফটেন্যান্ট,লুচু লেফটেন্যান্ট।এক নাম্বার বাজে মানুষ।
গাড়িটা ছুটে চলেছে পাহাড়ি পথ বেয়ে, আপন গতিতে, যেন এক দিগন্তছোঁয়া পেছনে ধুলোবালিছাই উড়িয়ে ছুটছে তারা। জানালার পাশে বসে থাকা ছেলেমেয়েগুলোর চোখে লেগে আছে উত্তে’জনার দীপ্তি। আজকের এই সফরটা অন্যরকম একটা আলাদা আবহ, একটুখানি বেশিই রঙিন, ফারাহ আর তাশফিন ।আরও একটি ভালোবাসার কবুতর দেখা যাচ্ছে পেছনের সিটে আরিয়ান আর স্নেহা। ওদের চোখের ভাষা বলছে, শব্দের দরকার নেই। পাশে বসে থাকা নূপুর আর মাহির মাঝে-মাঝেই একে অপরকে তাকিয়ে হাসছে, মাহির কে জাপ্টে ধরে বসে আছে নূপুর । আর সামনে জানালার ধারে বসে আছে নিহাল, কিছুটা চুপচাপ, কিন্তু তার চোখে ঝিকিয়ে উঠছে রাঙামাটির সবুজের ডাক।পাহাড়ের কোলে, লেকের জলে, মেঘের ছায়ায় গাঁথা এক শহর রাঙামাটি। সেই শহরের দিকে ছুটে চলেছে তাদের এই বন্ধুতা, ভালোবাসা আর স্মৃতিমাখা ভ্রমণ।
“মিসেস শেখ ঠিক আছেন তো আপনি?”
নিচু স্বরে শুধোয় তাশফিন। লজ্জায় নুইয়ে যাচ্ছে ফারাহ,নাক মুখ কুঁচকে বলল।
“কথা বলবেন না লেফটেন্যান্ট, সাহেব। আপনি খুব অবাধ্য।খুব ফাজিল।”
ফিচলে হাসে তাশফিন,ঘাড় ম্যাসাজ করে বলল।
“আমি যে ঠিক কি তা তোমার থেকে কেউ ভালো বলতে পারবে না সুখ! উফ্ তুমি তো আমাকে দে…
“চুপ যান বেশরম লেফটেন্যান্ট।”
কথার মাঝে থামিয়ে দিলো ফারাহ।
“আমি সব শুনে ফেলছি ব্রো এন্ড পিচ্চি ভাবি!”
পিছন থেকে আরিয়ান বলে উঠে কথাটি, লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে গেল ফারাহ। ভীষণ খারাপ লাগছে তার। কেমন জানি লজ্জা লজ্জা লাগছে।এই লুচু লেফটেন্যান্টের জন্য আজকে তার এই অবস্থা!
নিহাল বার বার আড় চোখে একবার দেখছে নূপুর কে।কি স্নিগ্ধ তার হাসি।
হঠাৎ করেই তাশফিন ঠিক করলো ফারাহ কে সারপ্রাইজ দিতে রাঙামাটি যাবে। আবার একা নয় সব গুলো কে ধরে নিয়ে যাবে।তাই তো আরিয়ান,স্নেহা, নূপুর,মাহির এবং কি তাকেও এনেছে। সে চাইছিলো না আসতে। কিন্তু তাশফিন বলেছে এত দিন এক নাগাড়ে সমুদ্রে থেকে নিশ্চয়ই বিরক্ত। তাশফিন এক প্রকার জোর করেই এনেছে তাকে।
___ফারাহ এবং তাশফিন কে আরো পড়তে চাইলে তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া বইটি অর্ডার করতে পারবেন
রাঙামাটির পাহাড়ি শান্তি, কাপ্তাই লেকের নীল জলরাশি আর আকাশ ছোঁয়া সবুজের বুকে একটুখানি স্বপ্নের নাম নীলাচল ইকো রিসোর্ট। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ঢেউ খেলে যাওয়া কুয়াশা।রিসোর্টটা গড়ে উঠেছে এক পাহাড়চূড়ায়, নিচে কাপ্তাই লেকের বিস্তীর্ণ জলরাশি যেন আয়নার মতো ঝিকমিক করে সকাল-সন্ধ্যে।ফারাহ, তাশফিন আর তাদের সাথে আসা বাকিরা সবাই মিলে এই নীলাচল ইকো রিসোর্টে এসে উঠে।নিজেদের মতো একে একে রুম বুকিং করলো তাশফিন, যার যার রুমে যে যার মতো এগিয়ে যেতে লাগলো।
থার্ড ফ্লোরে তাশফিন পা রাখতেই এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো কেউ আছে কিনা! ফারাহ পিছনে ফিরে তাকালো।কাকে খুঁজে চলেছে লোকটা?
আকস্মিক ফারাহ কে অবাক করে দিয়ে পাঁজা কোলে তুলে নিল তাশফিন। হকচকিয়ে গেল ফারাহ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব সে।গলা জড়িয়ে ধরে তার।
“নিচে নামান অবাধ্য পুরুষ,কেউ দেখলে কি বলবে?”
“দেখুক আই ডোন্ট কেয়ার জান,এখন আমার টার্ন।”
“ক.. কিসের টার্ন?”
“বাসর করার টার্ন।”
লাগেজ ফেলে ফারাহ কে কোলে নিয়েই বেডের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো তাশফিন। লজ্জায় থতমত খেয়ে যাচ্ছে ফারাহ।এত অধৈর্য পুরুষ সে আগে দেখেনি।
অকস্মাৎ টপস টা টেনে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে তাশফিন, দুহাত এ চেপে ধরে মেয়েটাকে। থরথরিয়ে কাঁপছে ফারাহ।
“ছেড়ে দিন না!”
“সরি জান।”
ঠোঁটের ভাঁজে ঠোঁট গুঁজে স্বাদটুকু নিজের ভেতর টেনে নিচ্ছে তাশফিন। ফোনের টুং শব্দ আসতেই হকচকিয়ে গেল ফারাহ।তাশফিনের শার্ট টেনে নিজের শীর্ণ বদন খানি ঢেকে নিল আরো। ঘনিষ্ঠ মূহুর্তে বে’ঘাত ঘটতেই চোখের কার্নিশ লাল হয়ে এলো তাশফিনের। ফারাহ কোল থেকে উঠতে যায়, আকস্মিক তার হাত দুটো পেঁচিয়ে এক হাতের মুঠোয় নিলো তাশফিন।অপর হাতে ফোনটা রিসিভ করে।
“বলো।”
“নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।”
“ডিটেইলস।”
একসাথে তিন দিক সামলে নিচ্ছে তাশফিন। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ফারাহ।এক হাতে তার নরম তুলতুলে হাত দুটো চেপে রেখেছে। অন্য হাতে ফোন, ঠোঁট দুটো বিচরণ করছে তার বক্ষভাজে। বারংবার কেঁপে উঠছে ফারাহ। কথার মধ্যে ঠোঁট দুটো নড়লেই তার মসৃন ত্বক স্পষ্ট করছে। মৃদু স্বরে কঁকিয়ে উঠলো ফারাহ।চোখ গরম করে তাকালো তাশফিন। চোখের ইশারায় বললো কিছু না বলতে। এবারে অপর প্রান্তে থাকা লোকটির উদ্দেশ্যে বলে।
“সব গুলো ফাইল জিমেইল গুলো একটু আফতাব।আর লেফটেন্যান্ট নাইম কে বলো আমাকে জানাতে।”
“ওকে লেফটেন্যান্ট।”
ফোনটি রাখা মাত্র , ঝাঁপিয়ে ফারাহ কে বিছানায় ফেলল। তাড়াহুড়ো দেখে ঘাবড়ে গেল ফারাহ।এ কাকে দেখছে সে?এত উন্মা’দতা?
“আপনি এমন কেন?”
ঝুকে এলো তাশফিন,বক্ষ ভাঁজে নাক ঘষে ফিসফিসিয়ে বললো।
“ডু ইউ নিড এনিথিং, অর উইল ইট ওয়ার্ক উইদআউট?”
লজ্জায় নিঃশ্বাস ভারী হচ্ছে ফারাহর। কন্ঠনালি কাঁপছে।পুরুষ্ট ওষ্ঠো জোড়া তার সর্বাঙ্গে শিরশিরানি তুলে দিচ্ছে।চুল গুলো খামচে ধরে ফারাহ। নিজেকে আটকানো বড্ড মুশকিল তাশফিনের নিকট। অতঃপর অপেক্ষা করলো না সে। দু’হাতে আলিঙ্গন করে ঠোঁটের ভাঁজে ম’ত্ত হলো। ফারাহ বিছানা হাতড়ে চাদর টেনে ঢেকে নিয়েছে নিজেদের।
ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে ফারাহর, একদম ইচ্ছে করছে না শাওয়ার নিতে? আচ্ছা কি করে নেবে শাওয়ার? গায়ে তাশফিনের তৈরি করা দাগ গুলো স্পষ্ট ঝলঝল করছে তার উপর জ্বল’ছেও। একদম ইচ্ছে করছে না উঠতে তার। পিটপিট চোখ করে তাকালো পাশে শুয়ে থাকা তাশফিনের দিকে। আকস্মিক তাকে কোলে তুলে নিল তাশফিন, এগিয়ে গেল ওয়াশ রুমে। আলগোছে নামিয়ে দিয়ে বললো।
“ওয়েট অ্যা মিনিট।”
লাগেজ থেকে নিজের ঢিলাঢালা ট্রাউজার আর শার্ট নিয়ে এলো তাশফিন। রেলিংয়ে রেখে দিলো তা। ফারাহ চুপচাপ শাওয়ার নিচ্ছে।পিঠ বয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানির স্রোত। উপরের ওষ্ঠো দ্বারা নিচের ওষ্ঠো চেপে দাঁড়িয়ে আছে তাশফিন।সবটা লক্ষ্য করছে সে।পিছন ফিরে তাশফিন কে দেখে পিলে চমকে উঠে তার।
“আ.. আপনি এখনো দাঁড়িয়ে আছেন?”
“নিড সামথিং।”
নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছে না ফারাহ,দরজা ঠেলে লাগানোর চেষ্টা করে বললো।
“একদম আসবেন না।”
এক ধাক্কায় দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে এলো তাশফিন। অন্য হাতে দরজাটা বন্ধ করে দেয়। নিজেকে যথা সম্ভব ঢেকে রাখছে ফারাহ।
“দেখুন আমি পারব না! আপনি প্লিজ!”
ঠোঁট উল্টে ফেলল তাশফিন, বাচ্চাদের মতো করে বলল।
“তোমার তিল দেখে ফেলছি সুখ। কিচ্ছু করার নেই।নিড ইউ ব্যাডলি।”
ফারাহ কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে টেনে নেয় নিজের কাছে, অতঃপর আরো একবার অধর চুম্বনে অস্থির এবং অতিষ্ঠ করে তুলে তাকে। অতঃপর তারা মেতে ওঠে আরো একবার আদিম খেলায়।
আকাশজুড়ে মিটমিটে তারা, যেন নিঃশব্দে জ্বলছে অগণন মোমবাতি, দূর আকাশের চূড়ায় বসে পাহাড়ের নিস্তব্ধতাকে আরো গভীর করে তুলছে।এমন এক রাতের আঁধারে, এক পাহাড়ি ঢালে জ্বলছে একটুকরো আগুন ক্যাম্পফায়ার। আগুনের শিখা কখনো লালচে, কখনো কমলা, কখনোবা হঠাৎ এক ঝলক নীল।
শীত শীত ভাবটা থাকায় গায়ে জ্যাকেট জড়িয়েছে ফারাহ।তাশফিনের হাত ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছে তারা।আড় চোখে এক পলক তাকালো তাশফিন, রাগে ফুঁসছে ম্যাডাম।
“হোয়্যাট হ্যাপেন্ড জান রাগছো কেন?”
“তো কি করব? আপনার অবাধ্যতার জন্য আমাকে দু’বার শাওয়ার নিতে হয়েছে। এখন শীত করছে।”
বাঁকা হাসলো তাশফিন, রাগান্বিত বউ কে আরেকটু রাগিয়ে দিতে বলল।
“চলো আরো একবার শাওয়ার নেই একসাথে!”
নাক ছিটকালো ফারাহ।মনের দুঃখে একা একা হাঁটতে লাগলো।যত দ্রুত সম্ভব হাঁটছে।তাশফিন পিছন থেকে হাক ছাড়লো।
“ওয়েট সুখ।”
“দাঁড়াবো না।”
সহসা হেসে ফেলল তাশফিন, দৌড়ে এসে পাঁজা কোলে তুলে নিল তাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব ফারাহ।ঈষৎ ভয় নিয়ে বলে উঠে।
“এই এই কি করছেন ভয় লাগছে।”
“ডোন্ট ওয়ারি সুখ,আছি তো আমি।”
আলতো করে নাকে নাক ঘষে তাশফিন।
রেস্টুরেন্টে বসে আছে বাকিরা।নিহাল নিজের মতো করে খাচ্ছে আর মাহির কে খাইয়ে দিচ্ছে।
আরিয়ান স্নেহার সাথে ছবি তুলতে ব্যস্ত।
“আরিয়ান আমার ভালো ভালো পিক তুলে দিন। পঁচা এলে কিন্তু আপনার খবর আছে!”
বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হেসে ফেলল আরিয়ান।
“ওকে বাবা যাও গিয়ে দাঁড়াও ছবি তুলে দিচ্ছি।”
পরপর অনেক গুলো ছবি তুলে দিলো স্নেহা কে। রেস্টুরেন্টের কাছে এসে ফারাহ কে নামিয়ে দিলো তাশফিন। ফারাহ ভেতরে ঢুকে যায়,পিছন থেকে কেউ এসে চোখ চেপে ধরে তার। কিঞ্চিৎ অবাক হলো সে।
“কে? নূপুর আপু?”
“কে হতে পারি বলো তো ছোট ভাবি?”
ঝুমুরের কন্ঠস্বর শুনে চমকে উঠে ফারাহ।হাত সরাতেই ঝুমুর আর নবীন কে একসাথে দেখতে পেলো ফারাহ।চোখ সরিয়ে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা তাশফিনের দিকে তাকালো।দূর থেকে চোখ টিপে তাশফিন, অর্থাৎ এটা তার জন্য সারপ্রাইজ ছিলো।
“ভাইয়া তোমরা আসবে একবারও জানাও নি?”
অভিমানী কন্ঠে বলে ফারাহ, মৃদু স্বরে হাসলো নবীন। মাথায় হাত রেখে আহ্লাদি ফারাহ কে বোঝায়।
“হ্যাপি বার্থডে বোন। এটা তোর জন্য ছোটখাটো সারপ্রাইজ ছিলো।”
“ঝুমুর আপু তুমিও?”
তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৭
“তাশফিন ভাইয়া মানা করেছে।”
আবারো আনন্দে মেতে উঠেছে সবাই। নিজেদের মধ্যে আড্ডা দিচ্ছে।তাশফিন এসে গা ঘেঁষে দাঁড়ালো ফারাহর। ফিসফিসিয়ে বললো।
“সারপ্রাইজ কেমন লাগলো ম্যাডাম?”
“ভীষণ পঁচা আপনি লেফটেন্যান্ট সাহেব।এক নাম্বার অস’ভ্য।”
“ইউ মিন স্যাভেজ?মিসেস শেখ রেডি হও রাতে খেলা হবে।”
চোখ বড়বড় করে তাকালো ফারাহ, ঠোঁট কা’ম’ড়ে হাসছে তাশফিন।